মালদায় বিস্ফোরণের (Maldaha Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তের (NIA Investigation) আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে (High Court)। আবেদনকারী জানান, এখনও এই মামলার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিস। কিন্তু তদন্ত এগোয়নি একটুও। তাই এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। আজকের মতো সেই মামলার শুনানি (Hearing) শেষ। পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।
আবেদনকারী আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। পাঁচজন শিশু জখম হয়। পুলিসের তরফ থেকে কোনও স্বতঃপ্রণোদিত কেস করা হয়নি। একজন ক্ষতিগ্রস্তের আত্মীয় অভিযোগ করার পর তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এফআইআর হয় ২৫ এপ্রিল দুপুর ১২ টার পর। যদিও ঘটনা ঘটে ২৪ এপ্রিল দুপুর ২ টো ১৫ মিনিটে। অথচ আইনে আছে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তদন্তকারী সংস্থা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে পারে। কিন্তু রাজ্য পুলিসের তদন্তকারী অফিসার সেদিন কিচ্ছু করেননি। এলাকায় অপরাধ বেড়েছে বহুদিন। পুলিসের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। এটা সীমান্ত এলাকা এবং অপরাধের আঁতুড়ঘর। পুলিসেরই রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছে, ওখানে মাঝে মাঝেই বোমা পাওয়া যায়। এলকাবাসী সুরক্ষিত নয়। তাই এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন।
রাজ্যের আইনিজীবী অনির্বাণ রায় বলেন, আমরা তদন্ত করছি, কোথা থেকে এল অত পরিমাণে বিস্ফোরক। ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে মামলাটি এলে তদন্ত দেরি হবে। অপরাধীরা পালিয়ে যেতে পারে।
রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় আরও জানান, এফআইআর দেরিতে করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। রাজ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টেই অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, সমস্ত সিডিউল অফেন্স এনআইএ সংস্থা তদন্ত করে। সার্বভৌমিকতা, দেশের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় জড়িত থাকলে তবেই। সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে, এমন ঘটনা হলেই তারা তদন্ত করে।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় (Bhima Koregaon) সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন অশীতিপর সমাজকর্মী ভারভারা রাও (Varvara Rao)। বুধবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি ইউইউ ললিত তাঁর রায়ে জানান, আশা করব এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন না সমাজকর্মী। জানা গিয়েছে শারীরিক কারণে মঞ্জুর হয়েছে তাঁর জামিন। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই সমাজকর্মী। হাইকোর্ট ভারাভারার শারীরিক কারণে পাওয়া স্থায়ী জামিন খারিজ করেছিল।
ভারাভারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৭-এর ৩১ ডিসেম্বর পুণের এলগার পরিষদ সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে পরদিন কোরেগাঁও-ভীমা যুদ্ধ স্মারকের কাছে হিংসা সংঘটিত হয়েছিল। পুণে পুলিসের অভিযোগ ছিল, এই সমাবেশ সংগঠনে যুক্ত ছিল মাওবাদীরা। পরে এই ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। ২০১৮-এর ৮ জানুয়ারি ভারাভারার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করে পুলিস। সেই বছর ২৮ অগস্ট হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ভারাভারাকে।