'দেশি গার্ল' যে এখনও বিদেশি হয়ে যাননি, তা ফের প্রমাণিত। তুতো বোন পরিণীতি চোপড়ার (Parineeti Chopra) বাগদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport) আসতেই ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। কোনও বলি তারকাদের দেখলেই সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন ছবি তুলতে। আর এবারে চোখের সামনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে দেখতে পেয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি এক অনুরাগী। প্রিয়াঙ্কার কাছে ফোন নিয়ে কাছে গেলেই রীতিমতো ধাক্কা দেন প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তারক্ষী। আর এই দেখেই ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার ব্যবহার দেখলে মুগ্ধ হবেন আপনি।
শনিবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বোনের বাগদান অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নিজের দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দরের সেই ভিডিও বর্তমানে সমাজমাধ্য়মে ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কাকে দেখতেই তাঁর সামনে কিছু ফ্যান চলে আসায় একজনকে ধাক্কা দেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা হাঁটতে হাঁটতে থেমে যান ও ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে সেই ফ্যানের সঙ্গে ছবি তোলেন।
প্রিয়াঙ্কার এমন ব্যবহারে বেজায় খুশি নেটদুনিয়া। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। নেটাগরিকরা কেউ বলেছেন, 'প্রিয়াঙ্কা খুবই দয়ালু।' অনেকের মতে, তিনি এত বড় অভিনেত্রী হয়েও তাঁর মধ্যে নেই বিন্দুমাত্র অহংকার। ফলে ভিডিওর কমেন্ট বক্স ভরে গিয়েছে নেটিজেনদের ভালোবাসায়।
দেশজুড়ে সাইবার হানার (Cyber Attack) আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রায় ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে (Indian Government Website) সাইবার অ্যাটাক হতে পারে। এই সতর্কবার্তার (Cyber Security) পর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার সাইবার অ্যাটাক গ্রুপ সাইবার হানার জন্য ছক কষেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাইবার হানার জন্য বিশেষ করে দেশের সরকারি ওয়েলবসাইটগুলোকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। সাইবার হানার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সরকারি কর্মচারীদের ওয়েবসাইটগুলোতে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কীভাবে ওয়েবসাইটগুলোকে হ্যাকার করতে পারে সে বিষয়েও জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, হ্যাকারদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কে বেশি করে ট্রাফিক নিয়ে এসে নর্মাল অপারেশনে বাধার সৃষ্টি করবে।
ফলে একাধিকবার দেশের সরকারি কর্মীদের সতর্ক করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা কোনওরকমের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নেটওয়ার্কের ফাঁদে না পড়েন বা কোনও অজানা লিঙ্ক বা ইমেলে ক্লিক না করেন। যেগুলো ওয়েবসাইটকে ক্ষতি করতে পারে।
সরাসরি হামলা না করে এখন দেশের উপর সাইবার হানা করা হচ্ছে। দেশের ওয়েবসাইটগুলোকে হ্যাক করে বিভিন্ন তথ্য হাতানো ও সমস্ত পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্থ করাই হ্যাকারদের প্রধান উদ্দেশ্য। এর আগে মালয়েশিয়ার হ্যাকার গোষ্ঠী 'DragonForce' দেশের সরকারি ওয়েবসাইগুলোকে হ্যাক করেছিল। ফলে এবারে যাতে ইন্দোনেশিয়ার হ্যাকার গোষ্ঠী সাইবার সন্ত্রাস না ঘটাতে পারে তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।
ভাইজানকে খুনের হুমকি (Threat)। কথা না শুনলে বিপদ আছে এমনটাই হুমকি আসে সলমানের (Salman Khan) কাছে। এইধরনের খুনের হুমকি আসায় সলমানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তাঁর পরিবার। এই ঘটনায় শুধু সলমানের বডিগার্ড (Body Guard) নয়, নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিসও।
শনিবার রাতে মোহিত গর্গ নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে মেল (Mail) করা হয় সলমানকে। সরাসরি মেলটি সলমান যে পড়বেন, তা জেনে বুঝেই করা হয়েছে। ইমেলে (Email) লেখাছিল, গোল্ডি ভাই কথা বলতে চায় তোর বসের সঙ্গে। বাকি থাকা কিছু হিসাব মেটাতে হবে, কথা বলিয়ে দিস। এখনও হাতে সময় আছে তাই মনে করিয়ে দিলাম। সময় ফুরিয়ে গেলে আর মনে করাব না শুধু ঝটকা দেব।
হুমকির এই ঘটনার পরই চব্বিশ ঘণ্টা সলমানের নিরাপত্তার জন্য দু'জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস ইনস্পেক্টর এবং ৮-১০ জন পুলিস কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি সলমান খানের বান্দ্রার বাড়ি, গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ফ্যানেদের জমায়েতের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিস। এছাড়াও যাতায়াতের জন্য সবসময় বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। গোটা নিরাপত্তার দেখভাল করছেন অভিনেতার দীর্ঘ দিনের সহযোগী শেরা।
কয়েকদিন আগেই জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে আসে। যেখানে সরাসরি সলমানকে খুন করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি, এটাও বলেন যে সলমানকে খুন করাই তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তারপরেই আবার নতুন খুনের হুমকি সলমানের বিরুদ্ধে।
ভারত-শ্রীলঙ্কা (India-Srilanka ODI) একদিনের ম্যাচের আগে ইডেন গার্ডেনস পরিদর্শনে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল (Kolkata CP Vineet Goyel)। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ম্যাচ আয়োজনের নিরাপত্তাজনিত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন নগরপাল। ছিলেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ পুলিসকর্তারা। ৬ বছর পর ইডেন গার্ডেনসে (Eden Gardens) আয়োজিত হবে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। দ্বিতীয় এই একদিনের ম্যাচের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই এদিন ইডেন পরিদর্শনে আসেন কলকাতার নগরপাল।
এদিন পুলিস কমিশনার ছাড়াও ছিলেন জয়েন্ট সিপি (হেড কোয়ার্টার) শুভংকর সিনহা সরকার-সহ অন্য উচ্চপদস্থ পুলিসকর্তারা। দর্শকাসন থেকে লোহার নেট নিয়ে নিরাপত্তা কী রয়েছে সেটা দেখেন পুলিসকর্তারা। পাশাপাশি দর্শকদের প্রবেশ এবং প্রস্থান পথ কীভাবে থাকবে, সে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেন তিনি। এই সময়ই বাবুঘাট দিয়ে গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার একটা ঢল থাকে, সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আরও সতর্ক কলকাতা পুলিস।
এদিকে এবার ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে অনেক আকর্ষণ রয়েছে। এবার ইডেনে পাওয়া যাবে নতুন ভিআইপি লাঞ্চ, থাকছে নবরূপে সুসজ্জিত প্রেস বক্স। এদিন থেকেই খুলেছে ভারত শ্রীলঙ্কা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের টিকিট বিক্রির উইন্ডো। অনলাইনে সমস্ত টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অনেকে অফ লাইনের আশায় ভিড় জমাচ্ছেন ইডেন গার্ডেনসের টিকিট কাউন্টারে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, রোহিত শর্মার লাকি স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন। তাই বিরাট আর রোহিত শর্মার খেলা দেখার জন্য উৎসাহিত ক্রিকেট প্রেমী বাঙালি।
৩০ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার দিনভর কলকাতা এবং হাওড়াজুড়ে একাধিক কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi at Kolkata)। সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা (PM Security) এবং যাত্রাপথ সুরক্ষিত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা এবং হাওড়া পুলিস। যদিও কোন পথে নরেন্দ্র মোদী হাওড়া স্টেশন যাবেন, সেই রুট ঘিরে তরজায় জড়িয়েছে রাজ্য এবং প্রধান বিরোধী দল। যদিও সতর্কতা অবলম্বনে ট্রাফিক নির্দেশিকা জারি করেছে লালবাজার।
জানা গিয়েছে, কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রিত থাকবে স্ট্র্যান্ড রোড এবং হাওড়া ব্রিজের যান চলাচল। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে দ্বিতীয় হুগলী সেতু। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রবেশ নিষিদ্ধ পণ্যবাহী গাড়ির।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নবান্নকে জানানো হয়েছে ঘোষিত সূচির থেকে কিছুটা দেরিতে শুরু হতে পারে হাওড়া স্টেশনের অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার পরিবর্তে সকাল ১১:১৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী।
তারপর, হাওড়া স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করে ৩০ মিনিট থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর বারোটা নাগাদ আইএনএস নেতাজি সুভাষ সংলগ্ন এলাকায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখবেন তিনি। আইএনএস নেতাজি সুভাষের দ্বিতীয় গঙ্গা পরিষদের প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দুপুর দুটোর পর সারবেন মধ্যহ্নভোজ। দুপুর ৩:১৫ নাগাদ কলকাতা এয়ারপোর্টে গিয়ে বিশেষ বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩০ ডিসেম্বর জোকা-তারাতলা স্ট্রেচ কলকাতা মেট্রো প্রকল্প (বেগুনি লাইন) উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি তিনি নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, যার পুনর্নির্মাণের খরচ ৩৩৫ কোটি টাকারও বেশি। পিএমও সূত্রে খবর, তিনি ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
হাওড়া স্টেশনে (Howrah) বহু প্রতীক্ষিত বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্মসূচি উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গ সফরে আসছেন তিনি। হাওড়া স্টেশনের ২২ কিংবা ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মূল অনুষ্ঠান। কিন্তু অনুষ্ঠানের একদিন আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে হাওড়া স্টেশন। স্টেশনের ভিতরের নিরাপত্তার দায়িত্বে এসপিজি আধিকারিকরা আর বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে আরপিএফ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্টেশনের ২১,২২ এবং ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম যাত্রীদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) স্টেশন ছাড়ছেন, এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
জানা গিয়েছে, বিশেষ পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেল আধিকারিক হলেও সেই আই কার্ড ছাড়া প্রবেশ নয়। পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনের যাত্রী নিবাস, এসপিজির দখলে। সাধারণ যাত্রী কোনভাবেই প্রবেশ করতে পারবেন না ২১,২২ এবং ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। একপ্রস্থ মক ড্রিল সেরে রেখেছে এসপিজি। প্রবেশাধিকার নেই সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও।
স্টেশন চত্বরে থাকা এবং প্ল্যাটফর্মে ঢোকা প্রতি গাড়িতে চলছে চেকিং, বসছে এক্স-রে ব্যাগ স্ক্যানার। দমকলের একটি গাড়ি আপাত ভিত্তিতে রাখা হয়েছে ভিতরে। দমকলের আরও একটি গাড়ি থাকবে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঠেকাতে। চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হবে জানা গিয়েছে আরপিএফ সূত্রে। রেলের ডিআরএম-র পাশাপাশি আরপিএফ সমন্বয় রেখে কাজ করছে। এমনটাই সূত্রের খবর। এদিকে, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তিনটি স্টেশনে থামবে। এমনটাই রেল সূত্রে খবর।
ফের কলকাতার উপকণ্ঠে দুঃসাহসিক ঘটনা। এক বেসরকারি সংস্থার পাঁচিল টপকে আচমকাই হাজির এক চোর (thief)। তবে উদ্দেশ্য হল না সফল। গা ঢাকা দিতে গিয়ে সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীর (Security Guard) নজরে পড়ে যায় সেই অল্পবয়সী তস্কর। আর তাতেই বিপত্তি। নিরাপত্তা কর্মীর চিৎকার-চেচামেচিতে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে সেই ছিঁচকে চোরটি। ঘটনাটি মহেশতলা (Maheshtala) থানার অন্তর্গত চন্দননগর এলাকার একটি সংস্থার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চোরের নাম কৌশিক সেনগুপ্ত।
কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড জানান, শুক্রবার ভোররাতে চোর নজরে পড়তেই চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে সবাই বেরিয়ে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে চোরকে। এরপর কোম্পানির ভিতরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় চোরকে। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে চোরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়।
এখনই হচ্ছে না ৫ নভেম্বরের প্রস্তাবিত পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা (Eastern Zonal Security Council) পরিষদের বৈঠক। আপাতত তা পিছিয়ে দেওয়া হল। তবে পরবর্তী দিন এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানানো হয়নি বলেই খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) পৌরহিত্যে ৫ নভেম্বর নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আয়োজক রাজ্য হিসেবে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সদস্য রাজ্য হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের। কিন্তু বিশেষ কাজ পড়ে যাওয়ার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে নবান্নকে।
সেই সঙ্গে এটাও জানানো হয় পরবর্তী বৈঠকের দিন সঠিক সময়েই জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে বৈঠক হবে ধরে নিয়ে নিজেদের সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরেছিল নবান্ন। আন্তঃরাজ্য সম্পর্কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমারেখায় বিএসএফের ভূমিকা, বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি, চোরাচালান, অনুপ্রবেশ-সহ সব বিষয়ে আলোচনা করতে নিজেদের প্রস্তুত রেখেছিল নবান্ন।
এদিকে দু’দিন আগে হরিয়ানার সূরযকুণ্ডে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বাড়ির কালীপুজো ও ভাইফোঁটা-র কারণেই মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফ থেকে ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন এডিজি হোমগার্ড নীরজ সিং। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের ডাকা হয়েছিল সেই বৈঠকে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হলেও ৫ তারিখ বৈঠক হলে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যেত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সম্ভাব্য বৈঠক ঘিরেও একটা চাপা রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছিল।
হাই সিকিওরিটি, ভিভিআইপি (VVIP) জোন, যেখানে মাছি গলার উপক্রম নেই। সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) দিল্লির বাড়িতে ঢুকে পড়ল সাপ! বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় হুলস্থুল। চিহ্নিত বন্যপ্রাণকে (Snake Found) উদ্ধার করতে এবং আবাসিকদের নিরাপদে রাখতে বাড়ির নিরাপত্তার (Security) দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মধ্যে শুরু তৎপরতা। পরে অবশ্য জানা যায়, পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই সাপ নির্বিষ ঢোঁড়া প্রজাতির। পোশাকি নাম ‘এশিয়াটিক ওয়াটার স্নেক’, কিন্তু বাংলায় এই সাপকে জলঢোঁড়া বলে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সূত্রে খবর, গায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকায় সাপটিকে দেখেই মন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁরা। খবর যায় বন্যপ্রাণ বিভাগে। বিভাগের দু’জন কর্মী এসে সাপটিকে উদ্ধার করেন। জানা গিয়েছে, সাপটি নিরাপত্তা আধিকারিকদের ঘরের সামনে একটি কাঠের প্যানেলে ঢুকে ছিল। এই ধরনের সাপ সচরাচর পুকুর, ডোবার মতো ছোট জলাশয়ে থাকে। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে এই ধরনের সাপ সংরক্ষণে জোর দেওয়া হয়েছে।
বন্যপ্রাণ বিভাগের এক কর্তা জানান, আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা নিজেরা কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত না নিয়ে আমাদের খবর দেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষজন মনে করেন সাপ বা অন্য কোনও সরীসৃপ নগরজীবনের কাছে হুমকি। তাদের মেরে ফেলা হয় সহজে। দিল্লি প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বর্ষার মরসুমে দিল্লির নানা প্রান্ত থেকে এমন ৭০টি সাপকে উদ্ধার করা হয়েছে।
হাইকোর্টে বাতিল হয়ে গেল মমতা সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প (Duare Ration Scheme)। রাজ্য সরকার গৃহীত এই প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা (National Food Security Law) আইনের পরিপন্থী। এই যুক্তিতে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের নির্দেশিকা খারিজ করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court)। আইনের চোখে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন। আদালতের এই রায়ে রেশন ডিলার্সদের বহুদিনের আইনি লড়াই সাফল্যের মুখ দেখল। এমনটাই দাবি বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ফেডারেশনের।
একুশের ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের অনুকরণে দিল্লিবাসীর দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছেন কেজরিওয়াল সরকারও। কিন্তু এই প্রকল্পের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে রেশন ডিলার্সদের সংগঠন। যদিও সেই মামলায় তাঁদের বিপক্ষে রায় দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ। কিন্তু সেই রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে দরবার করেন বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ফেডারেশন, রেশন ডিলার জয়েন্ট ফোরামের সদস্যরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই দুয়ারে রেশন প্রকল্প বাতিল করে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছিল রেশন ডিলারদের। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন তাঁরা। এই অভিযোগ তুলে প্রথম একটি মামলা দায়ের হয়েছিল মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে। কিন্তু আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চে আইনি লড়াইয়ে সাফল্যের মুখ দেখেন রেশন ডিলাররা।
ঠিক মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। সমানে টলছিলেন দুই যাত্রী (passenger)। নিজেদের সামাল দিতে না পেরে সিকিউরিটি পোর্টালের (Security portal) সামনে হুড়মুড়িয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওভাবে টেনে তোলেন তাঁদের। এবং বিমানবন্দরের টার্মিনাল (airport terminal) থেকে বাইরে বার করে দেন ওই দুই মদ্যপ অবস্থায় থাকা যাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের (Kolkata Airport) অন্তর্দেশীয় টার্মিনালের ই-পোর্টালের কাছে।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, কোনওভাবেই দুই যাত্রী নিজেদের সামাল দিতে পারছিলেন না। মদ্যপ অবস্থায় বিমানে উঠতে দেওয়া নিয়মের বাইরে। তাই তাঁদের আটকানো হয়েছিল বলে জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে দুই ভারতীয় ইন্ডিগোর বিমানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন চেন্নাই যাওয়ার জন্য। কলকাতা থেকে তাঁদের কানেক্টিং ফ্লাইট ছিল। অভিযোগ, দুই যাত্রী সিকিউরিটি পোর্টালের কাছে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন দীর্ঘক্ষণ। বিমান সংস্থার কর্মীরা চিকিৎসক নিয়ে এসে তাঁদের পরীক্ষা করালে জানা যায় দুজনেই অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান করেছেন। এরপর তাঁদেরকে বিমানে তুলতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার কর্মীরা। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা দুজনকেই টার্মিনালের বাইরে বার করে দেন।
রাজ্য নিরাপত্তা কমিশন (State Security Commission) গঠনের ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবিকেই শেষ পর্যন্ত মান্যতা দিলেন নবান্ন। রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের পুনর্গঠন করলেন রাজ্যপাল। ওই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। আর মুখ্যমন্ত্রীর পরই কমিশনের দ্বিতীয় সদস্য হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নিরাপত্তা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিসের ডিজি, রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী, রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়, এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মৃণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরাতত্ত্ববীদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি।
টেট(TET) দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক(tmc mla) মানিক ভট্টাচার্যর নিরাপত্তা(security) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুলিস(State Police)। সিবিআইয়ের লুক আউট নোটিসের(lookout notice) পরই বিধায়কের নিরাপত্তা তুলে নিল রাজ্য পুলিস। অর্থাত্ এখন থেকে আর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য তাঁর বিধায়ক হিসেবে প্রাপ্য নিরাপত্তা রাজ্য পুলিসের কাছ থাকে পাবেন না। শুক্রবার সকালেই রাজ্য পুলিস সূত্রে এই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, এবার মানিককে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে ইডি আধিকারিকরা বলে সূত্রের খবর। মানিক ভট্টাচার্যের বিষয়ে গতকালই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন ইডি আধিকারকরা। আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে আজ জরুরি বৈঠক।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই তিনি নিখোঁজ(missing) বলে বুধবার খবর ছড়িয়েছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি সেই তথ্য জানায় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের। এরপরই যাতে মানিক ভট্টাচার্য দেশের বাইরে এবং রাজ্যের বাইরে যেতে না পারেন তার জন্য লুকআউট নোটিস জারি করে সিবিআই। সেই নোটিসের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিধায়ক হিসেবে রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।
কৃষকদের (Farmers) বিক্ষোভ (Agitation) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার (Security) চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিকে। বিশেষত সীমান্ত (Border) এলাকাগুলিতে কড়া পুলিস প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এই জমায়েতের জন্য পুলিস অনুমতি না দেওয়ায় গণ্ডগোলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিস জানিয়েছে, কোনও জমায়েত করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কী দাবিতে এই আন্দোলন? সংগঠনগুলি জানিয়েছে, উত্পাদিত শস্যের জন্য মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু করার দাবি তাদের দীর্ঘদিনের। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বছরভর আন্দোলন করাকালীন যাঁদের বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়েছে, সেগুলি তুলে নেওয়ার দাবিও রয়েছে।
এদিকে নিরাপত্তার কারণে শুধু দিল্লি পুলিস নয়, বাইরে থেকে বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে। সিংঘু, টিকরি, গাজিপুর সহ সীমান্ত এলাকাগুলিতে সমস্ত গাড়ি পরীক্ষা করার পর তবেই রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে শহরে যানবাহনের গতিও শ্লথ হয়ে গিয়েছে। রেললাইন, বাসস্টপ এবং মেট্রোতেও বিশাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কিছু রুটে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন। সব মিলিয়ে গোটা দিল্লি জুড়ে সাজো সাজো রব।
উল্লেখ্য, গত রবিবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতকে সীমান্তে আটক করা হয়েছিল। কারণ, ঘোষিত কর্মসূচি মহাপঞ্চায়েতে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি দিল্লি ঢুকতে চাইছিলেন। তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার পর তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, শেষ নিঃশ্বাস পড়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।
আগামী সোমবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস(Independence day) উদযাপন। এ বছর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা(National flag) দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra mODI) সম্প্রতি জনগণকে ১৩-১৫ আগস্টের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা প্রদর্শন করে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে।
প্রত্যেকবারের মতো লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার নজরদারি কড়া করা হয়েছে। দিল্লি পুলিসের(Delhi police) পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে ভাষণ দেবেন তাঁর দিকে ঘুড়ি উড়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তাই বাড়তি সতর্কতা দিল্লি পুলিসের। ৪০০ ঘুড়িবাজকে ভাড়া করা হয়েছে। লালকেল্লা সংলগ্ন চাঁদনি চক এলাকার ছাদে তাদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে যদি কোনও ঘুড়ি উড়ে আসে, তখন ওই ঘুড়িবাজরা বিশেষ কায়দায় ঘুড়ি কেটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন।
অন্যদিকে, লালকেল্লা এলাকার নিরাপত্তার নজরদারিতে থাকছে ১০ হাজার পুলিসকর্মী। আশেপাশে বাড়ির ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হবে এবং নজরদারি চালনোর পাশাপাশি স্নিফার ডগও থাকবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবা আক্রমণ চালাতে পারে, দিনকয়েক আগেই দিল্লি পুলিসের কাছে এই গোয়েন্দা তথ্য এসেছিল। তারপর থেকে দিল্লিতে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু হয়।
এদিকে, দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে তুলতেই শুরু হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। আজ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিতে সামিল হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এদিন তিনি নিজের বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রীও।