
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। চান সরকার একটু পাশে এসে দাঁড়াক। তবে অনুদান নয়। কর্মসংস্থান দিক সরকার।
২ সন্তান। স্বামী ট্রেনে হকারি করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে জতীয় স্তরে একাধিক মেডেল প্রাপ্তি। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগাদানের স্বপ্ন থাকলেও খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
দু'বেলা দু মুঠো অন্ন জোগাড়ও অনিশ্চিত। তবুও ঘর ভরেছে সোনা, রূপোর পদকে। সংসারে আয় বাড়াতে, ছোটো দুই ছেলে মেয়ের পড়ার খরচ টানতে কাজে যোগ দিয়েছেন বুলটি নিজে। তবুও সময় বের করে চলছে অনুশীলন। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাই এখন স্বপ্ন। তার জন্য খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। আক্ষেপ একটাই, অন্য জায়গায় জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের সবাই চেনে, সাহায্যও পান তাঁরা।
বুলটি স্বর্ণপদক জয় করলেও তাঁর কাছে নেই উপযুক্ত জুতো। অনুশীলনের জন্য নেই ভাল পোশাক। কিন্তু অভাব বুলটির ইচ্ছেশক্তির কাছে পরাজিত। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি একটা চাকরি দেন, তাহলে তাঁর পরিবার খেয়ে পরে থাকতে পারবে। এর সঙ্গে নিজের স্বপ্নের পিছনে আরও দৌড়তে পারবেন বছর তিরিশের ‘সোনার মেয়ে’।
শহর কলকাতার বুকে আবারও এক খুনের ঘটনা। মঙ্গলবার খাস কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ ঘিরে, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে ৭১ নং যতীন্দ্রমোহন এভিনিউ এলাকায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। মাথায় এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
পরবর্তীতে শ্যামপুকুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। যদিও পুলিসের দাবি অতিরিক্ত মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্রমশ জট বাঁধছে রহস্য। যদিও ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
কল্লোলিনী কলকাতার বুকে একের পর এক খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। জয়নগর, চিৎপুর থেকে শুরু করে ময়দান, চিংড়িঘাটা এবং লেদার কমপ্লেক্স এলাকায় সামনে এসেছে প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা। ভয়ের বাতাবরণ তৈরী হয়েছে রাজ্য জুড়ে। পরপর এতগুলো খুনের ঘটনা ঘটলেও, প্রশাসনের দিক থেকে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কোনওরকম হেলদোল নেই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। আর কত প্রাণ গেলে টনক নড়বে প্রশাসনের? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই রণকৌশল সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এবার তৃণমূল নেতৃত্ব বিশেষ ভাবে জোর দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে। কারণ, বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সাফল্য পেলেও লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে বাংলার শাসকদলকে। এই ট্রেন্ড বদলাতে এবার মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘাসফুল শিবির বিশেষ করে জোর দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে। সেই লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের সব চা-বাগানে বিশেষ শিবির করবে বাংলার শাসকদল। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে। থাকবেন দলের শীর্ষ নেতারা।
উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভিত বরাবরই নড়বড়ে। দক্ষিণবঙ্গে বিগত বেশ কয়েকটি লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির হৈ হৈ করে জিতে গেলেও উত্তরবঙ্গে তাঁদের হোঁচট খেতে হয়েছে। আর গত লোকসভা নির্বাচনে তো উত্তরবঙ্গে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে। তবে বিধানসভা, পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেছে ঘাসফুল শিবির। আর তাই আসন্ন লোকসভা ভোটকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে বাংলার শাসকদল। এ নিয়ে বেশ কিছু কর্মসূচিও তাঁরা নিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও তাঁদের এই প্রয়াস কি ফলপ্রসু হবে ? নাকি গত লোকসভা ভোটের মতো উত্তরবঙ্গে মুখ পুড়বে বাংলার শাসকদলের ? উত্তর মিলবে লোকসভা ভোটের ফলে।
রাতের অন্ধকারে সিংহবাহিনীর মূর্তি চুরির চেষ্টা দুস্কৃতীদের। বৃহস্পতিবার রাতে বড়ঞার পাঁচথুপির ৩৫০ বছরের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি সিংহবাহিনী মন্দিরে চলে দুষ্কৃতীদের হামলা। ঘটনাকে ঘিরে পুলিসি ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচথুপি ঘোষ হাজরা পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছ প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন এই সিংহবাহিনী মন্দির। সেখানে রয়েছে সোনা সহ অষ্ট ধাতুর মূর্তি। মন্দির পরিচালনাকারী ঘোষ হাজরা পরিবারের দাবি, কয়েক বছর আগে এই মন্দিরের সোনার মূর্তি এবং বিভিন্ন অলঙ্কার চুরি গিয়েছিল। তখন বড়ঞা থানার তৎকালীন ওসি এই মন্দিরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। নিরাপত্তার জন্য রাতে দুটি করে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দায়িত্বে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে কোন নিরাপত্তা ব্য়বস্থা নেই। এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাও নেই। যারফলে এখন দুস্কৃতী আতঙ্ক বেশ বেড়ে গিয়েছে। তবে সামন্য়র জন্য় দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। কারণ তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় ঘোষ হাজরা পরিবারের লোকেদের। তারপর তাঁরা বাইরে বেরিয়ে মন্দিরের দরজা খোলা দেখেই দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে। যদিও ততক্ষণে বুঝতে পেরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
সুজয় কৃষ্ণকে নিয়ে মহা ফাঁফরে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয় কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। এরপরে সময় যত এগিয়েছে কালীঘাটের কাকুর সমন্ধে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ অবস্থায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে রীতিমত ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে ইডিকে। জানা গিয়েছে, ফলস্বরূপ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে এবার আইনি পথে হাটতে পারে ইডির কর্তারা।
সূত্রের খবর, সুজয় কৃষ্ণ অর্থাৎ কালিঘাটের কাকুকে গ্রেফতারের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে এসএসকেমে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হয়। এরপর থেকেই এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। যদিও এতদিন পরেও কেন কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে ইডিকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছেন, ইতিমধ্যেই, কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য জনিত সমস্ত খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে ইডির আধিকারিকরা। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ইডির তরফে এসএসকেএমের কাছে মেইল মারফত জানতে চাওয়া হয়েছে, কি কি চিকিৎসা করতে করা হচ্ছে সুজয় কৃষ্ণের, পাশাপাশি ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেমন আছে সুজয় কৃষ্ণ?
জানা গিয়েছে, এর পরিপেক্ষিতে উত্তর দিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, তারাই একমাত্র বলতে পারবে তার বর্তমান পরিস্থিতির সম্পর্কে। এখন দেখার মেডিকেল টিমের রিপোর্ট কি হয়। যদিও কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে পূর্বে এসএসকেএমকে চিঠিও দিয়েছিল ইডি। পাশাপাশি ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল টিমের উত্তর এলে আগামী দিনে আইনিপথে হাঁটতে পারে ইডি।
আজ কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনাকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। এই উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল নেমেছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরেও (Dakshineswar Kali Temple)। সকাল থেকেই মায়ের পুজো দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মন্দির খোলা হয়েছে। মন্দির খোলার পর বিশেষ আরতি হয়। এরপর দুপুর থেকে শুরু হয় মা ভবতারিণীর পুজো। সঙ্গে রয়েছে সন্ধ্যারতি ও বিশেষ পুজোরও আয়োজন। এবার সারারাত খোলা থাকবে মন্দির। মন্দিরের মধ্যে থেকে পুজো দেখার পাশাপাশি থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনও।
মনে করা হয় যে, দক্ষিণশ্বরের ভবতারিণী মা কালী করুণাময়ীরূপে দীপান্বিতা অমাবস্যার এই বিশেষ দিনে মর্ত্যে নেমে আসেন। শ্যামা মা ভক্তদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন এবং তাঁদের সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। আর এই বিশ্বাস থেকেই কালীপুজোর দিন পুজোর ডালি নিয়ে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। শুধু শহর কলকাতা নয়, মায়ের পুজো দিতে পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও অগণিত ভক্ত এদিন মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন। পুজো দিতে দীর্ঘ লাইন পড়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে। বেলা বাড়তেই উপচে পড়ছে ভিড়।
দক্ষিণেশ্বরে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান মা ভবতারিণী ঠাকুর। মায়ের ভোগ অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচ রকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। তবে এখানে কারণবারির (মদ) বদলে ডাবের জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়।
প্রসূন গুপ্ত: পুজো উৎসব বলতে নানান পুজোর ছবি আমাদের বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে আসে। পুজো পরিক্রমাতে তার তথ্য পাওয়া যায়।কিন্তু শুরুর ইতিহাস শুভ নাকি অশুভ তার হদিস কেউ রাখে কি? ফাটাকেষ্টর পুজো উদ্বোধন করতে একবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এসেছিলেন, জানে কজন? তখন এই রীতি ছিলই না। কালীপুজো মানে দাদাভাইদের পুজো নাকি এলাকার মাস্তানদের তা নিয়ে বিতর্ক আছে। আসলে সেই রঘুডাকাতের কালীপুজো থেকেই এই এক অদ্ভুত ধারণা জনমানসে আছে। ছন্নছাড়া ক্লাব তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও মাস্তানদের পুজো বিষয়টি পুজোকর্তারা তীব্র বিরোধিতার মধ্যে রেখেছে।
ছন্নছাড়া নামক অদ্ভুত নামের ক্লাবের জন্ম জরুরি অবস্থার সময়ে দমদম পার্কে। এলাকার বেকার নাকি বাউন্ডুলে কিছু তরুণ এই পুজোর জন্ম দেয়। ৪৫ বছর হয়ে গেলো প্রায়।ওই এলাকার সিপিএম কর্মীরা তখন অনেকেই এলাকার বাইরে, আবার যারা রয়েছে তারা কংগ্রেসি ছেলেদের মধ্যে মিশে রয়েছে। ওই বামদের কারুর কারুর মগজ থেকে এই পুজোর জন্ম। পুজোতে কিন্তু দলবাজি প্রাথমিক ভাবে ছিল না। নিজেদের পকেট থেকে যে যা পারে তাই দিয়ে প্রথম দু'বছর পুজো হয়েছিল। এরপর আসে ১৯৭৭। শুরু বাম জমানা। এবারেই খোলস থেকে বেরিয়ে রমরমা পুজো শুরু করে সিপিএমের যুব মহল। রাতারাতি ক্ষুদ্র পুজো বিশাল হয়ে যায়। ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ফুর্তি সহযোগে চলতে থাকে পুজো। নেতৃত্ব দেয় অজু, আর বুচু ( অসম্পূর্ণ নাম)। পুজোকে কেন্দ্র করে চাঁদার নাম কংগ্রেসি ছেলেদের বেধড়ক পেটানো হয়। এলাকায় ত্রাস হয় ওঠে অজু। মদ খেয়ে পেটানোটাই ছিল তার প্রধান কাজ এবং তার সঙ্গে তোলাবাজি। পরে অবিশ্যি অনেকেই এই পুজোতে যোগ দেয় এবং ত্রাস কমে হটাৎই অজু উধাও হয় যাওয়াতে। ২০০৯-এ অজুর মৃতদেহ পাওয়া যায় রাজ্যের বাইরে কোনও এক হিন্দিভাষী স্থানে।
এরপর দিন পাল্টায়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আপাতত তাদের হাতেই পুজো। এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা নেই। চাঁদা তোলা হয় না। তবে স্মৃতিচারণে আশীষ দাস জানালেন, "আমাদের এই পুজো একেবারেই অরাজনৈতিক। ক্লাবঘর তৈরি করেছি আমাদের পয়সাতে।' ছন্নছাড়া আজ আর ছন্নছাড়া নেই বরং সাহিত্যিক অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের কবিতা হয় গিয়েছে।
কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে ইডি ও এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে। জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই এসএসকেএমকে চিঠি লিখেছে ইডি। সেই চিঠির উত্তরে এসএসকেএম কতৃপক্ষ জানিয়েছে, মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে কালীঘাটের কাকুর জন্য। রোগীর শারীরিক অবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপর তাদের কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার জন্য তারিখ জানানো হবে।' যদিও এ উত্তরে কোনও ভাবেই খুশি নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পরিপেক্ষিতে ইডির তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, এসএসকেএম যদি ঠিকমতো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে এসএসকেএম এর বিরুদ্ধে দারস্থ হবে।
ওদিকে এসএসকেমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।
বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর পাল্টানো হচ্ছে। সুকান্ত-সেলিমের এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে সত্যই কি তাহলে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই এই চেষ্টা? কাউকে আড়াল করতেই এই প্রয়াস? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। যদিও এই অভিযোগ সামনে আসায় সলামচনায় সরব হয়েছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।
পাশাপাশি, ধৃতদের দিনের পর দিন এসএসকেএম-হাসপাতালকে রেখে চিকিৎসা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের কলকাতা জেলার যুগ্ম সম্পাদক তথা এসএসকেএম-এর প্রাক্তনী চিকিৎসক কবিউল হক। এছাড়াও চিকিৎসকদের চাপের মুখে নতিস্বীকার না করার অনুরোধ করেন তিনি।
এই ধরণের ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে তাহলে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাবে। ইডি হেফাজতে থাকা ব্যক্তির অস্ত্রোপচার করে স্বরবদল করে বিপদে পড়বে না তো শহরের নামজাদা এই হাসপাতাল? আপাতত এই কথাগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য-রাজনীতির অলিন্দে।
সাংসদ বা বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ উঠলে সেই মামলার শুনানিতে কোনওরকম ঢিলেমি নয়। প্রয়োজনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে হবে রাজ্যের হাইকোর্টগুলিকে। 'অপরাধী' জনপ্রতিনিধিদের আজীবন নির্বাচন লড়ায় নিষেধাজ্ঞার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ফৌজদারি মামলায় দোষী রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে লড়ার অধিকার বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
অপরাধী সাংসদ, বিধায়করা যাতে পাকাপাকিভাবে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার হারায়, এই দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করেছিলেন অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। গত ৭ বছর ধরে মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু অপরাধী জনপ্রতিনিধিদের জন্য তেমন কোনও নির্দিষ্ট রায় না দিলেও সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি আছে, তার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রত্যেক রাজ্যের হাইকোর্টকে বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, যে সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়, সেগুলিকে অন্যান্য মামলার চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
ইডি (ED) দফতরে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জন্মদিনেই তাঁকে সমন পাঠান ইডি। এর পর বুধবারই জানানো হয় যে, তিনি বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে নিজের গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে বেরোন অভিষেক। এর পর ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছে যান।
সিঙ্গুরের জমি মামলায় সালিশি আদালত রায় নির্দেশ দিয়েছে টাটাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৭৬৬ কোটি টাকা টাটাদের দিতে হবে রাজ্যের শিল্প নিগমকে। এরমধ্যেই সোমবার সিঙ্গুর নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ভবানীপুরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সালিশি আদালতের নির্দেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। এমনকী রাজ্যের তরফে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে কীনা, তাও স্পষ্ট করেননি। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, জমিহারাদের মাসিক ২ হাজার টাকা দেয় রাজ্য। দেওয়া হয় চালও। অর্থাৎ রাজ্য তাঁদের পরিবারকে প্রতিপালন করার ব্যবস্থা করেছে জানান মমতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সিঙ্গুর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই বিবৃতি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সিঙ্গুরবাসী এতদিন তাঁর এই কথার অপেক্ষাতেই ছিলেন। পাশাপাশি এদিন নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, নিজের নামে স্টেডিয়াম তৈরি করে তিনি কখনও প্রচার চান না।
'এ যেন খুল যা সিমসিম,' ইডির কাছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর এখন কিছুটা সেরকমই। যেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর পেলেই সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। যেমনটা হয়েছিল সিনেমায়। 'খুল যা সিমসিম,' যা বলার পরই খুলে গিয়েছিল গুহার দরজা। জানা গিয়েছে, ইডির তরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য ফের এসএসকেএমকে চিঠি লিখল ইডি। সূত্রের খবর, ইডির তরফে চিঠি লিখে জানতে চাওয়া হয়েছে, কবে সুজয় কৃষ্ণ ভাদ্রের ভয়েস সাম্পেল নেওয়া সম্ভব হবে? এমনকি কবে সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর পাওয়া সম্ভব, সেই দিন-ক্ষণ জানানোর জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইডি হাতে এক অডিও রয়েছে। যেখানে মোবাইলের কিছু তথ্য ডিলিট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অডিওর সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস মেলানোর জন্য, তার ভয়েস স্যাম্পেল নিতে চায় ইডি। রাজ্য–রাজনীতিতে এখন বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বর। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নাকি অডিয়ো মুছে ফেলতে বলেছিলেন তদন্তকারী অফিসারকে। তাই আদালতের নির্দেশের পরই সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছে ইডি। যে কোনও জায়গায় গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে বলে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। আর তারপর থেকে সক্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় বারবার উঠে এসেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। ইতিমধ্যেই বাইপাস সার্জারি হওয়ার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও এসএসকেএম হাসপাতালে আছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে কয়েকদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছয় ইডি অফিসাররা। এই কণ্ঠস্বর পেলেই অনেক তদন্ত সহজেই হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অফিসাররা। সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে না ইডি। কেন এতদিন এসএসকেএম হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? কী চিকিৎসা চলছে? কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কালীঘাটের কাকুকে? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই প্রশ্নগুলি হাসপাতাল সুপারের কাছে জানতে চেয়ে বয়ান রেকর্ড করছে ইডি। দরকার পড়লে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণকে চিকিৎসা করানো হতে পারে। এমন ভাবনাও করা হয়েছে।
রাস্তায় কেউ অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন, কিংবা কেউ দীর্ঘদিন ধরে ভবঘুরের মত রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন, আমরা কত জন তাঁদের কথা ভাবি? কতজনেরই বা এই ভাবনার প্রয়োজন আছে! এবার পথে দিন কাটানো ওই দুঃস্থ, ভবঘুরে মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ালো মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বেশ কিছু পথশিশু ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের হাতে একবেলার খাবার তুলে দেওয়া হল ওই বেসরকারি সংস্থার তরফে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বহরমপুরের রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়, রাস্তায় ভবঘুরে ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হল এক বেলার খাবার। ওই বেসরকারি সংস্থা সূত্রে খবর, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পথচলা শুরু হয়েছিল তিন বছর আগে। দেখতে দেখতে অনেকটা পথ পার। গত দিন গুলিতে প্রয়োজন মত মানুষের পাশে থেকেছে ওই সংগঠনটি। ওই সংগঠনের তরফে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ রচিতা বিশ্বাস বলেন, 'অভুক্ত মানুষদের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার মত এই মহৎ কাজ শুরু হয় ৪-৫মাস আগে। এখন মাসে একবার এই আহার সাহায্য চলে। আমরা চেষ্টা করছি মাসে দুইবার এই প্রচেষ্টা করার।'
জানা গিয়েছে, প্রতিমাসের প্রথম রবিবার এইভাবেই খাবার বিতরণ করে থাকেন সংস্থার সদস্যরা। মাসের শুধু প্রথম রবিবার নয়, অন্যদিনও যাতে দু'মুঠো আহারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে সেই লক্ষ্যেই ছুটে চলেছেন তাঁরা। হিংসা হানাহানিতে যখন বিষাক্ত পৃথিবী, তখন এহেন কর্মকাণ্ডে যেন পৃথিবী শুদ্ধিকরণ ঘটে। মানুষ মানুষের জন্য সেকথাই আরও একবার প্রমাণ করলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। রবিবার ওই সংগঠনের আরও এক সদস্যা পাপড়ি বাঁঠিয়া বলেন, 'এই সংস্থা সবার জন্য, সবার পাশে থাকার চেষ্টা করে, গত তিন বছর ধরে এই প্রচেষ্টা একই ভাবে চলছে। আমরা এই সংস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে সমাজের সমস্ত শ্রেণীর প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।'
কালী পুজোর আগে শীতের অনুভূতি রাজ্যজুড়ে। রাত বাড়তেই শুরু হয়ে যাচ্ছে হালকা ঠান্ডার আমেজ। সোমবার কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে ক্রমশ নামবে তাপমাত্রার পারদ। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আলিপুর আবহাওয়াবিদরা। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলাসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া বদল ঘটবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা সেই অর্থে না থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু'দিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ইতিমধ্য়ে শীত শীত আমেজটা বেশ বেড়ে গিয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙ-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ধীরে ধীরে বাতাস শুষ্ক হবে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্প কমবে। তাপমাত্রার বিশেষ কোনও হেরফের না হলেও ক্রমশ শীত বেড়ে যাবে। যদিও এখন ভারী বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা না থাকলেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।