অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ ছিল অবৈধ! শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। নিয়োগ দুর্নীতিতে বর্তমানে তিনি জেলেও। কিন্তু এরই মধ্যে আরও এক অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রাক্তন সভাপতির হিসাবে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এবারে তাঁর অধ্যক্ষ পদ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ ছিল অবৈধ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি (UGC) আদালতকে জানিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এই পদে বসার যোগ্য ছিলেন না।
১৯৯৮ সালে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ 'বেআইনি' ছিল। ওই পদে বসার মতো তার কোনও যোগ্যতা ছিল না। ইউজিসি একটি মামলায় হলফনামা দিয়ে জানালো কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে দানিশ ফারুকির দায়ের করা মামলায় এই হলফনামা দেয় ইউজিসি। ওই কলেজের অধ্যক্ষদের বেআইনি নিয়োগ সহ নানা অভিযোগে দায়ের মামলায় এই হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ছুটির পরে মামলার ফের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে ক্লাব থেকে টাকা লেনদেনের অভিযোগ ছিল। সে তথ্য আদালতকে জানিয়েছে ইডি। পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সরাসরি যোগ রয়েছে সৌভিকের এমনই দাবি ছিল ইডির। এবার ইডির নথি থেকে পাওয়া তথ্যে আপত্তি জানিয়ে আদালতে হলফনামা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সৌভিকের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, সরাসরি সৌভিকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ক্লাব বা শিক্ষা ক্ষেত্রে হঠাৎ নতুন তথ্য আনছে ইডি। এর আগে তাঁর মাকেও তথ্য প্রমাণের অভাবে জামিন দিয়েছে আদালত। সেই কারণে তাঁকেও জামিন দেওয়া হোক। সৌভিকের আইনজীবী ইডি-র বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি হলফনামা জমা দেওয়ার আর্জি জানান। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সৌভিকের আইনজীবীর সেই আর্জি মঞ্জুর করেন। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মানিকের ছেলেকে নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি-র বক্তব্য, একাধিকবার বিদেশে যাত্রা করেছেন সৌভিক। ২০১৭ সালে মে ও জুলাই মাসে লন্ডনে গিয়েছিলেন সৌভিক। কিন্তু ইডি-র সে তথ্য তাঁদের কাছে জেরায় গোপন করে যান সৌভিক। পরে তা প্রকাশ্যে আসে। এবিষয়ে অভিবাসন দফতরের কাছ থেকেই তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন তিনি এতবার বিদেশ গিয়েছেন, সেটাই মূলত জানতে চান ইডি আধিকারিকরা।
ইডি-আরও দাবি করেছিল, আবাসিক ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন সৌভিক। যদিও সৌভিক বারবার দাবি করেছেন, তিনি পড়াশোনার জন্যই লন্ডনে গিয়েছিলেন। ভিসার আবেদন করেছিলেন। লন্ডনে পড়াশোনার জন্য গেলেও, সেখানে তাঁর কোনও বাড়ি নেই। তিনি হস্টেলে থাকতেন বলেই দাবি করেছেন
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় নয়া তথ্য পেশ ইডি-র আইনজীবীর। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ইডি-র আইনজীবীর দাবি,পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই মানিক ভট্টাচার্যেরও রয়েছে একটি স্কুল। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর সওয়ালকে মান্যতা দিতে নারাজ অভিযুক্তের আইনজীবী। যে স্কুলের প্রসঙ্গ আদালতে উত্থাপন করা হয়েছে, সেই স্কুল ১০০ বছরের পুরনো। সাফ জানালেন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী। আদালত সূত্রে খবর, ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন আদালতে বিযয়টি খতিয়ে দেখতে ও তদন্তের গতি বাড়াতে শুনানির জন্য আরও ৩ সপ্তাহ সময় চাইলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এর আগেও তদন্তের স্বার্থে দু'সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আদৌ অগ্রগতি কি হয়েছে মামলার? জবাব চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। অন্যদিকে, আদালতে জামিন মামলায় অভিযুক্ত স্বয়ং উপস্থিত থাকার আর্জি জানিয়েও মিলল না কোনও সদুত্তর। মানিক ভট্টাচার্যের এই আর্জিকে আমল দিতে নারাজ বিচারপতি। এই মুহূর্তে মামলার শুনানিতে ধৃতের উপস্থিত থাকার কোনও আবশ্যকতা নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের পরই পোস্টিং দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে মানিকের। প্রকাশ্যে এসেছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এবার তদন্তে উঠে এল স্কুলের মালিকানার ঘটনা। তবে কি পুজোর আগেই হবে মানিক রহস্যের পর্দাফাঁস? ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে প্রশ্ন।
নিয়োগ মামলায় জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য। শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রথম নিয়োগ মামলায় জামিন পেলেন কোনও অভিযুক্ত।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল শতরূপা ভট্টাচার্যের। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি বলেন, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তাই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। জানা গিয়েছে, জামিন দেওয়ার পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থা ইডি কে সতর্কও করেছে। তিনি জানিয়েছেন, অনুমানের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ যেন না নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শতরূপা ভট্টাচার্যের কাছ থেকে এমন কিছু পাওয়া যায়নি যা নিয়ে তদন্ত করা যেতে পারে। সেকারণেই জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে নিম্ন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই তদন্তে নেমে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেই সূত্রে গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীকেও।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের কথা জানিয়েও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ তাঁর বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মানিকের জামিনের আর্জি জানানো হয়নি। আপাতত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক। পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত মামলার তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এ বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হবে না আপাতত।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহূর্তে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বারবার জামিন খারিজ হচ্ছে তাঁর। এমনকী মানিক ভট্টাচার্য স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য প্রস্তুত। তারপর এই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান তাঁরা। বিচারক ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মানিক সংক্রান্ত মামলায় তাঁদের তদন্ত শেষ হয়েছে কি না। এর কিছু সময় পরেই দেখা যায়, আদালতে ইডি-র পক্ষ থেকে একটি নথি পেশ করা হয়। কিন্তু তা পেশ করার আগেই তারা আদালতকে জানায়, চার্জ গঠনের আবেদন তারা করছে না।
রাতের পর ফের সকালে প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিককে। ফের সকাল হতেই জেরা শুরু প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকেন তদন্তকারীরা। প্রেসিডেন্সির ভিতরে রয়েছে চার সদস্যের দল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই মানিককে জেরা করছে সিবিআই। এমনকী, তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার অনুমতি রয়েছে হাইকোর্টের তরফে। তবে সূত্রের খবর, জেল হেফাজতে থাকা মানিককে সিবিআই নিজের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ ছিল, বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে বলা হয়েছিল বীরভূম, হুগলিতে কোনও শূন্যপদ নেই। যাদের বাছাই করা হয়েছিল তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৭ দিন পর জানা যায়, শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ওই জেলায়। সেখানে চার জেলা মিলিয়ে ৪০০ প্রার্থীকে নেওয়া হয়। অভিযোগ তুলে এই সংক্রান্ত মামলাও দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, এত তাড়াতাড়ি কীভাবে এতগুলি শূন্যপদ তৈরি হল? সেক্ষেত্রে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিচারপতি। সেটাই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ফোন ঘেঁটেই 'কালীঘাটের কাকু'-কে পেয়েছিল ইডি (ED)। সেই থেকেই ইডির নজরে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujoy Krishna Bhadra)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর এমনই। মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত বছর অক্টোবর মাসে। সেইসময় মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে 'কালীঘাটের কাকু'-র সন্ধান পান ইডি আধিকারিককরা। তারপর থেকেই সুজয়ের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিল ইডি। উল্লেখ্য, বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালত সুজয়কৃষ্ণকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সুজয় ইডিকে জানিয়েছেন, মানিকের সঙ্গে ২০২১ সাল থেকে তাঁর যোগাযোগ। কিন্তু, ইডি তদন্ত বলছে, ২০১৮ সাল থেকে তাঁদের একে অপরকে চিনতেন। মানিকের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে এমন দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৮ সাল থেকেই মানিককে বহু টেট প্রার্থীর নথি সুজয় পাঠিয়েছিলেন। মার্কশিট এবং অ্যাডমিট কার্ডও পাঠানো হয়। বুধবার ইডি আদালতে আরও দাবি করেছে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। কুন্তল বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি সুজয়কে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন পার্থকেও।
এদিকে শোনা গিয়েছে, খাবার মুখে তুলছেন না সুজয়। সূত্রের খবর, অনশন শুরু করেছেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনি নিজে বুধবার আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, "আমি হাঙ্গার স্ট্রাইক (অনশন) করব।" তবে ইডি আইনজীবীর দাবি, ইডির প্রশ্ন এড়ানোর জন্যই না খাওয়ার কৌশল নিচ্ছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । এতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি।
'১০০ কোটি টাকা নয়, ৫০০ কোটির খেলা নিয়োগ দুর্নীতি (Scam)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল (Kuntal Ghosh)।' এমনই বিস্ফোরক দাবি মানিক (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের। পূর্বেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন তাপস মন্ডল। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে, আদালতে ঢোকার সময় তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন কুন্তল ঘোষের সম্বন্ধে।
বৃহস্পতিবার তাপসকে আদালতে পেশ করা হয়। এদিন কুন্তল ঘোষের সম্বন্ধে তিনি বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০০ কোটি নয়, ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল এবং সেই সমস্ত টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়েছিল কুন্তল।' প্রসঙ্গত এর আগে বহুবার কুন্তলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাপস মন্ডল। পাশাপাশি তাপসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ।
আজ বৃহস্পতিবার তাপসের দাবি ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পাশাপাশি কুন্তল প্রসঙ্গে তাপস মন্ডল আরও গুরুতর অভিযোগ করেন এবং বলেন, 'অভিষেকের নাম ভাঙিয়েও টাকা তুলেছে কুন্তল।' এছাড়া ইডি-সিবিআই নাকি নাম বলানোর জন্য চাপ দিয়েছে। কুন্তলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাপস। এদিন তাপস মন্ডল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'কেন্দ্রীয় সংস্থা কোনওভাবেই কোন চাপ দেয়নি।'
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Primary Education) পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচি চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির (ED)। প্রায় ১০ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রত্না দেবীকে। তাঁকে করা সম্ভাব্য প্রশ্নগুলোর জবাব বেশ কৌশলে দিয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সচিব (Board Secretary)। সূত্রের খবর, যে যে সম্ভাব্য প্রশ্ন তাঁকে করা হয়: আপনি সচিব পদে ছিলেন ভূমিকা কী ছিল? দায়িত্ব কী ছিল? জবাবে রত্নাদেবী জানান, 'সমস্ত রকম কাজের যা দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনে সেই সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছি।'
প্রশ্ন ছিল, 'নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের যোগসাজশ কী ছিল? আপনি কি জানেন?' পাল্টা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব জানান, 'আমি ওর বিষয়ে কিছু জানি না। উনি যা কথা বলতেন উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গেই আলাদা করে কথা বলতেন। আমার যা দায়িত্ব ছিল আমি সেই দায়িত্বের মধ্যেই কাজ করেছি।'
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, 'মানিক ভট্টাচার্যকে কারা নির্দেশ দিতেন? আপনি কি জানেন?' উত্তরে রত্নাদেবী জানান, 'কারা কোথা থেকে নির্দেশ দিয়েছে তিনি জানতেন না। কিন্তু নির্দেশ কিছু আসতো তাঁর কাছে। কী নির্দেশ বা কারা দিয়েছে এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।' রত্নাদেবীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, 'মানিক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন পুরো সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা কমিটি নিতেন। আপনি এ বিষয়ে কী জানেন?' জবাবে রত্নাদেবী বলেন, 'আমি আগেই বলেছি উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কথা হতো। কিন্তু কী কথা হতো, আমি এবিষয়ে কিছু জানি না।'
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'আপনি তো পদে ছিলেন। ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেন অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি?' তিনি জানান, 'মানিক ভট্টাচার্য সমস্ত রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।' ইডি সূত্রে খবর রত্নাদেবীকে সম্ভাব্য এই প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল। জবাবে তিনিও সম্ভাব্য এই জবাব দেন।
তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁর দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তি ইডিকে বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৫ জানুয়ারি এই সিঙ্গল বেঞ্চ পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। অভিযোগ, 'দু'সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা জমা না করায় মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর নির্দেশ হাইকোর্টের।'
জানা গিয়েছে, ২০১৭-র টেট পরীক্ষার্থী সাহিলা পারভিন তথ্য জানার অধিকার আইনে তাঁর উত্তর পত্র বা OMR শিট দেখতে চেয়ে আবেদন জানান। নির্ধারিত টাকা দিয়ে তিনি এই আবেদন জানান। যদিও সেই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, 'যথাযথ OMR শিট তাঁকে দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।' এরপরেই জরিমানা করা হয় মানিকবাবুকে। কিন্তু অভিযোগ, কোর্ট নির্ধারিত তারিখ পেরোলেও জরিমানা টাকা জমার ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্চ্য করেননি পর্ষদের অপসারিত সভাপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে জেলবন্দী মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর আদেশ পৌঁছে দিতে হবে।'
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Education Case) এবার গ্রেফতার হলেন শতরূপা ভট্টাচার্য এবং শৌভিক ভট্টাচার্য। এই দু'জন সম্পর্কে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) স্ত্রী এবং পুত্র। আগামি ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshal Court)। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল (TMC MLA) বিধায়ক মানিকের গ্রেফতারির পর ইডি একটা সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেই চার্জশিটে শতরূপা এবং শৌভিক ভট্টাচার্যর নাম আছে। সেই চার্জশিটের সূত্র ধরে বুধবার ইডির (ED) বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন শতরূপা-শৌভিক। আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান দু’জনই। সেই আবেদন এদিন খারিজ করেছেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।
মানিকের স্ত্রী-পুত্রর তরফে আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, 'সমনের ভিত্তিতে তাঁর মক্কেলরা নিজে থেকেই হাজিরা দিয়েছেন। গ্রেফতার করে তাঁদের আনতে হয়নি। ইডির তদন্তেও তাঁরা সহযোগিতা করছেন। জামিনের জন্য যেকোনও শর্ত তাঁরা মানতে রাজি।'
কিন্তু শতরূপা ও শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, 'মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী। দুর্নীতিতে তাঁরও ভূমিকা থাকতে পারে। তাছাড়া, মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে, তাতে দুর্নীতির টাকা থাকতে পারে।' এই সম্ভাবনা উসকে মানিকের স্ত্রী-পুত্রের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইডি এদিন আদালতে দাবি করেছে, শৌভিক পড়াশোনার সূত্রে ইংল্যান্ডে দীর্ঘ দিন ছিলেন। রেসিডেন্সিয়াল ভিসায় তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েই এই ভ্রমণ বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Corruption Case) তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, কুন্তল ঘোষ টাকা দিয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকেও (Manik Bhattacharya)। জেরায় কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন কুন্তল ঘোষ। তিন জন লোক যুব তৃণমূল নেতার থেকে এই টাকা এসে নিয়ে যেতেন। এমনটাই ইডিকে জানিয়েছেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। সেই তিন ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছে ইডি। নানাভাবে কোটি টাকার বেশি সেই তিন ব্যক্তি কুন্তলের থেকে নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যর হাতে তুলে দিয়েছে।
এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে ইডি। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে এই মর্মে অবগত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ-কাণ্ডে এই প্রথম কারও বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি ইডির। এযাবৎকাল তদন্তে পাওয়া একাধিক তথ্য এবং নথির ভিত্তিতে সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছেন মানিক-পুত্র। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই লুকআউট নোটিস জারি ইডির।
মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জামিন খারিজ করে ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের। বুধবার জামিন মামলার (Bail Plea) শুনানিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সিডিতে বহু চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছে। যারা চাকরি পেতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে চাকরির জন্য গেলে দিতে হতো ৫-৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক ভট্টাচার্যর কাছে চাকরি চাইতে গেলে দিতে হতো ১-২ লক্ষ টাকা প্রার্থীপিছু। এভাবেই নাকি রেট ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছিল। এই দাবিই কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED) বুধবার আদালতে করেছে।
এদিকে, বুধবার মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবী বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী বলছেন তদন্ত কবে শেষ হবে জানা নেই। তাই আমি মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করছি।' এই জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আইনজীবীর বিস্ফোরক মন্তব্য, 'নিয়োগ পেতে কারা টাকা দিয়েছেন, সেটা চিহ্নিত করতে OMR শিটে কোড প্রশ্ন ব্যবহার করতেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল কুন্তল ঘোষের। যে চাকরিপ্রার্থী মোটা অংকের টাকা দিতেন, সেই প্রার্থীকে নির্দিষ্ট মাত্র দুটো কোশ্চেন মার্ক করে দেওয়া হতো। গোটা OMR শিট ফাঁকা রেখে নির্দিষ্ট ওই দুটো কোশ্চেনের উত্তর দিলেই পরীক্ষক বুঝে যেতেন তিনি টাকা দেওয়া প্রার্থী। এরপরেই পাস করিয়ে দেওয়া হতো ওই প্রার্থীকে।'
এভাবেই একাধিক অযোগ্য প্রার্থী দীর্ঘদিন চাকরি পেয়েছেন, কোর্টে দাবি ইডির। এমনকি কুন্তল ঘোষ এবং মানিক ভট্টাচার্যর প্রত্যক্ষ যোগ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে দাবি ইডির।
আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ফাঁকা এজলাসে এই দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মন্তব্য, 'যারা এসব বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক।' এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Court) মানিক জানান, 'আমার ৬৬০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট আছে যাদবপুরে। পরে ১১০০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। আর নদীয়ায় বাড়ি আছে। এসব তথ্য আমি ইডিকে (ED) দিয়েছি।' নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'একজন সিঙ্গল বেঞ্চের জজ এসব বলছে। ডিভিশন বেঞ্চে আগে মামলা হয়নি। আজ হবে, তার আগে মিডিয়া ভুল খবর দিচ্ছে।'
এদিন কোর্ট থেকে জেলে যাওয়ার পথে এবিষয়ে সরব ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আমার লন্ডনে বাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বাড়ি নেই। আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, নেই, নেই। যদি থাকে আমার ফাঁসি হোক। আপনাদের একটা অনুরোধ একটু জেনে নিয়ে খবর করবেন।'
দুটি পাসপোর্ট প্রসঙ্গে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি বলেন, 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই।একটার সময়সীমা শেষ হওয়ায় অন্যটি পেয়েছি। দুটোর নম্বর এক, এটা কেউ দেখলো না। আমার দুটো পাসপোর্ট থাকলে ভারত সরকার আমাকে ছেড়ে দিতো।' মিডিয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানিক বলেছেন, 'সোমবার সিবিআই আমার কাছে গিয়েছিল। পাসপোর্ট নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে মিডিয়া। আমি জেলে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি। আমার মান সম্মান সব জলাঞ্জলি।'
এদিকে জানা গিয়েছে, জেলে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় আহত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে বুকে, পায়ে আঘাত লেগেছে তাঁর। তিনি এই মুহূর্তে জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এক টেট পরীক্ষার্থীর (TET Exam) করা মামলায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ফের জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে (Manik Bhattacharya) পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে এই জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি (Justice Ganguly)। জানা গিয়েছে, সহিলা পারভিন নামে ২০১৭-র এক টেট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি তথ্যের অধিকার আইনে তাঁর ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এর জন্য নির্ধারিত টাকা দিয়ে এই আবেদন জানিয়েছিলেন সহিলা পারভিন। কিন্তু সহিলার অভিযোগ, 'তাঁকে যথাযথ ওএমআর শিট দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।' যে সময়ের এই ঘটনা, সেই মুহূর্তে পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য।
জানা গিয়েছে, সহিলা পারভিন ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ফলাফল জানতে পারেনি তিনি। তা জানতে চেয়েই আবেদন করেছিলেন সহিলা। সেই সময় পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ৫০০ টাকা ড্রাফট কেটে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। তিনি সেই মতো আবেদন জানানো সত্বেও তাঁকে বলা হয়, সঠিক ফরম্যাটে আবেদনে করা হয়নি। কিন্তু অভিযোগকারীর দাবি, 'যে ফরম্যাটে তিনি আবেদন করেছেন, সেটা ছাড়া আর কোনও ফরম্যাট নেই। সেই কারণে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।'
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা এই প্রথম নয়। এর আগেও আদালত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করেছিল। এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, ৮ বছর পরও পরীক্ষার ফল জানায়নি পর্ষদ। সেই সময়েও পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।