
সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় গৌতম এবং পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেছিলেন বিচারপতি। তার প্রেক্ষিতেই গত ১৯ অক্টোবর টানা ৫ ঘণ্টা গৌতম পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পর্ষদ-সভাপতি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত শুধু তদন্ত করতে পারবে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। আপাতত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাইকোর্টের নির্দেশ মত তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে পার্থ কর্মকার ও গৌতম পালকেও।
গৌতম পালের আইনজীবী আদালতে বলেন, এই দুর্নীতির প্রসঙ্গে তাঁর মক্কেল কিছুই জানেন না। গত বছর ২৪ অগাস্ট তিনি পর্ষদের দায়িত্ব নিয়েছেন।আইনজীবীর ওই বক্তব্য শোনার পরেই গৌতমকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মহুয়া মৈত্রের। বৃহস্পতিবারই ব্যক্তিগত ও অনৈতিক প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে তিন পাতা চিঠি লিখে গুরুতর অভিযোগ করলেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে তাঁর 'বস্ত্রহরণ' করা হয়েছে । তাঁর সঙ্গে অনৈতিক, নোংরা আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ।
মহুয়া তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ওই তিন পাতার অভিযোগ পোস্ট করেন। মহুয়া চিঠিতে লেখেন,"ক্যাশ অফ কোয়ারি নিয়ে এথিক্স কমিটির বৈঠকে সকল সদস্যের সামনে আমার সঙ্গে যে অনৈতিক, নোংরা এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা হয়েছিল, সেই বিষয়ে জানাতে আজ অত্যন্ত যন্ত্রণার সঙ্গে আপনাকে এই চিঠি লিখছি।" মহুয়ার সংযোজন, কমিটির নাম এথিক্স হলেও, আসলে সেখানে কোনও নীতি, নৈতিকতা বা এথিক্স আর অবশিষ্ট নেই।
মহুয়ার অভিযোগ, যেভাবে তাঁকে প্রশ্ন করেছেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান, তা মর্যাদাহানিকর। তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক, ব্যক্তিগত সমস্ত প্রশ্ন করা হতে থাকে। সাংসদের দাবি, তাঁর পাশাপাশি কমিটির আরও পাঁচ জন সদস্য তাতে আপত্তি জানান। পরে বৈঠক থেকে বেরিয়েও আসেন তাঁরা।
ইসলামপুরের একটি বাড়ি থেকে জাল বিদেশি মদ কারখানার হদিশ পেল ইসলামপুর থানার পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল বিদেশি মদ। কারখানাটি অবস্থিত ইসলামপুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর রবীন্দ্রপল্লীর একটি বাড়িতে। বিদেশি মদের কারখানা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার গোডাউনের মালিক সহ মোট ১২ জন। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
ইসলামপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ইসলামপুর থানার পুলিস এবং রামগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার রবীন্দ্রপল্লী এলাকার একটি গোডাউনে হানা দেয়। তারপর গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় জাল বিদেশি মদ। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ২১৩৬ বোতল বিদেশি মদ। এছাড়াও বিদেশি মদ তৈরীর নানা সরঞ্জাম। যেমন ১২০০ লিটার স্পিরিট, খালি বোতল, বিভিন্ন ধরনের রঙ, বোতলের ছিপি, খালি পাউচ, বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানীর স্টিকার, বোতল সিল করার মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে রক্ষাকবচ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও ডেপুটি সেক্রেটারিকেও কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী-র বেঞ্চ সোমবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম ও পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে। সেকারণে সিবিআইকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অতি দ্রুত পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। যদিও তারপরেই রক্ষাকবচ পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে আগামী শুক্রবার ফের মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে
জ্যোতি কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও দেবপ্রিয় মল্লিকের পর এবারে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে (Amit Dey)। সোমবার সকাল ১১টা ১৯ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তিনি। সেখানে তাঁর হাতে এক নথি দেখা যায়। তাঁকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির কিছু নথি নিয়ে এসেছেন তিনি।
আজ অর্থাৎ সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে ইডি দফতরে প্রবেশ করতেই জানান, তাঁকে তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তাই তিনি আজ তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে এসেছেন। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে আরও জানান, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পুরনো বাড়ি কলেজ স্ট্রিট চত্বরে, আমিও ওই এলাকার ছেলে। আমি ব্যবসা করতাম, পরবর্তীকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাকে চাকরি দেন। চাকরি করার কোনও ইচ্ছে আমার ছিল না কারণ আমার পৈত্রিক ব্যবসা আছে। তারপরেও রাজনৈতিক চাপে আমি চাকরি করতে বাধ্য হই।'
তিনি আরও বলেন, 'দফতরের বেশকিছু কাজ আমি দেখতাম তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টা আমার জানা ছিল না। মন্ত্রীর ঘরে কে আসবে, কে যাবে সমস্ত বিষয়টা দেখতেন অভিজিৎ দাস। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে আর্থিক লেনদেনের সমস্ত হিসেব পাওয়া যাবে। আমি শুধুমাত্র মন্ত্রীর আজ্ঞাবহ ছিলাম। আমার বিশ্বাস উনার স্ত্রী এবং মেয়ে দুজনেই আজ্ঞাবহ ছিলেন।'
বাকিবুরের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অমিত দে জানান, 'বাকিবুরকে চিনি, কিন্তু আমি বাকিবুরকে পছন্দ করতাম না। ২০১৬ সালের অভিজিৎ চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে আমি ওই জায়গায় নিযুক্ত হই। তখন আমার ওপর কিছু নির্ভর করত না। মন্ত্রীর ঘরে বাকিবুররা সরাসরি ঢুকতেন। আর শুধু মন্ত্রীর ঘর কেন পুরো দফতরের অফিসারদের ঘরে বাকিবুররা যাতায়াত করতেন।'
অমিত দে আরও বলেন, 'ইডি আমাকে তদন্তের স্বার্থে মন্ত্রীর যাবতীয় ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, আমি যতটা জানি তা জানিয়েছি। আমি মন্ত্রীর নির্দেশ মত কাজ করতাম। আমার হাত দিয়ে কোনদিন কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। আমি অভিজিৎ কেউ কোনদিন টাকা পয়সা নিতে দেখিনি। মন্ত্রীর সম্পত্তি এবং কোম্পানি সম্পর্কে আমি ওয়কিবহাল নই।'
অক্টোবর শেষ হয়নি। অথচ এখন থেকেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। রাতের দিকে তো ফ্যানও বন্ধ রাখছেন অনেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। তাহলে কি কালীপুজোর আগেই জাঁকিয়ে শীত পড়ে যাবে বঙ্গে ?
শীতের ব্যাটিং কবে থেকে শুরু হবে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেনি হাওয়া অফিস। আসলে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করলেও, মাঝে নতুন করে কোনও পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে এক নিমেষে বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে ফের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। আপাতত নভেম্বরের বেশ কিছুদিন তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিকে, পশ্চিমের জেলাগুলিতে রাতের দিকে ভালই শীতের আমেজ থাকছে। ২০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে তাপমাত্রা।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিও শুষ্ক থাকবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা ও দুই দিনাজপুরে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। রাতের দিকে তাপমাত্রা নামবে জেলাগুলিতে।
কলকাতায় মূলত পরিষ্কার আকাশই থাকবে। আবার কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। কিন্তু বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির আশেপাশেই ঘোরাফেরা করবে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) এবারে ইডির (Enforcement Directorate) স্ক্যানারে রাজ্যর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডাকা হয়। সেই মতই সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ বিভিন্ন নথি নিয়ে সল্টলেকের ইডি দফতরে পৌঁছে যান দেবপ্রিয় মল্লিক। তবে পরে ১১টা ১৪ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তিনি। রবিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন জ্যোতি কন্যা প্রিয়দর্শিনী। আর এবারে ইডির নজরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা।
জানা গিয়েছিল, আজ ইডি দফতরে জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিককে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রেশন দুর্নীতি, সরকারি কর্মী না হয়েও পিএসসি-র সদস্য হওয়া- সার্বিক বিষয়গুলি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু ইডি দফতরে যাওয়ার পরই কিছুক্ষণ বাদে বেরিয়ে যান তিনি। সাংবাদিকদের বললেন, 'একটি চিঠি জমা করতে এসেছিলাম। এই চিঠির ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় ও ইডি জানেন, আমি জানি না।' রবিবার ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শনী মল্লিক একাধিক নথি নিয়ে আসলেও তদন্তকারী আধিকারিক না থাকায় ফিরে যেতে হয় তাঁকে। ফলে আজ ফের তাঁর আসার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালে মন্ত্রী কন্যার অ্যাকাউন্ট-এ কীভাবে কোটি টাকা এলো তারই খোঁজ করছেন ইডি আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা উন্নত হওয়ার জন্য তাঁকে সিসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ বৈঠকে বসবে মেডিকেল বোর্ড। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রতিদিন রাতে একজন করে ইডি আধিকারিক থাকছেন হাসপাতালে। কিছুক্ষণ আগেই বেরিয়ে গেলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তণ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কে হাসপাতাল থেকে ইডি হেফাজতে যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
রবিবার ইডি দফতরে (Enforcement Directorate) হাজিরা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে গিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ফলে তাঁকে রীতিমতো বিরক্ত হতেও দেখা যায়। এমনকি সাংবাদিকদের ধাক্কা দিতেও দেখা গেল। তবে ইডি দফতরে গেলেও কয়েক মিনিটের পরই তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
রবিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছে যায় জ্যোতিপ্রিয় কন্যা প্রিয়দর্শিনী। এদিন ব্যাংক সহ একাধিক নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা। জানা গিয়েছে, আজ ইডি দফতরে তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট পরেই বেরিয়ে যান তিনি। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে ইডি। ইতিমধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সে সম্বন্ধে কিছু নথি চেয়ে জ্যোতি কন্যাকে ডাকা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।
তবে আজ ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে না পারলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় প্রিয়দর্শিনীকে। কিন্তু তাঁদের কোনও প্রশ্নের উত্তর তো দেননি। বরং বিরক্তি প্রকাশ করেন ও মেজাজ হারিয়ে অবশেষে নিজের গাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।
বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে গেছেন মা উমা। তারপর থেকেই লেগেছে বাংলা জুড়ে হেমন্তের ছোঁয়া। কমছে রাতের তাপমাত্রা। রবিবার গত কয়েকদিনের থেকে তাপমাত্রার পারদ আরও ২ ডিগ্রি নামল। তবে শীত আসতে এখনও ঢের দেরি বাংলায়। নভেম্বরের শুরু থেকে বাড়বে আবারও তাপমাত্রা। ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে নভেম্বরের প্রথম ৩-৪ দিনে। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
পুজোর সময় থেকেই কার্যত শুকনো বাংলার আবহাওয়া। দশমী-একাদশীতে কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি হয়নি কোথাও। পুজো মিটতেই রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা গিয়েছে গোটা বাংলাতেই। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, কখনও কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই কোনও জেলাতেই।
আগামী কয়েকদিন শহর কলকাতা-সহ সমস্ত জেলাতেই রাতের তাপমাত্রা নিম্নমুখী থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। মোটের উপর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে হেমন্তের মনোরম পরিবেশ থাকবে গোটা বাংলায়। মিলবে হিমেল পরশ। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপামাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। ধীরে ধীরে গোটা বাংলাতেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করবে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তরের হাওয়া। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের না হলেও শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়তে থাকবে।ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ অনেকটাই বেড়েছে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাও নেই।
বঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অক্টোবরের শেষ দিকে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশকিছু রাজ্যে আবহাওয়ার বদল হতে পারে। দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে আপাতত বঙ্গে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজায় থাকবে শীতের আমেজ।
লক্ষ্মীপুজোর সকালে ঠান্ডার আমেজ।এবার বিজয়ার পরেই বঙ্গে গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়তে শুরু করেছে শীত। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আগামী দিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।
শহর কলকাতার আবহাওয়া এই সময় সবচেয়ে মনোরম থাকবে। দুপুরে গরমে সামান্য অস্বস্তি হলেও, রাতে বাড়বে শীতের তোড়। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি, সর্বোচ্চ ছিল ৩০.১।
পারিবারিক অশান্তির জেরে ছেলেকে নিয়ে ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিলেন বাবা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী ব্রিজে। অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে বচসার কারণে বাধ্য় হয়ে ছেলেকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন তাঁর বাবা। এই ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
মঙ্গলবার অর্থাৎ দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জন চলাকালীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সিভিল ডিফেন্স কিউ আরটি টিম খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর হয়ে পড়ে। তারপর ব্রিজ থেকে কিছুটা দূরেই তিন বছরের শিশু এবং তাঁর ৪২ বছরের বাবাকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যায় এবং বাবা-ছেলে দুজনকেই পুলিস তাঁদের হেফাজতে নেয়। তারপরে তাঁদেরকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে শিশু এবং তাঁর বাবা দুজনেই সুস্থ।
অবশেষে ঘোষিত হল অযোধ্যার রামমন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) ভগবান রামচন্দ্রের প্রাণ-প্রতিষ্ঠার দিনক্ষণ। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে রাম মূর্তির বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই বিষয়ে বুধবার শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের (Ram Janmbhoomi Trust) তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই আমন্ত্রণ পেয়ে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী মোদী।
২৫ অক্টোবর, বুধবার শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তারপর তিনি জানান, আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রাম বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাম মূর্তির বিগ্রহের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে খোদ টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'জয় সিয়ারাম! আজ খুবই আবেগঘন দিন। অযোধ্যায় শ্রী রাম মন্দিরে বিগ্রহ অধিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। এটা আমার সারাজীবনের সৌভাগ্য যে, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আমি সাক্ষী হতে পারব।'
जय सियाराम!
— Narendra Modi (@narendramodi) October 25, 2023
आज का दिन बहुत भावनाओं से भरा हुआ है। अभी श्रीराम जन्मभूमि तीर्थ क्षेत्र ट्रस्ट के पदाधिकारी मुझसे मेरे निवास स्थान पर मिलने आए थे। उन्होंने मुझे श्रीराम मंदिर में प्राण-प्रतिष्ठा के अवसर पर अयोध्या आने के लिए निमंत्रित किया है।
मैं खुद को बहुत धन्य महसूस कर रहा… pic.twitter.com/rc801AraIn
মহাপঞ্চমীর উৎসবের মধ্যেই বেঙ্গল এসটিএফ-র মাদক বিরোধী অভিযানে মিলল ব্যাপক সাফল্য। বনগাঁর গাইঘাটাতে হেরোইন তৈরীর কারখানায় বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালিয়ে মিলল প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক। গ্রেফতার দুই মহিলাসহ মোট চারজন। কোটি কোটি টাকার ক্রুড হেরোইন এনে এই কারখানায় চলতো মিশ্রণ ও পরিশোধন। কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো এখানকার মাদক।
গোপন খবরের ভিত্তিতে বেঙ্গল এসটিএফ-এর একটি টিম বৃহস্পতিবার সকালে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে থানাগামী পাকা রাস্তার থেকে বাঁদিকে দেড় মিনিট পায়ে হেঁটে গেলে একটি ছোটখাটো খামারবাড়ি। মালকিন চল্লিশোর্ধ্বা কাকলি রায়। ছয়ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা দোতলা বাড়ির মধ্যে পোলট্রি, ছাগল ও গরুর থাকার ছাউনি।
বাড়িতে মালকিন কাকলি ছাড়াও অভিজিৎ বিশ্বাস, তপন মণ্ডল ও ডলি সর্দার নামের এক মহিলা ছিল। যাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একতলায় মাদক-সংক্রান্ত কিছু না পেয়ে এসটিএফ টিমের সদস্যরা মার্বেল বাঁধানো সিঁড়ি বেয়ে উঠে যায় দোতলায় এবং সেখানেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। দোতলার বেডরুম, বাথরুম এবং রান্নাঘরকে রীতিমতো একটি হেরোইন তৈরী করার কারখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। থরে থরে সাজানো রয়েছে হেরোইনের প্যাকেট, কোনও ঘরে হাই-ভোল্টেজ আলোর নীচেই আলাদা আলাদা পাত্রে রাখা আছে বিশেষ প্রকার লিকুইড মিশ্রিত হেরোইন, শুষ্ক করার জন্য। কোনো ঘরে চলছে ফিল্টারিং, কোনো ঘরে প্যাকেজিং।
তল্লাশিতে উদ্ধারকৃত দ্রব্যের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, প্রায় আট কিলোগ্রাম হেরোইন, পাঁচ কিলোগ্রাম মোট ওজনের একপ্রকার বিশেষ গুঁড়ো যা মিশিয়ে নেশার মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়,দশ কিলোগ্রাম ওজনের এসিটিক এনহাইড্রেট তরল যার সাহায্যে ক্রুড হেরোইন পরিশোধন করা হয়, চল্লিশ কিলোগ্রাম সোডিয়াম কারবোনেট, দুইটি ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র, একটি মিক্সার গ্রাইন্ডার, প্রচুর সংখ্যক প্লাস্টিক প্যাকেট, একটি সিলিং মেশিন, দুইটি আই-ফোন, তিনটি স্মার্টফোন ইত্যাদি।
এরপরই গ্রেফতার করা হয় দুই মহিলা ও দুই ব্যক্তিকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রায় বছরখানেক ধরে চলছে এই কারখানা। মালকিন কাকলি তাঁর ব্যবসায়ী-পার্টনারদের থেকে ক্রুড হেরোইন এনে এই কারখানাতে পরিশোধন ইত্যাদি করে বিভিন্ন পাচারকারীদের মাধ্যমে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের কাছে দিত পৌঁছে। বিনিময়ে পেত বিপুল পরিমাণ মুনাফা। এই ঘটনায় গাইঘাটা থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। অভিযোগের উপর মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই নিষিদ্ধ মাদকচক্রে অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধেও চলবে তদন্ত।
প্রসূন গুপ্তঃ মহাভারতে জেনেছিলাম যে, অর্জুন পুত্র অভিমন্যু কৌরবদের চক্রবূহ প্রবেশের পথ জানতেন কিন্তু বেরোনোর পথ জানতেন না কাজেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। আজকের কলকাতা শহরের বেশ কিছু পুজোতে একই হাল। দক্ষিণ কলকাতায় বিখ্যাত পুজোর মধ্যে অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস কুমার ইত্যাদি হেভিওয়েট পুজোয় প্রবেশ প্রস্থানের পথ পরিস্কার হলেও এক একটি মন্ডপে দুর্গা দর্শনে সময় লাগে বিস্তর। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার যে প্রায় কাছাকাছি পুজো হলেও তাঁদের এক মন্ডপ থেকে অন্য মন্ডপে যাওয়ার রাস্তা আটকাননি কেউই।
তাদের মধ্যে অবশ্যই প্রতিযোগিতা আছে এবং নিজেদের সেরা সাব্যস্ত করতে কেউ কাউকে জমি ছাড়েন না। কিন্তু ববি বা অরূপ কেউ অন্যের পুজো দেখা আটকান না। রেষারেষি কিন্তু উত্তর কলকাতার বড় পুজোতে নেই। সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোয় ভীড় সবথেকে বেশি শহর কলকাতায়। যানযটের অভিযোগ মিডিয়ায় নিয়মিত হলেও মঙ্গলবার থেকে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে সুজিত। এখন ভিআইপি রোডের যানজট কন্ট্রোলে। কিন্তু ভীড় ভয়ঙ্কর।
ব্যতিক্রম দমদম পার্কে। দুর্গা পুজোর জন্য বিখ্যাত এই অঞ্চল। ৬-৭ টি পুজো, তরুন সঙ্ঘ, ভারত চক্র, নবারুন সর্বজনীন, যুবকবৃন্দ, তরুন দল ইত্যাদি। প্রতিটি পুজোর উদ্বোধক সুজিত বসু। কিন্তু রেশারেশি মাত্রাছাড়া। পুজোর ক'দিন দুপুর থেকেই গাড়ি নিয়ে এ অঞ্চলে প্রবেশ করা যায় না। তারপর ভিআইপি রোড দিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমে যুবকবৃন্দ। প্রবেশ হলে এমন ভাবে প্রস্থানের পথটি রাখা হয়েছে যে অন্য মন্ডপে যাওয়ার পথ বহু সমস্যার। একই ফর্মুলা যশোহর রোড দিয়ে প্রবেশ করলে তরুন সঙ্ঘ। প্রবেশ আছে, দর্শন করুন তারপর বেরিয়ে আসা ফের যশোহর রোডে অর্থাৎ অন্য পুজোয় যেতে গেলে বহু ঘোরাপথে যেতে হবে। সর্বজনীন তো রাস্তা কেটে এমন ব্যবস্থা করেছে যে গাড়ি কেন সাইকেল নিয়ে চলাও দুস্কর। এ ছাড়া ভিআইপি রোড বা যশোহর রোড এতটাই যানজটের সংকটে পড়ছে যে সময় লেগে যাচ্ছে ফিরতে। সবথেকে ভয়ের বিষয় অসুস্থ মানুষ নিয়ে। এম্বুলেন্স ঢোকা বেরোনোর রাস্তা প্রায় অবরুদ্ধ। অথচ কোনও সময়েই এ নিয়ে প্রশাসনের মাথাব্যথা নেই।
উৎসবের মরশুমে খুশির খবর। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটালো মোদী সরকার (Modi Government)। দীপাবলির আগেই বৃদ্ধি করা হল মহার্ঘ ভাতা (DA Hike)। সূত্রের খবর, ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে ডিএ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা ৪২ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও এই বিষয়ে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হবে।
সূত্রের খবর, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ বুধবার একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি অনুমোদন করা হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার গত ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ কার্যকর হবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। অর্থাৎ আগামী নভেম্বর মাস থেকেই বেতন বাড়বে তাঁদের। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ধিত ডিএ-র টাকা যুক্ত হবে কর্মীদের বেতনের সঙ্গে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের বকেয়াও কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতনের সঙ্গেই দেওয়া যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।