মুর্শিদাবাদে মধ্যরাতে চলল গুলি। পর পর এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত এক যুবক। খুনের অভিযোগ মৃতের পরিবারের। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শ্যামবাবু রায়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের দিয়ারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন হামলা। অন্য়দিকে নিহত যুবক তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিয়ে বাড়িতে দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে বচসা বাঁধে। এরপরেই রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শ্যামবাবু রাস্তায় বেরোতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। গুলি গিয়ে লাগে তাঁর মুখে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিস।
নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও বিলেতি মদ সহ গ্রেফতার দুই বাংলাদেশী ষুবক। উদ্ধার ৩৪৬ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ বোতল বিলেতি মদ। বিএসএফরা ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশি দুই যুবকের নাম হাবিবুর রহমান ও মোহাম্মদ সাহিন রেজা। দুজনের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃত দুই বাংলাদেশীকে বহরমপুর কোর্টে পাঠায় পুলিস।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতির চাঁদনীচক এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার সময় দুজনকে সন্দেহ হয়। তারপর ফেনসিডিল ও বিলেতি মদ সহ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে ১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়ানচ-এর জওয়ানরা। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।
বিয়ের সাত বছরের মাথায় স্ত্রী ও সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অজ্ঞান করে কাশ্মীরে বিক্রি করা হয়েছিল স্ত্রী ও দুইবছরের ছেলেকে। তারপর ২৪ বছর পর লুকিয়ে বাড়িতে ফিরলেন আকলেমা বিবি ও তাঁর ছেলে নয়ন শেখ (২৬)। রবিবার বিকেলে বাড়ি ফিরেই স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে রানিনগর থানার দারস্থ হন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলশেমারি এলাকার আকলেমা বিবির সঙ্গে প্রায় তিনদশক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই এলাকারই ইয়াসিন শেখ নামের এক ব্যক্তির। বিয়ের পরে কয়েকবছর ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। তাঁদের একটা পুত্র সন্তান হয়েছিল। গৃহবধূর অভিযোগ, সন্তান হওয়ার দু'বছরের মাথায় তাঁর স্বামী অজ্ঞান করে তাঁকে ও কোলের সন্তানকে কাশ্মীরের এক পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেয়। তারপর থেকে কাশ্মীরেই ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন ওই মহিলা। দীর্ঘ চব্বিশ বছরে একাধিকবার সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করলেও ওই বাড়ির মালিক তাদের আসতে দেয়নি। দিন কয়েক আগে সেখান থেকে লুকিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় তারা। রবিবার রানিনগরে এসে পৌঁছন তাঁরা। এলাকায় এসে পরিবারের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে রানিনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
ছেলে নয়ন শেখ বলেন, 'মায়ের কাছে শুনেছি আমি যখন দু'বছরের ছিলাম, তখন আমার বাবা আমাদের কাশ্মীরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওখানেই আমি বড় হয়েছি। ওখানেই বাগান পরিষ্কার, বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করতাম। আমরা আসতে চাইলেও সেই সুযোগ ছিলনা। এরপর ক'দিন আগে সেখান থেকে লুকিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আমরা পাড়ি দিই।'
আবারও ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের ত্রিশূল জেলার আধারপল্লী এলাকায়।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সিনারুল ইসলাম (২২)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানার ফকিরাবাদ এলাকায়।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার মাস আগে সিনারুল ইসলাম নামের ওই যুবক কেরলে কাজে যান। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও সিনারুলের কথা হয়েছিল তাঁর পরিবারের সঙ্গে। তারপর হঠাৎ শুক্রবার ফোন করে সিনারুলের মৃত্যুর খবর জানানো হয় তাঁর পরিবারকে। ইলেকট্রিক শকে তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
মধ্য়বিত্ত সংসারের হাল ধরতে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তাঁর আর বাড়ি ফেরা হলো না। কীভাবে তাঁর মৃতদেহটি বাড়িতে আনা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার। সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।
রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে চলল পর পর গুলি। গুলির আঘাতে আহত হন এক ব্য়ক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানীনগরের সীমান্তবর্তী এলাকার একান্ন বর্ডার পাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়িতেই ছিলেন মনোজ মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তি। হঠাৎই রাতে সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে এসে ডাকাডাকি শুরু করে। তারপর তাঁর স্ত্রী দরজা খুলতেই তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে মনোজ মণ্ডলকে লক্ষ্য় করে গুলি চালাতে শুরু করে। আর গুলিবিদ্ধ হয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনোজ মণ্ডল। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত ধোঁয়াশা শুরু হয়েছে এলাকা জুড়ে। রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গের দাবি, জখম কর্মী তৃণমূলের কর্মী। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল ওই ব্যক্তি। সেই কারণে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির নেতৃত্ব। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীনগর পুলিস প্রশাসন।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার জয়রামপুরে অবৈধ মাটির কাটার অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল অবৈধ মাটি কাটার কাজ। খবর পেয়ে জয়রামপুরে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে ফরাক্কা থানার পুলিস। পাঁচটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর, একটি জেসিবি মেশিন সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ফরাক্কা থানার অন্তর্গত জয়রামপুর এলাকায় একটি বাগানে অবৈধভাবে মাটি কাটার কাজ চলছিল। মঙ্গলবার গোপনসূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে জয়রামপুর এলাকায় একটি অভিযান চালায় ফরাক্কা থানার পুলিস। সেই অভিযানে পুলিসের সঙ্গে ছিলেন বিডিও অফিসের আধিকারিক ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক। ফরাক্কা সহ বিভিন্ন এলাকায় সেই মাটিগুলোকে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই মাটি কারবারের সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
রেজিস্ট্রেশন জাল করে দিনের পর দিন ডাক্তারি করা অভিযোগ। ঘটনায় সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে গ্রেফতার হয় ওই ভুয়ো ডাক্তার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ভুয়ো ডাক্তারের নাম অরবিন্দকুমার গুপ্ত। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। বৃহস্পতিবার ধৃত ওই ভুয়ো ডাক্তারকে জঙ্গিপুর মহুকুমা আদালতে পাঠায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অরবিন্দকুমার গুপ্ত কলকাতার এক বিখ্যাত ডাক্তারের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর জাল করে ফরাক্কার একটি নার্সিংহোমে বেশ কয়েক বছর ধরে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখছিলেন। অরবিন্দ নিজেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, কলকাতার চিকিৎসক অরবিন্দকুমার গুপ্ত অন্য়ের ডকুমেন্ট ও ডাক্তারি ডিগ্রি জাল করে ডাক্তারি করতেন।
বুধবার ফরাক্কার সেই নার্সিংহোম ছেড়ে অরবিন্দকুমার সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আরএমও হিসেবে যোগদান করতে যান। তখনই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সেই ডাক্তারের কাছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চান। কিন্তু উনি রেজিস্ট্রেশন নম্বরের যে কাগজটি দেখান সেটা দেখেই কার্যত সন্দেহ হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। তারপরেই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সত্যতা যাচাই করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। ওই ভুয়ো ডাক্তার কলকাতার একজন বিখ্যাত ইএনটি স্পেশালিস্টের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জাল করে প্রাকটিস করছিলেন। তারপরেই বিষয়টি সামশেরগঞ্জ থানায় জানানো হয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ওই ভুয়ো ডাক্তার অরবিন্দ কুমার গুপ্তকে আটক করে নিয়ে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাকে।
শ্মশান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ট্রাক্টরের সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন জনের। ঘটনায় আহত আরও ২২ জন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মূর্শিদাবাদের বারালা গ্রামের কাছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম বিকি মাল, রাজা মাল ও লক্ষ্মণ মাল। এরপর আহতদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বহরমপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার বীরভূমের নলহাটি থানার পাইকপাড়া গ্রামের এক বৃদ্ধ মারা যান। তাঁর শবদেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে। সেখানে শবদেহ দাহ করে একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে ওমরপুর-মুরারই রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন শ্মশানযাত্রীরা। সেই সময় সামনের দিক থেকে আসা একটি পাথর বোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজন পিকআপ ভ্যান যাত্রীর।
দুর্ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জঙ্গীপুর থানার পুলিস। এরপর পুলিস দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িদুটিকে আটক করে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুসরিপাড়া এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ ধুসরিপাড়া গঙ্গাঘাট এলাকায় স্নান করতে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় হঠাৎ গঙ্গার জলের সঙ্গে ভেসে আসতে দেখেন এক যুবকের মৃতদেহ। তবে ওই মৃতদেহটির পায়ের সঙ্গে দড়ি বাঁধা ছিল। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় সামশেরগঞ্জ থানায়। মৃত যুবকের নাম ও পরিচয় জানার পাশাপাশি কিভাবে ওই যুবকের মৃতদেহ গঙ্গায় এলো? আর কি করেই বা মৃত্যু হল তা নিয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
দালাল চক্রের অভিযোগ এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মা বিভাগে। অর্থের বিনিময়ে চলছে সরকারি হাসপাতালের সমস্ত কাজ। টাকা ছাড়া পাওয়া যাবে না কোনও পরিষেবা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অন্য একটি বিভাগ মাতৃ মা। সেটাও এখন দালাল রাজের এক অন্যতম আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি রোগী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতৃ মায়ের ভিতরে মেয়েদের ছাড়া সকলের প্রবেশ নিষেধ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাতৃ মায়ে কর্মরত ওয়ার্ড বয় ও সহকারীরা রীতিমত টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে। আবার কখোনও চিকিৎসার অভাবে গর্ভবতী মায়েদের বাধ্য হয়ে মাতৃ মা ছেড়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। কিন্তু যাদের আর্থিক সংকট তাঁদের এক প্রকার বাধ্য হয়েই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। যার ফলে চিকিৎসার গাফিলতি তে প্রসূতি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগ, প্রসূতির আলট্রাসোনোগ্রাফির ছবি তোলা কিংবা বেডে দেওয়ার জন্য ধার্য করা হয় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি কখনো কখনো চিকিৎসা না করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা নিরুপায় হয়ে তাঁদের কথা মতো টাকা দিয়ে নিজেদের চিকিৎসাটুকু করিয়ে নেয়। আর এভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলছে দালাল চক্রের রাজত্ব।
যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের দেওয়ালের লেখা রয়েছে চিকিৎসাক্ষেত্রে কাউকে পয়সা দেবেন না অথবা কোনো প্রকার অভিযোগ থাকলে একটি নাম্বারও দেওয়া আছে।
বাড়ি থেকে জোরপূর্বকভাবে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভোর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। অভিযোগ, নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ির থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবক খড়গ্রাম থানার বাসিন্দা।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে রাখে অভিযুক্ত ওই যুবক। তারপর সেখানেই রাতভোর যৌন নির্যাতন করা হয় এবং শনিবার ভোরবেলায় নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে নির্যাতিতা নাবালিক তার নিজের বাড়িতে যান এবং সম্মানহানির কারণে গায়ে আগুন দেয় বলে অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। এরপর স্থানীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
নৃশংস এই ঘটনার জেরে অভিযুক্ত ওই যুবক সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিস। ঘটনার জেরে মৃতার পরিবার সহ প্রতিবেশীরাও ক্ষোভে ফুঁসছে।
৩০৭ গ্রাম হেরোইন সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ফরাক্কা থানার পুলিস। শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছ থেকে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুভাষ মন্ডল (৪০) ও সঞ্জিৎ মন্ডল (৩৫)। দুজনের বাড়ি মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার চড়সুজা পুর। শনিবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে দশ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়ে জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর ফরাক্কার আকুরা ব্রিজের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। দুজনের ব্যাগ তল্লাশি করে ৩০৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে দুই জন অভিযুক্তকে হেরোইন সহ গ্রেফতার করে ফরাক্কা থানার পুলিস। পুলিসের অনুমান, মুর্শিদাবাদ থেকে মাদকগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়।
তবে কোথা থেকে, কী উদ্দেশ্যে ওই দুই ব্যক্তি ফরাক্কায় হেরোইন নিয়ে এসেছিল তার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানার পুলিস।
রাস্তায় পড়ে ছিল বোমা। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে শঙ্করপুর হাউসনগরে। তড়িঘড়ি ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ওই তিন শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। আর সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন পুকুর থেকে পাওয়া একটি বোমাকে তারা বল ভেবে খেলতে থাকে। তারপর হঠাৎ সেই বোমা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ফেটে যায়।এরফলে জখম হয় তিন শিশু। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এসে দেখেন ওই তিন শিশু বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে কে বা কারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় বোমা রেখে গিয়েছিল। আর ঠিক কোন উদ্দেশ্যেই বা রেখে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
রাতের অন্ধকারে সিংহবাহিনীর মূর্তি চুরির চেষ্টা দুস্কৃতীদের। বৃহস্পতিবার রাতে বড়ঞার পাঁচথুপির ৩৫০ বছরের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি সিংহবাহিনী মন্দিরে চলে দুষ্কৃতীদের হামলা। ঘটনাকে ঘিরে পুলিসি ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচথুপি ঘোষ হাজরা পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছ প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন এই সিংহবাহিনী মন্দির। সেখানে রয়েছে সোনা সহ অষ্ট ধাতুর মূর্তি। মন্দির পরিচালনাকারী ঘোষ হাজরা পরিবারের দাবি, কয়েক বছর আগে এই মন্দিরের সোনার মূর্তি এবং বিভিন্ন অলঙ্কার চুরি গিয়েছিল। তখন বড়ঞা থানার তৎকালীন ওসি এই মন্দিরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। নিরাপত্তার জন্য রাতে দুটি করে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দায়িত্বে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে কোন নিরাপত্তা ব্য়বস্থা নেই। এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাও নেই। যারফলে এখন দুস্কৃতী আতঙ্ক বেশ বেড়ে গিয়েছে। তবে সামন্য়র জন্য় দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। কারণ তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় ঘোষ হাজরা পরিবারের লোকেদের। তারপর তাঁরা বাইরে বেরিয়ে মন্দিরের দরজা খোলা দেখেই দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে। যদিও ততক্ষণে বুঝতে পেরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পাচারের আগে গাঁজা সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সাগরদীঘি থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬১ কেজি গাঁজা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের নাম শ্বেতাপ রায় ও সঞ্জিত সিং। দুজনের বাড়ি দার্জিলিং-এর প্রধান নগর থানা এলাকায়। আজ অর্থাৎ বুধবার ধৃতদের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে সাগরদীঘি থানার পুলিস। তারপর মোরগ্রামের কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু করে পুলিস। ঠিক সেই সময় একটি চারচাকা গাড়ি করে শিলিগুড়ি থেকে বহরমপুরে যাচ্ছিল। কিন্তু বহরমপুর যাবার পথে মোরগ্রামের কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে।সন্দেহবশত কারণে ওই চারচাকা গাড়ি আটক করে পুলিস। এরপর গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ৬১ কেজি গাঁজা। গাড়িতে থাকা ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিসের অনুমান, গাড়িতে করে গাঁজাগুলি পাচারের উদ্দেশ্য়েই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত ছক ভেঙে দিল সাগরদীঘি থানার পুলিস। তবে এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন।