উত্তর দিনাজপুরে (North DinajPur) প্রকাশ্যে তৃণমূল (TMC) বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির সংঘাত। মঙ্গলবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক (TMC MLA) আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, 'আমি মমতা দি-কে বারবার বলে আসছি এই সন্ত্রাসবাদীকে নেতা না করতে। একটা সন্ত্রাসবাদীকে এখানে রাখবেন না। আমি মোট ১১ বার বিধায়ক হয়েছিল। কিন্তু কোনও বার সন্ত্রাস করে ভোট করিনি। সংগঠন এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়েছি।'
তিনি জানান, বুথ ক্যাপচার, হিংসার আশ্রয় নিয়ে ভোট করিনি। কিন্তু এখন এই সন্ত্রাসবাদী হুমকি নিয়ে ভোট করাচ্ছে। অভিষেক নিজেই বলেছে ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কথা দিয়েছিল, করিম দা আমি আপনাকে মর্যাদা দেব। আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি, আপনার সম্মান ফিরিয়ে দেব। কিন্তু এখন সেই সম্মান দিচ্ছেন না কেন? আগেরবার আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছে, আগামি দিনে দাঁড়ালে আমাকে হারানোর চেষ্টা করবে। এই লোককে কেন দায়িত্ব দিচ্ছেন।
রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষভ উগড়ে দিয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, 'যে ব্যবহার আমাকে দিচ্ছে নেতৃত্ব, সেই ব্যবহার আমার প্রাপ্য নয়।'
এদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই জাকির হোসেন জানান, বাংলায় কারও ব্যক্তিগত এলাকা নেই। বাংলা একটাই, আর সেই একটা বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন করছে। আমার নিজের কিছু নেই যা আছে দলের। আমার পিছন থেকে তৃণমূলের প্রতীক সরলে সাম্নের দিকে ফাঁকা হয়ে যাবে। দলের শক্তি সর্বশক্তি, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানুষের সঙ্গে থেকে দলের কাজ করা। আগামি দিনেও নিষ্ঠা ভরে সেই কাজ করব। তিনি বলেন, 'দলের একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনা করব না। উনি কী বলেছেন সেটা দল দেখে বিচার করবে।'
এই সংঘাতকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা তাপস বিশ্বাস বলেন, 'তৃণমূলের এক বিধায়ক, তাঁর দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বলছে। তৃণমূলের ব্লক, অঞ্চল বা জেলা সভাপতি হতে গেলে তাঁকে বুথ দখল, কাট্মানি আদায়ে পটু হতে হবে। বিরোধী কণ্ঠরোধে পটু হতে হবে। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতির এসব যোগ্যতা আছে। কিন্তু ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক, মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বুথ দখল বা সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। উনি ভালো লোক, চাইছেন এখানে দলটা ভালো ভাবে ভালো পথে চলুক।'
প্রয়াত হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল। মঙ্গলবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। গত মাস ছয়েক ধরে বার্ধক্য জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। বাড়ি থেকেই চিকিৎসা চলছিল। সোমবার গভীর রাতে আচমকাই অসুস্থতা বাড়ে। ভোর রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। রূপচাঁদের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাম নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৮ সালে সিপিএম দলের সদস্য হন। সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য থাকার পাশাপাশি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি। সিআইটিইউ সংগঠনের সহ সভাপতি থাকার পাশাপাশি তিনি পিআরসির সভাপতি ছিলেন। প্রথমে মগরা বাঘাটি কলেজ এবং পরে নৈহাটি ঋষি বঙ্কিম কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপনা ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী ছিলেন। সপ্তম লোকসভা নির্বাচনে ১৯৮০ সালে হুগলি লোকসভা থেকে প্রথম নির্বাচিত হন সিপিএম নেতা অধ্যাপক রূপচাঁদ পাল। ১৯৮৪ সালে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দুমতী ভট্টাচার্যর কাছে পরাজিত হন। পরবর্তী সময় আবার ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন।
ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) নিয়োগে বেনিয়মের মামলা এক যুগ পরে ফের বিচারের জন্য ফিরল স্যাটে (SAT)। ওই নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে কি না, আগামী দু মাসের মধ্যে তা খতিয়ে দেখে রায় দিতে হবে স্যাটকে।
এর আগে ২০১০ সালে ৬৫০ জন ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে স্যাট মামলায় কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেয়। হাইকোর্টে মামলা এলে ডিভিশন বেঞ্চ স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় স্যাটকে। সেই মামলায় গত বছর স্যাট আগের নিয়োগ তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়। ফের মামলা আসে হাইকোর্টে। আজ বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির বিচার করতে হবে স্যাটকে।
উল্লেখ্য, এর আগে ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অস্বচ্ছতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাট অফ মার্কস না প্রকাশ করা, রিজার্ভেশন নীতি প্রয়োগ না করা ইত্যাদি কারণের জন্য এই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে ট্রাইবুনাল।
৯৫৭ টি শূন্য পদে ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। ওই নির্দেশের ফলে ৯৫৭ জনের চাকরি নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ডাম্পিং ল্যান্ড থেকে উদ্ধার প্রায় ১৮-২০ টি শিশুর দেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার সাফাইকর্মীরা জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন। তাঁরাই প্রথম ওই ভ্রূণগুলি দেখতে পান। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ১০টি মেয়ে, ৬ টি ছেলের। বাকিগুলির ভ্রূণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীতলা খাঁ পাড়ার ভাগাড় থেকে এই ভ্রূণগুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, জনবসতি এলাকায় এই ভাগাড় থাকায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। উলুবেড়িয়া শহর এলাকায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে গর্ভপাত করানোর পর ভ্রুণগুলিকে ওই ভাগাড়ে নিয়ে এসে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের। ভ্রুণগুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গোটা ঘটনায় তদন্তে পুলিস।
অসম-মেঘালয় সীমান্তে (Assam-Meghalaya border) অসমের গোয়ালপাড়া (Goalpara) জেলায় বুনো হাতির আক্রমণে (Wild Elephant Attack) এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। সোমবার ভোররাতে ওই সীমানায় লখিপুরের কাছে কুরাং গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বুনো হাতির একটি দল খাবারের সন্ধানে মেঘালয়ের নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে এসেছিল এবং লোকজনকে আক্রমণ করে। লখিপুরের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার ধ্রুব দত্ত জানিয়েছেন, "হাতির আক্রমণে একটি শিশু সহ তিনজন নিহত হয়েছে।"
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্য হাতিরা প্রায়ই এলাকায় ঘরবাড়ির ক্ষতি করে। নষ্ট করে দেয় তাঁদের ফসল।
গত মাসে একটি বুনো হাতি গুয়াহাটির আমচিং জোরাবত এলাকায় এক যুবককে আক্রমণ করেছিল। এবং গত মে মাসে, অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় লখিপুর ফরেস্ট রেঞ্জের অন্তর্গত শালবাড়ি আংটিহারা গ্রামে বন্য হাতির দ্বারা পদদলিত হয়ে দুই নারীসহ এক পরিবারের তিনজন নিহত হয়।
টেট (TET) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ফের তলব করল ইডি। আজ দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁকে হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাত্ ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। এবার নির্দিষ্ট সময় পর হাজিরা না দিলে সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের(legal step) সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আজ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বিকেলে মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা ইডির, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে জানা গেছে, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি, যাতে ছিল সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। মানিক ভট্টাচার্যকে ওই সংশোধিত তালিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তদন্তকারী ইডি আধিকারিকরা। তারপরই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অর্থনীতিবিদ (Economist) এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ (Anita Bose Pfaff) ফের নেতাজির "শেষ চিহ্নটুকু" জাপান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভারত (India) এবং জাপান (Japan) উভয়েই তাঁর দাবিতে (demand) ঢিলেমি করেছে। নেতাজিকন্যা (daughter of Netaji) বলেন, নেতাজি দেশ স্বাধীন হয়েছে দেখে যেতে পারেননি। তাই তাঁর শেষ চিহ্নটুকু ভারতে ফিরিয়ে আনলে তিনি পরিতৃপ্ত হবেন। এক সংবাদসংস্থা সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
তাঁর দাবি, টোকিওর রেনকোজির মন্দিরে যে চিতাভস্ম রাখা আছে, ডিএনএ (DNA) পরীক্ষার মাধ্যমে তা নেতাজিরই কি না, জানা সম্ভব। সেই তথ্যও সকলের সামনে আনার আবেদন জানিয়েছেন অনিতা বসু পাফ।
উল্লেখ্য, আজও নেতাজিকে নিয়ে রহস্য উদঘাটিত হয়নি। নেতাজিকন্যা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "নেতাজির একমাত্র কন্যা হিসেবে আমি তাঁর একান্ত ইচ্ছের কথা জনসমক্ষে জানালাম। তিনি চাইতেন, স্বাধীন দেশে ফিরতে। সেটা আর সম্ভব নয়, তাই অন্তত তাঁর শেষ চিহ্নটুকু ফিরিয়ে আনা হোক। যাতে নিজের দেশে উপযুক্ত সম্মানটুকু তাঁকে দেশবাসী দিতে পারে।"
বিবৃতির সবশেষে অনিতা লিখছেন, "প্রত্যেক ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশবাসী, যাঁরা আজ স্বাধীনতার সঙ্গে বাঁচতে পারছেন, তাঁরা সবাই নেতাজির পরিবার। আমি আমার সমস্ত ভাই, বোনেদের অভিনন্দন জানাই। এবং তাঁদের কাছে আবেদন করতে চাই, তাঁরা যেন নেতাজিকে ঘরে ফেরাতে আমার উদ্যোগকে সমর্থন জানান।"
নেতাজির অন্তর্ধান-রহস্য উদঘাটনের তদন্তে কমিশন গঠিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও রহস্য আজও অধরা। কিন্তু তিনি আছেন, থাকবেন বাঙালির মননে, আত্মচেতনায়। স্বাধীন দেশের নাগরিকও জানতে চায়, এই মহান মানুষের অন্তর্ধান রহস্য।
আমি জানতাম, দিদি বুঝতে পারবে, আমি কোনও অপরাধ করিনি। আমি কোনওভাবে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। সোমবার নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করার পর বাইরে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অনুব্রত (Anubrata) এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী (Self Confident)। উনি আগে থেকেই জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী (CM) উনাকে সাপোর্ট (Support) করেছেন। উনাকে ভরসা জুগিয়েছেন। বলেছেন যে অত্যন্ত অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, যেটা আমরা আদালতেও বারবার বলেছি। দলনেত্রী সমর্থন করায় উনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুব্রত বলেছেন, আমি জানতাম, দিদি আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন।
অনির্বাণবাবু বলেন, শারীরিকভাবে উনি (অনুব্রত) অত্যন্ত অসুস্থ। এই অবস্থার মধ্যেও উনার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস অবশ্যই এসেছে। আমরা আদালতে বারবার বলেছি, গরু পাচারের সঙ্গে উনার কোনও সম্পর্ক নেই। গরু পাচার যদি হয়ে থাকে, সেটা সীমান্তের সমস্যা। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সম্পর্ক রয়েছে। কাস্টমস এবং বিএসএফ, তারাই সীমান্তের দায়িত্বে থাকে। যদি পাচার হয়ে থাকে, তাহলে ওই বিভাগের অফিসাররা যুক্ত। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়নি। এফআইআরে নাম থাকা একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, তাও ৩২ দিনের মাথায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অথচ এঁদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই একই অভিযোগ ফুটে উঠেছে উনার দলনেত্রীর কথায়। সেই কারণেই উনি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন।
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ফের হানা দিতে চলেছে সিবিআই। চলতি সপ্তাহে বোলপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশাল টিম। অনুব্রতর নামে যে ৪৩ টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে তল্লাশি চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালীন উঠে আসা বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হতে পারে সিবিআইয়ের তরফে।
সিবিআই সূত্রে খবর, আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। আগামীদিনে ডাকা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকেও। ইতিমধ্যে সিবিআই-এর হাতে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে থাকা দুটি কোম্পানির তথ্য। গরুপাচারের টাকা কি কোনওভাবে এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে ইনভেস্ট করা হত, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সদ্যসমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতলেও দেশে ফিরেই দুঃসংবাদ অনুরাগীদের দুঃসংবাদ দিলেন পিভি সিন্ধু। চোটের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গেলেন এই শাটলার। চোট এতটাই গুরুতর যে প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কমনওয়েলথ গেমসেই গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন সিন্ধু। সেই চোট নিয়েই ফাইনাল খেলেন এবং সোনা জেতেন।
জানা গিয়েছে, সিন্ধুর বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ে চিড়। সুস্থ হতে এক থেকে দেড় মাস। তাঁকে ঘিরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও ভাল ফলের আশায় ছিল ব্যাডমিন্টন মহল। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতেই পারবেন না তিনি। পিভি সিন্ধুর বাবা পিভি রামানা বলেন, 'বার্মিংহাম গেমসেই সিন্ধুর গোড়ালিতে চোট লেগেছে। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই সেমিফাইনাল খেলেছে। পরে অবশ্য সোনাও জিতেছে। ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না। এটা খুবই হতাশজনক। বেশ ভাল ছন্দে ছিল। সিঙ্গাপুর ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জিতেছে। কিন্তু সব কিছু আমাদের হাতে নেই।'
এতদিন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় (Accident) বাবা-মা মারা গেলে বিবাহিত ছেলেরা বিমায় ধার্য করা (insurance compensation) ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার থেকে বিবাহিত মেয়েরাও বাবা-মার দুর্ঘটনায় বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন বলে একটি মামলার রায়দানে জানাল কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)।
সূত্রের খবর, মামলাটি ২০১২ সালের। উত্তর কর্ণাটকের হুবলিতে ৫৭ বছর বয়সি এক মহিলা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর ওই মহিলার পরিবারের লোকেরা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, এক পুত্র এবং তিন বিবাহিত কন্যা বিমা সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু বিমা সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বিবাহিত মেয়েদের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। মৃত মহিলার পরিবার বাধ্য হয়ে বিমা সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হন। তারা বিমা সংস্থাটিকে বার্ষিক ছয় শতাংশ হারে সুদ-সহ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ মানতে নারাজ ছিল বিমা সংস্থাটি। তারা ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
ওই মামলার রায় প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি এইচপি সন্দেশ বলেন, “আদালত কখনওই বিবাহিত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে ভেদাভেদ করতে পারে না। মৃত ব্যক্তির বিবাহিত কন্যা বিমার ক্ষতিপূরণ পাবেন কি পাবেন না, তা নিয়ে বিতর্ক কখনওই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
লেক গার্ডেন্স (Lake Gardens) ফ্লাইওভার (Flyover) থেকে মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ ঝাঁপ দিলেন বছর ৪৫ এর এক মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ফুটব্রিজের ওপরে দাঁড়ান এবং সেখান থেকে রেলিং টপকে ঝাঁপ (Jump) দিয়ে নিচে পড়েন। লেক গার্ডেন্স স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের যে ছাউনি রয়েছে, তাতেই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পান আশপাশের মানুষজন। স্টেশনের কর্মী এবং নিত্যযাত্রীরা এই মর্মান্তির দৃশ্য দেখে পুলিসে খবর দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় (Critical) তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিত্সা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী কারণে এই আত্মহত্যার চেষ্টা, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, পুলিস ইতিমধ্যেই তাঁর পরিচয় জেনে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। বাড়িতে কোনও অশান্তি হয়েছিল কি না, হলে কার সঙ্গে, এসবই আপাতত তদন্তের আওতায় রয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। পাশাপাশি পুলিস কোনও প্রত্যত্ক্ষদর্শীরও সন্ধান চালাচ্ছে। অর্থাত্, ঝাঁপ দেওয়ার মুহূর্তে ফ্লাইওভারের ওপর কেউ ছিলেন কি না, থাকলে তিনি কী অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখেছিলেন, এসবই পুলিস জানার চেষ্টা করছে।