এসএসসি (SSC) নবম-দশম মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি সূত্রের খবর, একই দিনে রাজ্যের আরও ৫ টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের দল। তদন্তে ফের তৎপর সিবিআই। একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের তিন জায়গা, বীরভূম সহ বিভিন্ন জেলায় শুক্রবার তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের পাঁচটি টিম বের হয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে নিতাই সাহা নামে একজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একটি দল। অভিযোগ, এই নিতাই ছিলেন এসএসসি কাণ্ডের অন্যতম এজেন্ট। পাশাপাশি, এদিন মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেও যায় সিবিআইয়ের দ্বিতীয় দল। সিবিআই সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। জীবনকৃষ্ণের সুপারিশে নাকি দিয়ে চাকরি হয়েছিল একাধিক অযোগ্য প্রার্থীর। প্রসঙ্গত, এই জীবনকৃষ্ণ হলেন এজেন্ট নিতাইয়েই শ্বশুর।
অভিযোগ, এদিন জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি প্রার্থীতালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই৷ এছাড়া, কার কার কাছে কত টাকা পাঠানো হত সেই লিস্টও উদ্ধার হয়েছে৷ এমনকি, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ও নথিও পেয়েছ সিবিআই৷ সিবিআইয়ের তৃতীয় দল যায় মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বিধায়কের বাড়িতে। কিন্তু উনি চিকিৎসা কারণে কলকাতায় এসেছেন বলে সূত্রের খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁর সঙ্গেও নাকি যোগাযোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের। এছাড়াও, বীরভূমে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। তদন্তে অগ্রগতি আনতে কিছু দিন আগেই সাত আধিকারিককে নিয়ে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল সিবিআই। তারপরেই এদিন একযোগে এতগুলো অভিযান৷
রবিবার সকাল থেকে সিবিআই (CBI) তল্লাশি (Raid) রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়। গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় রাজ্যের তিন জেলায় তল্লাশি চালালো সিবিআই। সূত্রের খবর, রবিবার গরু পাচারকাণ্ডের মূল পান্ডা, এনামুল হকের সহযোগী ৫ জন কাস্টমস অফিসারের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআইয়ের বেশ কিছু আধিকারিকরা সকাল থেকেই নেমে পড়েন তল্লাশি অভিযানে।
সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, কলকাতায়, কিছু নির্দিষ্ট কাস্টমস অফিসারদের বাড়িতে চলে তল্লাশি। সূত্রের খবর, মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে, এনামুল ঘনিষ্ঠ কাস্টমস অফিসারদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের অনুমতি নিয়ে, রবিবার রাজ্যের তিন জেলার, ৬ জায়গায় কাস্টমস অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্র গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার (Tuesday) সকাল থেকে শহরজুড়ে একাধিক জায়গায় ইডির (Ed) তল্লাশি। ইডি সূত্রের খবর, সকাল থেকে সল্টলেকের (Saltlake) একাধিক জায়গায় ইডির আধিকারিকরা, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশিতে নেমে পড়েন। সূত্রের খবর ইডির আধিকারিকরা একটি বেসরকারি বস্ত্র বিপনী সংস্থা, শ্রী শ্যাম বাটিকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই বেসরকারি সংস্থার মালিক, অরুন, সঞ্জয়, সুনীল আগারওয়াল তিন ভাই। ওই সংস্থা বিভিন্ন রাজ্যে শাড়ির ব্যবসা করত।
সূত্রের খবর, ভোর পাঁচটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ছয়-সাতজন ইডির অফিসার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তল্লাশিতে বার হয়। সল্টলেকের সিজি-২৩০ ব্লকে ছাড়াও আরও বেশ কিছু জায়গায় ইডির তল্লাশি চলছে। ঠিক কি কারণে এই তল্লাশিও অভিযান সেটা এখনও জানা যায়নি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর (ED RAID) ঘেরাটোপে বলাগড়ে শান্তনুর গেস্ট হাউসের তালা ভেঙে ঢুকলো ইডি, শান্তনুর বিপুল পরিমানে সম্পত্তির হদিশ। শান্তনুর বিরুদ্ধে বহু মানুষের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল পূর্বেই, এরপর দল থেকে বহিস্কার হওয়ার পর সামনে আসে কাটমানি না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বালির মোড় সংলগ্ন এলাকায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দোপাধ্যায়ের নামে কয়েক বছর আগে ৩০ লক্ষ টাকায় কেনা হয় দোতলা একটি বাড়ি।
ইতিমধ্যেই শান্তনুর উপর থেকে হাত সরিয়েছে তৃণমূল (TMC), গ্রেফতারির দিন কয়েকের মাথায় দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন তিনি। দল থেকে বহিস্কৃত হয়ে যাওয়ার পর সামনে এলো আরও ভয়ানক তথ্য, সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দুকের নল দেখিয়ে বহু জমি ও বাড়ি দখল করে নিজের নামে করেও নিয়েছিলেন তিনি। চলতি মাসের ১১ তারিখই তাঁর বিলাসবহুল গেস্ট হাউসের খোঁজ মিলেছে বলাগড়ে। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ শান্তনুর গ্রেফতারির তিনদিন পর তিন জন দুষ্কৃতী বাইক করে শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে আসে, এবং তাঁরা ওখানে আধ ঘন্টা কাটায় , স্থানীয়দের আরও অভিযোগ যে দুষ্কৃতীরা ওই বাড়ি থেকে শান্তনুর অনেক তথ্য ও নথি পাচার করেছে ,এছাড়া ব্যান্ডেলে সন্ধান মেলে শান্তনুর স্ত্রীয়ের নামে পেল্লায় বাড়ির। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই একের পর এক তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলছে। নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, ধাবা, রেস্টুরেন্ট, হোম স্টে, বাগান বাড়ি, ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলছে। ধীরে ধীরে সব সম্পত্তিতে অভিযান চালাবে ইডি, এমনটাই নাকি সূত্রের খবর।
শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে ইডি, বলাগড়-সহ ব্যান্ডেলে তার স্ত্রীর বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে ইডি, সকাল থেকেই একযোগে অভিযান চলছে ইডির। ইতিমধ্যে শান্তনুর চুঁচুড়ার ফ্ল্যাটে হানা ইডির। এছাড়া একইসঙ্গে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
বিপুল পরিমাণে গাঁজা পাচারের (Weed Recovery) অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে STF। সোমবার ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে (Purulia Police) পেশ করানো হয়েছে। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে অভিযান চালিয়ে দুটি গাড়ি আটক করে। সেই আটক গাড়ি থেকে প্রায় ৩৩৫ কেজি বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযাগে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সম্বলপুর থেকে ঝালদা হয়ে আসানসোলে যাচ্ছিল গাঁজা ভর্তি দু'টি গাড়ি। সেই খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে নাকা চেকিং করে। এরপরেই সন্দেহজনক একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি চার চাকা আটক করে। এই প্রচুর মাত্রা গাঁজা উদ্ধারের ফলে এসটিএফ অভিযান সফল।
পুলিস জানিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে ৭৭ প্যাকেট ভর্তি প্রায় ৩৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার চার জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে, ধানবাদ পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে। সোমবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। একইসঙ্গে এদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য এই পাচার চক্রের যোগ পেতে জেরা করতে চায় পুলিস।
খাস কলকাতায় ফের নগদ টাকা উদ্ধার (Cash Recover)। ইডি অভিযানে (ED Raid) বালিগঞ্জের এক সংস্থা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক কোটি টাকারও বেশি। বুধবার সন্ধ্যায় এই নগদ গুণতে আনা হয়েছিল টাকা গোনার মেশিন। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও চলেছে টাকা গোনার কাজ। এমনকি এই অভিযানে কেন্দ্রীয় সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা নেতৃত্ব দেন। অভিযোগ, কয়লা-কাণ্ডের (Coal Case) কালো টাকা ঘুরে এই সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে সেই অর্থ।
জানা গিয়েছে, ইডির ১২-১৩ জন কর্তারা মনজিত সিং জিততার খোঁজে আসেন তদন্তকারী অফিসাররা। মনোজিতকে না পেয়ে বিক্রম শিখারিয়া নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে ইডি। কোথাও টাকা লুকনো রয়েছে কিনা সেই খোঁজেও কেন্দ্রীয় সংস্থা। পাশাপাশি সংস্থার অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে এই বেসরকারি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। খোঁজ মিলেছে এমন আরও একাধিক সংস্থার।
জনপ্রিয় বিড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার একাধিক অফিসে আয়কর হানা (IT Raid in Kolkata)। বুধবার সকালে ৬ জন আয়কর অফিসার ৫৭বি মির্জা গালিব স্ট্রিটে এই বিড়ি সংস্থার (Biri Factory) অফিসে হানা দেন। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিড়ি সংস্থার প্রধান কার্যালয় মির্জা গালিব স্ট্রিটের এই অফিস। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের দুটি অফিসেও চলছে আয়কর হানা। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) দিয়ে ঘিরে কলকাতার অফিসে অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে, এই বিড়ি সংস্থা চায়ের ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করেছে। ব্যবসার হিসেবে গরমিল পেয়ে এবং সংস্থার দুই অধিকর্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। সেই গরমিল খতিয়ে দেখতেই এই ম্যারাথন অভিযান। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, এই সংস্থার বিড়ি ব্যবসা বেশি লাভজনক। পাশাপাশি রয়েছে চায়ের ব্যবসা। ব্যবসা সংক্রান্ত আয়কর সঠিক ভাবে পরিশোধ করা হতো কি? সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছেন আয়কর কর্তারা। সূত্রের খবর, এই বিল্ডিংয়ের ভিতর থেকে বাইরে আসতে এবং বাইরে থেকে ভিতরে ঢুকতে বিশেষ নথি রাখতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিড়ি সংস্থার দুই কর্তাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এমনটাই আয়কর দফতর সূত্রে খবর।
এদিকে, মুর্শিদাবাদের সুতি ঔরঙ্গাবাদে এই বিড়ি সংস্থার একটি অফিসে আয়কর হানা। বেআইনি লেনদেন খতিয়ে দেখতেই এই হানা বলে খবর। কোথাও নগদ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে এই অভিযান। পাশাপাশি ওই জেলার সামসেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড়ের বিড়ি সংস্থার এক অফিসে হানা দিয়েছে আয়কর কর্তারা। জানা গিয়েছে, ৪টি গাড়ি করে আধিকারিকরা এসে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অফিস ঘিরে চলছে অভিযান। আয়কর হানার প্রাথমিক পর্যায়ে বিড়ি শ্রমিকদের অফিসে ঢুকতে বাধা দিলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল বলে খবর।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। রাজ্যের আটটি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ত্রিপুরা পুলিস টিএসআর এবং কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর চিরুনি তল্লাশি চলছে। এরই ফলস্বরূপ ২৩শে জানুয়ারি সোমবার রাজ্যব্যাপী একযোগে চলা অভিযানে মোট ৩৪৯ জনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস (Police)। আপরাধ, এঁদের মধ্যে কেউ নেশা দ্রব্য পাচারকারী, কেউবা ফেনসিডিল ব্যবসায়ী, কেউ গাঁজার কারবারি অথবা ড্রাগস, হেরোইন বিক্রেতা। আবার চুরি-ছিনতাই-র মতো অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে।
গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকেই আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যব্যাপী বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে বলে পুলিসের ধারণা। আর তাই তাদের আগে থেকেই চিহ্নিত করে আটক করেছে পুলিস। ত্রিপুরা পুলিসের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের পুলিস ৩৩ কেজি গাঁজা, ১০.৫ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে। মোট ৩৪৯ জন অভিযুক্তকে একাধিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ত্রিপুরা পুলিসের নজরদারি এবং তৎপরতা ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনদিন আগেই এমনই একটি অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় ২১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিস। যেখানে মোট ২৩০ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিস। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই অভিযানে খুশি ত্রিপুরাবাসী।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির এক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Zakir Hossain) পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। সম্প্রতি জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) বাড়িতে ম্যারাথন আয়কর অভিযান (IT Raid) চলেছে। প্রাক্তন এই মন্ত্রীর অফিস-বাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার অংশ বিড়ি শ্রমিকদের বেতন। এমন দাবি সংবাদ মাধ্যমের কাছে করেন জাকির হোসেন। এবার তিনি পাশে পেলেন দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।
সাগরদিঘির সভায় মমতা বলেন, 'জাকির একজন বিড়ি শিল্পপতি। দোষ থাকলে নিশ্চয় আইনত ব্যবস্থা করবে। কিন্তু জাকির শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস করে বলে, তাঁর যে ২০ হাজার বিড়ি কর্মচারী আছে, তোমরা সেটা দেখো না! তাঁদের বেতন কি ব্যাঙ্কে দেবে? কটা বিড়ি শ্রমিকের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে? আধার কার্ড দাও, প্যান দাও, এনআরসি দাও, এসব করে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নাও। জাকির নিজেরটা বুঝে নিতে সাবলম্বী, ওকে তো প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি জানান,'আমার দুর্ভাগ্য, কোনও একজনকে এখানে দলের পক্ষ থেকে কাজ করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তৃণমূলের কোন লোকটা শক্তিশালী বের করে তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম। আগে নিজের বাড়িতে সিবিআই,ইডি, ইনকাম ট্যাক্সের অভিযান চালান। তারপর তৃণমূলের বাড়িতে করবেন।'
সোমবারও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, একজন-দু'জন খারাপ হলে সবাই খারাপ নয়। এখনও কোনও খারাপ কাজ করলে মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন। কারও থেকে কিছু নিয়ে থাকলে গিয়ে ফেরত দিন। পাশাপাশি একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে, এদিন ফের অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একশো দিনের কাজের টাকা কেন পাবে না গরিব মানুষ? বিজেপি-সিপিএম জবাব দাও। রাম-বাম-শ্যাম এক হয়েছে এই কটাক্ষের সুরে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএমকে এভাবেই তোপ দাগেন মমতা।
প্রায় দেড় দিন অতিক্রান্ত এখনও কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) রেস্তোরাঁয় আয়কর অভিযান (IT Raid) অব্যাহত। বুধবার সকাল থেকে ১৭৯ নম্বর এজেসি বোস রোডের একটি ব্যাঙ্কোয়েট কাম রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই রেস্তোরাঁয় কলকাতা পুরসভার (KMC) ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববির অংশিদারিত্ব রয়েছে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের একটি গাড়িও রয়েছে রেস্তোরাঁর পার্কিং লটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দিয়ে ঘিরে গোটা বিল্ডিংয়ের তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। যারা ভিতর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিতে হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না।
এদিকে বুধবার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হুসেনের বাড়ি-অফিসে সিবিআই তল্লাশি চলেছে। সূত্রের খবর, উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। যে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি।
আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সবচেয়ে বেশি করদাতা। প্রতি বছর আমি কেন্দ্রের থেকে সার্টিফিকেট পাই। আয়কর হানায় (IT Raid) বাড়ি-অফিসে নগদ উদ্ধার-কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন (TMC MLA Zakir Hossain)। পাশাপাশি এই ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, 'আমার বাড়ি থেকে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে। আনুমানিক এক-দেড় কোটি টাকা (Cash Seized) উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। কিছু টাকা আমার ছেলে আর স্ত্রী-মেয়ের। চালকল থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটাও ধান-গম কেনার টাকা, বেতনের টাকা। নগদে না দিলে ধান-গম কৃষকরা দেবেন না। তাছাড়া চালকল শরিকি ব্যবসা, অন্যদের জিজ্ঞাসা করতে হবে টাকার উৎস। ' এরকম করলে মিল বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা করেন তৃণমূল বিধায়ক।
১৫ কোটি টাকা উদ্ধারের যে খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখাচ্ছে, সেই খবর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের জঙ্গিপুরের বিধায়ক। পাশাপাশি এভাবেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেন প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী। এদিকে, জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর।
সূত্রের খবর, নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস এবং কারখানায় টাকার পাহাড়! জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (Zakir Hossain) বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি (IT Raid) চালিয়ে নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে মিলিয়ে বুধবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য জায়গাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বাকি অর্থ। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রম দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
জাকিরের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের উদ্ধার হওয়া অর্থ আদতে কোন পথে এসেছে, সেটা জানতে জাকিরকে তলব করতে পারে সিবিআই। সূত্র অনুযায়ী, এই অর্থ জাকিরের বিড়ি কারখানায় ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা জানতে চায় ইডি। এত পরিমাণ নগদ কী কাজে বাড়ি-অফিসে রাখা ছিল, সেটা জানতে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ফের নৃশংস ঘটনা! পারিবারিক অশান্তির জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে খুন (murder) করলো ছেলে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়দিঘী (Raidighi) থানার উত্তর কুমড়োপাড়া এলাকায়। নিহত ব্যক্তি দুলাল গায়েন, বয়স ৬২ বছর। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছেলে দীপঙ্কর গায়েনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে রায়দিঘি থানার পুলিস (police)।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বাপ ছেলের মধ্যে একটা মনোমালিন্য চলছিল। সোমবার সকালে সেই অশান্তি পৌঁছয় চরমে। পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা দুলাল দাসকে তাঁর বড় ছেলে দীপঙ্কর গায়েন শাবল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দুলাল গায়েন। পরে স্থানীয় লোকজন দুলাল গায়েনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়। ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে রায়দিঘি থানার পুলিস। এলাকাবাসীরা আরও জানায়, দুলাল বাবুর বড় ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।
অন্যদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ড আবার পুলিস মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় রায়দিঘি থানার পুলিস। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়দিঘির উত্তর কুমারপাড়া এলাকায়।
এবার কর ফাঁকির অভিযোগ উঠল নামকরা এক প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা মিথরি মুভি মেকার্স (এম এম এম)-এর কার্যালয়ে সোমবার হাজির হয় আয়কর দফতর। সেদিনই ঘটনাচক্রে শুরু হয়েছিল ‘পুষ্পা: দ্য রুল’-এর (Pushpa 2 : The Rule) শুটিং। ফলে প্রথম দিনে আয়কর কর্তাদের হানা সিনেমার শুটিং-এ প্রভাব ফেলে। ২০২১-র ১৭ই ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ‘পুষ্পা: দা রাইজ়।’ সেই সালের সবচেয়ে সুপারহিট এবং সর্বোচ্চ আয় করা ছবি। সূত্রের খবর প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি। আয়কর দফতরে অভিযোগ করা হয়, উপার্জন অনুযায়ী কর দেয়নি ছবির প্রযোজনা সংস্থা। সেই অভিযগের ভিত্তিতেই 'পুষ্পা-২' শুটিং-এর প্রথম দিনই হাজির হয়ে যান আধিকারিকরা। শুরু করেন জিজ্ঞাসাবাদ। প্রয়োজনীয় তদন্ত করতেও দেখা যায় তাঁদের।
আল্লু অর্জুন এবং রশ্মিকা মন্দনা অভিনীত 'পুষ্পা: দা রাইজ' সিনেমার দ্বিতীয় পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন লাখ লাখ 'পুষ্পা' অনুরাগী। চলতি বছরের জুন মাসেই ছবির শ্যুটিং শুরুর কথা ছিল। যদিও তা হয়নি। আচমকাই শ্যুটিং পিছিয়ে দেন পরিচালক সুকুমার। জানা গিয়েছে, নায়ক অল্লু অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় শুটিং শুরু করতে দেরি হয়। সদ্য রাশিয়া থেকে ফিরে কাজে যোগ দেন অভিনেতা। প্রযোজনা সংস্থা সূত্রে খবর ছিল, পুরোদমে শুটিং শুরু হবে ১২ ডিসেম্বর থেকে। তারপর শুরুর দিনেই বাধা পড়ল সেটে।
ঝাড়খণ্ড (Jharkhand Link) যোগে শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার (Kolkata Raid) একাধিক জায়গায় ইডি তল্লাশি। শহর কলকাতার নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো, সল্টলেক এবং যোধপুর পার্ক-সহ একাধিক জায়গায় সকাল থেকেই তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED)। ভারতীয় সেনার জমি দখল এবং অবৈধ কয়লা খনি (Coal Block) বন্টন-কাণ্ডে সে রাজ্যের একাধিক ব্যবসায়ীর জড়িত থাকার সূত্র পেয়েছে ইডি। ইডির সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী। হেমন্ত সোরেনের রাজ্যে অবৈধভাবে সেনা জমি দখলের অভিযোগ ইডির কাছে করা হয়েছিল। পাশাপাশি কোল ব্লক বন্টন-কাণ্ডের তদন্ত ইতিমধ্যেই করছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। এই দুই কাণ্ডে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ এবং নয়ছয়ের অভিযোগও ওঠে। এই জোড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তৎপরতা।
এদিন সল্টলেকে ব্যবসায়ী অমিত আগারওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এই অমিত আগরওয়াল হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে বেআইনি কোল ব্লক বন্টন-কাণ্ডে সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। পঙ্কজ মিশ্র নামে এক বিধায়ককে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বেআইনি কোল-ব্লকে নাকি টাকা খাটাতেন অমিত আগরওয়াল।
সেই সূত্র সংক্রান্ত নথি খুঁজতেই ইডির এই তল্লাশি। সকাল প্রায় পৌনে ৭টা থেকে চলছে এই তল্লাশি অভিযান। অমিতের গাড়ি খুলেও তল্লাশি চালায় ইডি। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গড়িয়াহাট রোডের যোধপুর পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি করেন ইডি আধিকারিকরা। সঞ্জয় ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে হয়েছে এই অভিযান। যদিও সেই ফ্ল্যাট বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর সিল করে দেওয়া হয় ফ্ল্যাটটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ তিনি এই মুহূর্তে দেশের বাইরে, তবে ঠিক কীসের ব্যবসা করেন সঞ্জয়বাবু, তা স্পষ্টভাবে জানে না কেউ।
এমনকি নোনাপুকুরের এক বেসরকারি সংস্থায় হানা দেয় ইডি। ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল দু'জন সাক্ষী। এই সংস্থার ডিরেক্টর বিষ্ণু আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ। এই ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডে থাকেন, কিন্তু সেনা জমি দখল মামলার তদন্তে এই সংস্থা থেকে কোনও নথি পাওয়া যায় কিনা, খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।