তাঁকে খুঁজে না পেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (central investigation agency) সংস্থা লুকআউট নোটিস (Lookout Notice) জারি করেছে। কোথায় তিনি, এই প্রশ্নে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সেই মানিক ভট্টাচার্যকে (TMC MLA Manik Bhattacharya) মঙ্গলবার পাওয়া গেল বিধানসভায়। পলাশিপাড়ার বিধায়ক প্রাক্তন এই শিক্ষাকর্তা বিধানসভার শিক্ষা সংক্রান্ত এক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। সেই কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে বিধানসভায় এসেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি। তবে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুকআউট নোটিস প্রসঙ্গে মন্তব্য করেননি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই অপসারিত সভাপতি।
এদিন পলাশিপাড়ার বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে যোগ দিতে আমি বিধানসভায় এসেছি। একজন বিধায়ক হিসেবে আমার যা দায়িত্ব কর্তব্য আমি পালন করছি। স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিংয়ে আমি অনুপস্থিত ছিলাম না।'
বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া লুকআউট নোটিস প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই প্রশ্নের জায়গা বা প্রেক্ষিত ঠিক নয়। বিধানসভা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে করুন নিশ্চয় জবাব দেব। কিন্তু অনুরোধ বিচারাধীন কোনও বিষয়ের প্রশ্ন আমাকে এখানে করবেন না। তাঁর দাবি, 'রবিবার তিনি সারাদিন পলাশিপাড়ার বিধায়ক হিসেবে ওখানকার মানুষের জন্য যা যা করণীয় আমি করেছি। সব বৈঠকে যোগ দিয়েছি।' রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা লুকআউট নোটিস জারি হওয়ার পরেই মানিক ভট্টাচার্যের নিরাপত্তা তুলেছে রাজ্য পুলিস। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নিরাপত্তা পেয়েছিলাম। আমি এখন সভাপতি নেই স্বাভাবিক কারণেই আর ওই নিরাপত্তা থাকবে না।
ঠিক কী বললেন তিনি?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya), তিনি কি সত্যিই নিখোঁজ? এই প্রশ্নেই বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি৷ যদিও সংবাদমাধ্যমে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি কলকাতার যাদবপুরের (Jadavpur) বাড়িতে আছেন৷ ইতিমধ্যে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে লুকআউট নোটিস (LookOut Notice) জারি করেছে সিবিআই (CBI)। রাজ্য পুলিসও তুলে নিয়েছে তাঁর নিরাপত্তা। এই অবস্থায় শনিবার সকালে নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দায় দেখা দিলেন মানিক ভট্টাচার্য। যদিও গত কয়েকদিনে তাঁকে বিস্তর খোঁজাখুজির পর সংবাদমাধ্যমকে ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, কলকাতায় আছেন তিনি। যাদবপুরে নিজের বাড়িতে আছেন। এরপর সাক্ষাৎ মানিক দর্শন।
বাড়ির একতলার বারান্দা থেকে সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ দরজা খুলে বারান্দার সামনে এসে দাঁড়ালেন মানিকবাবু। এদিন মানিকবাবু বললেন, "আমি বাড়িতেই আছি। ছবিতে দেখে নিয়েছেন এবার নিশ্চিত হলেন তো? কোর্টের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য আমি করব না। কিন্তু দয়া করে আমাদের সাধারণ জীবনযাপন করতে দিন। তদন্তে অসহযোগিতা আগেও ছিল না এখনও নেই। "
টেট(TET) দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস(lookout notice)সিবিআইয়ের(CBI) । তৃণমূল বিধায়কের খোঁজে সমস্ত বিমান বন্দরে নোটিস জারি। এমনটাই খবর পিটিআই সূত্রে।এর ফলে তিনি কোনও বিমানবন্দর থেকে বিদেশে যেতে পারবেন না।
CBI issues lookout notice against TMC MLA and former chairman of West Bengal Board of Primary Education Manik Bhattacharya in connection with its probe into alleged irregularities in primary teachers' appointment
— Press Trust of India (@PTI_News) August 25, 2022
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। বন্ধ ফোন, প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও বেপাত্তা মানিক, এবার কি অপসারিত পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইডি। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কি আইননুগ(legal) ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ ইডি। হাইকোর্টে আইনে পরামর্শের জন্য ইডি আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার তলব করেও মেলেনি কোনও সাড়া।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।
গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। বন্ধ ফোন, প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও বেপাত্তা মানিক, এবার কি অপসারিত পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইডি। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কি আইননুগ(legal) ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ ইডি। হাইকোর্টে আইনে পরামর্শের জন্য ইডি আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার তলব করেও মেলেনি কোনও সাড়া। বৃহস্পতিবার সকালে ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে বলেই মনে করছেন হাইকোর্টে আইনজীবী মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। সূত্রের খবর, এবার মানিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ(legal step) নিতে পারে ইডি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।
শেষ তলবের(summoned) পর পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় সপ্তাহ । এখনও বেপাত্তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বন্ধ তাঁর মোবাইল ফোনও(mobile phone)। টানা কেন্দ্রীয় সংস্থার(ED) তলব এড়াচ্ছেন তিনি। তবে কী এবার গ্রেফতারির পথে হাঁটবে ইডি ? আদালতের দ্বারস্থ হবে ইডি ? উঠছে সেই প্রশ্ন। সূত্রের দাবি, শেষ গত শুক্রবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিধানসভায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে টেট(TET) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকে তথ্য পায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তথ্যকে সামনে রেখেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু ইডির তলবে একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। সূত্রের খবর, এবার মানিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ(legal step) নিতে পারে ইডি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে এলেন গৌতম পাল। তিনি এখন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন। আজ রাজ্য শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এক বছরের জন্য পর্ষদের নতুন সভাপতি হলেন গৌতম পাল। গত জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত করে।
টেট (TET) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ফের তলব করল ইডি। আজ দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁকে হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাত্ ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। এবার নির্দিষ্ট সময় পর হাজিরা না দিলে সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের(legal step) সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আজ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বিকেলে মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা ইডির, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে জানা গেছে, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি, যাতে ছিল সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। মানিক ভট্টাচার্যকে ওই সংশোধিত তালিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তদন্তকারী ইডি আধিকারিকরা। তারপরই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।