Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

MamataBanerjee

Kolkata: ফের মমতা-মোদী সাক্ষাৎকার, কী নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা?

সম্প্রতি দেখা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন। একজন রাজ্যের প্রধান প্রশাসক হিসাবে এই উপস্থিতিই দস্তুর। কিন্তু এর মধ্যে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার প্রশ্নে মমতা বিভিন্ন সময়ে অনুপস্থিত থাকতেন। রাজনীতি তো তার জায়গায় থাকবেই। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে প্রশাসনিক বৈঠকে থাকাটা জরুরি এবং বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে তথা এ দেশেও যে অর্থনৈতিক দুর্গতি চলেছে, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণে একে অপরের থেকে দূরে থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়।

কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সভায়। যদিও তাঁদের মধ্যে আলাদা বৈঠক হয়নি। কিন্তু মোদী আলাদা করে মমতার সঙ্গে কুশলবার্তা বিনিময় করেন। এবারে ফের বৈঠক হতে চলেছে এবং তা এই কলকাতায়।

গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন কলকাতায়, পূর্বাঞ্চলীয় এক বিশেষ বৈঠকে। যেখানে অমিত শাহ সভা পৌরোহিত্য করেন এবং চেয়ারপারসন ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন প্রমুখ। সভার পরে অমিত শাহকে মধ্যাহ্ন ভোজনে ডাকেন মমতা। নবান্নের ১৪ তলায় খাওয়ার ফাঁকে নাকি কিছু জরুরি কথা হয় দুই স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধানের মধ্যে, যা ছিল রাজ্যের বিষয়ে। সভার পর যতটুকু জানা যায়, আলোচনা শুভ হয়েছে।

এবারে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসার সম্ভবনা ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বিশেষ সভা। উপস্থিত থাকার কথা বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানদের। কোথায় সভা হবে জানা যায়নি। তবে দায়িত্বে আছেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই খবর। এছাড়াও গঙ্গা বক্ষে একটি ভ্রমণের কথাও চলেছে। এর আগে একবার প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়ে আসার কথা থাকলেও বিশেষ প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে আসতে পারেননি। লক্ষণীয় বিষয়, এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা দিয়ে শেষ পর্যন্ত কিন্তু এ রাজ্য আসছেন বা এসেছেন। যেটাই হোক রাজ্যের পক্ষে শুভ বার্তা থাকলেই রাজ্যবাসী খুশি।

one year ago
Amit:নবান্নের বৈঠকে যোগ দিতে একদিন আগেই শহরে অমিত শাহ, রাজ্য বিজেপির বৈঠকেও নজর

প্রসূন গুপ্ত: শনিবারে মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah at Kolkata)। তবে এটা নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎকার নয়, ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক। এই অনুষ্ঠানে আহ্বান করা হয়েছে উত্তর পূর্ব-ভারতের (North East State) স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রীদের। এই সভা হওয়ার কথা ছিল ৫ নভেম্বর কিন্তু অমিত শাহের বিশেষ সভা থাকার জন্য তা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, যা যা  ঘটছে তাতে অমিতজি আসবেন না। কিন্তু এটা একেবারেই সরকারি জরুরি বৈঠক তাই বিলম্ব হলেও তিনি আজই বিকেলে কলকাতায় এসে পৌছবেন। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা আসছেন। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন তিনি আসতে পারবেন না। শনিবারের সভার পৌরহিত্য করবেন অমিত শাহ এবং চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকছেন মমতা বলেই সংবাদ।

অমিত একদিন আগেই আসছেন কারণ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর লেনে বৈঠক করবেন প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে। উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। থাকতে বলা হয়েছে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫ সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতাদের। এঁরা যথাক্রমে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতির্ময় মাহাতো ও দীপক বর্মন।

দলের অভ্যন্তরের কী অবস্থা, রাজ্য নেতৃত্বের কোনও নেতার, বিশেষ কারও বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অভিযোগ রয়েছে কিনা? সেসব শুনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যদি কোনও ড্যামেজ থাকে সেটা কন্ট্রোল করে, দলকে উজ্জীবিত করতে শুক্রবার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বসছেন অমিত শাহ। পাল্টা দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হতে পারে মুরলীধর সেন লেন, এমনটাই সূত্রে খবর।

 

one year ago
Meghalaya: সিবিআই যদি এত স্মার্ট হয় তাহলে হেফাজতে একজনের মৃত্যু কী করে: মুখ্যমন্ত্রী

সিবিআই (CBI) যদি এত স্মার্ট হয় তাহলে তাদের হেফাজতে একজনের মৃত্যু হল কী করে? মেঘালয় সফরে (Meghalaya Visit) এই প্রশ্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিধানসভা ভোট এবং সংগঠন বিস্তারকে পাখির চোখ করে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সফর করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরের ফাঁকেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই লালন শেখের মৃত্যু প্রসঙ্গ উঠলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি ঘটনার নিন্দা করি। সিবিআই এত স্মার্ট হলে ওদের হেফাজতে কীভাবে একজনের মৃত্যু হয়? আমি শুনেছি ওর স্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন।'

পাশাপাশি এদিন এক কর্মিসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো দাবি করেন, 'আমরা ক্যা বা সিএএ-র আর এনআরসি বিরোধী। একদম শুরু থেকেই আমি আন্দোলন করছিলাম। কীভাবে একজন ভোটারের নাম এভাবে বাদ দেওয়া যায়? এভাবে একজনকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আমরা দেব না।'

এদিকে, সোমবার সিবিআই হেফাজতে বগটুই-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর থেকেই চাপা উত্তেজনা রামপুরহাটের এই গ্রামে। এদিন সকাল হতেই পথে নামে লালন শেখের পরিবার। সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গোঁ ব্যাক সিবিআই স্লোগান তোলা হয়েছে। এমনকি লালন শেখকে খুন করেছে সিবিআই। এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সংস্থার গ্রেফতারির পক্ষে সুর চড়িয়েছে লালনের স্ত্রী এবং মেয়ে।  জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।

one year ago


Taki: হাসনাবাদের গ্রামে ট্যাংরা মাছ-ভাত দিয়ে মধ্যহ্নভোজ মুখ্যমন্ত্রীর, ইছামতীতে লঞ্চবিহার

টাকি সফরের (Taki Tour) দ্বিতীয় দিনে অভিনব জনসংযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। প্রথমে ইছামতীর (Ichamati River) বুকে লঞ্চে সফর। তারপর হাসনাবাদ ব্লকের খাঁ পুকুর এলাকার একটা প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে খোশ গল্প এবং প্রগতি সংঘের মাঠে গিয়ে স্থানীয়দের শীত পোশাক বিতরণ। খেজুর পাতা দিয়ে চাটাই তৈরি শেখা এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসেই ট্যাংরা মাছের ঝোল, আলু আর কচুর তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া (Lunch at Hasnabad)। এভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মাস কয়েক আগে জনসংযোগে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর 'দিদি'কে হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগও জানালেন গ্রামবাসীরা।

এদিন খাঁ পুকুরের যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন, সেখানকার এক কর্মী এলাকার রাস্তার উন্নয়ন এবং জলের জোগান প্রতুল রাখার আবেদন জানান। উনি এসেছেন ভালো লেগেছে, স্কুল পরিদর্শন করে গিয়েছেন ভালোই লাগছে। ক্লাসরুমে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী বাচ্চাদের হাতে জামাকাপড় তুলে দিয়েছেন এবং কিছু প্রশ্ন করেন। এদিন জানান প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক। বুধবার যে বাড়ির উঠোনে বসে মুখ্যমন্ত্রী ভাত খেয়েছেন, সেই বাড়ির গৃহকর্ত্রী নমিতা মণ্ডল জানান, মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন খুব খুশি হলাম। উনি বলেছেন তরকারি রান্না খুব ভালো হয়েছে।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই এলাকা বন্যায় প্রতি বছর বাঁধ ভাঙে, সেই সমস্যা সমাধানে সুন্দরবনের জন্য মাস্টার প্ল্যান জমা দিচ্ছি। প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই, তাই বাঁধ ভাঙার সমস্যা নিজে ঘুরে দেখতে এসেছি। কীভাবে আপনাদের ভালো হয়, মঙ্গল হয় দেখতে এসেছি। রাজ্য সরকার ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগিয়েছে ভাঙন রোধে।

এদিকে, হাসনাবাদের খাঁ পুকুর গ্রামে নমিতা মণ্ডলের বাড়িতে মধ্যহ্ন ভোজ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বিষয় তিনি জানান, এত রান্না কীভাবে করলাম, জানতে চাইলেন। পাশাপাশি পানীয় জলের সমস্যা, বাঁধ ভাঙার সমস্যা, ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে, এসব বললাম। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন দুয়ারে সরকারে আবেদন করুন, ধীরে ধীরে সব হবে। গ্রামেরই এক প্রবীণ সদস্য জানান, 'আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ঘরের কথা বলেছি, পানীয় জল, চালের কথা বলেছি। সময়ে বিধবা ভাতা পাই, সেটাও জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঠিক আছে ঘর হবে।'

one year ago
Ration: দুয়ারে রেশন প্রকল্পে সুপ্রিম স্বস্তি, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের

'বিচারের বাণী যাতে নীরবে নিভৃতে না কাঁদে' দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প নিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার নবান্নকে স্বস্তি দিয়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্থগিতাদেশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। মমতা সরকারের এই  প্রকল্প বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও অনিরুদ্ধ রায়ের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

এই স্থগিতাদেশের ফলে রাজ্যে চলবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। সোমবার শীর্ষ আদালতের এই স্থগিতাদেশের ফলে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প চালাতে আর কোনও আইনি বাধা আপাতত রইলো না।

রাজ্যের এই প্রকল্প খাদ্য অধিকার আইনের পরিপন্থী, এই যুক্তি দেখিয়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্প বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। অবশেষে 'সুপ্রিম' স্বস্তি রাজ্যর।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্য এই প্রকল্প চালু রাখতে 'কারও গায়ের জোরের কাছে মাথা নত করব না' বলে সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশনে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'মানুষের জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হয়েছিল। মানুষের স্বার্থেই দুয়ারে এই প্রকল্প চলবে।' তিনি এ-ও বলেছিলেন, 'দরকারে বিধানসভার মাধ্যমে কোর্টকে আবেদন করব। যাতে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।'

one year ago


Mamata: সংবিধান দিবসের আগে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে সপার্ষদ শুভেন্দু, মমতার চা খাওয়ার প্রস্তাব

এ যেন এক নয়া ভেলকি! সংবিধান দিবসের আগে গণতন্ত্রের অন্যতম পীঠস্থান বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে সপার্ষদ শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য রাজনীতি শুক্রবারের এই দৃশ্যকে অভাবনীয় সৌজন্য বলছে। শুক্রবার বিধানসভায়(Assembly) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গী ছিলেন পদ্ম শিবিরের মহিলা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল এবং মনোজ টিগ্গা। জানা গিয়েছে, এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎই ডেকে পাঠান রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আর এতেই চড়তে থাকে জল্পনার পারদ। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, বিধানসভায় নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে 'ভাই' সম্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তবে এই সাক্ষাৎ নিছকই সৌজন্যমূলক বলেছেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেছেন, চা খেতে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু আমরা খায়নি। এছাড়াও রাজ্য সরকারকে খানিক কটাক্ষ করে শুভেন্দুর বক্তব্য, 'প্রায় দেড় বছর পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি কখনওই প্রতিযোগিতায় যেতে চান না।'

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। তার জন্যও তিনি দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর অধীনস্ত দফতর তথ্য- সংস্কৃতি দফতরকে। এদিন বিধানসভা যে ঘটনার সাক্ষী থাকল, তাতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ কমার কি সম্ভাবনা দেখছে বাংলা? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে।

one year ago
Assembly: বিধানসভায় সরকারকে সংবিধানের পাঠ শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতাকে 'ভাই' সম্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

বিধানসভায় একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু অধিকারী (Suvednu Adhikary)। তিনিও বলেন, 'সংবিধানের ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল মানা হচ্ছে না। ফর দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি‌ করছে।' সংবিধান দিবস (Constitution Day) নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের (Bengal Government) উদ্দেশে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা। সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য। তিনি জানান, 'প্রশাসনিক সভাতে বিরোধী দলের বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। আশা করি যথাসময়ে পুরসভা নির্বাচন হবে। দিনের পর দিন বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনে নির্বাচন হয় না। আমরা-ওরার প্রাচীর ভেঙে দেওয়া উচিত। নিয়োগ, বদলি স্বচ্ছতা রাখা উচিত। বিচারব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভ ভোটের সময় মিডিয়া আক্রান্ত হয়।'

এখানেই থামেননি বিরোধী দলনেতা, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'বামফ্রন্টের সময় রাজনীতির বাইরে একটা রেশন কার্ড দেওয়া হতো না। আজকের পর থেকে এটা হবে না আশা করি। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়কদের দলগতভাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রয়াত দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের ভোটও কেউ দিয়ে গেলেন, এগুলো বন্ধ হোক।'

যদিও বিরোধী দলনেতাকে 'ভাই' সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আমার ছোট ভাইয়ের মতো। যাকে স্নেহ করতাম, সে বলল বাই দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, ফর দ্য পার্টি। আমি তো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বলতে পারি, বাই দ্য এজেন্সি, ফর দ্য এজেন্সি, অফ দ্য এজেন্সি।' তাঁর মন্তব্য, 'বেঙ্গল বিজনেস সামিটে আপনারা যাননি। রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে যাননি। আপনারা ডাকলেও যান না। চলচ্চিত্র উৎসবে আপনাদের সবার আমন্ত্রণ থাকল।' শুভেন্দুর করা 'সঠিক সময়ে নির্বাচন হয় না' মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'রোজ রোজ নির্বাচন করলে উন্নয়ন ব্যাহত হয়। ত্রিপুরাতে ৫০ শতাংশ আসনে ভোট হয়নি। উত্তর প্রদেশেও তাই হয়েছে।'

one year ago
CM: হাসপাতালে দালালরাজ সমর্থন নয়, দালাল পেলেই ধরবেন! বিধানসভায় কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

একদিকে শ্যূন্যপদ ও বেআইনি নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রিসভাকে কড়া বার্তা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর সেই আবহেই এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিরিখে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal)। আর এতেই চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) কপালে। আর তাই এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া অবস্থানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধায় প্রবর্তন করা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swastha Sathi) নিয়ে প্রথম থেকেই রয়েছে একাধিক টানাপোড়েন।

কারণ কলকাতা (Kolkata)-সহ রাজ্যের প্রায় অধিকাংশ জায়গায় হাতে গোনা কয়েকটি চিকিৎসাকেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও এই কার্ড নিতে সরাসরি অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে একাধিক বাইকার টাকা বাকি পড়ে রয়েছে বলেও উঠেছে অভিযোগ। তবে সেক্ষেত্রে এরকম কোনওরকমের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে এবার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে উল্লেখ করেন, 'আগে রোগীকে ভর্তি করুন, অক্সিজেন, স্যালাইন দিন রোগীকে। সব রোগী সঠিক চিকিৎসা পাক, প্রাণে বাঁচুক।' এরই পাশাপাশি রাজ্যের কোনও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়ার তীব্র হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন যথেষ্ট কড়া নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, 'হাসপাতালে দালাল চক্র থাকলে ধরবেন। এদের পেলেই ধরবেন।' এছাড়াও তিনি যে এই দালাল চক্র বিন্দুমাত্র সমর্থন করেন না, তাও এদিন স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের কাছে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবুজ সাথী প্রকল্প, সাইকেল দেওয়া, মোবাইল-ট্যাব দেওয়া, সবটাই প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে রাজ্য যে ট্যুরিজম হাব হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

one year ago


Social: 'তোর সব্যর আমি খেয়াল রাখবো', বার্তা অভিনেতা সৌরভ দাসের, শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রীও

২৪ বছরে নিভেছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma Death) জীবন প্রদীপ। ২০ দিনের ফাইট ব্যর্থ করে রবিবার দুপুর ১২টা বেজে ৫৯ মিনিটে প্রয়াত অভিনেত্রী। ঐন্দ্রিলার অকাল প্রয়াণে নাগরিক সমাজ, নেটিজেন, টলিউডের সঙ্গেই শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। এদিন তিনি ট্যুইট (Tweet) করে প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'আমাদের তরুণ শিল্পী ঐন্দ্রিলা শর্মার অকালমৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। প্রতিভাধর অভিনেত্রী একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। টেলি সম্মানও পেয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অনুরাগীদের সঙ্গে আমিও সমব্যথী। এই শোকের আবহে তাঁরা লড়াইয়ের সাহস পাক, এই প্রার্থনা রইল।'

এদিকে, যে ক'দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ঐন্দ্রিলা, তখন তাঁর বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী ছাড়াও আরও একজনের নাম ঘুরেফিরে এসেছে। তিনি হলেন অভিনেতা সৌরভ দাস। এই লড়াইয়ের মুহূর্তে সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে প্রথম থেকেই ছিলেন টলিউডের এই পরিচিত মুখ।

এদিন ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর পর তিনি ফেসবুকে প্রিয় বন্ধু ঐন্দ্রিলার উদ্দেশে সৌরভ দাস লেখেন, 'মিষ্টি আমরা তোকে ভালবাসি।' তাঁর পোস্ট, 'ও জিতেছে, ও একটা ভালো জায়গা এবং কিছু ভালো মানুষ (যদিও সবাই না) পাওয়ার যোগ্য। আমাদের চেয়ে অনেক শান্তির বিশ্বে ও সুখী। মিষ্টি আমরা তোকে ভালবাসি এবং সবসময় ভালোবাসবো। এবং আমি আমার ভাই এবং তোর সব্যর খেয়াল রাখবো। এই মুহূর্তে কেউ সব্যসাচীকে ফোন করবেন না। সব সাংবাদিক বন্ধুকে সনিবন্ধ অনুরোধ। আমাকে ফোন বা হোয়াটস অ্যাপ করতে পারেন। আমাদের সঙ্গে এবং ওর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।'

one year ago
Governor: ডক্টর আনন্দ বোস বাংলার নতুন রাজ্যপাল, সাড়ে ৫ মাস পর স্থায়ী গভর্নর

অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের জায়গায় স্থায়ী রাজ্যপাল (Bengal Governor) হিসেবে বাংলার দায়িত্বে আসছেন  ডাঃ সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বর্তমানে মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা আনন্দ বোসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাষ্ট্রপতি ভবন (Raisina Hill)। তাঁকে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ১৯৭৭ সালের সিভিল (IAS) সার্ভেন্ট, আবাস বিশেষজ্ঞ, লেখক এবং বাগ্মী আনন্দ বোস। ভারত সরকারের সচিব পদমর্যাদায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ডক্টর আনন্দ বোসের। পাশাপাশি অঙ্গ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে জওহরলাল নেহেরু ফেলোশিপ প্রাপক এই ব্যক্তি। এমনকি সার্নে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছে ডক্টর বোস। জগদীপ ধনকরের পর পাঁচ মাস স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা।

জগদীপ ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর লা গণেশনকে অস্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবন। কিন্তু বাংলার মতো রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্যে স্থায়ী রাজ্যপাল নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে মোদী সরকার। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি বহুদিন স্থায়ী রাজ্যপাল চেয়ে দরবার করেছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট এবং ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। তাই আগামি দিনে স্থায়ী রাজ্যপালের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিজেপির এই দরবার।

one year ago


Keshpur: সাঁইথিয়ার পুনরাবৃত্তি! তৃণমূলের 'গোষ্ঠী কোন্দলে' বোমাবাজি, হাত উড়লো দলীয় কর্মীর

সাঁইথিয়ার (Saithia Incident) পর এবার কেশপুর। তৃণমূলের (TMC) 'গোষ্ঠী কোন্দলে' রক্তপাত কেশপুরের (Keshpur) চড়কা গ্রামে। শাসক দলের 'গোষ্ঠী কোন্দলে' বোমাবাজি (Bomb Hurled), হাত উড়লো এক তৃণমূল কর্মীর। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে কেশপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) প্রস্তুতিকে সামনে রেখে এলাকায় একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। চড়কা গ্রামে তারই প্রস্তুতি সারছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় হঠাৎই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করেই বোমাবাজি করে অপর গোষ্ঠীর লোকেরা। এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমকে করেছেন এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। বোমার আঘাতে জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনা ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক কর্মী জানান, সামনে থেকে প্রাণের বাজি নিয়ে আমরা দলকে ভোট লড়তে সাহায্য করি। জিতিয়েও আনি দলীয় প্রার্থীদের। কিন্তু পেশায় প্রমোটার একজন সভাপতি হতে চেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যার সঙ্গে দল কিংবা সংগঠনের কোনও যোগ নেই। কিন্তু সে নিজেকে তৃণমূল বলে দাবি করে। সে হঠাৎ করে হুমকি দেওয়া শুরু করে তৃণমূলের থিওরি আমি জানি। এই দলে পয়সা দিলে সভাপতি পদ পাওয়া যায়, সেই পয়সা আমি দিয়ে দিয়েছি। এটা আদতেই গোষ্ঠী কোন্দল। এই কোন্দলের পিছনে স্থানীয় বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতির ইন্ধন রয়েছে। আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য আছে, কোনও গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত নয়, যা হবে একসঙ্গে লড়াই।

তাঁর মন্তব্য, 'যখন কেউ নেই আশপাশে সবাই বিজেপি, তখন আমরা জীবনের বাজি রেখে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে এনেছি। ভোট পেরোতেই আমাদের ভুলে গিয়েছে।' যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক অজিত মাইতি। তিনি বলেন,'বোমার আঘাতে একজনের আঙুল উড়েছে। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত করেছে। পুলিস ঘটনাস্থলেও আছে। তবে আমি নিশ্চিত এই ঘটনার পিছনে সিপিএম-র চক্রান্ত এবং বিজেপির উসকানি আছে। ওরা চাইছে তলে তলে কেশপুরকে অশান্ত করতে। এখানে যা আছে ন্যূনতম মনোমালিন্য। সেটা আমরা বসে ঠিক করে নেব। এই ধরনের ঘটনা নেতৃত্ব আগামি দিনে ঘটতে দেবে না, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।'

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, 'তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের এই গণ্ডগোল। যারা এখানে প্রথম থেকেই তৃণমূল করেছে তাঁরা এখানে পাত্তা পায় না। এখন যারা বেশি তোলা দিতে পারছে তাঁরাই প্রাধান্য পাচ্ছে। কিন্তু নিজেদের হাতের বাইরে নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় এখন বিজেপিকে দোষারোপ করেছে। মানুষই তৃণমূলের কেশপুরকে শেষপুর বানানোর চক্রান্ত রুখে দেবে।'

2 years ago
Jhargram: ঝাড়গ্রামের পথে গ্রামের দোকানে চপ 'বিক্রি' মমতার, জানুন কত টাকার বিক্রি?

বেলপাহাড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) যাওয়ার পথে শিলদার কাছে হঠাৎ থামল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় (Mamata Banerjee)। গ্রামের নাম মাগুরিয়া, সেই গ্রামের রাস্তার ধারে বড় স্টিলের থালায় রাখা ভাজাভুজি ও ডিমের চপ (Egg Devil)। ছোট্ট এই চপের দোকান দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয় (Mamatas Convoy) থামিয়ে ঢুকে গেলেন দোকানের ভিতর। কথা বললেন দোকান মালিক বুদ্ধদেব মহন্তের সঙ্গে। চপ বেচার কাজে তারপরই হাত লাগালেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের হাতে যেমন চপ ভাজলেন, তেমনই স্টিলের থালায় সাজিয়ে রাখা ভাজাভুজি-চপ কাগজে মুড়ে তুলে দিলেন সকলের হাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজার টাকার শুধু চপই বিক্রি হয়ে গেল বুদ্ধদেব মহন্তর।


মুখ্যমন্ত্রীর এই কাণ্ড দেখে যেমন বিস্মিত বুদ্ধদেব, তেমনই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে চোখের সামনে দেখে আপ্লুত এই তরুণ বিক্রেতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে কর্মসূচি সেরে ঝাড়গ্রাম ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে শিলদার কাছে বুদ্ধদেবের চপের দোকানে এভাবে ঢুকে পড়েন তিনি। 

সেই সময় দোকানেও ছিলেন জনা কয়েক। তবে তাঁদের কেউই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘেঁষতে পারেননি। নিরাপত্তা বলয়ে থেকে হাজার টাকার চপ এবং চকলেট বিক্রি করে মাগুরিয়া ছাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।

2 years ago
Politics: সৌজন্য কি কম পড়িয়াছে? রাজনীতিতে এত কেন ব্যক্তি আক্রমণ, কুকথার স্রোত

প্রসূন গুপ্ত: সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য অখিল গিরি, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যে কুকথা বলেছেন তাই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। অখিলের কুমন্তব্যের কারণে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। এখানেই হয়তো শেষ হয়ে যেতে পারতো এই ইস্যু, কিন্তু হলো কি? অখিল প্রশ্নে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, অখিলকে কান ধরে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেওয়া উচিত। এখানেই থামেননি তিনি, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।

আবার তার পাল্টা বক্তব্য রেখেছেন ববি হাকিম। অন্যদিকে অখিলের মন্তব্যের সমালোচনা করে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যে, এ কোন সংস্কৃতির মধ্যে চলছে? তিনি আরও বলেন, যে দিনের পর দিন সোনিয়া গান্ধীকে নানা কুবাক্য করা হয়েছে আইনসভায়। নীতিবোধ তখন কোথায় থাকে?

মনে পরে যায় আগের জমানার কথা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পার্লামেন্টে অটলবিহারী বাজপেয়ী ভূয়সী প্রশংসা করে ইন্দিরাকে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আবার আমেরিকা সফরে ইন্দিরার সঙ্গে রোনাল্ড রেগনের মতবিরোধ হওয়ার পর ইন্দিরা বাজপেয়ীকেই আমেরিকা সফরে পাঠান। তর্ক-বিতর্ক, বিরোধিতা নেহেরুর আমল থেকেই ছিল কিন্তু শালীনতা ভেদ করেনি কখনও। এ রাজ্যে জ্যোতিবাবুর আমলে, মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন কেন্দ্র বা রাজ্যের। তিনি সমালোচনা করেছেন মমতারও। আবার মমতাও প্রশাসনের চরম বিরোধিতা করেছেন কিন্তু কখনও তা সীমা ছাড়িয়ে যায়নি।

তৃণমূলের প্রথম আমলে বিরোধী নেতা হন সূর্যকান্ত মিশ্র। পরের বার অর্থাৎ ২০১৬-তে আসেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। তাঁরা সরকারের যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন কিন্তু ব্যক্তি আক্রমণে যাননি কেউ। এই সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে। কুকথা, কুৎসিত ভাবে ব্যক্তি আক্রমণ চলেছে। তৃণমূল থেকে এমন অভিযোগ অহরহ করা হয় যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যিনি একসময় রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন, তিনিও নানাভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করেন।

কমতি যান না তৃণমূলের কুনাল ঘোষরাও। গতকাল শুভেন্দু জানিয়েছেন যে তিনি কারুর নাম করে ব্যক্তি আক্রমণ করেন না। কুনালও জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তি আক্রমণ করেননি। কিন্তু সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ইদানিং যে ভাষা বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকরা করছেন তা পড়ার অযোগ্য। পিছিয়ে নেই বামপন্থীরাও। তাঁদের সূক্ষ্ম গালিগালাজ সবচাইতে উচ্চস্থানে রয়েছে।


2 years ago


CM: এবার খোদ মমতার মুখে 'ডিসেম্বর ধামাকা', পুলিস-প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

তিন দিনের নদিয়া সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবার রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন এই বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নদিয়ার (Nadia) জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ পুর এবং ব্লকস্তরের সকল প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিন বৈঠক থেকে দুর্নীতি এবং পূর্ত দফতরের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত কৃষ্ণনগরে কোটি টাকা ব্যয়ে যে সরকারি পান্থনিবাস পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল তার একাংশ এরই মধ্যে ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। আর তাতেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই সঙ্গে ঠিকাদারেরা বাজে কাজ করলে ধরে ধরে ব্ল্যাক লিস্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি কোথাও কোনও দুর্নীতি হলে কখনোই তা রেয়াত করা হবে না বলেও তীব্র ভাষায় জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মূলত আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে টার্গেট করেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। আর সেই মতোই প্রাক ভোট প্রচার সফরে সামিল হয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দল হিসেবে তৃণমূলের সেই হারানো মানদণ্ড ফিরিয়ে আনতেই এবার উঠেপড়ে লেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক সভায় মমতার মুখে ফের উঠে এল 'এনআরসি' (NRC) প্রসঙ্গ। 'রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে! প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অনুরোধ সবার নাম যেন ভোটার লিস্টে থাকে। অন্য ধর্ম বলে তাঁদের দয়া করে বাদ দেবেন না। নির্বাচন এলেই ক্যা ক্যা করে। ভোটার লিস্ট যাঁরা তৈরী করছেন তাঁরা সবার নাম তুলবেন' এমনই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।

এরই সঙ্গে ডিসেম্বর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাবধান বাণী, 'ডিসেম্বরে ধামাকা করার জন্য বিরোধীরা তৈরী হচ্ছে। কর্ণাটকের মতো এখানেও কমিউনাল যুদ্ধ লাগানোর প্ল্যান করেছে। এটা বাঁচার পথ নয়, চৈতন্যদেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি, শান্তির পথ খুঁজুন।' এদিন কার্যত ডিসেম্বর ধামাকা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এর আগে যাঁরা বিধবা ভাতা পেতেন তাঁদের লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হতো না। তবে এখন থেকে এই নির্দেশিকা তুলে নেওয়া হল। ফলে এবার থেকে বিধবা ভাতা পেলেও তাঁরা লক্ষীর ভান্ডারের সুবিধা থেকে আর বঞ্চিত হবেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।তবে এদিন ডিসেম্বর ধামাকা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। 'সকল রাজ্য সরকারী কর্মচারী ও পেনশন ভোগীরা এই ডিসেম্বর ধামাকার জন্য অপেক্ষা করছেন। ডিএ নিয়ে কবে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখবে। এই সরকার কেন্দ্রের হারে মোট ডিএ দিতে পারছে না, চাকরি দিতে পারছে না, বিনিয়োগ আনতে পারছে না, শুধু খেলা, মেলা, মোচ্ছবের রাজনীতি করে চরম ধ্বংসের দিকে পাঠিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে।' ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারকে  নিশানা করলেন তিনি।

এদিকে অবশ্য এই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক যোগসাজসের গন্ধ পাচ্ছেন বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। 'বিজেপি, মমতা দুজনেই বলছেন ডিসেম্বরে ধামাকা হবে। আমরা চিরকাল বলেছি বিজেপি আর মমতা এক কথা বলে। আর কোথায় রাজ্যটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে যেতে চান! আজ থেকে টিটেনাসের দাম বেড়েছে, কাল মুখ্যমন্ত্রীর পুলিস এক যোগ্য চাকরি প্রার্থীকে কামড়ে দিয়েছেন।' এভাবে তীব্র কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেতা।


2 years ago
Mamata: 'ভোট আসলেই ক্যা ক্যা রব', নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় ফের সুর চড়া মমতার

একদিকে যেখানে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, আন্দোলনে রণক্ষেত্র কলকাতার রাস্তা, অন্যদিকে এই আবহেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নামলেন স্বয়ং তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার তিন দিনের নদিয়া (Nadia) সফরের দ্বিতীয় দিনে দলীয় সভায় কার্যত দলের পুরনো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হলেন তিনি। এদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের একাধিক নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শোনা গেল তাঁর গলায়। সেই সঙ্গে ফের সুর চড়ালেন সিএএ (CAA) প্রয়োগের বিরুদ্ধে। 'নির্বাচন আসলেই 'ক্যা' 'ক্যা' রব ওঠে, আপনাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। নির্বাচন আসলেই মাথায় 'এনআরসি' ঢোকে, মতুয়া, রাজবংশী, পাহাড়িদের নিয়ে বাংলা ভাগের চেষ্টা করে! বাংলায় 'ক্যা' করতে কখনই দেব না আমরা। আপনাদের ভোটেই মোদী (Narendra Modi) প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভোটাধিকার না থাকলে আমাদের জিতিয়েছেন কী করে?' সিএএ প্রসঙ্গে এভাবেই কেন্দ্রের বিরোধিতায় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। 

অপরদিকে, অন্য বিরোধী দলের বিরুদ্ধেও এককথায় তোপ বর্ষণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'বিজেপি বড় বড়  কথা বলছে, আর তার দুই শাগরেদ বাম-কংগ্রেস। কিচ্ছু করে না। ইলেকশনের সময় রাম বাম শ্যাম, জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়ে যায়। এ ওর কাছ থেকে কানাঘুষো করে, নানা রকম আদান প্রদান চলে, রাজনীতির পাশাপাশি আরও কিছু লেনদেন চলে,' বললেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে 'ব্যাপম' কেসের প্রসঙ্গ তুলে মমতার মন্তব্য, 'কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে! মধ্যপ্রদেশে ব্যাপমে কতজন গ্রেফতার হয়েছে জানতে চাই। ইচ্ছা করে করে ইলেকশনে যাতে কাজ করতে না পারেন তাই আমার অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছে। এরা তৃণমূলের মান সম্মান নষ্ট করতে চাইছে।'

এরই পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসকে 'মানবিক' সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে 'দানবিক' সরকার বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এদিন আবারও মতুয়া মন পেতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াস এবং সেই সঙ্গে মুকুল রায়কে ফের গুরুত্ব প্রদানকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এবার আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর এই স্ট্র্যাটেজি তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের পালে কতটা হাওয়া লাগায় সেটাই এখন দেখার।

2 years ago