শেষমেশ স্কুলের শিক্ষক! যৌন হেনস্থার (Sexual abuse) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) করা হল এক স্কুলশিক্ষককে (Teacher)। একাধিক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) হেব্বল এলাকার একটি সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষক গত তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অঞ্জনাপ্পা। বছর ৫৪-এর ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকাদের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের টিফিনের বিরতির সময় ফাঁকা ঘরে একা পেয়ে ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন। ৮ থেকে ৯ জন ছাত্রীর পরিবার এ বিষয়ে অভিযোগ জানায়। এমনকি, শারীরশিক্ষার ক্লাসের সময় প্রকাশ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই শিক্ষক ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করতেন বলেও অভিযোগ। ভয় এবং সংকোচ থেকে প্রথমে তারা বাড়িতে কিছু জানায়নি। পরে পরিবারের লোকেরা ছাত্রীদের আচার-ব্যবহারে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ করেন। এরপর এক ছাত্রীর বাবা-মা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব ঘটনা খুলে বলে।
এরপরই পুলিসের দারস্থ হন অভিভাবকেরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শিক্ষককে।
সময়মত আসেন না শিক্ষিকারা (teacher)। বারবার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র (Child Education Centre)। আর এর ফলেই বড় সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের। গত শুক্রবার থেকে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে সরব অভিভাবকরা। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার এক নম্বর ব্লকের চকয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নাওথোয়াটারি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের।
জানা যায়, কালীপুজোর ছুটির পর কেন্দ্রটি খুললেও উপস্থিত নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত দু'জন শিক্ষিকা। তাই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা শুক্রবার তালা ঝুলিয়ে দেয় ওই কেন্দ্রে। ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বর্তমানে ২ জন শিক্ষিকাই রয়েছেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিদিনই দেরি করে কেন্দ্রে আসেন। পুজোর পরে শুক্রবার বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষিকাদের দেখা নেই। তাই অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে। পাশাপাশি ওই কেন্দ্রে পড়াশোনার মান ভালো নয় বলেও জানান অভিভাবকরা। এমনকি মিড ডে মিলও ঠিক মত চালান না শিক্ষিকারা, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
মঙ্গলবার ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের সামনে ফের বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা দু'জনেই জানান, তাঁরা অসুস্থ। ঘটনার খবর পেয়ে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে আসেন আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের সমিতি এডুকেশন অফিসার প্রণব সরকার। তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রটি সঠিকভাবে চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি শিক্ষিকাদের চূড়ান্ত সতর্ক করে যান যাতে পরবর্তীতে এই ঘটনা না ঘটে।আধিকারিকের আশ্বাসে গ্রামবাসীরা ওই কেন্দ্রের তালা খুলে দেন।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি (Corruption) জানাতে বিশেষ ই-মেইল (e-mail) লঞ্চ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। রবিবার বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপালে দলের বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে এই ই-মেইলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে প্রতারিতদের এদিনের মঞ্চ থেকে সুনির্দিষ্ট ওই ই-মেইলে অভিযোগ জানানোর আবেদন জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। ই-মেইলটির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে -"sikshakniyogdurniti.report@gmail.com"
কিন্তু বিজেপি কেন এই ই-মেইল চালু করল? রবিবার মঞ্চ থেকে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর দাবি, শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে অনেকেই হয়তো গোপনে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এখন থানায় অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা এই ই-মেইলে সমস্ত তথ্য জানিয়ে আপনাদের অভিযোগ জানান। কে, কাকে টাকা দিয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন, কবে দিয়েছেন, এসব তথ্য ই-মেইলে যুক্ত করার আবেদন জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রীর বক্তব্য, টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই প্রামাণ্য দলিল নেই। কিন্তু কেউ ফিক্সড ডিপোজিট বা ব্যঙ্কের কোনও আকাউন্ট থেকে টাকা তুলে সেই টাকা নেতাদের দিয়ে থাকলে তার প্রামাণ্য নথি ই-মেইলের সঙ্গে যুক্ত করুন। এই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য দলের একটি বিশেষ দল ওই ই-মেইলে নজর রাখবে। পাশাপাশি অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মায়ের শাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্কুল শিক্ষক (school teacher) ছেলে ও মায়ের ঝুলন্ত দেহ (hanging body) উদ্ধার ঘর থেকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর (Ashokanagar) থানার বিড়া বান্ধব পল্লী এলাকার। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে (Mental depression) ভুগছিলেন তাঁরা বলেই পরিবার সূত্রে খবর। ঘটনার খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিস (police) দেহ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
জানা যায়, মৃত ছেলে বছর ৪৮ এর প্রমিৎ বিশ্বাস, মা বছর ৬৮ এ সুনন্দা বিশ্বাস।রোজকার মতো রবিবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ির ছোট ছেলে পেশায় স্কুল শিক্ষক প্রমিৎ তাঁর মায়ের ঘরে ঘুমাতে যান। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা প্রমিৎকে ডাকতে গিয়ে দেখেন মায়ের ঘরের ভেতর জানালার সঙ্গে মায়ের শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ছেলে প্রমিৎ ও মা সুনন্দা। তড়িঘরি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে। পুলিস পৌঁছে দুজনকে উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২৫ ধরে স্নায়ুরোগে ভুগছিলেন পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক প্রমিৎ। ছেলের চিন্তায় মা সুনন্দা বেশ কয়েক বছর মানষিক অবসাদে ভুগছিলেন।সুনন্দা দেবীও একসময় স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তবে হঠাৎ করে মা এবং ছেলের এই ধরনের ঘটনায় অবাক প্রতিবেশীরা। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ এলাকার। তবে আসলে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, বুঝতে পারছেনা কেউ। তবে অশোকনগর থানার পুলিসের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
তৃণমূল যুব সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার (poster)। পোস্টারে প্রাইমারির চাকরি (Primary job) দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ-এর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জানা যায়, তৃণমূল যুব সভাপতি-এর বিরুদ্ধে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগে পোস্টার পড়ে বাঁকুড়ার (Bankura) ১ নম্বর ব্লকে ভিকুরডিহি বাস যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দেওয়ালে।
পোস্টারে সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা এই অভিযোগ। লেখা রয়েছে, "দলের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমাদের জেলার যুব সভাপতি সন্দীপ বাউরি ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা। এইসব চোর নেতাদের জন্যই আমাদের দলের এই অবস্থা। এই সব নেতারা দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে সেটিং করে দলের ক্ষতি করছে। এই নেতারা প্রতিটি অঞ্চলে টাকা তোলার জন্য এজেন্ট আছে। দলের কাছে অনুরোধ যাতে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।"
ক্যাপশনে লেখা, 'তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। আর এই পোস্টার ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় পথচলতি মানুষের দাবি, 'রাতের অন্ধকারে কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তাঁরা জানেন না।' তবে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, দলের কর্মীদের একটা অংশ এই পোস্টারে সেটা স্পষ্ট। টাকা নিয়ে থাকলেও নিতে পারেন, তদন্ত হলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
এই প্রসঙ্গে যার নামে পোস্টার সেই সন্দীপ বাউড়ি জানান, বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে তাঁদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন করছে। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লক থেকে ওরা ভোট পাচ্ছে না। তাই অপ প্রচার করছে। বিষয়টি দলকে জানাবো এবং আইনের দ্বারস্থ হব। এগুলো ষড়যন্ত্র।
'ভুয়ো শিক্ষক'দের (Fake Teacher) হদিশ সরকারি আইটিআই কলেজে (Government ITI College)। রাজ্য সরকারের কারিগরি দফতরের অধীনস্ত ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে চলা সরকারি আইটিআই কলেজে দুর্নীতির (Corruption) পর্দাফাঁস। খাতায় কলমে ভুয়ো শিক্ষক দেখিয়ে আর্থিক তছরুপের কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আনলেন খোদ কলেজের অধ্যক্ষ (principal)।
সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই সঠিকভাবে ক্লাস করতে পারছিলেন না পড়ুয়ারা। এরই প্রতিবাদে বুধবার রীতিমতো রাস্তায় বসে প্রতিবাদ শুরু করেছিল কেশপুর (Keshpur) গভর্নমেন্ট আইটিআইয়ের পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মোহম্মদ নাসিম আলী। ৯টি ডিপার্টমেন্ট। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪৫০। অধ্যাপক ও ইন্সট্রাক্টর মিলিয়ে কলেজে থাকার কথা ৫৪ জন শিক্ষক। রয়েছেন ১০জন। যদিও খাতায় কলমে দেখানো আছে কলেজে বর্তমানে রয়েছেন ২০ জন শিক্ষক। জাতীয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পরিষদের (vocational training) সরকারি পোর্টালেও আপলোড করা আছে এই ২০ জন শিক্ষকের তালিকা।
সিএন-এর ক্যামেরার সামনে কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেন, ১০ জন 'ভুয়ো শিক্ষক' দেখানো রয়েছে খাতায় কলমে। যাঁদের বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই। তিনি জানান, ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ সরকারি ইনস্পেকশন হলে দেখাতে হবে ২০ জন শিক্ষকের ভুয়ো তালিকা। অথচ আইটিআই কলেজের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে কলেজে ক্লাস নিচ্ছেন মাত্র ১০ জন শিক্ষক। অধ্যক্ষের দাবি, উপায় না থাকলেও ম্যানেজমেন্টের চাপে কার্যত মুখ বন্ধ করে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে হচ্ছে তাঁদের।
এখানেই শেষ নয়। নথি বলছে, প্রত্যেক শিক্ষকেরই মাসিক বেতন ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকা। তবে সরকারের খাতে দেখানো হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ টাকা পাচ্ছেন শিক্ষকরা।
২০১৬ সালে রাজ্য কারিগরি দফতরের তত্ত্বাবধানে অভিনেতা সাংসদ দেবের গ্রাম থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে কেশপুরের চেঁচুড়া এলাকায় কয়েক বিঘা জমির ওপর তৈরি করা হয় সরকারি আইটিআই কলেজ। পিপিপি মডেলে এই কলেজ পরিচালনার দায়িত্ব পান বাঁকুড়ার একটি সংস্থা। সেই সংস্থাই নিয়োগ করেন শিক্ষক সহ কর্মীদের। পরিচালনার সুবাদে সরকার থেকে মেলে টাকা। অভিযোগ সরকারের কাছ থেকে ঝাঁ চকচকে পরিকাঠামোর 'গল্প' শুনিয়ে নেওয়া হয় কোটি কোটি টাকা। আদতে যার কানাকড়িও এসে পৌঁছয় না কলেজ ক্যাম্পাসে।
হতদরিদ্র কলেজে রয়েছে বেশ কয়েকটি ল্যাবরেটরি। যেখানে হাতেকলমে কাজ শেখার কথা পড়ুয়াদের। অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে সেই ল্যাবে নেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো। যার ফলে পড়ুয়াদের বঞ্চিত হতে হয় প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং থেকে। খাতায় কলমে আইটিআই পাস সার্টিফিকেট থাকলেও মেলে না চাকরি।
কলেজের শিক্ষকদের দাবি, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডে গত তিন বছর ধরে নেই কোনও শিক্ষক। অথচ প্রতি বছর ছাত্রদের না পড়িয়েই একরকম পাশ করাতে হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
ঠিক এরকমই একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে এল বুধবার। আর যা ইঙ্গিত করছে শিক্ষাক্ষেত্রের আরও এক দুর্নীতিকে। এই দুর্নীতির অবিলম্বে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হোক দাবি কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শিক্ষকদের। বিষ্ণুপুরের এই সংস্থার সাথে একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মেলেনি কোনও উত্তর। ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও ঘটনা শুনে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এই দুর্নীতির জাল কতদূর বিস্তৃত সেটাই এখন দেখার।
ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ভর সন্ধ্যায় একের পর এক ঘরের তলা এবং আলমারি ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি (theft) স্কুল শিক্ষকের (teacher) বাড়িতে। নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পুজোর মুখে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত শিক্ষকের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তদন্তে হাবড়া থানার পুলিস (police)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় ঘটনাটি হাবড়া (Habra) থানার আটুলিয়া এলাকায় ঘটে। আটুলিয়া হাই স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলাম, রোজকারের মতই বৃহস্পতিবারও তিনি স্কুলে যান। পরিবার সূত্রে খবর, গত তিন মাস ধরে শিক্ষকের স্ত্রী বাড়িতে নেই। তিনি রয়েছেন তাঁর বাপের বাড়িতে। শিক্ষক স্কুলে গেলে বাড়ি তালা বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।
রবিউল বাবু জানিয়েছেন, এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে সহ-শিক্ষকরা সবাই মিলে প্রধান শিক্ষককে দমদমে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতে যান। রাতে বাড়ি ফিরতেই প্রথমে দেখেন বাড়ির গ্রীলের তালা ভাঙা, তবে ঘরের ভেতর ঢুকতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দেখা যায় ঘরের দরজাও ভাঙা। ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন একে একে সব আলমারির তালা ভাঙা এবং ঘরের মধ্যে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে জামাকাপড়। আলমারির লকার ভেঙে নগদ ৬০ হাজার টাকা এবং প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে পিছনের দরজা খুলে চম্পট দিয়েছে চোরের দল।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ভর সন্ধ্যায় এই এলাকায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষকের পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা সকলেই। এক প্রতিবেশী তো বলেই ফেললেন, এতগুলো তালা ভেঙে, ঘরের দরজা ভেঙে, আলমারি ভেঙে প্রায় চার লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে এটা চুরি নয় এটা ডাকাতি। তিনি আরও বলেন, "এর আগে এমন ঘটনা এই এলাকায় ঘটেনি। আমরা স্থানীয়রা সবাই আতঙ্কে আছি। প্রশাসন যাতে সঠিক তদন্ত করে তার দাবি রাখছি।"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস প্রশাসন। শিক্ষকের পক্ষ থেকে রাতেই হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে হাবরা থানার পুলিস।
আবার ববিতা সরকার মামলার ছায়া হাইকোর্টে (Calcuctta High Court)। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Minister Paresh Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় (Teachers Recruitment) অযোগ্য হয়েও চাকরি পেয়েছিলেন। ফলে হতাশ হয়ে হয়েছিল যোগ্য ববিতা সরকারকে। সেই চাকরির ভাগ্য কী হয়েছে, এখন গোটা বাংলা এবার ববিতার মতোই আদালতে প্রিয়াঙ্কা সাউ। তাঁর থেকে কম নাম্বার পাওয়াকে চাকরি দিয়েছে এসএসসি (SSC)। মামলা দায়ের করে এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন,'অনেকদিন অপেক্ষা করেছেন এবার পুজোর আগে প্রিয়াঙ্কাকে চাকরি দিন।'
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'শুক্রবার বিকেল ৫টায় প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে হবে এসএসসিকে। চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বা চাকরি দেওয়া হল কিনা, তা আগামী বৃহস্পতিবার আদালতকে জানাতে হবে।' এজলাসে এসএসসির তরফে বলা হয়, ওই প্রার্থীকে মহিলা বিভাগে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই পর্বে বাদ যান প্রিয়ঙ্কা। যোগ্য ও বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও কেন চাকরি হয়নি? এই অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগও শোনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে আদালত।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Partha-Arpita) নামে দেড় কোটি টাকার জীবন বিমার (Life Insurance) হদিশ পেয়েছে ইডি। চার্জশিটে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। মোট ৩১টি জীবন বিমা রয়েছে এই দু'জনের নামে। যার এক একটির বার্ষিক প্রিমিয়াম প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এই দাবি করেছে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের অন্যতম তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গ্রেফতারির সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বাজেয়াপ্ত মোবাইল ঘেঁটেই এই তথ্য পেয়েছে ইডি।
কোর্টের নির্দেশে সেই মোবাইল এখন ফরনেসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বুধবার শেষ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সিবিআই হেফাজত। তাই মঙ্গলবার তাঁকে নিজাম প্যালেস থেকে বের করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা ইডির। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি এবং অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। নাম রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও। এই দুজনের নামে ছয়টি সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই দু'জনের প্রায় ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জমা করা চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। ১৭২ পাতার এই চার্জশিটে ৪২ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেছে ইডি।
ইতিমধ্যে ২২ জুলাই দিনভর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এই তদন্তে অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ-সহ সোনার গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা। গত প্রায় দু'মাস তদন্ত চালিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। কয়েক কোটি টাকার এলআইসি পেপার বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় এই সম্পত্তি কিনা খতিয়ে দেখেই চার্জশিট জমা ইডির।
শিক্ষকদের বদলি রুখতে ট্রেন (train) অবরোধ করে বিক্ষোভ স্কুল পড়ুয়াদের। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্যানিং (Canning) লাইনের যাত্রীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা শিয়ালদহ (Sealdah) দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে মঙ্গলবার সকালে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখায় কয়েকশো পড়ুয়া (student)। ট্রেন অবরোধ (Train blockade) করে বিক্ষোভের কর্মসূচি পালন করে তারা। মূলত, স্কুল শিক্ষকদের বদলি রুখতে এই ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এক সঙ্গে নারায়ণপুর অক্ষয় বিদ্যামন্দিরের পাঁচজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকছেন। যারা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ক্লাস নিতে সক্ষম।
এই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলের পঠন পাঠন সম্পূর্ণ বন্ধের মুখে পড়বে। তাই পাঁচ শিক্ষকের বদলি রুখতে গৌরদহ স্টেশানে এসে রেল লাইনে পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে পড়ুয়ারা। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়াতেই উপস্থিত হয় পুলিস।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর (CISF) তত্ত্বাবধান থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) ডেটা রুমের দায়িত্ব হাতে পেয়ে নিয়োগের তৎপরতা শুরু। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants) তালিকা তৈরি করছে এসএসসি। চলতি সপ্তাহেই তা তুলে দেওয়া হবে শিক্ষা দফতরের (Education Department) হাতে। ইতিমধ্যেই পুরনো প্যানেলের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। ৬৮৬১টি শূন্যপদেরও অনুমোদন মিলেছে। এবার ডেটা রুম হাতে পাওয়ার পর নবম,দশম, একাদশ, দ্বাদশ, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি-সহ একাধিক যে নিয়োগ আটকে, তাতে গতি আনতে চায় কমিশন।
স্কুলশিক্ষা দপ্তরে তালিকা পাঠানোর পর কোন স্কুলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে তা ঠিক করা হবে। এদিকে, পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিক বা আপার প্রাইমারির বাকি আসনে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬ সালে ১৪,৩৩৯ জন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে এখন ১৬০০ জনের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া বাকি।
এই প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে চায় কমিশন। আদালতের অনুমতি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করবে কমিশন।
ফের আরো ১১২ জন টেট (TET) চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দেবার নির্দেশ। নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Avijit Ganguly)। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Avijit Ganguly) বিচারে স্বস্তি চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে। প্রথমে ২৩ জন, পরে ৫৪ জন, পরে আরো ১১২ জনকে চাকরি দেবার নির্দেশ দেওয়া হল।
প্রয়োজনে শূন্য পদ তৈরি করে চাকরি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। ২৩ জনের পর এবার ২০১৪-র টেটে (TET) প্রশ্ন ভুলের জন্য ৬ নম্বর পাওয়া আরও ৫৪ জনকে ২৪ সেপ্টেম্বরের (SEPTEMBER) মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে শূন্যপদ না থাকলে পদ তৈরি করে চাকরি দিতে হবে।
২৮ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শূন্যপদে এদের চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিভা মণ্ডল, পায়েল বাগরা যখন একই বছরের পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং কোর্টের নির্দেশে তাদের চাকরি দেওয়া হয়ছিল, তাহলে সোহমরা কেন বঞ্চিত হবেন? পুজোর আগেই নিয়োগ চাই বলে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। তাতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২৩ জনের পর এবার ২০১৪ র টেটে (TET) প্রশ্ন ভুলের জন্য ৬ নম্বর পাওয়া আরও ৫৪ জনকে ২৪ সেপ্টেম্বরের (SEPTEMBER) মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ। শূন্যপদ না থাকলে পদ তৈরি করে চাকরি দিতে হবে। ২৮ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শূন্যপদে এদের চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (KOLKATA HIGHCOURT) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(AVIJIT GANGULY)। প্রতিভা মণ্ডল, পায়েল বাগরা যখন একই বছরের পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং কোর্টের নির্দেশে তাদের চাকরি দেওয়া হয়, তাহলে সোহমরা কেন বঞ্চিত হবেন? পুজোর আগেই নিয়োগ চাই বলে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। তাতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক নির্দেশে তাদের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছেন, প্রয়োজন পড়লে পদ না থাকলে নতুন করে পদের ঘোষণা করে তাদের সরাসরি চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা পর্ষদকে মানতে হবে। মামলাকারীদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে যে প্রায় আরও ৩০০ জন আছে, যারা চাকরি থেকে বঞ্চিত। এদিকে সোমবারও ২৩ দিনে ২৩ জনকে চাকরি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। ছয়টি ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে হওয়া মামলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি পর্ষদকে প্রশ্নপত্রে থাকা ভুল শোধরাতে হবে। তাই ২৩ জন উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে, যারা ওই ছটি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। আগামী ২৩ দিনের মধ্যেই তাদেরকে চাকরি দিতে হবে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় সোহম চৌধুরী-সহ আরও ২৩ জন আবেদন করে ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্নে ছটি প্রশ্নে ভুল ছিল। ২০১৩ সালের পরীক্ষা, সে সময় কিছু এবং এরপর কিছু নিয়োগ হয় ২০২০ সালে। কিন্তু এই ২৩ জন-সহ বেশ কয়েকজনকে টেট অনুত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হয়। RTI করে তারা জানতে পারেন, তাদের দেওয়া উত্তরপত্রে ছটি প্রশ্ন ভুল ছিল, কিন্তু তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন অথচ নম্বর পাননি।
২৩ দিনে ২৩ জনকে চাকরি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের (High court)। ছয়টি ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে হওয়া মামলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি পর্ষদকে প্রশ্নপত্রে থাকা ভুল শোধরাতে হবে। তাই ২৩ জন উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে, যারা ওই ছটি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। আগামী ২৩ দিনের মধ্যেই তাদেরকে চাকরি দিতে হবে নির্দেশ বিচারপতি (Justice) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Ganguly)।
২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় সোহম চৌধুরী-সহ আরও ২৩ জন আবেদন করে ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্নে ছটি প্রশ্নে ভুল ছিল। ২০১৩ সালের পরীক্ষা, সে সময় কিছু এবং এরপর কিছু নিয়োগ হয় ২০২০ সালে। কিন্তু এই ২৩ জন-সহ বেশ কয়েকজনকে টেট অনুত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হয়। RTI করে তারা জানতে পারেন, তাদের দেওয়া উত্তরপত্রে ছটি প্রশ্ন ভুল ছিল, কিন্তু তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন অথচ নম্বর পাননি।
পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-র ডিসেম্বরে সোহমদের ছয় নম্বর দেয় পর্ষদ। ফলে তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের যুক্তি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় এমন অনেকে যদি চাকরি পান, তবে এই মামলাকারীরাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কারন প্রশিক্ষণহীনরা যদি চাকরি পেতে পারে তাহলে সোহমরা কেন নয়? সোহমরা তো প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। ছয় বছর ধরে এই ২৩ জন বঞ্চিত হয়েছেন, এখন তারা এই চাকরির পাওয়ার অধিকার রাখে। এরপরই এই শুনানির ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
এই ২৩ জনকে আগামি ২৩ দিনের মধ্যে চাকরি দেবার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২৩ দিনের মধ্যে পর্ষদকে নিয়োগ পত্র দিতে হবে এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
শিক্ষক দিবসে (Teacher's Day) এবার লাগলো রাজনৈতিক রং। ঝালদা (Jhalda) পঞ্চায়েত সমিতি বনাম ঝালদা ১ নং ব্লক সভাপতি আয়োজিত শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান। প্রকট তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর লড়াই। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ।
জানা যায়, পুরুলিয়ায় (Purulia) তৃণমূলের ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এরপর থেকেই ঝালদা শহর ও গ্রামের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সোমবার শিক্ষক দিবসের মঞ্চে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রতিবছর ঝালদা এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি আয়োজিত শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার তৃণমূলের সমস্ত নেতা কর্মীরা সমবেত হয়ে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেন। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও ঝালদা বাঁধাঘাটের কাছে একটি মাঠে পঞ্চায়েত সমিতি তাঁদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে একই সময় শহর ঝালদার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলে ঝালদা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জয়প্রকাশ মাহাতো এবছর আলাদাভাবে শিক্ষক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেন। ফলে সমস্যায় পড়ে ব্লকের সাধারণ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আড়াআড়িভাবে দুভাগে ভাগ হয়ে যেতে বাধ্য হন কর্মীরা। আর এরপরই ঘটে বিপত্তি।
এদিন ঝালদা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি বিপ্রদাস মাহাতো মঞ্চ থেকে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "নবাগত কিছু তৃণমূল নেতা দলে এসে দলকে ভাঙার খেলায় মেতেছে। আর তাদেরকে মদত যোগাচ্ছে দলেরই কিছু নেতা। ঝালদা পঞ্চায়েত সমিতিকে দলেরই একাংশ ভেঙে দেওয়ার খেলায় মেতেছিল। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টায় সমিতি ভাঙতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।"
আবার ওই মঞ্চ থেকেই জেলা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপের সুরে বলেন, "তৃণমূল ক্ষমতায় আশার আগে থেকে সিপিএম-এর হাতে মার খেয়ে দল করার পরও এখন নবাগত কিছু তৃণমূল নেতা তাঁদের তৃণমূলী বলে মনেই করে না।"
এই বিষয়ে বাগমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো কি বলছেন? তিনি বলেন, "জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে ব্লক সভাপতি শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান ডেকেছে, তাই উপস্থিত হয়েছি।"
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সোমেন বেলথরিয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, "পঞ্চায়েত সমিতি সরকারি অনুষ্ঠান করতে পারে। তবে ব্লক স্তরে সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠান করার নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া, দল বিরোধী কোনও বক্তব্য কেউ দিলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। একইসঙ্গে, খুব শীঘ্রই দলের সমস্ত পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস তাঁর।
কিন্তু, আশ্বাস দিলেও জল্পনা থামছে না। প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষক দিবস পালন নিয়ে আমরা-ওরা মনোভাব পোষণ করছে কেন শাসকদলের নেতারা? আর কেনই বা রাজনৈতিক আঁকচা আঁকচির জন্য শিক্ষক দিবসের মঞ্চকে বেঁছে নেওয়া হল?