নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির (Ed)। ইডি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শিক্ষা দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ (Partha Chattopadhyay) চট্টোপাধ্যায় নাকি হুমকি দিচ্ছেন শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে। ইডির কাছে নাকি এমন অভিযোগ করেছেন শান্তনু বন্দোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পরেই নাকি তাঁকে হুমকি দেন পার্থ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর পরে নিয়োগ-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনুও গ্রেফতার হয়েছে। সম্প্রতি আটক হওয়া কুন্তলের মামলায় দায়ের চার্জশিটে নাম জড়িয়েছে এক আমলারও। কিন্ত বুধবার ইডির অবাক করা দাবি, জেলের ভিতরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, ইডির কাছে এমনটাই অভিযোগ বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার। এই ঘটনা কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি কর্তারা। ইডি সূত্রের খবর, শান্তনু জেরায় জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্সিতে যাওয়ার পরদিনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সেই সময় পার্থ তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'কেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার তাঁর নাম উঠছে?' জবাবে শান্তনু বলেন, 'অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমান অর্থ উদ্ধার হয়েছে, সেই কারণেই এমন হচ্ছে।'
ইডি সূত্রের খবর, শান্তনুর একথা শুনেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় রেগে যান এবং তাঁকে ধমকিও দেন। এমনটাই নাকি ইডিকে জানিয়েছেন শান্তনু। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে বুধবার জেল হেফাজত শেষে ইডির বিশেষ আদালতে(ব্যাঙ্কশাল) তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলিপুর সিবিআই (CBI) আদালতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) পেশ করা হয়েছে। প্রথম পক্ষের সওয়াল জবাবের পর, পার্থ বিচারককে বলেন, 'আপনি আগের দিন বলেছিলেন ৫ মিনিট সময় দেবেন।' এরপর বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচারক কথা বলার অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়েই আদালতে পার্থ বলেন, '৮ মাস অন্ধকারে আছি। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। আমার বিশ্বাস যাই ঘটুক না কেন সত্য একদিন প্রকাশিত হবে। কিন্তু সেটা কতদিন? আমি মন্ত্রী তাই আমার অপরাধ? স্যার প্রাইমাফেসি মানে কি?' বিচারককে প্রশ্ন করেন পার্থ।
তিনি বিচারকে আরও বলেন, ' যা প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে। আমার ৭০ বছর বয়স। আমার বিরুদ্ধে থানায় কোনো ডাইরি নেই। বিরোধী নেতা থাকাকালীন আমার বিরুদ্ধে শাসককুল কিছু বলতে পারেনি। আমি কোথায় পালিয়ে যাবো স্যার? আমার মামা সাহিত্যিক। বংশপরম্পরা আছে। আমি আমার জীবদশায় এই বিচার দেখে যেতে পারবো কিনা জানিনা।' এরপর বিচারক বলেন, 'প্রাইমাফেসি মানে আপাত গ্রাহ্য।'
এরপরে পার্থ বলেন, 'আপাত গ্রাহ্য ভাবে কতদিন চলবে? আমার আপনার উপর আস্থা আছে। আমি অন্ধকারে বসে আছি। আমি নিয়োগকর্তা নই। বোর্ড দ্বারা পরিচালিত সবাই। এটাই আমার বিনীত নিবেদন।' পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরিয়ে, সাংবাদিকদের বলেন, 'যাঁরা নিজেরা কালিমালিপ্ত, তাঁরা আমায় কী কালিমালিপ্ত করবে? আমি দলের সঙ্গে আছি আছি।'
মনি ভট্টাচার্য: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না, কুণাল (Kunal ghosh) ঘোষের টুইটে যাদের নাম, আদালতে ঢোকার সময়ে পার্থর (Partha chattopadhyay) মুখেও শোনা গেল তাদের নাম। বিতর্কের শুরু বৃহস্পতিবার। আলিপুর বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পেশ করে পুলিস (Central agency)। আদালতে ঢোকার মুখে পার্থ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, 'এখন দিলীপ বাবু, সুজন বাবু, অধীরবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তারা নিজের দিকে দেখুন, উত্তরবঙ্গে তারা কী করেছেন? তারা ২০০৯-২০১০-এ সিএজি রিপোর্ট পড়ুন, সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে, যেহেতু আমি তাদেরকে বলেছি আমি সাহায্য করতে পারবো না, আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না।'
এই নামগুলি উল্লেখ করে একই বিষয়ে পার্থ বাবুর বক্তব্যর, মিনিট ১৮ আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক একটি টুইট করেন, সেখানে তিনি বলেন, 'দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? কুণালবাবু বৃহস্পতিবার তার টুইটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের খোঁচা দিয়ে বলেন, 'তদন্ত হোক, কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।' যারপরেই কিন্তু শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিতর্ক ঠিক কোন জায়গায় ? বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ৪২ মিনিটে কুণালের টুইট। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় সাংবাদিকদের পার্থ ওই নামগুলোই বলেন, যেগুলো তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক টুইটে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনা কি নিছকই কাকতালীয়? নাকি সমাপতন। প্রশ্ন উঠছে, কুণালবাবুর সঙ্গে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ আছে? পার্থবাবু কি কুণাল ঘোষকে আগাম কিছু বলেছিলেন, যার ভিত্তিতে এই টুইট করেন তিনি? যদিও তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, পার্থর সঙ্গে কুণালের সম্পর্ক একেবারেই সুমিষ্ট নয়। যদিও এই বিতর্কে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।
এ বিষয়ে বাম নেতা, সুজন চক্রবর্তী সিএন-কে বলেন, 'যারা বলছে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালে উনি তো বিরোধীদের লোক ছিলেন, সেই সময় পার্থ কোথায় ছিলেন? এগুলো মাথা খারাপের লক্ষণ।'
একই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'পার্থ যে সময়ের (২০০৯-২০১০) কথা বলছে সেই সময়ে আমি রাজনীতিতেই আসিনি, ওর অভিযোগ প্রমাণ হলে পার্থর বদলে আমি জেলে যাবো ।' যদিও এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কেউ দুষলেন কুন্তলকে, কেউ সুজন, শুভেন্দুকে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Education Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ, তাপস-সহ আরও ৭ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই কোর্টে (CBI) তুলল কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালতে তোলার সময় তাপসের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'ম্যাজিশিয়ান কুন্তল সব জানে।' তিনি যে কুন্তলকে টার্গেট করলেন সেটা স্পষ্ট। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল। কুন্তল আপাতত জেল হেফাজতেই আছেন।
ওদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কোর্টে আনার সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে চলতে থাকে 'চোর চোর স্লোগান', যদিও এ ঘটনা নতুন নয়। এর পূর্বেও পার্থকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিককে বলেন, 'এখন দিলীপ বাবু, সুজন বাবু, বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন, উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? তাঁরা ২০০৯-২০১০-এ সিএজি রিপোর্ট পড়ুন, সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন, যেহেতু আমি তাঁদেরকে বলেছি আমি সাহায্য করতে পারবো না, আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারবো না।'
বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীকেও টার্গেট করেছেন তিনি। তিনি বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১-২০১২ সালটা দেখুন না, ডিপিএসসি-টা দেখুন না, কী করেছিল তাঁরা।' প্রসঙ্গত, গত ১৬-ই মার্চ, ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ১৩ জনকে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হলেও ১৬ তারিখ বিভিন্ন কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জনের শুনানি হয়নি। তাই আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করে ২৩ মার্চ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জনকে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে পোস্টার বেহালায়, নেপথ্যে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটি। বেহালার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেহালাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার। এই পোস্টারিংকে কেন্দ্র করে উঠেছে হৈ-হৈ রব। এই পোস্টারে সিপিএম-র তরফে দাবি করা হয়েছে, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়কপদ থেকে অবিলম্বে অপসারণ চাই। মানুষ কোনও জরুরি পরিষেবা পেতে প্রেসিডেন্সি জেলে মাথা ঠুকতে পারবে না। পরিষেবা ও উন্নয়নের স্বার্থে পদত্যাগ চাই তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।'
এছাড়া ওই পোস্টারে তুলে ধরা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ লক্ষ টাকা ও তাঁর সমস্ত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির হদিশ। পোস্টার থেকে বাদ যায়নি গ্রেফতার হওয়া উপাচার্য-সহ প্রায় গোটা শিক্ষা দফতর যারা আজও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেলে, সেই বিষয়। এঁরা প্রত্যকের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দোসর বলে দাবি তোলা হয়েছে পোস্টারে। স্থানীয় বাম সূত্রে আরও খবর, রবিবার সিপিএম-র পক্ষ থেকে বেহালা সরশুনা বাসস্ট্যান্ডে সকাল দশটার সময় এই লিফলেট বিলির কর্মসূচি।
গত বছর জুলাইয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন দুই চর্চিত নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। 'অপা' (APA) নামে যাকে এখন বেশি চেনে বঙ্গ রাজনীতি। সেই পার্থ-অর্পিতা (Partha-Arpita) নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি। একজনের ঠাই প্রেসিডেন্সি জেলে, আরও একজন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের বাসিন্দা। পার্থ-অর্পিতাকে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে (Court Hearing)। এত পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু ভার্চুয়ালি আঁকার-ইঙ্গিত, ইশারায় পার্থ-অর্পিতার পারস্পরিক কথোপকথন দেখে অনেকেই বলছেন, 'শহরজুড়ে আজ প্রেমের মরশুম।'
ঠিক কী ঘটেছে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ভার্চুয়াল শুনানিতে। জানা গিয়েছে, এদিন বেলা
দুপুর ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ একে অপরকে স্ক্রিনে দেখে মুচকি হাসেন পার্থ-অর্পিতা। একে-অপরকে ইশারায় জিজ্ঞাসা করেন কেমন আছো? ঠিক
২টো ৫৪ মিনিটে পার্থ, অর্পিতাকে ইশারায় জিজ্ঞাসা করেন খেয়েছো? একই প্রশ্ন ইশারায় ৩টে বেজে ৩ মিনিটে অর্পিতা পার্থকে জিজ্ঞাসা করেন, 'খেয়েছো?' পার্থ চট্টোপাধ্যায় জবাবে বুকের কাছে হাত দিয়ে লাভ সাইন দেখান। সেই ইশারা দেখে অর্পিতার মুখে আবার মুচকি হাসি!
৩টে ৮ মিনিট নাগাদ নিজের পরনের পাঞ্জাবী দেখালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দেখে অর্পিতা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালেন। ৩টে বেজে ১০ মিনিটে অর্পিতার প্রশ্ন ইশারায়, 'চা খেয়েছো?' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, 'না', ঠিক সেসময় বুকের বাঁদিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন কিছু লেখার। এই কথোপকথনের মধ্যে ৩টে বেজে ১২ মিনিট নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ক্রিন ৩০ সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তখনি চোখে-মুখে উদ্বেগ ফুটে উঠে অর্পিতার, কিন্তু আবার ৩০ সেকেন্ড পর পার্থকে স্ক্রিনে দেখে স্বস্তি পান অর্পিতা।
৩টে বেজে ১৭ মিনিট, অর্পিতা নায়িকাদের ঢংয়ে চুলের গোছা পিঠ থেকে ঘুরিয়ে কাঁধের পাশে রাখেন। সেই দৃশ্য দেখে মুচকি হাসি পার্থর। ৩টে ২২ মিনিট নাগাদ আবার ৩০ সেকেন্ডের জন্য ডিসকানেক্ট স্ক্রিন। স্ক্রিনে আসার পর অর্পিতা ইশারায় পার্থকে জিজ্ঞাসা করলেন কেন ডিসকানেক্ট? পার্থ জানালেন ইশারায়, 'চা খাওয়ার জন্য।' বিকেল ৩টে ৩০ নাগাদ অর্পিতা ঠোঁটে আঙ্গুল দেখায় (হয়তো ইশারায় লিপস্টিক পরার ইচ্ছাপ্রকাশ)। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইশারায় জবাব দেন 'মাথা খারাপ?'
৪টে ৫৭ মিনিট নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতাকে থাম্বস আপ দেখান। গোটা শুনানি প্রক্রিয়া চলাকালীন এভাবেই ইশারায় কথোপকথন চালিয়ে যান অপা।
জঙ্গি মুসার ছোড়া মগের অভিঘাতে পড়ে গিয়ে আঘাত পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)। তাঁর মুখ, বুক এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। ঘটনার পর জেল হাসপাতালে (Jail Hospital) তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। শনিবারের এই ঘটনার পর বুধবার এসএসকেএম-র (SSKM) চিকিৎসকদের একটি দল গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে দেখে আসে। এখন স্থিতিশীল আছেন পার্থবাবু।
জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে বিকেলে লক আপে বন্দিদের ঢোকানোর সময় পার্থবাবুকে বারবার ঢুকতে অনুরোধ করেন সেন্ট্রি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ঢুকতে দেরি করছিলেন। সেই সময় একই জেলে বন্দি জঙ্গি মুসা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে মগ ছোড়েন। সেই অভিঘাতে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান পার্থবাবু। ঠোঁটে চোট পান। এই ঘটনার পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থাস্বরূপ মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জেল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতো জঙ্গি মুসা। জেল সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
নগর দায়রা আদালতে ফের খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন (Bail Plea)। মঙ্গলবার আদালতে জোড়া আবেদন করেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির (ED) এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দিতে আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। একইসঙ্গে করা হয় জামিনের আবেদন। কিন্তু বিচারকের আপত্তিতে ইডির এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ সংক্রান্ত আবেদন প্রত্যাহার করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও ইডি এদিন আদালতে দাবি করেছে, দু'টো আবেদন করে অযথা সময় নষ্ট করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেকোনও একটা আবেদন করুন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে, মঙ্গলবার জামিনের বিরোধিতা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তুলনা টানেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন,'২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ বিখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম। যিনি শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে একশো বছর এগিয়ে দিয়েছেন। ৬ অক্টোবর ১৯৫২ কুখ্যাত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। যিনি শিক্ষাব্যবস্থাকে একশো বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।'
ইডি আইনজীবী জানান, 'আমাদের কাছে প্রমাণ আছে কুন্তল ঘোষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এমনকি পার্থবাবু নিজের অ্যারেস্ট মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম দিয়েছিলেন।' যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জানান, 'আমার মক্কেলের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তিনি সহযোগিতা করেন। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। অন্য একজনের বাড়িতে টাকা পাওয়ার অপরাধে আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটাকে গ্রুপ অফেন্স বলা হচ্ছে, অথচ পার্থবাবুকে একা জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। ইডি ধারণার উপর নির্ভর করে মামলা শুরু করেছে। আমার মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। তদন্ত চলুক, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাহায্য করবে।'
ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেল হেফাজত শেষে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছিল। নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত এই দু'জনই (Partha-Arpita) এদিন ভার্চুয়ালি শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন। মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, 'তিনি স্ত্রী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিক্যাল সাহায্য জেলে পাচ্ছেন না। তাই বাইরে থেকে মেডিক্যাল সাহায্য চাই।' যদিও আদালত এই আবেদনে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। ন্যূনতম যত্নের ব্যবস্থা করতে পারে আদালত। এমনটাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পাল্টা জানায় আদালত।
পাশাপাশি এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাঁর মন্তব্য,'আমি জানি আমি নির্দোষ। মিডিয়া ট্রায়াল চলছে, আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে। মানসিক নির্যাতনের শিকার আমি।' এদিন দু'পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর পার্থ-অর্পিতাকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ফের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody) নিয়োগ-কাণ্ডে (SSC Case) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। পার্থ-সহ ৬ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতে তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করেন। সওয়ালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর তরফে আইনজীবীর প্রশ্ন, 'আমার মক্কেল এক টাকাও নেয়নি। কোনও টাকা আমার মক্কেলের থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় অর্থ তছরুপ, কে আমার মক্কেলকে টাকা দিয়েছে?'
তিনি জানান, 'অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে। আমার মক্কেলের কী ভূমিকা এখানে? কেস ডায়রিতে সিক্রেট তথ্য আছে উল্লেখ করে সিবিআই জেলবন্দি করে রাখছে। আইনের কথা বলছে না। এবার তো জামিন পেতে জলি LLB সিনেমার মতো ধর্নায় বসা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।' পার্থর আইনজীবীর যুক্তি, 'আমার মক্কেল তো জেল থেকে বেড়িয়ে শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারবে না।' এই সওয়ালের পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রুপ সি মামলায় মিডলম্যান হিসেবে ধৃত প্রদীপ সিং এবং প্রসন্ন রায়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে আবেদন করেছে সিবিআই। সেই আবেদনের শুনানি আগামি ২৪ জানুয়ারি ধার্য হয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) ইডির হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (APA) ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody)। শনিবার রাজ্য রাজনীতির চর্চিত চরিত্র এই 'অপা'কে ভার্চুয়ালি আদালতে তোলা হয়েছিল। দু'জনের কেউই জামিনের আবেদন করেননি। তবে বিচারকের কাছে পার্থর (Partha Chatterjee) আবেদন, 'আমার স্বাস্থ্যর অবস্থা ঠিক নেই। জেলে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত মেডিসিন ব্যবস্থা দরকার। শরীর ঠিক নেই, আপনি যদি বিষয়টা দেখেন।
একইভাবে অর্পিতা ভার্চুয়াল জানালেন, 'আমার শরীরে খুব খারাপ। চেকআপের দরকার। পর্যাপ্ত ওষুধ চেকের ব্যবস্থা নেই। যেখানে আছি সেখানে ব্যবস্থা নেই। কষ্ট হচ্ছে, যদি একটু ব্যবস্থা করেন।' শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের করলেন না জামিনের আবেদন। দু'জনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরও সচেতন হতে নির্দেশ বিচারকের।
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? সোমবার কোর্টে সিবিআইয়ের (CBI) উদ্দেশে প্রশ্ন করেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC SCam) জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এদিন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী জানান, 'সিবিআই শুধু দুটি কথা জানে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আর প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই দুটো তথ্যের বাইরে নতুন কিছু কোর্টকে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী, কীভাবে কার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন আমার মক্কেল, সেটা জানাক সিবিআই।' দাবি করা আর কেস ডায়রিতে দুটো কথা লিখে একজনকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই (Jail Custody) থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন জামিন মামলার শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর সওয়াল, 'দিনের পর দিন একই কথা সিবিআই বলে চলেছে। শুধু হেফাজতে রাখতে হবে, তাই ওরা হেফাজত চাইছে। পার্থবাবুও প্রশ্ন করেন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে আমার অবস্থান কোথায়? প্রতিদিন একই কথা শুনছি। আমি তো জেলে আছি।' এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
মন্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, 'এদিন সিবিআইয়ের কাছে মাননীয় বিচারক প্রশ্ন করেছেন, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার কেন করছেন না? বৃত্তটা কীভাবে সম্পূর্ণ করবেন? যদিও এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।' জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিন পুলিসের গাড়ি থেকে নেমে কোর্টে (Court) ঢোকার মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর হুমকি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, তৃণমূলের (TMC) কেউ কোনওদিন ক্ষতি করতে পারবে না।' সপাট এই মন্তব্য করেই আদালতে ঢুকে যান রাজ্যের শাসক দলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড। জানা গিয়েছে, সোমবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ পার্থ-সহ মোট সাতজনকে নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যানও।
এদিকে, সপ্তাহ দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি আদালতে দাবি করেছে 'বিভিন্ন প্রাইভেট ল’ কলেজ ও বি-ফার্ম কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অর্থের বিনিময়ে প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।'
রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের চোখে কাতার বিশ্বকাপ। 'অবিশ্বাস্য' জাপানের খেলা দেখে কী মতামত মন্ত্রীর
মন্ত্রী (Bengal Minister) হিসাবে প্রচুর কাজ থাকে, নতুন পাওয়া দায়িত্বও অনেক। কিন্তু তাই বলে ফুটবল দেখবো না তাই কী হয় নাকি? সেই ১৯৭৮-এ ছেলেবেলা থেকে টিভিতে চোখ রাখতাম শুধু একটু নতুন খেলা দেখার জন্য। আমি ঘোরতর ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক ছিলাম, অবশ্য এখন নিরপেক্ষ থাকতেই হয়। লাল হলুদের খেলা থাকলে নৈহাটি থেকে যেভাবেই হোক ময়দান এবং অনেক পরে সল্টলেক যেতাম। ওই খেলাতেই সন্তুষ্টি ছিল আমাদের। কিন্তু নিয়মিত ভাবে বিদেশি খেলা দেখা এই বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) থেকেই। ৮২-র স্পেন বিশ্বকাপে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা (Brazil-Argentina) কিছু করতে পারল না। দেখেছিলাম জার্মানি আর ইতালির দুর্দান্ত ফাইনাল, সাদা-কালো টিভিতে। তখন অবশ্য ওটুকু যথেষ্ট ছিল। এরপর ৮৬-র মারাদোনার আর্জেন্টিনা থেকে হলুদ-সবুজ জার্সির ব্রাজিল বাঙালিকে টেনেছে। এক দল ব্রাজিল, তো অন্য দল আর্জেন্টিনা। যদিও তখন ধীরে ধীরে সমর্থন আদায় করছে ইতালি এবং জার্মানি।
কিন্তু এশিয়ার দেশগুলির সম্বন্ধে আমাদের উৎসাহ ছিল অনেক কম। নেহেরু কাপে বিদেশি দলগুলি এসেছিলো ৮০-র গোড়ায়। কিন্তু তার মধ্যে চীন, কোরিয়া বা রাশিয়ার খেলা আমাদের ভালো লাগলেও ভক্তি যোগায়নি। ইস্টবেঙ্গল তো উত্তর কোরিয়ার একটি ক্লাবকে হারিয়েছিল। কিন্তু গত ৩৫-৩৬ বছর ধরে আমাদের বৈঠকখানায় বিদেশ দিব্বি ঢুকে গিয়েছে। ইউরোপিয়ান বা লাতিন আমেরিকান ক্লাব ফুটবল আমরা আজ দেখে অভ্যস্ত। জাপান নিয়ে ভাবিনি কখনও।
এবারেও শত কাজ, সংগঠন, টিভি অনুষ্ঠান ইত্যাদির শেষে বিশ্বকাপে চোখ রেখেছি। কোনও খেলা ছাড়ছি না, ঘুম বলতে ওই দু-তিন ঘন্টা। বৃহস্পতিবার জাপানের খেলায় চোখ রেখেছিলাম। অন্যদিকে ভেবেছিলাম জার্মানি তো জিতবেই আর জাপান বোধহয় পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা জাপানের প্রতিপক্ষ স্পেন, কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার। কিন্তু এ কি দেখলাম! আমি চমৎকৃত, কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয় প্রশংসার। পাসিং বা তিকিতাকা ফুটবলকে দমিয়ে দিয়ে এক গোল খেয়েও ভয়ঙ্কর জাপানকে দেখলাম প্রেসিং ফুটবল খেলতে। আমাদের মহাদেশে চিন নিয়ে আমরা লাফাই, কিন্তু জাপান শিল্প সংস্কৃতি সভ্যতা এবং তাদের দেশের ফুটবলে তারা এতটাই এগিয়েছে যে আলোচনার কিছু নেই। দুই ফুটবল দৈত্যকে সূর্যোদয়ের দেশ হারালো শ্রেফ 'দৌড়ে'। আমাদের ফুটবলে কতটা আগের তুলনায় উন্নতি হয়েছে পরের কথা। কিন্তু জাপানকে দেখে ভারত কিন্তু জেদ বাড়াতেই পারে। জাপান আজ সারা এশিয়ার উদাহরণের সুধা। সেলাম জানাই জাপানকে এবং চাই বাকি খেলাগুলিতেও তারা যেন এই স্পিরিট ধরে রাখতে পারে। (অনুলিখন : প্রসূন গুপ্ত)
বেআইনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) ইডির হাতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখার্জির (Partha and Arpita) জেলা হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল। ১৪ ডিসেম্বর অবধি এই দু'জনকে জেলেই থাকতে হবে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার আদালতে অভিযোগ, 'বিভিন্ন প্রাইভেট ল’ কলেজ ও বি-ফার্ম কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে এই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।' এরপরেই এই দু'জনকে একমাসের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।
বুধবারের এই শুনানিতে বিচারকের প্রশ্ন, 'এত লম্বা হেফাজতের আবেদন কেন? ১৪-১৫ দিনের হেফাজত নয় কেন? আপনারা তদন্তের জন্য হেফাজত চেয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু তদন্ত ঠিক কতটা এগিয়েছে?' ইডির আইনজীবীর পাল্টা জবাব, 'আমরা ৩০ দিন কেন একমাসের হেফাজত চাইতে পাড়ি, আদালত স্থির করবে কতদিন দেওয়া হবে। ডাকাতি হয়েছে সেটা খুঁজতে সময় লাগবে। তাই এতো সময় লাগছে। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। প্রচুর লোকের কাছে টাকা গিয়েছে, প্রচুর শেল কোম্পানি খোলা হয়েছে। সেগুলোর কী হবে? কেউ কি আর নিজে থেকে বলবে আমার এখানে টাকা রাখা আছে, যাও নিয়ে নাও। সবাই বেনামে টাকা রাখে।
এই টাকা কত লোকের মধ্যে গিয়েছে? কত জন এর সঙ্গে জড়িয়ে? ৪৮ কোটি টাকা সঙ্গে বেশ কিছু সম্পত্তিও যুক্ত আছে এই ঘটনায়। কিছু বেসরকারি ল কলেজ আর ফার্মাসিস্ট দের এনওসি দিয়ে পার্থবাবু আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। যে কেউ এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে সেটাই তদন্ত করছি।' পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, 'সিডিতে সবটা দেওয়া আছে। আমরা মানিক ভট্টাচার্যকে ধরেছি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর মানিক ভট্টাচার্য যোগসাজশ করে এত বড় আর্থিক তছরূপ করেছে।