
একাধিক বিতর্ক থাকা সত্ত্বে মুখ ঘুরে বক্স অফিসে দাঁড়িয়েছিল পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story)। পশ্চিমবঙ্গে এই ছবিকে নিষিদ্ধ করা হলেও এই ছবি বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে। প্রায় ৩০০ কোটির মতো ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি। এরপরেই শোনা গিয়েছিল যে, এই ছবি খুব শীঘ্রই ওটিটিতে (OTT Platform) আসতে চলেছে। এও শোনা গিয়েছিল যে, এই ছবি জি৫-এ (ZEE5) আসতে চলেছে। কিন্তু এবারে শোনা যাচ্ছে, এসবই গুঞ্জন। কারণ খোদ পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) জানিয়েছেন, এই ছবির জন্য এখনও কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মই বেছে নেওয়া হয়নি।
দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনার শেষ ছিল না। কিন্তু বিতর্ককে সঙ্গী করেই ৩০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে ছবিটি। এরপর জানা গিয়েছিল, ছবিটি জি৫-এ আসতে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এখনও কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বেছেই নেওয়া হয়নি। অবশ্য এখনও কোনও ওটিটিই তেমন কোনও প্রস্তাব দেয়নি। তিনি বলেন, 'কেরালা স্টোরির জন্য এখনও কোনও উপযুক্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যায়নি। আগের খবর সব ভুয়ো। আমরাও এই ছবির জন্য কোনও ভালো চুক্তি পাইনি। হয়তো ইন্ডাস্টির কিছু মানুষ একজোট হয়ে শাস্তি দিচ্ছে আমাদের।'
বিতর্ককে সঙ্গী করে সাফল্যের মুখ দেখেছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story)। বক্স অফিসে পার করেছে ২০০ কোটির গণ্ডি। 'দ্য কেরালার স্টোরি'র মুক্তির আগে থেকেই সহ্য করতে হয়েছে একাধিক সমালোচনা, বিতর্ক, ব্যান। তবে এই সমস্ত কিছু পার করে আজ সফল ছবিটি। কিন্তু এই ছবির সাফল্যের মাঝেই মিলল দুঃসংবাদ। জানা গিয়েছে, অসুস্থ ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। পরিচালকের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তাঁর অনুরাগীরা।
জানা গিয়েছে, ছবির মুক্তির পর থেকে টানা যে চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে, তার ফলেই কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ডিহাইড্রেশন ও ইনফেকশন হয়েছে তাঁর। সেই কারণেই তাঁকে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অসুস্থতা খুব একটা গুরুতর নয়। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'আমি মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি। ডিহাইড্রেশন আর ইনফেকশনের জন্যই ভর্তি হয়েছি। তবে এখন ভালো আছি। চিকিৎসকদের বলেছি যাতে আজই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।'
আরও জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত সেনের অসুস্থতার জন্য আপাতত ছবির প্রমোশন বন্ধ থাকছে। তবে তিনি সুস্থ হলেই ফের ছবির প্রচার শুরু করে দেবেন। ১০ টি শহর ঘুরে ছবির ক্যাম্পেনিংয়ের পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন বলে সূত্রের খবর।
সিনেমা (Cinema) নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বাংলার (West Bengal)। সম্প্রতি সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি নিয়ে চরম বিতর্কে জড়িয়েছিল রাজ্য। যা দেশের শীর্ষ কোর্টেও পৌঁছায়। ফের একটি সিনেমা নিয়ে বিতর্কে বাংলা। এবার মুক্তি পেল ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল!’ ছবির ট্রেলার। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। বাংলার সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে এই অভিযোগে, বাংলার পুলিশের তরফে পরিচালক সানোজ মিশ্রকে পাঠানো হয় আইনি নোটিস।
পরিচালক সানোজ মুম্বইবাসী, মুম্বই পুলিশের হাত দিয়ে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদলে সাজানো হয়েছে চরিত্র। এনআরসি, ক্যা, প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে ট্রেলারে। পরিচালক জানান, ‘তাঁরা কেবল বাস্তব তুলে ধরতে চাইছেন’
দ্যা কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সিনেমার বিষয় নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। একাধিক জায়গায় ছবি প্রদর্শন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, এর মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গও। সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) পরিচালিত 'দ্যা কেরালা স্টোরি' সিনেমায় ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করা হয়েছে, এই অভিযোগ উঠেছিল। বহু সমালোচনায়, তির্যক মন্তব্যে বিদ্ধ হয়েছে সিনেমাটি। এইবার সিনেমার পাশে দাঁড়ালেন, আরেক পরিচালক রাম গোপাল বর্মা।
পরিচালক সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমরা নিজেদের এবং অন্যদের মিথ্যে বলতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু কেউ যখন সামনে এসে আমাদের সত্যি কথা বলে আমরা তা মানতে পারি না। দ্যা কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করার পিছনে বলিউডের এই মৌন থাকা আসলে মৃত্যু।'
এখানেই থামেননি তিনি। রাম গোপাল বর্মা লিখেছেন, 'দ্যা কেরালা স্টোরি ভয়ানক সুন্দর আয়নার মতো যা বলিউডের মৃত চেহারাগুলি আয়নায় দেখাচ্ছে।' এখানে না থেমে তিনি লিখেছেন, কেরালা স্টোরি থেকে শেখা মুশকিল। কারণ মিথ্যে থেকে শেখা সহজ, সত্য থেকে শেখা কঠিন।'
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে কেরালা স্টোরি নিয়ে জট কাটেনি এখনও। পশ্চিমবঙ্গে কেরালা স্টোরি দু-তিন দিন চলার পর তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জানিয়ে, সিনেমা প্রদর্শনের পক্ষে রায় দিয়েছিল। যদিও পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিলেন, রাজ্যে এখনও দ্যা কেরালা স্টোরি চলছে না। তিনি আবারও সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
মনি ভট্টাচার্য: 'মমতা দি চাইলে, দিদির সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখব।' 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) সিনেমায় বাংলার নিষেধাজ্ঞায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্থগিতাদেশের পর সিএন-ডিজিটালকে এমনই জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই সিনেমার উপর বাংলার নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
চলতি মাসের ৫ তারিখ এই সিনেমা গোটা ভারতবর্ষে মুক্তি পায়। এরপরেই আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে ৮ই মে এই সিনেমার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সেজন্য কোনও সিনেমা বন্ধ হতে পারে না। এরপর এই সিনেমাটি দেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বিচারপতি স্বয়ং। যদিও পাল্টা তিনি আরও জানান, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ ই জুলাই, ওই তারিখের মধ্যে সিনেমায় প্রদর্শিত ৩২ হাজার মহিলার ধর্মান্তরিত সমন্ধে তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। বৃহস্পতিবার সিএন-ডিজিটালকে তিনি বলেন, 'একটি ছবি দেখার জন্য যে আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে বাংলায়, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায়, নিউজ চ্যানেলে, তা দেখে আমি খুশি। আপনারা সঙ্গ দিয়েছেন।' এছাড়া সিএন ডিজিটালকে ধন্যনাদ জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'সারা ভারতবর্ষ ছবিটা দেখছে, বাংলা কিছুটা পিছিয়ে গেল। আমাদের ১০-১২দিন নষ্ট হলো। এই ছবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ১০ দিনে দু'বার রায় দিলেন। এই ছবি নিয়ে নিশ্চয়ই এ দেশে কোনও কথা হবে না। এই ছবিটাকে কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে, কিংবা এই ছবিতে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। এই যে রটনা চলছিল সেটা নিশ্চয়ই বন্ধ হবে।'
বাংলার পরিচালকের সৃষ্টি, বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা এ নিয়ে আবার সরব হন তিনি। পরিচালক সুদীপ্ত সেন আরও বলেন, 'আমি বাঙালি, আমার মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছিল গোটা দেশে, কারণ সব জায়গায় প্রচলিত পশ্চিমবঙ্গ আজ যা ভাবে, অন্যান্যরা সেটা আগামীকাল ভাবে। সেই জায়গায় এই সিনেমা ব্যান হয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।'
এরপরেই তিনি আরও বলেন, 'দিদি চাইলে আমি আসবো, এসে দিদির সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখতে চাই। কেউ দিদিকে ভুল বুঝিয়েছিলেন। আমার ধারণা দিদি নিজে ফিল্ম দেখেবন এবং বুঝতে পারবেন। এই ব্যান করা কতটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, সেন্সর বোর্ড যখন কোনও সিনেমাটিকে পাশ করিয়ে দেয়, তখন কারোর ক্ষমতা থাকে না সিনেমাটিকে ব্যান করার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিচ্ছিলেন। ফিল্ম না দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি।'
বাংলায় 'দ্যা কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি ব্যান করা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ওই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল এই সিনেমা গোটা দেশে চললেও বাংলায় নিষিদ্ধ কেন? এবার তার উত্তরে রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে এই সিনেমা বাংলায় চললে বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির ঘটতে পারে। সেই জন্য এই সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি মাসের ৫ই মে এই সিনেমাটি মুক্তি পায়। তারপর চার দিন এই সিনেমা বাংলায় চলে। চারদিন পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে সুদীপ্ত সেন অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন, 'কারুর কথা শুনে এই সিনেমা বন্ধ করবেন না। আপনি নিজে একবার সিনেমাটি দেখুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন।' যদিও ততক্ষণে বাংলায় সিনেমাটি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা। আজ অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার ফের শুনানি।
মনি ভট্টাচার্য: 'উদ্বেগের কোনো কারণ নেই, গাড়ি চালকের ভুলেই ছোট্ট দুর্ঘটনা।' সিএন-ডিজিটালকে জানালেন দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। তিনি জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের একটি সিনেমা হলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই সিনেমাটি মুক্তির পর বারবার সিনেমার পরিচালক এবং কলাকুশলীদের কাছে হুমকি মেসেজ আসে। তাঁরাও বারবার এই হুমকি মেসেজ আসছিল বলে অভিযোগ করেছেন। এরপর কাকতালীয়ভাবে রবিবার সন্ধ্যায় সুদীপ্ত সেনের এই গাড়ির দুর্ঘটনার সঙ্গে কি হুমকির কোনো যোগ আছে? এ প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ্ত সেন বলেন, 'না না, একেবারে ছোট্ট দুর্ঘটনা। প্রচন্ড ভিড় ছিল, চালকের ভুলেই দুর্ঘটনা।'
পরিচালক সুদীপ্ত সেন সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছেন, 'দুর্ঘটনার পর স্থানীয় হাসপাতালে পৌঁছাই। ওখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আমার সঙ্গে সিনেমার অভিনেত্রী আদাহ শর্মা ছিলেন। আদাহ শর্মাও সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কথা প্রসঙ্গে সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে মুম্বইতে তাঁর বাড়িতেই আছেন। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোপালে যাবেন এবং তিনি আরও জানিয়েছেন, ওখানের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে দেখা করবেন। শিবরাজ সিং চৌহান তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সেজন্যই তিনি ভোপালে যাবেন বলে জানান সুদীপ্ত সেন।
পাশাপাশি লন্ডনে বেশ কিছু সিনেমা হলে এই দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে ঠিক ছিল। এরপর ওখানে ট্রেলার রিলিজ হওয়ার পর অধিকাংশ সিনেমা হলই তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে সিএন ডিজিটালকে সুদীপ্ত সেন জানালেন, 'এ কথা আমি বলতে পারব না। এটা ওখানকার প্রশাসনের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু কেন এই সিনেমা বন্ধ করলো সেটার কোন সদুত্তর আমার জানা নেই।' প্রসঙ্গত, বাংলায় এই সিনেমা নিষিদ্ধ নিয়ে পরিচালক সুদীপ্ত সেন পূর্বেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহে বুধবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।
বিপাকে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-র পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও অভিনেত্রী আদাহ শর্মা (Adah Sharma)। রবিবার করিমনগরে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) জখম হন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) ও নায়িকা অদাহ শর্মা। যদিও এই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন তাঁরা। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের কৌতুহলের শেষ নেই।
সূত্রের খবর, ১৪ মে করিমনগরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আর তখনই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয় বলে খবর। এরপর তাঁদের দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সুদীপ্ত সেন ট্যুইট করে জানান, 'আজকে আমাদের তেলেঙ্গানার করিমনগরে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে যুব সম্প্রদায়ের একটি সমাবেশে আমাদের সিনেমা নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। দুভার্গ্যবশত স্বাস্থ্যজনিত কারণে আমরা সেখানে যেতে পারছি না। এর জন্য করিমনগরের মানুষের কাছে আমি মন থেকে ক্ষমা চাইছি। আমাদের মেয়েদের রক্ষা করার জন্য এই সিনেমা তৈরি করেছি আমরা। দয়া করে আমাদের সমর্থন করুন।'
Thank u so much for ur concerns about our health. We are overwhelmed with ur calls & warm messages. Just wanted to tell u - we r now absolutely fine. Tom we'll resume our promotional events. Pls continue supporting us. Love & light @adah_sharma @Aashin_A_Shah #TheKeralaStory pic.twitter.com/YYhopxA2Zr
— Sudipto SEN (@sudiptoSENtlm) May 14, 2023
আবার অভিনেত্রী আদাহ শর্মাও ট্যুইটে লেখেন, 'আমি ভালো আছি। আমাদের দুর্ঘটনা সম্পর্কে খবর ছড়াতেই প্রচুর মেসেজ পেয়েছি। আমাদের পুরো টিম ভালো আছে, গুরুতর বা বড় কিছু নয়। তবে আপনাদের এত খোঁজ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।'
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে এর জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। সিএন ডিজিটালকে পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) জানিয়েছেন, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির পর তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুটা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই বাংলায় তাঁর পরিচালিত ছবি ফের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য হয় রাজ্যকে। দেশের সমস্ত রাজ্যে এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে কেন তা নিষিদ্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন রাজ্যের আইনজীবীকে।
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ব্যান করায় সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এরপর শুক্রবার এই মামলা শীর্ষ আদালতে উঠলে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইজীবীর কাছে প্রশ্ন করেন, 'এই সিনেমা অন্যান্য রাজ্যে চলছে, সমস্যা নেই। তবে বাংলায় কেন এই সিনেমা বন্ধ!' এছাড়া তিনি আরও জানান, 'মানুষকে ছবিটি দেখানোর সুযোগ দেওয়া হোক।'
শুনানির পর সুদীপ্ত সেনকে সিএন ডিজিটালের তরফে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর আশাবাদী যে, পরবর্তী শুনানি বা বুধবারের পর এই ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরে যাবে। ফের বাংলার মানুষরা এই ছবি দেখতে পাবেন।' শুধুমাত্র সুদীপ্ত সেন নয়, তাঁর দাদা মনোজ সেনকেও ফোনে ধরা হলে তিনিও জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, এই ছবি ফের বাংলার মানুষ দেখার সুযোগ পাবেন।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) এখন দেখা যাবে বিদেশেও। জানা গিয়েছে, এই ছবি নিয়ে দেশে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হলেও এই ছবি কোনও বাধা ছাড়াই আমেরিকা (America) ও কানাডার (Canada) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এরপরেই বেজায় খুশি ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন-সহ দ্য কেরালা স্টোরির পুরো টিম।
'দ্য় কেরালা স্টোরি' নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ছবি নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে প্রথম থেকেই। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্নিত হতে পারে এমনটা ভেবে বাংলায় আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। কিন্তু অন্যদিকে এই ছবি বিদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল। জানা গিয়েছে, আমেরিকা ও কানাডা মিলে মোট ২০০ টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।
বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, এই ছবি একটি লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যেটি সিনেমার ক্রিয়েটিভির ঊর্ধ্বে। কেরালায় যা ঘটে আসছে, তা প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই ছবি বিশ্বের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া উচিত ও সচেতন বৃদ্ধি করা উচিত। ছবির প্রযোজক ভিপুল শাহও জানিয়েছেন, এই ছবির বিষয় সবার থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসা উচিত, আর তাই এই ছবি।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) ছবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এরই মাঝে এবারে এই ছবির টিমের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen), প্রযোজক ভিপুল শাহ ও অভিনেত্রী আদাহ শর্মার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে যখন একাধিক রাজ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তখন অন্যদিকে এই সমালোচনা-বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে চলেছে এই ছবি। একদিকে যেমন পশ্চিবঙ্গে এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে কিছু রাজ্যে যেমন- মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে এই ছবি করমুক্ত করা হয়েছে। এবারে ছবির টিমের সঙ্গে দেখা করে আরও প্রমাণিত হয়ে গেল যে, এই ছবির সমর্থনে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
বুধবার লখনউতে ছবির প্রচারে গিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ সুদীপ্ত সেন, আদাহ শর্মা ও ভিপুল শাহের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার তাঁদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। ভিপুল শাহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, 'যোগী আদিত্যনাথের এই পদক্ষেপ আমাদের চিন্তাধারা ও মনোবলকে আরও শক্তিশালী করল। তাঁর এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছ দিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে তাই কৃতজ্ঞ।' আবার সুদীপ্ত সেন বলেছেন, 'আমাদের ছবিকে উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত করার জন্য ও সেখানকার জনগণদের ছবি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাতেই লখনউতে এসেছি আমারা।'
দীপিকা দাস: 'ফিল্ম ব্যান করার অধিকার কারোর নেই। দিদি যদি একবার ছবিটি দেখতেন'। আক্ষেপ ও ক্ষোভের সুর 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেনের (Sudipto Sen) কন্ঠে। 'দ্য কেরালা স্টোরি', এই ছবি নিয়ে সারা দেশজুড়ে ঝড় বয়ে চলেছে। একাধিক বিতর্কের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলায় (West Bengal) এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ঠিক তারপরেই বাংলার সংবাদমাধ্যমে প্রথম সিএন ডিজিটালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। ঠিক কী বলেছেন তিনি।
প্রথমত সিনেমাটি বাংলায় নিষিদ্ধ হয়েছে। তার উপর পরিচালক নিজেই বাঙালি। সেকারণেই হয়তো আক্ষেপের সুর 'দ্য কেরালা স্টোরি'র নির্মাতা সুদীপ্ত সেনের গলায়। মঙ্গলবার দেওয়া সিএন ডিজিটালে সাক্ষাৎকারে বলেন, 'প্রথমে আশ্চর্য লাগল, কারণ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না, পরে দুঃখও হলো যে আমার নিজের রাজ্যেই যদি লোকেরা না দেখে তবে, সারা বিশ্বে যাঁরা দেখছেন ছবিটি, তাঁদের সামনে কী করে মুখ দেখাই।' ওই একই প্রসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপও দাগেন এবং বলেন, 'কথায় আছে, পশ্চিমবঙ্গ সবার আগে ভাবে, তারপর সারা ভারতবর্ষ ভাবে, সেই ঐতিহ্য থেকেই ভেবেছিলাম। 'পদ্মাবত' নিয়ে সারা ভারতবর্ষে আন্দোলন হয়েছিল তখন মমতা দিদি তার সমর্থনে ছিলেন। মহুয়া মৈত্রজি বিবিসির ডকুমেন্টরির জন্য বলেছিলেন। আমরা তো শুধু ছবি বানিয়েছি। আমি সাতবছর এই ছবিতে সময় দিয়েছি। এখন তাঁরা ছবিটি দেখলেন না, না দেখেই কিছু লোকের কথা শুনে ব্যান করে দিলেন, ফলে এটা খুব দুভার্গ্যজনক।'
এই সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর সিনেমা ব্যান করায় কোথাও কী পক্ষপাত তুষ্ঠ উঠে আসছে?এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'একদম, আমি পলিটিশিয়ান নই, তবে ফিল্মমেকার হিসাবে খুব আঘাত পেয়েছি।' এই রাজনৈতিক আচরণের প্রশ্নে মমতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, 'এরকমভাবে দু'রকমের রাজনীতি করার কী মানে হয়? মমতা দিদি বাংলার রাজনীতির আইকন, ওনারই এরকমের হিপোক্রিটিক চেহারা, আমি মেনে নিতে পারিনা। আমার এখনও মনে হয়, দিদি ফিল্মটা দেখলে এখনও মত বদলাতে পারেন ও উনি সবাইকে বলবেন ফিল্মটা গিয়ে দেখে আসুন।'
এতক্ষণ ধরে তাঁর গলায় ক্ষোভের সুর পাওয়া গেলেও এবারে তাঁর গলায় যেন আক্ষেপের সুর। ওই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে আইন-শৃঙ্খলার প্রবলেম হবে, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার প্রবলেমটা তো তারাই ক্রিয়েট করে শোগুলো বন্ধ করলেন। পশ্চিমবঙ্গে খুব ভালো ব্যবসা হয়েছিল চারদিন, গোটা দেশে এমনকি কাশ্মীরেও কোনও বিরোধ নেই। কাশ্মীরে এই সিনেমা দেখে দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন সেখানকার স্থানীয়রা।'
সম্প্রতি এই সিনেমা নিষিদ্ধ করার পর বঙ্গে যে রাজনীতির পারদ চড়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং মানুষ কোনটা দেখবে কোনটা দেখবে না, সেটা মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন বহু সাধারণ মানুষ। সেদিক থেকে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল সরকার। এভাবে কোনও জিনিসকে নিষিদ্ধ করলে মানুষের আগ্রহ যে বেড়ে যাবে সেটাও মানছেন সকলেই। এই বিষয়ে সিনেমা নির্মাতা সুদীপ্ত সেন বলেন, 'লোকেরা তো ফিল্মটি দেখবেনই, ব্যান করে কী লাভ হবে। ছবিটি টিভিতেও আসবে পরে ওটিটিতেও আসবে। ওনারা আটকাতে পারবেন না। শুধু শুধু ইতিহাস লিখলেন।' এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'উনি কারোরই ভালো করলেন না। না রাজ্যের মুসলমানদের জন্য ভালো করলেন, না হিন্দুদের জন্য ভালো করলেন। আমি যে বাংলাকে নিয়ে গর্ব করি সারা পৃথিবীতে, সেই বাংলার ব্যবহার দেখে আমার ভালো লাগলো না।'
বঙ্গে এই সিনেমা ব্যান করা নিয়ে আইনের পথে যে হাঁটবেন সেকথা আগেই সিএন ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। দেশের শীর্ষ আদালতে পরিচালক সুদীপ্ত সেনের আবেদনের শুনানি আজ অর্থাৎ বুধবার। মঙ্গলবার রাতে সিএন ডিজিটালকে একথা নিজের মুখে জানালেন তিনি। 'ফিল্মটা দেখানো হবে কি হবে না, সেটা সিবিএফসি ঠিক করবে। সিবিএফসি ছবিটাকে ছাড়পত্র দিলে আর কারোরও কোনও অধিকার নেই ব্যান করার। এই ছবি ভারতবর্ষে সবার দেখার অধিকার আছে। আমি দিদিকে এখনও হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, আপনি নিজে ফিল্মটা দেখুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন। এগুলো ইনটেলেকচুয়াল আর্টের ব্যাপার, তাই নিজে দেখে সিদ্ধান্ত নিন। গুন্ডা প্রকৃতির লোকজনের কথা শুনে দিদি ফিল্ম বন্ধ করে দেবেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবির একটি গান লোকের মুখে মুখে ঘুরছে। যে গানটি পাঁচবার নামাজ পড়া এক ব্যক্তি লিখেছেন।' এই তথ্যও সিএন ডিজিটালকে নিজেই জানালেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি কার সেকিউলারিজমের উদাহরণ দেব? ধর্ম কারোর সম্পত্তি নয়, সবাই সবার জন্য ভাবেন। এমন অনেক লোক প্রথমে বিরোধ করছেন, পরে আমাকে মেসেজ করে জানিয়েছে যে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এগুলোর ছবি পরে আমি টুইটার ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করব।'
মনি ভট্টাচার্য: সিএন-ডিজিটালই প্রথম জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The kerala Story) ব্যান (Banned) করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে চলেছে ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। আজ অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ব্যান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে সিএন-ডিজিটালকে প্রথম সাক্ষাৎকার দেন ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্ত সেন জানায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। এরপরে সিএন-ডিজিটালের তরফে মঙ্গলবার রাতে পরিচালক সুদীপ্ত সেনকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'আমরা আদালতে গিয়েছি, বুধবার ওই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।' এছাড়া দীর্ঘ কথোপকথনে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আপনি দয়া করে সিনেমাটি একবার দেখুন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেন, ' আমি সাত বছর এই সিনেমাটা নিয়ে কাজ করছি, বাংলার সৃষ্টি বাংলায় ব্যান। এটা জাস্টিস নয়।' এই সিনেমা নিয়ে রাজনৈতিক পারদও চড়তে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের হাওড়া ও বেলঘড়িয়াতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
দীপিকা দাসঃ সোমবার নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) পশ্চিমবঙ্গে ব্যান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ করা নিয়ে এবারে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হচ্ছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। একথা নিজের মুখেই সিএন ডিজিটালকে জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই সিনেমাটি আলোচনার কেন্দ্রে। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ইসলাম আগ্রাসন, সন্ত্রাসবাদ ও লভ জিহাদ- মূলত এই তিনটি বিষয়কেই তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
সিনেমাজগত থেকে রাজনৈতিক মহল- এই ছবি নিয়ে তোলপাড় পুরো দেশ। এবারে এর আঁচ পড়ল পশ্চিমবঙ্গেও। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন যে, বাংলায় নিষিদ্ধ করা হল 'বিতর্কিত' ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি'। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন সুদীপ্ত সেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার ঘোষণা করে জানিয়েছেন, এই ছবিতে বিকৃত তথ্য দেখানো হয়েছে। এর কোনও সত্যতা নেই। সমস্ত গল্পই বিকৃত করে দর্শকদের দেখানো হচ্ছে। ফলে রাজ্যে শৃঙ্খলা ও সৌহার্য্য বজায় রাখতেই এই ছবি রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হলো।