১৪ বছর পর রেড কার্পেটে জয় হিন্দ ধ্বনি। ভারতের ঝুলিতে জোড়া অস্কার (Oscar2023)। সেরা গানে অস্কার জয় নাটু-নাটুর (Natu Natu Song) আর ছোট তথ্যচিত্র বিভাগে অস্কার জয় 'দা এলিফ্যান্ট হুইস্পার্সের'। এদিকে অস্কার মঞ্চে ভারতের এই বিশ্বজয়কে কুর্নিশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অস্কারজয়ীদের টুইট করে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘নাটু নাটু’র জয় প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, 'ব্যতিক্রমী। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা নাটু নাটুর। এটা এমন একটা গান, যেটা আগামী বহু বছর ধরে শ্রোতার মনে থেকে যাবে। এমএম কীরাবনী এবং চন্দ্র বোস-সহ পুরো টিমকে এই জয়ের জন্য শুভেচ্ছা। ভারত আপ্লুত এবং গর্বিত।'
Exceptional!
— Narendra Modi (@narendramodi) March 13, 2023
The popularity of ‘Naatu Naatu’ is global. It will be a song that will be remembered for years to come. Congratulations to @mmkeeravaani, @boselyricist and the entire team for this prestigious honour.
India is elated and proud. #Oscars https://t.co/cANG5wHROt
অপরদিকে গুনীত মোঙ্গা প্রযোজিত ‘দা এলিফ্যান্ট হুইস্পার্স’ ছোট তথ্যচিত্রে অস্কার জিতেছে। দক্ষিণ ভারতের এক আদিবাসী দম্পতি বোমান এবং বেলির কাছে রঘু নামে এক হাতি শাবকের বেড়ে ওঠার কাহিনী তুলে ধরেছে এই তথ্যচিত্র। এই তথ্যচিত্রকে কুর্নিস জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'এই সম্মানের জন্য কার্তিকী এবং গুনীত-সহ পুরো টিমকে শুভেচ্ছা। আপনাদের কাজের মধ্যে দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে থাকা এবং তার উন্নতির গুরুত্বের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।'
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী (PM Modi)। এদিনও আদানি-কাণ্ডে (Adani Row) সরব হওয়া বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করতে পাল্টা আক্রমণের পথ নিয়েছিলেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'বিরোধীদের হাতে কাদা রয়েছে বলেই ছুড়ছেন। যত কাদা ছুড়বেন, ততই পদ্ম ফুটবে।' লোকসভার ভঙ্গিতেই রাজ্যসভায় এদিন সরব ছিলেন মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, 'নেহরুকে নিয়ে অবহেলা হলে কয়েকজন অভিযোগ করেন। গান্ধী-নেহরু পরিবারের কেউ নেহরু পদবি ব্যবহার করেন না কেন? রাজ্যের সরকার ফেলতে ৫০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।'
বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষে বিরোধীদের হল্লাকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, 'আপনারা এখানে চেঁচামেচি করছেন। মানুষ আপনাদের কথা শুনছে না। আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। কংগ্রেসকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওদের দুর্দশা বুঝতে পারছি। ভারতে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি। উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস।'
ঝাড়খন্ডের ধানবাদের (Dhanbad) ব্যাঙ্ক মোড় এলাকায় একটি অভিজাত বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুনে মৃত্যু (Death) হয়েছে ১৪ জনের। যাদের মধ্যে ৩ শিশু রয়েছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে আরও অন্তত ১৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতদের দেহ ধানবাদ মেডিক্যাল কলেজে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে দেহগুলির ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ধানবাদের ওই অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, " অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। কীভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। আমি নিজে উদ্ধারকার্যের উপর নজর রাখছি।’’
এসএসপি ধানবাদ সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ওই অ্যাপার্টমেন্টে বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন জড়ো হয়েছিল। কীভাবে আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে নেটমাধ্যমের ব্যবহারের প্রথম সারিতে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বৈদ্যুতিক গ্যাজেটের প্রতি তাঁর খুবই আকর্ষন রয়েছে। কিন্তু বৈদ্যুতিক যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করছে। দিল্লিতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের নিয়ে 'পরীক্ষা পে চর্চা' (Pariskha Pe Charcha) অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী, সব বাড়িতে একটা করে টেকনোলজি ফ্রি জোন রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, যে সকল জায়গাগুলি প্রযুক্তি বর্জিত সেখানে মোবাইল, কম্পিউটার-সহ সব ধরনের যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলেন। সারা দিনে কয়েক ঘন্টা প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার অভ্যাস করার পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের কথা বলেন। তিনি বলেন "আমার হাতে কখনও মোবাইল দেখেছেন? কিন্তু সামাজিক মাধ্যমগুলিতে আমি খুব সক্রিয়। কিন্তু তার জন্য আমি নির্দিষ্ট সময়সূচি রেখেছি।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দশম ও দ্বাদশ পরীক্ষার্থীদের ভরসা দেওয়ার জন্য এই ধরনের ভার্চুয়াল সভা আগেও করেন। 'পরীক্ষা পে চর্চা' এই কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য সারা ভারত থেকে মোট ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করেন। এনসিআরটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২০ লক্ষের উপর প্রশ্ন জমা পড়েছিল। সেখান থেকে বাছাই করা প্রশ্নগুলির উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
রেড রোডে সরকারি উদ্যোগে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন (Netaji Birthday)। এই অনুষ্ঠানে সপার্ষদ উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। বেলা ১২.১৫টা নাগাদ শঙ্খধ্বনি এবং সাইরেন বাজিয়ে নেতাজিকে স্মরণ করে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। সমবেত সঙ্গীত এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এগিয়ে চলে অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে শাঁখ বাজাতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মূল মঞ্চে ছিলেন বসু (Netaji Family) পরিবারের তিন সদস্য সুগত বসু, সুমন্ত বসু এবং চন্দ্র বসু।
এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ঘুরিয়ে নরেন্দ্র মোদীর আন্দামান-নিকোবরের অনুষ্ঠানকে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আজকে কেউ নাম করতে বলতেই পারে, আমরা করলাম শহিদ দ্বীপ, স্বরাজ দ্বীপ। সেটা একদম না, এটা সুভাষচন্দ্র বসু যখন আন্দামানের সেলুলার জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, সে সময় করে এসেছিলেন।'
পাশাপাশি প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা পরোক্ষে করেন মুখ্যমন্ত্রী। খোঁচার সুরে মমতার প্রশ্ন, 'দেশের পরিকল্পনা কী হবে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তৈরি করেছিলেন প্ল্যানিং কমিশন। এখন প্ল্যানিংয়ের চেয়ে, নন- প্ল্যানিং বেশি হচ্ছে। উঠেই গিয়েছে প্ল্যানিং কমিশন। কেন জানেন, আমাকে কেউ বলতে পারবেন?'
নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে (Netaji Birthday) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১টি অনামী দ্বীপের নামকরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী পরমবীর চক্র প্রাপকদের নামে সোমবার ওই ২১টি দ্বীপের নামকরণ করেন। পাশাপাশি নেতাজিকে উৎসর্গ করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, আন্দামানের (Andaman Island) সবেচেয়ে বড় অনামী দ্বীপের নাম প্রথম পরমবীর চক্র প্রাপক মেজর সোমনাথ শর্মার নামে রাখা হয়েছে।
Naming of 21 islands of Andaman & Nicobar Islands after Param Vir Chakra awardees fills heart of every Indian with pride. https://t.co/tKPawExxMT
— Narendra Modi (@narendramodi) January 23, 2023
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পরমবীর চক্র প্রাপকদের নামে এই ২১টি দ্বীপের পরিচিতি বাড়বে। আগামী প্রজন্মের কাছে প্রেরণা জোগাবে নেতাজি সৌধ। আন্দামানের মাটিতেই প্রথম বার তেরঙা উড়েছিল।' ইতিমধ্যে ২৩ জানুয়ারিকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে পালনের কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।
এমনকি এই বীর ভারতীয়কে শ্রদ্ধা জানাতে নেতাজির নামাঙ্কিত করা হয়েছে রস আইল্যান্ডকে। এবার রস আইল্যান্ডে নেতাজিকে উৎসর্গ করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের মডেল উন্মোচিত হয়েছে। পাশাপাশি নীল আইল্যান্ড ও হেভলক দ্বীপের নাম রাখা হয়েছে শহিদ দ্বীপ ও স্বরাজ দ্বীপ।
প্রসূন গুপ্ত: এই বছর ৯টি রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। কাজেই কোমর বেঁধে নামার উপর জোর দিচ্ছে বিজেপি হাইকমান্ড। চলতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার দিল্লিতে আয়োজন হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে দলের শীর্ষ নেতারা তো আছেনই, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আছেন এই বৈঠকে। সমাপ্তি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বিজেপি জানে, ২০২৩-এ ৯টি রাজ্যের নির্বাচন, লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল। যদি জম্মু-কাশ্মীরের ভোট হয়, তবে এ বছর গুরুত্বপূর্ণ ১০টি রাজ্যের ভোট। এই রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট রাজ্যগুলি যেমন আছে তেমন রাজস্থান, কর্নাটক,মধ্যপ্রদেশ,ছত্রিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিও আছে। যেখানে পদ্ম শিবিরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসও। তাই বিজেপির নজরে কোনও ভাবে প্রতি রাজ্যে ক্ষমতায় আসা।
বিশেষ করে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। ঠিক যেভাবে ইউপিএ ১ এবং ইউপিএ ২ সরকার চলেছে। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে টানা ১৫ বছর কংগ্রেস তথা পণ্ডিত নেহেরু ক্ষমতায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীও চান ওই রেকর্ড ছুঁতে। ৭০ পেরোলেই বিদায়, এই শব্দটি যতই আগের ভোট পর্বে প্রয়োগ হোক না কেন, এবার লোকসভা ভোটে বিজেপির মুখ ওই নরেন্দ্র মোদীই।
সম্প্রতি গুজরাতে বিশাল জয় পেয়েছে বিজেপি, কিন্তু হারাতে হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে কর্মসমিতির বৈঠকে। কেন পরাজয় প্রশ্ন না তুলে বরং নাড্ডা জোর দিয়েছেন আসন্ন রাজ্যগুলির ভোটের দিকেই। এই দলীয় কর্মসূচিতে মূলত বক্তব্য রাখছেন কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অথবা প্রদেশ সভাপতি। স্বাভাবিক ভাবেই সোমবার বক্তব্য রাখতে ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি কিছু বলার আগেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রশংসা করেন। জানান যে, ২০২১ নির্বাচনের পর যেভাবে বিজেপি বাংলায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা সত্যি প্রশংসার। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপি আপাতত বাংলার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না। তাদের টার্গেট, গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত সাংসদের থেকে আগামি ভোটে সাংসদসংখ্যা বাড়ানো।
যদিও তারা বুঝতে পেরেছে রাজ্য বিজেপির এই মুহূর্তে কোথায় গলদ। কিন্তু তবুও তারা চায় রাজ্যের সমস্যা সমাধানের পথ রাজ্য নেতারাই খুঁজুক।
পঞ্জাবের পর এবার কর্নাটক (Karnataka), ফের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের বড়সড় অভিযোগ। হাতে মালা নিয়ে হুব্বালিতে রোড শো চলাকালীন নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়লেন এক যুবক। যদিও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা (SPG) তাঁকে সময়ে সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা ভিভিআইপি নিরাপত্তা ভেঙে কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) কাছ পর্যন্ত চলে এলেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় যুব উৎসব উপলক্ষে হুব্বালি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
#WATCH | Karnataka: A young man breaches security cover of PM Modi to give him a garland, pulled away by security personnel, during his roadshow in Hubballi.
— ANI (@ANI) January 12, 2023
(Source: DD) pic.twitter.com/NRK22vn23S
বৃহস্পতিবার হুব্বালিতে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই রোড শো করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গাড়ির ফুটবোর্ডে দাঁড়িয়ে রাস্তার দু'পাশে থাকা জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন মোদী। সেই সময় দেখা গিয়েছে এক যুবক মালা হাতে তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসেন। যুবক হাতে থাকা মালা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁকে সরিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ওই যুবকের থেকে শেষ মুহূর্তে মালাটি নেন এবং গাড়ির বনেটে রাখেন।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি। তার বাইরের অংশে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিশ। সেই দ্বি বা ত্রিস্তরীয় বলয় ভেঙে কী ভাবে যুবক ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরআরআর-এর গোটা টিমকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (PM Narendra Modi)। ট্যুইটারের মাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'আরআরআর-এর (RRR Movie) টিমকে শুভেচ্ছা, এই পুরস্কার পেয়ে আমরা গর্বিত'। এদিকে, ভারতীয় ছবির মুকুটে নয়া পালক। ক্যালিফোর্নিয়ায় আয়োজিত ২০২৩ গোল্ডেন গ্লোবস অ্যাওয়ার্ডে এসএস রাজমৌলি পরিচালিত আরআরআর ছবির 'নাটু নাটু' (Natu Natu Song) গান, সেরা গান বিভাগে পুরস্কৃত। কলা ভাইরাভি-রাহুল শিল্পিগঞ্জের লেখা ও এমএম কেরাভনির পরিচালনায় তৈরি 'নাটু-নাটু' গান।
A very special accomplishment! Compliments to @mmkeeravaani, Prem Rakshith, Kaala Bhairava, Chandrabose, @Rahulsipligunj. I also congratulate @ssrajamouli, @tarak9999, @AlwaysRamCharan and the entire team of @RRRMovie. This prestigious honour has made every Indian very proud. https://t.co/zYRLCCeGdE
— Narendra Modi (@narendramodi) January 11, 2023
এদিন অ্যাওয়ার্ড শো-তে উপস্থিত ছিলেন ছবির প্রত্যেক সদস্য ও পরিচালক এসএস রাজমৌলি সহ 'নাটু-নাটু' গানের মুখ্য চরিত্র জুনিয়ার এনটিআর ও রাম চরণ। পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠে এমএম কেরাভানি ছবির পরিচালক এসএস রাজমৌলি-সহ কলা ভাইরাভি জুনিয়ার এনটিআর ও রাম চরণকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, এই বিভাগে মনোনীত তালিকায় ছিল টেলর সুইফ্টের ‘ক্যারোলিনা’, লেডি গাগার ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ ছবির ‘হোল্ড মাই হ্যান্ড’, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরএভার’ ছবির ‘লিফ্ট মি আপ’ গান, যদিও এই সকল গানগুলিকে হারিয়ে প্রথম স্থানে নাম উঠে এসেছে 'নাটু-নাটু' গানটি।
২০২২-কে পিছনে ফেলে ২০২৩-কে (New Year 2023) সাদরে বরণ করেছে ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। এবার বছরের প্রথম দিনে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি (President Murmu Tweet) দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)-সহ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাষ্ট্রপতি ট্যুইট বার্তায় লেখেন, 'প্রত্যেককে শুভ নববর্ষ। দেশবাসী এবং প্রবাসী ভারতীয়দের নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা। এই নতুন বছর প্রত্যেকের জীবনে নতুন অনুপ্রেরণা, লক্ষ্য এবং সাফল্য নিয়ে আসুক। দেশের উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করি।'
Happy New Year to all! Greetings and best wishes to all fellow citizens and Indians living abroad. May the Year 2023 bring new inspirations, goals and achievements in our lives. Let us resolve to rededicate ourselves to the unity, integrity and inclusive development of the nation
— President of India (@rashtrapatibhvn) January 1, 2023
প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'নতুন ২০২৩ ভালো কাটুক। গোটা বছর আশা, সুখ এবং সাফল্যের মধ্যে দিয়ে যাক। প্রত্যকের সুস্বাস্থ্য কামনা করি।' পিছিয়ে নেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। নিজের ট্যুইটার প্রোফাইলে ভারত জোড়ো যাত্রার একটি ভিডিও পোস্ট করে রাহুল গান্ধী হিন্দিতে লেখেন, 'আশা করছি ২০২৩-এ ভারতের সব শহর, গলি এবং গ্রামে খুলবে ভালবাসার দোকান। প্রত্যেককে নববর্ষের শুভেচ্ছা।'
Have a great 2023! May it be filled with hope, happiness and lots of success. May everyone be blessed with wonderful health.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 1, 2023
মঞ্চ বাঁধা ছিল, ছিল চূড়ান্ত ব্যবস্থাপনা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) মাতৃবিয়োগে ভার্চুয়ালি গড়াল হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) চাকা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার কিছু পর আহমেদাবাদ থেকে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। হাওড়ার মূল মঞ্চে তখন উপস্থিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Rail Minister), শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার প্রমুখরা। মূল মঞ্চের পাশে বাঁধা মঞ্চে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (CM Mamata)। ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নাড়াতেই ধীরে ধীরে হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর স্টেশন ছাড়তে শুরু করে বন্দে ভারত। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেন অনুস্থান্সথলে উপস্থিত রেলকর্তারাও।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢুকতেই মুখ্যমন্ত্রীকয়ে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলেন উপস্থিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনায় স্পষ্টতই বিব্রত দেখায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন রেলমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তাঁরা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে স্লোগান থামাতে বলেন। কিন্তু তাতেও কাটে না বিড়ম্বনা। উলটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ বয়কট করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপাল এবং রেল মন্ত্রী এগিয়ে এসে তাঁকে অনুরোধ করলেও বরফ গলে না। মূল মঞ্চের পাশে বাঁধা মঞ্চে বসেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মমতা। এই অনুষ্ঠান শুক্রবার পৌরহিত্য করেন রেলমন্ত্রী। বন্দে ভারতের সূচনার আগে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, 'আজ আপনার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে অত্যন্ত দুঃখ এবং অপূরণীয় ক্ষতির দিন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আপনাকে কাজ এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে মায়ের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের শক্তি দেন।'
মমতা জানান, 'আপনি ঐকান্তিক ভাবে চেয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে আসতে। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু মায়ের শেষকৃত্যের সমাপ্তির পরেই আপনাকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে হয়েছে। আমি এখন আপনাকে বিশ্রাম নিতে বলব।' পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী বাংলার যে কটি রেল প্রকল্পের সূচনা করেন, তার মধ্যে চারটি প্রকল্প রেলমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত করেছিলেন। এদিন ভাষণে সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অপরদিকে, বন্দে ভারত উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জোকা-বিবাদী মেট্রো তৈরিতে ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে আদি গঙ্গা সংস্কারের কাজ চলছে। নদী পরিষ্কার রাখতে আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় রেলের পরিকাঠামোকে আধুনিক করতে রেকর্ড বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ভারতীয় রেলকে বিমান পরিষেবার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনও সে ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের উন্নতির জন্য রেল পরিষেবার উন্নয়ন জরুরি। এই লক্ষ্যে ৪৭৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বড় ভূমিকা হবে।'
হাওড়া স্টেশনে (Howrah) বহু প্রতীক্ষিত বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্মসূচি উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গ সফরে আসছেন তিনি। হাওড়া স্টেশনের ২২ কিংবা ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মূল অনুষ্ঠান। কিন্তু অনুষ্ঠানের একদিন আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে হাওড়া স্টেশন। স্টেশনের ভিতরের নিরাপত্তার দায়িত্বে এসপিজি আধিকারিকরা আর বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে আরপিএফ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্টেশনের ২১,২২ এবং ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম যাত্রীদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) স্টেশন ছাড়ছেন, এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
জানা গিয়েছে, বিশেষ পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেল আধিকারিক হলেও সেই আই কার্ড ছাড়া প্রবেশ নয়। পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনের যাত্রী নিবাস, এসপিজির দখলে। সাধারণ যাত্রী কোনভাবেই প্রবেশ করতে পারবেন না ২১,২২ এবং ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। একপ্রস্থ মক ড্রিল সেরে রেখেছে এসপিজি। প্রবেশাধিকার নেই সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও।
স্টেশন চত্বরে থাকা এবং প্ল্যাটফর্মে ঢোকা প্রতি গাড়িতে চলছে চেকিং, বসছে এক্স-রে ব্যাগ স্ক্যানার। দমকলের একটি গাড়ি আপাত ভিত্তিতে রাখা হয়েছে ভিতরে। দমকলের আরও একটি গাড়ি থাকবে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঠেকাতে। চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হবে জানা গিয়েছে আরপিএফ সূত্রে। রেলের ডিআরএম-র পাশাপাশি আরপিএফ সমন্বয় রেখে কাজ করছে। এমনটাই সূত্রের খবর। এদিকে, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তিনটি স্টেশনে থামবে। এমনটাই রেল সূত্রে খবর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী (PM Modi Mother) দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর (Gujrat CMO) কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে এ কথা। এমনকি দু-এক দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে হীরাবেনকে (Hiraben)। বৃহস্পতিবার গুজরাত সরকারের একটি বিবৃতি এমনটাই জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হীরাবেন মোদীর স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।” বুধবার তাঁকে আহমেদাবাদের ইউ এন মেহেতা হাসপাতালে দেখতে যান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবারই তাঁর মা হীরাবেনের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি থেকে উড়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে গিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে মায়ের কাছে ছিলেন। হীরাবেন মোদী প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই পঙ্কজ মোদীর সঙ্গে গান্ধীনগরের কাছে রায়সান গ্রামে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রায়সানে যান। শেষবার প্রধানমন্ত্রী মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন গুজরাটের ভোটের সময়।
ভোট দিতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এমনিতে কোনও কর্মসূচিতে গুজরাটে গেলে নিজের ব্যস্ত সূচির মধ্যে সময় বের করে মায়ের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর মা এবছরই ১০০ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বয়সজনিত অসুস্থতার কারণেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
অসুস্থ হয়ে আহমেদাবাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী (PM Modi Mother)। চলতি বছরেই শতায়ু হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের শারীরিক অবস্থার (Hiraben Health Update) অবনতি হতেই তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। এই খবর জানাজানি হতেই বুধবার সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে গুজরাত বিজেপি নেতারা ভিড় জমান। বয়সজনিত অসুস্থতার কারণেই তাঁকে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে। এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
আমদাবাদের ইউএন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়োলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের তরফে বুধবার একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। নিজের জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে সময় কাটানো দস্তুর প্রধানমন্ত্রী। সরকারি কর্মসূচির স্বার্থে গুজরাত গেলেই সময় পেলে মায়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন ছেলে। গত জুন মাসে মায়ের ১০০ তম জন্মদিনেও দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, মঙ্গলবার কর্নাটকের মাইসুরুতে সপরিবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েন প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদী। তাঁর গাড়ি ডিভাইডারের গিয়ে ধাক্কা মারে। সেই গাড়িতে প্রহ্লাদ ছাড়াও ছিলেন তাঁর স্ত্রী, পুত্র,পুত্রবধূ এবং নাতি।এই ঘটনার একদিন পরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রীর মা-ও।
চিনে ওমিক্রনের (Omicron Variant) উপপ্রজাতির হানায় বিপাকে জিংপিং সরকার (Xingping Government)। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কের করোনা আবার ফিরছে! করোনার নতুন উপরূপ ‘BF.7’-র দাপাদাপিতে তৎপর কেন্দ্র (Modi Government)। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী কয়েকটা দিন উৎসবের মরশুম দেশজুড়ে। কিন্তু নতুন প্রজাতি যে ভাবে চোখ রাঙাচ্ছে চিনে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতেও আবার মাস্ক পরার মতো কোভিডবিধি বাধ্যতামূলক হবে কি? চিন-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে দাপট দেখাচ্ছে সংক্রমণ।
এদিকে, করোনায় পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে রাজ্যগুলিকে বার্তাও মোদী দিয়েছেন। পাশাপাশি উৎসবের মরসুমে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক এবং নিয়মিত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে দিয়েছে কেন্দ্র।