এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করছে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। তখন প্রবল বৃষ্টিতে দুর্যোগ অবস্থা সিকিমে (Sikkim)। উত্তর সিকিমে (North Sikkim) গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কিছু এলাকাতে আবার ধসও (Collapse) নেমেছে। যার ফলে বিপদে পড়েছেন বহু পর্যটক।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত দু’হাজারের বেশি পর্যটক আটকে ছিলেন। শনিবার সিকিমে ২,১০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ৩০০-র বেশি পর্যটক সিকিমে আটকে আছে বলে খবর। যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন হলেন বিদেশি। এছাড়াও একটি সরকারি কলেজের ৬০ জন পড়ুয়াও আটকে পড়েন সিকিমের এই ধসে। সিকিম সরকার আটকদের উদ্ধারের জন্য ২৩টি বাস এবং ২০৮টি ছোট গাড়ির ব্য়বস্থা করেছে। মঙ্গন জেলার জেলাশাসক জানিয়েছেন, বৃষ্টি এবং ধসের কারণে লাচেন এবং লাচুংয়ে ২,৪০০ জন পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। শনিবার মধ্যেই সমস্ত পর্যটককে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সিকিমে ধসের কারণে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। পর্যটকদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য উত্তর সিকিম জেলা প্রশাসন দু’টি হেল্পলাইন নম্বর (৮৫০৯৮২২৯৯৭ এবং ৮১১৬৪৬৪২৬৫) খুলেছে। পরিবার পরিজনেরা চাইলে সেখানে যোগাযোগ করে পর্যটকদের খবর জানতে পারবেন। দুর্যোগের মাঝে নতুন করে উত্তর সিকিম যাওয়ার অনুমতি আপাতত কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। তবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লাচেন, লাচুং যাওয়া বন্ধ।
সিকিমে (Sikkim) রেল লাইন (Rail) তৈরির কাজ চলছিল ভীষন দ্রুত। সব ঠিক থাকলে বড়সড় সাফল্যের পথে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। সূত্রের খবর, এবার সিকিমের নাথুলায় পৌঁছে যাবে ভারতীয় রেল। অর্থাৎ এবার ভারতীয় রেলে করেই যাত্রীরা সরাসরি পৌঁছে যেতে পারবেন চিন অধিকৃত তিব্বতের কাছাকাছি।
জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মধ্যেই উত্তরবঙ্গের সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত যে রেলপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই কাজ শেষ হবে। সেবক ও রংপোর মধ্যে সংযোগকারী রেললাইন নির্মাণ হচ্ছে একাধিক টানেল ও সেতুর মধ্যে দিয়ে। ১৪টি টানেল ছাড়াও থাকছে ২২টি ব্রিজ। দীর্ঘ ৪৫ কিলোমিটার এই রেলপথে মোট ৫টি স্টেশন। যে কোনও প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও যাত্রীদের জন্য সারাবছর এই রেলপথ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তুষার ধসে বিধ্বস্ত প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম (Sikkim)। অফিসিয়াল ট্যুরে গিয়েছিলেন সৌরভ রায় চৌধুরী। তবে বাড়ি ফেরা হল না আর। তুষার ধসে চাপা পড়ে প্রাণ (Death) হারিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুর এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যরা। আজ, বুধবার তাঁর বাড়িতে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা রওনা হয়েছেন সিকিমের উদ্দেশে।
জানা গিয়েছে, গ্যাংটক থেকে নাথুলাগামী জওহরলাল নেহেরু রোডে তুষার ধস নামে। ঘটনার জেরে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। তার মধ্যে একজন শিলিগুড়ি এবং একজন কলকাতার বাসিন্দা। সূত্রের খবর, সৌরভ শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কাজের সুবাদেই সিকিম যান শুক্রবার। তাঁর সঙ্গে অফিসের আরও অনেকেই ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এদিকে, তুষার ধসে বিধ্বস্ত সিকিমে এখনও উদ্ধার কাজ জারি রয়েছে। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, আহত ১৩ জন। যাঁদের মধ্যে ৫ জন কলকাতার, আর দু'জন শিলিগুড়ির। ৯ জনকে ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সিকিমের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি পর্যটক। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
মণি ভট্টাচার্য: 'দেখলাম হঠাৎ করে উপর থেকে একটা বরফের ঝড় এলো, মুহূর্তে সব শেষ।' ফোনে এ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা রঞ্জিতাদেবী। তুষার ঝড়ে চাপা পড়েছিলেন তিনিও। বিপর্যয় মোকাবিলা দল তাকে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত হয়ে, বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
ওই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাপাই সরকার নামে শিলিগুড়ির এক যুবক। যিনি তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়ে আহত হয়েছিলেন। যাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলই ওই হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এদিন তিনি বলেন, 'আমরা গাড়িতে করে নাথুলার দিকে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ তুষার ঝড় এসে সব লন্ডভন্ড করে দিল। আমার সঙ্গে আমার বাদবাকি সহযাত্রীরা তারাও আহত।'
সিকিম পুলিস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আহতদের নিয়ে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। মোট ১৩ জন আহতদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নয় জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর চার জন চিকিৎসাধীন বলে পূর্ব সিকিম পুলিস সূত্রে খবর। যাঁদের মধ্যে দুজন নেপাল এবং দু'জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। আহতদের জন্য ট্রমা কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করে, মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলবে বলে পুলিস জানিয়েছে।
দেখুন মৃত এবং আহতদের এক্সক্লুসিভ তালিকা:
সিএন-ডিজিটালের পক্ষে পূর্ব সিকিমের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, 'তুষার ঝড়ে ধসে যায় নাথুলা যাওয়ার একটি রাস্তা। ১৩ মাইল নামক এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৫ নাগাদ একটি তুষার ঝড় হয়। স্থানীয়রাও উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছেন।' সিএন-ডিজিটালকে পূর্ব সিকিমের পুলিস সুপার তেনজিং লেপচা বলেন, 'এখনও অবধি এই দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গিয়েছে এবং এখনও অবধি বিপর্যয় মোকাবিলা দল ১৩ জনকে উদ্ধার করে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।' মঙ্গলবার তিনি আরও বলেন, 'এই দুর্ঘটনায় কলকাতার প্রীতম মাইতি নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবং সৌরভ চৌধুরী নামক এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে যিনি শিলিগুড়ির বাসিন্দা।'
মঙ্গলবার পূর্ব সিকিমের জেলা পুলিস প্রশাসনের অতিরিক্তি পুলিস সুপার সোনম দেচু বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের দুজন ছাড়াও ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ৩ জন নেপালের বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। অর্থাৎ ৩ জন মহিলা, একটি ৫ বছরের শিশু ও ৪ জন পুরুষ পর্যটক মারা গিয়েছেন।'
সিকিমে (Sikkim) ভয়ানক তুষার ঝড়ে (Snow Storm) মৃত (Dead) প্রায় ৭ পর্যটক (Tourist)। আহত কমপক্ষে ১৫০ পর্যটক। সিকিম পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১২ টা নাগাদ, উত্তর সিকিমের ১৫ মাইল নামক এলাকায় ভয়ানক তুষার ঝড় হয়। সিকিম পুলিস আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও ৪০ জন পর্যটক আটকে আছে। এখনও ১৭ জনকে উদ্ধার গ্যাংটক পুলিস। স্থানীয়রা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলও এই উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। এখনও অবধি ১৫০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা খবর।
ওই এলাকায় ভয়ানক তুষার ঝড়ে বহু গাড়ি-সহ মানুষ তুষার ঝড়ের মুখে পড়েন, সূত্রের খবর ওই রাস্তাটি নাথুলা পাস সংযোগকারী রাস্তা। এই ঘটনার জেরে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বহু পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ এখনও চলছে।
ধসে (Landslide) বন্ধ গ্যাংটকের (Gangtok) রাস্তা। এখন ভুল করেও যাবেন না ওই পথে। সিকিমের (Sikkim) প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার আবার বড়সড় ধস নামল পূর্ব সিকিমের ডিকচু জাং ওয়ার্ডে। যার ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল গ্যাংটক থেকে মনগান রোডের রাস্তা। গত ১১ থেকে ১৫ মার্চ নজিরবিহীন তুষারপাত হয়েছে উত্তর সিকিমে।
মরসুমের এমন তুষারপাত অতীতে খুব কমই দেখেছেন সিকিমবাসী। তারপর থেকে দফায় দফায় তুষারপাত হয়েছে, উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচল যত বারই শুরু হয়েছে, ততবারই তুষারপাত হয়েছে। পাশাপাশি রবিবার সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, টানা তুষারপাতের জেরে উত্তর সিকিমে আটকে ছিলেন বহু পর্যটক। ইতিমধ্যে প্রায় ১,৪০০ পর্যটককে উদ্ধার করেছে সেনা। রবিবারের এই ধসে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে ওই রাস্তা।
প্রবল তুষারপাতের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হলো উত্তর-পূর্ব-সিকিম। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে হঠাত্ই আবহাওয়ার বদল দেখা যায়। যার কারণে উত্তর-পূর্ব সিকিমে বহু পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।
শুক্রবার সিকিম প্রশাসন উত্তর-পূর্ব সিকিম তুষারপাতের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। জানা যায়, ছাঙ্গু, বাবা মন্দির ও নাথুলায় ভারী তুষারপাতের জন্য পর্যটকদের যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তুষারপাত শুরুর সময় অনেক পর্যটক আটকে পড়েছে সিকিমে। সেনাবাহিনী সূ্ত্রে খবর, উত্তর সিকিমের সব জায়গা মিলিয়ে কমবেশি ১ হাজার পর্যটক আটকে পড়েন। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁদের উদ্ধারে নামে সেনা। গভীর রাত পর্যন্ত তা চলে। পর্যটকদের উদ্ধারের পর সেনা ছাউনিতে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে মূল শহরে পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক (Turkey)। কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রাজধানী দিল্লি (Delhi)। যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দ্বিমত পোষণ করছেন। তারই মধ্যে সোমবার ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিমের (Sikkim) মাটি। সূত্রের খবর, ভোর ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ সিকিমের ইউকসাম শহরবাসী কম্পন অনুভূত করেন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩।
উল্লেখ্য, এদিনের ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। সিকিমে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউকসাম শহরের ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মাটির গভীরে ভূমিকম্প হয়, কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার বিকেলেই অসমের নগাঁওতে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। তার একদিন পরেই এবার কেঁপে উঠল সিকিম। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে সিকিমে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভূকম্পনের আঁচ পেতেই অনেক হোটেল থেকে পর্যটদের রাস্তায় বেড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। ভূমিকম্পের আফটারশক নিয়ে এখনও শঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা। তবে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সিকিম প্রশাসন। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও।
পড়শি সিকিমের তুষারপাতের একটু ছিটে কি দার্জিলিং পাবে? এই আশায় দলে দলে পর্যটকের দল যখন পাহাড়মুখী, তখন তাঁদের হতাশ করেছে হাওয়া অফিস। এখন আর তুষারপাত নয়, বরং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সিকিম -দার্জিলিংয়ে। এদিকে, সোমবার ঘন কুয়াশায় মোড়া ছিল পাহাড়ের আকাশ। মঙ্গলবার সেই কুয়াশা কেটে রোদ ঝলমলে। ফলে তাপমাত্রা আরো পতনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে এই মুহূর্তে তুষারপাত না হলেও চলতি সপ্তাহে উত্তর থেকে পূর্ব সিকিমে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। নাথুলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু, ফালুট-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে। আপাতত তুষারপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে। তবে ডুয়ার্স ও তরাই, সমতলে জাঁকিয়ে পড়বে ঠান্ডা। মালদহ, দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিঙের সমতলে ভারী কুয়াশা থাকবে সকালের দিকে। হাওয়ার বেগও থাকবে বেশি।
নতুন বছরের শুরুতেই আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। যদিও আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাস মতোই বেড়েছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। ফলে জাঁকিয়ে শীতের দেখা এখনই মিলছে না। তবে উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে শীত (Winter) পড়েছে। শনিবার শহরের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি ছিল। সেটা বেড়ে রবিবার হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও পয়লা জানুয়ারি থেকে ফের উর্ধ্বমুখী হবে পারদ, তা আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বর্ষবরণের রাত জবুথবু হয়ে কাটালেও ১ জানুয়ারি নতুন বছরের শুরুতেই উষ্ণতার জানুয়ারি নিয়েই ঘুম ভেঙেছে শহর কলকাতার। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
শহর কলকাতার মুখ ধোঁয়াশায় ঢাকলেও জেলায় কিন্তু তেমন পরিস্থিতি নেই। তবে জেলা জেলায় কুয়াশার দাপট বজায় রয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচদিন জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হালকা শীতের আমেজ থাকবে। তাপমাত্রা খুব একটা কমার পূর্বাভাস নেই। আপাতত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জাঁকিয়ে শীত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গে কিন্তু জাঁকিয়ে শীত অনুভব করছেন মানুষ। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পারদ পতন শুরু হয়ে গিয়েছে। সিকিম এবং সান্দাকফুতে ইতিমধ্যেই তুষারপাত হয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বছরের শুরুতে দার্জিলিঙে সূর্যোদয় দেখতে ভিড় করেছিলেন পর্যটকরা। দার্জিলিঙে এখন মনোরম আবহাওয়া। রোদ ঝলমলে আকাশ তার সঙ্গে জাঁকিয়ে শীত।
সৌমেন সুর: পল জিনসের সাহচর্যে কিংবদন্তী তথ্যচিত্র নির্মাতা শুকদেব, ক্লেমেন্ট ব্যাপটিস্টা, শান্তি চৈধুরী, হরিসাদন দাশগুপ্ত প্রমুখ ভারতীয় তথ্যচিত্রকে নতুন দিশা দেখান। হরিসাধন দাশগুপ্ত ফিল্ম ডিভিশন, ইউনেস্কো, টি বোর্ড, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি প্রভৃতি বিভিন্ন সংস্থার হয়ে নানা ধরনের তথ্যচিত্র তৈরি করেন। তবে তথ্যচিত্রের গৌরবময় দিন আসে সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। তিনি মোট পাঁচটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এর মধ্যে চারটি জীবনীমূলক এবং একটি তথ্যকেন্দ্রিক।
জীবনীমূলক তথ্যচিত্রগুলি হলো- 'Rabindranath Tahgore (1961)', শিল্পী শিক্ষক বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের জীবনী অবলম্বনে 'The Inner Eye(1972)', বিখ্যাত ভরতনাট্যম শিল্পী বালা সরস্বতীকে নিয়ে 'Bala'(1976), সুকুমার রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে 'সুকুমার'(1987) এবং তথ্যকেন্দ্রিক রঙিন ছবি 'Sikkim'। সবক'টি তথ্যচিত্রে সত্যজিৎ তাঁর নিজের মৌলিক ঘরনার সাক্ষর বহন করেছে। তবে সত্যজিতের মতে 'The Inner Eye' হল সেরা তথ্যচিত্র। তিনি বলেন, 'এ ছবি নির্মাণ করেছি-আমি আমার গভীর অনুভূতি থেকে।' আর এক প্রতিভাবান চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক বেশ কয়েকটা তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। যেমন 'scientist of tomorrow', 'chhou dance of purulia', 'দুর্বার গতি পদ্মা' , 'ইয়ে কিয়ু' আর তাঁর সর্বশেষ তথ্যচিত্র 'রামকিংকর'।
তবে তিনি এই মহান কাজটি শেষ করে যেতে পারেননি। যাই হোক পল জিনসের সুযোগ্য সহকারী শান্তি চৌধুরী, তাঁর তথ্যচিত্রগুলির মধ্যে চিত্রকর অবীন্দ্রনাথ থেকে পরিতোষ সেন, মকবুল ফিদা হোসেন অবধি যে চিত্রকলা তৈরি করেন, তা দর্শক মহলে বিশেষ সমাদর লাভ করেছে। কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির আর এক পুরোধা চিদানন্দ দাশগুপ্ত-এর 'Patrait of a City' তথ্যচিত্রটি বিদগ্ধ মহলে সাড়া ফেলে। (চলবে)