সলমন খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি। রবিবার সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রয়েছে অভিনেতার বিলাসবহুল বাড়ি। তারই সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। ভোর তখন ৪টে ৫১ মিনিট। ঘটনার পর অভিনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাইক নিয়ে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন সলমন খানের বাড়ির সামনে। তারা প্রথমে ৩ রাউন্ড গুলি চালান বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। পরে এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালাতে দেখা যায় তাদের। রবিবারের ঘটনার পর সলমন খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
পাশাপাশি মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় পুলিস ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ফরেনসিক বিভাগের টিম সলমনের বাড়ির বাইরে থেকে বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার ও অ্যাডিশনাল ডিএসপির নেতৃত্বে এগোচ্ছে তদন্ত।
ঘটনার পরেই বাদ্রা পুলিসের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিস জানাচ্ছে, যখন গুলি চলে সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন সলমন খান। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক টিম গঠন করেছে মুম্বই পুলিস।
জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার একাধিকবার সলমন খানকে খুন করার হুমকি দিয়েছে। তারপরই এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস প্রশাসনের। ওই দুই গ্যাংস্টারের লোকজন অভিনেতার বাড়িতে বন্দুকবাজদের পাঠিয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।
প্রসূন গুপ্তঃ একটা সময়ে বিধানসভাও রাজনৈতিক মানুষের একটা দর্শনীয় স্থান ছিল। ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে অবশ্যই অনুমতি লাগলেও তা পেতে দেরি হতো না যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকতো। সে দিন গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের বারবেলায় রাজ্য বাজেট, কাজেই তৎপরতা চোখে লাগার মতো।
বহুদিন বাদে বিধানসভায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এই প্রতিবেদকের। কিন্তু বোঝার ভুলে সাত সকালে গিয়ে জানলাম বাজেট বিকেল ৩টেতে এবং তার আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনটিই হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলার বিধানসভা সেই আগের মতোই রয়েছে পটভূমি পরিবর্তন তেমন কিছু বোঝা গেলো না। কিন্তু নিরাপত্তার কড়াকড়ি এতটাই যে মাছি গলার উপায় নেই। প্রশাসন যেমন মিডিয়ার বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে, তেমন বিরোধীরা যাতে বিধানসভার মূল প্রবেশদ্বারে হৈচৈ করতে না পারে তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাধারণত বিধানসভার মূল দরজার উল্টোদিকে সাংবাদিকদের বসার জন্য প্রেস কর্নার রয়েছে। নিয়ম হয়েছে, ওই প্রেস কর্নারের বাইরে এসে গেটের সামনে ছবি তোলা যাবে না। ভিতরেও ক্যামেরা নেওয়া যাবে না। আইপিএস এবং অসংখ্য পুলিস নিশ্ছিদ্র করে রেখেছে প্রবেশ পথ। উপযুক্ত প্রেস কার্ড না থাকলে ঢোকা যাবে না বিধানসভায় সে তিনি যিনিই হন না কেন। নেতারা সাধারণত সঙ্গীসাথী নিয়ে যে কোনও জায়গায় যান। বিধানসভাতেও তারা প্রবেশ করতে পারেন। এবারে নিয়ম হয়েছে, একমাত্র গাড়ির চালক ও আপ্ত সহায়ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না।
অনেকদিন বাদে এসেছি বলে বিধানসভার মার্শাল ডেকে পাঠালেন। প্রশ্ন করলাম, এতো কড়াকড়ি কেন? তিনি জানালেন, এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী থাকলে সিকিউরিটিতে জোর দেওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু আজ আবার বাজেট। সম্প্রতি দিল্লিতে পার্লামেন্টে কিছু মানুষ কোনও এক বিজেপি সংসদের দেওয়া পাস নিয়ে ঢুকে পরে নিরীহ পটকা ফোটায়, তাতেই নাকি সারা ভারতের বিভিন্ন বিধানসভা ও মন্ত্রী মহলের অফিসে নিরাপত্তা অত্যন্ত কঠিন করা হয়েছে।
শেষে জানলাম বিরোধীরাও নাকি যা খুশি আন্দোলন করার করতে পারে, কিন্তু মূল প্রবেশ দরজার সামনে অর্থাৎ রাস্তায়। বিধানসভা আজ সাধারণের প্রবেশের বাইরে থাকা এক স্মারক ভূমি।
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডে দিল্লি পুলিসের হাচে গ্রেফতার আরও এক যুবক। জানা গিয়েছে, তার নাম সাইকৃষ্ণ জাগালি, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিস কর্মচারী। সংসদের ধোঁয়া কাণ্ডে ধৃত মনোরঞ্জন ডি- এর সঙ্গে এই ব্যক্তির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। এছাড়াও ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে জালাউন পুলিস। পুুলিস সূত্রে খবর, এই ব্যক্তির নাম অতুল কুলশ্রেষ্ঠ ও ইনি 'ভগৎ সিং ফ্যান পেজ' এর সদস্য এবং সংসদ ভবনে ধোঁয়া কাণ্ডে তার গুরুতর যোগাযোগ আছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, সংসদের ধোঁয়া কাণ্ডে কর্নাটকের এক ইঞ্জিনিয়ার সাইকৃষ্ণ জাগালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সাইকৃষ্ণ ও ধৃত মনোরঞ্জন একই কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। ২০০৮-২০০৯ সালে বেঙ্গালুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় মনোরঞ্জন এবং সাইকৃষ্ণ রুমমেটও ছিলেন। আর এর খোঁজ ধৃত মনোরঞ্জন ডি-এর ডায়েরি থেকেই পাওয়া গিয়েছে। মনোরঞ্জনের ঘর তল্লাশির সময় একটি ডায়েরিও উদ্ধার করে দিল্লি পুলিস। আর সেখানেই একাধিকবার সাইকৃষ্ণর নাম পাওয়া যায়। এছাড়াও মনোরঞ্জনের মোবাইলের কল লিস্ট তদন্ত করেও সাইকৃষ্ণর সঙ্গে একাধিকবার কথা হওয়ার সূত্র পেয়েছে দিল্লি পুলিস। এছাড়াও সংসদে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাইকৃষ্ণর নাম পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে, দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর।
এছাড়াও দিল্লি পুলিস সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মামলার তদন্তের জন্য জালাউন ওরাই এলাকা থেকে ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। জালাউন পুলিস অভিযুক্তকে অতুল কুলশ্রেষ্ঠ বলে শনাক্ত করেছে। তারা বলেছে যে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, কুলশ্রেষ্ঠ সোশ্যাল মিডিয়ার "ভগৎ সিং ফ্যান পেজ" এর সদস্য এবং সংসদ ভবনে ধোঁয়া কাণ্ডে তার গুরুতর যোগাযোগ আছে। জানা গিয়েছে, কুলশ্রেষ্ঠ, একজন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ড্রপআউট। তিনি একটি উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন। বাম-চালিত কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি ওরাইতে বামপন্থী মতাদর্শে অটল বিশ্বাসের জন্য পরিচিত। মামলায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ অভিযুক্তের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় অংশ নেন তিনিও। সংসদকাণ্ডে ধৃত এক অভিযুক্তর সঙ্গে তার এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যাটিংও পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই সংসদকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করার জন্য ছয় জন আটক ব্যক্তিকেই নিয়ে আসা হবে সংসদে।
সংসদকাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' ললিত ঝা-এর (Lalit Jha) বিষয়ে জানতে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেই ইকো পার্ক থানায় হাজির দিল্লি পুলিসের স্পেশাল টিম (Delhi Police)। এরপরই দিল্লি পুলিসের ৪ প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছলেন ললিতের বাগুইআটির হেলাবটতলার বাড়িতে। ললিত সম্পর্কিত তথ্য নিতে বাগুইআটি হেলাবটতলা বাড়িতে এসেছেন দিল্লি পুলিস। এখানেই থেমে নেই দিল্লি পুলিস। তাঁরা ললিতের ফোনের বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বের করতেও পৌঁছে যান বিএসএনএলের দফতর অর্থাৎ টেলিফোন ভবনে। উল্লেখ্য, ললিত ঝা যে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করত, সেটি বিএসএনএল নম্বর (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল)।
সংসদকাণ্ডের পর থেকেই ললিতের বাংলা যোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ললিত যে কলকাতার দু'জায়গায় ভাড়া থাকতেন তা জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল টিম। ফলে ললিতের বিষয়ে খোঁজ করতে তাঁরা রাজ্যে এসেছেন। সোমবার থেকেই তাঁরা তদন্ত করতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকালেই তাঁরা পৌঁছে যান বাগুইআটি হেলাবটতলার ভাড়া বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, বিগত তিন বছর ধরে ভাড়া ছিলেন ললিত ঝা ও তার পরিবার। ১০ই ডিসেম্বর বাগুইআটি হেলাবটতলার বাড়ি থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ললিত। সে যেই ঘরে ভাড়া থাকত, সেই ঘরে তালা বন্ধ থাকার কারণে ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি দিল্লি পুলিসের আধিকারিকরা। বাড়ির মালিককে প্রায় দেড় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় দিল্লি পুলিস। এর পরই ললিতের ফোন নম্বরের যাবতীয় কল লিস্ট এবং কল হিস্ট্রি জানতে বিএসএনএলের দফতর অর্থাৎ টেলিফোন ভবনে পৌঁছে যান দিল্লী পুলিসের আধিকারিকরা। সংসদকাণ্ডে ললিত সম্পর্কে আর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, সেটাই এখন দেখার।
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডের মূলচক্রী ললিত ঝা-এর সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল টিম। এবারে এই সংসদকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য জানতে মেটা থেকে শুরু করে 'পেটিএম', 'গুগল পে'-কে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিস।
জানা গিয়েছে, সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডে অভিযুক্তদের সম্পর্কে আরও খোঁজখবর নেওয়ার জন্য paytm এবং google pay কে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। ১৩ ডিসেম্বর বা তার আগে 'পেটিএম' বা 'গুগল পে'র মাধ্যমে কী কী টাকা-পয়সার লেনদেন করেছিল অভিযুক্তরা, কাকে কাকে পাঠিয়েছিল বা কারা গ্রহণ করেছিল এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিস। আর সেই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানার জন্য চিঠি লিখেছে দিল্লি পুলিস।
এছাড়াও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'মেটা' কেও চিঠি লিখে অভিযুক্তদের সমস্ত অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চেয়ে পাঠাল দিল্লি পুলিস। 'ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব' নামে যে সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সেটি ইতিমধ্যেই ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সেই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য এবং অভিযুক্তদের নিজেদের মধ্যে করা চ্যাট জানতে চেয়ে মেটাকে (META) জরুরী ভিত্তিক চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিস।
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডের পরই দিল্লিপ পুলিসের হাতে গ্রেফতার একের পর এক অভিযুক্ত। এমনকি এই কাণ্ডের 'মূলচক্রী' ললিত ঝাকেও গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক নয়া তথ্য। এর আগে ললিতের সঙ্গে বং কানেকশনের কথা জানা গিয়েছে। এবারে জানা গেল, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে কীভাবে তার গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছিল।
সংসদের অন্তরে ধোঁয়া কাণ্ডে ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিসের তরফে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে। গ্রেফতারের পর থেকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ললিতকে। দিল্লির পুলিসের স্পেশাল সেলের আধিকারিকরা মনে করছেন, এই বঙ্গে বসেই ললিত সংসদে প্রবেশের ছক কষেছিল। আবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা একদিকে চালিয়ে গিয়েছে ললিত। অন্যদিকে এই গোটা কর্মকাণ্ডে কোন কোন সদস্য তার সঙ্গে থাকবে, কার কী ভূমিকা থাকবে, সবটাই ছক কষেছিল ললিত। পরিবারকে বিহারে পাঠিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, তার দিল্লি যাত্রা সবটাই আগে থেকে ঠিক করা ছিল ললিতের।
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডের পর 'মূলচক্রী' ললিত ঝা-এর (Lalit Jha) সঙ্গে কলকাতা কানেকশন তো আগেই জানা গিয়েছে। এবারে পশ্চিম মেদিনীপুরের কানেকশনও খুঁজে পাওয়া গেল। পুলিস সূত্রে খবর, ললিত ঝা, নীলাক্ষ আইচ এর তৈরি করা 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা'র সঙ্গে এবার যোগ পাওয়া গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের। তারা তাদের সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো। এছাড়াও এই কাণ্ডে নাম উঠে এসেছে আরও এক ব্যক্তির।
সাম্যবাদী সুভাষ সভা- ললিত ঝা, নীলাক্ষ আইচদের এই সংগঠনই এখন দেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার এই সংগঠন নিয়ে উঠে এলো আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন জেলায় সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ করে সংগঠন বাড়ানোর কাজে নেমেছিল ললিত ঝা-রা। কীভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর, মেদিনীপুর শহরেও থাবা বসিয়েছিল 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা'। জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে সমাজ মাধ্যমেই যোগাযোগ করা হয় দাসপুরের ল ক্লার্ক হিমাংশু শেখর মান্নার সঙ্গে। দাসপুর, ঘাটাল সহ আশেপাশের এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হিমাংশুকে। এলাকায় সংগঠন তৈরি করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। রবিবার সকালে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হিমাংশু জানায়, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ফান্ড জমা করতে বলা হয়েছিল তাকে। ললিত ঝা-রা যে সংসদে হামলার মতো এত বড় ঘটনা ঘটাতে পারে তা একেবারেই টের পাননি হিমাংশু। টিভিতে সংসদ হামলার খবর দেখানোর পরেই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যায় হিমাংশু।
একইভাবে মেদিনীপুর শহরেও টার্গেট করা হয় মনীষ মাইতি নামে এক যুবককে। শনিবার রাতে মেদিনীপুর শহরে ডিরোজিও নগরে মনীষের বাড়িতে গেলেও দেখা মেলেনি। বাড়িতে তালা। ঠিক এই ভাবেই 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা' নিজেদের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। যার মধ্যে বাদ যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও। এই সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য কী বা সমাজ সেবার আড়ালে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য এই সংগঠনের ছিল কিনা তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
বুধবার লোকসভায় (LokSabha) এক ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো দেশজুড়ে। এদিন লোকসভায় ২২ বছর আগের পুনরাবত্তি দেখা গেল ফের। দুপুরে শীতকালীন অধিবেশনের সময় নিরাপত্তায় ফাঁকি দিয়ে লোকসভার ভিজিটর গ্যালারিতে ঢোকে এবং সংসদে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাদের ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে পুলিস। আর এবারে জানা গিয়েছে, দর্শনার্থীদের পাশ দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
সাধারণত সংসদের নিয়ম, প্রবেশপত্র বা অনুমতিপত্র থাকলে যে কেউ প্রবেশ করতে পারেন সংসদ ভবনে। উঁচু গ্যালারিতে বসে দেখতে পারেন লোকসভা, রাজ্যসভার অধিবেশন। আবার সাংসদদের অতিথি হলেও সংসদের গ্যালারিতে গিয়ে বসা যায়। কিন্তু আজ দেখা গেল নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আনায়াসেই সংসদ ভবনে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালাল দুই ব্যক্তি। ফলে নিরাপত্তার জন্যই এবার দর্শনার্থীদের পাশ দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা। এর পাশাপাশি এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য ডাকা হল সর্বদলীয় মিটিং। আজ বিকেল ৪ টে থেকেই শুরু হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক। এছাড়াও এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার।
লোকসভায় বড় ধরনের নিরাপত্তার ত্রুটি! আজ অর্থাৎ বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের অষ্টম দিনে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আচমকাই গ্যালারি থেকে কক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টিয়ার গ্যাস ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। অধিবেশন চলাকালীন এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লোকসভা কক্ষে। তাদের মুখে শোনা গিয়েছে, 'তানাশাহী নেহি চলেগা' স্লোগান। ফলে এবারে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যই সংসদের বাইরে থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় হঠাৎ করেই দুজন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক পাবলিক গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে নেমে পড়েন সাংসদদের মাঝখানে। ওখান থেকে তারা দৌড় শুরু করেন ট্রেজারি বেঞ্চের উদ্দেশ্যে। তারা হলুদ রঙের গ্যাসও ছোড়েন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন লোকসভার সাংসদরা। অভিযুক্তদের মুখে স্লোগান 'তানাশাহী নেহি চলেগা' শোনা গিয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে এই ১৩ ডিসেম্বর তারিখেই লোকসভায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ফলে ২০২৩ এর ১৩ ডিসেম্বর ঘটনার সঙ্গে ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পুলিসের ডিসিপি বলেন, 'কোনও হামলা হয়নি। রঙিন ধোঁয়া নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দু'জন ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই সংসদের বাইরে থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হরিয়ানার নীলম (৪২) এবং মহারাষ্ট্রের অমল শিন্দে (২৫) নামে দুই ব্যক্তিকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। এছাডা়ও সংসদের সামনে একি ভাবে হলুদ রংয়ের ধোঁয়া ছড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল একজন, তার নাম সাগর শর্মা। জানা গিয়েছে, সাগর শর্মার কাছ থেকে লোকসভার পাস উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে মহীশূরের বিজেপি সাংসদ এর নাম রয়েছে। সংসদের ঘটনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন লোকসভার অধ্যক্ষ।
রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাকর্মীর দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, নিহত পুলিস কর্মীর নাম ইসরাফিল সাহাজি (৩০)। কল্যাণী ব্লকের মদনপুর জঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা। কল্যাণী হাউজিং-এর পুলিস কোয়ার্টারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।
পরিবারের দাবি, তিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাঁটতে বের হন ইসরাফিল। কিন্তু রাত দশটার বেশি বেজে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেন না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ শুরু করে। বারবার ফোন করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফোন বেজে গেলেও কেউ তোলেননি। অবশেষে রাত বারোটা নাগাদ কল্যাণী মেনস্টেশনে কর্মরত রেলের এক আধিকারিক ফোনটি তোলেন। এরপরেই এই দুঃসংবাদ জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। ওই রেল আধিকারিক জানান, কল্যাণী সাহেব বাগান সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে পুলিস কর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
কল্যাণী মেন স্টেশনে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন রেলের আধিকারিকেরা এবং মোবাইলে ছবি দেখানো হয়। জানানো হয় তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে রানাঘাটে।
পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারছেন না, আদৌ কি আত্মঘাতী হয়েছেন ইসরাফিল? নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। কাজের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও সমস্যা ছিল নাকি ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মণিপুরে অশান্তি যেন থামার নাম করছে না। আবার নতুন করে উত্তপ্ত উত্তর পূর্বের এই রাজ্য। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মেইতেই মহিলাদের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৭ জন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ব্যারিকেড ভাঙতে যায় মেইতেই জনগোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের বাধা দেয় অসম রাইফেলস এবং র্যাফ। সেখান থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি শুরু করে উত্তেজিত জনতা।
একই জেলার কাংভাই এবং ফউগাকচাও-এ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। উল্লেখ্য, গত ৪ মে রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার নিন্দা করে। এছাড়া কুকি ও মেইতেই সংঘর্ষের জের এখনও অব্যাহত।
বলিউডের (Bollywood) অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারা আলি খান (Sara Ali Khan), যিনি তাঁর অভিনয়ের জন্য প্রত্যেকের মন জিতে তো নিয়েছেনই, এর পাশাপাশি তাঁর স্বভাবের জন্য বেশ জনপ্রিয় তিনি। এই সারাকেই দেখা গিয়েছে, বরাবর শিবের আরাধনা করতে। ফলে এর থেকে মনে করাই যায়, মহাদেবের বড় ভক্ত তিনি। তাই এবারে তাঁকে দেখা গেল অমরনাথ যাত্রায়। কিছুদিন আগেই কেদারনাথ দর্শন করে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবারে অমরনাথে (Amarnath Yatra) গেলেন সারা। বর্ষা আসার পর থেকেই বিপর্যয় নেমে এসেছে অমরনাথের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এই সব দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন অমরনাথে।
সারা আলি খান ও ভিকি কৌশলের ছবি 'জারা হটকে জারা বাঁচকে'-এর সাফল্যের পরই তাঁরা গিয়েছেিলেন উজ্জ্বয়িনীর মহাকাল মন্দিরে। এরপর সারাকে দেখা গেল অমরনাথে। তিনি কাশ্মীর ভ্রমণ করেই অমরনাথের পথে যাত্রা শুরু করেন। তিনি যাওয়ার ফলে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পোক্ত করা হয়েছে। সেই ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দেখা গিয়েছে, তুঁতে রংয়ের জ্যাকেট-প্যান্ট পরে অমরনাথ দর্শনে গিয়েছেন সারা। নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝেই হাতে লাঠি নিয়ে হেঁটে চলেছেন তিনি। তবে তারকা সুলভ তেমন কোনও জৌলুস দেখা যায়নি তারমধ্যে, যা দেখে বেজায় খুশি অনুরাগীরা।
পঞ্চায়েতে ব্যাপক সাফল্যের পর মেগা সমাবেশ তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন দলের কর্মী সমর্থকরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবছর রেকর্ড সংখ্যক ভিড়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন পুলিসের পদস্থ কর্তারা।
জানা গিয়েছে, একাধিক টিম গঠন করে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। কলকাতা ও শহরতলি মিলিয়ে মোট ৫ হাজার পুলিস মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যে একাধিক পয়েন্টে পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিসের তরফে মোট ২০টি ছাদ বেছে নেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে নজরদারি চালাবে পুলিসের একাধিক টিম।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেপুটি পুলিস কমিশনার পদমর্যাদার ৩১ জন অফিসার ২১ জুলাইয়ের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ৮ জন এবং এসিস্টেন্ট কমিশনার পদমর্যাদারে ৮০ জন অফিসারের উপরেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৮টি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর,পুলিশের তরফে ৪৮টি কিয়স্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম এবং কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা।
ভারতের মাটিতে পাক (Pakistan) দলের বিশ্বকাপ (World Cup) খেলার আগে, নিরাপত্তা (Security) খতিয়ে দেখতে আসছে সে দেশের প্রতিনিধি দল। পাক ক্রীড়া মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ভারতের মাটিতে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে একদিনের বিশ্বকাপ। তার আগে পাকিস্তান যে যে শহরে খেলবে, সেই শহরের মাঠের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ করে ১৫ অক্টোবর আমেদাবাদে ভারত-পাক ম্যাচ রয়েছে, সেই মাঠেও যাবেন পাক নিরাপত্তা প্রতিনিধিরা। পিসিবি-র ভোট মিটলে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বহু টালবাহানার পরেই ভারতের বিশ্বকাপ খেলতে হ্যাঁ বলতে হয়েছে পাক ক্রিকেট বোর্ডকে। কারণ, তাদের পছন্দকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে আইসিসি এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ২০১১, ২০১৬ সালে পর ফের ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে আসছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই পাক ক্রিকেটারদের সূচি নয়, ম্যাচে ফোকাস করতে পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াসিম আক্রামের মতো প্রাক্তনরা।
ভারতীয় ক্রীড়া মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পাক প্রতিনিধিদের প্রতিটি মাঠ ঘুরে দেখানোর ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। বিশেষ করে আমেদাবাদে তাঁদের জন্য রাখা হবে পৃথক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে কবে পাক প্রতিনিধিরা আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলার মহারাজের নিরাপত্তা বাড়তে চলেছে। বর্তমানে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর। যদিও আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছে দিল্লি, তবে এখনও তাদের শেষ গ্রূপ ম্যাচ বাকি। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গেই শেষ ম্যাচ খেলতে চলেছে দিল্লি ক্যাপিট্যালসরা। এরপর শহরে ফিরেই বাড়তি নিরাপত্তা পাবেন সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। জানা গিয়েছে, এতদিন তিনি ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা (Security) পেতেন। এবার থেকে মহারাজকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
সৌরভ গাঙ্গুলি এবার থেকে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার চাদরে থাকবেন। ২০ থেকে ২২ জন নিরাপত্তা দেবেন সৌরভকে। ২৪ ঘণ্টা সৌরভের পাশাপাশি, তাঁর বাড়িতেও থাকবে নিরাপত্তা। মহারাজের সঙ্গে থাকবে মোট তিনটি গাড়ি। এর মধ্যে রয়েছে একটি এসকর্ট গাড়ি, একটি পাইলট কার এবং একটি টেল কার। আচমকা নিরাপত্তার ধাপ বাড়াতে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে মহারাজের কী তাহলে প্রাণ সংশয় রয়েছে?
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে কোনও যোগ নেই সৌরভের। দিল্লি ক্যাপিটালসও লাগাতার খারাপ ফল করে আইপিএলের দলের তালিকায় একেবারে শেষের দিকে রয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাজের নিরাপত্তার দিকগুলি খতিয়ে দেখেছে পুলিস। মহারাজ নিজেই নাকি তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। তাহলে কী কোনও হুমকি পেয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি? জোর জল্পনা চারিদিকে।