Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Partha

Cinema: 'হ্যালো স্যার', আবার প্রলয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী

প্রলয় সিনেমা ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর এই সিনেমার দ্বিতীয় ইনিংস 'আবার প্রলয়' (Abar Proloy) নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ওটিটির পর্দায় সিরিজটি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন দর্শক। সুন্দরবনের একটি থানার পুলিস ইন্সপেক্টর 'করালিবাবুর' চরিত্রে এই অভিনেতাকে চেনা চেনা লাগছে, ওঁ পশ্চিমবঙ্গের সেচমন্ত্রী না! হ্যাঁ তিনিই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)। যে কটি দৃশ্যে তাঁকে দেখা গিয়েছে, জমিয়ে দিয়েছিলেন উপস্থিতি। সিরিজে তাঁর মুখে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সংলাপ 'হ্যালো স্যার'। মন্ত্রীমশাইকে এখন অনেকেই 'হ্যালো স্যার' বলে সম্বোধন করছেন।  দর্শকেরা যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন, তাঁর তারিফ করলেন এবার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।

সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজের ঘরে সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তখনই সেই ঘরে প্রবেশ করেন সেচমন্ত্রী।  তাঁকে দেখে যথারীতি সাংবাদিকরা বলে ওঠেন 'হ্যালো স্যার'। পার্থ ভৌমিক তখন খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছেন, সাংবাদিকদের ইশারায় বলছেন চুপ করতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মন খুলে প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পার্থর উদ্দেশে বলেন, 'আমি সকলের মুখে তোর কথা শুনেছি। শুনলাম খুব ভালো কাজ করেছিস নাকি। এত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেও যে অভিনয় করছিস জেনে ভালো লাগল।' সেচমন্ত্রী একথা শুনে পা ছুঁয়ে দিদির আশীর্বাদ নেন।'

তবে সেচমন্ত্রী যে অভিনয় করবেন একথা নাকি মোটেই জানাতে চাননি মুখ্যমন্ত্রীকে। পরিবার নিয়ে সুন্দরবোন বেড়াতে যাবেন বলে চারদিন ছুটি নিয়েছিলেন। ওই চার দিনেই পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় করালীবাবুর চরিত্রের শ্যুটিং শেষ করেছেন।'

8 months ago
Mohammad Habib: পড়ন্ত বিকেলে জ্বলন্ত হাবিব

পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী,পশ্চিমবঙ্গ সরকার)ঃ মহম্মদ হাবিব চলে গেলেন স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে। অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। আলজাইমা এবং নানা রোগে মাঠের সিংহ যেন নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। ১৯৬৬-তে আমার প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে যখন এলেন, তখন আমি নেহাতই শিশু। কিন্তু খেলা মানে ইস্ট-মোহনের খেলা থাকলেই বাড়ির বড়রা রেডিওর সামনে বসে যেতেন। আমি অত না বুঝলেও এটা বুঝেছিলাম আমার ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করাটা আমার পারিবারিক কর্তব্য। মাঠে যাওয়া শুরু করি ১৫ বছর থেকে ১৯৭৮ থেকে। কি দল ছিল তখন। খেলা বোঝার সময় থেকে কয়েকজন খেলোয়াড়ের অন্ধ ভক্ত ছিলাম, যার অন্যতম বড় মিঞা মানে হাবিব।

সিএন পোর্টালে হাবিব নিয়ে লিখতে বসলে উপন্যাস হয়ে যাবে তাই বেছে নিলাম ১৯৮০। ভয়ঙ্কর ফুটবল বছর ছিল ওই বছরটা। সেবার ইস্টবেঙ্গল থেকে ৯/১০ জন নিয়মিত খেলোয়াড় দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। থাকার মধ্যে স্টপারে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য আর তেমন কেউ নেই। ক্লাবের সম্পাদক ছিলেন প্রয়াত নিশীথ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় নাকি সব বেরিয়ে গিয়েছিলো। আমাদের মতো কট্টর সমর্থকদের তো মাথায় হাত। নিশীথবাবু বুদ্ধি করে কোচ করে নিয়ে আসলেন প্রদীপদাকে। পিকে ব্যানার্জি। পরে প্রদীপদার কাছে শোনা কিছু গল্প শোনাই।

প্রদীপদা প্রথমেই দলে নিলেন পড়ন্ত বিকেলের সুধীর কর্মকার ও হাবিবকে। এরপর অবশ্য দলে আসলেন চ্যালেঞ্জের মজিদ বাসকার, জামশেদ নাসিরীকে। মোটামুটি একটা দল দাঁড়ালো। সেবার এপ্রিল, মে-তে কলকাতায় ফেডারেশন কাপের খেলা ছিল ইডেনে। মজিদ জামশেদ এবং হাবিবের ট্রাওতে দল দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে উঠলো। মাঠেতো নিয়মিত গেছিই । বুক দুরুদুরু। কিন্তু প্রথম থেকেই হাবিব খেলা ধরে নিলেন। বয়স হয়েছে কিন্তু নিজের ফরোয়ার্ডের জায়গা ছেড়ে লিঙ্কম্যানে খেলতে শুরু করলেন। প্রবল গরম অন্যদিকে তখন রামজান মাস চলেছে। হাবিব কিন্তু চিরকাল রোজা করে এসেছেন, এবারেও তাই। এক বিন্দু জল না খেয়ে ৯০ মিনিট খেলা ভাবা যায় না। এরমধ্যে একটা আক্রমণ মোহনবাগানের গোলরক্ষক প্রতাপ ঘোষ কোনও রকমে কর্নার করে বাঁচালেন। কর্নার থেকে কলার মতো বাঁকানো শট এলো জামশেদের মাথায়। জামশেদ ফ্লিক করে দিলেন হাবিবের দিকে। স্পট জাম্প করে ওদের স্টপারকে বোকা বানিয়ে বল গোলে। তারপর সম্মিলিত চিৎকার। আর মনে নেই।

কিন্তু সেই বছর আজকের দিনে অর্থাৎ ১৬ অগাস্ট ইডেনে ফের মোলাকাত ইস্ট-মোহনের। প্রথম থেকেই প্রবল গন্ডগোল মাঠে। মজিদকে কাঁচি করে মাঠে বাবলুদা ফেলতেই ইট বৃষ্টি শুরু। তারপর বিদেশ বসুকে (বর্তমানে আমাদের বিধায়ক) আমাদের রাইট ব্যাক দিলীপ পালিত ট্যাকেল করার পর বিদেশদা মাথা গরম করে লাথি মারলেন দিলীপদাকে। ব্যাস স্টেডিয়ামে উত্তাল গন্ডগোল। মৃত্যু হলো ১৬টি তাজা প্রাণের। শোনা যায় প্রশাসনের মারাত্মক ভুলেই নাকি দু দলের সমর্থকদের একসাথেই বসার ব্যবস্থা করেছিল ক্রীড়া বিভাগ।

তবুও সেদিন খেলা পুরো হয়েছিল ওই হাবিবের জন্যই। তিনিই দর্শকদের শান্ত হতে গ্যালারির কাছে দৌড়ে গিয়েছিলেন। আজ সেই মাঠের সিংহ নেই। স্মৃতিতে ছবি হয়ে গিয়েছেন। হাবিব মিঞা অমর রহে। (অনুলিখন- প্রসূন গুপ্ত)

9 months ago
Friendship: 'ছোটবেলার বন্ধুত্ব ছিল সেরা', সেচমন্ত্রী জানালেন তাঁর ছোটবেলার গল্প

পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী-পশ্চিমবঙ্গ সরকার): সিএন পোর্টাল থেকে বললো যে রবিবার বন্ধুত্বের দিবস বা ফ্রেন্ডশিপ ডে। আমাদের যুগে এতশত বুঝতাম না যে এটারও আবার একটা দিন হতে পারে। একটা কথাই বাস্তব, ছোটবেলা থেকে পড়াশুনা-খেলাধুলা সবেতেই বন্ধুত্ব থাকতো যা কিনা আজকেও আছে। আমি হয়তো আজ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হতে পারি, হয়তো সরকারি সিকিউরিটি নিয়ে অফিস যেতে হতে পারে, কিন্তু এখনও অফিসে যাওয়ার পথে কাউকে দেখলে থেমে যাই বা হাত নাড়িয়ে ডেকেনি।

এ অভ্যাস আমার আর পাঁচ জনের মতো। মানে বন্ধুত্বের কথা বলি। মনে পড়ে যাচ্ছে স্কুল জীবনের কথা। ক্লাস করার থেকে টিফিনে দুস্টুমিই বেশি মনে পড়ে। খেলাটা আমার নেশা ছিল স্কুলে তো ফুটবল খেলতামই। কিন্তু ছুটির পর পাড়ার মাঠে খেলাটাই বেশি পছন্দের ছিল। লাল হলুদ জার্সির আকর্ষণ তো ছিলই। লাইন দিয়ে বিস্তর খেলা দেখেছি। দলবল নিয়েই যত কাণ্ড আমার ছিল। এমন কোনও দিন থাকতো না যেদিনটা বন্ধুহীন হয়ে থাকতাম।একটু বড় হওয়ার পর তো আমাদের পুজোর মধ্যে চলে এলাম। তখন পড়ার বাইরে খেলা আড্ডা এবং পুজোতে কাজ করাটাই ছিল আসল। অষ্টমীতে দল বেঁধে সবার বাড়িতে খিচুড়ি বিতরণ এবং কালী পুজোতে তো দায়িত্ব আরও বেড়ে যেত। আমাদের নৈহাটিতে কালী পুজো বিখ্যাত। ফলে অন্য ক্লাবের পুজোর সঙ্গে টক্কর তো থাকতো।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বন্ধুদের সঙ্গে একটু ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে গন্ধ দূর করার একটা আর্ট ছিল। ধরা পরে মার খাবার কথাও ভুলিনি। ইস এতো বছর বাদে ওই দিনের কথা লিখতে বসে কত কথা মনে পরে চোখে জল এসে যাচ্ছে। আমার মনে হয়ে ছোটবেলার বন্ধুই সেরা বন্ধু। যদিও কলেজে ঢুকে নিজেকে অনেকটাই স্বাধীন মনে হয়েছিল। এরপর তো কলেজের আড্ডা, রাজনীতি, অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা ইত্যাদির সঙ্গে ভীষণ ভাবে যেটা ভালো লাগলো তা হচ্ছে নাটক। আজকেও শত কাজের মধ্যে নাটকটা সুযোগ পেলে করি। এখানকার বন্ধুরা আবার একটু গম্ভীর মেজাজের। আমার গিন্নি দারুন সংগীত শিল্পী, কাজেই ওর সঙ্গে আগে অনেকটা সময় কাটতো সংস্কৃতি মানসে। ও তো আমার প্রিয় বন্ধুই বটে, এ ছাড়া আমার সন্তানরাও আমার বন্ধু।

রাজনীতি করি, যাদের সঙ্গে করি তাঁরা আমার বন্ধু। এখন তো ওদের সঙ্গেই কাজ। এ ছাড়া দপ্তরে তো কাজের ফাঁকে যোগাযোগ রাখি বন্ধুদের সাথে। মনে হয়ে ভগবানকে বলি, আমি যেন সকলের পার্থ হয়েই থাকতে পারি এবং আপনারা আমার বুদ্ধিদাতা কৃষ্ণ। (অনুলিখন- প্রসূন গুপ্ত)

9 months ago


Partha: 'আমি মরে গেলে বিচার করবেন কি করে?' জামিন পেতে আদালতে দাবি পার্থর

'সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি না। আমি মরে গেলে বিচার করবেন কি করে?' আদালতে এসে জেলের চিকিৎসা নিয়ে এমনিই দাবি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন বিচারপতি।

মঙ্গলবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই সশরীরে হাজির করানো হয় পার্থকে। এজলাসে তাঁর আইনজীবী বিচারককে নিজের মক্কেলের অসুস্থতার কথা যখন বলছিলেন, তখনই নিজের জায়গায় উঠে দাঁড়ান পার্থ। হাত জোড় করে বিচারককে জানান নিজের শরীর খারাপের কথা। বিচারকের উদ্দেশে পার্থ বলেন, ‘স্যার একটা কথা বলতে চাই। আমার অসুস্থতার কথা জেল সুপার লিখে দিচ্ছেন হাসপাতালক কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল ১০ দিন পর রিপোর্ট ব্যাক করছে (ফেরত পাঠাচ্ছে)। এক জন আক্রান্ত হবেন, তার ১০ দিন পর এসে চিকিৎসক দেখবেন! দেখুন একটু।’

জবাবে বিচারক জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। তাঁর কথায়, ‘আপনি প্রথম জানালেন। দেখছি ব্যাপারটা।’ পার্থ এর পরে আরও জোরালো ভাবে আর্জি জানান। তিনি বিচারকের সামনে হাত জোড় করে বলেন, ‘‘দেখুন স্যর! মরে গেলে আর বিচার করবেন কী করে? স্যর, ৩০০ দিনের উপর হয়ে গিয়েছে।’’ এর পরে বিচারক বলেন, 'ঠিক আছে।'

11 months ago
Election: জুলাই মাসেই কি পঞ্চায়েত নির্বাচন?

প্রসূন গুপ্ত: পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick) জানাচ্ছিলেন যে আর একমাসের মধ্যেই পুরাতন পঞ্চায়েতের (Panchayet) পাঁচ বছরের পালা শেষ হবে, কিন্তু ভোট (Election) কবে হবে তাঁর বার্তা দিতে পারেন নি। বিভিন্ন সচিব মহলেও একই প্রশ্ন ছিল। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলা যেতেই পারে যে লোকসভা অবধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করবেন না। অন্যদিকে যে ভাবে প্রচারে সেকেন্ড ইন কমান্ড জেলা থেকে জেলায় যাচ্ছেন তাতে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা যে ভাবেই হোক দ্রুত ভোট পর্বটি শেষ করতে চাইছেন তাঁরা।

সম্প্রতি এগরাতে বাজি বিস্ফোরণে কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা সোচ্চার। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চলে যান এগরায়। মঞ্চে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন যে, তিনি এই ঘটনায় দুঃখিত। মৃত পরিবারে তিনি আড়াই লক্ষ করে টাকার চেক দেন এবং প্রতি পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি এও বলেন যে মৃত্যু নিয়ে তিনি রাজনীতি চান না। একই দিনে তিনি অভিষেকের সভা রয়েছে শালবনিতে। এটি যে এক সময়ে নক্সালদের আখড়া ছিল তা বিস্তর জানেন অভিষেক। একই মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদহের পরে একই মঞ্চে মমতা ও অভিষেক। অর্থাৎ এটি যে ভোটার প্রস্তুতি তা বলাই বাহুল্য।

এদিনই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা যান নি কাজেই এমন বার্তাও তিনি রাজ্যবাসীকে দিলেন যে , তাঁর প্রধানমন্ত্রীর ডাকা অর্থনৈতিক বৈঠকে কোনও আগ্রহ নেই। যদিও বিজেপির থেকে চরম সমালোচিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদি জুলাইতে পঞ্চায়েত ভোট হয় তবে প্রশ্ন কতটা প্রস্তুত বিরোধীরা। বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন এই ভোটে সন্ত্রাস হতে পারে কিন্তু আসল বিষয়ে এবারে কিন্তু বামেদের ভোট বাড়বেই বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলে। বিজেপির বিগত বিধানসভা ভোটে ৩৬% ভোটার অধিকাংশ যে বামেদের ভোট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বামেরা কিন্তু খুব নীরবে এলাকায় এলাকায় গিয়ে প্রচার সারছে। কাজেই দেখার বিষয় তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ কিন্তু বামেরা হতেই পারে। আপাতত এ বিষয়টা সময়ের সাথে সাথে আরও স্পষ্ট হবে। 

11 months ago


Partha: ধর্ম নিয়ে কর্নাটকে মোদীর ফর্মুলা ব্যর্থ, কলমে বাংলার মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক

যখন লেখায় যাচ্ছি তখন অন্তত কংগ্রেস (Congress) ১৩০ + আসনে (Seat) এগিয়ে কাজেই অসম্ভব কিছু না ঘটলে তারাই যে সরকার (Goverment) গড়তে চলেছে তাতে আর সন্দেহের কিছু নেই। আমরা রাজ্য বা রাজ্যের কাজে ব্যস্ত থাকলেও প্রায় প্রতিদিন মিডিয়ার বা সোশ্যাল নেটের পোর্টালগুলির উপর নজর রাখতাম। বুঝতেই পারছিলাম বিজেপির জমি খারাপ হচ্ছে। হবেই বা না কেন, যে ভঙ্গিতে তারা ২০১৮ র ভোটে জনবার্তা না মেনে প্রায় জবরদস্তি ঘোড়া কেনা বেঁচা করে কর্ণাটক দখল করেছিল তা মোটেই ওই রাজ্যের মানুষ ভালো ভাবে নেয় নি। এই সংস্কৃতিটা বিজেপির আমলে যে ভাবে মাথাচারা উঠেছিল তা মোটেই দেশের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। একেবারে একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতায় না এসেও নানান চাপ দিয়ে সরকার দখল করেছিল বিজেপি তা নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। গোয়া, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং অবশ্যই কর্নাটকে ঘোড়া কেনাবেঁচা করেছিল তার পরিষ্কার জবাব আজ কানাড়ি জনতা দিয়ে দিয়েছে এবং এতটাই ফারাক যে এবারে পুরোনো ফর্মুলা আর চলবে না।

আমি মনেকরি লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বিজেপির কাছে মস্ত ধাক্কা। আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেইছিলেন যে তিনি চান সর্বত্র বিজেপি হারুক। আজ অবশ্য আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে প্রতিবেদনটি লিখছি। শুধু ধর্ম নিয়ে ভোট যেটা যায় না। প্রধানমন্ত্রী সেই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন প্রচারে। এটা বাস্তব কর্নাটকেও উচ্চবর্ণ বা নিম্নবর্ণের রাজনীতি আছে। কিন্তু দেশের সরকারের বোঝা উচিত উন্নয়ন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান নিয়ে দেশের মানুষ চরম সংকটে রয়েছে। করোনাকাল গেলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট যা দেখা গিয়েছিল তার কোনও সমাধান তো কেন্দ্র করতে পরেই নি উপরোন্ত দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। মানুষ খাবে নাকি জাতপাত ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাবে। এর জবাব আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদী আরও বুঝতে পারবেন। কর্নাটকে যে পরিমান দুর্নীতি হয়েছে এবং তা কেন্দ্রীয় সরকার তা আমলই দেন নি, আজকের ভোটের ফলে তার প্রতিচ্ছবি পড়েছে। একটা সিনেমা দিয়ে কি আর ক্ষমতায় আসা যায়? যাই হোক জনতার রায় মাথায় রেখে বিরোধী আসনে মেনে নেওয়াই বাঞ্চনীয়।

                                                                                                                                                  (অনুলিখন : প্রসূন গুপ্ত) 

12 months ago
Partha:তিনি এলেন, কবিতা বললেন, চোর স্লোগান শুনলেন, চলে গেলেন! এই ছিল সোমবারের পার্থ কাহিনী

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গত বছর ২৩শে জুলাই নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর প্রতিবারই ইডির তরফে আদালতে পেশের সময় তার মুখে বিভিন্ন বিষয় শোনা গিয়েছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তিনি এলেন, ২৫ বৈশাখ, রবীন্দ্রজয়ন্তী আগে রবীন্দ্রনাথ আওড়ালেন। অবশ্য এর প্রতিদানে দিনশেষে জুটল 'চোর চোর' স্লোগান।

'মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না। অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা।' সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরার আগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায় রবীন্দ্রনাথের এই দুই লাইন শুনে সবাই অবাক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই দুটি লাইনের মধ্যেই তাঁর গ্রেফতারি এবং তার পরবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহকেই বোঝাতে চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিনের তুলনায় এদিন ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শুধু রবীন্দ্রনাথের কবিতা নয়, এদিন অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার  প্রশংসা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

মঙ্গলবার রাজ্যে পালিত হবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। তারআগে, এদিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগে নিজেই সোনারতরী কাব্যগ্রন্থ থেকে এই দুটি লাইন শোনান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন তা তারিফ যোগ্য। পার্থর দাবি, ১০০ শতাংশ সফল হবে এই কর্মসূচি। 

গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নিজের নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই স্থান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। এদিন রবীন্দ্রনাথের কবিতা বলে জনসমাজে ফের বার্তা দিতে চাইলেন তিনি। যেখান কলঙ্ক সরিয়ে নিজেকে সোনার সঙ্গে তুলনা করলেন।

12 months ago
Partha: 'পার্থর আঙুল ফোলা ছিল, তাই খোলা যায়নি', আংটি-কাণ্ডে কোর্টকে জেল সুপারের জবাবদিহি

জেলে ঢোকার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chattopadhyay) আঙুল ফোলা ছিল। আর সেই কারণেই তাঁর আঙুল থেকে আংটি খোলা সম্ভব হয়নি! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (Minister) আংটিকাণ্ড নিয়ে বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন প্রেসিডেন্সি (Presidency) সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। জেল সুপারের জবাব শুনে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারকের প্রশ্ন, ৯ মাসেও কেন সেই আংটি খোলা গেল না। বিচারক বলেন, ‘৯ মাসে আপনি যেটা করতে পারলেন না আদালতের তরফে ৯ মিনিট ৯ সেকেন্ডে তা করে ফেলা গেল।’

বুধবার জেল হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আংটি পরে থাকা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দেবাশিসকে। আংটি-কাণ্ড নিয়ে জেল সুপারের দেওয়া জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে পার্থের জেলে প্রবেশের সময়ের রেজিস্ট্রার খাতা খতিয়ে দেখেন বিচারক।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে পার্থ গত ৯ মাস ধরে জেলবন্দি। জেলের মধ্যেও আঙুলে আংটি পরে থাকা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ৯ মাস ধরে জেলের মধ্যে হাতে আংটি পরেই থাকতেন তিনি। আদালতে এই নিয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘জেল কোড’ অনুসারে সংশোধনাগারে কোনও অলঙ্কার পরা যায় না। কিন্তু পার্থ সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তবে আদালতের হস্তক্ষেপে সেই আংটি খুলে ফেলেছেন পার্থ।

পার্থের আঙুল ফুলে থাকার কারণে তাঁর আংটি খোলা যায়নি বলে আদালতে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সির জেল সুপার দেবাশিস। পার্থের যুক্তি ছিল অন্য। তিনি আদালতে দাবি করেছিলেন, স্বাস্থ্যের কারণেই ওই আংটি তিনি পরে রয়েছেন। তাঁকে জেলে কেউ আংটি পরতে বারণ করেননি বলেও দাবি করেছিলেন পার্থ।

12 months ago


Arpita:অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার টাকার উৎস কী? পার্থ বললেন, 'খুঁজে বের করুন'

২২ জুলাই, ২০২২ রাজ্য রাজনীতিকে তোলপাড় করে দিয়েছিল একটি ঘটনা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চর্চিত বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। সময় যত গিয়েছে ইডির গুনতিতে, তত বেড়েছে টাকার অঙ্ক। নগদে থাকা সেই টাকা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ বাংলার। সেই ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর, এখনও জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। রাজ্য রাজনীতিতে এই জুটি 'অপা' নামে এখন বেশি পরিচিত। সেই অর্পিতার বাড়িতে উদ্ধার টাকার উৎস কী?

সোমবার সংবাদ মাধ্যম এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিল পার্থর দিকে। তাঁর জবাব, 'আপনারা খুঁজে বের করুন।' এই কয়েকটি শব্দের বাইরে সেভাবে এই প্রশ্নে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া এদিন ফের ৮ মে পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ নিয়োগ-কাণ্ডে জেলবন্দি সাত জনের জেল হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে।

12 months ago
Partha: 'নিয়োগে মন্ত্রীর ভূমিকা নেই', অভিযোগ অস্বীকার পার্থর! কাঠগড়ায় কাকে তুললেন

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ফের নিজের উপর থাকা সব অভিযোগ অস্বীকার করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উলটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘাড়ে ঘুরিয়ে দোষ চাপান তিনি। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, 'নিয়োগে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। মন্ত্রী নিয়োগ কর্তাও নয়। আইন অনুযায়ী প্রতি বোর্ড এক একটি সংস্থা। এতে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। এক বছরে কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। আর নতুন করে কী বলবো?' 

এদিকে, ফের নিয়োগ-কাণ্ডে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে। আগামি ৮ মে পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ সাত জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এদিন পঞ্চায়েত ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া জোড়া কর্মসূচির সাফল্য প্রার্থনা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

অপরদিকে, গত শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের আংটি নিয়ে আদালতে আপত্তি তোলে ইডি। সেই আপত্তির পর এদিন কোনওরকম আংটি-অলঙ্কার ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। যদিও আংটি প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, ওটা ধর্মাচারণের অঙ্গ। কোনও অলঙ্কার নয়।


12 months ago


Kuntal: হেনস্থার অভিযোগের পর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে বিজেপির মুখপাত্রের সঙ্গে তুলনা কুন্তলের

হেনস্থার অভিযোগের পর কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিজেপির মুখপাত্রের সঙ্গে তুলনা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের। বিজেপির মুখপাত্র এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মুখপাত্র এক। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত চত্বরে এমনটাই মন্তব্য করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ। যদিও কোন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মুখপাত্রের কথা তিনি বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করে জানাননি তৃণমূলের বহিষ্কৃত এই যুব নেতা। পাশাপাশি, আঙটিকাণ্ড নিয়ে তিনি যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ না করে সমর্থনই করছেন, তা-ও পরোক্ষে জানিয়ে দিলেন কুন্তল।

বর্তমানে রাজ্যে নিয়োগকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। তার মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে কুন্তল গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। সেই মামলাই চলছে আলিপুর আদালতে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির জন্য কুন্তলকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত চত্বর থেকে তিনি দাবি করেন, ‘একটাই কথা বলতে চাই যে, বিজেপির মুখপাত্র এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখপাত্র এক। আপনারা বুঝে নিন এ বার, যে তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে।’

জেলের মধ্যেও আঙুলে আঙটি পরে থাকা নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পার্থকে। বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, ‘জেল কোড’ অনুসারে সংশোধনাগারে কোনও অলঙ্কার পরা যায় না। কিন্তু পার্থ সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। ইডির আইনজীবীর দাবি ছিল, এ থেকেই বোঝা যায় যে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ কতটা প্রভাবশালী। যদিও পার্থ আদালতে জানান, স্বাস্থ্যের কারণেই ওই আঙটি তিনি পরে আছেন। আঙটিকাণ্ড নিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকেও তলব করে আদালত।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকেরা তাঁকে ঘিরে ধরতেই কুন্তল দু’হাত তুলে বলেন, ‘হাতে আঙটি নেই। ঘামাচি আছে!’ তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠছিল, তা হলে কি পার্থকেই কটাক্ষ করে এমন মন্তব্য করলেন কুন্তল। যদিও তিনি কেন এ কথা বলেছেন, তাঁর কোনও ব্যাখ্যা তখন দেননি কুন্তল।

এর ঘণ্টাখানেক পর আদালত চত্বরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তিনি আংটি প্রসঙ্গ তুলে আনলেন? তিনি কি নাম না করে পার্থকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন? জবাবে কুন্তল বুঝিয়ে দেন, প্রভাবশালী নন বোঝানোর জন্যই কটাক্ষ করে তিনি এই কথা বলেছেন। কুন্তল বলেন, ‘যদি একটা আঙটি পরে থাকার জন্য প্রভাবশালী বলা হয়, তা হলে তা লজ্জার ব্যাপার। তাই তো আমি দেখাচ্ছি, দেখুন আমার হাতে আঙটি নেই, ঘামাচি আছে। আমি কাউকে কিছু ইঙ্গিত করে বলিনি।’

one year ago
Partha: 'প্রভাবশালী পার্থ, হাতে আঙটি পরে জেলে ঘোরেন', কোর্টকে ইডির নালিশ

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এতটাই প্রভাবশালী যে জেল কোড ভেঙে হাতে আঙটি পরে থাকেন। এভাবেই বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিন মামলায় আদালতে সওয়াল করে ইডি। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, শারীরিক কারণেই তিনি সেই আঙটি পরে থাকেন। এদিন ইডির সওয়ালের পর বিচারক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাত তুলতে বলেন। সেই মোতাবেক বিচারককে হাত তুলে দেখান পার্থবাবু। যদিও পরে সেই আঙটি খুলেও রাখেন তৃণমূল বিধায়ক।

এদিকে, এই আঙটি-কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁকে এই বিষয়ে লিখিত জবাব দিতেও বলেছেন বিচারক। পাশাপাশি এদিন পার্থ এবং অর্পিতার জামিন আবেদন খারিজ করে ১৯ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে আদালত। বুধবার ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করানো হয়েছিল রাজ্য রাজনীতির চর্চিত চরিত্র অপাকে।

তবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর হাতে আঙটি-কাণ্ডে জেল সুপারের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন পুলিস কর্তাদের একাংশ। কোন বন্দি কী সঙ্গে করে নিয়ে জেলে ঢুকবেন তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব জেল সুপারের। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাতে আঙটি পরে জেলে ঘুরলে কিছুটা দায় বর্তাবে জেল সুপারের, এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, জেলে কোনও অলঙ্কার পরে থাকা বা ঘোরা জেল কোডের পরিপন্থী।

one year ago
Behala:পার্থের বেহালায় জাস্টিস গাঙ্গুলির প্রশংসায় নাগরিকরা, লাগলো হোর্ডিংও

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly) সমর্থনে বেহালা ১৪ নম্বরে  বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হল। বেহালা নাগরিকবৃন্দের তরফে এই হোর্ডিং পড়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Education Scam) সারা রাজ্য তোলপাড়। ইতিমধ্যে তিন জন তৃণমূল বিধায়ক এই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। ঘটনাচক্রে বেহালা পশ্চিম আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিধানসভা। যদিও গত বছর ২৩ জুলাই থেকে তৃণমূল বিধায়ককে এলাকায় দেখেননি ভোটাররা। কারণ গ্রেফতার হয়ে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।

এদিকে, প্রায় গোটা শিক্ষা দফতর জেলে। সেই সময় দাঁড়িয়ে বেহালা ১৪ নম্বরে হঠাৎই দেখা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সমর্থনে পোস্টার। বেহালা ১৪ নম্বরের পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকে দুটি বড় হোর্ডিং বসেছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে। যারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যই আজকের নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত চোররা ধরা পড়ছে। সারা বেহালাবাসী বিচারপতির সঙ্গে রয়েছে, এমনটাই বেহালা নাগরিকবৃন্দের বক্তব্য।

এই প্রচার কর্মসূচির নেপথ্যে থাকা এক উদ্যোক্তা জানান, 'শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উনি লড়াই লড়ছেন, একের পর এক নেতা-মন্ত্রীদের ধরছেন আর জেলে পুড়ছেন জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উনি এখন বাংলার গর্ব, বাংলার মানুষের কাছে ভগবান হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আগামি প্রজন্ম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্ব করবে।'

one year ago


Tmc: দল আবার জাতীয় তকমা ফিরে পাবে, আদালত থেকে বেরিয়ে পার্থ

আদালতে ঢোকার মুখে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও, আদালত (Court) থেকে বেরোবার সময় পার্থর (Partha Chattopadhyay) মুখে পুরোনো সুর (Tmc)। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরোবার সময় পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, 'দল আবার জাতীয় তকমা ফিরে পাবে।' বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সে প্রশ্ন জড়িয়ে যান তিনি। কিন্তু আদালত থেকে বেরিয়ে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, যে তাঁর দল আবার তকমা ফিরে পাবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া ১৪ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করে ইডি।

আদালতে ঢোকার সময়ে তিনি বেহালাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান, শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আদালতে ঢোকেন। বৃহস্পতিবার কুন্তলের চিঠি থেকে শুরু করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআই নিষ্ক্রিয় কিনা, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়। তবে যে প্রশ্নটি বার বার আছড়ে পড়তে থাকে, তা হল তাঁর দল তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানোর প্রসঙ্গ। যার জবাবে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি পার্থ। সম্প্রতি বেহালাবাসী বাম সমর্থকেরা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে পথে নামেন। বৃহস্পতিবার বেহলাবাসীদের জন্য মঙ্গল কামনাও করেন পার্থ। সম্প্রতি আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি জোর গলায় বলেছিলেন, দলের কিছু হবে না। দল সুরক্ষিত থাকবে। বৃহস্পতিবার তাঁর গলায় সেই একই সুর শোনা গেল। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, 'দল আবার জাতীয় তকমা ফিরে পাবে।'

one year ago
Partha: আদালতে এসে বেহলাবাসীদের বার্তা, দলের তকমা হারানো নিয়ে নিশ্চুপ পার্থ

মামলার শুনানিতে (Hearing) এসে আদালতের বাইরে থেকে বেহালাবাসীদের (Behala) শুভেচ্ছা জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chattopadhyay)। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ-সহ ১৪ জনের শুনানি রয়েছে নগর দায়রা আদালতে। এসএসসি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ আদালতে আসেন তিনি। আদালতে এলে তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তাঁকে তৃণমূল দলীয়, কুন্তল সম্বন্ধিত প্রশ্ন করা হয়। সেসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে বেহালাবাসীকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার কুন্তলের চিঠি থেকে শুরু করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআই নিষ্ক্রিয় কিনা, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়। তবে যে প্রশ্নটি বার বার আছড়ে পড়তে থাকে, তা হল তাঁর দল তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানোর প্রসঙ্গ। যার জবাবে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি পার্থ। সম্প্রতি বেহালাবাসী বাম সমর্থকেরা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে পথে নামেন। বৃহস্পতিবার বেহলাবাসীদের জন্য মঙ্গল কামনাও করেন পার্থ।

one year ago