নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বর্তমানে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে ঠিক কী হয়েছে তাঁর, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এরই মধ্যে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি। এমনকি জোকা ইএসআই হাসপাতাল তৈরি রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টের আগে, প্রস্তুত রয়েছে বেডও। কিন্তু সুজয়কৃষ্ণকে সেখানে কেনও এখনও পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে বারংবার জানানো হয়েছে অসুস্থ সুজয়কৃষ্ণ। সম্প্রতি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রবল মানসিক চাপে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। এই অবস্থায় তার গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে সমস্যা বাড়বে। তবে ইডিও ছাড়ার পাত্র নয়। কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি।
জানা গিয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে করা হবে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা সুজয়কৃষ্ণর গলার স্বরের নমুনা নিতে প্রস্তুত, কিন্তু তাঁকে পাঠাতে এত কেন ঢিলেমি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েজ স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার থেকে ডিরেক্টর। ফলে এবারে এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
ডাক্তার দেখাতে এসে রোগী নিখোঁজ এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM)। জানা গিয়েছে, ইসিজি রুম থেকেই নিখোঁজ সত্তরোর্ধ্ব ওই রোগী। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে নিখোঁজ বৃদ্ধ রোগী। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের ৭০ বছর বয়সী কুদ্দুস শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ, নওদাপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। বুধবার, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ থেকে তিনি আসেন এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে ১১ টার মধ্যে নাগাদ কার্ডিওলজি বিভাগে ডাক্তার দেখান কুদ্দুস শেখ। এরপরই দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকে ওই হাসপাতালের ইসিজি রুমে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রীকে সোমবারই এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-কে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা আইসিইউ-তে রেখেই তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করার পরই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা জানাবেন যে, কবে তাঁকে ফের কার্ডিওলজি বিভাগের ৫ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
জানা গিয়েছে, সোমবার হঠাৎ রক্তচাপ কমে যায় রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর পরই তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করবেন। এছাড়াও ইতিমধ্যে তাঁকে সাইকিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞকেও দেখানো হয়েছে। এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বনমন্ত্রী।
আরও জানা গিয়েছে, সোমবার রক্তচাপ অনেকটা কমে গেলেও মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে। নতুন করে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়নি। তবে তাঁকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য আইসিইউ-তেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর পরই জানানো হবে যে, ফের কবে তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হবে।
এ যেন লুকোচুরি খেলা। এসএসকেএম ও কালীঘাটের কাকু যেন ইডির সঙ্গে একপ্রকার লুকোচুরি খেলায় নেমেছে। একদিকে যখন কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে তৎপর ইডির আধিকারিকরা। অন্যদিকে তখন যে কোনও উপায়ে ইডির চেষ্টাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা এসএসকেমের। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এমনই মনে হবে সাধারণের। এসএসকেএম ও কাকুর এহেন খেলায় গেরোয় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। এবার ফের ঠিক যেন কালীঘাটের কাকুকে আড়াল করতে ফের এসএসকেএমের জারিজুরি। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে যেতে পারে ইডি, এমটাই জানিয়ে এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছিল ইডি। কিন্তু ইডির পাল্টা চিঠিতে এসএসকেএম জানিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। অর্থাৎ অসস্তি ভাবে এসএসকেএম বুঝিয়ে দিল ইডিকে এ মুহূর্তে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব নয়।
পূর্বেই কালীঘাটের কাকু ও এসএসকেএমের উপর সন্দিহান প্রকাশ করে ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালত কাকুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালকে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেয়। এবার এসএসকেমেমকে পাল্টা চাপ ইডির, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডির তরফে চিঠি দেওয়া হলো এসএসকেএম হাসপাতাল, ই এস আই হাসপাতাল ও সিএফএসএল-কে। যদিও পাল্টা চিঠিতে এসএসকেএম জানিয়েছে কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণের মানসিক অবস্থা ভালো নয়। সে জন্যই তাকে মানসিক চিকিৎসার বিভাগ অর্থাৎ সাইক্রিয়াটিক বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অবশ্য ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন নমুনা সংগ্রহে বিলম্বের চেষ্টাতেই এই রিপোর্ট এবং চিঠি এসএসকেএম হাসপাতালের। এঅবস্থায় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে ইডি কোন পথে হাটবে সেটাই এখন দেখার।
জেলের মধ্যেই অসুস্থ রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীর বেশ কিছু পরীক্ষা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে হঠাৎ করেই অসুস্থ হন জ্যোতিপ্রিয়। প্রথমে তাঁকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করেন। এর পর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে গিয়েছিল মন্ত্রীর।
গত ১৬ নভেম্বর নিম্ন আদালতে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়র হাজিরা দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। ভার্চুয়াল শুনানিতে তাঁকে বাঁচতে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। এই শুনানির পরের দিনই প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। কাশি, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁকে কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হয়। মঙ্গলবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।
এই বছর পুজোর পরেই রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়কে। তাঁর সল্টলেকের বাসভবন থেকে মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় এক যুবকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই যুবকের দেহ কলকাতা পুলিশের মর্গ থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও পরিবারের তরফে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের যে আবেদন করা হয়েছিল তাতে এখনই কিছু জানায়নি আদালত।
এদিকে মৃতব্যক্তির পরিবারকেও ওই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবে আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। বুধবার এই ঘটনার জেরে উত্তাল হয় কলেজ স্ট্রিট চত্বর। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। এমনকী, বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলাও করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভরই তপ্ত থাকে মধ্য কলকাতার ওই এলাকা।
কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে ইডি ও এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে। জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছে ইডি। সেই চিঠির উত্তরে এসএসকেএম কতৃপক্ষ জানিয়েছে, মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে কালীঘাটের কাকুর জন্য। রোগীর শারীরিক অবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর তাদের কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার জন্য তারিখ জানানো হবে।' যদিও এ উত্তরে কোনও ভাবেই খুশি নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পরিপেক্ষিতে ইডির তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, এসএসকেএম যদি ঠিকমতো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে এসএসকেএম এর বিরুদ্ধে দারস্থ হবে।
ওদিকে এসএসকেমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।
স্পেন সফর শেষে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পায়ের চোটের কথা শোনা যায়। জানা গিয়েছিল, স্পেন থেকে পায়ে চোট পেয়ে ফিরে তিনি এসএসকেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘদিন, ইডি-সিবিআই হানা থেকে দুর্গাপুজো সবই। পায়ের চোটের জন্য বাতিল করেছিলেন দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও। দীর্ঘ ৫০ দিন পর পায়ের চোট সরিয়ে মঙ্গলবার নবান্ন ফেরেন তিনি। আজ অর্থাৎ বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এসএসকেএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁর পায়ের ভুল চিকিৎসা নিয়ে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘১০-১২ দিন আমার চিকিৎসা চলেছে। ভুল চিকিৎসার কারণে আমার পায়ের আঘাতে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। ১০-১২ দিন স্যালাইনের মতো আমার হাতে চ্যানেল করা ছিল, ওষুধ চলেছে। সেই অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। তার মধ্যেও প্রতিদিন আমার অফিস থেকে কাগজ গিয়েছে। কাজ করেছি। পুজো উদ্বোধন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজকর্ম সবই সামলেছি৷ পুজোর চারদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত জেগে থেকে পাহারা দিয়েছি, যাতে কোনও ঘটনা না ঘটে।'
বুধবার কিছু সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে ভুল খবর ছড়ানোর বার্তা দিতে গিয়ে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫৫ দিন নবান্নে না আসার খবর নিয়ে তিনি বলেন, 'এটা ভুল খবর।' সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্য দিতে গিয়েই শরীর খারাপের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
টাকা দিয়ে রোগী ভর্তির অভিযোগ উঠল এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অভিষেক মল্লিক, দেব মল্লিক, অভয় বাল্মিকী এবং সুরিন্দর কুমার। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ভবানীপুর এলাকায়।
সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্র সক্রিয় থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকী, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। সক্রিয় দালাল চক্র নিয়ে সম্প্রতি লালবাজারে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করছে।
পুলিস মনে করছে এই চক্রে আরও বড় মাথা জড়িত থাকতে পারে। সেকারণে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরের সময় বাঁ পায়ে পুরোনো চোটের জায়গায় আবারও আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ১০ দিন বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রবিবার প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে তাঁর একাধিক পরীক্ষা হয়েছে বলে এসএসকেএম সূত্রে খবর। এমআরআই ও রক্ত পরীক্ষা সহ (MRI) একাধিক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা হয়েছে এদিন। প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা, আপাতত ১০ দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। পরে অস্ত্রোপচার নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, এ বছরের মাঝামাঝি সময় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কপ্টারের এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময়ে পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে চান। বেশ কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে হয়েছিল তাঁকে। বাড়িতে নিয়মিত চলছিল ফিজিওথেরাপি। খানিকটা সুস্থ হয়েই কাজে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু পুরোনো চোট তা৬র পিছু ছাড়েনি।
মণি ভট্টাচার্য: 'সোনাই দুষ্টুমি করিস না,' সংজ্ঞা ফেরার পর থেকে বেঘোরে সোনাইকে কখনও শাসন করছেন, কিংবা কখনও নিজের মনেই সোনাইয়ের সঙ্গে খুনসুটি করছেন সৌরনীলের বাবা। সৌরনীলের পরিবার সূত্রে খবর, 'সোনাই' সৌরনীলের আদুরে ডাকনাম ছিল। পড়াশুনায় অবগত হলেও, মাঝেমাঝে খুনসুটি ও দুষ্টুমি দুই-য়েই পটু ছিল তাঁদের আদরের সোনাই। সৌরনীলের দুষ্টুমিগুলিতে শাসন-বারণ, আদরে ভালই কাটছিল বেহালার সরকার পরিবারের। কিন্তু এক সকালেই যেন উল্টে পাল্টে গেল সরকার পরিবারের জীবন। একদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় নিজের স্মৃতিতে তাঁর আদরের 'সোনাই'কে খুঁজছেন সৌরনীলের বাবা সরোজ। অন্যদিকে শুক্রবার বিদ্যাসাগর হাসপাতালের শবকক্ষের বাইরে বসে, এমনকি সৌরনীলের শেষকৃত্যেও নিজের ছেলের ব্যাগ আঁকড়ে ছিলেন তাঁর মা।
শুক্রবার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে বছর পাঁচেকের একরত্তি সৌরনীল সরকার। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সৌরনীলের বাবা সরোজ সরকার। গুরুতর আহত অবস্থায় বড়িশা স্কুলের কিছু শিক্ষক ও স্থানীয়রাই তাঁকে প্রথমে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়, এরপর সেখান থেকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। সূত্রের খবর, বর্তমানে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন তিনি। প্রাথমিক পর্যায়ে খবর, তিনি পায়ে, কোমরে, মাথায় ও বুকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সরোজ বাবুর বা পায়ের হাঁটুর নিচে হাড় ভেঙেছে। আজ অর্থাৎ শনিবার তাঁর পায়ের অস্ত্রোপচার হবে বলেই সূত্রের খবর। পাশাপাশি শুক্রবার রাতেই সরোজ বাবুর সিটিস্ক্যান ও এক্স-রে করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলবে বলেই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও নবান্ন কর্তৃক ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন লালবাজারের কাছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নিজে সৌরনীলের পরিবারের সঙ্গে ফোন মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। সৌরনীলের পরিবারকে সমবেদনা দেন বলেও সূত্রের খবর। তাছাড়া ট্রাফিক ও পুলিস কর্তৃক ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে বেহালা চৌরাস্তা এলাকাটিকে। সৌরনীলের মৃত্যুতে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেহালার স্থানীয়রা। পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন সৌরনীলের স্কুল অর্থাৎ বড়িশা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষও। শুক্রবারের দুর্ঘটনায় কেবল সৌরনীলের মৃত্যু হয়নি। মৃত্যু হয়েছে একটা পরিবারের জলজ্যান্ত স্বপ্নের। খালি হয়েছে একটা মায়ের কোল। কোনও গার্ডরেল, কোনও পুলিস, সর্ববৃহৎ কোনও রাষ্ট্র কি পারবে সৌরনীলকে ফিরিয়ে দিতে। পারবে তাঁর মায়ের চোখের জল মোছাতে, কিংবা তাঁর বাবার শোক পূরণ করতে। হয়ত না।
শুক্রবার একুশে জুলাই। ধর্মতলায় জড়ো হবেন লাখো তৃণমূল সমর্থক। সবাই তাকিয়ে থাকবেন তৃণমূল নেত্রীর বার্তার দিকে। তার আগে বুধবার হঠাৎ করেই এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত অনেক তৃণমূল সমর্থক এখনও ভর্তি আছেন এই হাসপাতালে। মূলত তাঁদের দেখতেই এদিন হাসপাতালে যান মমতা। কথা বলেন আহত তৃণমূল সমর্থক এবং তাঁদের পরিবারদের সঙ্গে।
হাসপাতালে ঘুরে দেখার পাশাপাশি আহত কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছেন সরকারি সাহায্য। তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দিন সব ঠিক হয়ে যাওয়ার। ইতিমধ্যেই একুশ জুলাই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন তৃণমূল সমর্থকরা। এই মুহূর্তে তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্বাচনী হিংসায় আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে আসা দলকে একটা বড় বার্তা দেবে সেটা নিশ্চিত। এছাড়া অলিখিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু, আহতদের সংখ্যা অন্যদলের তুলনায় তৃণমূলেরই বেশি।
এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। প্যারোল শেষে জেলে ফেরার দিন তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোমবার।
এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে। বুকে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে সোমবার দুপুরে এসএসকেএমে কার্ডিওলজি বিভাগে যান তিনি। তবে শারীরিক পরীক্ষায় সুজয়কৃষ্ণের হৃদরোগজনিত কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তাঁকে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিহাইড্রেশন এবং রক্তচাপজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বানী ভদ্রের। এরপর জামিনের আবেদন করলেও সুজয়কৃষ্ণকে জামিন দেওয়া হয়নি। স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য সংশোধনাগারের তরফে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই পর্যন্ত সেই প্যারোলের সময়সীমা ছিল। ১৭ তারিখ সংশোধনাগারে ফেরার কথা ছিল। তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।
এক অস্ত্রোপচারে শনিবার এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল। পূর্বাঞ্চলে এই প্রথম হাত প্রতিস্থাপন করল শহরের সব থেকে বড় এই সরকারি হাসপাতাল। মারা যাওয়ার পর নিজের দুটি হাত দিয়ে গিয়েছিলেন হাওড়া উলুবেড়িয়ার তেতাল্লিশ বছরের এক যুবক। তাঁর স্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতেই কলকাতার এই হাসপাতাল সাতাশ বছরের এক যুবকের শরীরে সেই হাত প্রতিস্থাপন করেছে। প্রায় দিনভর চলা অস্ত্রোপচারে এই কাজ সম্ভব হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর আগে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রতিস্থাপনের নজির রয়েছে। কিন্তু হাত প্রতিস্থাপন এই প্রথম। চিকিৎসকদের দাবি, প্রতিস্থাপন হওয়ার অর্থ এটা নয় যে ১০০ শতাংশ ঠিক হবে। তার জন্য রোগীকে বেশি করে নজরে রাখতে হবে।
তবে সবার মতে কুর্নিশ হাওড়ার ওই যুবকের স্ত্রীকে। যিনি পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর স্বামীর হাত সাতাশ বছরের যুবকের দেহে প্রতিস্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন। এসএসকেএমের চিকিৎসকদের দাবি, তাঁর অনুমতি ছাড়া এই অসম্ভব কোনও ভাবেই সম্ভব হত না।
আগের তুলনায় ভাল আছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। পায়ের ব্যথা অনেকটা কমেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বাস্থ্য নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন এসএসকেএম (SSKM) এর ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধেবেলা মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিরক অবস্থা খতিয়ে দেখতে তাঁর কালীঘাটের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরোনোর সময় তিনি জানান, দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের চিকিৎসা কাজ করছে। ফিজিওথেরাপি চালিয়ে যেতে হবে।
পায়ে চোট পাওয়ার পর থেকে বাড়িতেই রয়েছেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আবার কবে থেকে তিনি বাইরে বেরোতে পারবেন? সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে. মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে রাইস থেরাপিতে। এই থেরাপি হল চারটে পদ্ধতি। অর্থাৎ R হল রেস্ট, হল আইস-প্যাক, C হল কমপ্রেসন, আর E হল ইলিভেশন। এই চার পদ্ধতিতেই চিকিৎসা চলছে মুখ্যমন্ত্রীর। আপাতত আগামী ১৫ দিন মমতাকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে বলেছেন এসএকেএমের চিকিৎসকেরা। জলপাইগুড়ি থেকে ফেরার সময় কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে হিপ জয়েন্টের লিগামেন্টে ও বাঁ হাঁটুর লিগামেন্টে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।