দূষণ (pollution) বাড়ছে দিল্লিতে। দীপাবলির পর দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। দিওয়ালির (Diwali) পর এয়ার কোয়লিটি ইনডেক্স (AQI) ৩০০-র মাত্রা অতিক্রিম করতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। আর সেই অনুমানই মিলে গেল। দীপাবলির রাতে খড় পোড়ানো এবং বাজি (crackers ) ফাটানোর কারণে দিল্লির (Delhi) বাতাসের গুণমান মঙ্গলবার সকালে 'খুব খারাপ' পর্যায়ে পৌঁছয়। নয়ডা, যা দিল্লি এবং গুরুগ্রামের সঙ্গে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অংশ, তা রেকর্ড করেছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩৪২- এ পৌঁছে গিয়েছে।
সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (এসএএফএআর) এর আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, দীপাবলিতে বায়ুর গুণমান 'গুরুতর' স্তরে নেমে যেতে পারে। এবং আরও একদিনের জন্য রেড জোনে থাকবে।
নয়ডা মঙ্গলবার সকালে ৩৪২ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স রেজিস্টার করেছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩২৩ নিয়ে দিল্লি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ৩০১-৪০০ রেঞ্জে বায়ুর গুণমান " শ্বাসকষ্টের মতো অসুস্থতা" সৃষ্টি করতে পারে। নয়ডা এবং দিল্লিতে বায়ুর গুণমান 'গুরুতর' (৪০১-৫০০) হওয়ার থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে।
ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স- এর সরকারি ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত ৪০টি মনিটরিং স্টেশনের তথ্য অনুসারে, লোধি রোডের AQI ২৭৩ রেজিস্টার করা হয়েছে। গুরুগ্রামের AQI ছিল ২৪৫ এবং মধুরাতে মঙ্গলবার সকাল ৬:৩০ টায় ৩২২ রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সোমবার রাতের তুলনায় বাতাসের মান উন্নত হয়েছে। দীপাবলির রাতে উচ্চ-ডেসিবেল আতশবাজির কারণে দূষণের মাত্রা প্রায় মধ্যরাতে শীর্ষে পৌঁছেছিল। কিন্তু সকাল থেকে সে তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তথ্যে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর প্রায় সব স্টেশনেই রাত ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত পটকা ফাটার কারণে দূষণের পরিমাণ বেড়েছে। সবচেয়ে দূষিত এলাকা ছিল দক্ষিণ দিল্লিতে। সবচেয়ে দূষিত স্টেশনগুলি হল, আর কে পুরম, ওখলা, কর্নি সিং শুটিং রেঞ্জ, জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম।'
সোমবারও গাজিয়াবাদ (৩০১), নয়ডা (৩০৩), গ্রেটার নয়ডা (২৭০), গুরুগ্রাম (৩২৫) এবং ফরিদাবাদে (২৫৬) বাতাসের গুণমান 'খারাপ থেকে খারাপতর' স্তরে গিয়েছিল। IQAir অনুসারে, দিওয়ালিতে দিল্লি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। তারপরে পাকিস্তানের লাহোর। যাইহোক, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) মতে, চার বছরের মধ্যে এবারে দীপাবলির দিন ও তার পড়ে শহরের দূষণের মাত্রা কম ছিল।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post poll violence) মামলায় সিবিআই (CBI) তলব তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC) দেবরাজ চক্রবর্তীকে। তৃণমূলের মহিলা বিধায়ক (MLA) অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ বিধাননগর পুর নিগমের পুরপারিষদ সদস্য। সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফ তলব করে দেবরাজ চক্রবর্তীকে সিজিও কমপ্লেক্স আসতে বলা হয়েছিল। বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাসের খুনের মামলায় মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাজিরা দিয়েছেন তিনি।
তাঁর ইন্ধনেই খুন হতে হয়েছে প্রসেনজিৎ দাসকে। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে নেমে এই অভিযোগ পেয়েছে সিবিআই। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই তাঁকে তলব। এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। এ প্রসঙ্গে সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে দেবরাজ জানান, ভিতর থেকে ঘুরে এসে তলবের সঠিক কারণ বলতে পারব। একজন আইন মেনে চলা নাগরিক হিসেবে ওদের তদন্তে সব সাহায্য করব। ওদের প্রশ্নের জবাবে আমার কাছে যা যা তথ্য আছে, সেটা দিয়ে সাহায্য করব।
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিমধ্যে দু'বার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার র্যাডারে রয়েছেন জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও।
শিবসেনা (Shiv Sena) ভেঙেছে। শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সরকার গড়েছে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবির। তারপর থেকে শিবসেনার দখল কার হাতে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আদালত পর্যন্ত ছুটেছে উদ্ধব (Uddhav Thackrey) গোষ্ঠী এবং শিন্ডে গোষ্ঠী। সেই এক্তিয়ার ঠিক করার ভার নির্বাচন কমিশনের হাতে ছেড়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মোতাবেক একনাথ শিন্ডে শিবির এবং উদ্ধব ঠাকরে শিবির, শিবসেনার দুই বিবাদমান গোষ্ঠীকেই নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৩ নভেম্বর আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই ভোটে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী ঢাল-তরোয়াল প্রতীকে লড়বে। এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।
পাশাপাশি ওই ভোটে উদ্ধব শিবির মশাল প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে। সোমবার ঘোষণা করেছিল কমিশন। সেই সঙ্গে দুই শিবিরের দলের নামও চূড়ান্ত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনে উদ্ধব গোষ্ঠীর দলের নাম শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)। শিন্ডে শিবিরের নাম হবে বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা।
বাজি ফাটানো নিয়ে কড়াকড়ি সত্ত্বেও গত বছর অন্য চিত্রই দেখা গিয়েছিল রাজধানী দিল্লিতে। দীপাবলিতে (Diwali) দিল্লিতে সবরকমের বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ (Firecrackers banned) করেছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করেই দেদার দীপাবলির রাতে দিল্লির আকাশ ঢেকেছিল কালো ধোঁয়ায়। দূষণ মাত্রায় বিশ্বের মধ্যে দিল্লি (Delhi Pollution) রয়েছে প্রথমে। আর তাই এবার আরও কড়াকড়ি দিল্লি সরকার।
দিল্লিতে আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে বাজি, পটকা বিক্রি এবং ডেলিভারি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের বাজি উৎপাদন, স্টোরেজ, বিক্রি এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী (Delhi Environment Minister) গোপাল রাই (Gopal Rai) এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “দিল্লির মানুষকে দূষণের বিপদ থেকে বাঁচাতে গত বছরের মতো এবারও সব ধরনের পটকা উৎপাদন, মজুদ, বিক্রি ও ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাতে দূষণের হাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে। এ বার দিল্লিতে অনলাইনে পটকা বিক্রি এবং ডেলিভারি নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা ১ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য দিল্লি পুলিস, ডিপিসিসি এবং রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।”
ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় ফের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা তিনি ছিলেন সিজিও কমপ্লেক্স। বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় তাঁকে (TMC MLA Paresh Pal) দ্বিতীয়বার তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিতেই বেলেঘাটার বিধায়কের এই হাজিরা। মূলত অভিজিৎ খুনে উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবার সেই অভিযোগ করেছে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার সবকটি মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
এদিন সিজিও থেকে বেড়িয়ে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, 'রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে। তবে সিবিআই যতবার ডাকবে, ততবার আসব। বেলেঘাটায় কাউন্সিলর বলুন বা বিধায়ক সব আমাদের। তাই ওরা কাউকে তো অভিযুক্ত করবেই।' মঙ্গলবার পরেশ পালকে অভিজিতের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।'
যদিও পরেশ পালের গ্রেফতারির দাবিতে সরব অভিজিৎ সরকারের দাদা। তাঁর দাবি, 'এই খুনি-আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এরপর তো আমি খুন হয়ে যাব। ভবিষ্যতে আরও মানুষ খুন হবে।' তিনি জানান তদন্তে সিবিআই নিশ্চয় আরও তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছে তাই আবার ডেকেছে। ভাইয়ের মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে পরেশ পালের নাম রয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নয়, যেকোনও রাজ্যের পুর বা প্যাকেট ভোটের দায়িত্ব থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সাধারণত পঞ্চায়েত দফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে রাজ্য সচিবালয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নির্বাচন কমিশনকে জানায় ,সেই মোতাবেক দিন ঠিক হয়। পশ্চিমবঙ্গের আগের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ২০১৮-তে। সেই ভোট ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল বিস্তর। ভোটে শতকরা ৯০% শতাংশ আসন পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এই ভোট নিয়ে রাজ্যের এক বিরাট সংখ্যক ভোটারের ক্ষোভ ছিল যে ভোট হয়েছে গা-জোয়ারিতে।
এবারে পঞ্চায়েত ভোটের সময় হিসাবমতো ২০২৩-এর মে মাসে। কিন্তু শোনা যাচ্ছিল, যে ভোট এগিয়ে এসে হতে পারে ডিসেম্বর ২০২২-এ। কিন্তু এখনও তা ঠিক না হলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট এগিয়ে আনলেও তা কোনওভাবে হয়তো ফেব্রুয়ারির আগে নয়। এখানেও প্রশ্ন থাকে ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক এবং তারপরে উচ্চ মাধ্যমিক। কাজেই পরীক্ষার আগে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করলে আইনি বাধায় ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও দলই। সুতরাং ঘুরেফিরে ফের ওই পরের গ্রীষ্মেই চলে আসছে।
অন্যদিকে অভিমত না যে করেই হোক তৃণমূল দ্রুত ভোট করে নিতে চাইবে। এই পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলা যেতে পারে। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে হয়তো দলনেত্রী তার আভাস দিতে পারেন। একই দলের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অভিষেক সমস্ত প্রার্থী ঠিক করছেন বলেই খবর। তিনি চাইছেন নতুন স্বচ্ছ মুখ। অভিষেক জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে ভোটকে কেন্দ্র করে কোনওরকম বেচাল যেন না হয়। অবাধ ও সুস্থ নির্বাচন চাইছেন তিনি। একইসঙ্গে শুরু হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি শিক্ষন শিবির নিউটাউনে। এখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা আসছেন এবং আসন্ন ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষাদান হবে। খেলার রবিবারের পর রাজনীতির সোমবার যে ব্যস্ত থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
ঝুলে থাকা হাওড়া পুরনিগমের ভোট হতে পারে ডিসেম্বর মাসে, এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরনিগমের ভোট করাতে গেলে আইনি জটে পড়ছে রাজ্য। কারণ, বিধানসভায় বিল পাস হওয়ার পরও রাজভবনে সেটা আটকে। রাজ্যপাল সই করেননি। এই পরিস্থিতিতে হাওড়ার ওয়ার্ড পুর্নবিন্যাস করছে রাজ্য। যা সম্পন্ন হলে রাজ্যপালের সই ছাড়াই ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব।
হাওড়া-বালি পুরসভা মিলিয়ে মোট আসন ছিল ৬৬টি। যা ভেঙে হাওড়ায় ৫০টা ওয়ার্ড আর বালিতে ১৬টা ওয়ার্ড করে দেওয়া হয়। সরকার চাইছে হাওড়ার ৫০টা ওয়ার্ড ভেঙে ৬৬টি করে ফেলা গেলে আইনের পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নেই। ফলে, হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন দ্রুত করে ফেলা সম্ভব। নবান্ন সূত্রের খবর, পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই হাওড়ার জেলাশাসককে পুরনিগমের ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দিয়েছে। এই কাজ শেষ হলেই পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর হাওড়া পুরনিগমের আসন সংরক্ষণের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পেশ করবে। কমিশন এই কাজ শেষ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪৯ দিন অপেক্ষা করতে হবে ভোটের জন্য। সেই হিসেবে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরে ভোট করতে কোনও সমস্যা হবে না।
দেখুন কোন পথে এই ভোট সম্ভব?
হাওড়ার পুরসভার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের পথে রাজ্য। রাজ্যপালের সই ছাড়াই হতে পারে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন।
হাওড়া ৫০টি ওয়ার্ড ভেঙে ৬৬টি করার চিন্তাভাবনা।
হাওড়া জেলাশাসককে পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ
প্রাথমিক পরিকল্পনা পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (Most Polluted Cities) তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা (Kolkata)। এককথায় কলকাতার বাতাসে বহিছে বিষ। আর সেই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি (Delhi)। এমনই রিপোর্ট দিয়েছে স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার (SOGA)।
২০২২-এর রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় কলকাতা রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা, হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট (HEI) দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কলকাতার বাতাসে পিএম২.৫ (PM2.5) ঘনত্বের বার্ষিক গড় 84g/m3। যা নিরাপদ সীমা থেকে ১৭ গুণ বেশি। একই রিপোর্টে দিল্লিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাতাসে ভাসমান নানা ধরনের নানা আকারের দূষণ কণা থাকে। এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন সিটিস তাদের রিপোর্টে সবচেয়ে ক্ষতিকারক দুটি দূষণকারীর নাম উল্লেখ করে। সূক্ষ্ম কণা পদার্থ (PM2.5) এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) এর উপর বেশি জোর দেয় তারা। দূষণ কণা যাদের ব্যাস আড়াই মাইক্রন বা তারও কম হয়। এদের বলা হয় ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ (পিএম২.৫)’। এক মাইক্রন বলতে বোঝায় এক মিলিমিটারের এক হাজার ভাগের এক ভাগ। মানবরক্তের লোহিত কণিকার ব্যাস পাঁচ মাইক্রন। আর মাথার চুলের ব্যাস গড়ে ৫০ থেকে ১০০ মাইক্রন। তবে আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র হয় বলেই পিএম ২.৫ দূষণ কণা সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পিএম ২.৫ মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি শহরের মধ্যে ভারতেরই রয়েছে ১৮টি। বাকি দুটি ইন্দোনেশিয়ার।
বার দশেক তলব করার পরেও বীরভূমের 'মুকুটহীন শাহেনশা' অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই দপ্তরে যাননি। কেন যাননি, সে প্রশ্ন নিয়ে দ্বিমত আছে। কেউ বলছে চিরকাল রাজ্য পুলিসের উপর দাপট দেখানো অনুব্রত হয়তো ভেবেছিলেন সিবিআইও বোধহয় একই গোত্রের। ভাবেননি যে তাঁকে বাড়ির থেকে তুলে আনা হতে পারে। কিন্তু তাঁর বোঝা উচিত ছিল গত বিধানসভা ভোটের পর ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ নেতাদের এই সিবিআই কিন্তু ভোরবেলায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল। অতএব তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে এমন ধারণাটাই ভুল ছিল। অন্য মত বলছে অনুব্রত হয়তো হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার আশংকায় সিবিআই দফতরে যাননি। কিন্তু সকলেরই প্রশ্ন অনুব্রতর মতো প্রভাবশালী ক্ষমতাবান নেতার গ্রেফতারে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল তৃণমূল?
এই বিষয়ে নিয়েও দ্বিমত আছে। একদল বলছেন, যথেষ্ট ক্ষতি হল, কারণ হিসাবে তারা বলছে, এই অনুব্রতর দাপটে সিপিএম বিজেপি বীরভূমে একঘাটে জল খেত। ২০১১ থেকে ২০২১ এর মধ্যে যত নির্বাচন হয়েছে অনুব্রত প্রমাণ করেছেন তিনি অপরাজেয়। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়েও তাঁকে আটকানো যায়নি। ঘরে বসে ভোটযুদ্ধের অপারেশন চালিয়েছিলেন। দুঃসময়ে অর্থাৎ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পর্যন্ত বিজেপি এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি। দুটি আসনেই বড় জয় এসেছিল তৃণমূলের। এছাড়া বিধানসভা বা পঞ্চায়েত তো ছিলই। কাজেই তাঁর গ্রেফতারে বীরভূমে শক্তি হারালো তৃণমূল। তারা বলছে পূর্ব মেদিনীপুরের লক্ষণ শেঠ বা উত্তর ২৪ পরগনার মজিদ মাস্টারের দানা ছাঁটার পর দুই জেলাতেই সংগঠনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিপিএম-র। এঁরা কেউই ঈশ্বর প্রেরিত দূত ছিলেন না।
অন্য একটি তৃণমূল গোষ্ঠীর মতে কেউ আইনের জালে পড়তেই পারে কিন্তু দলটি চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। অতএব চিন্তার কিছু নেই। সত্যিই কি তার উত্তর দিতে পারবে আসন্ন মানিকতলা উপনির্বাচন এবং তারপরে পঞ্চায়েত নির্বাচন?