মণি ভট্টাচার্য: সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা করেছে। ৮ই জুলাই নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হলেও, বড়সড় প্রশ্নের মুখে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিজেপি প্রথম দিক থেকেই দাবি করছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন এক দফায় নয়, বরং বেশ কয়েক দফায় করা হোক, সেই মত হাইকোর্টে মামলা হলেও সে মামলায় তেমন আমল দেন নি কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর যত সময় গড়িয়েছে, তত বেড়েছে সন্ত্রাস। মনোনয়ন পর্ব থেকেই বাংলায় হওয়া সন্ত্রাসের চিত্র দেখেছে হাইকোর্ট, এরপরেই গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয় রাজ্য। কিন্তু এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করাতেও পর্যাপ্ত বাহিনী দরকার, সে বিষয়ে রাজ্য কমিশন ও বিরোধী দলগুলির জটিলতা থাকলেও পরে হাইকোর্ট নির্দেশ দে ২০১৩-এর মডেলে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনীর বেশি বাহিনী রাজ্যকে চাইতে হবে। সে মত রাজ্য বাহিনী চেয়ে পাঠালেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করে। সেখানে অন্য জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে সূত্র অনুযায়ী, রাজ্যপাল রাজীব সিনহা অর্থাৎ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠিয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
প্রথমত বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা অর্থাৎ সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী উভয়ই রাজ্যে ভোটার দফা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করে, এ বিষয়ে আজ অর্থাৎ শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুভেন্দুর আইনজীবী। পাশাপাশি শুভেন্দু ও সুকান্তর মত, 'এক দফায় ভোট হলে পর্যাপ্ত পুলিস ও বাহিনী এখনও নেই রাজ্যে, পাশাপাশি গোটা ভোটে সন্ত্রাস ও প্রহসন চালাচ্ছে তৃণমূল। এ ছাড়া তাদের সহযোগিতা করবে রাজ্য পুলিস। ফলে পর্যাপ্ত বাহিনী পাওয়া যাবে এবং ভোট শান্তিপূণ হবে।'
পাশাপাশি এ দিন বাহিনী সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের আইজনীবি আদালতকে জানায় ২০১৩র মডেলে ভোট করলে রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ একার্থে কেন্দ্র ৫ দফাতে ভোটের ইঙ্গিত দেয়। এর পরেই তৃণমূল এ ঘটনায় কেন্দ্র ও বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের ষড়যন্ত্র দেখে। তৃণমূলের একাংশের মত, রাজ্যে ভোটের দফা বাড়াতে কমিশনের চাওয়া বাহিনী পাঠাতে চাইছে না কেন্দ্র। যারপরে অবশ্য যে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী না নিয়েই ভোট করতে প্রস্তুত ছিল, সেই কমিশন বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দেয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন ১ দফাতে হলেও ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী কোনও ভাবেই পর্যাপ্ত নয়, সেটাও মানছেন সবাই।
অন্যদিকে এখনও অবধি পাওয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যপাল রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠিয়েছে, যদিও আইনত এই চিঠি ফেরাতে পারেন না তিনি। এ ঘটনার পর কার্যত রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সে সঙ্গেই জটিল হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া। যদিও রাজনৈতিকদের মত, যেহেতু এখনও অবধি মনোনয়ন, স্কুটিনি পর্ব মিটে গেছে, সেকারণে এখন হয়ত সমস্যা হবে না। কিন্তু আগামীতে সমস্যা হবে। যদিও এ বিষয়ে রাজীব সিনহা এই চিঠি ফেরত পাননি বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় রাজীব সিনহার পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, 'সমস্ত সঠিক পদ্ধতি মেনেই রাজীবের নিয়োগ হয়েছে।' যদিও প্রাথমিক ভাবে এ সমস্ত কিছু হিসাব করলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বড় প্রশ্নের মুখেই।
তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজ তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন, আর এদিন বিশেষ নৈশভোজের (Dinner) আয়োজন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হোয়াইট হাউসে (White House) মোদী পৌঁছতেই বিশেষ সম্মান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। এক বিশেষ নৈশভোজেরও আসর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জিল বাইডেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিরামিষভোজী। আর সেই কথা ভেবেই তাঁর জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, হোয়াইট হাউসের রান্নাঘরের দায়িত্বে রয়েছেন সেখানেরই প্রধান শেফ নিনা কার্টিস।
প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের দায়িত্বে রয়েছেন জিল বাইডেন। তিনিই শেফ নিনা কার্টিসকে নিরামিষ খাবার তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, খাবারের প্রথমেই রয়েছে ম্যারিনেটেড মিলেট, গ্রিন কর্ন কার্নাল স্যালাড, তরমুজ, ট্যাঙ্গি অ্যাভোকাডো সস। এরপর রয়েছে স্টাফড পোর্তোবেলো মাশরুম, ক্রিমি স্যাফরন ইনফিউজড রিসোটো। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী নন, আরও ৪০০ জন অতিথির এদিন আমন্ত্রণ রয়েছে। তাঁদের জন্য রয়েছে মাছের পদ। লেমন ড্রিল ইয়োগার্ট ও সুমাক রোস্টেড সি বাস নামে দু’টি মাছের পদ। এখানেই শেষ নয়, শেষপাতে রয়েছে মিলেট কেক, সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন স্কোয়াশ। ডের্জাটের জন্য থাকবে গোলাপ ও এলাক দেওয়া স্ট্রবেরি শর্টকেক।
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বিশেষ নৈশভোজের আয়োজনে সমস্ত খাবারেই ভারতীয় ছোঁয়া রয়েছে। দেশের পতাকা রং যেমন দেখা যাবে খাবারের উপর তেমনি, দেশের জাতীয় পাখি ও জাতীয় ফুলের রংও ফুটে উঠবে খাবারের মাধ্যমে। ভারতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এমন উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
এ যেন ঠিক মঙ্গলবারে অমঙ্গলের বার্তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় জোর ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টে। অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস ও বিজেপির করা একটি মামলায় রাজ্যের শুধু স্পর্শকাতর বুথ নয়, রাজ্যের সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর প্রস্তাব দেয় হাইকোর্ট। ওইদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে পাঠাতে হবে। এরপর এই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার প্রথমেই জোর ধাক্কা খায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একার্থে সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন জিজ্ঞেস করে, আপনারা অন্যান্য বহু রাজ্য থেকে বাহিনী চেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত পুলিস নেই। তবে বাহিনী কোথা থেকে এলো সেটা কেন আপনাদের চিন্তার বিষয়?
এছাড়া এদিন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিগত দিনে হওয়া রাজ্যের হিংসাকে কারণ দেখিয়ে প্রশ্ন করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সুপ্রিম কোর্টের এদিন বলেন, হিংসা কখনও নির্বাচনের সহযোগী হতে পারেনা। এছাড়া তাদের আরও মত ২০১৩-২০১৮ তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনা রয়েছে তবে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট নয়। ফলে একার্থে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ও রাজ্যের কাছে একটি অস্বস্তির কারণ সেটা স্পষ্ট। প্রসঙ্গত গোটা রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে ৬১৬৩৬টি বুথের মধ্যে ১৮৯টি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত।
'বাহিনী চেয়ে পাঠানো আমাদের কাজ নয়, ওটা রাজ্যের কাজ।' কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বাহিনীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) এমনই জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) রাজীব সিনহা। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
এই রায়ের প্রেক্ষিতে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা, অর্থাৎ স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালত সূত্রের খবর, সোমবার শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটির দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে, তবে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বাহিনী চেয়ে পাঠায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে এক্ষেত্রে আদালত অবমাননা হয়েছে।
শুধু স্পর্শকাতর এলাকা নয়, গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে ভোট। কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে কমিশনকে (State Election Commission) আবেদন করার নির্দেশ হাইকোর্টের (HighCourt)। প্রধান বিচারপতি অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্য কমিশনের। এর পূর্বে হাইকোর্ট কিছু নির্দেশিকা দিয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে, সেখানে স্পষ্ট করা হয়েছিল যে, ভোটের গোটা দায়িত্ব কমিশনের উপরেই থাকবে এবং স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে কমিশন। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত নেবে কেবলমাত্র রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ওই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আজ মনোনয়ন পর্বের উত্তপ্ত ছবি তুলে ধরে বাম ও কংগ্রেস। এর সঙ্গে বিজেপিও উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, ভাঙ্গড়, ক্যানিং এলাকা গুলিতে মনোনয়নপত্রেই সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরে। যার পরেই কমিশনকে ধমকি দেয় প্রধান বিচারপতি। যার পরে কিছুটা বিরক্ত হয়েই প্রধান বিচারপতি এই মামলার শুনানিতে নির্দেশ দেয়, শুধু স্পর্শকাতর এলাকা নয় রাজ্যের সব জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রের কাছে বাহিনীর চেয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনই নির্দেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএসএস শিবজ্ঞানমের। সূত্রের খবর, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাহিনীর চেয়ে পাঠাতে হবে কমিশনকে এমনই নির্দেশ বিচারপতির এবং এই সূত্রে আরও খবর যে, এই বাহিনীর খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার
মনোনয়ন (Nomination) পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের (State) বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি তৈরি হচ্ছে। সেকারণে এবার রিপোর্ট তলব করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commision)। জেলাশাসকদের অতি দ্রুত ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর শুক্রবার থেকেই মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। আর তখন থেকেই শুরু অশান্তি। কোথাও তৃণমূল বনাম বিজেপি আবার কোথাও বামেদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে শাসক দল। এমনকী পুলিশের সঙ্গেও হাতাহাতির ছবি প্রকাশ্যে আসে। ফলে প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। সেকারণে অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট তলব কমিশনের।
শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিতে গেলে কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ককে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। অন্যদিকে শনিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল ও বাম কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে প্রচুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জাতীয় সড়কে গাড়ির (Car) ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। কেশিয়াড়ি থেকে বেলদা গামী ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে (Statehighway) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মনদীপ সিং। বাড়ি বেলদা থানার কুশমুড়ি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় কেশিয়াড়ি থানার পুলিস।
সূত্রের খবর, কেশিয়াড়ি দিক থেকে বেলদার দিকে বাইকে যাওয়ার সময় অজানা এক গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় যুবকের। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাইকটিকে উদ্ধার করে পুলিস। এছাড়া ঘাতক গাড়িটির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহজনক ভাবে একটি পিক আপ ভ্যান আটক করেছে পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। কেশিয়াড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পথ দুর্ঘটনার ফলে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে অবশ্য পুলিসি হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
বকেয়া টাকা চেয়ে সিবিআইকে (CBI) চিঠি দিল রাজ্য সরকার (State Goverment)। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাবদ বকেয়া টাকা চেয়ে সরকারকে চিঠি লিখেছিল অমিত শাহের (Amit Shah) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাবদ রাজ্যের কাছে যা পাওনা তা মিটিয়ে দিতে হবে। এবার সিবিআইকে পাওনা চেয়ে তাগাদা চিঠি পাঠাল রাজ্য পুলিস। সূত্রের খবর, রাজ্যে পরপর হওয়া দুর্নীতি ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, সিবিআই রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে। সেই তদন্তে ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণ নথি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি রাখা রয়েছে একটি গুদামে। তার বাইরে সর্বক্ষণ পাহারা দেন রাজ্য পুলিসের বন্দুকধারীরা। সেই টাকা সিবিআই মেটায়নি বলে রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মাল গুদামের সিকিউরিটি ফি বাবদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির থেকে রাজ্য পুলিসের পাওনা প্রায় ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চের বকেয়ার অঙ্ক এই জায়গায় ঠেকেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়োগ দুর্নীতির গুচ্ছ মামলার তদন্ত করছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এসএসসি, টেট– মামলার সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। সেইসব তদন্তে বিপুল পরিমাণ নথি এখন সিবিআই হেফাজতে। সেই মালখানায় প্রায়ই সিবিআই অফিসারেরা গিয়ে পুরনো নথি হাতড়ে দেখেন। আদালতেও পেশ করতে হয় তাঁদের। কাগজপত্র, ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড, তালিকা ইত্যাদি তো রয়েছেই। সেইসঙ্গে ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ, ট্যাবের মতো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসও বাজেয়াপ্ত করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াগত কিছু সমস্যার কারণে এই টাকা বকেয়া রয়েছে। দিল্লির সদর দফতর টাকা মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে। শিগগির তা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যে (State) ফের করোনা (Covid) আক্রান্তের মৃত্যু (Death)। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রাত ১২ টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় এক করোনা রোগীর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সলিল রঞ্জন দাশগুপ্ত (৮৪)। তিনি হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা। গত ১৮ এপ্রিল তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। করোনা পজিটিভ হওয়ার পাশাপাশি টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেইলিউর রোগেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোভিড সহ নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
একের পর এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু ঘটে চলেছে রাজ্যে। চলতি সপ্তাহের শনিবারও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক করোনা আক্রান্ত মহিলার। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম দীপা গুপ্ত (৬০)। শনিবার সকাল ৮ টা ০৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। গত ২৬ শে এপ্রিল বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তি করার ২ দিন পরে অর্থাৎ ২৯ শে এপ্রিল শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
এর আগে জেনেছেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হল ফিনল্যান্ড (Finland)। তবে জানেন কি দেশের সবচেয়ে সুখী রাজ্য (State) কোনটি? একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দেশের সুখী রাজ্য মিজোরাম (Mizoram)। গুরুগ্রামের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক রাজেশ কে পিলানিয়ার সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে অনেকের মনে হতেই পারে, কোনও দেশ বা রাজ্য কতটা সুখী, তা কীভাবে পরিমাপ করা যায়। তবে জানিয়ে রাখা উচিত, সেই নির্দিষ্ট দেশের মানুষের জীবনধারার উপর নির্ভর করেই এই সুখ পরিমাপ করা হয়।
অধ্যাপকের তথ্য অনুসারে, এই রাজ্যে ১০০ শতাংশ মানুষই শিক্ষিত ও এই রাজ্যের সমস্ত পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতে সাহায্য করা হয় রাজ্য থেকেই। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, 'মিজোরামের সুখ ছটি প্যারামিটারে পরিমাপ করা হয়। পরিবারের সম্পর্ক, কাজ, সামাজিক কাজ, মানবপ্রীতি, ধর্ম, কোভিডের কতটা প্রভাব পড়েছিল এই রাজ্যে, রাজ্যবাসীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা-এসবের নিরিখেই রাজ্যটি একেবারে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।' এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এই রাজ্যে কেউই বেকার নেই। মিজো সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা ১৬-১৭ বয়স থেকেই কোনও না কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও এখানে ছেলে-মেয়ের মধ্যেও নেই কোনও ভেদাভেদ।
উল্লেখ্য, বিশ্বের কোন দেশটি সুখী, এর তালিকা তৈরি করতে সুখ মাপার মাপকাঠি ছিল দেশের মানুষদের গড় আয়ু কত, কতটা শারীরিক এবং বিশেষ করে মানসিক দিক থেকে কতটা সুস্থ তাঁরা। এমনকি, দেখা হয়েছে কতটা স্বাধীনভাবে মানুষ বাঁচতে পারছেন, তাঁদের জীবন লড়াই কতটা সহজ বা কঠিন তাঁর উপর। ফলে খানিকটা একই ভাবে দেশের মধ্যে সুখী রাজ্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর অঞ্চল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে জঙ্গল লাগোয়া নদীর চরে দেখা মিলল বাইসনের (Bison)। ঘটনাটি ঘটেছে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের অধীন ডাবগ্রাম রেঞ্জ এলাকাধীন শাহু নদী সংলগ্ন এলাকায়।
রবিবার, সকাল ১১ টা নাগাদ শহর শিলিগুড়িতে একটি বাইসনের দেখা মিলেছে। এদিন বেলার দিকে বাইসনটি নজরে আসে পথ চলতি সাধারণ মানুষের। এই ঘটনার জেরে একদিকে যেমন কৌতুহলী মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে। তেমনই অপরদিকে মানুষের মনে আতঙ্কও চাউড় হয়েছে কিছুটা। এরপরই খবর দেওয়া হয় ডাবগ্রাম রেঞ্জে। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে বাইসনটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
আবার অন্যদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় যাতে কেউ ভিড় না জমায় সেক্ষেত্রে এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হয়। তবে সাম্প্রতিককালে চিতাবাঘ, ও হাতির দেখা মিললেও বাইসন দেখা গিয়েছিল বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে বাইসনটি কোন জঙ্গল থেকে এল? এক্ষেত্রে বনকর্মীরা অবশ্য অনুমান করছেন ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে বাইসনটি এসে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সেটিকে সুস্থভাবে ফের জঙ্গলের অভিমুখে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্যজুড়ে (State) তাপপ্রবাহ (Heat) চলছিলই, ফলে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মত গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়েও এনেছিলেন। মে মাসের ২ তারিখ থেকে রাজ্যের স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এবার প্রবল তাপদাহের জেরে আগামী এক সপ্তাহ অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল সোমবার থেকে আগামী শনিবার অবধি স্কুল-কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ১৪ জেলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার। কলকাতা সহ দক্ষিণের সব জেলাতে তাপপ্রবাহ চলছে। এ অবস্থায় রবিবার সকালবেলায় স্কুল-কলেজ আগামী সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট যে ঘাড়ে নিঃস্বাস ফেলছে, সেটা আংশিক স্পষ্ট করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ব্যালট (Ballot) বাক্স এবং ব্যালট পেপার প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত (Panchayet) ভোট নিয়ে আদালতের জট কাটার পর, নির্বাচন কমিশন নিজের তালেই, নির্বাচনের গোছগাছ পর্ব সেরে ফেলতে চাইছে বলে খবর। এক দফার ভোট হবে নাকি একের বেশি দফায় ভোট হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে সেটা স্পষ্ট। সূত্রের খবর, মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে হতে পারে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এক দফায় পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটকর্মী লাগতে পারে। তা নিয়ে প্রশাসনের সমস্যা নেই। তবে রাজ্য পুলিস দিয়ে এক দফায় ভোট করানো সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পর্যবেক্ষক মহলের যুক্তি, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬১,৩৪০টি। ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। তাই প্রতি ভোট কেন্দ্রে দু’জন করেও পুলিস মোতায়েন করতে হলে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার পুলিশকর্মী প্রয়োজন। তা ছাড়াও, নাকা তল্লাশি, কুইক রেসপন্স টিম, মোবাইল নিরাপত্তা বাহিনী, স্ট্রং-রুম নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য থানাগুলিও খালি করা যাবে না। তাই অত পুলিশকর্মী মিলবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল, প্রয়োজনে অন্য রাজ্যের পুলিশ এনে ভোট করানো যেতে পারে।
হাইকোর্টের নির্দেশ মত আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং অশান্তি এড়াতেই কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, ব্যারাকপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় আধাসেনা নামানো হয়েছে। যদিও বুধবার বিকেল থেকেই স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে নামানো হয়েছে সেনা। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও অবধি মোট ৩ কোম্পানি সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এ রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতেও তাঁরা থাকবেন।
রাম নবমীর মিছিলে অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলি, হাওড়া সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ কয়েকটি এলাকা। তারপরই এই অশান্তি নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে, সেই মামলায় বুধবার বিচারপতি টি শিবগ্নানাম ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে বলেন, 'অশান্তি রুখতে প্রয়োজনে রাজ্য আধা সেনা নামাতে পারবে।' বুধবার রাজ্যপক্ষের আইনজীবীকে বিচারক পরিষ্কার জানিয়ে দেন, 'মানুষের নিরাপত্তা জরুরী। যে কোনওরকম উপায়ে মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই হিংসা কোনওরকমভাবে মেনে নেওয়া যায় না।' তারপরেই রাজ্যকে হনুমান জয়ন্তীতে আধাসেনা নামানোর নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশের পর, বুধবার দিঘায় অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে বলেছেন, 'হাই কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে ভাল হয়েছে। প্রশাসনও নিজের মতো করে শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করতে পারবে।' আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে হনুমান জয়ন্তী পালনের জন্য এদিন অন্যান্য রাজ্যকেও নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এছাড়া অশান্তি রুখতে, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও অনেক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রেই খবর, এই হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের অনুমতি নিতে হবে অনলাইনে। সেখানে একটি আবেদন পত্রের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর রামনবমীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, হনুমান জয়ন্তীতে অতিরিক্ত সতর্ক থাকবে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া রাজ্য প্রশাসনের তরফে, হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন কলকাতা মহানগর এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর কোন মিছিলে ১০০ থেকে ১৫০ জনের বেশি মিছিলে আসতে পারবে না। এবং যারা মিছিলে আসবেন তাঁদের নাম এবং সবিস্তার পরিচয় থানাকে জানাতে হবে।
প্রশাসন সূত্রেই খবর, রামনবমীর অশান্তির পর হনুমান জয়ন্তীতে যাতে কোনভাবে নতুন করে অশান্তি না হয়, সেই জন্য বাইক মিছিল একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং কোনভাবেই ডিজে বাজানো, মিছিলে অস্ত্র নিয়ে আসা, এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য চলবে না। প্রশাসন সূত্রে আরও খবর, মিছিলের আগেই পথ নির্দেশিকা দিতে হবে থানাকে। সেটাকে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। যদি কোন রকম কোন অশান্তির আঁচ পাওয়া যায়, তবে সেই মিছিলকে অন্য অন্যদিকে ঘোরানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা অঞ্চলে ৭০-৮০ টি হনুমান পুজো হবে, এবং ৫-৬টি মিছিল হতে পারে। এছাড়া বুধবার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোন দলীয় নেতা এই মিছিলে বক্তব্য দিতে পারবে না।
রাষ্ট্রপতি (President) হবার পর প্রথম বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ (West bengal) সফরে এলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আজ অর্থাৎ সোমবার বেলা ১২টা মধ্যেই কলকাতায় নামে রাষ্ট্রপতির বিমান। সূত্রের খবর, কিছুক্ষন আগেই অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টা ০৫ মিনিটে দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তাঁর বিমান। বিমানবন্দরে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর তিনি যান নেতাজি ভবন। রাষ্ট্রপতির আগমনের জন্য নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শহরের একাধিক রাস্তা।
প্রথম বঙ্গ সফরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার এবং মঙ্গলবার দুই দিনের রাজ্য সফরে। ঘুরে দেখবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এবং শান্তিনিকেতন। পাশাপাশি সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর আজ তাঁর নৈশ যাপন রাজভবনে। সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার।