পানীয় জলের বোতলে প্রস্রাব ভরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল রাজস্থানে (Rajasthan)। স্কুলের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে সেই স্কুলেরই এক ছাত্রী। সে অভিযোগ করেছে, বোতলে প্রস্রাব (Urine) ভরে রাখার মতো ঘৃণ্য কাজ জানানোর পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এরপরই অভিযুক্ত এক ছাত্রের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া হয়। এই ঘটনায় ভিলওয়ারার লুহারিয়া গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস লাঠিচার্জও করে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাজস্থানের ভিলওয়ারার লুহারিয়া গ্রামের এক স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেই স্কুলের এক অষ্টম শ্রেণির কিশোরী অভিযোগ করেছে, তার সহপাঠীরা তার জলের বোতলে প্রস্রাব রেখে দিয়েছে। আবার তার ব্যাগ থেকে একটি চিঠিও পেয়েছে বলে দাবি করেছে কিশোরী। সে জানায়, টিফিনের সময় সে ক্লাস থেকে বেরিয়েছিল। এরপর যখন ক্লাসে এসে বোতল থেকে জল খেতে নেয়, তখনই বোতল থেকে কটূ গন্ধ পায় সে। এরপর ব্যাগ থেকে চিঠিও পায়, যেখানে লেখা ছিল 'আই লাভ ইউ'।
এরপরই পুরো ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে স্কুল থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করে সে। ফলে স্কুল যাতে এই বিষয় নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয়, তার জন্য স্কুলের উপর চড়াও হয় কিশোরীর বাড়ির লোকজন। এরপর অভিযুক্ত এক ছাত্রের বাড়িতে গিয়েও সেখানে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে তারা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস।
এনএবিসি অর্থাৎ নর্থ আমেরিকান বেঙ্গল কনফারেন্স (NABC)। বিগত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে বেশ চর্চা বঙ্গ সম্মেলনের অনুষ্ঠান নিয়ে। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও উত্তর আমেরিকায় বঙ্গ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। কলকাতা থেকে একগুচ্ছ নামজাদা শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সেখানে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই ভালো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি তারকারা। বরং একাধিক অভিযোগ তুলেছেন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে।
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী চূড়ান্ত অব্যবস্থা, খারাপ ব্যবহার, কথার খেলাপ এমন নানা অভিযোগ তুলে একটি মেইল পাঠিয়েছিলেন। সেই মেইলের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। অন্যদিকে গায়িকা জয়তী চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে লাইভ এসে বং সম্মেলনের আয়োজকদের বিরুদ্ধে একাশিক অভিযোগ তুলেছেন। অতিথিদের সামান্যতম সৌজন্য দেখাননি আয়োজক, হোটেলে থাকার অব্যবস্থা, চুক্তিতে উল্লিখিত টাকা সঠিক সময়ে না দেওয়া, এমন নানা অভিযোগ তুলে এনএবিসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন শিল্পী। এবার সেই প্রতিবাদ আরও জোরালো হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি প্রতিবাদপত্র ঘুরছে। তাতে লেখা রয়েছে, 'একজোট হয়ে আজ তীব্র প্রতিবাদ জানাই সিএবি’র স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে।অপমানের আকস্মিকতায় আমরা মূক ও স্তম্ভিত।ভবিষ্যতের কর্মপন্থা কী হবে, তা অচিরেই প্রকাশ করব আমরা।ধিক্কার জানাই সংগঠকদের যারা এই রুচিহীন সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।বঙ্গ সম্মেলনের জনপ্রিয়তা বিশিষ্ট, স্বনামধন্য শিল্পীদের জন্য, অপদার্থ সংগঠকদের জন্য নয়,এ কথা যেন তারা বিস্মৃত না হন।সংস্কৃতি মঞ্চ আমাদের কাছে পবিত্র এক জানলা, তাকে নোংরা করার অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি।আমাদের শিল্পীজীবন আমাদের নিজস্ব, সেই আত্মসম্মানের জায়গায় কেউ হাত দিলে, সাবধান, গর্জে উঠবে বাংলার সব শিল্পীদল।'
বিদেশের মাটিতে বাংলার সম্মাননীয় শিল্পীদের এমন উপমান মেনে নিতে পারছেন না কেউ। আগামী দিনে তাই বঙ্গ সম্মেলনে শিল্পীদের গতিবিধি কি হবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। প্রতিবাদপত্রে সাক্ষর রয়েছে বিশিষ্ট শিল্পীদের। গায়িকা ইমন চক্রবর্তী, লোপামুদ্রা মিত্র, রূপম ইসলাম, শ্রীজাত, সুবোধ সরকার প্রমুখরা সাক্ষর করেছেন সেই পত্রে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক (MLA)। ভোগান্তি কাকে বলে বোঝাতে বিধায়ক কে কাঁদা রাস্তায় জোর করে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। কথায় বলে ঠ্যালায় পড়লেই নাকি বিড়ালও গাছে ওঠে, কিন্তু এই ঠ্যালায় যে কোনো দিন স্বয়ং বিধায়ককেই পড়তে হবে তা মনে হয় স্বপ্নেও ভাবেন নি ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।
শনিবার সকালে ভাতারের নিত্যনন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুত্তকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল রউফের সমর্থনে প্রচারে বের হোন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা, প্রার্থী ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এবং তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। সেখানেই কার্যত গ্রামবাসীদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় প্রার্থীকে। শুধু তাই নয় এরপর গ্রামবাসীরা নিজেদের নিত্যদিনের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে বিধায়ককে কাঁদা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেন। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, ভোট দিই, ভোট নেন, রাস্তা কই?
বিধায়ক মনগোবিন্দ অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রামের মেয়েরা এসে রাস্তা খারাপের কথা জানিয়েছেন। তিনিও আরও বলেছেন তৃণমূলের লোক দেখলেই বিক্ষোভ করতে পারেন। সিপিআইএম কিংবা বিজেপির লোককে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে পারে না। কারণ, তাঁরা জানে তৃণমূলের লোক কথা শুনবে। এই কারণে তিনি গ্রামবাসীদে আশ্বাস দেন আগামী দু,মাসের মধ্যেই রাস্তা ঠিক করে দেবেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ। বিভিন্ন স্তরে বারংবার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই এদিন বিধায়ক আসতেই রাস্তার দাবী জানানো হয়।
আবগারি দফতরের (Excise Department) পরিচয়ে গ্রামে ঢুকে হঠাৎ তাণ্ডব। অভিযোগ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে শুরু করে একদল ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের (Arambagh) কাঁটাবনি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামের মানুষ একজোট হতেই লাঠি ফেলে পালিয়ে যায় তারা। প্রতিবাদে (protest) রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় আরামবাগ থানার আই সি।
জানা গিয়েছে, অন্য়ান্য় দিনের মতো এদিনও রাস্তার ধারে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল কয়েক জন যুবক। অভিযোগ, হঠাৎ সেই সময় একটি গাড়ি করে আসা বেশ কয়েক জন লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে দেয়। কোনও কারণ না জানিয়েই মারধর করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকি এক বিশেষভাবে সক্ষম যুবককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় একাধিক মোবাইল ফোন। অভিযোগ শুধু পুরুষ নয় মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়েছে। এভাবে মারধরের কারণে বেশ কয়েকজনের হাত ফেটে যায়।
তবে কেন হঠাৎ এধরনের হামলা আবগারি দফতরের। কেনই বা আবগারি দফতরের সঙ্গে থাকা পুলিসের পোশাক ছিল না। সেই সব প্রশ্ন তুলে পথ অবরোধ শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিস যায়। সেই পুলিসও মদ্যপ অবস্থায় থাকার অভিযোগ উঠে। তাঁদের ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। এর পরে আরামবাগ থানার আই সি ঘটনাস্থলে যায়। দোষীদের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মদ, গাঁজা (Weed) বিক্রি করার প্রতিবাদ (Protest) করায় খুন (Death) হতে হল এক ব্যক্তিকে। খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির ভাই ও ভাইয়ের বউয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি (Baguiati) থানার অন্তর্গত আদর্শ পল্লী এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিস (Police) ও স্থানীয় কাউন্সিলর। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বাগুইআটি দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। এমনকি এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইয়ের বউ পূর্ণিমা মণ্ডলকে আটকও করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রবিন মণ্ডল।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বাগুইআটির শিমুলতলায় মদ এবং গাঁজার ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তির ভাই বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও তার বউ পূর্ণিমা মণ্ডল। তবে এর আগে রবিন মণ্ডল একাধিকবার গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় তাদের রোষের শিকার হয়েছিলেন। তবে সোমবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। তারপরেই মঙ্গলবার ভোরে দাদা রবিন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা মণ্ডলকে মারধর করতে শুরু করে অভিযুক্তরা। আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন রবিন মণ্ডলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে। তারপরেই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।
পথ দুর্ঘটনায় (Roadaccident) মৃত্যু (Death) এক বাইক আরোহীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দুর্গাপুরের (Durgapur) মুচিপাড়ার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বর্ধমানগামী লেনে। উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Protest) দেখাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাফিক (Traffic) সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে না চলার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাইকে করে যাচ্ছিলেন বছর ৪৫-এর গুরমুখ সিং। ঠিক সেই সময় একটি তেলের টেঙ্কার এসে বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই উত্তেজিত জনতা জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন। ঘটনার পর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়কের বর্ধমানগামী লেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাঁকসা থানার পুলিস। কিন্তু উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরপর দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী এলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিসের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে। গোটা ঘটনায় উত্তেজিত পরিস্থিতি তৈরি হয় দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার কাছে জাতীয় সড়কে।
মুর্শিদাবাদে (Mursidabad) ফেরিঘাট পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্ৰতিবাদ (Protest) করায় প্রতিবাদীদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর। প্রতিবাদীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিস (Police) ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তারই প্ৰতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে রঘুনাথগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ কংগ্রেসের।
জানা গিয়েছে, রঘুনাথগঞ্জ ১নম্বর ব্লকের শ্যাওড়াতলা ফেরিঘাটে পারাপারে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করে রঘুনাথগঞ্জের দফরপুর গ্রামের মানুষজন। একত্রিত ভাবে প্রতিবাদ করে এবং গত ২৩ তারিখ থেকে গ্রামবাসীরা ঘাট পারাপার বন্ধ করে দেয়। সেই প্রতিবাদ করায় সোমবার গভীর রাত্রে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস কে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদীদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারই প্ৰতিবাদে ও পুলিস জুলুম বন্ধের প্ৰতিবাদে রঘুনাথগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস নেতৃত্ব
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মাঝরাতে পুলিস এসে হেনস্থা করেছে। এমনকি মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেছে। ঘাট পারাপারের ভাড়া বাড়োনোর অভিযোগে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে পুলিস। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি গোটা ঘটনার বিচার চাই।
ডিএ (DA) বৃদ্ধির দাবিতে দিল্লিতে (Delhi) অবস্থান বিক্ষোভ (Protest) ও আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দিল্লির যন্তর-মন্তরে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন তাদের আন্দোলনের। আজ বিকেল চারটের পর তাদের অবস্থান আন্দোলন তুলে নেবে বলে আগেই জানিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সংগ্রামী মঞ্চ সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁরা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক নেতৃত্ব কিঙ্কর অধিকারীর সঙ্গে সিএন-ডিজিটালের পক্ষে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, 'আমরা মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে, কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের ডিএ-র ফারাকের বিষয়ে বলব। মঙ্গলবারই যন্তর-মন্তরে আন্দোলন প্রত্যাহার করব।' তিনি আরও বলেন, 'এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।' পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা হবে না। কারণ উনি ব্যস্ত আছেন, এক সপ্তাহ পর সময় দেওয়া হয়েছে তাদের বলে জানান তিনি। ফলে উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করছেন তারা।
এছাড়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই আন্দোলন কলকতার শহীদ মিনারেও চলছে। সূত্রের খবর, শহীদ মিনারের আন্দোলনকে হটানোর জন্য সোমবারই আদালতে গিয়েছেন সেনারা। সেনা কর্তাদের অভিযোগ, এই আন্দোলন হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শুরু হলেও, তারা সময়সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছেন। এখনও আন্দোলন মঞ্চকে সরানো হয়নি। ফলে এই অভিযোগে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকে সরাতে চেয়ে হাইকোর্টে সেনারা। যদিও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের।
১০০ দিনের টাকা-সহ বিভিন্ন বকেয়ার দাবি নিয়ে ধর্নায় (Protest) বসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (CM), সরব হয়েছিলেন দলের অধিকাংশ। এবার আলিপুরদুয়ারে দলীয় সভায় গিয়ে ১০০ দিনের টাকা না দিলে দিল্লি স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পাল্টা পুরোনো টাকার হিসাব চাইলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
শনিবার আলিপুরদুয়ারের সভায় পঞ্চায়েত ভোট, চা শ্রমিকদের নিয়ে বললেও, ১০০ দিনের কাজ প্রসঙ্গ টেনে মূলত টার্গেট করেন বিজেপিকে। শনিবারের সভা থেকেই অভিষেক বলেন, '২৫ জন সাংসদকে নিয়ে টাকা চাইতে দিল্লি গিয়েছিলাম, দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিট মন্ত্রী দেখা করেননি।' তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে আরও বলেন, 'পারলে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করুন, বাংলার মানুষকে আমি ভাতে মারতে দেব না।' শনিবার এই সভা থেকেই তিনি হুঙ্কার দিলেন, 'আপনারা সই করুন। ৪ লক্ষ সই দিন আলিপুরদুয়ার থেকে, আমি ১ কোটি চিঠি দেব বাংলা থেকে, দেখি কতদিন কান বুজে থাকে কেন্দ্র।' তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন শনিবার, 'আপনারা সঙ্গে থাকুন, টাকা আমি ছিনিয়ে আনবই।'
ওদিকে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীও ধর্না করেছেন ৩০ ঘন্টা। অভিষেকের দাবিও ঠিক একই। কিন্তু বিভ্রান্তিটা অন্য জায়গায়। চলতি সপ্তাহেই, শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি একটি লিস্ট দেখিয়ে দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে, ইউপিএ আমলে ২০০৬-২০০৭ থেকে ২০১৩-২০১৪ অর্থবর্ষ অবধি ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এনডিএ অর্থাৎ বিজেপির আমলে ২০১৪-২০১৫ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষ অবধি, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার বলেন, 'কংগ্রেসের থেকে বিজেপি আমলে বেশি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই টাকার হিসেব কেন প্রকাশে আনছেন না সরকার?' সুকান্ত আরও অভিযোগ করেন, 'তৃণমূল ওই টাকা লুটে খেয়েছে।'
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বঞ্চনার অভিযোগে হুঙ্কার দেওয়া যায়, ধরণায় বসা যায়। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের হিসাব দেওয়া যায় না! যদিও সাধারণ মানুষের কি এই হিসাব দেখার নিয়ম আছে? সব থেকে বড় কথা হলো কজনেরই বা এই হিসাব দেখার প্রয়োজন আছে! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতির এই টাল-বাহানার মধ্যে প্রশ্ন অনেক, সন্দিহানও অনেক, কিন্তু উত্তর কই!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) 'চোর-ডাকাত' মন্তব্যের প্রতিবাদে (Protest) আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, গোটা দিন পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করবে ডিএ (Da) আন্দোলনকারী অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীরা। সমস্ত সরকারি দফতরে এই কর্মসূচি চলবে বলে খবর। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সূত্রে খবর, কিছু জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে, সরকারি সমস্ত ক্ষেত্রে এই পেন ডাউন কর্মসূচি জারি থাকবে। যেমন, বহু স্কুলে এখন পরীক্ষা চলছে, ফলে শিক্ষা ক্ষেত্র ওই তালিকা থেকে বাদ থাকতে পারে।
শুধু রাজ্য জুড়ে নয়, মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এবার আন্দোলনকারীরা দিল্লি যাচ্ছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, ডিএ আন্দোলনকারীদের একটি দল দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। সূত্রের খবর, চলতি মাস অর্থাৎ এপ্রিলের ৮ এবং ৯ তারিখ তাঁরা দিল্লিতে পৌঁছবেন। ১১ এবং ১২ তারিখ দিল্লির যন্তর মন্তরে তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ডিএ আন্দোলনকারী তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে কিংকর অধিকারী এদিন বলেন, 'আমরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করব বলে আবেদন করেছি। এছাড়া দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের দেখা করার ইচ্ছা আছে।' সূত্রের খবর, ডিএ আন্দোলনকারী আবেদন পেয়ে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি দু'জনেই সাড়া দিয়েছেন। এখনও অবধি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি দফতর থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দু'জনেই ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ডিএ আন্দোলনকারীদের তরফে আরো খবর যে, কমবেশি ৬০০ জন কর্মচারী দিল্লিতে পৌঁছবেন। যন্ত্রর-মন্তরে দু'দিন আন্দোলন চলবে। তাঁদের একটি প্রতিবাদ মঞ্চ শহীদ মিনারেও থাকবে। এক আন্দোলনকারী বলেন, 'দিল্লি থেকে ফিরে এসে, তাঁদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আরও পরবর্তীকালে এই আন্দোলন জোরদার হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata) মন্তব্যের বিরোধিতায় ঝড়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে (Protest)আরও বৃহত্তর কর্মসূচি নিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর করা 'চোর-ডাকাত' বক্তব্যের প্রতিবাদে, ফের একদিনের পেন ডাউন (Pen Down) কর্মসূচি নিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সূত্রে দাবি, 'সারা রাজ্যজুড়ে আগামী ৬-ই এপ্রিল এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।' তাঁদের আরও দাবি, 'এপ্রিলের ১০-১১ তারিখ, দিল্লির যন্তর-মন্তরে ডিএ-র দাবি নিয়ে ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হবে। তাতেও যদি দাবি না মেটে, তাহলে আগামী দিনে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের পথে যাবেন সরকারি কর্মচারীরা।'
ডিএ আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের আজ ৬৪ দিন। সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় কালো ব্যাজ পরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতায় ধিক্কার জানান তাঁরা। আজ জেলায় জেলায় ধিক্কার মিছিল করা হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি ধরনা মঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের 'চোর-ডাকাত' বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার, রাস্তায় শুয়ে, মহামিছিল করে প্রতিবাদ করেন সরকারি কর্মচারীরা। শুক্রবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে পেন ডাউন করছি, ভবিষ্যতে রাজ্যের সরকারি অফিসগুলো অচল করে দেব, ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।'
বৃহস্পতিবার ধরণা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ফের সুর চড়িয়েছেন। ডিএ আন্দোলনকারীদের (Protest) উদ্দেশ্য করে তিনি আজ আবার বলেন চিরকুটে চাকরি পেয়েছে সব। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'জনগনের টাকা নিয়ে পেন ডাউন করবে! নিজেদের ভালোর জন্য চুপ থাকুন, আগে তো বেতনই পেতেন না, এখন ১ তারিখে পেনশনও পান।' মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে, বৃহস্পতিবার বাম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, 'সরকারি কর্মচারীরা নিজের যোগ্য দাবি করছে, ডিএ তাঁদের প্রাপ্য, সেই টাকা তৃণমূল চুরি করে নিয়েছে।'
বৃহস্পতিবার মমতা হাইকোর্ট ও বিজেপিকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, 'কথায় কথায় চাকরি বাতিল, কখনও ২ হাজার জনের চাকরি বাতিল, কখনও ৫ হাজার জন ছাটাই, এই ঝামেলায় আমরা নতুন নিয়োগও করতে পারছি না।' সে বিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'টাকা নিয়ে ভুয়ো উপায়ে চাকরি দিয়েছেন, তাদের দলের নেতা মন্ত্রীরা তো জেলে, ওনার মুখে এসব কথা মানায় না, উনি এসব বলছেন কারণ হাইকোর্টকে ভয় পেয়েছেন।'
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দোপাধ্যায়, বাম আমলের নিয়োগ সমন্ধে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, 'এখন বড় বড় কথা বলছেন, বাম আমলে নিয়োগের কাগজ আপনি খুঁজতে যান না, কোনো কিছুই খুঁজে পাবেন না, আমি সব দফতরকে বলেছি কাগজ খুঁজতে হবে, সব বুঝে নেব।' এ প্রসঙ্গে অবশ্য রাজ্যের বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'ওনার দম থাকলে মুখে না বলে আদালতে যান, সবই তো মিথ্যে এবং সাজানো বলছেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আর কত মিথ্যে বলবেন!'
মমতা বন্দোপাধ্যায় ভয় পেয়ে এমন বলছেন, এমনই দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক আন্দোলনকারী শিক্ষকের। আন্দোলনকারী শিক্ষক বারাসতের বাসিন্দা, তিনি বলেন, 'একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কর্মচারীদের অসম্মান করছেন, পদত্যাগ করুন।'
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) করা ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে চোর-ডাকাত মন্তব্যের প্রতিবাদে (Protest) রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ সরকারি কর্মচারীদের। সরকারকে চোর চোর বলে স্লোগান চলতে থাকে। রাজপথ জুড়ে মহামিছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। আন্দোলনকারীদের সমর্থনে শহীদ মিনারে যোগ দিয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তব বাগচী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাইতে হবে, এমন দাবি নিয়ে যৌথ মঞ্চের মহামিছিল শিয়ালদহ-হাওড়া জুড়ে। ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থানের আজ ৬৩ দিন। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারী উপর হামলা, ও রাইটার্সে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
বুধবার ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে 'চোর-ডাকাত' মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তারপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আন্দোলনকারী থেকে বিরোধী সব পক্ষই। বৃহস্পতিবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে এক আন্দোলনকারী বলেন, 'আমরা যদি চোর-ডাকাত হই, পুলিস কেন আমাদের গ্রেফতার করছে না, পুলিস মন্ত্রী তো মমতা, উনি আমাদের গ্রেফতার করতে পারছে না সেটা ওনার ব্যর্থতা। ওনার অপদার্থতা, ওনার পদত্যাগ করা উচিত।'
মমতার বক্তব্য নিয়ে আন্দোলনকারীদের সভায় আইনজীবী তথা বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'চোরেদের মন্ত্রিসভা চলছে, চোরেদের সরকার, সরকারি কর্মচারীদের সন্মান করতে জানেন না। সরকারি কর্মচারীরা দেখিয়ে দিন, আমরাও কামড়তে পারি।' এদিন সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। তিনি বলেন, 'সরকারের ক্ষমতা থাকলে চোর প্রমাণ করে দেখাক। জেলে নিয়ে গিয়ে দেখাক।' তিনিও বৃহস্পতিবার সরকারকে, 'চোরেদের সরকার' বলে কটাক্ষ করেন।
ঘনঘন হাতির হামলায় জঙ্গলমহলে মৃত্যুর প্রতিবাদ (Elephant Attack) ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। আট দফা দাবি নিয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন (Deputation) জমা। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরির দাবি রয়েছে এই ডেপুটেশনে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমন দাবিও উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা ডেপুটেশনে।
খবর, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে নিত্যদিন হাতির হামলায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন জেলার বাসিন্দারা। তাই বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার পক্ষ থেকে আট দফা দাবিতে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার নেতা অশোক মাহাতো ডেপুটেশন দেওয়ার পর বলেন, 'জঙ্গলমহলজুড়ে হাতির হামলায় প্রায় প্রাণহানির ঘটনা লেগেই রয়েছে। এমনকি প্রতিদিন ঘর-বাড়ি ও ফসলের ক্ষতিও করছে হাতির দল। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারবর্গকে চাকরি দেওয়ার দাবি এবং হাতির দল যাঁদের ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি করছে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে।'
শিক্ষায় দুর্নীতি-সহ (Education Scam) একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদে সরব বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। পুলিসি অনুমতি ছাড়াই হাওড়া স্টেশন থেকে বিধানসভা অভিযান করে তাঁরা। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে এসএফআই-এর কর্মী সমর্থকরা এসে জমায়েত হয়েছে হাওড়া স্টেশনের বাসস্ট্যান্ডে। তবে স্টেশনের বাইরে তাঁদের আটকাতে বিশাল পুলিসবাহিনী ব্যারিকেড গড়ে। শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়া সিটি (Howrah Police) পুলিসের তরফ থেকে ব্যারিকেড করে রাখা হয় স্টেশন চত্বর। এমনকি এসএফআই কর্মীদের উপর নজর রাখতে পুলিসের পক্ষ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে চলে নজরদারি।
হাওড়া সিটি পুলিসের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে পুলিসের পদস্থ কর্তারা হাওড়া ব্রিজ এবং হাওড়া স্টেশনের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারিও করে। এদিকে, শিয়ালদহ থেকেও পুলিসি বাধা উপেক্ষা করে এসএফআই-এর একটি অংশের মিছিল বিধানসভার গেটে পৌঁছে যায়। কয়েকজনকে বিধানসভার গেটে উঠে পড়তে দেখা গিয়েছে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিধানসভা চত্বর। এসএফআই-এর কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের রীতিমতো ধস্তাধস্তির পর বিধানসভা গেটের পুলিসি ব্যরিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে এগনোর চেষ্টা করেন এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা। কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
পুলিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। এমনকি টেনে হিঁচড়ে এসএফআই-র সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে তোলার ছবি ধরা পড়ে সংবাদ মাধ্যমে। একাধিক ছাত্র নেতাকে গ্রেফতারির অভিযোগ উঠেছে। বাম এই ছাত্র সংগঠনের দাবি, 'এসএফআই-এর কর্মীদের আটকাতে পারেনি পুলিস। আমরা বলেছিলাম শুক্রবার মিছিল হবে এবং তা বিধানসভা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে তাতে আমরা সফল। এতো পুলিসি নিরাপত্তা সত্বেও এসএফআই-এর কর্মীদের মিছিল রুখতে পারেনি পুলিস।'