Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Poll

Election 2024: শিরোনামে সেই কোচবিহার! তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত শীতলকুচি সহ একাধিক এলাকা

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু। সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের একাধিক এলাকা। ফের উত্তপ্ত সেই শীতলখুচি। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। ওই এলাকার ২৮৬ নম্বর বুথের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে খবর।

পাশাপাশি, শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট অঞ্চলের অন্তর্গত বড় ধাপের চাত্রার ২০১ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই ছবি ধরা পড়েছে ১৩৯ নম্বর বুথেও।

প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় খবরের শিরোনামে থাকে কোচবিহার। বিজেপি এবং শাসক শিবিরের মধ্যে চলছে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা। তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বারকোদালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২২৬ ও ৯/২২৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি। এমনকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।

a week ago
Election: ফের ফাঁস ভোট কর্মীদের তথ্য! আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কর্মীদের

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর এই ভোট আবহে ফের একবার ফাঁস ভোট কর্মীদের তথ্য। প্রকাশ্যে, পোলিং পার্টি-সহ কোন ব্লকে ডিউটি সেই সমস্ত তথ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫৩৭৯ টি দলের ভোটকর্মীদের তালিকা চলে এসেছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে।

ভোট কর্মীদের বহু ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী। ফাঁস হওয়া তালিকা বাতিল এবং দোষীদের শাস্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানালেন কিংকর অধিকারী। পাশাপাশি তিনি জানালেন, এভাবে বারংবার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চলে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়া এবং আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এর আগেও ফাঁস হয়েছে ভোটকর্মীদের ব্যক্তিগত বহু তথ্য। ভোটকর্মীদের মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা সমস্ত কিছুই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তখন এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ।  লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও।

তারপর ফের একবার তথ্য ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে বারংবার কীভাবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য? নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রভাব? তবে এবার রাজ্যে অবাধ ও  শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং ভোটকর্মীদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায়, এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার।

3 weeks ago
HS Exam: উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষার আগে শব্দবাজির তাণ্ডব! প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

রাজ্যে শুরু হয়েছে ২০২৪-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আর উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষার ঠিক আগের রাতে শব্দদূষণে কেঁপে উঠলো নিউটাউন সিটি সেন্টার টু এলাকা। প্রতিবাদ করায় চলল ব্যাপক মারধর।

জানা গিয়েছে, নিউটাউনের বিশ্ববাংলা সরণির পাশেই একটি বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল শব্দবাজির তাণ্ডব। এছাড়াও এই বাজির আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ছিল পাশের একটি অভিজাত আবাসনে। আবাসনের আবাসিকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে, বিয়ে বাড়ির লোকজন আবাসনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষী ও আবাসিকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় গভীর রাতেই ইকোপার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত  আবাসিকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নেমেছে ইকো পার্ক থানার পুলিস।

2 months ago


Exit Poll: আজগুবি এক্সিট পোলের আজব নিদান

প্রসূন গুপ্ত: প্রায় ২৫ বছর ধরে বেসরকারি চ্যানেলে কোনও রাজ্য বা দেশের ভোটের আগে পরে ওপিনিয়ন পোল বা ভোটের আগের সমীক্ষা এবং ভোট শেষ হলেই এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষা তুলে ধরা হয়। এখন প্রশ্ন থাকে কি করে এই আগাম ফলের চিত্র চ্যানেলগুলি তুলে ধরছে? জানা যায় যে, ভোটদানের পরে নাকি নানান প্রশ্ন করে ভোটদাতাদের কাছ থেকেই এর উত্তর পাওয়া যায়। এবারে ফল জানাতে গিয়ে অনেকটা শেয়ার বাজারের মতো তারা বলে যে, এই ফলাফল সর্বদা যে সঠিক হবে এমন গ্যারান্টি নেই। তা যাই হোক না কেন কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অনেক সময়েই এই আগাম ফল বাস্তবে পরিণত হয়েছে, আবার তাদের সকলকেই বোকা হতেও হয়েছে। একেবারে উল্টো ফল হয়েছে। তবে মনে করি সারা ভারতে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায় এই এক্সিট পোল। কারণ আমাদের রাজ্যে সেই বাম আমল থেকে ভোটারদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সরকারের প্রতি দীর্ঘসূত্রী আনুগত্য যা বামেরা পেয়েছে এবং সরকার বিরোধী ভোট। ব্যতিক্রম হয়েছিল ২০১১-তে যেবার মমতা ক্ষমতায় এসেছিলেন। 

ইদানিং মোদী জমানায় দেশের সিংহভাগ চ্যানেল তাদের আনুগত্য কেন্দ্রের প্রতি রেখে খবর কর। কাজেই গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই এক্সিট পোল সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। এইতো এ বছরের গোড়ায় কর্ণাটক নির্বাচনে অনেকেই কংগ্রেসকে কিছুটা এগিয়েও জনতা দল (এস) ফ্যাক্টর হবে জানিয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেলো বিপুল আসন পেয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলো এবং জনতা দল প্রায় নিঃশেষিত হয় গেলো। এবারে মানুষের নজরে ছিল সদ্য সমাপ্ত হওয়া ৫ রাজ্যের এক্সিট পোলের দিকে। বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার ভোটপর্ব শেষ হতেই আধা ডজন ন্যাশনাল চ্যানেল এক্সিট পোল বের করলো। কিন্তু অদ্ভুতুড়ে এই ফলের নমুনা। একেক চ্যানেল একেক রকম ফল দেখাচ্ছে। কোথাও ছত্রিশগড়ে দেখাচ্ছে ফের কংগ্রেস আসছে আবার কেউ দাবি করছে বিজেপি ০.৫ শতাংশ ভোট এদিক ওদিক হলে ক্ষমতায় চলে আসবে। মধ্যপ্রদেশ নিয়েও একই মত। দুটি সংস্থা দাবি করছে বিজেপির বিপুল জয়, আবার ৪টি সংস্থা বলছে না কংগ্রেস কোনওক্রমে চলে আসবে। একই হিসাব রাজস্থান নিয়েও। ৪টি সংস্থা দেখাচ্ছে বিজেপি আসছে আবার দুটি সংস্থা বলছে কংগ্রেস শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করবে। কাকে ভরসা করবে মানুষ? 

5 months ago
Delhi: রাজধানীর বাতাসে সামান্য উন্নতি, শিথিল হল নিয়ম, খুলছে স্কুলও

দূষণের কালো চাদরে ঢেকেছিল দিল্লি। দিল্লির বাতাসে রীতিমতো বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। বাতাসের গুণগত মান কখনও থাকছে ৪৫০ তো, কখনও আরও খারাপ হয়ে ৫০০ মাত্রায়। এই অবস্থায় দূষণ সংক্রান্ত একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। শনি ও রবিবার বাতাসের মান সামান্য উন্নতি হওয়ায় তুলে নেওয়া হল সমস্ত নিষেধাজ্ঞা।

তবে এখনই দূষণ থেকে মুক্তি তা বলা যায় না। গুণমান 'অত্যন্ত ভয়ানক' থেকে 'খুব খারাপ' পর্যায়ে নেমেছে। আর সে কারণেই দূষণ নিয়ে নিয়ম শিথিল করছে সরকার। জানা গিয়েছে, এবার থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে পারবে ডিজেল চালিত ট্রাক। সোমবার থেকে আবার চালু হচ্ছে সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। তবে এখনও বাইরে খেলাধুলো বা জমায়েতের অনুমতি দেয়নি।

সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোর-কাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (সফর)-এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৬টায় দিল্লির একিউআই ছিল ৩১৩। শনিবারের তুলনায় ‘উন্নতি’ লক্ষ করা গিয়েছে। শনিবার এই সময় একিউআই ছিল ৩৯৮।

সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (CPCB) তথ্য় অনুযায়ী, সকাল রবিবার ৬টায় আরকে পুরমে বাতাসের গুণমান (AQI) ছিল ৩২৫, নিউ মতিবাগে AQI ছিল ৩২৩, IGI বিমানবন্দর এলাকায় AQI ছিল ২৯২, আনন্দ বিহার এলাকায় AQI ছিল ৩২৯, নেহরু নগরে AQI ছিল ৩৩৭। বেশিরভাগ জায়গাতেই বাতাসের গুণমান 'খুব খারাপ' পর্যায়ে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে গড় AQI প্রতিদিন বিকেল ৪টেয় পরিমাপ করা হয়। শনিবার সেই AQI ছিল ৩১৯। শুক্রবার AQI ছিল ৪০৫, বৃহস্পতিবার AQI ছিল ৪১৯, বুধবার AQI ছিল ৪০১, মঙ্গলবার AQI ছিল ৩৯৭, সোমবার AQI ছিল ৩৫৮।

5 months ago


Delhi: বৃষ্টির ফলে বাতাসে দূষণ কম, এখনই চালু নয় জোড়-বিজোড় নীতি

রাজধানী দিল্লিতে এখনই গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জোড় বিজোড় নিয়ম লাগু হচ্ছে না। শুক্রবার বিকালে এবিষয়ে জানিয়েছেন সেখানকার পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসে আগের থেকে দূষণ অনেকটা কম। সেকারণে এখনই লাগু করা হচ্ছে না জোড়-বিজোড় নীতি।

দিল্লির বাতাসে দূষণ ভয়ঙ্করভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেখান থেকে রক্ষা পেতে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় নীতি লাগু করা হয়েছিল। আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে এই নিয়ম চালু হওয়ার কথা ছিল। যদিও এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এল দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার।

জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এই নীতি চালু করলে তার যে বিশাল প্রভাব পড়বে এমনটা নয়। বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। তাতে বেশ কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। কারণ বিষাক্ত ধোঁয়ার পরিমাণ অনেকটা কমেছে। তবে দূষণের মাত্রার খুব একটা হেরফের হয়নি। 

6 months ago
Air Pollution: বায়ুদূষণের নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর কলকাতা, দ্বিতীয়তে ঢাকা

কলকাতার বাতাসে মিশেছে 'বিষ'। যত দিন যাচ্ছে ক্রমেই দূষিত হচ্ছে তিলোত্তমার বাতাস। শুক্রবারের পরিসংখ্যান থেকে সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। জানা গিয়েছে, বায়ু দূষণের নিরিখে বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর কলকাতা। প্রথম কলকাতা ছাড়াও এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। এই তিন বড় শহরের মাত্রাতিরিক্ত দূষণ স্বাভাবিক ভাবেই ভাঁজ ফেলছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।

শুক্রবার সকালে 'এয়ার ইনডেক্স কোয়ালিটি' বা ওএকিউআই -এর পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, কলকাতার 'এয়ার ইনডেক্স কোয়ালিটি' রয়েছে ২৭৪। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সথেকে দূষিত । দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকার 'এয়ার ইনডেক্স কোয়ালিটি' রয়েছে ২২৭ আর তৃতীয় স্থানে থাকা করাচিতে বায়ু দূষণের পরিমাণ ১৭৭।

দিন কয়েক ধরেই দিল্লির বাতাস মাত্রাতিরিক্ত দূষিত হওয়ার কারণে ক্রমেই বাড়ছিল উদ্বেগ। কিন্তু শুক্রবার সকালে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছে রাজধানীবাসী। 

6 months ago
Delhi:দিল্লিতে আশীবার্দের বৃষ্টি, বাতাসে বিষাক্ত দূষণ হ্রাসের সম্ভাবনা!

এ যেন আশীর্বাদের বৃষ্টি। দূষণের কালো চাদরে ঢেকেছিল দিল্লি।শুক্রবার সাতসকালে হালকা বৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী। আর তাতেই সামান্য উন্নতি হল আবহাওয়ার। দিওয়ালির আগে যা দিল্লিবাসীর জন্য বিরাট স্বস্তির খবর।

গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ দিল্লির আকাশে বাতাসে রীতিমতো বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। বাতাসের গুণগত মান কখনও থাকছে ৪৫০ তো, কখনও আরও খারাপ হয়ে ৫০০ মাত্রায়। এই অবস্থায় রুষ্ট প্রকৃতিকে ‘শান্ত’ করতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। পরিস্থিতি একই থাকলে আগামী ২০-২১ নভেম্বরের মধ্যে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের পরিকল্পনা ছিল। তবে সেটার প্রয়োজন অনেকটাই কমিয়ে দিল শুক্রবারের অকাল বৃষ্টি।

এদিন সকালে রাজধানীতে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঘন কুয়াশার যে চাঁদর রাজধানীর আকাশ-বাতাস ঢেকে ফেলেছিল, সেটা অনেকাংশে মিলিয়ে গিয়েছে। এদিন সকালে রাজধানীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাতাসের গুণগত মান ৪০০-র আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শুক্রবার দিনভর আরও বৃষ্টি হবে। যার ফলে আবহাওয়ার আরও উন্নতি হতে পারে। যা দিল্লিবাসীর জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর। দিওয়ালির আগে আবহাওয়া খানিকটা পরিষ্কার হলে, নিশ্চিন্তে আলোর উৎসবে মাতোয়ারা হতে পারবে রাজধানী।

6 months ago


Durgapur: দূষণের কবলে দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবন, বাড়ছে ডেঙ্গি আতঙ্ক

দূষণের কবলে খোদ দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিস। নোংরা আবর্জনা স্তূপে পরিণত হয়েছে সরকারি এই অফিসের দোরগোড়ায়। যেখানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বারংবার সতর্কবার্তা জানিয়েছে দুর্গাপুর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিস। সেখানে খোদ দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবনের সামনেই এখন ডেঙ্গি আতঙ্ক। 

দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবন বার্তা দেয় জনসমাজের পরিবেশ রক্ষার জন্য। কিন্তু আজ সেই ভবনের দুয়ারেই ময়লা আবর্জনার স্তুপ। যার ফলে পথ চলতি মানুষের দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্লাস্টিক বর্জনের জায়গায়, খোদ পরিবেশ ভবনের বাইরে প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি।

দুর্গাপুরের পরিবেশ ভবনের সামনেই রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস, জিএসটি অফিস, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু এতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার মাঝেও সহবস্থান আবর্জনার স্তুপ। স্থানীয়েদের দাবি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অফিসের সামনে ময়লা আবর্জনায় স্তূপ তৈরী হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাটাই এখন ভীষণ সমস্য়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চারিদিকে যে নোংরা আবর্জনার স্তূপ, সেখানেই মাছি ঘুরছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যার কারণে স্বাস্থ্যের  ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ডেঙ্গি আতঙ্কও বেড়ে চলেছে।  

সমস্ত অভিযোগ মেনে নিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের দু'নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার। তিনি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে পুরো দায়ভার এড়িয়ে যান।

6 months ago
Delhi: দূষণের জেরে দিল্লিতে ফিরছে জোড়-বিজোড় গাড়ির বিধি! জানুন কবে থেকে...

দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে মাত্রাছাড়া দূষণ রুখতে সোমবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আবারও ফেরানো হবে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধিনিষেধ। তবে তা লাগু হবে দীপাবলির পর থেকে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহ থেকেই সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথাও জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। যদিও রবিবারই টুইট করে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী।

বৈঠকের পর গোপাল রাই জানান, দূষণ পরিস্থিতির কারণে নভেম্বরের ১০ তারিখ সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে। বোর্ড পরীক্ষার কারণে কেবল দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হবে স্কুলগুলিতে। অন্যদিকে ফেরানো হচ্ছে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধি। দিল্লি সরকারের দাবি, রাস্তাায় গাড়ির সংখ্যা কমলে দূষণ অনেকটাই কমানো যাবে। দিওয়ালির পর ১৩-২০ নভেম্বর অবধি এই বিধিনিষেধ চালু হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এই বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।

পাশাপাশি দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়াক ফ্রম হোমেরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নির্মাণ কার্য ও ধ্বংসকার্য বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সপ্তাহ খানিক ধরে চলা ধোঁয়াশার জেরে রাজধানীতে ভিন রাজ্যের ডিজেল চালিত গাড়ি ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এছাড়াও BS3 পেট্রল এবং BS4 ডিজেল গাড়ির নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই থাকছে।

6 months ago


Pollution: ভয়াবহ দূষণ দিল্লিতে, ১০ তারিখ অবধি স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

রাজধানীর বাতাস দূষিত। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে খুদে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজধানীর সরকার।

রবিবার সকালে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সব প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে, শুধু খুদে পড়ুয়া নয়। টুইটে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যেও স্কুলে যাওয়ার বদলে বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করানোর ভাবনাচিন্তা করছে রাজধানীর সরকার।

দিল্লির দূষণ ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে। রবিবার সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স পৌঁছে গিয়েছে ৪১৫ থেকে সরাসরি ৪৬০-এ। দূষণের কারণে  দিল্লিজুড়ে নির্মাণ কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বাইরে বেরোলেই অনেকেই চোখ জ্বালা করতে শুরু করেছে। দিল্লির এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা এই সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

6 months ago
Polluted City: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর রাজধানী দিল্লি, তৃতীয় স্থানে কলকাতা!

দূষণ (Pollution) ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দূষণের ক্ষেত্রে দেশের রাজধানী দিল্লি প্রথম স্থানে বারংবার উঠে এসেছে। এবারে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (Polluted City) তালিকায় নাম উঠল ভারতের (India) তিন গুরুত্বপূর্ণ শহরের। জানা গিয়েছে, দিল্লি (Delhi), কলকাতা (Kolkata) এবং মুম্বই (Mumbai) এই তিন শহরের বায়ুর মান অত্যন্ত বিপজ্জনক।

সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার-র তরফে প্রকাশিত তথ্যেই দেখা গিয়েছে, আজ, ৫ নভেম্বর বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর দিল্লি। সেখানে বাতাসের গুণমান বা একিউআই হল ৪৮৩। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রতিবেশি পাকিস্তানের লাহোর। সেখানে বাতাসের গুণমান ৩৭১। এরপরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতার নাম। কলকাতার বাতাসের গুণমান ২০৬। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা, পঞ্চম স্থানে করাচি। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বই। সেখানে বাতাসের গুণমান ১৬২।

6 months ago
Delhi: দূষণে ঢেকেছে রাজধানী, স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের, গাড়ি চলায় নিষেধাজ্ঞা

আশঙ্কা ছিলই। দীপাবলির আগে ফের দূষণের কালো চাদরে ঢাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। শুক্রবার কার্যত অন্ধাকারেই ঘুম ভাঙল দিল্লিবাসীর (Delhi Pollution)। দূষণ কমাতে বিএস থ্রি মডেলের পেট্রোল গাড়ি এবং বিএস ফোর মডেলের ডিজেল গাড়ি অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যান করা হলো দিল্লি সরকার। আর এই নির্দেশিকা না মানলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে দিল্লি ট্রাফিক পুলিস। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। এছাড়াও দূষণের জেরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দুই দিনের জন্য সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার টুইটারে এই ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে জানিয়েছেন, "ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ২ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।" বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অ-প্রয়োজনীয় সমস্ত নির্মাণ কার্যও। বিশেষ করে গৌতম বুধ নগর, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ এবং গুরুগ্রাম শহরের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই শহরগুলিতে ডিজেল ট্রাকের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রতিবেশী গুরুগ্রামও দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গুরুগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি আইনের অধীনে আবর্জনা, পাতা, প্লাস্টিক এবং রাবারের মতো বর্জ্য পদার্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে। এই আইন যাঁরা লঙ্ঘন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ২.৫-র বেশি বলে জানা গিয়েছে। যা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে সাত থেকে আট গুণ বেশি। এই পরিস্থতিতে দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের তৃতীয় ধাপের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার একটি বৈঠক ডেকেছেন। তিনি বলেন, "GRAP-এর তৃতীয় ধাপের কার্যকরী বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি সভা ডাকা হয়েছে।" 

উল্লেখ্য, বিষ বাতাসে ভরে গিয়েছে দিল্লি। বৃহস্পতিবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ৪০২। বাতাসের গুণমান ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তাকে ক্ষতিকর বলে ধরা হয়। ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে বাতাসের গুণমান থাকলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর বলে ধরা হয়।

6 months ago


Delhi: উৎসবের মরসুমে আরও বিষাক্ত দিল্লির বায়ু, দূষণ বৃদ্ধির আশঙ্কা পরিবেশবিদদের

উৎসবের মরসুমেই বিষাক্ত দিল্লির বায়ু। দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে খারাপ হচ্ছে বায়ুর গুণমান সূচক (AQI)। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা এবং নয়ডা ও গুরুগ্রামের নিঃশ্বাসে বিষ সর্বাধিক। এই ঘটনায় পরিবেশবিদদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (SAFAR)-ইন্ডিয়া তথ্য অনুসারে দিল্লির বায়ু গুণমান সূচক দাঁড়িয়েছে ৩০৬-এ। বিশেষত, শীতকালে দিল্লির দূষণ বৃদ্ধি পায়। সেখানে এবারে পুজোর সময় থেকেই দূষণের চাদরে মুড়েই দিন শুরু হচ্ছে দিল্লিবাসীর। 

আগামী ১০-১৫ দিন দিল্লির বাতাসের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, শূন্য থেকে পঞ্চাশ অবধি বাতাসের মানকে ভালো বলে ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত উদ্বেগজনক। সেই হিসাবে রাজধানীর দূষণ এখনই খুব খারাপের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।

6 months ago
Durgapur: কুনুর নদীর জলে মিশছে বর্জ্য, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা, সঙ্কটে রুজি-রুটি

দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহার কুনুর নদী (Kunur River)এক সময় বাসিন্দাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ ছিল। এই নদীর জলে এলাকার প্রতাপপুর, কাঁটাবেরিয়া সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ চাষবাস করতেন। কিন্তু সেই কুনুর নদীর জল (water pollution) আজ অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার চাষীদের কাছে। অভিযোগ, বেসরকারি গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থার বর্জ্য মিশছে নদীর জলে। চাষের জমিতে জল ব্যবহার করলে কমছে মাটির উর্বরতা। বন্ধ্যা হয়ে পড়ছে জমি। জল দূষণের কারণে সংকটের মুখে কৃষকদের রুজি রোজগার। তারপর আবার কুনুর নদীর সেতুও দুর্বল। ভেঙে গেছে সেতুর রেলিংও। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও তুলেছেন অনেকে।

চাষবাস হচ্ছে না, অথচ চাষবাসের উপর নির্ভরশীল এই কুড়িটি গ্রামের বেশ কয়েক হাজার মানুষ। যাঁরা অনেকে পরিস্থিতির শিকার হয়ে পেশা বদলে ফেলেছেন, আবার অনেকে আত্মহত্যার পথকেই বেছে নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, কুনুর নদীর সেতু দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে নদীর সেতুর রেলিং। বেহাল হয়ে পড়েছে নদীর উপরের রাস্তা। তা সত্ত্বেও আজ ভারী যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়ে যাতাযাত করছে, এতে বিপদ আরও বাড়ছে।

গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থা কারখানা তৈরির জন্য এলাকার বেশ কিছু জমি ১৫ বছরের জন্য লিজে নেয়। অভিযোগ, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জমিদাতারা পুনর্নবীকরণের টাকা পাননি। অভিযোগ, শুধুমাত্র শাসকদল ঘেঁষা জমিদাতারাই টাকা পাচ্ছেন। বিজেপি করার অপরাধে বঞ্চিত একাংশ জমিদাতা।

বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বেশ কিছু মানুষ কুনুর বাঁচাও আন্দোলনে নামেন। এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও উঠেছে। অভিযোগ উঠছে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার অপরাধে তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ, 'কুনুর বাঁচাতে যতদূর যেতে হয় ততদূর যাব। যে মুখ্যমন্ত্রী জমি আন্দোলনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছেন, আর তাঁর জামানায় কিনা ক্ষতির মুখে চাষিরা।'

যদিও এইসব বিজেপির নাটক বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব, দলের লাউদোহা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বিষয়টি জানি চাষীদের পাশে আছি। বিজেপির নাটকের প্রয়োজন নেই।'

কুনুর নদীর একটা ইতিহাস প্রেক্ষাপট আছে। অনেক লেখা রয়েছে এই নদীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু কালের নিয়মে আজ এই নদী হাজারো প্রশ্নের মুখে। এর গতি কোথায় থামবে জানা নেই কারোর। তবে কুনুর বাঁচাও কমিটি বলছে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে কুনুরকে।

8 months ago