শব্দবাজি বিক্রি করার দায়ে পুলিস (police) দুইজনকে গ্রেফতার (arrest) করে। এরপরই রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে সামিল স্থানীয়রা। দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহা থানার সরপি এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিস এলে অভিযুক্তদের না ছাড়া পর্যন্ত অবরোধ উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের সামালাতে এরপর ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায় (Sujit Mukherjee)। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে, বুঝিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন। ঘণ্টা দুয়েক পর তৃণমূল নেতার আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।
জানা যায়, রবিবার সকালে সরপি মোর অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে পুলিস যে দুজনকে নিয়ে গিয়েছে, তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে হবে। নচেৎ তাঁরা রাস্তা ছাড়বেন না। বেশ কিছুক্ষনের অবরোধে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় সরপি মোড়ে। এই রাস্তা দুর্গাপুর শহরে ঢোকার একমাত্র রাস্তা। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লাউদোহা থানার পুলিস। কিন্তু যতক্ষণ না স্থানীয় দুইজনকে ছাড়া না হবে ততক্ষণ রাস্তা ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন স্থানীয়রা।
রীতিমতো রাস্তার ওপর প্লাস্টিকের কলসি, গ্লাস ফেলে রেখে আন্দোলনে সামিল হন স্থানীয়রা। অবরোধে অংশ নেন মহিলারাও। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের লাউদোহা থানা এলাকায়। অভিযোগ, অবরোধের জেরে আটকে পড়েন জামুরিয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং। পড়ে বিক্ষোভকারীদের চাপে বিধায়কের গাড়ি অন্য রাস্তা দিয়ে গন্তব্যতে যায়।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় মিড ডে মিল (Mid day meal) নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে অভিভাবকদের। তবে এবারের ঘটনা একেবারেই ভিন্ন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ। তবে অভিভাবকদের অভিযোগের আঙুল ওই স্কুলেরই এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার (Nandakumar) থানার কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুল (school)। এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভে সরব হন অভিভাবকরা। অভিযুক্ত ক্লার্কের দুটি বাইক পুড়িয়ে দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ (protest) করেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই ক্লার্ককে আটক করতে হবে এই দাবি জানান অভিভাবকরা।
জানা যায়, মিড ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে শো-কজ নোটিস পাঠান নন্দকুমার ব্লকের বিডিও শানু বক্সি। তিনি জানান, "স্কুলের মিড ডে মিলের খাওয়ার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি, ৫০-৬০ জন পড়ুয়া মিড ডে মিল খেয়েছে। সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি দেখানো হয়েছে। খতিয়ে দেখে জানতে পারলাম, গত কয়েক মাস ধরে এভাবে বেশি পড়ুয়ার সংখ্যা দেখানো হয়েছে। তাই শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে শো-কজ করা হল।"
এরপরই আজ সকাল থেকেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্কুলের ক্লার্ক মূল অভিযুক্ত, এমনটাই দাবি করেন তাঁরা। ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আর্জি জানান বিক্ষুব্ধ পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।
সিপিএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এলাকায়। মূলত 'চোর ধরো জেল ভরো' ব্যানারে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সরকারি সম্পদ লুঠ,মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যপণ্যে জিএসটি, বেকারত্ব এবং বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল পুলিস মোতায়েন করা হলেও সংঘর্ষ বাঁধে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। তাঁদের ৫ পুলিসকর্মী আহত বলে জানিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস।
এই কর্মসূচি থেকে উপড়ে ফেলা হয় রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা লোগো। পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে প্রায় ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের অফিসেও চলে ভাঙচুর। বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে কার্জনগেট চত্বর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ঘিরেই এলাকায় ধুন্ধুমার। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিস।
পুলিসি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, মিছিল ঢোকার মুখেই কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। কোনওরকম সতর্কবার্তা ছাড়া এই পদক্ষেপ। বিশেষ একজন পুলিসকর্তাকে এই কাজে ইন্ধন জুগিয়েছে। আমরা তাঁকে চিহ্নিত করেছি। তিনি পুলিসের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।
পাল্টা তৃণমূলের তরফে দাবি, সেলিমের নেতৃত্বে গুন্ডাগিরি হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি, পুলিসের উপর হামলা হয়েছে। দোকান লুটপাট চলেছে। অর্থাৎ এটা আইন অমান্য নয় গুন্ডাগিরি।
দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিও এবং কে কী বললো--
শুক্রবার বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে বিক্ষোভ দেখান সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী ঐক্য মঞ্চ। শনিবার তারাই রাজপথে নেমে প্রতিবাদ মিছিলে (Protest Rally) পা মেলালো। দাবি সেই একটাই, সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে প্রদান করুক মমতা সরকার (Mamata Government)। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ২৯টি সংগঠন।
তবে শুধু প্রাপ্য ডিএ নয়, এদিনের মিছিলে স্বচ্ছভাবে স্থায়ী নিয়োগের দাবিও উঠেছে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত আয়োজিত করা হয়েছিল এই মিছিল। মিছিল থেকে প্রশ্ন ওঠে, রাজ্য সরকার পুজো অনুদান দিলেও, প্রাপ্য ডিএ কেন মিলছে না? ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট মে মাসে নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে প্রাপ্য বকেয়া। চলতি মাসেই শেষ সেই সময়সীমা। যদিও ডিএ মেটাতে আরও সময় চেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার।
এই পদক্ষেপ ঘিরে ফের তুঙ্গে চাপানউতোর। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১% মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ৩০ অগাস্ট কর্মবিরতি পালন করবে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত পালিত হবে কর্মবিরতি। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই সংগঠন।
সংগঠনের তরফে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা চাইতে গেলে সরকারি কর্মীদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা প্রত্যক্ষ সংগ্রামে নামবো। ৩০ তারিখের কর্মসূচির পর বৃহৎ আন্দোলনের পথে হাঁটবো।
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির দাবি, 'কেন্দ্রের ডিএ এবং বাজার দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব রাজ্যেই তাদের বকেয়া ডিএ দিচ্ছে। কিছু রাজ্য এখনও কিস্তিতে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩১% ডিএ বকেয়া। তারপরেও সরকারের ভূমিকা এবং বঞ্চনার প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি। মূলত তিন দফা দাবিতে আমাদের কর্মবিরতি পালন হবে।'
বামেদের সারা ভারত কৃষকসভা ও খেতমজুর সংগঠনের ডাকে মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের দফতরে অভিযান ও আইন অমান্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে নিমতৌড়িতে (Nimtauri) পথসভা করা হয় সেই পথসভাতে নেতৃত্ব দেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। পাশাপাশি ছিলেন জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি-সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্বরা। তবে এই কর্মসূচি ঘিরে চলে তুমুল বিক্ষোভ। বেলা বাড়তেই বামকর্মী সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ৩০ মিনিট ধরে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা যায়, এই পথসভা শেষে নিমতৌড়ি চৌরাস্তার মোড় থেকে বামকর্মী সমর্থকরা মিছিল আকারে জেলাশাসক দফতরের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে যেতে না যেতেই পুলিসি বাধা পায়। তবে পুলিসি বাধা পেলে বাম নেতৃত্ব-সহ কর্মী সমর্থকরা পুলিসি ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করে। তবে পুলিস এই বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিক্ষোভ না সামাল দিতে পেরে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এর ফলে সেই বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে বিক্ষোভ চলে দীর্ঘক্ষণ।
অন্যদিকে শহর কলকাতাতেও (Kolkata) বিক্ষোভে সরব এআইডিএসও। এআইডিএসও-এর (AIDSO) তরফ থেকে মঙ্গলবার একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যায়, হলদিবাড়ি কলেজের ফ্রি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করে কোচবিহারে (Cooch Behar) আন্দোলন করা হয়েছিল এআইডিএসও-এর পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই সময় তাঁদের অভিযোগ, পুলিসি (Police) বাধার সম্মুখীন হয় এইআইডিএসও সমর্থকরা। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। দেওয়া হয় জামিনঅযোগ্য ধারা। এবার তাদের নিঃশর্ত ছাড়তে হবে এই দাবিতে তাঁদের এই বিক্ষোভ মিছিল বলে জানা যায়।
কৃষকদের (Farmers) বিক্ষোভ (Agitation) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার (Security) চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিকে। বিশেষত সীমান্ত (Border) এলাকাগুলিতে কড়া পুলিস প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এই জমায়েতের জন্য পুলিস অনুমতি না দেওয়ায় গণ্ডগোলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিস জানিয়েছে, কোনও জমায়েত করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কী দাবিতে এই আন্দোলন? সংগঠনগুলি জানিয়েছে, উত্পাদিত শস্যের জন্য মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু করার দাবি তাদের দীর্ঘদিনের। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বছরভর আন্দোলন করাকালীন যাঁদের বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়েছে, সেগুলি তুলে নেওয়ার দাবিও রয়েছে।
এদিকে নিরাপত্তার কারণে শুধু দিল্লি পুলিস নয়, বাইরে থেকে বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে। সিংঘু, টিকরি, গাজিপুর সহ সীমান্ত এলাকাগুলিতে সমস্ত গাড়ি পরীক্ষা করার পর তবেই রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে শহরে যানবাহনের গতিও শ্লথ হয়ে গিয়েছে। রেললাইন, বাসস্টপ এবং মেট্রোতেও বিশাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কিছু রুটে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন। সব মিলিয়ে গোটা দিল্লি জুড়ে সাজো সাজো রব।
উল্লেখ্য, গত রবিবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতকে সীমান্তে আটক করা হয়েছিল। কারণ, ঘোষিত কর্মসূচি মহাপঞ্চায়েতে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি দিল্লি ঢুকতে চাইছিলেন। তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার পর তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, শেষ নিঃশ্বাস পড়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।
ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে অসুস্থ প্রসূতিকে এক বেসরকারি নার্সিংহোমের (Private nursing home) সামনে এনে বিক্ষোভে (protest) সরব পরিবারের সদস্যরা। নার্সিংহোমে তালা বন্ধ করে চম্পট দেয় চিকিৎসক (doctor) ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় নার্সিংহোম চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাটি শুক্রবার রাতে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইসলামপুর শহরের নিউটাউন সংলগ্ন এলাকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিস (police)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ ই অগাস্টে পারভিন খাতুন নামে বছর প্রায় ২৫ এর এক মহিলাকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজনের দাবি, ইসলামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের পরামর্শে সেই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় পারভিনকে। এরপর সিজার করার জন্য ২৫ হাজার টাকা দাবিও করেন ওই চিকিৎসক বলে অভিযোগ পরিবারের। তাতেও রাজি হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেদিন দুপুরে সিজার করে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি মহিলা। তবে সিজার করার পর থেকে ওই প্রসূতি মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেদিন সন্ধ্যায় ওই চিকিৎসক শিলিগুড়ি মেডিক্যালে রেফার করে দেন পারভিনকে। পরিবারের সদস্যরা শিলিগুড়ি মেডিক্যালে নিয়ে গেলে ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থা দেখে সেখানকার চিকিৎসকরা ভর্তি নেননি।
তারপর পরিবারের সদস্যরা বিহারের কিষানগঞ্জে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যান পারভিনকে। কিন্তু সেখানেও তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আবার ওই প্রসূতিকে নিয়ে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। টানা ৬ দিন সেই নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলার পর ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে ছুটি করে আবার ইসলামপুরের এই নার্সিংহোমে নিয়ে আসেন। তবে সেখানের দৃশ্য দেখেই চক্ষুচড়কগাছ পরিবারের।
নার্সিংহোমে তালা মেরে পালিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ওই মহিলার আত্মীয়স্বজনেরা জমায়েত করতে শুরু করেন। এরপর সেই প্রসূতিকে নার্সিংহোমের সামনে রেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিস ও স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্ব। ওই প্রসূতিকে সুস্থ করার দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাভেদ আকতারও।
বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেফতারি (arrest) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতার দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur), বীরভূম (Birbhum) জেলার একাধিক জায়গায় শুক্রবারই বের হয় তৃণমূলের মিছিল। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর কলকাতায়ও (Kolkata) মিছিল বের করে তৃণমূলের ছাত্র-যুব শাখা। "তদন্তের নামে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ চলছে না, চলবে না"- স্লোগানে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলটি রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি (Rabindrabharati University) থেকে চিড়িয়ামোড় (chiriamore) পর্যন্ত যায়। মিছিলে পা মেলায় বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
পাশাপাশি ইডি, সিবিআই (CBI) পক্ষপাতদুষ্ট। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ পূরণে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার শহর শিলিগুড়ির রাজপথে নামল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বরা। শিলিগুড়ি (Siliguri) কলেজের গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিলে অংশ নেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি, চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরাও। তাঁদের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দুর্নীতিগ্রস্থ সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।
একই সঙ্গে "ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না" পাশাপাশি একাধিক প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল সমর্থিত মহিলারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের খালিনা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি ঘোষণার পর অভিনব প্রতিবাদে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই বোলপুরে অনুব্রত-র বাড়িতে যে নোটিস দেয় তাতে তাঁকে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত সাব্যস্ত করা হয়েছে। পরে বিকেলের দিকে তাঁকে গ্রেফতার বলে ঘোষণা করা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার মাঝরাতে বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআই টিম। বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা এবং আটক করে আসানসোলে নিয়ে যায়।
হস্টেলের খাবার পছন্দ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু পুলিসের মেসের (Police Mess) খাবার (Food) পছন্দ হয়নি বলে প্রকাশ্য রাস্তায় এসে কেঁদে ভাসাচ্ছেন এক পুলিস কনস্টেবল, এমন দৃশ্য দেখেছেন কখনও।
উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পথচলতি মানুষজন। আর এমন বিরল দৃশ্য দেখতে রাস্তায় রীতিমতো ভিড়ও জমে গেল।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগটা ঠিক কী? যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কনস্টেবল মনোজ কুমার হাতে থালা নিয়ে রাস্তায়। থালায় রয়েছে রুটি, ডাল এবং ভাত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন এক সিনিয়র অফিসার। তাঁকে বলে-বুঝিয়ে থানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু মনোজ কুমার বলেই যেতে থাকেন, এই খাবার কি মানুষে খায়? এটা পশুদেরও মুখে উঠবে না। রুটি ভালো করে সেঁকা হয় না। আর ডাল মানে তো জল। তাঁর আরও অভিযোগ, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী, এসব করলে তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হবে, এমন হুমকিও নাকি শুনতে হয়েছে।
मैस के खाने की गुणवत्ता से सम्बन्धित शिकायती ट्वीट प्रकरण में खाने की गुणवत्ता सम्बन्धी जांच सीओ सिटी कर रहे है।
— Firozabad Police (@firozabadpolice) August 10, 2022
उल्लेखनीय है कि उक्त शिकायतकर्ता आरक्षी को आदतन अनुशासनहीनता, गैरहाजिरी व लापरवाही से सम्बन्धित 15 दण्ड विगत वर्षो में दिये गये है । @Uppolice @dgpup @adgzoneagra
মনোজ কুমারের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, পুলিসকর্মীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডিউটি করার পর তাঁদের ভাগ্যে জোটে এমনই সব অখাদ্য। ভালো খাবার না পেলে আমরা কাজ করব কীভাবে? প্রশ্ন মনোজ কুমারের।
পরে ফিরোজাবাদ পুলিস একটি ট্যুইটে এই ঘটনার ব্যাপারে জানায়, ওই কনস্টেবল এর আগে নয় নয় করে ১৫ বার এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। এবারের ঘটনা নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কেরলের (Kerala) এক ব্যক্তি সম্প্রতি রাস্তায় বেহাল দশা (Road problem) এবং আসন্ন বিপদের দিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একটি অনন্য প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন। অভিনব বিক্ষোভের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে, লোকটি একটি বালতি, মগ, সাবান এবং একটি তোয়ালে সঙ্গে রেখেছেন। রাস্তায় বড় বড় গর্তে বৃষ্টির জলে জমে জলাশয়ের আঁকার নিয়েছে। সেই জলে গায়ে সাবান মেখে স্নান করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। কৌতূহলী মোটরসাইকেল আরোহী পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে তাঁর কাপড় ধোয়ার ছবিও তোলেন।
কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক ইউএ লতিফ। তিনি আসার সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রতিবাদকারী গর্তের মধ্যে ধ্যানের ভঙ্গিতে বসে থাকেন। এমনকি ভিডিওতে তাঁকে বিধায়কের সামনে কাদা জলের বিশাল গর্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যোগব্যায়াম করতেও দেখা যায়।
কেরালায় রাস্তার এই গর্তের কারণে কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। আর তার ঠিক কয়েকদিন পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। মামলাটি গ্রহণ করে কেরল হাইকোর্ট ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (NHAI) অবিলম্বে গর্তগুলি পূরণ করতে বলেছে। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দিয়েছে, যে জেলা কালেক্টররা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসাবে রাস্তায় গর্ত ঠিক করার দায়িত্ব নেবেন। অবিলম্বে সমস্ত রাস্তা যেন সারিয়ে দেওয়া হয়।