চলছে গুজরাত বিধানসভার (Gujrat Assembly Election) ৯৩টি আসনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। সোমবার আহমেদাবাদের রানিপে গিয়ে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। পাশাপাশি ভোট দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (CM Bhupendra Patel)। ৮ তারিখ গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা। মোদী-শাহের রাজ্যে এ বছর ত্রিমুখী লড়াই। বিজেপি, কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে আম আদমি পার্টি।
এদিন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রানিপের নিশান পাবলিক স্কুলে পৌঁছন মোদী। এদিন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে অভিবাদন জানান নরেন্দ্র মোদী। নমস্কার করে শুভেচ্ছাও জানান তিনি। রাস্তা থেকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র পর্যন্ত পথ পাল্টা 'মোদী মোদী' স্লোগানে মুখরিত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'যে ভাবে নির্বাচন হচ্ছে, তা একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এত সুন্দর এবং স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমি নির্বাচন কমিশনকেও আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।' এদিকে, সোমবার সাড়ে ১০টার কিছুক্ষণ পরে আমদাবাদের নারানপুরায় এসে ভোট দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ছিলেন ছেলে জয় শাহ-সহ তাঁর পরিবার।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মধ্য এবং উত্তর গুজরাতের ১৪টি জেলা জুড়ে এই ৯৩টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল -সহ মোট ৮৩৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য বাক্সবন্দি হচ্ছে।
ফের ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা (Road Accident)। বাস ও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু (Death) হয়েছে ১১ জনের। এখনও অবধি জানা গিয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ১ জন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বেতুল জেলার ঝালর থানার কাছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোররাতে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটো দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়, ১ জন আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ঝালর থানার পুলিস। স্থানীয়রা ও পুলিস এসে আহতকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
পুলিস জানিয়েছে, যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটল তা এখনও জানা যায়নি। সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দুটি গাড়িই খুব দ্রুত গতিতে চলছিল। সেকারণে দুর্ঘটনা হতে পারে। আবার কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যায়। এরফলেও দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে মনে করছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে।
মোরবি সেতু-কাণ্ডে (Morbi Incident) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকারী দল এনডিআরএফ এবং সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। পরে হাসপাতালে গিয়ে সেতু দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার পর দু'দিন কাটলেও এখনও অনেকে নিখোঁজ। তাই মৃতের সংখ্যা ১৩৫ ছুঁলেও সেটা বাড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। এদিকে, শুধু দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন নয়, গান্ধীনগর রাজভবনে পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার বৈঠক করেন মোদী।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সিংভি-সহ মুখ্য সচিব এবং গুজরাত পুলিসের ডিজি। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে বুধবার রাজ্যজুড়ে শোক দিবস পালন করবে গুজরাত সরকার।
এদিকে, এই ঘটনায় শোকবার্তা পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। বিবৃতি দিয়েছেন ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনা বিদেশ মন্ত্রক। ভারত সরকারের বেদনার সঙ্গে সহমর্মী নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ইজরায়েলের মতো দেশগুলোও।
প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) দীপাবলি (Diwali) উদযাপন করেন সেনাদের সঙ্গে। পৌঁছে যান সীমান্তে থাকা প্রহরীদের কাছে। এবারও তার অন্যথা হল না। এবারে আলোর উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিলে (kargil) কর্তব্যরত সৈন্যদের (Army) সঙ্গে। পাশাপাশি সোমবার দেশবাসীকে দীপাবলির শুভকামনা জানান প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা। দীপাবলি উজ্জ্বলতা এবং আলোকের সঙ্গে জড়িত। এই শুভ উৎসব আমাদের জীবনে আনন্দ ও মঙ্গল চেতনাকে আরও বাড়িয়ে তুলুক। আমি আশা করি, আপনি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দরভাবে দীপাবলি উদযাপন করবেন।'
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত আট বছর ধরে সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করছেন। ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ কাজ করেন। সে বছর সিয়াচেনে প্রথম দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনের ঐতিহ্য বজায় রেখে এবার কার্গিলকে বেছে নিলেন তিনি।
তার ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১১ নভেম্বর ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদী পঞ্জাবে সৈন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেছেন। এখানে তিনি ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনেও আসেন। ৩০ অক্টোবর ২০১৬ সালে মোদী হিমাচলের কিন্নর পৌঁছেছিলেন। এখানে তিনি ভারত-চীন সীমান্তের কাছে সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। ১৮ অক্টোবর ২০১৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের গুরেজে, ৭ নভেম্বর ২০১৮ উত্তরাখণ্ডের হরশিলে ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে, ২৭ অক্টোবর ২০১৯-এ এলওসি বরাবর সৈন্যদের সঙ্গে, এবং ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে জয়সলমেরের লংয়েওয়ালা পোস্ট আর ৪ নভেম্বর ২০২১ সালে রাজৌরির নওশেরা সেক্টরে সৈন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর দীপাববলির আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২১ অক্টোবর বাবা কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ দর্শন করতে এসেছিলেন। এর পরে, তিনি ২৩ অক্টোবর অযোধ্যার ষষ্ঠ দীপোৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। এর সঙ্গে অযোধ্যায় পৌঁছে রামলালা বিরাজমানকেও দেখতে যান।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে দু'বছর পর এবার দীপাবলীর (Diwali) আলোয় সেজে উঠছে অযোধ্যা (Ayodhya)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) আগমনের জন্য রাম নগরী অযোধ্যায় প্রস্তুতি পুরোদমে। ষষ্ঠ দীপোৎসবে, রাম নগরী অযোধ্যা তার নিজের রেকর্ড ভাঙবে এবং একসঙ্গে প্রায় ১৬ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে একটি নতুন রেকর্ড গড়বে।
জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ দীপোৎসব উপলক্ষে অযোধ্যায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। নিরাপত্তার জন্যও ব্যাপক ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে এসপিজি দল অযোধ্যায় পৌঁছেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল বিশেষ পরিদর্শন চলছে। উল্লেখ্য, ২৩ তারিখ, অর্থাৎ রবিবার ষষ্ঠী দীপোৎসব পালিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায়, ডঃ রামমনোহর লোহিয়া অবধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০০ এরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাম কি পায়দির সমস্ত ঘাটে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর কাজ শুরু করেছেন। প্রায় ১৫টি তোরণ গেট নির্মাণ করা হয়েছে। যার নাম রামায়ণ যুগের সঙ্গে সম্পর্কিত। জটায়ু দ্বার, লক্ষ্মণ দ্বার, হনুমান দ্বার, সীতা দ্বার প্রভৃতি নাম অন্তর্ভুক্ত।
সাকেত কলেজের মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য তৈরি করা হচ্ছে হেলিপ্যাড, যা পরিদর্শনও করেছে এসপিজি-র দল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার গঠনের পর এটি ষষ্ঠ দীপোৎসব। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনরা অংশ নেবেন। ছোট দীপোৎসবে সব মিলিয়ে ১৬ লক্ষ দিয়ার আলোয় আলোকিত হবে অযোধ্যা।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় আরও তিন মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদী সরকার। এই সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি আর কয়েকদিনের মধ্যে জারি হওয়ার সম্ভাবনা। এমনটাই কেন্দ্রের এক সূত্রের খবর। করোনা অতিমারীর সময় থেকে বিনামূল্যে পরিবারপিছু ৫ কেজি খাদ্যশস্য প্রদানের ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই প্রকল্পখাতে গত দু'বছরে ৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও তিন মাস এই রেশন প্রদানের মেয়াদবৃদ্ধি হলে ৪৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত সরকারি কোষাগার থেকে বেরোবে। এমনটাই অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
মূলত, আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের সুরাহা দিতে করোনা কালে এই প্রকল্প মোদী সরকারের মাস্টার স্ট্রোক ছিল। লকডাউন এবং করোনার ফলে কাজ হারানো বহু পরিবার এই রেশনে দু'বেলা ভরপেট খেতে পেয়েছে। তাই উৎসবের মরশুমে আরও একবার এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনা। এমনটাই মোদী সরকার সূত্রে খবর।
এদিকে অর্থ মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। সে কথা সম্প্রতি আমেরিকাকে বলেছেণ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই পরিস্থিতিতে ভর্তুকি আছে এমন প্রকল্প চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তবে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে এই প্রকল্পের আওতায় ৮০ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছে।
সোমবার বিধানসভায় (Assembly) পাশ হয়েছে সিবিআই-ইডির (CBI ED) 'অতিসক্রিয়তায়' অভিযোগে আনা নিন্দা প্রস্তাব। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৯টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৪টি। এদিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রস্তাবের পক্ষে বলতে উঠে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে। ইডি-সিবিআই যখন, তখন যার তাঁর বাড়ি চলে যাচ্ছে। এই কাজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সমর্থন নেই। বিজেপি নেতারা এসব করাচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ধমকানো-চমকানোর চেষ্টা করছে। তিনি জানান সিবিআই-ইডির অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাব আদতে কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতা চেয়ে সওয়াল।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির উদ্দেশ্যে এদিন আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
বাংলার সরকার স্বাধীনচেতা সরকার, চোরের মায়ের বড় গলা
কী দেশ ছিল কী হয়েছে, দু'লাইন পড়তে পারেন না
শুধু বলেন দেখে নেবো, ২০২৪-এ একেবারে যাবে
গেরুয়া বসন পরে, টাকার পাহাড়ে বসে আছেন
সারদা, নারদায় সুব্রত দা, ববি সবার বাড়িতে অভিযান হয়েছে
বিজেপি আজ ক্ষমতায় আছো, তাই তুমি আজ সাধু হয়েছো
তিন-চার মাসে ১০৮ টা কেস করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি
ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাচ্ছে, আর এদিকে সকালে নোটিশ, বিকেলে...
নোটিশ, আমি বিশ্বাস করি না নরেন্দ্র মোদী এসব করেছেন বা উনার সমর্থন রয়েছে
বিজেপির নেতারা করাচ্ছেন, আপনারা বুনো ওল হলে, আমরা বাঘা তেঁতুল
২৪-এ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পগারপার, মহারাষ্ট্রে টাকা দিয়ে সরকার ভাঙলেন কোথায় পেলেন এত টাকা?
সব লুটেছে, সরকার ভাঙছে টাকা দিয়ে, আর আপনারা সাধু?
বাংলার জনগণের টাকা, বাংলা থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছো
এরা গান্ধীজির নাম বলে না, প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করে বলছি
প্রধানমন্ত্রীজি এদের সামলান, গণতন্ত্রের ৩টে হাতিয়ার কব্জা করার চেষ্টা হচ্ছে
সংবাদ ব্যবস্থা, বিচারসভা এবং জনগণ, নোবেল প্রাইজ উদ্ধার করতে পেরেছে সিবিআই? নেতাই পেরেছে? ওদের সাকসেস রেট খুব খারাপ
এখন যুদ্ধের সময় নয়। উজবেকিস্তানের এসসিও (SCO) বৈঠকের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russia President) ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) পেয়ে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi)। এসসিও বা সাংহাই কো অপারেশন সম্মেলন এ বছর আয়োজিত হচ্ছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। রাশিয়া, ভারত ছাড়া এই সম্মেলনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী দেশ চিন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার প্রকৃত মিত্র ভারত কিংবা চিন কেউই ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে পুতিনের পাশে দাঁড়ায়নি। বরং দুই পড়শি দেশ আকার-ইঙ্গিতে রাশিয়াকে বুঝিয়ে দিয়েছে এখন যুদ্ধ বন্ধের সময়।
সমরখণ্ডে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে হওয়া পার্শ্ববৈঠকে মোদী জানান, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এই আপৎকালীন সময়ে খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তা অগ্রাধিকার। এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার পর তেমন বড় কোনও সাফল্য গত ৭ মাসে পায়নি পুতিন বাহিনী। উলটে একসময় রাশিয়ার হাতে থাকা একের পর এক প্রদেশ হাতছাড়া হচ্ছে মস্কোর। তাও চলতি সপ্তাহের গোড়াতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা খারিজ করেছিলেন পুতিন। বরং আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর ‘বার্তা’ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এই পরিস্থিতিতে মোদীর মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়াকে আরও নিঃসঙ্গ করে দিল। এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, শুধু নরেন্দ্র মোদী নয়, পুতিন বৈঠক করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গেও।
সেই বৈঠকে বেজিংয়ের তরফে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়নি মস্কো। ইতিমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতে পুতিনের সঙ্গে চার বার ফোনে কথা বলেন মোদী। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতে সফরে এসেছিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ। শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে পুতিনকে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, গণতন্ত্র, কূটনীতি এবং আলোচনাই বর্তমান বিশ্বে সমস্যা সমাধানের পথ হওয়া উচিত। মোদীকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন সঙ্ঘাতে ইতি টানার কথা বলেছেন পুতিন।
আজ, অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ৭২বছরে পা দিলেন। সকাল থেকেই শুভেচ্ছাবার্তায় উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিদেশ থেকেও আসছে শুভেচ্ছাবাণী। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন (Birthday) উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে দেশজুড়ে। গোটা দিনই ঠাসা কর্মসূচী প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর জন্মদিনেই নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya pradesh) কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই সেই চিতা এদিন খাঁচামুক্ত করলেন। পাশাপাশি হুডখোলা জিপে সওয়ার হয়ে ফটোশ্যুট করতে তাঁকে দেখা গিয়েছে।
প্রথমেই সরাসরি জঙ্গলে না ছেড়ে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য তারের বেড়ায় ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে ছাড়া হয়েছে এই আটটি চিতাকে। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৭০ বছর পর ভারতে দেখা যাবে চিতার দৌড়।
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi releases the cheetahs that were brought from Namibia this morning, at their new home Kuno National Park in Madhya Pradesh.
— ANI (@ANI) September 17, 2022
(Source: DD) pic.twitter.com/CigiwoSV3v
মোদী সরকারের দাবি, ভারতের অরণ্যে লুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। তবে, কেবল মাত্র ইরানেই এখনও পর্যন্ত এশীয় চিতার দেখা মেলে। ভারত সরকারের উদ্যোগে এখন যে চিতাগুলি নিয়ে আসা হচ্ছে, সেগুলি আফ্রিকার চিতা।বিশেষভাবে প্রস্তুত বি-৭৪৭ জাম্বো জেট বিমানে চিতাগুলিকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচটি মহিলা এবং তিনটি পুরুষ চিতা। ২টি চিতা সম্পর্কে সহোদর। তারা নাকি সবসময় একজোট হয়েই শিকার করে। স্ত্রী চিতাগুলির বয়স দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। আর পুরুষ চিতাগুলি সাড়ে চার থেকে পাঁচ বছরের। শনিবার সকাল আটটা নাগাদ তাদের নিয়ে গ্বালিয়রে অবতরণ করে বায়ুসেনার বিশেষ ওই কপ্টার ‘চিনুক’।
উল্লেখ্য, ১৯৫০-এর দশকে ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় এই বন্য প্রাণী। ১৯৫২ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার চিতাকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে গত ৭ দশক ধরে চিতাহীন রয়েছে ভারত। তাই চিতার পর্যাপ্ত বংশবৃদ্ধি করতে সুদূর আফ্রিকা থেকে আটটি চিতাকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে বলে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) শারীরিক অবস্থার কথায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। তিনি সেই সময় ছিলেন স্কটল্যান্ডের (Scotland) বালমোরাল (Balmoral casele) প্রাসাদে। খবর পেয়েই ছুটে যান তার পরিবারের সদস্যরা। চার ছেলে-মেয়ে— যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮) পৌঁছে যান। ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও (William) পৌঁছন।
I had memorable meetings with Her Majesty Queen Elizabeth II during my UK visits in 2015 and 2018. I will never forget her warmth and kindness. During one of the meetings she showed me the handkerchief Mahatma Gandhi gifted her on her wedding. I will always cherish that gesture. pic.twitter.com/3aACbxhLgC
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2022
বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, '২০১৫ এবং ২০১৮' সালে যখন ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য সফরে গিয়েছিলাম, তখন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে স্মরণীয় সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমি কখনও তাঁর উষ্ণতা এবং উদরতার কথা ভুলব না। একটি সাক্ষাতে তিনি বিয়েতে মহাত্মা গাঁধীর দেওয়া রুমাল আমায় দেখিয়েছিলেন। সারা জীবন সেই কথা মনে রাখব।' রানীর মৃত্যুতে প্রোটোকল মেনেই প্রিস্ন থেকে কিং হলেন চার্লস।
সোশাল মিডিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস-সহ মন্ত্রী এবং সারা বিশ্বের রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতারা। কলকাতার ঝকঝকে রাজপথে উন্মুখ কিন্তু শৃঙ্খলিত জনতার সেই ছবি আজও দেখা যায় কোনও কোনও সাবেক ব্রিটিশ মুভিরিলে। বিলেতের রানিমার সেই সফরে কলকাতার উষ্ণ অভ্যর্থনা নাকি ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায়েরই সূচনা করে। ছাদখোলা গাড়িতে বসে থাকা রাজ্যপাল পদ্মজা নায়ডুর পাশে দাঁড়িয়ে সাদা দস্তানা ঢাকা হাত নাড়তে নাড়তে রাজভবনমুখী গোটা পথটা পেরোন রানি এলিজাবেথ। সে-সব আজ ৬১ বছরেরও আগের কথা।
ফের গোপন ডেরা থেকে অডিওবার্তা প্রকাশ কেএলও (KLO) প্রধান জীবন সিংহর। বার্তায় একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) প্রতি নরম মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারত-মায়নামার সীমান্তে কোনও গোপন ডেরায় রয়েছেন জীবন। রবিবার সেখান থেকেই এই অডিওবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে বলে অনুমান। যদিও এই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি সিএন ডিজিটালের পক্ষে।
এদিনের অডিও বার্তায় ফের একবার আলাদা কামতাপুর রাজ্যের জিগির তুলেছেন জীবন সিংহ। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বর্তমান বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলাদা রাজ্যের পক্ষপাতী। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আক্রমণ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই আলাদা রাজ্যের বিরোধী। প্রশ্ন, আলাদা রাজ্যের দাবিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকৃতি দেওয়ার কে? তিনি স্বীকৃতি দিলেন, কী দিলেন না তাতে কিছু আসে যায় না। কলকাতার সরকার তাঁদের শত্রু বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন।
অডিবার্তায় জীবন জানিয়েছেন, কোচবিহারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু দালালরা আছে, তারা আলাদা রাজ্যের বিরোধিতা করছে। জীবন হুশিয়ারিও দিয়েছেন। এমনকি লড়াইয়ের নামার চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে "খেলা করা" অভিযোগ তুলেছেন জীবন সিংহ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই অডিও বার্তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাসে মাইলস্টোন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে নৌ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Narendra Modi) এই বিমানবাহী রণতরীর শুভ সূচনা করেন। কোচির নৌ সেনা ঘাঁটি থেকে এই তরী সাগরে ভাসবে। আইএনএস বিক্রান্ত ভারতের সামরিক ইতিহাসে নির্মিত সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ (War Ship)।
শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর কেরলে সফরের শেষ দিন। প্রধানমন্ত্রী কোচি থেকে ভারতীয় তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেন। মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে তৈরি করা হয়েছে এই বিমানবাহী রণতরী। এটি এখন পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী। ভারতের আগে মাত্র পাঁচটি দেশ ৪০ হাজার টনের বেশি ওজনের বিমানবাহী রণতরী তৈরি করেছে। আইএনএস বিক্রান্তের ওজন ৪৫,০০০ টন।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র একটি যুদ্ধাস্ত্র নয়। ভারতের দক্ষতা এবং প্রতিভারও প্রমাণ। ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজ এই সমুদ্র শক্তির জোরে এমন নৌবাহিনী তৈরি করেছিলেন, যা শত্রুদের ভয়ে রেখেছিল। ব্রিটিশরা যখন ভারতে এসেছিল, তারা ভারতীয় জাহাজের শক্তি এবং তাদের মাধ্যমে বাণিজ্যের জন্য আতঙ্কিত ছিল। তাই তারা ভারতের সামুদ্রিক শক্তির পিঠ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। তৎকালীন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভারতীয় জাহাজ ও বণিকদের ওপর কতটা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল ইতিহাস তার সাক্ষী।'
ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন পতাকাও উন্মোচন করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ ভারত তার বুক থেকে দাসত্বের চিহ্ন, দাসত্বের বোঝা সরিয়ে নিয়েছে। আজ থেকে নতুন পতাকা পেল ভারতীয় নৌসেনা। এখন পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকায় দাসত্বের পরিচয় রয়ে গেছে। তবে আজ থেকে ছত্রপতি শিবাজীর অনুপ্রেরণায় সমুদ্রে ও আকাশে উড়বে নৌবাহিনীর নতুন পতাকা।' জানা গিয়েছে, আইএনএস বিক্রান্ত নামে আরও একটি যুদ্ধজাহাজ অবসর নিয়েছে। তাঁকে ভেঙেও ফেলা হয়েছে। ৭১-র যুদ্ধের স্মৃতিবাহী সেই বিক্রান্তের স্মরনেই নতুন এই যুদ্ধজাহাজের নাম রাখা হয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত। সহজেই মিগ-২৯-র মতো বিমান এই জাহাজ থেকে ওঠানামা করতে পারবে।
টানা বৃষ্টিতে (Natural Calamity) ভয়ঙ্কর অবস্থা পাকিস্তানে। ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক হাজার। বিধস্ত অধিকাংশ প্রদেশ। এই অবস্থায় পড়শি দেশের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবার বিবৃতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। টুইট করে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। তাঁর প্রার্থনা, 'শীঘ্রই প্রতিবেশী দেশের জনজীবন স্বাভাবিক হোক।' তবে পাকিস্তানকে সাহায্য নিয়ে কোনও ঘোষণা করেননি প্রধানমন্ত্রী।
Saddened to see the devastation caused by the floods in Pakistan. We extend our heartfelt condolences to the families of the victims, the injured and all those affected by this natural calamity and hope for an early restoration of normalcy.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 29, 2022
ইতিমধ্যে বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রার্থনা করেছে। সেখানে ভারত সাড়া দেবে কি না, তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও সাহায্যে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে খবর।
এদিকে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধস্ত ভারতের দুই পড়শি দেশ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশ। পাশাপাশি হরপা বানে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানও। এই বিপর্যয়ের পাকিস্তানে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় হাজার জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সে দেশের হাওয়া অফিস।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানে চলা অবিরাম বৃষ্টির জেরে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মৃত্যু প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই। বিপর্যয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে জরুরি অবস্থা জারি পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, বন্যায় ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত। ভেসে গিয়েছে শতাধিক ব্রিজ। অন্তত সাত লক্ষ বাড়ি বন্যার জলে হয় ভেঙেছে, নয়তো ভেসে গিয়েছে।
২২টি সোনা-সহ মোট ৬১টি পদক জিতে সদ্যসমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) চতুর্থ স্থানে ভারত। এমন অনেক ইভেন্ট আছে, যেখান থেকে এবারই প্রথম পদক জিতেছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা (Indian Athletes)। এবার কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিক, অচিন্ত্য শিউলিরা। প্রত্যেকের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'ভারতের খেলাধুলোয় সুদিন এসে গিয়েছে।'
শুধু পদক দেখে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সাফল্য মাপা উচিত নয়। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'শুধু পদকের সংখ্যা দিয়ে আমাদের ক্রীড়াবিদদের সাফল্য বিচার করা যাবে না। অনেকে এক সেন্টিমিটারের জন্য পদক জিততে পারেনি। আমি জানি আগামী দিনে তারা পারবে। এটা সবে শুরু। ভারতের খেলাধুলোর সোনার দিন দরজায় কড়া নাড়ছে।'
সদ্যসমাপ্ত বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে মোট ১২টি খেলায় পদক জিতেছে ভারত। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যে খেলাগুলোতে আমরা শক্তিশালী ছিলাম সেগুলোতে আরও উন্নতি করার পাশাপাশি অনেক নতুন খেলায় ভাল করেছি। চারটে নতুন খেলায় পদক এসেছে। লন বলে আমাদের দল নজর কেড়েছে। এরপরে অনেকে এই খেলায় উৎসাহ দেখাবে। হকিতে পুরনো গৌরব ফিরে এসেছে।'
এই কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার মহিলা ক্রিকেটের শুরু। সেই খেলায় রুপো পেয়েছেন স্মৃতি মন্দানা, হরমনপ্রীত কৌররা। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এই সাফল্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বোলার রেণুকা সিংয়ের কথা আলাদা ভাবে বলেছেন তিনি। মোদী বলেন, 'হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারত ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছে। রেণুকার সুইংয়ের জবাব কারও কাছে ছিল না। এত বড় বড় ক্রিকেটারের মাঝে সব থেকে বেশি উইকেট পাওয়া মুখের কথা নয়।’
স্বাধীনতার ৭৫-এ কমনওয়েলথের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের এই সাফল্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। ক্রীড়াবিদরা তাঁদের সই করা জার্সি, কেউবা গ্লাভস তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কমনওয়েলথের পাশাপাশি দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দলকে ব্রোঞ্জ জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।