Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Raid

Raidighi: মনি নদীতে ভর দুপুরে ভেসে ওঠে এক কুমির, আতঙ্কে স্থানীয়রা

উত্সবের মরশুমেই দেখা মিলল এক কুমিরের (crocodile)। ভর দুপুরেই রায়দিঘির (Raidighi) মনি নদীতে কুমির ভেসে ওঠে। আর তা দেখতেই ভিড় জমান এলাকায় কৌতুহলী মানুষরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রায়দিঘির ২৩ ও ২৪ এর লাটের সীমান্তবর্তী মনি নদীতে একটি কুমিরকে ভেসে ওঠতে দেখা যায়। কুমিরটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৭ থেকে ৮ ফুট। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাঁধে ওঠে কুমিরটি রোদ পোহাচ্ছিল। সেই সময়ই নজরে আসে এলাকার মানুষদের। এরপর স্থানীয় মানুষজন একত্রিত হয়ে ওই কুমিরটি দেখতে গেলে তা আবার জলে নেমে যায়।

এলাকার মানুষেরা জানান, এর আগে কয়েকবার এই ডাঙাতে কুমির ওঠা দেখেছিলেন স্থানীয়রা। তবে বারে বারে কুমির ওঠার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। কবে বন দফতর কোনও সুরাহা বের করবেন সেইদিকেি তাঁকিয়ে তাঁরা। 

2 years ago
Tiger: বাঘের আতঙ্ক ইসলামপুরে, মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা

ফের বাড়ল এলাকায় বাঘের (tiger) আতঙ্ক উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগিন এলাকায়। ইতিমধ্যেই একের পর এক গরু, ছাগল এবং শুয়োরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে কালানাগিন এলাকা থেকে। তবে সোমবার ফের একটি গরুর মৃতদেহ (dead body) উদ্ধার হয়। ১৭ দিন কেটে গিয়েছে বাঘের আতঙ্কে রাতের পর রাত বনদফতরের কর্মীরা এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন। তবে বাঘের আতঙ্ক যেন এবার মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এই এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। এবার গ্রামবাসীরা সরাসরি জানাচ্ছে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এলাকা থেকে একের পর এক গরুর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। সবমিলে প্রশাসনকে দায়ী করছেন এই গ্রামবাসীর এলাকার মানুষ।

এদিকে, বাঘে ভয়ে মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কালনাগিনি গ্রামে এক বৃদ্ধার বয়স্কজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের লোকেরা যখন শোকে বিহ্বল, সেই সুযোগে এলাকায় একটি বাঘ এসে বাড়ির এক গবাদি পশুকে টেনে নিয়ে নিয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাম জুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মৃতদেহ দাহ করতে সেই বাড়িতে এলেও এই খবর পেয়ে একে একে সকলেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বাঘ তাঁদের বাড়িতেও গবাদি পশু, ছোট ছোট শিশুদের উপর আক্রমন করতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতিবেশীরা কেউ রাতে শ্মশানে যেতে রাজি হননি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সকাল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ শ্মশানে যেতে পারবেন না। লোকের অভাবে মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল সোমবার। 

2 years ago
ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক যোগ!দিনভর শহরের ৬ জায়গায় ইডি হানা, ফ্ল্যাট সিল

মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) গ্রেফতারির দিন কয়েকের মাথায় কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক জায়গায় ইডির (ED Raid) ধারাবাহিক অভিযান। শনিবার সকাল থেকেই মহিষবাথান, কলেজ স্কোয়ার, রাজাবাজার, মুচিপাড়া, বারাসাত,কৈখালিতে একযোগে ইডির তল্লাশি। মহিষবাথানে মিনার্ভা এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অফিসে তালা ভেঙে ইডির তল্লাশি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ও চন্দন মাইতি এই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালাতেন। মাঝে মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (primary Board) অপসারিত সভাপতিকে দেখা গিয়েছে আসতে। স্থানীয় সূত্রে এমনটাই খবর।


মহিষবাথানের ওই অফিসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে চাবি না মেলায় তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মোতাবেক চাবিওয়ালা ডেকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয় তালা। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকে প্রাইমারি বোর্ডের একাধিক কাজ করা হতো। এখন প্রশ্ন উঠছে, একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে কীভাবে সরকারি কাজ চালানো হতো? এমনকি একাধিক কোর্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হতো এই অফিস থেকেই। প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পেরেছে ইডি।


স্থানীয়দের দাবি, একাধিক ব্যক্তির আনাগোনা ছিল এই অফিসে। প্রায় ২ মাস ধরে বন্ধ এই অফিস। তবে যে বাড়ির নিচে এই ইনস্টিটিউট সেই বাড়ির মালিককেও জিজ্ঞসাবাদ করেছে ইডি। অফিসে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে কারা কারা আসতেন এবং ঠিক কী কাজ হতো বোঝার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

এই অফিসের একাধিক আলমারি, লকার কম্পিউটার খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করছে ইডি। এদিকে, রাজাবাজার এলাকায় ৩০২ নম্বর এপিসি রোডের আইডিয়াল হাইটস নামে এক আবাসনে সকালেই হানা দিয়েছিল ইডি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই কমপ্লেক্সে একটি ফ্ল্যাটের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের যোগ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই যোগসূত্রেই এদিন ইডি অধিকারিকরা ওই কমপ্লেক্সে আসেন। প্রায় দু'ঘন্টা নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান তাঁরা। সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থা ৩০২ এপিসি রোডের আইডিয়াল হাইটস ব্লক বি-তে নথিভুক্ত। যার সিটি অফিস ১৮ নম্বর কার্তিক বোস ট্রিটে।


পাশাপাশি কলেজ স্কোয়ার এলাকার ১৮ নম্বর কার্তিক বোস ট্রিটের বিভাস অধিকারীর নামে কেনা সেই ফ্ল্যাটেও ইডি হানা। স্থানীয়রা বলছেন ছয় থেকে সাত বছর আগে এই ফ্ল্যাট কেনেন বিভাসবাবু। কিন্তু গত তিন মাস এই ফ্ল্যাটে আসছেন না তিনি। কিন্তু যখন তিনি এই ফ্ল্যাটে আসতেন, তাঁর পরিবারকে সঙ্গে দেখা যেত না। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একাধিক বয়সী ব্যক্তিদের আনাগোনা ছিল এই ফ্ল্যাটে। স্থানীয়দের আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, সম্ভবত এই ফ্ল্যাটেই বিভাস চৌধুরী বেআইনি কার্যকলাপ করতেন। ফ্ল্যাটের বাইরে একটি নেমপ্লেট টাঙানো থাকলেও আগে বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশনের একটি নেমপ্লেট লাগানো ছিল। পরে সেই নেমপ্লেট বিভাসবাবু খোলেন।

স্থানীয়দের দাবি, 'ফ্ল্যাটের ভেতরে সন্দেহজনক গতিবিধি ছিল। স্থানীয় থানাকে ছয় বছর আগে অভিযোগও জানিয়েছিলেন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা কিন্তু অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। এখানেই শেষ নয়, বিভাসবাবু নাকি নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতেন সঙ্গে থাকতো বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী।' 

পাশাপাশি মুচিপাড়া থানার গোপালমল্লিক লেনে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এক চিকিৎসকের বাড়িতে ইডি হানা। কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪-৬ সদস্যের এক দল ওই বাড়িতে গিয়ে এক ছাপাখানায় অভিযান চালায়। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকের বাড়ির নিচে সেই ছাপাখানা খুলে প্রিন্টিংয়ের কাজ চলতো। শুধু শহর কলকাতা নয় শহরতলির কৈখালী মন্ডলগাঁথি মসজিদ গলিতে ইডি রেড করেছে। এখানেও প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

অপরদিকে, মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ জনৈক তাপস মণ্ডলের বারাসাতের বাড়িতে ইডি হানা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিএড কলেজ চালাতেন তাপস মণ্ডল। সূত্রের খবর এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাপস মণ্ডলের যোগাযোগ রয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের মহিষবাথানের টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও বকলমে চালাতেন এই তাপস মণ্ডল।

2 years ago


Cid Raid: গোরুপাচারকাণ্ডে এনামুলের ভাগ্নের রাইস মিলে দিনভর তল্লাশি সিআইডির

গোরুপাচারকাণ্ডে এনামুলের ভাগ্নে পিন্টু শেখের রাইস মিলে দিনভর তল্লাশি চালাল সিআইডি। রাইস মিল থেকে একটি ট্রেলার ট্রাক ও মারুতি সুইফ্ট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া, রাইসমিলের একাধিক কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে মিলটিকে সিল করে দেন সিআইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, গোরুপাচারকাণ্ডে এনামুলকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই সাক্ষী করেছিল তারই ভাগ্নে পিন্টু শেখকে। শুক্রবার সকালে সিআইডির এক ডিএসপি-র নেতৃত্বে তদন্তকারী দলের সদস্যরা বহরমপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত তালাই মোড়ের কাছে একটি রাইস মিলে গিয়ে পৌঁছন। সারা দুপুর ধরে তল্লাশি চালানো হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 'জেএইচএম' নামক বিশাল ওই চালের মিলটির মালিক ছিলেন এনামুলের তিন ভাগ্নে। জাহাঙ্গির, হুমায়ুন ও মেহেদি হাসানের মালিকানায় চলত এই মিল। তাদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়েই মিলের নাম রাখা হয়। সিআইডি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুমায়ূন আসলে পিন্টুর আসল নাম। রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় তার নামে ও বেনামে প্রচুর সম্পত্তি। তবে মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে, উৎপাদন শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে মিলটি বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। তবে সম্প্রতি ওই মিলে একটি স্কুল তৈরির কাজ চলছিল। 

সিআইডি আধিকারিকরা শুক্রবার মিলের ভেতরে থাকা কর্মীদের সঙ্গে প্রায় ২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কথা বলেন এবং জানতে চান কারা মিলের ভেতরে আসতেন এবং কী ধরনের কাজ মিলের ভিতরে হত। এদিন সন্ধ্যায় সিআইডি আধিকারিকরা নবগ্রাম থানার অন্তর্গত পলসন্ডার কাছে একটি রাইস মিলে হানা দেন। এই মিলটিও এনামুলের ঘনিষ্ঠ গোরুপাচারকারীর মালিকাধীন বলেই জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা।

2 years ago
Raid:১৮৪ কোটির ব্যাঙ্ক প্রতারণা, টালিগঞ্জের ঝুনঝুনওয়ালা হাউসে ৮ ঘণ্টার সিবিআই তল্লাশি

টলিগঞ্জের এক বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা, ব্যাঙ্ক প্রতারণার যোগসূত্র পেয়ে। ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে ১৮৪.৪৩ কোটি টাকার লোন নিয়েছিলেন আশিস ঝুনঝুনওয়ালা। সেই টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যে কোম্পানির নামে তারা এই লোন নিয়েছিলেন, সেই কোম্পানির ডিরেক্টরদের নাম পেতেই ঝুনঝুনওয়ালার বাড়িতে এই হানা।

মূলত ২০১৭ সালের মামলার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত। সংস্থার নাম রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঝুনঝুনওয়ালা বাড়িতে ১৫ সদস্যের এক দল তাঁর এনএসসি রোডের বাড়িতে যায়। এই বাড়ির এক সদস্যের নাম রেওয়া ঝুনঝুনওয়ালা। তিনি বলেন যে 'আমি ব্রেনের পেশেন্ট, ওষুধ খাই,আমি ব্যবসার বিষয় কিছু জানি না। ১৫ বছর ধরে আমি অসুস্থ।'

এদিকে, দীর্ঘ প্রায় ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশির পর ঝুনঝুনওয়ালার বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই। কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিল করে নিয়ে যান তাঁরা। ইতিমধ্যে ২০২১-র নভেম্বরে গ্রেফতার করা হয় আশিস ঝুনঝুনওয়ালাকে। তাঁকে ইডি গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি একই সম্পত্তি দেখিয়ে ,বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে।

ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি--

# এই রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর কারা। অর্থাৎ কারা এই আর্থিক তছরূপের টাকায় লাভবান? 

# ১০ থেকে ১৫ জন সিবিআই অফিসার তল্লাশি চালায় রানীকুঠির ঝুনঝুনওয়ালা হাউসে

2 years ago


ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক মিডলম্যানের হদিশ, সোদপুর থেকে আটক সুব্রত

এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও এক মিডলম্যানের হদিশ। সুব্রত মালাকার নামে পেশায় অ্যাকাউন্টেন্ট ওই ব্যক্তিকে সোদপুরের বাড়ি থেকে আটক করে ইডি। প্রসন্নকুমার রা, প্রদীপ সিংয়ের মতো সুব্রতও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং একাধিক প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লির বাড়িতে সোমবার সকালে হানা দেয় ইডির চার সদস্যের দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এসবিআইয়ের দু আধিকারিক। সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রায় ৮ ঘণ্টা চলে তল্লাশি। সেই বাড়ি থেকে সুব্রতকে আটক করে বেলঘরিয়া ফিডার রোডের এক আবাসনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও তল্লাশি চালায় ইডি সদস্যরা।  

নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ইতিমধ্যে হাওয়ালার যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ইডি কর্তারা। সুব্রতকে জেরা করে তাঁরা জানতে চায় হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশ থেকে কি কোনওভাবে অর্থ লেনদেন হতো? ইতিমধ্যেএসএসসি দুর্নীতির বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগে  বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হতো কিনা, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে  দেখছেন কর্তারা। যদিও এদিনের অভিযান নিয়ে একবারেই মুখে কুলুপ ইডি। প্রথম থেকেই চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজাত রেখেছে তাঁরা। যদিও প্রথমে স্থানীয়রা ভেবেছিলেন চিটফান্ড-কাণ্ডে ধৃত হালিশহর পুরসভার প্রধানের সূত্র ধরে এই তল্লাশি।  

সকাল সাড়ে আটটা থেকে কয়েকঘণ্টা চলেছে সুব্রত মালাকার এবং তার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, সবার মোবাইল ফোন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তল্লাশি চালায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁরা খতিয়ে দেখেন বাড়ির বিভিন্ন ফাইল এবং নথি।

তবে এদিকে সাতসকালে পাড়ায় ইডি তল্লাশির খবরে বাড়ির বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন মানুষজন। জানা গিয়েছে, ছয়-সাত বছর যাবৎ পানিহাটির ১ নম্বর রাজেন্দ্রপল্লিতে এসেছেন। আগে এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুব্রত মালাকার। পরে এই বাড়িটি কিনে নিয়েছেন তিনি। তবে পাড়ার কোনও কাজে যেমন আসতেন না, তেমন কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না এই পরিবার। স্থানীয় সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, সুব্রত মালাকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এই লেনদেনের সঙ্গে রাজু সাহানির কোন যোগসুত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ইডির অফিসাররা। একাধিকবার এই ব্যাঙ্ক লেনদেন দেখেই সন্দেহ জাগে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের মনে। যেহেতু বেশিরভাগ লেনদেন স্টেট ব্যাংকের, তাই সঙ্গে রাখা হয়েছিল দুই আধিকারিককে। 

পাশাপাশি এদিন বীজপুরের বিধায়ক, রাজু সাহানির থেকে জগতপুরের দীপঙ্কর হিরা প্রচুর পরিমানে সোনা কিনেছেন। সিবিআই তদন্তে এই সূত্র উঠে এসেছে। দীপঙ্কর হিরা পেশায় প্রমোটার এবং ইমারতি জিনিসের ব্যবসা রয়েছে। আগে তিনি পুরসভায় কর্মরত ছিলেন।  এর পাশাপাশি পারিবারিক বিয়ে বাড়ির ভাড়ায় দেওয়ার ব্যবসাও আছে। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে সিবিআই। 

তাই রাজু এবং বীজপুরের বিধায়কের বিপুল অঙ্কের টাকার খোঁজ করতেই এই তল্লাশি সিবিআইয়ের। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শহরে একাধিক জায়গায় ইডি হানা সকাল থেকে। তদন্তকারীর সংস্থা সূত্রে খবর নিয়োগ দুর্নীতির মামলার লিঙ্ক ম্যান হিসাবে সুব্রত মালাকারকে সোদপুর রাজেন্দ্র পল্লী থেকে আটক করা হলো। এর আগে ইডি গ্রেফতার করেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখার্জি সহ প্রাপ্ত ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই মামলার সাথে যুক্ত এই ব্যাংক কর্মী সুব্রত মালাকার কে আটক করল  ইডি।

2 years ago
SSC: নজরে প্রাক্তন শিক্ষাকর্তা সুবীরেশ, ফ্ল্যাট সিল সিবিআইয়ের

এসএসসি(SSC) নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার সিবিআই(CBI) ব়্যাডারে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল দশটা নাগাদ কেন্দ্রীয় দল এসে পৌঁছয় শিলিগুড়িতে। পৃথক দুটি গাড়িতে ৮ থেকে ৯ জনের দল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছন বলেই খবর। তাঁরা দু'টি ভাগে ভাগ হয়ে যান। একটি দল আসে উপাচার্যের দফতরে। অপর দলটি যায় শিলিগুড়িতে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের(university campus) ভিতরে উপাচার্যের সরকারি বাসভবনে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এসএসসি-র চেয়ারম্যান(Chairman)) ছিলেন। জানা গিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন উপাচার্যর দফতরের বাইরে যে সকল কর্মীরা ছিলেন তারা যাতে বাইরে যোগাযোগ করতে না পারেন, তার জন্য তাদের মোবাইল(mobile) জমা নিয়ে নেওয়া হয়। যাতে কেউ উপাচার্যের দফতরে যেতে না পারে তার জন্য ছিল কড়া পুলিসি(police) প্রহরা। সূত্রের খবর, দফতরে গিয়ে তাঁরা উপাচার্য সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

অন্যদিকে, সিবিআইয়ের অন্য একটি দল দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছয়। বাঁশদ্রোণীতে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। ফলে অফিসাররা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পক্ষ থেকে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। তাই আধিকারিকরা ফ্ল্যাটের ভিতরে অভিযান চালাতে পারেনি। কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায় সুবীরেশের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় সিবিআই।

প্রসঙ্গত, তিনি ৪ বছরের বেশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে প্রাক্তন বিচারপতি আর কে বাগের কমিটির দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি বলে অভিযোগ। বাগ কমিটির সেই রিপোর্টেও উল্লেখ ছিল সুবীরেশের নাম।

যদিও বিষয়টি নিয়ে এর আগেই সুবীরেশ ভট্টাচার্য জানান, ‘চেয়ারম্যান থাকাকালে কোনও আপস করিনি। ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। তখন দুর্নীতি হয়নি।’

2 years ago
Bihar: বিধানসভায় নীতীশের আস্থাভোট আজ, তার আগেই আরজেডি নেতাদের বাড়িতে সিবিআই

মহাজোট সরকারের গঠনের পর বুধবার বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly) আস্থা ভোট মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের (Nitish Kumar)। আর সেদিনেই সে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় মূলত আরজেডি নেতাদের বাড়িতে এই সিবিআই অভিযান (CBI Raid)। শুধু বাড়ি নয় একাধিক আরজেডি (RJD) নেতার অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সিবিআই সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের দলের রাজ্যসভা সাংসদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং এবং বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ রাইয়ের বাসভবনে বুধবার তল্লাশি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতি মামলায় জুলাই মাসে লালু-ঘনিষ্ঠ ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

তবে নীতীশ কুমারের আস্থা ভোটের দিন সিবিআইয়ের এই তল্লাশি অভিযানকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলছে বিজেপি বিরোধী শিবির। লালুপ্রসাদ যাদব যখন প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী, তখন নাকি বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের 'গ্রুপ-ডি' পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিয়োগ ওঠে। এই ইস্যুতে কাঠগড়ায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী-সহ তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল।

এই সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী জানান, গোটা বিশ্ব দেখেছে, সারা দেশ দেখছে, আমরা এসবে ভয় পাই না, কেনই বা পাব।

2 years ago


Hajaribag: কাছে গিয়েও অধরা টিকি! ইনকাম ট্যাক্স অভিযানের আগেই নগদ-সহ উধাও পার্থ ঘনিষ্ঠ

হাজারিবাগে (Hajaribag) কাছে পৌঁছেও আয়কর কর্তারা (IT Raid) টিকি ধরতে পারলেন না পার্থ ঘনিষ্ঠ (Partha Chatterjee) এক ব্যক্তির। আয়কর দফতরের অভিজানের ঘণ্টাখানেক আগেই নাকি পগারপার সেই সন্দেহভাজন। শহরের ভাণ্ডারা পার্কের এক হোটেল অভিযান চালিয়ে এমনটাই জেনেছেন আয়কর কর্তারা। ইডি (ED) মারফৎ সূত্র পেয়ে হাজারিবাগ শহরের সেই হোটেলে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। 

হোটেল কর্মীরা আয়কর কর্তাদের জানিয়েছেন, একটা বিশাল ব্যাগ নিয়ে সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়িতে কলকাতা থেকে এসেছিলেন ওই সন্দেহভাজন। কিন্তু অভিযানের অনেক আগেই ভাণ্ডারা পার্কের সেই হোটেল ছাড়ে সেই সন্দেহভাজন। তাঁকে গ্রেফতার কড়া গেলে আরও নগদের হদিশ মিলত বলেই জানিয়েছে আয়কর দফতরের এক কর্তা। জানা গিয়েছে, আয়কর দফতরের যে দল এই অভিযান চালায়, তারা অন্য একটি মামলার জন্য হাজারিবাগে অস্থায়ী শিবির করেছে।

এই অভিযানের আগে ভাণ্ডারা পার্কের সব প্রবেশপথ সিল করে দেয় তারা। সেই পার্কের মধ্যে হোটেল ছাড়াও রয়েছে মাল্টিপ্লেক্স এবং ম্যারেজ হল। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সন্দেহভাজনের গতিবিধি বিষয়ে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

এদিকে, দু'দিন আগে পার্থ এবং অর্পিতাকে আদালতে তোলা হয়েছিলন। দু'জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। সেই শুনানিতে "কেউ ছাড় পাবেন না, সময় এলে সব জানতে পারবেন"। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিস্ফোরক মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সূত্রের খবর। আদালতে মেজাজ হারিয়ে বলেন তিনি। জেলের মধ্যে তাঁকে জেরা চলছে, সেই সময় স্টেটমেন্ট পেপার স্ক্র্যাচ করে দেন তিনি। এই অভিযোগ আদালতে করেছে ইডির আইনজীবী। উল্লেখ্য,এর আগে ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে ১৮ অগাস্ট আদালতে পৌঁছেই এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

পাশাপাশি পার্থকে জেরা করতে জেলে গিয়েছিল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কথা মিথ্যে বলে ইডির আইনজীবী বলেছেন। ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে চেকআপ করা হচ্ছে। এইমস সূত্রে জানা গেছে, ৭০-র বেশি বয়সী মানুষ কোমর্বিডিটিতে ভোগেন। তাঁর কোমর্বিডিটি আছে, এটা সবার থাকে বলে ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন। তবে পার্থর আইনজীবী বলেন তাঁর হিমোগ্লোবিন কমেছে, বেড়েছে ক্রিয়েটিনিন। 

2 years ago
AAP: সিবিআই এবার পৌঁছল দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে, চলছে তল্লাশি

প্রসূন গুপ্ত: জন্মাষ্টমীর আনন্দে যখন রাজধানী মাতোয়ারা তখন সকাল থেকে সিবিআই হানা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। বিষয় আবগারি দফতরের বেহিসাবি কাজ। দিল্লি আবগারি নীতিতে বেনিয়ম চলছে এই অভিযোগে সিবিআই আগেই এফআইআর করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, মদ বিক্রির সংক্রান্ত বেনিয়ম। দিল্লি পুলিস যদিও দিল্লি সরকারের অধীনস্থ নয়। কাজেই শোনা গিয়েছ, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আবগারি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এরপরই নাকি তদন্তে নামে সিবিআই এবং বর্তমান আপ সরকারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে সিসোদিয়ার বাড়িতে একবার সিবিআই হানা দিয়েছিল, আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই তল্লাশি।

শুধুমাত্র মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২০টিরও বেশি এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিসোদিয়া অবশ্য বিচলিত নয় বলে জানাচ্ছেন। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। তিনি টুইটে জানাচ্ছেন, সিবিআই এসেছে, স্বাগত তাদের। আমরা (অর্থাৎ আপ পার্টি) খুব সৎ, এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের যে, দেশে যারা ভালো কাজ করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে আমাদের দেশ পয়লা নম্বরে যেতে পারল না। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এর আগেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। সেবারও কিছু পায়নি, এবারও পাবে না। কেজরিওয়াল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।

মূল ঘটনার বিষয় মদের দোকান। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু অঞ্চলে বা এলাকায় মদের দোকান খোলা নিয়ে অবস্থান পাল্টিয়েছেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজল। মন্ত্রিসভা থেকে একসময় অনুমোদন করা হয়েছিল নতুন স্থানে এই ব্যবসা খোলা হবে। মন্ত্রিসভার এই বিলে সম্মতি নাকি জানিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল। পরে অজানা কারণে এই নীতি অনুমোদন করছেন না তিনি। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীরা সচল হয়ে জানাচ্ছে, সিবিআই দিয়ে রাজনীতি চালাচ্ছে সরকার।

2 years ago


IT raid: সক্রিয় আয়কর দফতর, কলকাতায় ৩০টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি

এই মুহূর্তে রাজ্যে ঘটে চলা সাম্প্রতিক ঘটনার মধ্যে অন্যতম গরু পাচার, কয়লা পাচার, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, টেট দুর্নীতি। এইসব দুর্নীতির তদন্তে তত্পর ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। পার্থ-অর্পিতার পর অনুব্রত মণ্ডলও সিবিআই হেফাজতে। এই আবহে ইডি-সিবিআইয়ের পর এবার রাজ্যে সক্রিয় হল আরও একটি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিলেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এদিন এলগিন রোড, পার্ক সার্কাস, পার্ক স্ট্রিট–সহ একাধিক জায়গায় হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, শহরের ৩০ টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ১৫০ জন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। যে ঠিকানাগুলিতে এদিন তল্লাশি চালানো হয়েছে সেগুলি মূলত তিনটি নির্মাণ সংস্থার বলে দাবি। যদিও ঠিক কীসের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট করেনি আয়কর বিভাগ। এর মধ্যে তিনটি বিখ্যাত নির্মাণ সংস্থার সদর দফতর ছিল বলে আয়কর বিভাগ সূত্রের দাবি।

তবে সূত্রের দাবি, তিনটি নামী নির্মাণ সংস্থা থেকে বেশ কিছু নথি মিলেছে। আধিকারিকরা এদিন কথা বলেন তিনটি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। এই নির্মাণ সংস্থাগুলি ভুয়ো বা ড্যামি সংস্থা তৈরি করে লেনদেন করত বলে খবর। এমনকী কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতিও তাঁরা বের করেছিল বলে সূত্রের দাবি। 

2 years ago
cash seized: কলকাতা, হাওড়ার পর মহারাষ্ট্র! আয়কর হানায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে উদ্ধার ৫৬ কোটি টাকা

ফের উদ্ধার যকের ধন। মহারাষ্ট্রে (Maharastra) আয়কর হানায় (Income Tax Department) বাজেয়াপ্ত ৩৯০ কোটির সম্পত্তি। টাকার পাশাপাশি হিরে, সোনার পাহাড়ও উদ্ধার হয়েছে। কর ফাঁকি মামলায় জালনার একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ৩৯০ কোটির বেনামি সম্পত্তির হদিশ পায় আয়কর দফতর। সেই মোতাবেক তদন্তে নেমে বেরিয়ে এল ৫৬ কোটি টাকা নগদ (Cash), ৩২ কেজি সোনা (Gold) এবং ১৪ কোটি টাকা মূল্যের হিরে-জহরত (Diamond)। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও বাজেয়াপ্ত (Seized) করেছে আয়কর দফতর।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইস্পাত, কাপড় এবং রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে।  গত ১লা অগাস্ট থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ৮ অগাস্টের মধ্যে দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ বেনামি সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মোট ২৬০ জন আয়কর কর্মী পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেন। টাকার পাহাড় গুনে শেষ করতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায় বলে খবর। এ ঘটনা দেখে সম্প্রতি কলকাতায় ইডির হানার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে অনেকের। কয়েকদিন আগে প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে এরকমই দীর্ঘ সময় লেগেছিল তদন্তকারীদের।

2 years ago