ফের রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গণনা পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও ফের ১৫টি বুথে নির্বাচনের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার। হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে ফের নির্বাচন হবে। ওই ১৫টি বুথের গণনাকে কার্যত বাতিল ঘোষণা করেছে কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন, ভোটগ্রহণ ও গণনা, তিন পর্যায়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গণনার দিন সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। গণনার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সাঁকরাইলে তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট লুঠের অভিযোগ ওঠে।
পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার দুটি বুথ ও হুগলির সিঙ্গুরেও পুনর্নির্বাচন হবে। সাঁকরাইলের ২৪৭-২৫৪ নম্বর, মোট ৯টি বুথ, সারেঙ্গার ২৬৭, ২৬৮, ২৭১ ও ২৭৭ নম্বর বুথেও নির্বাচন বাতিলের নির্দেশ। সিঙ্গুরের বেরাবেরির ১৩ নম্বর বুথে ফের নির্বাচন হবে। হাবড়া ২-এর ভুরকুন্ডার ১৮ নম্বর বুথ, ৩১ নম্বর বুথ, ও গুমা পঞ্চায়েত কেন্দ্রের ১২০ নম্বর বুথেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কমিশনের।
শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনা পর্ব (Counting Vote)। কিন্তু এই ভোট গণনা কেন্দ্রে এজেন্টেদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি তাঁদের মারধরও করা হচ্ছে। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যের (State) জেলায় জেলায়। ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক মারধরের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া (Howrah) জেলার বালি নিশিন্দায় পল্লীমঙ্গল বিদ্যামন্দির স্কুলে। নিশিন্দায় বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ভোট গণনা কেন্দ্রে। এমনকি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিপিআইএমের অভিযোগ, সিপিআইএম সহ বিরোধীদের স্ট্যাম্প মারা গুচ্ছগুচ্ছ ব্যালট পেপার জানালা দিয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে ফেলে দিচ্ছে শাসক দল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
সূত্রের খবর, বালিজগাছা গণনা কেন্দ্র থেকে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টকে মারধর করে বার করে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কাউন্টিং এজেন্টের নাম শ্যামল গায়েন জানান, ২১৭ নম্বর বুথের তৃণমুল প্রার্থী অনুরাধা গায়েনের স্বামী মঙ্গল গায়েনও কাউন্টিং এজেন্ট। তাঁরাই বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে দাদাগিরি করে ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে বার করে দেন। তিনি আরও বলেন, 'আমি তিনবার ঢোকার চেষ্টা করি, কিন্তু আমাকে গণনা কেন্দ্র থেকে বার করে দেয়। এর পাশাপাশি বিজেপি প্রাথী পুতুল গায়েনকেও মারধর করে।'
অন্যদিকে সাঁকরাইলেও একই ঘটনা ঘটে চলেছে। সাঁকরাইলের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের গণনা সাঁকরাইল সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে মঙ্গলবার সকালে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। দুষ্কৃতীরা গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিস বাধা দেয়। গেটে থাকা স্ক্যানার মেশিনও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অর্থাৎ পুনর্নির্বাচনের দিন থেকেই সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পুলিসকে। কোনও বিক্ষোভ হলে পুলিস সেই বিক্ষোভ এড়াতে লাঠিচার্জ শুরু করেছে। সাময়িক উত্তেজনা হলেও পুলিস গোটা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে নিয়ে নেয়। যদিও সাঁকারাইলের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পুলিস সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের রাস্তায় জাতীয় সড়ক এবং সাঁকরাইল স্টেশনের দিকের রাস্তায় নাকা চেকিং চালাচ্ছে। শুধুমাত্র গণনা কেন্দ্রের পরিচয় পত্র থাকা ব্যক্তিদেরই ওই রাস্তায় আসা যাওয়া করতে দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের রাস্তা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভিতরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
নির্বাচনের দিন ঠিক হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের (State) জেলায় জেলায় উদ্ধার হয়েছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র। তবে এই বোমা (Bomb) উদ্ধারের ঘটনায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। পিছিয়ে নেই অন্য জেলাগুলিও (District)। প্রত্যেক জেলার গলিতে গলিতে পাওয়া গিয়েছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র। আবার অনেক সময় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণও হয়েছে। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও বোমাবাজি হয়েছে রাজ্যের জেলায় জেলায়।
আজ অর্থাৎ সোমবার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন। আর সেই পুননির্বাচনে (Re-Polling) মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা এলাকায় একটি পুকুর এবং একটি মাঠ থেকে ৩৫ টি অপরিশোধিত বোমা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াডের একটি দল, স্থানীয় পুলিসের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অন্যদিকে মালদহের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকিপুর এলাকায় আম বাগানের ঝোপ থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এমনকি নদীয়ার কৃষ্ণনগর ভাণ্ডারখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পানি নালা এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাতটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুননির্বাচনের দিনও এইভাবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে।
৮ জুলাই শনিবার ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Electoin)। সেই নির্বাচনে মৃত্যু, বোমাবাজি, গুলি, মারধর সবমিলিয়ে এক উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। এমনকি বাদ যায়নি বুথে বুথে শাসক দলের ছাপ্পা ভোট সহ ব্যালট লুঠ করার প্রক্রিয়া। আর সেই ছাপ্পা ভোটের বিরোধীতা করে পুননির্বাচনের (Re-Polling) দাবিতে পথে নেমেছিল বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের জেলায় জেলায় সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল অনেক বিক্ষোভও। তাই সবকিছু তথ্য যাচাই করে, ভেবেচিন্তে সোমবার নির্বাচন কমিশন (State Election Commision) ৬৯৬ টি বুথে পুননির্বাচনের নির্দেশ দেয়।
আজ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের পুননির্বাচন। পঞ্চায়েতের যেই বুথ গুলিতে ছাপ্পা ভোট হয়েছে এবং ব্যালট বক্স লুঠ হয়েছে, সেই বুথগুলিতেই করা হচ্ছে পুননির্বাচন। সবমিলিয়ে রাজ্যের মোট ৬৯৬ টি বুথে পুননির্বাচন। আগের তুলনায় পুননির্বাচনে বেশি অশান্তি না হলেও এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক বাম প্রার্থীর শ্বশুর শুকুর আলী শেখের। শনিবারের তুলনায় এদিন একটু শান্ত পরিবেশ নজরে আসছে পুননির্বাচনের বুথগুলি থেকে। এমনকি শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা না গেলেও, পুননির্বাচনে বুথ গুলির বাইরে বেশ সক্রিয়তার সঙ্গে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
ভোট পরবর্তী হিংসা বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। পুননির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, দলীয় পতাকা নিয়ে রাস্তা অবরোধ ও বোমাবাজি করা হচ্ছে ক্রমাগত। প্রায় বেশিরভাগ বুথেই শুরু হয়েছে সেই বিক্ষোভ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই শুরু হয়েছে এই ঘটনা। শনিবার ভোট শেষ হয়ে গেলেও হিংসা, মারামারি, বোমাবাজি এখনও বন্ধ হয়নি। শনিবার দিনভর বুথে বুথে চলেছে ব্যালট লুঠ, ছাপ্পা ভোট ও মারধর। তবে এখনও সেই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে।
আমডাঙা, নন্দকুমার, দিনহাটা, সালার সহ বেশকিছু পঞ্চায়েত এলাকা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল সিপিআইএম-এর সংঘর্ষে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বোমাবাজি। যদিও পুলিস বাহিনীকে দেখা গিয়েছে এই ঘটনায় লাঠি চার্জ করতে। বিক্ষোভকারীদের আটক করে তাঁদের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করছে পুলিস। তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
তবে নির্বাচনের দিন অর্থাত্ শনিবার পুলিসের সক্রিয়তা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে অনেক কর্মী সমর্থকদের। বোমের আঘাতে, গুলির আঘাতে আহতও হয়েছেন অনেকে। তবে আজা সেই দিকে পুলিসের ততপরতা অনেকখানি লক্ষ্য করছে রাজ্যবাসী।
শনিবার সকাল ৭ টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী (Vote) প্রক্রিয়া। আর সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনই রাজ্যের (State) জেলায় জেলায় চলছে বোমাবাজি মারধর। শুধু মারধরেই আটকে থাকেনি, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের দলকে সম্পূর্ণভাবে জয়ী করতে শুরু হয়ে গিয়েছে ছাপ্পা (Chappa) ভোটও। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে, ঠিক এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে। উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ প্রায় সব জায়গাতেই ছাপ্পা ভোট হওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। মূলত উত্তর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ডায়মন্ডহারবার, নদীয়া, ওদিকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আবার মুর্শিদাবাদ, বীরভূমেও দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠছে।
উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ প্রায় সব জায়গাতেই ছাপ্পা ভোট হওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। মূলত, বীরভূমের ১৭ নম্বর বুথের রুদ্রনগর, কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক, জলপাইগুড়ির ঝাড় আলতা, কাটোয়া ৭০ নম্বর বুথ, কাটোয়া গোপালপুর, মালদহের গাজলী ১২২ নম্বর বুথ, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, উত্তর ২৪ পরগনার ২৩০ নম্বর বুথ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মণ্ড ৫ নম্বর ব্লক, ৪৩ নম্বর ব্লক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার-১ নম্বর ব্লকের নেতড়ার নস্করতলার ১৮৮, ১৮৯ নম্বর বুথ, নদীয়ার ইসলামপুর ৭৮ নম্বর বুথ, ফাঁসিদেওয়ার ফুলবাড়ি ৩০১, ৩০২ নম্বর বুথ থেকে রীতিমতো ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠে আসছে।
ইতিমধ্যেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ আসা বুথগুলির মধ্যেই কয়েকটিতে ব্যালট বক্স জ্বালানো শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স বের করে তা জ্বালিয়ে ফেলছে দুষ্কৃতীরা। কোথাও কোথাও আবার কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে নির্বচনী প্রক্রিয়া।
সবেমাত্র ভোটের ৪ ঘণ্টা অতিক্রম হয়েছে। আর তাতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বুথে বুথে। কোথাও ছাপ্পা ভোট, কোথাও ব্যালট বক্স জ্বালানো, আবার কোথাও মারধর। এ পরিস্থিতে সাধারণ মানুষযে সন্ত্রাসগ্রস্ত সেটা স্পষ্ট। পাশাপাশি এ অবস্থায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট যে একপ্রকার ব্যাহত সেটা বলাইবাহুল্য।
সরকারি স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) কোচিংয়ে রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের (State Home Teachers Association) অভিযান। আর এই অভিযানের পরেই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের বচসা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) মিশন পাড়া এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আদালত থেকে রায় দিয়েছিল যে, সরকারি স্কুলে পড়ানো শিক্ষকরা কখনও বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন না। এমনকি চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের পড়াতেও পারবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও খড়দহ অঞ্চলের সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। আর এই অভিযোগ পেয়েই রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শিক্ষকদের কোচিংয়ে অভিযান চালান। অভিযান চালিয়েই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গৃহশিক্ষকরা।
গৃহশিক্ষক সংগঠনের দাবি, সরকারি স্কুলের বেতন পেয়েও এরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করিয়ে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে ব্যবসা করে চলেছেন। এরফলে গৃহ শিক্ষকদের যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছেই পড়তে যাচ্ছে। যার ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংকটে পড়ছেন গৃহশিক্ষকরা।
যতই সামনে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের দিন, ততই যেন জেলায় জেলায় বেশি করে উদ্ধার হচ্ছে বোমা (Bomb) ও আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms)। এক বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোম উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সাতসকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের ভানুকুমারী-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাকুঠি জোড়াইমোড় এলাকায়। এই বোমা উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিস। যদিও এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিজেপি প্রার্থী।
শুধু তাই নয় প্রত্যেকদিন রাজ্যের (State) একাধিক জায়গা থেকে এই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর এসেই চলেছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাজিশাহতে উদ্ধার হয়েছে ৩ জার ভর্তি বোমা। মুর্শিদাবাদের খরগ্রামের শংকরপুর গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে বালতি ভর্তি ১৫ টি তাজা বোমা। এমনকি লালগোলা থানার আয়ারমাড়ি অঞ্চলে ডিহিপাড়া এলাকায় ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছে সকেট বোমা। তবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কোনো রকম বিস্ফোরণ হয়নি।
সূত্রের আরও খবর, মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ভরতপুর থানার পুলিস। সোমবার রাতে আমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনা ডাঙ্গা ব্রিজ এর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ সেলিম শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতকে মঙ্গলবার কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রহড়া থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র সহ রাহুল যাদব নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানার পুলিস।
পুলিস কয়েকটি গুলিও উদ্ধার করেছে ওই ব্যক্তির থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারবার এই ভাবে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার আতঙ্কিত করেছে জন সাধারনকে।
আর মাত্র ৪ দিন পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার (Recovery) হয়ে চলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Fire Arms), বোমা (Bomb), বোমা তৈরির মশলা প্রভৃতি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে রাজ্যের (State) জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে উত্তেজনা। কোথাও কোথাও আবার বিরোধী দলের প্রার্থীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা সহ বোমা তৈরির মশলা মজুত করারও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগই নয় বারবার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে তা উদ্ধারও হয়েছে।
সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ জানে আলমের বাড়ির থেকে এক বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিস। প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিস। এমনকি খবর দেওয়া হয়েছে সিআইডি বোম ডিসপোজাল টিমকে। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে শেখ জানে আলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, শুধু বীরভূমেই নয় মুর্শিদাবাদের ডোমকলে, ইসলামপুরে, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা, শিউলি সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতেও উদ্ধার হয়েছে বোমা, বোমা তৈরীর মশলা সহ আগ্নেয়াস্ত্র। তবে বারবার জেলায় জেলায় উদ্ধার হওয়া বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মনে।
সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) সম্পন্ন করতে আরও তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলা থেকে স্পর্শকাতর বুথের (Booth) সংখ্যা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রতিটি জেলায় স্পর্শকাতর বুথ কোনগুলি হবে তা জানতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবং তার জন্য জেলাশাসক এবং জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনী অফিসারদের বিস্তারিত জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রতিটি জেলায় ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০১৮-র নির্বাচনে কোন কোন বুথে অশান্তি হয়েছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী একটি রিপোর্ট জেলা থেকে পাঠাতে বলা হয়ে।
রবিবার নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার রাজীব সিনহা, রাজ্যের মুখ্য়সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ডিজি, এডিজি সহ পদস্থ পুলিশ অফিসাররা। সূত্রের খবর ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অশান্তি নিয়েও আলোচনা হয়। গত নির্বাচনে যে সব বুথে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা সেই সব বুথেও আলাদা করে নজরদারি চালানো হতে পারে জানা গেছে।
রাজ্যের চাহিদা মতো কেন্দ্র ৮২২ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স (Central Force) না দিতে পারলে পাশের রাজ্য থেকে বাহিনী নিয়ে আসবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। মূলত, ঝাড়খন্ড (Jharkhand) এবং ওড়িশা থেকে বাহিনী আনার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে একটি বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এমনকি শনিবার বিকালেও রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকেই পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে বাহিনী আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর সোমবারের মধ্যেই রাজ্যে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য থাকছে ৬০ হাজার রাজ্য পুলিশ এবং ১৫ হাজার কলকাতা পুলিশ। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
সূত্রের খবর, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। কোনও কারণে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে পাশের রাজ্য থেকে বাহিনী নিয়ে এসে ভোট করাবে তারা।
রাজ্যপাল (Governor) যেন একাই একশো। কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনার অশান্তির খবর পেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে (State Election Commissioner) পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে বলছেন, কখনও পৌঁছে যাচ্ছেন উত্তপ্ত ভাঙড়ে (Bhangar), ক্যানিংয়ে। আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন। এর জন্য অবশ্য রাজনৈতিক টিপ্পনি করেছেন শাসক দল তৃণমূল। ঠিক এরকম ভাবেই অশান্ত দিনহাটায় পৌঁছে যান রাজ্যপাল। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানকার পরিস্থিতি জানার চেষ্টাও করেন।
শনিবার দুপুর একটা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ি প্রধান তাপস দাসের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয় তাপস দাসকে। তার বাড়িতে পুলিশি অভিযানও চলে। স্ত্রী অনিতা দাস অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে। এরপরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
অ্যান্টি ড্রাগ ডে (Anti Drug Day) উপলক্ষ্যে রাজ্যের (State) বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে মিছিল। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থেই নয়, অবসাদগ্রস্থ মানুষজন যারা কোনওভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন তাঁদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী কলকাতা (Kolkata) পুলিস। কেন, কিভাবে, কোন কারণের জন্য সমাজের সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন? প্রথমে সেই কারণটাকেই খুঁজে বের করে পুলিস। তারপর ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নেশামুক্তি কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করছে পুলিস।
এমনকি মাদক বিরোধী অভিযানেও সামিল হয়েছে কলকাতা পুলিস কর্তারা। এবার থেকে সমাজকে আগামী দিনে মাদক মুক্ত করে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে দিতে শুধু কলকাতাই নয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে অ্যান্টি ড্রাগ ডে মিছিল। এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজ্যের পুলিস প্রশাসন অগ্রগণ্য ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছে। সোমবার কলকাতা পুলিসের পক্ষ থেকে বডিগার্ড লাইনে মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনটাই জানালেন কলকাতা পুলিসের কমিশনার, বিনীত কুমার গোয়েল।
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের মহেশতলা থানার উদ্যোগেও অ্যান্টি ড্রাগ ডে উপলক্ষে মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। মহেশতলা থানা থেকে মহেশতলার বাটা মোড় পর্যন্ত হয় এই মিছিলটি করা হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিস সুপার রাহুল গোস্বামী সহ অতিরিক্ত পুলিস সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক ব্যানার্জি এবং অতিরিক্ত পুলিস সুপার জোনাল পলাশ ঢালি সহ মহেশতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। মিছিলের শেষে বাটা মোড়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। দুটি পায়রা উড়িয়ে এই সভার শুভ সূচনা করেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিস সুপার। এমনকি অ্যান্টি ড্রাগ ডে উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের পথনাটিকাও করা হয় এই অনুষ্ঠানে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। একদিকে যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাহিনী চেয়ে চিঠি লিখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। অন্যদিকে তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে পাল্টা চাপে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ২২ কোম্পানি ও ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনীকে কোথায় কিভাবে কাজে লাগানো হবে সেটা জানতে চেয়ে পাল্টা চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। সূত্রের খবর, বাহিনী মোতায়েন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে নির্বাচন কমিশনের উপর। কিন্তু বাহিনী মোতায়েন নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য আপাতত ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তার মধ্যে ২০০ কোম্পানি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে এবং বাকি বাহিনীর মধ্যে থাকছে বিভিন্ন রাজ্যের আর্মড ফোর্স। ফলে এই বাহিনী কোন কোন জেলায় যাবে তা ভাগ করে দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই। কিন্তু এখনও সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব জেলায় সম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে না। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেটর বিএসএফের আইজি এস পি বুদাকোটি শুক্র, শনি ও রবিবার কমিশনে যান। নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন। সেই বৈঠকেও এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে নির্বাচন শুরুর আগেই বেশ কিছু জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গেছে। তারা রুট মার্চও শুরু করেছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন (Nomination) প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) জানিয়ে দেয়, কোন দল কতগুলি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি জানানো হয়, কোন কোন জেলার কত আসনে ভোট হবে না। ২২টি জেলায় একমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিসংখ্যান অসম্পূর্ণ ছিল। তাই নিয়ে অভিযোগও তোলেন বিরোধীরা। শুক্রবার রাতেই সেই তথ্য দিয়েছে কমিশন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে ৭৩,৮৮৭টি আসনের মধ্যে ৯০১৩টি আসনে ভোট হবে না। ১২ শতাংশ আসনে কোনও না কোনও দল ইতিমধ্যেই জিতে গিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জেলার ৬,৩৮৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৭৬৭টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। ২৩৩টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৮টি জেলা পরিষদেও ফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে।
২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১২ শতাংশ আসনে কোনও লড়াই হবে না।