রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার (Recovery) হল। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার নতুন মহেন্দ্রপুর সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে। রেল পুলিস ইতিমধ্যেই রেললাইনের পাশ থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রুস্তম শেখ (২০)। সুতি থানার মাহাতাবপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিসের দাবি, ওই যুবকের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে স্থানীয়রা রেললাইনের ধারে ওই যুবকের দেহটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তারপরেই এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় সুতি থানায়। স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তবে এটা খুন না আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি।
নদী থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ (Dead Body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া (Nadia) নবদ্বীপের মণ্ডলপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয়রা খবর দেয় নবদ্বীপ থানার পুলিসকে। পুলিস (Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য দেহটি কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে নদীতে এলাকার বেশ কিছু মানুষ স্নান করতে এসে ওই দেহটি দেখতে পান। স্থানীয়দের দাবি, জলে পচা গলা দেহটি ভাসতে ভাসতে কিছুটা দূরে গিয়ে আটকে যায় কচুরিপানায়। এই খবর জানাজানি হতেই সেখানে ভিড় জমায় এলাকাবাসীরা। পরে তারাই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয় নবদ্বীপ থানার পুলিসকে।
বেআইনি ভাবে সমুদ্র থেকে ছোট হাঙর (Shark) ধরে গোপনে চলছে শুটকি বানানোর কাজ। ঘটনায় বন দফতরের আধিকারিকেরা দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের (Fraserganj) বালিয়াড়া এলাকায়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম আকাশ দাস ও রঞ্জিত বাগ। এদের মধ্যে আকাশ কাকদ্বীপের হরিপুরের বাসিন্দা এবং রঞ্জিত সাগরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। বন দফতর সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানের পরেই প্রায় ৭০ ক্যারেট ছোট হাঙর মাছের শুটকি উদ্ধার করে বন দফতরের আধিকারিকেরা। বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা।
এক যুবকের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার (Recovery) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার অন্তর্গত শিয়ালতোর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম সামসুল (৩২)। তিনি ইসলামপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবস্তি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক ইসলামপুর শহরের ইসমাইল চকের একটি দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিন মদ্য পান করতেন। এমনকি রবিবারও কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় তিনি মদ্যপ অবস্থাতেই ছিলেন। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সামসুল। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তাঁকে পাননি। তারপরে সোমবার সকালেই নয়ানজুলি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পান তাঁরা।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের অনুমান, যুবকের সাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা কেউ ছিনতাই করে তাঁকে খুন করেছে।
খাল থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার হল। যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) থানার অন্তর্গত সাহাপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রহড়া ও খড়দহ থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মৃতের শরীরে ও মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় খালের জলে ভেসে থাকতে দেখা যায় দেহটিকে। এরপরেই তড়িঘড়ি করে খবর দেওয়া হয় থানায়। তারপর পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়দের দাবি, বারবার এই খাল থেকে দেহ উদ্দার হয়ে চলেছে। বেশ কয়েকদিন আগেই উদ্ধার হয়েছিল একটি দেহ। তাঁদের আরও দাবি, উদ্ধার হওয়া ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা দেখে অনুমান করা যাচ্ছে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে, এমনই দাবি তাঁদের। যদিও ওই যুবকের পরিচয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস, পাশাপাশি এই মৃতদেহ কিভাবে এলো! তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বাবাকে খুন (Dead) করে আত্মঘাতী ছেলে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (CoochBehar) মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুচলিবাড়ি থানার পুলিস। পুলিস মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতেল পাঠায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের নাম টফসুল হোসেন (৪৫) ও তার ছেলে আবু বক্কর দিদ্দিক সিদ্দিক (৩০)। তাঁরা কোচবিহারের শুক্টাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় একটি স্কুলের বারান্দায় প্রথমে একটি ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপরেই বিদ্যালয়ের ভিতরে আর একটি দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে পিতাকে খুন করে ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সূত্রের খবর, স্থানীয় ওই বিদ্যালয়ের জলট্যাঙ্কি তৈরির কাজেই তাঁরা বেশকিছুদিন ধরে কাজ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় এক বাসিন্দা শ্যামাপদ অধিকারী বলেন, 'ভোররাতে এক যুবক তার বাড়িতে ভয়ে পালিয়ে আসে। পরে তিনি ওই যুবকের কাছে জানতে পারেন স্কুলে ঘরের ভিতরে ছেলে তাঁর বাবাকে লাঠির আঘাতে খুন করেছে। আর এসবকিছু দেখার পর ওই যুবক স্কুলের জানলা খুলে পালিয়ে আসে।'
নিখোঁজের চার দিন পর নদী থেকে উদ্ধার হল শ্রমিকের দেহ (Dead Body)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার অন্তর্গত হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাসিরহাটি ফেরিঘাটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া থানার পুলিস (Police)। দেহটি উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মধু মণ্ডল (৫৮)। পেশায় তিনি একজন শ্রমিক। চলতি মাসের ৩ তারিখ বিকেলে তিনি নাসিরহাটি ফেরিঘাট দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় হঠাৎ তিনি সাইকেলসহ মাঝ নদীতে পড়ে যান। তারপর থেকেই নদীতে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিস। কিন্তু গত দুই দিন ধরে তল্লাশি করার পরেও ওই ব্যক্তির দেহ পাওয়া যায় না। অবশেষে মঙ্গলবার অর্থাৎ নিখোঁজের চারদিন পর বিদ্যাধরী নদী থেকে হাড়োয়া থানার পুলিস ওই ব্যক্তির দেহটি উদ্ধার করে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে অজ্ঞাতপরিচিত এক তরুণীর অর্ধনগ্ন পচাগলা দেহ (Dead Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর (Sonarpur) থানার প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুস্তিয়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে মৃতার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলকার বাচ্চারা খেলাধূলো করার সময় ওই নির্মীয়মান বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ অনুভব করে। এমনকি সেপটিক ট্যাঙ্কের উপরে প্রচুর মাছি উড়তে দেখে এলাকাবাসীদের বিষয়টি জানায়। তারপরেই বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী এসে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে দেখলে সেখানে ওই মহিলার দেহটি দেখতে পান। ঠিক এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
ঘর থেকে এক গৃহবধূর নিথর দেহ (Dead Body) উদ্ধার। যদিও এই ঘটনায় মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার রাণীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটুপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে রঘুনাথগঞ্জ এলাকায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম শেফালী বিবি। ৪ বছর আগে বিয়ে হয় তফিজুল রহমানের সঙ্গে। তাদের দুটি পুত্র সন্তানও আছে। মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই সামান্য কারণে তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি অশান্তির জেরে প্রায়ই শেফালীর উপর শারীরিক নির্যাতনও করত তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শেফালী বারবার সেই অশান্তির কথা ফোন করে জানত। অনেকসময় ঝামেলা মেটাতে শেফালীর শ্বশুর বাড়িতে যেত হতো, এমনটাই দাবি তাঁদের।
এই ঘটনায় মৃতার পরিবার অভিযোগ করেন, রবিবার রাতে খাওয়ারে নুন কম হওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয় পরিবারে। তারপরেই তফিজুল শেফালীকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। তাঁরা আরও দাবি করেন, সোমবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা তড়িঘড়ি শেফালীর শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছয়। তারপরেই ঘাটের উপর মৃত অবস্থায় দেখেন শেফালীকে। শেফালীর মুখের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেন মৃতার পরিবার।
এক নাবালকের রক্তাক্ত দেহ (Dead Body) উদ্ধার হলো রাস্তা থেকে। যদিও এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার সহ প্রতিবেশীরা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত নন্দী গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জামুড়িয়া থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিস ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে আটক করেছে। এমনকি এই ঘটনার সঙ্গে কে কে জড়িত তারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই নাবালকের নাম বান্টি (১৭)।
এই ঘটনায় মৃত নাবালকের মা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে কয়েকজন বান্টিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু রাত ১২ বেজে গেলেও আর বাড়ি ফিরে আসে না বান্টি। তারপরেই রবিবার সকালবেলা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দাবি, বান্টি খুব ভালো ছেলে। পাড়ায় সবাই খুব ভালোবাসে। সংসার চালানোর জন্য বান্টি বাড়িতেই একটি ব্যবসা শুরু করেছিল। তবে কোনওকিছু নিয়ে কোনোদিন কারোর সঙ্গে ঝামেলা করেনি বান্টি। তাই যে বা যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
ওই এলাকার ব্যুরো চেয়ারম্যান শেখ সান্দার জানান, পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। ইতিমধ্যেই একজনকে আটকও করেছে। খুব শীঘ্রই এই ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তাও জানা যাবে।
ওই এলাকার কাউন্সিলর মৃদুল চক্রবর্তীর জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় মদ ও অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। আশা করছি এই ঘটনার পর পুলিস এই বিষয়টির দিকে নজর দেবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলেও রাজ্যের জেলায় জেলায় উদ্ধার (Recovery) হয়ে চলেছে বোমা (Bomb)। শনিবার মুর্শিদাবাদের সালার (Salar) থানার অন্তর্গত খাঁড়েরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খাঁড়েরা গ্রামের ক্যানেল পাড় ও উপসাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মোট ১৪ টি বোমা উদ্ধার করেছে সালার থানার পুলিস। বোমাগুলিকে উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করার জন্য পুলিস খবর দেয় বোম স্কোয়াডকে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোম স্কোয়াডের আধিকারিরা এবং উদ্ধার করা বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কে বা কারা এই বোমা গুলি মজুত করেছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস (Police)।
একইভাবে শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা (Deganga) হরিণখোলার একটি পরিত্যাক্ত দোকানেও উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা। বোমাটি উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বোম স্কোয়াডের পক্ষ থেকে ওই বেমাটিকেও ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে কে বা কারা বারবার এই ধরনের বোমা মজুত করে চলেছে তার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুকুরে মাছের বদলে জালে ধরা পড়ল ব্যালট বাক্স। একেই ব্যালট ও ব্যালট বাক্সের নয়-ছয় নিয়ে হৈচৈ গোটা রাজ্যে। এরই মধ্যে পুকুরে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হল উত্তর দিনাজপুরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যালট বাক্স (Ballot Box) সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে বিরোধীরা আগেই সরব হয়েছিল। এমনকি ব্যালট বক্স নয়-ছয়ের অভিযোগে মামলাও গড়িয়েছে হাইকোর্টে। যার জেরে এই ব্যালট বাক্স নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। ভোট কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট বাক্স যত্রতত্র ফেলেও দেওয়া হয়েছে। আবার ব্যালট বাক্স সঙ্গে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। আর এই কারণেই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় পঞ্চায়েত ভোট বাতিল করে আবার পুননির্বাচন করা হয়েছে। এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন-ডিজিটাল) আসতেই ফের হইচই গোটা রাজ্যে।
উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার করনদিঘি (Karandighi) ব্লকের বাজারগাঁও ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুয়া বুথে, হঠাৎ কিছু গ্রামবাসী পুকুরে জাল ফেলতেই মাছের বদলে জালে উঠে আসে ব্যালট বাক্স। সঙ্গেসঙ্গে কৌতুহল বসত স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হয়, খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়, সূত্রের খবর, স্থানীয় ডালখোলা থানার পুলিস এসে সমস্ত ঘটনা শুনে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় করণদিঘির বিডিও নীতিশ তামাং বলেন, 'করনদিঘি ব্লকের মোট পাঁচটি গনণা কেন্দ্র ছিল। যার মধ্যে একটি গনণা কেন্দ্র থেকে একটি ব্যালট বাক্স চুরি হয়েছিল। এই ব্যালট বাক্স চুরির ঘটনায় আগেই থানায় জানিয়েছিলেন পোলিং অফিসাররা। সেই চুরি যাওয়া ব্যালট বাক্সটিই ওই পুকুর থেকে পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যাটল বাক্সটিকে পুলিস থানায় নিয়ে গিয়েছে। তবে ব্যালট বাক্সটি খোলা ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি।'
ঘর থেকে এক গৃহবধূর মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার ঘিরে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া (Katwa) মহকুমার গঙ্গাটিকুড়ি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেতুগ্রাম থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা যায়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। গৃহবধূর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম পিউ মণ্ডল। দেড় বছর আগে গঙ্গাটিকুড়ি গ্রামের বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকেই প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত পরিবারে। এই ঘটনায় মেয়ের বাবার অভিযোগ, জামাই বিশ্বজিতের সঙ্গে তাঁর বৌদির একটি অবৈধ সম্পর্ক ছিল। যা জানতে পেরে গিয়েছিল পিউ। তারপর থেকেই অশান্তি আরও বেশি বেশি করে হতো। আর ওই অবৈধ সম্পর্কের জেরেই বিশ্বজিত্ খুন করেছে পিউকে, এমনটাই অভিযোগ মৃতার বাবার।
মৃতার বাবা দাবি করেন, বুধবার রাত একটা কুড়ি নাগাদ পিউর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন যায়। তারপরেই খবর পাওয়া যায় তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই খবর পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মেয়েকে মেঝেতে শুয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।
কামারহাটির (Kamarhati) ইএসআই হাসপাতালের এক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু (Dead Body)। মৃতদেহটি উদ্ধার (Recovery) হয় হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকা থেকে। তবে এই ঘটানায় মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকি পরিবারের লোকেরা মৃতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় মৃতদেহটি গোলাবাড়ি থানার পুলিস (Police) উদ্ধার করে কামারহাটি থানায় খবর দেয়। তারপরেই কামারহাটি থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কামারহাটি থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিস জানায়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিপ্লব বোস। তিনি কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালে কাজ করতেন। গত চারদিন আগে নিখোঁজ হয় বিপ্লব। তারপরেই তাঁর স্ত্রী চৈতালী সবকিছু নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। এমনকি নিখোঁজ হওয়ার পর ২১ তারিখ বিপ্লব বোসের মা বেলঘরিয়া থানায় একটি মিসিং ডাইরিও করেন। অবশেষে সোমবার হাওড়া গোলাবাড়ি এলাকা থেকে বিপ্লবের ফোন ট্র্যাক করে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় মৃতার পরিবার জানায়, ১০ বছর আগে বিপ্লবের বিয়ে হয় রাজারহাটের বাসিন্দা চৈতালী ভট্টাচার্যের সঙ্গে। বাড়ির অমতেই মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন বিপ্লব। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই বিপ্লবের উপর শারীরিক অত্যাচার করতেন স্ত্রী চৈতালী। পরিবারের আরও দাবি, চৈতালী একটি বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঝামেলা অশান্তি লেগেই থাকতো তাঁদের দাম্পত্য জীবনে। এমনকি মাঝে মাঝেই এই অশান্তির জন্য বিপ্লব হাসপাতালের কোয়াটারেই থাকতেন। পরিবারের অভিযোগ, ওই বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই স্ত্রী চৈতালী খুন করেছে বিপ্লবকে, এমনই অভিযোগ করছে মৃতের পরিবার।
রেল কর্মীর পচা-গলা দেহ (Body) উদ্ধার (Recovery)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়া (Kanchrapara) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কল্যাণগড় এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিজপুর থানার পুলিস (Police)। পুলিস ওই পচা গলা দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রবীণ কুমার কুজুর (৫৮)। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যক্তি চাকরি সূত্রে এলাকারই এক স্থানীয়র বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এই ভাড়া বাড়িতে তিনি নিজের পরিবার নিয়েই থাকতেন। তবে কয়েকদিনের জন্য তাঁর পরিবার দেশের বাড়ি অর্থাৎ ঝাড়খণ্ড চলে যাওয়ায় ওই ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন ওই ব্যক্তি। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘরের দরজা বন্ধ ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যক্তির ঘর থেকে খুব দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা দরজা খুলে। দরজা খুলেই স্থানীয়রা ওই রেল কর্মীর পচাগলা দেহটি দেখতে পায়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় থানায়।