সোমবার সকাল থেকেই আলোচনায় বাংলার মেয়ে স্বপ্না বর্মন (Swapna Barman)। চলতি বছরের এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ৮০০ মিটার মহিলা হেপ্টাথলন এর প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। জাকার্তা এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছিলেন স্বপ্না। তাই তাঁকে নিয়ে আশা বেড়েছিল সকলের। যদিও হাংঝৌতে ভালো ফল করতে পারলেন না তিনি। হেপ্টাথলনে চতুর্থ হয়েই থেমেছে তাঁর দৌড়। সেই জায়গায় ভারতের হয়ে ব্রোঞ্জ ছিনিয়ে এনেছেন নন্দিনী আগাসারা (Nandini Agasara)। সতীর্থর বিরুদ্ধেই এবার নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন স্বপ্না।
এশিয়ান গেমসে নন্দিনীর বিপরীতে হার, মেনে নিতে পারছেন না স্বপ্না। তাই নাম না করেই সামাজিক মাধ্যমে নন্দিনীকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে স্বপ্না লিখেছেন, 'হাংঝৌ, চিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯তম এশিয়ান গেমস। আমি আমার এশিয়ান গেমস ব্রোঞ্জ মেডেল একজন রূপান্তরিত মহিলার কাছে হারিয়েছি। যেহেতু এটি অ্যাথলেটিক্স-এর নিয়ম বিরুদ্ধ, তাই আমি আমার মেডেল ফেরত চাই।'
স্বপ্নার এই মন্তব্য থেকেই আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। প্রসঙ্গত এর আগে নন্দিনীর বিরুদ্ধে কেউ এমন অভিযোগ তোলেননি। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থাও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। নন্দিনীর বিরুদ্ধে স্বপ্নার এমন মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বহু নেটিজেন এমন অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ চাইছেন। আবার অনেকে স্বপ্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কানাডার (Canada) সঙ্গে ভারতের (India) সম্পর্ক যখন চরমে পৌঁছেছে, তখনই খালিস্তানপন্থী (Khalistani) গ্যাংস্টারদের (Gangsters) খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এনআইএ (NIA)। দেশের ৬ রাজ্যের মোট ৫০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। এর আগে ১৯ জন পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতার তালিকা প্রকাশ করেছে এনআইএ। এর পর ফের খালিস্তানপন্থী গ্যাংস্টারদের ধরতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। খালিস্তানি গ্যাংস্টারদের খোঁজে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি-এনসিআর, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। শুধুমাত্র পঞ্জাবেই ৩০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এছাড়া রাজস্থানের ১৩টি, হরিয়ানার ৪টি , উত্তরাখণ্ডের ২টি, এবং দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের ১টি করে জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সূত্রের খবর, ভারতে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক মদত দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও কিছু গ্যাংস্টাররা। এছাড়াও অস্ত্র সরবরাহ ও দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তারা, এমন একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। আবার তদন্তকারী সংস্থার কাছে খালিস্তানি-আইএসআই যোগের তথ্য প্রমাণও রয়েছে। ফলে এসব খালিস্তানপন্থী নেতা-গ্যাংস্টারদের খুঁজে বের করতে মরিয়া ও তার জন্যই এনআইএ-এর এই তল্লাশি অভিযান।
সম্প্রতি, খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর জন্য ভারতকে দায়ী করেছে কানাডা। এ থেকেই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে এনআইএ-এর তল্লাশি অভিযান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওবিসিকে তালিকা ভুক্ত করে অতি দ্রুত মহিলা সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধী। বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রাক্তন সভানেত্রী। সনিয়ার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই বিল নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। এবার সময় এসেছে, এই বিলকে আইনে পরিণত করা।
এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসলেন সনিয়া। তিনি জানান, ভারতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্বামী রাজীব গান্ধী। কিন্তু রাজ্যসভায় সাত ভোটে হেরে গিয়ে সেই বিল আটকে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই বিল আইনে পাস করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস এখনও এই বিলকে সমর্থন করে বলেও জানান সনিয়া গান্ধী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর অনুরোধ আর দেরি না করে এই বিল আইনে পরিণত করার সময় এসেছে। সনিয়ার পর এই বিলকে দ্রুত আইনে পাস করাতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝিও।
বোমায় ব্যবহার করা হয়েছিল লোহার টুকরো, যা সাধারণ মিলিটারি গ্রেনেড। এই তথ্য হাতে পেতেই বেলডাঙ্গা বিস্ফোরণ কাণ্ডে UAPA ধারা যোগ করল এনআইএ। আদালতে এনআইএ জানায়, পাইপ বোমা বা বোমাতে লোহার টুকরো যা ব্যাবহার করা হয়েছে, তা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং যারা জামিনে রয়েছে, তাদের জামিন বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছে। ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারির ঘটনা। বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি বাগানে ছোট পাম্পের ঘরে এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা ঘরটি। ইয়াসউদ্দিন শেখ ওরফে ছাদি শেখ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই পাম্পের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল।
প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ফরেনসিক আধিকারিকরা। গত বছর অক্টোবর মাসে এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তবে ততদিনে ৯ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল।সেই রিপোর্ট পুলিশ এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয়। মামলার গুরুত্ব চতুর্গুণ বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টের ভিত্তিতে UAPA-র আবেদন করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। সাধারণ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যা মূলত উদ্ধার হয় না।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান ও নেত্রী সনিয়া গান্ধী। বিশেষ অধিবেশনে ৯টি বিষয় আলোচনার জন্য দাবি করলেন কংগ্রেস নেত্রী। এদিকে জি-২০ সম্মেলনের আগে ইউরোপ উড়ে গেলেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের অন্তর্গত আইনজীবী, ছাত্রছাত্রী ও প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাহুল।
এদিকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সনিয়া গান্ধী তাঁর চিঠিতে লিখেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সহমত না হয় এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এর অ্যাজেন্ডা কী, কেউ জানে না। জানানো হয়েছে এই পাঁচদিন সরকারের কাজ আছে। সনিয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে সহমত হয়েই যাতে এই বিশেষ অধিবেশনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। সেই ঘটনার তদন্তে এবার এনআইএ দাবি করল রাজ্য বিজেপি। পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয় দত্তপুকুরে। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে একটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে যায়। এছাড়াও পাশের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের নেতৃত্বে অবৈধ বাজি কারখানা চলত। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তাদের পালটা অভিযোগ, আইএসএফ নেতার মদতে ওই এলাকায় অবৈধ বাজি কারবার চলত।
বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক জেলায় তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিস। উদ্ধার করেছিল প্রচুর অবৈধ বাজি। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি একই রয়ে গেছে।
ঘরে ঘরে এখন দেখা যাচ্ছে ইনসোমনিয়ার রোগী। অর্থাৎ রাতে ঘুম (Sleep) না হওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেগে থাকার রোগের নামই ইনসোমনিয়া (Insomnia)। ফলে রাতে ঘুম না আসতেই সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিচ্ছেন ঘুমের ওষুধ। তবে আদৌ কি তা কার্যকরী? আর কার্যকর হলেও তা কি শরীরের কোনও ক্ষতি করছে না! প্রশ্নগুলো তাঁদের করা উচিত, যাঁরা প্রায় রোজই এই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে যান। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘুমের ওষুধ না খেয়েও যাতে স্বাভাবিকভাবে ঘুম আসে, তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুম না আসার প্রধান কারণই হল অনিয়মিত জীবনযাপন। রাতে দীর্ঘক্ষণ ফোন ঘাঁটা, ঠিক সময়ে না ঘুমিয়ে দেরি করে শুতে যাওয়া, আর এইগুলোই ধীরে ধীরে অভ্য়াসে পরিণত হয়ে যায়। ফলে বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই পরামর্শ দেন, রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফোনকে দূরে সরিয়ে রাখার। এছাড়াও প্রতিদিন একই সময়ে শুতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করার জন্য বলে থাকেন তাঁরা। আবার ঘুমোতে যাওয়ার আগে চা বা কফি না খাওয়ারও পরামর্শ দেন তাঁরা। আর এই নিয়মগুলো মেনে চললেই ঘুমের ওষুধ ছাড়াই ঘুম আসবে স্বাভাবিকভাবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। আর এরপরেও যদি কারো ঘুম না আসে, তবে তাঁকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য় বলে থাকেন।
কাঁটাতার ভাগ করেছে ভারত-বাংলাদেশের সীমানা। কিন্তু দুই দেশের মানুষের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা অক্ষত রয়েছে। বিশেষ করে দুই দেশের দর্শকেরা গানই হোক বা সিনেমা, তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন। এইভাবেই যেমন ভারতের অনেক অভিনেতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন বাংলাদেশবাসী। একইভাবে বাংলাদেশের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গেও পরিচিত হয়েছেন এপার বাংলার মানুষ। সেইভাবেই দর্শকেরা চিনেছেন তাসনিয়া ফারহিনকে।
বাংলাদেশের নাটক যারা দেখেন, তারা তাসনিয়া ফারহিনকে ভালোই চেনেন। প্রত্যেকটি নাটকেই তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন দর্শকেরা। বিশেষ করে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর পাশেও নিজের অভিনয় দাপট বজায় রেখেছিলেন অভিনেত্রী। পরিচালক অতনু ঘোষের 'এক পৃথিবী' সিনেমা দিয়ে, টলিউডে ডেবিউ করেছেন তাসনিয়া। তাঁকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই দর্শকদের। বিশেষ করে তাঁকে যখনই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি গোপনেই রেখেছিলেন মনের ঠিকানা। এবার জানা গেল, তাসনিয়ার মনের ঠিকানা।
সাড়ে ৮ বছর প্রেম করার পর, ১১ অগাস্ট বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর মনের মানুষের নাম শেখ রিজওয়ান। তাসনিয়া নিজে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, 'সাড়ে আট বছরের ভালোবাসা এবং বন্ধুত্ব। ১১ অগাস্ট আমরা অবশেষে অফিশিয়াল করলাম। যদিও অনেকটা সময় হয়ে গিয়েছে, কিন্তু প্রথম দিনের মতোই আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আমি তোমার মধ্যে শান্তি পেয়েছি। বাইরের চিৎকারকে অগ্রাহ্য করে আমরা শান্তির ঘর বানিয়েছি।'
একই পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, অভিনয় জগতের অংশ না হয়েও কীভাবে এই আট বছরে তাঁর পাশে থেকেছেন রিজওয়ান। তাসনিয়া জানিয়েছেন, পরিবারের কাছের সদস্যদের নিয়ে আইনি বিয়ে সেরেছেন। কারণ তাঁর স্বামী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত। তিনি ফিরে এলেই কাছের বন্ধু এবং সহকর্মীদের নিয়ে সেলিব্রেট করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তাসনিয়া। শেষে সকলের থেকে আশীর্বাদ চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সংসদে সাসপেনশনের কোপে পড়েন কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। শুক্রবার এই নিয়ে বিশেষ বৈঠক ডাকলেন কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যাবে দল।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে 'ইন্ডিয়া' জোটের অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে বুধ ও বৃহস্পতিবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর নাম উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক বার অধীরকে নাম করে খোঁচা দিয়েছে কংগ্রেস ও বিরোধী জোটকে।
বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির শেষে 'অসংসদীয় আচরণ'-এর অভিযোগ তুলে অধীরের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। লোকসভায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবারই বাদল অধিবেশনের শেষ দিন। শুক্রবার সিদ্ধান্ত না নিলে অধীর চৌধুরীর সাসপেনশনের মেয়াদ গড়াবে শীতকালীন অধিবেশন পর্যন্ত
৫৩ বছর হয়ে গেলেও এখনও দেশের 'মোস্ট এলিজেবেল ব্যাচালর' হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিয়ে করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই। এতদিন রাহুলকে সরাসরি বলা হত বিয়ে করার জন্য। কিন্তু এবারে ছেলের বিয়ের জন্য মা সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) বললেন এক মহিলা কৃষক। আর সেই শুনেই মুখে লাজুক হাসি রাহুলের। বিয়ে দেওয়ার সেই প্রস্তাবের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
मां, प्रियंका और मेरे लिए एक यादगार दिन, कुछ खास मेहमानों के साथ!
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 29, 2023
सोनीपत की किसान बहनों का दिल्ली दर्शन, उनके साथ घर पर खाना, और खूब सारी मज़ेदार बातें।
साथ मिले अनमोल तोहफे - देसी घी, मीठी लस्सी, घर का अचार और ढेर सारा प्यार।
पूरा वीडियो यूट्यूब पर:https://t.co/2rATB9CQoz pic.twitter.com/8ptZuUSDBk
সম্প্রতি দিল্লিতে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার কৃষক পরিবারের কিছু মহিলা। দেখা গিয়েছে, সেই কৃষক মহিলাদের সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া, গল্প-গুজব, নাচ-গান করেছেন গান্ধী পরিবার। সেই মহিলারা গান্ধী পরিবারের জন্য নিয়ে এসেছেন লস্যি, আচার ইত্যাদি। এসব দেখে আপ্লুত তাঁরা। এরই মধ্যে এক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে বসেন এক মহিলা কৃষক। তিনি সরাসরি সনিয়া গান্ধীকে প্রশ্ন করেন, 'ছেলের বিয়ে কবে দিচ্ছেন?' আর এর উত্তরে সনিয়া বললেন 'আপনিই পাত্রীই খুঁজে দিন না।' সনিয়ার এমন কথা শুনে বাকি মহিলারাও হাসতে শুরু করেন। পাশে বসে রাহুল, আর তাঁর মুখেও দেখা যায় লাজুক হাসি।
প্রসূন গুপ্তঃ সোমবার থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে ২৬ বিরোধী দলের বৈঠক। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার আলোচনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আগমন হলেও কংগ্রেস বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার প্রথম দফার বৈঠক ও নৈশভোজের যে আয়োজন কংগ্রেস করেছিল, প্রাথমিকভাবে মিডিয়াতে ছড়িয়ে গিয়েছিলো যে মমতা অনুপস্থিত থাকবেন, কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে দেখা গেল একেবারে সোনিয়া গান্ধীর পাশেই মমতার আসন স্থির করা রয়েছে। জানা গিয়েছে, সোনিয়ার ইচ্ছাতেই এই ব্যবস্থা। স্বাভাবিকভাবে সভার ফাঁকে বারবার সোনিয়াকে মমতার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গেলো। শেষে ছিল নৈশভোজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অনুষ্ঠানে কিছু খান না। এদিনও তিনি খাবার প্লেট নেননি কিন্তু চা খেয়েছেন। অবিশ্যি তৃণমূলের অন্য প্রতিনিধিরা নৈশভোজ সেরেছেন।
রাহুল গান্ধীকে একবার দেখা গেলো ডেরেক ও'ব্রায়ানের সঙ্গে কথা বলতে, আবার কথা হচ্ছিলো সিপিএমের সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গেও। উত্তর ভারতীয় ও দক্ষিণ ভারতীয় ছাড়াও কন্টিনেটাল ডিশ ছিল। আয়োজক অবশ্যই সদ্য ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস তথা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সিদ্ধারামাইয়া। অবিশ্যি মমতা ভক্ত রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার নিজে বিমানবন্দর থেকে মমতা, অভিষেককে আনতে যান। শিবকুমার এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হলে মমতা প্রতিবাদ করেছিলেন।
প্রথমদিন আলোচনায় কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে জানান, প্রথম ধাপে জোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সফল। কাজেই এবারে পরের ধাপে যেতে হবে। মঙ্গলবার যা আলোচনা হবে তা মূলত কোন প্রক্রিয়াতে জোট এগোবে। জানা গিয়েছে যে, এই ২৬ দলের ভিতর থেকে তিনটি কমিটি করা হতে পারে। তাদের কাজ হতে পারে ১) নিয়মিত প্রতিটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ২) আসন সমঝোতা করা ন্যূনতম ইস্যুর ভিত্তিতে, ৩) একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী যতটা দেওয়া যায় ৫৪৩ টি আসনে। এই কমিটিগুলি আগামী দিনে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হওয়ার আগে অবধি সমঝোতা বজায় রাখার কাজ করবে। একই সাথে এজেন্সির চাপ বা গ্রেফতারের মতো ঘটনা ঘটলে কমিটি ব্যবস্থা নেবে। যদিও এটাও বাস্তব কখনোই সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা হওয়া খুব কঠিন কাজ কারণ সিপিএমের বিরোধিতা করেই তৃণমূলের আগমন। আজকের সভা শেষে ইউপিএ জোটের নতুন নাম হল—‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স)।
ভালো স্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের (Sleep) খুবই দরকার। শুধু ডায়েট করলেই শরীর সুস্থ থাকে না। খাবার, শরীরচর্চার সঙ্গে ঘুমও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতেস রাতে এক সুস্থ মানুষের অন্তত ৮ ঘণ্টার বিনা বাধার ঘুম দরকার। তবে জীবনযাত্রায় অনিয়ম, ক্লান্তি ইত্যাদি বহু কারণেই বর্তমানে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না অনেকেরই। ফলে আপনি কি অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায় (Insomnia) ভুগছেন? তবে আর ভয় নেই, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খাদ্যাভ্যাসে কিছু বদল আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে কয়েকটি খাবার খেলেই এই সমস্যা কমতে পারে। তাই জেনে নিন, কোন কোন খাবার খেলে আপনার ঘুম আসবে মুহূর্তের মধ্যে।
গরম দুধ: বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধের যৌগগুলি বিশেষ করে ট্রিপটোফ্যান এবং মেলাটোনিন আপনাকে ঘুমোতে সাহায্য করতে পারে। ফলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধ খেতে পারেন।
বার্লি: GABA, ক্যালসিয়াম, ট্রিপটোফান, জিঙ্ক, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ বেশ কয়েকটিযৌগ সমৃদ্ধ বার্লি ঘাসের গুঁড়োও ঘুমের পক্ষে খুবই উপকারী।
আখরোট: ঘুমনোর আগে আখরোট খাওয়া খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে। এছাড়া ওমেগা-৩ এবং নিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে। যা হজমে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, ঘুম না আসার সমস্যা দূর করে আখরোট। আখরোটে যে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে তা ঘুমের সহায়ক।
রোস্টেড কুমড়োর বীজ: কুমড়োর বীজ হল ট্রিপটোফ্যানের একটি প্রাকৃতিক উৎস যা অ্যামিনো অ্যাসিডে ভরপুর। এটি ঘুমের জন্য় উপকারী। কুমড়ার বীজ সেলেনিয়ামে সমৃদ্ধ যা ঘুমের সময়কাল এবং গুণমানকেও প্রভাবিত করতে পারে।
কলা: বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, কলা ঘুমের জন্য সহায়ক। কারণ এতে ম্যাগনেসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান, ভিটামিন বি ৬, কার্বোহাইড্রেট এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।
ভেজানো চিয়া বীজ: ট্রিপটোফেন সমৃদ্ধ, চিয়া বীজে এই অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা আপনার মেজাজ ভালো করে যা ঘুম আসতে সহায়ক।
ফের লাইনচ্যুত যাত্রীবাহী ট্রেন (Passenger Train)। ঘটনায় আহত বহু যাত্রী। তবে এখনও অবধি কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) ক্যালিফোর্নিয়ায় (California)। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রেললাইনের উপর ট্রাক এসে পড়েছিল। ফলে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেনের। লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি কামরা। আরও জানা গিয়েছে, ওই ট্রেনটিতে ২০০ জন যাত্রী ছিল। আহতদের উদ্ধার করে ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আর যাঁরা ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ট্রেনটি লস অ্যাঞ্জেলস থেকে সিয়াটলে যাচ্ছিল। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মুরপার্কের কাছে রেললাইনের উপর আচমকাই একটি ট্রাক এসে পড়ে। দ্রুতগতিতে ছুটে আসা ট্রেনটি সেই ট্রাকটিকে ধাক্কা মারার পর লাইনচ্যুত হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রেনের কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে উল্টে যায়নি। উল্টে গেলে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। প্রাণহানিও হত যাত্রীদের।
উল্লেখ্য, যাত্রীদের নিজেদের গতব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দিয়েছে প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসা চলছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সকল যাত্রী।
রাম নবমীকে ঘিরে হাওড়া, হুগলি, ডালখোলার গোলমালের জেরে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের এনআইএ-এর তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য সরকার (State Government)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসকে এই বিষয়টি জানালো রাজ্য।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা সংক্রান্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তরের জন্য দু-সপ্তাহ সময় দিয়েছে। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য। এদিকে এই একই বিষয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলায় নিজেদের অবস্থান জানানোর জন্য হাইকোর্টের দেওয়া সময়ের আগে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় চেয়েছে রাজ্য।
অপরদিকে, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়া মামলাকারী। যাতে একপক্ষকে শুনে কোনও পর্যবেক্ষণ না দেয় মহামান্য শীর্ষ আদালত, তাই এই পদক্ষেপ।
রামনবমীতে (Ram Navami) হওয়া অশান্তি নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের (High Court)। বৃহস্পতিবার রামনবমীতে হওয়া অশান্তির ঘটনার একটি মামলায় এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় এই মামলার ঘটনায় তদন্ত করবে এনআইএ।
রামনবমীতে হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালও। সেসময় রাজ্যপাল পুলিসকে কড়া ভূমিকা পালন করতে বলেন।
রামনবমীর অশান্তি নিয়ে বিরোধী দলনেতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সূত্রের খবর, দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এনআইএকে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য।