সাতসকালে সল্টলেকের জিসি ব্লকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতি। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা এবং বিধায়ক সুজিত বোস। দম্পতির দেহের পাশ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। সত্যিই কি আত্মহত্যা, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের জিসি ব্লকের বাসিন্দা যদুনাথ মিত্র এবং তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্র বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। যদুনাথবাবু পেশায় চিকিৎসক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে কাজ করতে এসে যুগলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন বাড়ির কাজের লোক। চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দম্পতিকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস আধিকারিকরা। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসও।
তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে আসেন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা। তাঁর দাবি, দেহগুলির পাশ থেকে রান্নায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা রয়েছে, স্ত্রী মন্দিরা মিত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন ডঃ জেএন মিত্র। ধারালো অস্ত্রের কোপে স্ত্রী মন্দিরা মিত্র-র মৃত্যু হলেও অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন স্বামী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? তা নিয়ে সন্দিহান পুলিস। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো নীল আলোযুক্ত গাড়ি নিয়ে চুরির অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার সল্টলেকে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই গাড়িটিকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সল্টলেকের ইই-ব্লকের বাসিন্দা মহেন্দ্রনাথ সরকার বিধান নগর পূর্ব থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে তিনটি জেনারেটর চুরি গিয়েছে। সেই চুরির ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে বিধান নগর পুলিস।
এরপর অভিযোগকারীর বাড়ির ও বিধান নগরের বিভিন্ন জায়গার মোট ৩৭টি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিস। তারপরেই নীল আলো লাগানো গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়। রবিবার উল্টোডাঙার বাসন্তী দেবী কলোনি থেকে ওই গাড়ির ড্রাইভার তপন রায়কে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক অভিযুক্ত বিমল ব্যাপারীর নাম জানতে পারে পুলিস। তারপর গ্রেফতার করা হয় বিমল ব্যাপারীকেও। আটক করা হয়েছে নীল আলো ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো গাড়িটিকে। সূত্রের খবর, এই গাড়িটি নবান্নে ভাড়ায় দেওয়া রয়েছে। গাড়িটির মালিকের সম্বন্ধে খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বিধান নগর পুলিস।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। একযোগে শহরের ৪ জায়গায় ইডি হানা। চৌরঙ্গীতে শঙ্কর আঢ্যর ফিনান্স অফিসে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি চাডার্ড অ্যাকাউন্সের অফিসেও যান গোয়েন্দারা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। এছাড়া কলিন স্ট্রিটে ত্রিনয়নী ফোর এক্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও হানা দেয় ইডি।
আগামী ২০ জানুয়ারি ফের রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার আগে তল্লাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি ইডির। অরবিন্দ সিং যিনি শঙ্করের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন, সেই অফিস থেকে যাবতীয় ডিজিটাল এফিডেন্স হার্ডডিক্স চেক করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর আগে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শঙ্কর আঢ্য হাওয়ালার মাধ্যমে দেশে টাকা পাচার করতেন। তাদের মাধ্যমেই টাকা পাচার করতেন কিনা এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করা হত কিনা তা জানতে তৎপর ইডি।
বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল শহর কলকাতায়। চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পেতে প্রতারণার করার অভিযোগে এবারে গ্রেফতার এই চক্রের মূল পান্ডাকে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি সল্টলেকের। জানা গিয়েছে, এই চক্রের মূল পান্ডার নাম সুশান্ত নায়েক, রানাঘাটের বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২২ মে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর বন্ধন ব্যাঙ্কের হেড অফিসের ফ্রড কন্টাইনমেন্ট এন্ড মনিটরিং ডিপার্টমেন্টের হেড মেহুল হাসমুখ লাল ঠাক্কার বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তাঁদের ব্যাঙ্কের এক কাস্টমার ইপ্সিতা ভট্টাচার্য ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে একটি অভিযোগ করেন। যেখানে ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য দাবি করেন, তিনি shine.com নামের একটি ওয়েবসাইটে চাকরির সন্ধান পান। এর পর সেখানে তাঁর সিভি জমা করেন এবং তার কিছুদিন পরেই সেই ওয়েবসাইটের তরফ থেকে তাঁকে মেইল মারফত জানানো হয় বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির বিষয়ে। সেই চাকরির জন্য তাঁকে যোগাযোগ করতে বলা হয় একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে। তিনি সেই মোতাবেক সেই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁকে বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয় এবং তাঁর কাছে বিভিন্ন খাতে টাকা চাওয়া হয়। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন ও বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির আশ্বাস পেয়ে ওই চাকরিপ্রার্থী এক লক্ষ বাইশ হাজার টাকা সেই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন। তার পরিবর্তে প্রতারক দল তাকে ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং ফেক অফার লেটার পর্যন্ত দেয়।
বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়, শুধু অফার লেটার বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ভুয়ো নয় তারা যে মেইল আইডি ব্যবহার করে মেইল করছে সেটিও ভুয়ো। এর পর পুলিস তদন্তে নামে ও এর আগেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মূল পান্ডার খোঁজ পায় পুলিস। তার পরেই মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে এবং পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।
সল্টলেকের পূর্বাচল ক্লাসটার ফোর থেকে এক যুবকের পচাগলা ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম অরণ্য রায় (৩০)। প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে পূর্বাচল-এর ক্লাসটার ফোরে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। মা ও ছেলে দু'জন মিলে থাকত সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, দিন চারেক আগে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল ছেলের। তারপর থেকে চলে যায় তাঁর মা। এরপর শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হওয়াতে বিধান নগর দক্ষিণ থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিস এসে দরজা খুলে দেখে ঘরের মধ্যে ওই যুবকের মৃতদেহটি পচগলা অবস্থায় ঝুলছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, একটি গাড়ির লোন চলছিল ওই মৃত যুবকের। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ওই লোনের জন্য কিংবা পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে এই মৃত্য়ুর পিছনে অন্য় কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সপ্তাহের শুরুতে সাতসকালে পথ দুর্ঘটনা। একটি চার চাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাহত হয় যানচলাচল। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, কেবি ১৬ রুটের একটি বাস গোদরেজ ওয়াটারসাইড থেকে করুণাময়ীর দিকে যাচ্ছিল। আর চার চাকা গাড়িটি নিউটনের দিক থেকে নিকো পার্কের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীবোঝাই বাসটি সিগন্যাল ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় আরএস সফটওয়্যার বিল্ডিংয়ের দিক থেকে আসা চার চাকা গাড়িটি সজোরে বাসে ধাক্কা মারে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই উলটে যায় বাসটি। এই ঘটনায় চার চাকা গাড়ির এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ার কারণে রক্ষা পেয়েছে ওই গাড়িতে থাকা সকলে। এই ঘটনায় দু'জন বাইক চালকও আহত হয়েছেন।
কোনও ভাবেই যেন রোখা যাচ্ছে না ডেঙ্গি, এমনকি রোখা যাচ্ছে না মৃত্যুও। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও এক মহিলার। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সল্টলেকের বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডলের। বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি, বৃহস্পতিবার সকাল ৭:৫০ নাগাদ মারা যান তিনি।
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই শহর কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ জনের, সেই হারেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। একদিকে যেমন গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ প্রায় ৪০ হাজার ছুঁয়েছে। অন্যদিকে কেবল কলকাতাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁয়েছে। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জেলাশাসকরা। এরপর নবান্ন কতৃর্ক গোটা রাজ্যের ডেঙ্গি রুখতে যত কর্মী কাজ করছেন সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকি এই কাজে পুলিসকেও হাত লাগাতে বলা হযেছ।
অন্যদিকে কলকাতা পুর এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। দুজনেই কলকাতার বিভিন্ন ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকা ঘুরে দেখেন। জমা জল বা ডেঙ্গির লার্ভা খোঁজের জন্য ড্রোনও ব্যবহার করে কলকাতা কর্পোরেশন কতৃর্ক। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার ১৬টা বোরোর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ডেঙ্গি প্রতিরোধে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? তা নিয়েই হয় এই বৈঠক।
বৈঠকের শেষে ডেপুটি মেয়র জানান, পুরসংস্থার তরফ থেকে টাকা খরচ করে পরিষ্কার করা হচ্ছে। অথচ কিছু অসচেতন মানুষ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। ফলে মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব বাড়ি থেকে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকটি বাড়িতে নোটিস পাঠানো হবে। প্রয়োজনে জরিমানাও করা হবে। জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি আরও জানান, ডেঙ্গি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে খিদিরপুর আরবান হেলথ সেন্টারে ফিভার ক্লিনিক করা হবে। যেখানে অতিরিক্ত ৪০টি বেড বাড়ানো হবে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ইসলামিয়া হাসপাতালেও ১০০টি বেড, ডেঙ্গি ফিভার ক্লিনিক হিসাবে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে হেল্প লাইন চালুর ঘোষণাও করেন তিনি।
'বাবু, তুমি আর ছোট বাবু আমায় ক্ষমা করে দিও।' এমন মেসেজ করেন নিজের স্ত্রীকে। তার কিছুক্ষণ পর সল্টলেক সিটি সেন্টার ওয়ানের নিচে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। সূত্রের খবর, খবর পেয়ে পুলিস ওই দেহ উদ্ধার করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম চন্দন মণ্ডল। চন্দনের স্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবার সকালে তাঁকে একটি মেসেজে করেন তাঁর স্বামী। লেখেন, আর চাপ সহ্য করতে পারছেন না তিনি। এবং বলেন তিনি সংসারের চাপ আর নিতে পারছেন না।
সূত্রের খবর, মৃত চন্দন মণ্ডল একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী ছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি মানসিক চাপে ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরে ইন্ডিয়া ইভেন্ট নামক ওই কোম্পানির কর্মী চন্দনকে মানসিক হেনস্থা করতেন ওই সংস্থারই বস।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অসাবধানে পড়ে মারা যাননি চন্দন। এটি আত্মহত্যার ঘটনা। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করতেন চন্দন। সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁর স্বামীর উপর মানসিক চাপ তৈরি করেছিলেন। সংস্থার সিনিয়র আধিকারিক বিষ্ণু মুচ্ছলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
বিমানবন্দরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে দুই মহিলা সহ মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের নাম ওই সংস্থার কর্ণধার সুমন মন্ডল এবং বৃষ্টি দাস। পুলিস ওই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার সহ বেশকিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার করেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা শেখ আফতাব বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে জানান যে, ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর চাকরির খোঁজ করছিলেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞাপন দেখে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সংস্থা থেকে বলা হয় চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে কার্গো স্টাফের চাকরি দেওয়া হবে তাঁকে। সেইজন্যে তাঁর থেকে লক্ষাধিক টাকা দাবি করলেও তিনি ৪৬ হাজার টাকা জমা করেন। তারপরেও তাঁকে কোনও চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরে পুলিসের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এসডিএফ বিল্ডিং এর ফার্স্ট ফ্লোরের সেই ভুয়ো সংস্থায় হানা দেয় পুলিস।
শনিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্তদের পুলিসি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় বলে পুলিস সূত্রে খবর। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস।
টেকনোপলিস মোড়ের কাছে নবদিগন্ত মেট্রো (Metro) স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। ফলে রবিবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। এয়ারপোর্ট থেকে সল্টলেকের (Saltlake) দিকে এই রাস্তা দিয়েই যাওয়া যায়। সেখানে ব্যস্ততম রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে সাধারণ মানুষকে। সেকথা মাথায় রেখেই বিকল্প রুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প রুটগুলি জেনে নিন।
নিউ টাউন নারকেল বাগান মোড় থেকে এম আর ধরে চিংড়ি ঘাটা যাওয়া যাবে। একই রাস্তায় সল্টলেকও যাওয়া যাবে। কলকাতার দিকে যেতে গেলে নিউটাউন বক্স ব্রিজ থেকে নেমে কেয়া মোটর্স হয়ে ফিলিপস মোড়, আরএস সফটওয়্যার মোড় হয়ে যাওয়া যাবে।
সল্টলেকে যাওয়ার জন্য কেয়া মোটর্সের সামনে হয়ে টেকনো পলিস বিল্ডিংয়ের ব্যাক সাইড দিয়ে যেতে পারবেন। প্রয়োজনে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের রুটিন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্টমুখী রাস্তায় কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, অনেক জট কাটিয়ে নবদিগন্ত মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের এটি ১৩ তম স্টেশন। স্টেশনটি ১৮০ মিটার লম্বা ও ৩৫ মিটার চওড়া। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সল্টলেকে। এদিন সকাল থেকেই চাকরির দাবিতে আচার্য সদনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিস সেখানে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিসের। পরে বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, দ্রুত নিয়োগের (Recruitment) দাবিতে সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান তাঁরা। অভিযোগ, গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন। এরপর সেখানেই জামা খুলে গেঞ্জি পরে প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিধাননগর পুলিশের বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। রীতিমতো জোর করে টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিস।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেট্রো স্টেশনের পিলারে ধাক্কা (Accident) মারলো বাস। ঘটনায় কোন হতাহত না হলেও আহত (Injured) হয়েছেন মোট ৫ জন যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেক (Saltlake) বিকাশ ভবনের সামনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস এবং বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের পুলিস (Police) আধিকারিকেরা। পুলিস আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে চিকিৎসার জন্য। যদিও এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পুলিস। এমনকি ঠিক কি কারণে এই ঘটনাটি ঘটলো তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত বাসের বাকি যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, রবিবার লেকটাউন বাঙ্গুর থেকে নিউটাউনের দিকে যাচ্ছিল কেবি ১৬ রুটের একটি বাস। ঠিক সেই সময় বিকাশ ভবনের সামনে মেট্রো স্টেশনের পিলারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসের মধ্যে ছিল মোট ২০ জন যাত্রী, তার মধ্যে ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
ইদে (EID Festival) তেমন কিছু দিতেই না পারায়, রিকশা চালক শামীম তাঁর মেয়ের জন্য পুতুল কিনতে বেরিয়েছিলেন। পথে এক বন্ধুর মুখে বস্তিতে (Fire in Slum) আগুন লাগার কথা শুনে ছুটে আসেন। ততক্ষণে সব শেষ। পুড়ে ছাই শামীমের মত শরীফ, কুনাল, সমীরদের ঘরও। বহু চেষ্টা করে কেউই তাঁদের শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করত পারলেন না। রবিবার সল্টলেকের (Saltlake Market) ফাল্গুনী বাজারের একটি বস্তির ঝুপড়িতে আগুন লাগে। ওই ঝুপড়ি থেকে আগুন ছড়িয়ে যায় গোটা বস্তিতে। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই বস্তির ১০০টি ঘর।
ফলে কম বেশি ১০০টির উপরে পরিবার বর্তমানে গৃহহীন। যদিও এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় প্রায় ১০০টি গৃহহীন পরিবারকে স্থানীয় কমিউনিটি হলে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বস্তির কিছু ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে, সোমবারের বৃষ্টির পর চিন্তায় পড়েছেন তাঁরাও।
ওই কমিউনিটি হলে ঠাঁই নিয়েছে শামীমের প্রতিবেশী আরও অনেক পরিবার। শামীমের মেয়ে রুকসানা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত। সোমবার সিএন-ডিজিটালকে শামীম বলেন, 'মেয়ের সামান্য শখটুকুও পূরণ করতে পারলাম না।' এই আগুনে পুড়ে গিয়েছে রুকসানার বই ও পড়াশুনার যাবতীয় সামগ্রীও। একেই আর্থিক অনটন ছিল, এখন মাথার উপরে ছাদও হারিয়েছে শামীমরা। সিন-ডিজিটালকে শামীম আরও বলেন, 'এ অবস্থায় মেয়েকে পড়াশুনা করাবো কীভাবে?'
রবিবারে ওই বিধ্বংসী আগুনের খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। দমকলের সাতটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় দীর্ঘক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও, ওই বস্তির ঝুপড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার ওই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাবেন ফরেনসিক দলের সদস্যরা। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তাঁরা।
শহরে ফের ভুয়ো কল সেন্টারের (Call Center) হদিশ। সোমবার সল্টলেক (Salt Lake) সেক্টর ফাইভে, সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) থানা এলাকার ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর, ওই কল সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সল্টলেকে ভুয়ো কল সেন্টার নতুন নয়। শহরজুড়ে বারবার টাকা লোপাট, লোনের নামে প্রতারণার অভিযোগ আসছিল। তদন্তে নেমে ভুয়ো কল সেন্টারের সূত্র পায় পুলিস। সেইমতো সোমবার ওই কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিস, তল্লাশি চালিয়ে, উদ্ধার হয়েছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন, প্রতারিতদের বহু নথি এবং ডেবিট কার্ড, এছাড়া কিপ্যাড মোবাইল-সহ বিভিন্ন নথি।
পুলিস জানিয়েছে, কিছু ব্যক্তি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির নামের আড়ালে ফেক কল সেন্টারের ব্যাবসা চালাচ্ছিল। সেক্টর ফাইভের বহুতলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে, অফিস ভাড়া করে চলছিল এই প্রতারণা চক্র। কোম্পানির মোবাইলের টাওয়ার বসানো এবং লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আসাম সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষদের প্রতারণা করত এই সংস্থা। সোমবার তল্লাশি চালানোর পর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার, দুই ডিরেক্টর-সহ মোট ১৬ জন।
মঙ্গলবার (Tuesday) সকাল থেকে শহরজুড়ে একাধিক জায়গায় ইডির (Ed) তল্লাশি। ইডি সূত্রের খবর, সকাল থেকে সল্টলেকের (Saltlake) একাধিক জায়গায় ইডির আধিকারিকরা, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশিতে নেমে পড়েন। সূত্রের খবর ইডির আধিকারিকরা একটি বেসরকারি বস্ত্র বিপনী সংস্থা, শ্রী শ্যাম বাটিকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই বেসরকারি সংস্থার মালিক, অরুন, সঞ্জয়, সুনীল আগারওয়াল তিন ভাই। ওই সংস্থা বিভিন্ন রাজ্যে শাড়ির ব্যবসা করত।
সূত্রের খবর, ভোর পাঁচটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ছয়-সাতজন ইডির অফিসার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তল্লাশিতে বার হয়। সল্টলেকের সিজি-২৩০ ব্লকে ছাড়াও আরও বেশ কিছু জায়গায় ইডির তল্লাশি চলছে। ঠিক কি কারণে এই তল্লাশিও অভিযান সেটা এখনও জানা যায়নি।