তবে কি সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান? সব দূরত্ব মিটিয়ে আবার কাছাকাছি আসছেন দিদি আর তাঁর আদরের কানন? অন্তত সেরকমই আভাস পাওয়া গেল ভাইফোঁটার দিন। বৃহস্পতিবার বেলা হতেই দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে পেল্লায় গাড়ি। আর সেখান থেকে যারা নামলেন তাঁদের খুব একটা আশা হয়তো করেনি ওয়াকিবহাল মহল! কারণ দীর্ঘ কয়েক বছর পর ফের ভাইফোঁটার দিনে দিদির বাড়িতে গেলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা দলের প্রাক্তন হাইটেক সদস্য শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) এবং সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। তবে কি আবার সব মন কষাকষি মিটিয়ে আবার কাছাকাছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন? এই মুহূর্তে এটাই হট টপিক রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরেই দিদি তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন কালীঘাটে উপস্থিত হন দলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। এটাই দস্তুর হয়ে গিয়েছে দীর্ঘ বছর ধরেই। সেই মতোই এদিন ফিরহাদ হাকিম, মুকুল রায়-সহ একাধিক হেভিওয়েটকে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। মাঝে সকলকে চমকে দল বদল করে গেরুয়া শিবিরের হাত ধরলেও আবার ঘরের ছেলে ফিরেছেন ঘরে। তাহলে এবার বড়দা মুকুলের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছেন শোভনও? প্রশ্ন জোরালো হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
অবশ্য এই ঘটনায় বেশ ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে শোভন এবং বৈশাখীর থেকেও। 'সম্পর্ক আগের মতোই রয়েছে। দিদি ও ভাইয়ের একান্ত কথা হয়েছে আজ, সেখানে রাজনৈতিক কথা হবে না তা তো হয় না। দিদি যা সিগন্যাল দেওয়ার দিয়েছেন তা বাস্তবায়িত হবে কিনা দেখা যাক' এমনটাই বক্তব্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
ফের সক্রিয় রাজনৈতিক আঙিনায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'স্থান কাল পাত্র ঠিক থাকলে সকলেই দেখতে পাবেন, যখন দরকার তখন ঠিক হবে।' অন্যদিকে 'দিদি সবসময় শোভনকে একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী বলেই মানেন, দিদি আর ভাইয়ের সম্পর্কের মাঝে যে ভুল বোঝাবুঝির মেঘ ছিল তা কেটে গিয়েছে' বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। একই সঙ্গে বৈশাখীর মন্তব্য, 'শোভনের অবশ্যই সক্রিয় রাজনীতি করা উচিত, তাতে তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গে রয়েছেন।' তবে কি আগামী নির্বাচনে আবার ঘাসফুলের ঝান্ডা হাতে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে দেখা যেতে চলেছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে? এর উত্তর অবশ্য সময়ই দেবে।
সিত্রাং (Cyclone Sitrang) আশঙ্কায় উৎসবপ্রিয় বাঙালিকে ঘরে থাকতেই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। সোমবার বাড়ির পুজোর (Kali Puja 2022) প্রস্তুতির ফাঁকেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ, ল্যান্ডফল, গতিবেগ এবং বাংলায় তার প্রভাব কতটা? এসব নিয়ে বিস্তারিত বলেন। কালীঘাটে নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের বরিশালে ল্যান্ডফল হবে রাত ১২টা নাগাদ। বাংলায় হালকা-মাঝারি ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলায় দুর্যোগের সম্ভাবনা আছে। আমরা যাঁদের উদ্ধার করেছি, তাঁরা যেন কোনওভাবেই সরকারি ত্রাণ শিবির না ছাড়েন। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আর উৎসব করুন , পুজো করুন সঙ্গে খুব দরকার না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে মায়ের ভোগ রান্না করেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ক্রমেই উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এদিন সন্ধ্যার পর গভীর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সিত্রাং। মঙ্গলবার ভোর রাতে দুই ২৪ পরগনাকে ছুঁয়ে বরিশালে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার তরফেও খোলা হয়েছে সিত্রাং কন্ট্রোল রুম।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার তিনদিনের মাথায় কাজে যোগ দিলেন হড়পাবানে মৃত (death) পরিবারের তিন সদস্য। শুক্রবার মালবাজার (Malbazar) বিডিও অফিসে এসে গ্রুপ সি (group-c) পদে যোগদান করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ই অক্টোবর বিসর্জনের রাতে মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান (Harpa Ban) বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছিল আটজনের। আহত হয়েছিলেন ১৩ জন। ঘটনার পর আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছিল মৃতদের পরিবার এবং আহতদের হাতে। এরপর গত ১৭ ই অক্টোবর মালাবাজারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেদিন বিকেলেই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। মৌখিকভাবে সেদিনই সেই পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এরপরের দিন অর্থাত্ ১৮ ই অক্টোবর মালবাজার আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির প্রয়োজন কি না জানতে চেয়েছিলেন। যাঁদের চাকুরির প্রয়োজন তাঁরা আবেদন জানালে চাকরির দেওয়ার প্রতিশ্রতিও দিয়েছিলেন তিনি। এরপর শুক্রবার মৃত তিনটি পরিবারের তিনজন সদস্য মালবাজার বিডিও অফিসে চাকরিতে যোগ দিলেন।
হরপা বানে মৃত্যু হয়েছিল তপন অধিকারী, স্বর্নদীপ অধিকারী ও শুভাশিস রাহার। শুক্রবার মালবাজার বিডিও অফিসে আসেন তপন অধিকারীর কন্যা শ্রীপর্না অধিকারী, স্বর্নদীপ অধিকারীর বোন শ্রেয়সী অধিকারী ও শুভাশিস রাহার পুত্র সুশোভন রাহা। তাঁরা এদিন ঘোষণা মতো গ্রুপ সি পদে যোগ দেন। তাঁদের চাকরিতে যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন মালবাজারের বিডিও শুভজিত দাশগুপ্ত, জয়েন্ট বিডিও সঞ্জয় দত্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁরা শোকগ্রস্ত পরিবারের তিন সদস্যকে চাকরিতে যোগদান করান।
শ্রীপর্না ও শ্রেয়সীরা জানান, বাড়িতে এখনও শোকের আবহাওয়া কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে চাকরিতে যোগ দিয়ে কিছুটা স্বস্তি।
প্রসূন গুপ্ত: বৃহস্পতিবার একই দিনে এবং একই সময়ে আলাদা ভাবে বিজয়া সম্মেলন আয়োজন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর অর্থাৎ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয়া সম্মেলন ডেকেছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে বিজয়া সম্মিলনী করবেন। দুই অনুষ্ঠানের সময়ও এক অর্থাৎ বিকাল ৩টে। মমতা ভবানীপুরের উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন। সম্প্রতি এমনটাই জানান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে ভবানীপুরের সাধারণ মানুষ এবং বিধানসভার শাসক দলের সদস্যরা। থাকবেন কিছু বিশিষ্ট অতিথি।
অন্যদিকে বিধানসভায় শুভেন্দুর ডাকা বিজয়া সম্মেলনে দলের সব বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপির এই মুহূর্তে বেসরকারি ভাবে ৬৯ জন বিধায়ক, এঁরা প্রত্যেকেই উপস্থিত থাকবেন বলে। দূর-দূরান্তের অনেক বিজেপি বিধায়ক বুধবারই কলকাতায় চলে এসেছেন। বাঙালি প্রথা মেনে বিজয়া সম্মেলন মানেই মিষ্টিমুখ এবং শুভেচ্ছা বিনিময়। এর বেশি আর কী হতে পারে? কিন্তু বৃহস্পতিবার দু'টি অনুষ্ঠানেই প্রবল ভাবে রাজনৈতিক আলোচনা থাকবে বলেই সংবাদ। এখন দেখার বিষয় কী আলোচনা হতে পারে ভবানীপুর উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চ এবং বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে। যা জানা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী দলের অবস্থান পরিষ্কার করবেন। রাজ্যের সাম্প্রতিক নানা ঘটনা নিয়ে সরকারের চরম সমালোচনা করবেন। অবশ্য সরকারের সমালোচনাতে নতুন ঘটনা কিছু নেই। কিন্তু এমন কিছু বার্তা আসতে পারে, যা বিরোধী দলের বিধায়কদের উৎসাহ দিতে পারে। তাই কি এই কারণেই সব বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে বলেছে বিজেপি?
পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনী খাতায় কলমে ভবানীপুরের মানুষদের মিলনমঞ্চ। কিন্তু এই মঞ্চ থেকে মমতা কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হতে পারেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। আদৌ কোনও চমক থাকবে কি? না পুরোটাই জল্পনা, তা বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ আসতে পারেন। তবে বড় জল্পনা মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিদায়ী সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভবানীপুরের অনুষ্ঠানে দেখা যেতে পারে। যদিও তৃণমূলের তরফে এবিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির পর প্রথম রেড রোডে কার্নিভাল (Durga Puja Carnival)। ঢাকের বাদ্যি, গরবা নাচ, ধামসা-মাদল সব মিলে একেবারে সেজে উঠেছে জমজমাট পুজোর কার্নিভাল। উপস্থিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন, শনিবার মোট ৯৪টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করে রেড রোডের (Red Road) কার্নিভালে। ক্লাব প্রতি ৫০ জনের প্রবেশের অনুমতি ছিল। বিদেশের বিভিন্ন অতিথিদের এদিন মঞ্চে দেখা যায়। এছাড়া তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য়সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পাশাপাশি টলিপাড়ার একাধিক তারকার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সবমিলিয়ে মোট ২ হাজার বিশেষ অতিথির উপস্থিতিতে শুরু হয় কার্নিভাল।
এদিন রেড রোডে বন্ধ রাখা হয়েছে যান চলাচল। ৮টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে কড়া নজরদারি। এছাড়া ১০টি সহায়তা কেন্দ্র এবং ৫টি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২০০০ হাজার পুলিস কর্মী দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা রেড রোড চত্বর। ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এবং প্রতিটি জোনের দায়িত্বে রয়েছেন ১ জন ডিসি।
বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে শুরু হয় এই কার্নিভাল। কার্নিভাল ২০২২-এর সূচনা করে কলকাতা পুলিসের বিশেষ বাহিনী 'ডেয়ারডেভিল'। মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বসার মঞ্চ। জানা গিয়েছে, রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে এই কার্নিভাল।
ফেসবুকে বেসুরো উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) সমীর পাঁজা। 'আমার যাওয়ার সময় হল, দাও বিদায়' এই লাইনের সঙ্গে তিনি একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট (Facebook Post) করেছেন। সেই পোস্টে তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত সমীর পাঁজার গলায়। মমতা ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, 'হ্যাঁ আমার এই মহান নেত্রীটা (Mamata Banerjee) আছে বলেই, আমি আজও তৃণমূল দল ছেড়ে যাইনি। কারণ কত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে, নানা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৮টা বছর মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে করতে, এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে। কারণ আজ অবধি মিথ্যা নাটক করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভালো সেজে, একটা মেকি লিডার হতে চাইনা আমি। না হলে কবেই টা টা-বাই বাই করে দল ছেড়ে চলে যেতাম আমি। আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যারা আছে, তারা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে.....?? তাই আর কি, আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায়!'
যদিও এই বিষয়ে সিএন-কে ফোনে এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'যেটা ফেসবুকে লিখেছি, সেটাই আমার বক্তব্য। ছাত্রনেতা থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দলে আসা। তিনি যখন চলে যাবেন সেদিন আমিও চলে যাব।'
প্রসূন গুপ্ত: সারা বছর রাজ্যের মন্ত্রীরা বলেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। সুখে-দুঃখে তাঁরা এককাট্টা থাকেন। কিন্তু পুজোয় আবার এঁরাই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী? এই একটি বিষয়ে অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম বা সুজিত বসুদের মধ্যে চলে টক্কর। কেউ জমি ছাড়তে নারাজ। সকলেই প্রমাণ করতে ব্যস্ত যে তাঁর পুজোই সেরা। পুরস্কারের পরোয়া করেন না তাঁরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের একটা বিষয় থেকে যায়। যদিও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে পুজো আয়োজনে কে সেরা, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মন্তব্যে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। ঘুরেফিরে সব মন্ত্রীদের পুজো উদ্বোধনে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কিন্তু শারদ উৎসবের আঙিনায় কেউ, কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। এই প্রতিবেদককে একবার অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, কি পুজোয় নতুন কিছু পেলে? বলেই তাঁর বক্তব্য, কোথায় মেসির খেলা আর কোথায় সাধারণ? অর্থাৎ তাঁর পুজো মেসির মতোই আকর্ষণীয়। অরূপ পুজোর পঞ্চমী থেকে দশমী অবধি দিবারাত্র সুরুচি সংঘের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। অন্যদিকে ববি অবশ্য কলকাতা পুরসভার মেয়র হওয়ার সুবাদে চেতলা অগ্রণীর প্যান্ডেল ছেড়ে বিভিন্ন অন্য পুজোয় যেতেই হয়। লেকটাউনের সুজিত বসু অবশ্য একেবারেই আলাদা। সুবিশাল তাঁর সংগঠন। পুজোয় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য তাঁর অন্তত ১০০ জন কর্মী নানা দিকে ছড়িয়ে থাকেন। এ ছাড়াও পুজো আছে দেবাশীষ কুমারের, পরেশ পালের। উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে তৃণমূলের পরিচিত নেতামন্ত্রীদের পুজো।
উপরে উল্লিখিত সব পুজোই কিন্তু মূলত থিমের পুজো। ববির পুজোয় মায়ের চক্ষুদান করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই সব শেষে সুরুচি সংঘের পুজোর উদ্বোধনে যান তিনি। গত কয়েক বছর ধরে সুজিত বসুর পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী যাননি। কিন্তু এবার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের ৫০ বছর, কাজেই আশা করা যায় মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই যাবেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রীর পুজোয়।
ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যে ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে। সেই মোতাবেক নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাগুলিকে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ঢিলেঢালা মনোভাব দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ দমদম (South Dumdum) পুর এলাকায়।
ইতিমধ্যেই এই পুর এলাকায় ৭১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুর অঞ্চলের একাধিক ওয়ার্ডে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডে একই বাড়িতে আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া থেকে বাড়ির গৃহবধূ। তাঁদের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন হয়ে পড়ে যে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হয়। এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে তাঁরা বাড়িতে আসলেও অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন, এমনটাই জানালেন ডেঙ্গি আক্রান্ত মহিলা থেকে শিশুর মা। তাঁদের বাড়ির পিছনে একটি ডোবা রয়েছে, সেই অপরিষ্কার জলাশয় থেকেই মশার উৎপাত, এমনটাই ক্ষোভ তাঁদের।
যদিও পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে ডেঙ্গি অভিযানে নেমেছে পুরসভা। পুরসভার পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাসের দাবি, বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গির মশারা পৌঁছচ্ছে। তবে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বেশকিছু জায়গায় এখনও অপরিষ্কার হয়ে রয়েছে। স্থানীয়দের ক্ষোভের প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি প্রমোটারদের নোটিশ দেওয়া হবে নির্মীয়মান বহুতল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এমনটাই দাবি তাঁর।
তবে স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার কাউন্সিলররা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেতে রয়েছে। ডেঙ্গির বিষয়ে তাঁরা ভুলেই গিয়েছেন।
ফের মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সুপ্রিমো জীবন সিংহের (KLO Jiban Singha)। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল৷
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া প্রায় ৯ মিনিটের এই ভিডিও বার্তায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ করেছেন জীবন সিংহ। জীবন সিংহ স্পস্টতই জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল তাঁর প্রধান শত্রু। বার্তায় জীবন সিংহের বক্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছি, কামতাপুর বিভাজনের বিরুদ্ধে তিনি যে চক্রান্ত করছেন সেটা করে দেখান। উনি আমাদের হত্যা করতে, গ্রেফতার করতে, অত্যাচার করতে চান। আমরাও তাঁকে চ্যালেঞ্জ করলাম।" তিনি বলেন "এটা আমার দেশ আমার মাটি, এখানে আমার রাজ, আমার শাসন চলবে।"
পাশাপাশি, তাঁর ভিডিও বার্তায় এটাও পরিস্কার, বিজেপি তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। জীবন সিংহ এই ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, পৃথক কামতাপুর রাজ্য ডাবল। ইঞ্জিনের সরকার হবে। তাঁর মন্ত্রীসভায় জন বারলা, নিশীথ প্রামাণিকরাও শামিল হবেন।
তাঁর বার্তায় আরও শোনা গিয়েছে, "মমতা দিদি কোচ কামতাপুরের উন্নয়ন চান না। তিনি চান এখানকার চা, বন সম্পদ কৃষি সম্পদ, বালি, পাথরের টাকা নিয়ে কলকাতার উন্নয়ন হোক এবং আমরা গরীব হয়ে থাকি। মমতা দিদি গণতন্ত্রের শত্রু গরীবের মানুষের শত্রু।"
তাঁর এই বার্তার জেরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেষ্ট (Anubrata Mondal) জেল থেকে না বেরনো পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। তাকে বীরের মতো বের করে আনতে প্রস্তুত হন। আর দলনেত্রীর (Mamata Banerjee) এই বার্তা কানে যেতেই শুক্রবার স্বমেজাজে বীরভূম তৃণমূলের (Birbhum TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, চিরকাল কেউ জেলে থাকে না। নিশ্চয় ছাড়া পায়, আমিও ছাড়া পাব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার পাল্টা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন, সেটাই শেষ কথা। উনার উপর কোনও কথা হয় না। আমি চোর না ডাকাত আমাকে ধরে রাখবে।'
এরপরেই তাঁকে নিয়ে কনভয় রওয়ানা দেয় বিধান নগর আদালতের উদ্দেশে। ২০১০ সালের মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে এমপি-এমএলএ আদালতে তোলা হলেও বেকসুর খালাস পান অনুব্রত। স্বমেজাজেই আদালত থেকে বেড়িয়ে তিনি জানান, সত্যের জয় হয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টর শরীর এমনিতেই খারাপ। তার মধ্যে বগটুই হল, ওকে একটা ধাক্কা দিল। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে আটকাতে পারেন? ভাবছেন কেষ্টকে ধরে রেখে দু'টো লোকসভা আসন বেশি পাবেন, সে গুড়ে বালি! কেষ্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। ওকে বীরের মতো ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন।
রাজ্য নিরাপত্তা কমিশন (State Security Commission) গঠনের ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবিকেই শেষ পর্যন্ত মান্যতা দিলেন নবান্ন। রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের পুনর্গঠন করলেন রাজ্যপাল। ওই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। আর মুখ্যমন্ত্রীর পরই কমিশনের দ্বিতীয় সদস্য হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নিরাপত্তা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিসের ডিজি, রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী, রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়, এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মৃণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরাতত্ত্ববীদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি।
যত দিন যাচ্ছে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (abhijit ganguly) ও আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের (arunavo ghosh) পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সপ্তমে চড়ছে। সম্প্রতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বার কাউন্সিলের (bar council) পক্ষ থেকে। তার জেরে ফের বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,' আড়াই বছরে ৯৫ টি রায় দিয়েছি। অনেকের ঘরে অর্ডার পড়ে থাকে।' তিনি আরও বলেন কোন মামলা (case) আগে শুনবেন অথবা কোন মামলা পরে শুনবেন সেই বাছাইয়ের এক্তিয়ার তাঁর আছে।
কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে তাঁর মাতামাতি এই রকম অভিযোগের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন , 'আমি দুর্নীতি পেলে সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করি'।
এ পি ডব্লিউ ডি বিল্ডিং হস্তান্তরের দিন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথোপকথন এজলাসে বসে তিনি নিজেই জানালেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)বলেছিলেন ' আপনি অনেক কিছু করেছেন, আপনি আপনার মতো চালিয়ে যান'
সম্প্রতি একটি উড়ো ব্যানার নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল হাইকোর্ট (highcourt) পাড়ায়। সেই দিনই এজলাসে অরুণাভ ঘোষের সমালোচনায় সরব হন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন 'আমায় বলা হচ্ছে আমি আইন জানি না। ১৭ (সি) ও ১৬৫ আইনের ধারা দুটি আমি বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি। কেউ সেই বিচারে আঙুল তুলতে পারেননি।'
অরুণাভ ঘোষ সম্পর্কে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেন, ' আমার সঙ্গে অরুণাভ ঘোষের শত্রুতা নেই । এজলাসে মতানৈক্য মিটিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু অরুণাভ ঘোষ বাইরে আমার সম্পর্কে বলে বেড়াচ্ছেন।' যত দিন যাচ্ছে উভয়ের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।রাজ্যের বিরুদ্ধে ওঠা অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগের বিচার করছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বিচার পদ্ধতি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন অরুণাভ ঘোষ। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ভার্সেস আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ দ্বন্দ্ব ভবিষ্যতে কী রঙ নেয় সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
মমতার নয়া মন্ত্রিসভায় পরিবহন মন্ত্রী (Minister of Transport of West Bengal) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty)। তাঁর মাথায় এখন বড় দায়িত্ব। এতদিন এই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন পরিবহন মন্ত্রী একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে তিনি জানান, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের সময় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আরও স্বচ্ছ পরিবহন ব্যবস্থা আগামীদিনে দিতে চলেছি। ই-ভেহিকেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই অনেক ব্যাটারি বাস চালু করেছি।"
তিনি আরও জানান, এবার অনলাইনে পরিষেবা পাবে সাধারণ মানুষ। আসছে স্মার্ট পরিবহণ ব্যবস্থা। অনলাইনের মাধ্যমে পরিবহণের সব কাগজ অনুমোদন পাবে সাধারণ মানুষ। কী কী পরিষেবা পেতে চলেছে সাধারণ মানুষ, দেখে নিন এক নজরে-
১.গাড়ির মালিকানার নাম পরিবর্তন
২.ট্রেড লাইসেন্সের নবীকরণ
৩. এরপর গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের আবেদন জমা করার পর সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে অনলাইনেই
৪.গাড়ির নম্বর পরিবর্তনও পাওয়া যাবে অনলাইন
৫.গাড়ির বিশেষ অনুমোদনটাও হবে অনলাইন
৬. লোন পরিশোধের সমাপ্তিকরণ হবে অনলাইন
৭.ডুপ্লিকেট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
৮.নথিভুক্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন
৯. গ্যারেজ অনুমোদন
১০.লার্নার লাইসেন্স
এই সমস্ত পাওয়া যাবে অনলাইনেই। যারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে না, তাদের জন্য ফিজিক্যাল ব্যবস্থাও থাকছে। তিনি আরও জানান, "গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ আছে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি তুলে দেবার। আমরা সময় নিচ্ছি, আমরা ই-ভেইকেল আনছি। বাসগুলিতে এখনও ভাড়া বাড়ানোর কোনও কথা নেই, তবে বাসগুলির সঙ্গে কথা বলে ভাড়া আয়ত্তে রাখতে হবে। পাশাপাশি সিএনজি-র দামও বাড়ছে।এটা আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আগামী কয়েক মাসের শহরে আসছে ই-ক্যাব। চার্জিং পয়েন্ট রাস্তায় করার কথা ভাবছে পরিবহন দফতর।"
এরই সঙ্গে তিনি জানান, "কেন্দ্রের থেকে টাকা পাচ্ছিনা, তবুও রাজ্য সরকার পাশে আছে।"
আদালত গণতন্ত্রের পিলার, সাধারণ মানুষের পিলার। আম জনতা বিচার পেতে আদালতে আসেন। ন্যায়বিচার কখনও একপক্ষ হয় না, ন্যায়বিচার নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যখন সব জায়গা থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তখন আদালতে বিচার চাইতে আসে। আদালত, সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের স্তম্ভ। কখনই যাতে এদের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ভবন সম্প্রসারণের একটি অনুষ্ঠান এদিন আয়োজিত হয়েছে নব মহাকরণে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ অন্য বিচারপতিরা। ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
সেই অনুষ্ঠানেই এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আমি নিজে আইনজীবী। যে কোনও মামলায় আদালতে চলে যেতে পারি। মানবাধিকার সংক্রান্ত একাধিক মামলায় আমি সওয়াল-জবাবও করেছি। বার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র মেম্বারশিপ কার্ডও আছে আমার কাছে।
প্রধান বিচারপতির প্রতি তাঁর অনুরোধ, 'প্রায় তিন-চার বছর প্রচুর মামলা ঝুলে রয়েছে। সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পদক্ষেপ নিক হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাড়ানো হোক মহিলা বিচারপতির সংখ্যা।' এমনকি, মামলার শুনানিতে মিডিয়া ট্রায়ালে যাতে কান না দেন মহামান্য বিচারপতিরা। এই অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকেও মিডিয়া ট্রায়াল না করার আবেদন করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনের স্থান সংকুলানের জন্য নব মহাকরণের প্রথম থেকে নবমতল ভবন সম্প্রসারণের স্বার্থে হাইকোর্টকে তুলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আইন দফতর, পূর্ত দফতর এবং হাইকোর্ট সচিবালয়ের সমন্বয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সবপক্ষকেই ধন্যবাদ জানান তিনি।
গ্রেফতারির দিন তিনেক পর ঘুরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। রবিবার বেহালায় (Behala) স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই মমতার প্রশ্ন, 'কেষ্ট কী করেছিল? ওকে ধরলে কেন? একটা কেষ্টকে জেলে পুরলে হাজার কেষ্ট তৈরি হবে। কেষ্টরা এজেন্সিকে ভয় পায় না। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে রাখে।' এভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতির পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যদিও প্রায় ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতায় নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ।
এদিন তাঁর বক্তব্যের প্রথম থেকেই রাজ্যের তিন বিরোধী দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন। সারদা-কাণ্ডের উত্থান প্রসঙ্গে নাম না করে সুজন চক্রবর্তী, খুনের মামলা প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে অধীর চৌধুরী এবং মির্জাফর নাম উচ্চারণ করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, 'মাঝরাতে কেন অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেছে এজেন্সি, ওর ঘরবাড়িতে তাণ্ডব করে তছনছ করে দিয়ে এসেছে। তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ২০২৪-এ মোদী সরকারই থাকবে না।'
এদিন আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?