Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Protest

AAP Protest: কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবিতে আপ কর্মীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র দিল্লি, ধরপাকড় পুলিসের

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেই মতো সকাল থেকেই প্যাটেল চক এলাকায় জোড়ো হতে শুরু করেছিলেন আপ নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিসও। কর্মসূচি শুরু হতেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় পরিস্থিতি। প্রতিবাদকারীদের আটকাতে শুরু হল ধরপাকড়। দিল্লি পুলিসের হাতে আটক হলেন পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা আপ নেতা হরজোৎ সিং বাইন।

আবগারি মামলায় গত কয়েকদিন আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর থেকেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরি। জেলে বসেই সরকার চালাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আজ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিস। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

4 weeks ago
HS Exam: উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষার আগে শব্দবাজির তাণ্ডব! প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

রাজ্যে শুরু হয়েছে ২০২৪-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আর উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষার ঠিক আগের রাতে শব্দদূষণে কেঁপে উঠলো নিউটাউন সিটি সেন্টার টু এলাকা। প্রতিবাদ করায় চলল ব্যাপক মারধর।

জানা গিয়েছে, নিউটাউনের বিশ্ববাংলা সরণির পাশেই একটি বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল শব্দবাজির তাণ্ডব। এছাড়াও এই বাজির আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ছিল পাশের একটি অভিজাত আবাসনে। আবাসনের আবাসিকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে, বিয়ে বাড়ির লোকজন আবাসনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষী ও আবাসিকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় গভীর রাতেই ইকোপার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত  আবাসিকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নেমেছে ইকো পার্ক থানার পুলিস।

2 months ago
Sandeshkhali: সন্দেশাখালি গেলেন রাজ্য়পাল, কী কী অভিযোগ জানালোন মহিলা বিক্ষোভকারীরা...

সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মহিলা কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্য়পাল। সন্দেশখালিকাণ্ডে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। দিন দুয়েক আগেই এই মহিলা কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। যখন সন্দেশকালিতে রাজ্য়পাল আসার ঘোষণা হল, তারপর কয়শো মহিলা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হয়। 

সোমবার রাজ্য়পাল সন্দেশখালিতে প্রবেশ করার পর বিক্ষোভকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, তাঁরা এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পায়নি। এমনকি আবাস যোজনার ঘরও পায়নি। এছাড়াও গ্য়াসের মূল্য় বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে তাঁর। শেখ শাহজাহানের দলবলের অত্য়াচারের ভয়ে ভয়ে কাটাতে হয় মহিলাদের। সব অভিযোগ শোনা মাত্র রাজ্যপাল তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তোমরা চিন্তা করো না।  

সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে শেখ শাহজাহান প্রতিকী ছবিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাতে ঝাঁটা নিয়ে রামপুরহাট থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের পর রামপুরহাট থানায় স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয়। রামপুরহাট দলীয় কার্যালয় থেকে রামপুরহাট থানায় মিছিল করে আসেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রশ্মি দে ও বিজেপি সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল সহ অনান্য নেতৃত্ব।

2 months ago


Sheikh Shahjahan: শাহজাহানের কুকীর্তি! আদিবাসীদের জমি লুঠ, বিক্ষোভে ফুঁসছে আদিবাসীরা

তিনি নাকি সন্দেশখালির গরীব মানুষের মসিহা? অন্তত এমনটাই তো প্রচার করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানের সম্পর্কে। কিন্তু সাধারণ থেকে প্রভূত ক্ষমতাধারী হয়ে ওঠার পিছনে আসল কারণগুলো একের পর এক সামনে আসতে থাকে শাহজাহানের গা ঢাকা দেওয়ার পর। এই যেমন দিনের পর দিন শাহজাহনের কুকীর্তির কথা সামনে এনে ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালির আদিবাসীরা। শাহজাহানের দৌলতে দু'বছর আগেই জমি হারিয়েছেন এই হত দরিদ্র্য মানুষগুলো।

তাঁরা অভিযোগ করছেন, শেখ শাহজাহানের ডান হাত জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দার, সন্দেশখালি ব্লক টুর দাপুটে নেতা, দিনের পর দিন শেখ শাহজাহানের হয়ে আদিবাসীদের বিঘের পর বিঘে সম্পত্তি কেড়েছিল। সন্দেশখালির সম্রাট শেখ শাহজাহান উধাও হতেই, নড়ে চড়ে বসেছে আদিবাসীরা, এতদিন যারা তাঁর ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল, এখন তারাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে জমি ফেরত পাওয়ার জন্য।

জোর করে জমি কেড়ে নিয়েছে, তার বিনিময়ে কোনও টাকাও দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে প্রাণনাশেরও হুমকি মিলেছে। বিক্ষোভ থেকে এমনই আওয়াজ ওঠে। পুলিসে অভিযোগ করতে গেলে উল্টে তাদের বিরুদ্ধেই কেস দেয় পুলিস, মেলে পুলিসের লাঠির ঘা। অভিযোগ বিক্ষোভকারী আদিবাসীদের।

শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে জখম ইডি আধিকারিক থেকে সংবাদ মাধ্যম।আর তারপর থেকেই বেপাত্তা শাহজাহান। বারবার হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরও রাজ্য পুলিসের ধরা ছোঁয়ার বাইরে সে। এদিকে শেখ শাহজাহানের হাজিরার তারিখ থাকলেও হাজিরা না দিয়ে আগাম জামিনের আর্জি করে ইডির বিশেষ আদালতে আবেদন করেন শেখ শাহজাহান। আর এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার জেলা পরিষদ সদস্য সন্দেশখালি ব্লক টুর-এর দাপুটে নেতা উত্তম সর্দারের নেতৃত্বে ভেরি তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। যে মুহূর্তে জমিতে শ্যালো লাগিয়ে জল ছেঁচে ফেলার কাজ চালু করা হয়, ঠিক সেই সময়ই সেখানে উপস্থিত হয় আদিবাসীরা। যাদের জমি বলপূর্বক কেড়েছিল শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা, রুখে দেয় জল ছেঁচার কাজ। তাঁরা দাবি তোলে, অবিলম্বে তাদের জমি ফেরত দিতে হবে, নইলে এবার তারা রুখে দাঁড়াবে। এতদিনের জমা ক্ষোভ প্রতিবাদের চেহারা নেয়। দেওয়াল পিঠ ঠেকা মানুষগুলো এবার তাদের অধিকার নিজেরাই বুঝে নিতে জোট বাঁধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

3 months ago
TET: মুখে কালি, হাতে থালা নিয়ে প্রতিবাদ ২০২২ টেট উত্তীর্ণদের, দাবি ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের

এবার মঙ্গলবার শহরের রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন ২০২২ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। রীতিমত মুখে কালি মেখে, থালা বাজিয়ে, প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সেজে প্রতিবাদ জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। এছাড়াও শঙ্খ বাজিয়ে, ফুটবল খেলে, প্রতীকী টেট সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হলেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৫ বছর পর গত ২০২২-এর ডিসেম্বরে হয়েছিল প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা হলেও এখনও ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি এবং প্যানেল প্রকাশ হয়নি। ঠিক এই কারণেই ইন্টারভিউর বিজ্ঞপ্তি এবং প্যানেল প্রকাশের দাবিতে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার তাঁদের এই মিছিল শিয়ালদহ থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল অবধি যায়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি থাকলেও যেহেতু তাঁদের জানানো হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী এখানে নেই তাই তাঁর দফতরের আধিকারিক এর কাছে এই ডেপুটেশন দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় কর্মসূচি।  

মঙ্গলবার নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের এক অভিনব পন্থাও বেছে নিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সেজে প্রতিবাদ জানালেন তিনি, যাঁর হাতে একটি থালা এবং সেখানে লেখা লক্ষীর ভাণ্ডার চাই না, ২০২২ টেটের ইন্টারভিউর নোটিস চাই। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর এ বিষয়ে কোনও হেলদোল না থাকাতেই এমন অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন এই চাকরিপ্রার্থী।

পাশাপাশি এদিন প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সাজা চাকরিপ্রার্থীর মতে, তাঁদের লক্ষীর ভাণ্ডার নয়, কোনও ভাতা নয়, চাই কেবল স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ।

তবে চাকরিপ্রার্থীদের জানান তাদের ইন্টারভিউ প্যানেল যদি জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রকাশ করা না হয় তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা। এছাড়াও চাকরিপ্রার্থীদের মতে পাশের রাজ্য বিহারে যদি সাড়ে ৪ লক্ষ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা যায়, যদি অসমে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হয় তাহলে বাংলায় কেন নয়? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৫০০ টাকা করে ভাতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন, এমনটাই জানালেন আন্দোলনরত ২০২২ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।

শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের বহু নেতা-মন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন জেলে। তার মধ্যেই নিয়োগের দাবিতে রাজপথে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্যের বহু বঞ্চিত যোগ্য চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু আন্দোলনই সার। দীর্ঘ আন্দোলন, একাধিক বৈঠকেও সুরাহা তো মেলেইনি উল্টে বহুবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বহু চাকরিপ্রার্থীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেছে পুলিস। এতো দুর্নীতি, এতো অন্যায়, এতো বঞ্চনা শেষে বছর ঘুরলেও নিয়োগ কিন্তু সেই তিমিরেই। আর কতদিনই বা রাজ্যের যোগ্য শিক্ষিত প্রজন্মকে হকের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করতে হবে? এ লজ্জার দায় কার? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর কিন্তু অজানাই থেকে যাচ্ছে।

4 months ago


Accident: ঠাকুরপুকুর খাল পোলে পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক বৃদ্ধ, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড-এর ঠাকুর পুকুর খাল পোলের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রশাসনের নজর নেই। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ জমতে জমতে বিক্ষোভে পরিণত হয় যখন শুক্রবার ভোর রাতে এক বৃদ্ধ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। নাড়ু গোপাল পাল নামের ৫০ বছরের ওই বৃদ্ধকে ধাক্কা মারে একটি লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর পথে নেমে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। তাঁরা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধ রাস্তায় পরে থাকলেও তার উপর দিয়েই বেশ কিছু গাড়ি ইচ্ছাকৃত চালানো হয়।

রাস্তার দুধারে বস্তি এলাকা। সেখানকার ছোট ছোট শিশুরা প্রতিদিন এই রাস্তা পারাপার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও এখনও কোনও বাম্পার তৈরি করা হয়নি। গাড়ি চালকদের গাড়ি আস্তে চালাতে বললে কেউ শোনে না, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও ব্যবস্থাও করেনি প্রশাসন। তাই মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ভোটের সময় দেখা মেলে স্থানীয় কাউন্সিলরের। প্রতিশ্রতির বন্যা বয়ে যায়। আর ভোট মিটলেই সব ভোঁভা। স্থানীয় ঠাকুরপুকুর থানাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু কর্ণপাত করেনি তারাও। আতঙ্কিত এলাকার মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন তার। তাদের সাফ কথা দুদিনের মধ্যে যদি বাম্পার তৈরি না হয় তাহলে আবারও রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হবেন তারা।

উন্নয়নের নামে ভুরিভুরি টাকা খরচের কথা বলে সরকার। দান খয়রাতিতেও কোটি কোটি টাকা খরচ করতে দ্বিধা করেন না মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়নের জোয়ারের মাঝে একটা এলাকার মানুষদের জীবন সুনিশ্চিত করতে দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচাতে কয়েকটা বাম্পার তৈরি করে দিতে পারছে না প্রশাসন? নাকি বস্তি এলাকায় বাস করে বলে এই মানুষগুলোর জীবনের কোনও জীবনের দামই নেই মানবিক সরকারের কাছে? নাড়ু গোপাল পালের মত আর কতগুলো প্রাণ গেলে তবে ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের? উত্তরের অপেক্ষায় ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড এর ঠাকুর পুকুর খাল পোলের বাসিন্দারা।

4 months ago
Nabanna: নবান্নের দুয়ারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, ধরনার শেষ দিন, রাতভর বিক্ষোভ

সারারাত নবান্নের সামনে বিক্ষোভে জারি রইল সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্যের সচিবালয়ের ১০ মিটার দূরত্বে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁদের এই আন্দোলন মোটেই সহজ ছিল না। অনেক লড়াইয়ের পর যখন আদালতের অনুমতি এল, তখন নবান্নে ঢোকার মুখেই সম্মুখীন হতে হল পুলিসি বাধার। আন্দোলন থামাতে সরকার গেল ডিভিশন বেঞ্চে। সেখান থেকেও ফিরল হেরে। এই এত কিছুর পর অবশেষে তাদের আন্দোলনের চিন্তায় সফল আন্দোলনকারীরা। ঠান্ডায় সারা রাত বিক্ষোভের পর কারোর গলা ধরে গিয়েছে। কেউ বা হয়েছে ক্লান্ত। কিন্তু তাদের আন্দোলন থামেনি। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার লজ্জাহীন! তারা শুধু চুরি করতে জানে। ন্যায্য দিতে নয়। তাই সুফলের দিকে চেয়ে অপেক্ষমান এরাজ্যেরই সরকারি কর্মচারীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনে তাদের এই আন্দোলনে হাইকোর্টের অনুমতির পর থেকেই নবান্নের সামনে নিরাপত্তার সে কী বাহার! পুলিসের অতিসক্রিয়তা থেকে শুরু করে বহু সিসিটিভি এমনকি উড়ছে ড্রোন ক্যামেরা। তবে আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ, এত ড্রোন এখানে না লাগিয়ে রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তরে ওড়ালে হয়ত এত চুরি, খুনের মত ঘটনা ঘটত না।

অন্যায় যেখানে হবে, প্রতিবাদও সেখানে হবেই। তাদের আন্দোলনের দিন সকাল ১১ টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে আসেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাদের এই আন্দোলন একটা মাইলফলক।

নবান্নে রাজ্যের সচিবালয় হওয়ার পর নবান্ন চলো অভিযানের ক্ষেত্রে হোক বা কোনও বিক্ষোভ- অনুমতি মেলেনি। তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেখিয়েছে। নবান্নের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তাঁরা প্রতিবাদ করে দেখিয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের পক্ষে কোনও প্রতিনিধির দেখা মিলবে কি? একটুও কি মানবিক হবেন না মুখ্যমন্ত্রী? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

4 months ago
Protest: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিক্ষোভ, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হল আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের!

এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় পৌঁছে গেলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি কালীঘাটে। শুক্রবার চাকরির দাবিতে আন্দোলন এবার কার্যত পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। অন্তত আধঘণ্টা পুলিস-চাকরীপ্রার্থীর টানাপোড়েনে শীতের শহরের উত্তাপ বাড়ল। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রতিবাদ ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরেই চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতেই পুলিস সক্রিয় হয়ে ওঠে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিচে অবস্থানে থাকা চাকরীপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হয়। এতেই পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে।

দীর্ঘ ৫৫৫ দিন ধরে অবস্থানে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। ইন্টারভিউতে পাশ করার পরেও এখনও নিয়োগ অধরা। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা নিয়ে মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে। এরই পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হোক। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগ করা হচ্ছে না কেন? এই দাবিতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেই এই বিক্ষোভ।

আবার বিক্ষোভস্থলে পুলিস বাধা দিলে চাকরিপ্রার্থীরা পুলিসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে টেনে-হিঁচড়ে সরানো হয় রাস্তা থেকে, তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আহত হন। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তাঁরা।

4 months ago


SLST Protest: SLST চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ১০০১ দিন, সোমবারের বৈঠক ঘিরে জল্পনা

সুদীর্ঘ ১০০১ দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৬-র SLST উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এই দীর্ঘ আন্দোলনেও হয়নি কোনও সুরাহা। গত শনিবার আন্দোলনের ১০০০ দিনে রীতিমত মাথা মুড়িয়ে, খালি গায়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যের যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের এহেন অবস্থা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। শনিবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা।  এমনকি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন তাঁদের। সোমবার দুপুরে শিক্ষাবিদ তথা তৃণমূলের মুখপাত্র কামাল হোসেন চাকরি প্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে আসেন।

কামাল হোসেন জানান, তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে নয়, এসেছেন একজন শিক্ষক হিসেবে। প্রতিবাদকারী কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী তাঁরও ছাত্র। তাঁরাই তাঁকে ধরনা মঞ্চে আসতে অনুরোধ করলে তিনি আসেন। তিনি আরও বলেন, কুনাল ঘোষ শনিবার এসে একটি সমাধানের পথ বার করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীও চান এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে। সে বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যদিকে রাজ্যের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বাধ্য হয়ে যে অভিনব প্রতিবাদের পন্থা তাঁদের বেছে নিতে হয়েছিল, সেটিকে 'নাটক' বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। একজন শিক্ষিত অধ্যাপক হয়ে এমন কথা কীভাবে বলতে পারেন সৌগত রায়? প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।

পাশাপাশি শনিবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ SLST উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের ২টি মঞ্চের একটিতে গেলেন আর একটিতে কেন গেলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাহলে কি SLST উত্তীর্ণ  আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে আন্দোলন ভেঙ্গে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে? এ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

যদিও এই চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, যতদিন না নিয়োগ হচ্ছে, তাঁদের আন্দোলন চলবে পাশাপাশি আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

শহরের রাজপথে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৬র SLST উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘ ১০০০ দিন পরেও সুরাহা না মেলায় মহিলা চাকরিপ্রার্থী সহ অন্যান্য প্রার্থীরাও মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। যোগ্য হয়েও কেন এমন পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যের হবু শিক্ষকদের? আর ঠিক কত বঞ্চনা, কত বৈঠক শেষে মিলবে নিয়োগ? এ প্রশ্নের উত্তর কিন্তু  এখনও অজানাই।

5 months ago
Recruitment: চাকরির দাবিতে হাজার দিন, মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ রাজপথে

১০০০ দিনে পড়ল আন্দোলন। প্রতিদিন মেয়ো রোডের ধরনামঞ্চে ধরনা দিচ্ছেন বহু চাকরি প্রার্থীরা। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাকর্তারা জেলবন্দি হলেও, বঞ্চনার শেষ কোথায়, তা এখনও বুঝতে পারছেন না বহু চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগের জটিলতা কাটেনি এখনও। শনিবার আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যায়। মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানালেন এসএলএসটি মহিলা ও পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরা। ১০০০ দিনের প্রতিবাদ জানিয়ে আরও একজন প্রতিবাদকারী মাথার চুল কেটে ফেলেন ধরনা মঞ্চেই।

প্রতিবাদী মহিলা চাকরিপ্রার্থী জানান, “যন্ত্রণার হাজার দিনে আর কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে মাথা ন্যাড়াকরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর কী কী করলে আমরা চাকরি পাবো? আশা করব  আমাদের এই দুঃখ, যন্ত্রণাময় জীবন এবং আমাদের এই কান্না মুখ্যমন্ত্রীকে স্পর্শ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ নেন, এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। আমরা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাইনি। সংসার ছেড়ে ধরনামঞ্চে বসে আছি। পাচ্ছি না কিছুই।” অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরনামঞ্চে আসার দাবিও জানান এসএলএসটি আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে  নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি অনেকেই। যার নেপথ্যে বিপুল দুর্নীতি বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। নিয়োগের দাবিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে এক হাজার দিন ধরে রাস্তায় রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কখনও মুখে কালি মেখে, আবার কখনও খালি গায়ে প্রতিবাদে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। হকের চাকরির দাবিতে  এবার মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের।চাকরিপ্রার্থীদের এই দীর্ঘ আন্দোলনের নজির ভূ-ভারতে বিরল। হয়তো আগামী দিনে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতে পারে এই আন্দোলন। তবে এ যে ছবি লজ্জার তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

5 months ago


Assembly:' তৃণমূলের ধরনায় অপবিত্র', গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ শুদ্ধিকরণ বিজেপির

শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে আবারও নাটকীয় পরিস্থিতি। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ধরনাস্থল গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন বিজেপি বিধায়করা। তার পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গান তাঁরা। গোটা কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় বিধানসভা চত্বরে। উল্লেখ্য, গত তিন ধরে ওই আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশেই ধরনায় বসেছিল তৃণমূল। শুভেন্দুর কথায়, চোরেদের জন্য ওই স্থান অপবিত্র হয়েছে। তাই গঙ্গাজল ধুইয়ে স্থানটি পবিত্র করছেন তাঁরা।

শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। একদিকে রাজ্যের শাসক শিবিরের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ধরনা, অন্যদিকে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপির পাল্টা ধরনা কর্মসূচি বিজেপির। যাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। চোর পাল্টা চোর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তোলে তৃণমূল শিবির। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রীদের এফআইআর-এর ভিত্তিতে ৫ বিজেপি বিধায়ককে সোমবার লালবাজারে তলব করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ৩ দিন ধরে চলা তৃণমূলের ধরনাস্থল গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি। শুক্রবার সকালে বিধানসভার বাইরে দেখা যায় মাথায় গামছা-কলসি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শুভেন্দু ও বাকি বিজেপি বিধায়করা। ওই জায়গার পবিত্রতা ফেরাতে গঙ্গাজল নিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। সেই জল আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে ঢেলে চলে পবিত্রতা অভিযান। এর পর গামছা দিয়ে মূর্তির ফলক মুছতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তার পর ওই জায়গায় ফুল ছড়িয়ে দেন তাঁরা। চোরেরা আম্বেদকরের মূর্তিকে অপবিত্র করেছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।

5 months ago
Upper Primary: আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে

পুজোর আগেই আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) আন্দোলনে উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন তাঁদের নিয়োগের দাবিতে। এদিনও কিছু ব্যতিক্রম হল না। বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের সময়ই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিসের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কার্যত তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। নইলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে। শুধুমাত্র করুণাময়ীতে নয়, কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।

২০১৫ সালে আপার প্রাইমারির পরীক্ষা হলেও নিয়োগ এখনও অধরা। নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে প্রতিবাদে সরব চাকরির প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে বের হতেই তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তাঁদের হাতে ঘট ও গঙ্গাজল নিয়ে এক অভিনব উপায়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেও সুরাহা হয়নি। তাই তাঁদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগে নিয়োগ-কাউন্সিলিং-এর নোটিস দিতে হবে, নইলে এই আন্দোলন বৃহত্তর আকার নেবে। তবে এদিন তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হলেও তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

করুণাময়ীর পাশাপাশি এদিন কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে তাঁরা। কালীঘাট থানার পুলিসের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর তাঁদেরও টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। 

7 months ago
Karnataka Bandh: কর্নাটকে বনধের জের, বাতিল ৪৪টি বিমান, জারি ১৪৪ ধারা

তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu) কাবেরী নদীর (Cauvery River) জল ছাড়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত কর্নাটক (Karnataka)। এবারে এই দক্ষিণী রাজ্যে বনধের ডাক দিল কন্নড়পন্থী সংগঠন এবং কৃষক সংগঠনগুলি। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই বন্ধ ডাকা হয়েছে। ফলে বেঙ্গালুরু সহ কর্নাটকের একাধিক শহরে এদিন বনধের ছবি ধরা পড়েছে। সেই রাজ্যের স্কুল, কলেজ, অফিস থেকে শুরু করে শপিং মল, সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি বনধের জন্য ব্যাহত হয়েছে ট্রেন, বিমান পরিষেবা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৪ টির মতো বিমান বাতিল করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি তামিলনাড়ুকে ১৫ দিনের জন্য পাঁচ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে কর্নাটককে নির্দেশ দিয়েছে কাবেরী জল বণ্টন পর্ষদ বা কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। আর এর ফলেই শুরু হয় বিবাদ। আর এর পরই আজ ১২ ঘণ্টার জন্য বনধের ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী সংগঠন কন্নড় 'ওকুট্টা'। এই বনধকে সমর্থন করেছে কর্নাটকের অটো রিকশা ও হেল রাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে জানা গিয়েছে, এই বনধের ফলে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তায় ক্যাব পরিষেবাও বন্ধ। আবার গত ৬ ঘণ্টার মধ্যে বেঙ্গালুরু বিমান থেকে ৪৪টি বিমান বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা আটকে পড়েছেন বিমানবন্দরে। আবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরী পরিষেবাগুলি সচল রয়েছে।

7 months ago


Bankura: কাদা ভরা রাস্তায় ভোগান্তি, ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের

রাস্তার উপর এক হাঁটু কাদা। তার মধ্যে আবার কোথাও জমে রয়েছে জল। এই অবস্থায় রাস্তায় দিয়ে চলাচল মানেই যেন নরক যন্ত্রণা। কোথাও চিহ্ন নেই রাস্তার, আবার কোথাও নর্দমায় ঢাকা পড়েছে ঢালাই রাস্তা। স্কুল, পোস্ট অফিস থেকে বাজার হাট যেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। কাদায় ভরা রাস্তা দিয়ে সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে পার হওয়াও বিপজ্জনক। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ছবিটা বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের আমডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়ার। অভিযোগ, একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি, তাই ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ দেখান গ্রামবাসীরা।

জানা গিয়েছে, বাম জমানার শেষের দিকে গ্রামের ভিতর দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংক্রিটের  ঢালাই। কিন্তু তারপর থেকে হয়নি কোনও সংস্কার। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় বৃষ্টি জল জমে রাস্তার দশা বেহাল হয়ে যায়।

দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফাই শাসকশিবিরের। বেনাচাপড়া বুথে বিজেপি জয়লাভ করেছে বলেই মানুষের সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না শাসকদল, এমনই অভিযোগ বিজেপির। এখন দেখার প্রশাসন কবে এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।

8 months ago
Jadavpur: যাদবপুর বদলাবার নয়?

প্রসূন গুপ্ত: যতই যা ঘটুক না কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পাল্টাবে না এমনটাই দাবি প্রাক্তনীদের। কথায় আছে 'তাগা বাঁধবে কোথায় বিষ উঠেছে মাথায়।' দীর্ঘদিন ধরেই এই ৱ্যাগিং সংস্কৃতি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে। সাধারণত সরকারি কলেজগুলিতে ৱ্যাগিং বিদ্যমান ছিল এবং আছে। পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে তাবড় তাবড় অভিনেতারা সিনেমা জগতে এসেছেন, যথা জয়া বচ্চন, আসরানি, মিঠুন চক্রবর্তী, সুভাষ ঘাই প্রমুখ। এদের নানা সাক্ষাৎকারে ইনস্টিটিউটের ৱ্যাগিং-এর খবর শোনা গিয়েছিলো, কিন্তু কখনোই যৌন হেনস্থা নয়। ৭০ দশকে নক্সাল আন্দোলনের রেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। বহু ছাত্রছাত্রী ওই সময়ে উগ্র আন্দোলনের কারণে ধরাও পড়েছিল। পরবর্তীতে এসএফআইও এখানে সংগঠন তৈরি করে। এই ছাত্রছাত্রীদের পিছনে উস্কানি দেওয়ার দায়িত্ব থেকে প্রাক্তন পড়ুয়া বা শিক্ষকদের একটি অংশকে বাদ রাখা যায় না।

মজার বিষয় যে, যখন ভর্তি হয়েছে এবং হোস্টেলে থাকার অধিকারপ্রাপ্ত হয়েছে তাকেই এই ৱ্যাগিং এর খপ্পরে পড়তে হয়েছে। পরের বছর ওরাই পরের নব্যদের উপর অধিকার চালিয়েছে। এ যেন ক্ষমতা হস্তান্তর। যতগুলি ছাত্র সংগঠন আছে ৱ্যাগিংএর বিষয় নিয়ে উৎসাহ কারুর কম নয় অর্থাৎ নব্যদের উপর মানসিক, শারীরিক অত্যাচার যেন এদের কোর্সের মধ্যেই দেওয়া রয়েছে, করতেই হবে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ড.সুপ্রিয়া চৌধুরী সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে, তিনি নাকি ৱ্যাগিং বিরোধী কমিটির সদস্য ছিলেন। এক সময়ে নিয়ম করা হয়েছিল নতুন পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হোস্টেল করা হবে এবং সেই ছাত্রাবাসে পুরাতনীরা প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু তার প্রতিবাদে নাকি সচল হয় প্রতিটি ছাত্র ইউনিয়ন। সুপ্রিয়াদেবী থেকে উপাচার্য্যকেও নাকি ঘেরাও করা হয়। দাবি ছিল নতুনদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে কতৃপক্ষ। ড.চৌধুরী প্রকারান্তে জানান, এই সমস্ত বন্ধ করা অসম্ভব। ছাত্র মৃত্যুর পরেও দাপটে এক ছাত্রী পরম বিক্রমে জানায়, ধূমপান থেকে মদ্যপান তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারে পড়ে। বিন্দুমাত্র পরিবর্তন নেই তাদের চাল চলনে। বাইরে নানান রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ চলেছে, কিন্তু পাত্তাই দিচ্ছে না পড়ুয়াদের অংশ বিশেষ। এই ভাবেই কি চলবে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাক্ষেত্র?

8 months ago