রামনবমীতে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর, বেলডাঙা এলাকায় বিঘ্নিত হয়েছিল শান্তি শৃঙ্খলা। মন্দির থেকে মসজিদ-হামলা চালানো হয়েছিল সর্বত্র। সোমবার মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মামলায় রাজ্য পুলিসের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, সোমবার মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রামনবমী উদ্দেশ্য করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বোমা ফাটানো হয়। অথচ এই মিছিলের অনুমতি আগে থেকেই পুলিসের কাছ থেকে নেওয়া ছিল। তবে বিশৃঙ্খলার ঘটনার সময়ে পুলিসের কোনও ভূমিকা ছিল না।
যদিও রাজ্যের আইনজীবী জানান, এটা সম্পূর্ণ দুই পক্ষের ঝামেলার ফল। দুই পক্ষ থেকেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ধর্মীয় বিবাদ। এখানে পুলিসও আক্রান্ত হয়েছে। মোট ন'টা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তভার পেয়েছে সিআইডি। ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে উপস্থিত ছিল বলেও আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী।
যদিও এএসজি অশোক চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ওখানে রুট মার্চ করছিল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের নির্দেশ, এনআইএ এবং সিআইডি যৌথ তদন্ত চালাবে কি না তা নির্ধারিত হবে মঙ্গলবার। যে সকল ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তা সংরক্ষণ করতে হবে। এরই সঙ্গে এসপি মুর্শিদাবাদ এবং সিআইডিকে মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের।
ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতিকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ NIA-র বিশেষ আদালতের। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য তাজা বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার ধৃত ২ জনকে পেশ করা হয় আদালতে। এরপরেই আদালতের নির্দেশে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, ২০২২-র ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত্যু হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। ঘটনার পর পোড়া দেহগুলি রাজকুমার মান্নার বাড়ির অনতিদূরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। দানা বেঁধেছিল রহস্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। ঘটনার ৩ মাস পর ভুপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে চলতি মাসেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। হামলা হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপরেও। যদিও শেষমেশ এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হয় বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২ মূল অভিযুক্ত মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতি।
রাত পেরোলেই রাজ্যে শুরু প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনী আবহে যেভাবে শাসক ঘনিষ্ট নেতা-কর্মীদের নাম, দুর্নীতি, অপরাধ জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, তাতে আখেরে মুখ পুড়ছে শাসকদলেরই। মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও এর প্রভাব ভোটবাক্সে আদৌ পড়বে কিনা বা পড়লেও তা কতটা এখন সেটাই দেখার।
এবার ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়ে গ্রেফতার এক ব্য়ক্তি। লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকা থেকে লালগোলা থানার পুলিস গ্রেফতার করে ওই ব্য়ক্তিকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ভুয়ো এনআইএ অফিসারের নাম জাহির আব্বাস। বাড়ি লালগোলার রামনগর এলাকায়। মঙ্গলাবার ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন রেখে লালবাগ আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রাতে লালগোলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রামনগর এলাকাতে নাকা চেকিং করছিল পুলিস। সেই সময় একটি স্কুটি আরোহীকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। ওই ব্যক্তিকে থামিয়ে স্কুটির ডিকির ভিতর তল্লাশি চালাতে গেলে সে নিজেকে এনআইএ অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয়। এরপর তার স্কুটির ডিকি থেকে ভুয়ো আইডেন্টিটি কার্ড ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অভিযুক্তকে।
তবে এর পিছনে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা বা কী উদ্দেশ্য়ে ভুয়ো এনআইএ অফিসার পরিচয়পত্র তৈরী করেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ-এর হাতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত মুসাভির হোসেন শাজিব এবং আব্দুল মাথিন তাহা ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দীঘায় আত্মগোপন করেছিল। ক্যাফের নিরাপত্তারক্ষাকারী জানান, মালিক গোটা বিষয়টি জানেন। সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য় পাওয়া যায়নি ওই দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে।
সূত্রের খবর, ধৃত আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিব দুই অভিযুক্ত ঊষা শাহানুর এবং আনমোল কুলকার্নি নামে আত্মগোপন করেছিল দীঘার একটি হোটেলে। সেখানে থেকে দার্জিলিংয়ে গিয়ে পর্যটক পরিচয়ে আত্মগোপন করেছিল তারা। এরপর দার্জিলিং থেকে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়েছিল। কলকাতার লেনিন সরণীর একটি হোটেলে উঠেছিল। কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে আত্মগোপন করছিল। এমনকি ভিন্ন নাম দিয়ে ভুয়ো আধারকার্ড বানিয়েছিলেন তারা।
এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে গ্রেফতার হয় ওই দুই জঙ্গি। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সবরকম নিয়ম তাঁরা মেনেই চলেন। তারপরেও কীভাবে এই দুই জঙ্গি এখানে এসে থাকল সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। এনআইএ সূ্ত্রের খবর, আইডি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত ছিল আব্দুল এবং মুসাভির।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ। কিন্তু কারা এই আব্দুল মাথিন এবং মুসাভির হোসেন? কীভাবে তারা জড়িয়ে পড়লেন এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে? এইবারই প্রথম নয় এরআগেও এই দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। যেহেতু ঘটনাটি আইডি বিস্ফোরণের, ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকবে সেটাই অনুমান করেছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। মাথিন ও মুসাভির ছন্দনাম নিয়ে আত্মগোপন করেছিল। এই দুই সন্দেহভাজনের হদিশ পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় এনআইএ-র পক্ষ থেকে। শুক্রবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্নাটকের পুলিসও ছিল এই অভিযানে।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ভূপতিনগরে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল এনআইএ আধিকারিকদের। এদিকে পুলিস এনআইএর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার আবেদন জানানো হয়েছে। আজই বেলা আড়াইটে নাগাদ এই মামলার শুনানি৷
সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। আধিকারিকের মাথা ফাটে। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে ফেরেন তদন্তকারীরা। এরপর দেখা গিয়েছিল ইডির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ইডিকেও সেই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। এবার একই পথে হেঁটে এনআইএও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে গিয়েছিল এনআইএ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন তারা। গ্রামবাসীদের মধ্যে মূলত মহিলারা পথ আটকান। লাঠি, বাঁশ নিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখান। গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়৷
অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বাধা দেওয়া হয়। একজন এনআইএ অফিসার জখম হন। সেই ঘটনায় এনআইএ অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ করা হয়। ভূপতিনগরের ঘটনায় রীতিমতো তরজা চলছে রাজনৈতিক শিবিরে।
শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মঙ্গলবার সকাল অবধি গ্রেফতার করেনি বলে খবর৷ এনআইএর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার এই অঅভিযোগ দায়ের করেছে৷ এই অভিযোগের তদন্ত পুলিস করছে।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে ফের এনআইএ-র পক্ষ থেকে তলব করা হল তিন তৃণমূল নেতাকে। আজ, সোমবার কলকাতায় এনআইএ-এর সদর দফতরে এসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই তিন তৃণমূল নেতাকে। যে তিনজনকে তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সুবীর মাইতি, নবকুমার পান্ডা ও মানব কুমার পয়রাকে।
গত শনিবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে দুই মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃত ওই দু'জন হল বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। এনআইএ-এর আধিকারিকরা ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। জনরোষে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সদস্য়দের। NIA-এর গাড়ি লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট পাথর। আর সেই ইটের আঘাতে আহত হন দুই এনআইএ আধিকারিক। এমনকি তাঁদের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। টায়ার জ্বালিয়ে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ অবরোধ। যদিও এখন পুরোপুরি শান্ত রয়েছে ভূপতিনগর।
গত ২০২২ এর ২রা ডিসেম্বর ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগর থানা এলাকার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা ফেলা হয়। আর সেই বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্য়ু তিনজনের। বোমার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। নবকুমার পান্ডা, সুবীর মাইতি, মিলন বার, অরুন মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, বলাইচরণ মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, মানব কুমার পড়ুয়া এবং মনোব্রত জানা। এই ৮ তৃণমূল নেতা কর্মীকে বেশ কয়েকদিন আগেই এনআইএ-র পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল। এর মধ্য়ে আজ ফের তিনজনকে তলব করা হয় এনআইএয়ের তরফে।
ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ মামলায় দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ওই দুটি মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরী হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু'জন, বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল ওই দুই ধৃত।
পূর্ব মেদিনীপুরের নারুয়াবিল্লা গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাড়িতে গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। রাজ্য পুলিস প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণে নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। পরবর্তীকালে, কলকাতা হাইকোর্টে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি প্রয়োগ করার এবং মামলাটি NIA-তে স্থানান্তর করার জন্য একটি প্রার্থনা সহ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে NIA মামলাটি গ্রহণ করে।
বিস্ফোরনকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন এনআইএ এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের ভূমিকা উন্মোচন করেছেন। যার মধ্যে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত, নরুয়াবিলা গ্রামের মনোব্রত জানা এবং নিনরুয়া আনালবেরিয়ার বলাই চরণ মাইতি। এই দুই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অপরিশোধিত বোমা তৈরির ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল এবং এর জন্য সমর্থন বাড়িয়েছিল। এনআইএ আধিকারিকরা তা তদন্তে খুঁজে পেয়েছিল, যার ফলে আজকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর। ইডি হামলার পর এবার ভোটমুখে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিষ্ফোরনকাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সদস্য়দের। NIA-এর গাড়ি লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট পাথর। আর সেই ইটের আঘাতে আহত হন দুই এনআইএ আধিকারিক। ভাঙা হয় গাড়ির কাঁচ, এমনকি তাঁদের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় ইডিকে। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিল একাধিক ইডি আধিকারিক সহ চিত্র সাংবাদিকও। ইডির উপর হামালা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্য়ে। এরপর ৬ এপ্রিল শনিবার ফের হামলার মুখে পড়েন এনআইএ। ইতিমধ্য়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ আধিকারিকরা।
ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভূপতিনগর থানা এলাকার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গত ২০২২ এর ২রা ডিসেম্বর তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী এনআইএ-এর প্রতিনিধি দল দুজনকে অ্যারেস্ট করেন। নবকুমার পান্ডা, সুবীর মাইতি, মিলন বার, অরুন মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, বলাইচরণ মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, মানব কুমার পড়ুয়া, এবং মনোব্রত জানা। এই ৮ তৃণমূল নেতা কর্মীকে বেশ কয়েকদিন আগেই এনআইএ-র পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল। এরমধ্য়ে মনব্রত জানা ও বলাইচরণ মাইতিকে আটক করে নিয়ে আসার সময় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
প্রসূন গুপ্ত: ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ অবধি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। অবিশ্যি এর মধ্যে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর প্রয়ানে তিনিই প্রথম রাজ্যসভা থেকে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকে নেহেরু/গান্ধী পরিবার থেকে আর কেউ রাজ্যসভায় দাঁড়ান নি। এবারে ইন্দিরার পুত্রবধূ সনিয়া রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সনিয়া হঠাৎ রাজ্যসভায় কেন? দাঁড়ালে কোথা থেকে এবং তাঁদের পারিবারিক কেন্দ্র রায়বেরিলিতে কে দাঁড়াবে?
আপাতত ঠিক হয়েছে সনিয়া গান্ধী রাজস্থান থেকে দাঁড়াচ্ছেন। সেখানকার সদ্য বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত, সনিয়ার নির্বাচনী এজেন্ট। এই রাজস্থান থেকেই সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি আর সরাসরি রাজনীতিতে থাকছেন না বলেই খবর। অন্যদিকে পরে থাকে রায়বেরিলি।
সূত্রের খবর এবার প্রথম এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এতদিন খোদ সনিয়ার আপত্তিতে প্রিয়াঙ্কা ভোটে আসেন নি। তিনি কিন্তু প্রচারে ছিলেন বহুদিন। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি রাহুলের উপর আস্থা নেই তাঁর মায়ের?
বিষয়টি ভিন্ন। একসময় ভোট যাদুগর প্রশান্ত কিশোর গান্ধী পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে, প্রিয়াঙ্কাকে প্রোজেক্ট করতে। তাঁর মধ্যে নাকি ঠাকুমা ইন্দিরার লক্ষন ইতিবাচক রয়েছে। কিন্তু সনিয়া বা রাহুল বিষয়টিকে আমল দেন নি। এখন শেষ মুহূর্তে বদল কি পিকের টোটকা?
প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদী কিন্তু সময়ে সময়ে এই পরিবারকে কটাক্ষ করেছেন পরিবারতন্ত্র নিয়ে। কংগ্রেসের বক্তব্য ঐ কারনেই আরও বেশি করে বিরোধীতা করবে তারা। তাই কি প্রিয়াঙ্কাকে ভোটে নিয়ে আসা? সময় জবাব দেবে।
করোনার (Corona) দাপট বিশ্বে সবেমাত্র কমেছে। কিন্তু এরই মাঝে চিনে ফের নয়া রোগের আতঙ্ক। 'অজানা নিউমোনিয়া' অর্থাৎ 'এইচ৯ এন২'-এ চিনে শিশুরা আক্রান্ত হতে শুরু হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালে থিকথিকে ভিড়। এবারে এই রোগ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ আপাতত এই রোগ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। এছাড়াও জানানো হয়েছে, যে কোনও ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য ভারত প্রস্তুত।
মূলত শিশুরাই অসুস্থ হচ্ছে এই 'অজানা নিউমোনিয়া'য়। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এই 'অজানা নিউমোনিয়া' ভারতেও ছড়িয়ে পড়বে না তো, এমনই প্রশ্ন প্রত্যেক ভারতবাসীর। এবারে এই প্রশ্নের জবাবে বিবৃতি প্রকাশ করে কিছুটা স্বস্তি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত চিনের 'অজানা নিউমোনিয়া' ভারতে ছড়িয়ে পড়ার কোনও লক্ষণ নেই। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চিনে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ফুসফুসের সংক্রমণ ও এইচ৯এন২ সংক্রমণের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ভারতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বর্তমান পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে ভারত যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গেই লড়াই করতে প্রস্তুত।
সারা বিশ্বে করোনার (Corona) দাপট আপাতত কমেছে, মানুষ ফের স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে শুরু করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ফের এক রহস্যজনক রোগের প্রকোপ শুরু হল। আর এবারও এর শুরু চিন থেকেই। 'অজানা নিউমোনিয়া' বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে এই রোগকে। জানা গিয়েছে, মূলত শিশুরাই অসুস্থ হচ্ছে এতে। ইতিমধ্যেই এই রোগের জন্য স্থানীয় স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, 'অজানা' এই নিউমোনিয়া রোগ মূলত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশের স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়েছে। এই দুই জায়গায় শিশু হাসপাতালগুলি নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুতে ভরে গিয়েছে। ১২ নভেম্বর এক সাংবাদিক বৈঠক করে চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন সম্ভবত প্রথমবারের মতো বাড়তে থাকা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিল। হাসপাতালগুলিতে অজানা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে বলে দাবি।
জানা গিয়েছে, অজানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের মূলত জ্বর হচ্ছে, ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে শিশুদেরই এই রোগ হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সেভাবে ছড়াচ্ছে না রোগটি। কিন্তু এই রোগে এখনও পর্যন্ত কোনও রোগীমৃত্যুর কোনও খবর আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। অজানা এই নিউমোনিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'।
সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের পর এবার সক্রিয় এনআইএ। মানব পাচার চক্রের সন্ধানে বুধবার ভোররাত থেকে একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বারাসত থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বারাসতের ব্যবসায়ী সঞ্জীব দে-কে। আবার ঠাকুরনগর থেকেও ১ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নবপল্লী রমেশ পল্লীর বাসিন্দা সঞ্জীব দে। অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যে রাতেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এনআই-এর দুটি টিম। গতকাল রাত থেকে সকাল অবধি তল্লাশি চলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে। এনআইএ সূত্রে খবর, তাঁর বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে অদূরেই ওই ব্যক্তির অফিস ছিল। অপরদিকে, পাচার চক্রের আড়ালে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী কার্যকলাপের সন্ধানে ঠাকুরনগর আনন্দপাড়া এলাকাতে হানা দেয় গোয়েন্দাদের একটি বিশেষ টিম। ভোর রাত থেকে বুধবার সকাল প্রায় ১১ টা পর্যন্ত অভিযুক্তের বাড়িতে থাকে দলটি৷ একজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তের নাম বিকাশ সরকার৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে এসে প্রথমে মধ্যমগ্রামে একটি মোবাইলের দোকান দিয়ে রিপেয়ারিং-এর কাজ করতেন। পরিচিত একজনের মারফত বনগাঁর ঠাকুরনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
সূত্রের খবর, সীমান্ত পার করে পাচার চক্রের কাজ চালাতেন। এই চক্রের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর সীমান্ত পার করে নিয়ে আসা হতো বলে এমনটাই অনুমান গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের। বিকাশ সরকারের স্ত্রী ঝর্ণা সরকার জানিয়েছেন। ৪-৫ মাস আগে তিনি চিকিৎসা করতে ভারতে এসেছেন৷ বর্তমানে তিনি এই বাড়িতেই রয়েছেন স্বামীর সঙ্গে৷ বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা তাঁরা।
মানব পাচার তদন্তে নেমে এদিন ঠাকুরনগর, বারাসতের পাশাপাশি হাবরা বানিপুর হীরাপোল এলাকায় এক যুবকের বাড়িতে যায় এনআইএ- এর একটি বিশেষ টিম।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর তিনটে নাগাদ চারটে গাড়ি করে এনআইএর একটি দল আসে। সেসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ফিরে যায় আধিকারিকরা। যুবকের নাম কিঙ্কর দাস। যুবক স্থানীয় একটি গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশে রয়েছে পারিবারিক কাজে। এনআইএ সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার কলকাতা এনআইএ অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কিঙ্করকে।
কেরলের কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার তদন্ত করবে এনআইএ। রবিবার সকালে অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। মৃত্যু হয় একজনের। জখম ২০ জনের বেশি। ঘটনার পরপরই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন।
অমিত শাহের নির্দেশ,অবিলম্বেই যেন ঘটনাস্থলে এনআইএ ও এনএসজি টিম পাঠানো হয়। সেই নির্দেশ মতোই ৪। জনের এনআইএ টিম গঠন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ-ও।
জানা গিয়েছে সকাল ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। সেইসময় সেখানে প্রায় ২০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, একাধিকবার বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু কী কারণে বিস্ফোরণ, তা এখনও জানা যায়নি।
ফের প্রাণনাশের হুমকি পেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামও উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ই-মেল এসেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এবারে সরাসরি হুমকি ই-মেল এসেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) কাছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ৫০০ কোটি টাকা ও লরেন বিষ্ণোইকে মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতি এনআইএ-এর কাছে হুমকি ভরা ই-মেল এসেছে, যেখানে হিন্দিতে লেখা রয়েছে, "তোমার সরকারের থেকে আমাদের ৫০০ কোটি আর লরেন্স বিষ্ণোই চাই। নয়তো কাল আমরা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামও উড়িয়ে দেব। হিন্দুস্তানে সব কিছু বিক্রি হয়, আমরাও কিছু কিনে নিয়েছি। যতই নিরাপত্তা নিশ্চিত কর আমাদের থেকে বাঁচতে পারবে না। যদি কথা বলতে হয় তো এই মেলের মাধ্যমে কথা বল।"
তবে কে বা কারা বা কোন গোষ্ঠীর তরফে এই হুমকি মেল দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং বা ঘনিষ্ঠের তরফেই ই-মেলটি করা হতে পারে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান।