
কিছুদিন আগেই এক্স হ্যান্ডেলে শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) 'সম্পত্তি বৃদ্ধি' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারী পরিবারের দুর্নীতি ফাঁস করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। এবারে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধির তদন্ত চেয়ে সরাসারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ইডি ও সিবিআইকে চিঠি দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এক বছরেই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও ভারত সরকারকে দেওয়া শিশির বাবুরই তথ্য তুলে ধরে শনিবার এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর এবারে তাঁর সম্পত্তির বৃদ্ধি নিয়ে চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। শুধু তাই নয়, সারদার প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, সারদা কাণ্ডের টাকা শিশির অধিকারীর কাছে গিয়েছে কিনা তার জন্যও তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
এক্স হ্যান্ডেলে চিঠিগুলোর ছবি শেয়ার করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "২০১১-১২ সালে সারদা কর্তা দাবি করেন, কাঁথির অধিকারী পরিবার ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়েছে। ঠিক সেই সময়েই ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বৃদ্ধি হয় সাংসদ শিশির অধিকারীর। সারদা মামলার আওতায় এনেA এই অভিযোগের তদন্ত হোক।"
এথিক্স কমিটি। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদকে ডাকাডাকিতে এত তাড়া কীসের কমিটির। এবার সেই প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মুখপাত্রের কথায়, মহুয়া তো বলেননি যে যাবেন না, কিন্তু তারপরেও ফের চিঠি দিয়ে তড়ঘড়ি ডেকে পাঠানোর কারণ কী তা খুঁজে পাচ্ছেন না কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি তিনি এও জানান, মহুয়াকে নিয়ে দলের অবস্থান একই আছে।
উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্র আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত থাকবেন। তারপর যে কোনওদিন তাঁকে ডাকা হলে, উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু তারপরেও ২ নভেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছে মহুয়াকে। কুণাল ঘোষ বলেন, " মহুয়া এক জন সাংসদ। সবে পুজো মিটেছে। তাঁর কেন্দ্রে ১০ খানা কর্মসূচি থাকতে পারে। এক বার চিঠি দিয়ে জানানোর পর ফের তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।"
শুভেন্দুকেও আক্রমণ করেন এদিন। কুণাল বলেন, "এথিক্স কমিটির যদি এতই তাড়া তা হলে শুভেন্দুর ঘুষকাণ্ডের পর তাঁকে ডাকেননি কেন? মহুয়ার বেলায় ছ’দিন তর সইছে না আর শুভেন্দুর বেলায় কেন ছ’বছর ধরে ঘুমিয়ে ছিলেন?"
মুখ্যমন্ত্রীর ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার অনুমতি পেল কুনাল ঘোষ। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কুনাল ঘোষের আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অনুমতি দেয়। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষ ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর অবধি ইউরোপে থাকতে পারবেন। সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ও বিচারাধীন আসামি হওয়ায় তাঁর বিদেশ যাত্রায় জট তৈরী হয়। এরপর মমতার সঙ্গে স্পেনে অর্থাৎ ইউরোপ মহাদেশে যেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল মুখপাত্র।
সূত্রের খবর, স্পেনে একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে আমন্ত্রণ পান কুনাল ঘোষ। এরপরেই কুনাল ঘোষ স্পেনে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ওদিকে বিচারাধীন আসামি হওয়ার দরুন নিন্ম আদালতে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা ছিল। স্পেনে যাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি ওই পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার জন্যও আবেদন করেন তিনি। আবেদনে কুনাল ঘোষ জানান, এরপূর্বে তিনি বিচারাধীন আসামি হওয়া সত্ত্বেও সিঙ্গাপুর যাওয়ার আবেদন করেছিল, অনুমতি নিয়ে সেই যাত্রা সম্পূর্ণ করে আবার ফিরেও আসেন, তবে এখন কেন অনুমতি পাবেন না? সূত্রের খবর, তিনি ওই আবেদনে আরও জানান, তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন, তিনি সিঙ্গাপুর ঘুরে আবার ফিরেও এসেছেন। সেসময় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার অনুমতি দেন।
এবারও মমতার ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য কুনাল ঘোষ হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানায়, সেই আবেদন মঞ্জুর করা হল। এবং এদিন জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষকে তাঁর পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে হবে, পাশাপাশি ২৩ তারিখের পর ফিরে ওই পাসপোর্ট কুনাল ঘোষকে ফের জমা দিয়ে দিতে হবে।
বিমান বসু (Biman Basu), মহম্মদ সেলিম (Md Salim) ও শতরূপ ঘোষের (Shatarup Ghosh) বিরুদ্ধে আগেই মানহানির মামলা করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এবার সেই মামলায় তিন বাম নেতাকে সমন পাঠাল নিম্ন আদালত। আগামী ১৩ জুন এই তিন নেতাকেই আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন কুণাল ঘোষ মামলা করেছিলেন? শতরূপের গাড়ি কাণ্ড ঘিরেই এই তরজার সূত্রপাত। সিপিএম নেতা শতরূপের ২২ লাখের গাড়ি নিয়ে নীতিগত প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল। তার উত্তর দিতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বসে সাংবাদিক বৈঠকে কুণালকে ব্যাপক আক্রমণ করেন শতরূপ। সেখানে বেশ কিছু বিতর্কিত কথাও বলেন তরুণ সিপিএম নেতা। সেই প্রসঙ্গেই শতরূপের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন কুণাল।
বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হয়েছিল? সেই প্রসঙ্গে কুণাল বলেছিলেন, ওঁদের অনুমতিক্রমেই আলিমুদ্দিন থেকে শতরূপ সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তাই ওঁদেরও দায় আছে। কুণাল প্রথমে ওই তিন বাম নেতাকে আইনি নোটিস পাঠান। কিন্তু সেই নোটিসের জবাব না পেয়েই আদালতে যান তিনি। আদালত আগেই কুণালের মামলা গ্রহণ করেছিল। সেই মামলার শুনানিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। কুণাল বলেন, ‘আমি প্রথমেই মামলা করিনি। আগে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেই চিঠির জবাব না আসেনি। এখন দেখি কীভাবে সমন এড়িয়ে যান।’ আদালতের এই সমন প্রসঙ্গে শতরূপ বলেন, ‘চোর আগে নিজের মান প্রতিষ্ঠা করুক। তারপর তো মানহানির প্রশ্ন। আদালতে দেখা হবে।’
শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) এজলাস থেকে প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই নির্দেশের পর দুপুর ২টো ২৪ মিনিট নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে নিজের এজলাসে বসেন বিচারপতি। প্রথমে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি চান। তারপরেই তোলেন কুণালের (Kunal Ghosh) প্রসঙ্গ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন। তিনি যা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, তা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তা আমার জানা ছিল না। তাঁর পুরো কথা মিলে গিয়েছে।’
এদিন তিনি আরও বলেন প্রয়োজনে রাত ১২টা অবধি চেম্বারে থাকব। এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে শুক্রবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এখনও পাইনি, আমার সাক্ষাৎকারের অনুলিপি চেয়ে পাঠিয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে না আসা পর্যন্ত এই মামলায় কিছু বলব না।' এ ছাড়া এবিষয়ে নিজের এজলাসে তিনি বলেন, 'কোন মামলা থেকে আমাকে সরানো হয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।' একথা বলেই এজলাস ছেড়ে উঠে যান বিচারপতি।
অন্যদিকে, বিচারপতির এই মন্তব্যের পর, কুণাল পাল্টা বলেন, ‘গোটা জিনিসটার মধ্যে আমি কোনও জয়-পরাজয় দেখছি না। আদালত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং সব বিচারপতির প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু মামলার বাইরে গিয়ে আমার দলনেতা-নেত্রীকে আক্রমণ করলে দলের মুখপাত্র হিসাবে আমার কর্তব্যটুকু পালন করতে হয়েছিল শুধু।’ এছাড়া এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'জাস্টিস গাঙ্গুলি চেয়ারের অপব্যবহার করছিলেন, চেয়ারকে ব্যবহার করে দলীয় নেতা-নেত্রীদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন।'
মনি ভট্টাচার্য: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ও কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), বর্তমানে দু'জনই এরাজ্যের বিস্তর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একজন কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি (Judge), অপরজন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র। জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বারবার পরোক্ষে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন। তেমনই শাসক দলের পক্ষে যোগ্য প্রত্যুত্তর দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদলের তিন বিধায়ক। পাশাপাশি গারদের পিছনে রয়েছেন আরও বেশ কিছু তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা। শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তাও নিয়োগ-কাণ্ডে জেলে। নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের ভার দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে কারণে শাসক দলের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তেমনই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষ করেছেন 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলী' বলে। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নিজের এজলাসে কুণাল ঘোষের নাম না করে, তাঁকে সমঝে দিতে চেয়েছেন।
সম্প্রতি কলকাতার একটি প্রচার মাধ্যমের অনুষ্ঠানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে দেখা গিয়েছে সৌজন্য বিনিময় করতে। সৌজন্যের এ ছবি তাঁর নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন কুণাল ঘোষ। যার পরে শুরু হয়েছে নেটিজেনদের কটাক্ষ। কুণাল ঘোষ ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই প্রথম সাক্ষাতে কী বার্তালাপ হলো! এই প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালের তরফে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঠিক কী বলেছেন!
কুণাল ঘোষ বলেন, 'শুক্রবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে ওনার সঙ্গে দু'বার দেখা হয়। যা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর এটাই বাংলার আসল ছবি।' এর পরে তৃণমূল মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় তবে কি কোথাও নিজের আক্রমণাত্মক জায়গা থেকে পিছিয়ে আসলেন? এর উত্তর তিনি বলেন, 'আমি একটা ভদ্র লোক, উনিও একজন ভদ্রলোক। উনি একজন বিচারপতি, ওনার কাজ উনি করছেন, আমার কাজ আমি করছি। উনি আইনের এক্তিয়ারের বাইরে কিছু বললে আমি প্রতিবাদ করব, উনি আইনি কথা বললে তো আমি কিছু বলি না, আমার যদি মনে হয় আইনের বাইরে উনি আমার দলকে আক্রমণ করছেন, সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করব, সেটা উনিও স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছেন আমিও স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছি। সেখানে এগোনো বা পিছন বা মানিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না।'
এছাড়া ওদের মধ্যে কী কথা হলো! এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ, দুজনেই হাসিমুখে, করমর্দন ভঙ্গিতেই, আমাদের কথা শেষ হয়েছে। কী কথা হয়েছে এটা নিতান্ত ব্যক্তিগত।' একদিকে আক্রমণ, অপরদিকে ওনার সঙ্গে একফ্রেমে থাকা ছবি ফেসবুকে পোস্ট। এই বিষয়ে বিচারপতিকে নিয়ে ব্যক্তিগত ধারণা সমন্ধে প্রশ্ন করা হয়, তার উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, 'অভিজিৎ গাঙ্গুলি ফর্সা মানুষ, সুন্দর দেখতে, সুন্দর কোট পড়েন, একটা লোককে একমুখী ভাবে মূল্যায়ণ করা যায় না।' তিনি জানান, উনি একজন সন্মানীয় মানুষ উনিও সৌজন্য দেখিয়েছেন, আমিও সৌজন্য দেখিয়েছি। এর মধ্যে আর অন্য কিছু নেই।
মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই (CBI)। নির্দেশনামায় কোন কাণ্ডে এই তলব উল্লেখ নেই। দায়ের হওয়া এফআইআর-র ভিত্তিতে সৌমেন নন্দী বনাম রাজ্য সরকার মামলায় হাইকোর্টের ১৩ এপ্রিলের অর্ডার মেনে এই তলব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল সাংসদকে (Abhishek Banerjee) নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে মঙ্গলবার। এই মর্মেই নোটিস পৌঁছেছে রাজ্যের শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে। কিন্তু এই সিবিআই তলবেও বিজেপির ইন্ধন দেখছে তৃণমূল।
সোমবার দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি অভিষেক আতঙ্কে ভুগছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ওরা যেভাবে মাথা ঘামাচ্ছেন মানুষ বুঝতে পারছেন দিল্লিতে বিজেপির পথের কাঁটা তৃণমূল। তৃণমূলকে দমন করা, ম্যানেজ করা যাচ্ছে না। তাই এজেন্সি দিয়ে, সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলছে। আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সিবিআইয়ের পাঠানো নোটিশে কোথাও কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের যোগসূত্র নেই। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ এপ্রিলের নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এই নোটিশ।'
এদিকে, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই সিবিআই তলব প্রসঙ্গে জানান, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। আমরা সংবাদ মাধ্যম থেকে জানলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই ডেকেছে। সূত্রের খবর জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বিভিন্ন লোকের কথোপকথনের রেকর্ড তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। আগামি দিনে উনাকে এই রেকর্ডগুলো কষ্ট দিতে পারে। ঘনিষ্ঠজনের নাম জড়িয়ে যেতে পারে। এখন যা রটছে, তা কিছু হলেও বটে। এমনকি সাম্প্রতিককালে সেগুলো সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।'
বীরভূমের সভায় (Birbhum Meet) রাজ্য সরকার-সহ শাসক দলকে একাধিক ইস্যু তুলে আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ। এবার তাঁকে পাল্টা দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুক্রবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে শাসক দলের মুখপাত্র জানান, '২৫ সালে রাজ্যে সরকার পড়ে যাবে বলছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এটা অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, স্বৈরাচারী মনোভাব। ঝুলি থেকে বিড়াল বেড়িয়ে পড়েছে। একুশের ভোটে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে হেরেছেন লজ্জা করে না। লোকসভার সঙ্গে বিধানসভার সম্পর্ক কী? মানুষের রায়ে রাজ্যে নির্বাচিত সরকার। সেই সরকার ফেলে দেওয়ার কথা কে বলছেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্থাৎ একটা চক্রান্ত চলছে, আর সেটা হচ্ছে দিল্লি থেকে।'
এদিন কুণাল বলেন, 'উনি (পড়ুন অমিত শাহ) বলেছেন লোকসভায় ৩৫টি আসন, আমরা বলছি শূন্য থেকে গোনা শুরু করুন। এক পর্যন্ত পৌঁছতে ঘাম বেড়িয়ে যাবে। বিজেপি লোকসভায় শূন্যে দাঁড়িয়ে থাকবে। বিধানসভা ভোটের আগে বলেছিলেন আব কি বার ২০০ পার। অমিত শাহজি ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন।' এদিন কুণাল ঘোষ দাবি করেন, আগামি লোকসভা এবং বিধানসভায় বিজেপির পরাজয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন অমিত শাহজি।
২ লাখের সম্পত্তির (Asset) হিসেব দিয়ে ২২ লাখি গাড়ি! ঠিক এমন ভাবেই সিপিআইএমের (Cpim) হোলটাইমার শতরূপ ঘোষকে কটাক্ষ করলেন রাজ্য তৃণমূল (Tmc) সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে তিনি, ফেসবুক পোস্ট সহ তাঁর ব্যক্তিগত টুইটে শতরূপ ঘোষের আয় ও সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ওই পোস্টে কুণালের দাবি, সম্প্রতি সিপিআইএমের হোলটাইমার শতরূপ ঘোষ একটি গাড়ি কিনেছেন ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে। সেই গাড়িটির নম্বর অনুযায়ী, গাড়িটি শতরূপের নামেই আছে বলে দাবি করেন কুণাল। এরপর ওই পোস্টেই কুণাল ঘোষ প্রশ্ন করেন, একজন সিপিআইএমের হোলটাইমার এত টাকা কোথা থেকে পেলো?
Satarup Ghosh of CPM.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 28, 2023
Rs 2 lacs assests in 2021 election affidavit.
Now he bought the new car paying onetime almost 22 lacs.
How can a wholetimer of CPM afford this kind of expenses?
** for detail, contact: Mrityunjoy Pal.@AITCofficial spokesman and state youth wing GS. pic.twitter.com/Rd2HiQ2Wpt
মঙ্গলবার কুণাল, ওই গাড়ির নম্বর, ২০২১ সালে শতরূপের মোট সম্পত্তির নথি, ও গাড়ির সরকারি নথির ছবি পোস্ট করে আরও প্রশ্ন তোলেন, তিনি জিজ্ঞেস করেন, '২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শতরূপের মোট সম্পত্তির পরিমাণ, ২ লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে, কিভাবে এতো টাকা এলো! যে একটা বিলাসবহুল গাড়ি কিনে নিলো শতরূপ। যার মোট মূল্য ২২ লক্ষ টাকা তিনি আরও প্রশ্ন করেন যে, 'কোনো হোলটাইমার এত টাকা ব্যাঙ্ক লোন পেতে পারে কি?' যদিও এ ঘটনায় শতরূপকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, 'এ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য, দুপুর দেড়টা নাগাদ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাবো।'
মনি ভট্টাচার্য: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না, কুণাল (Kunal ghosh) ঘোষের টুইটে যাদের নাম, আদালতে ঢোকার সময়ে পার্থর (Partha chattopadhyay) মুখেও শোনা গেল তাদের নাম। বিতর্কের শুরু বৃহস্পতিবার। আলিপুর বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পেশ করে পুলিস (Central agency)। আদালতে ঢোকার মুখে পার্থ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, 'এখন দিলীপ বাবু, সুজন বাবু, অধীরবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তারা নিজের দিকে দেখুন, উত্তরবঙ্গে তারা কী করেছেন? তারা ২০০৯-২০১০-এ সিএজি রিপোর্ট পড়ুন, সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে, যেহেতু আমি তাদেরকে বলেছি আমি সাহায্য করতে পারবো না, আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না।'
এই নামগুলি উল্লেখ করে একই বিষয়ে পার্থ বাবুর বক্তব্যর, মিনিট ১৮ আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক একটি টুইট করেন, সেখানে তিনি বলেন, 'দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? কুণালবাবু বৃহস্পতিবার তার টুইটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের খোঁচা দিয়ে বলেন, 'তদন্ত হোক, কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।' যারপরেই কিন্তু শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিতর্ক ঠিক কোন জায়গায় ? বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ৪২ মিনিটে কুণালের টুইট। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় সাংবাদিকদের পার্থ ওই নামগুলোই বলেন, যেগুলো তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক টুইটে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনা কি নিছকই কাকতালীয়? নাকি সমাপতন। প্রশ্ন উঠছে, কুণালবাবুর সঙ্গে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ আছে? পার্থবাবু কি কুণাল ঘোষকে আগাম কিছু বলেছিলেন, যার ভিত্তিতে এই টুইট করেন তিনি? যদিও তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, পার্থর সঙ্গে কুণালের সম্পর্ক একেবারেই সুমিষ্ট নয়। যদিও এই বিতর্কে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।
এ বিষয়ে বাম নেতা, সুজন চক্রবর্তী সিএন-কে বলেন, 'যারা বলছে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালে উনি তো বিরোধীদের লোক ছিলেন, সেই সময় পার্থ কোথায় ছিলেন? এগুলো মাথা খারাপের লক্ষণ।'
একই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'পার্থ যে সময়ের (২০০৯-২০১০) কথা বলছে সেই সময়ে আমি রাজনীতিতেই আসিনি, ওর অভিযোগ প্রমাণ হলে পার্থর বদলে আমি জেলে যাবো ।' যদিও এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শর্তসাপেক্ষে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর করা আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমতি আদালতের (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি তৃণমূল মুখপাত্র দেশ ছাড়তে পারবেন আবার ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে দেশে ফিরতে হবে। ফিরে এসেই কুণাল ঘোষ আবার পাসপোর্ট জমা দেবেন আদালতে। বিদেশ যাত্রার জন্য আদালত থেকে পাসপোর্ট তোলার সময় পাঁচ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) জমা করবেন কুণাল ঘোষের স্ত্রী। তৃণমূল নেতা দেশে ফিরলে সেই টাকা ফেরত পাবেন। কুণাল ঘোষের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ ফেব্রুয়ারি।
যদিও মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে সিবিআই আইনজীবী কুণাল ঘোষের বিদেশ যাত্রার বিরোধিতা করেন। তাঁর সওয়াল, 'অত্যন্ত প্রভাবশালী কুণাল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশের ব্যাংকে সরদার টাকা রাখার অভিযোগ আছে। তাঁকে বিদেশ যেতে দিলে সমস্যা হতে পারে।'
এই সওয়াল শুনে বিচারপতির মন্তব্য, 'সিবিআই কবে শেষ করবে তদন্ত? ট্রায়াল হচ্ছে এখনও? সেটাও হয়নি, অভিযুক্তদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে? উনি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যাবেন। কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে সারদা-কাণ্ডের বড়সড় অভিযোগ আছে জানি। উনি পড়াতে যাচ্ছেন তাই বিদেশ যাত্রার অনুমোদন দেওয়া হবে।'
বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা কুনাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) মামলা। ১০ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি। তৃণমূল মুখপাত্রের আবেদন, '১০ দিনের জন্য সেমিনারে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার অনুমতি দিক মহামান্য আদালত।' সারদা চিটফান্ড-কাণ্ডে (Sharada Case) জামিনে থাকা কুণালের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কোর্টের।
তাঁর পাসপোর্ট এখনও জমা রয়েছে কোর্টে। আজ মামলা ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআই জানায়, তাঁকে বিদেশ যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা, সেটা লিখিত ভাবে জানাতে চায় এজেন্সি। তাই সময় চাওয়া হয়। ১০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে শীতকালীন অবসরের পর সোমবার থেকে ফের খুলেছে হাইকোর্ট। তাই রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে চলতে থাকা একধিক মামলার শুনানি এবং রায়ের দিকে তাকিয়ে আম আদমি।
ইকো পার্কে সঙ্গীতশিল্পী অরিজিত সিংয়ের (Arijit Singh Concert) বাতিল হওয়া কনসার্ট অ্যাকোয়াটিকায় হওয়ার সম্ভাবনা। তৃণমূল মুখপত্র কুণাল ঘোষের ফেসবুক দাবি ঘিরে সেই সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। পাশাপাশি শুক্রবার নাকি অরিজিত সিংয়ের টিম অ্যাকোয়াটিকায় গিয়ে সম্ভাব্য কনসার্টস্থল দেখে এসেছেন। সেখানে আদৌ অনুষ্ঠান করা সম্ভব কিনা, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে টিম অরিজিত। যদিও অ্যাকোয়াটিকাতেই হবে অরিজিত সিংয়ের কনসার্ট এমন একটা দাবি ফেসবুকে করেন তৃণমূলের পরিচিত মুখ কুণাল ঘোষ।
এদিন তিনি বিজেপির আক্রমণকে ভোঁতা করতে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছিলেন। ট্যুইটে কুণাল লেখেন, '১৫ ডিসেম্বর অরিজিত সিং গেরুয়া গেয়েছেন। আর এই মাসের ৮ তারিখ ইকো পার্কের শো বাতিলের জন্য দেওয়া অগ্রিম টাকা ফেরত পেয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী। তাহলে গেরুয়া ফ্যাক্টর কীভাবে কাজ করল? ৯ ডিসেম্বর অ্যাকোয়াটিকাকে অগ্রিম টাকা দিয়ে আজ তাঁর টিম পরিদর্শনে গিয়েছেন। অনুষ্ঠান আয়োজনের চূড়ান্ত আবেদন এখনও করা বাকি। বিজেপি খুব নোংরা রাজনীতি করছে।'
একইভাবে ফেসবুকে সরব হয়ে তৃণমূল মুখপাত্র লেখেন,'অরিজিৎ সিং নিয়ে কুৎসা। বিজেপি বলছে, চলচ্চিত্র উৎসবে গেরুয়া গাওয়ার জন্য অরিজিতের অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে ইকো পার্কে। এটি ডাহা মিথ্যা। অরিজিত 'গেরুয়া' গেয়েছেন 15/12/22। আর তার অনুষ্ঠান বাতিলের পর আগাম জমা পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত গিয়েছে 8/12/22। তাহলে গেরুয়া যুক্তি কী করে আসে? সলমনের অনুষ্ঠানের তিন লক্ষ টাকাও ফেরত দেওয়া হয়েছে। অরিজিতের অনুষ্ঠান হবে। তবে অন্য জায়গায়। 9/12/22 অরিজিতের টিম অ্যাকোয়াটিকা বুক করতে টাকা জমা করেছে। আজও পরিদর্শন চলছে। সলমনের টিম মিলনমেলা পছন্দ করলেও অরিজিতের পছন্দ অ্যাকোয়াটিকা। এনিয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন প্রশাসন পায়নি বলেই এখনও খবর। সব ঠিক থাকলে ভালোভাবেই অনুষ্ঠান হবে।
অরিজিৎ বাংলার গর্ব। তাকে নিয়ে বিজেপির রাজনীতি নিন্দার।' খোঁচার সুরে কুণালের প্রশ্ন, 'সলমন খানকে নিয়ে অনুষ্ঠানটিও ইকো পার্কে বাতিল হয়েছে। সেটা মিলনমেলায় হবে। সেটার আয়োজক ছিল বিধাননগরের মেয়রের পুত্র রাজদীপ। কই, বিতর্ক হয় নি তো?'
এদিকে, নাকি টিকিট বিক্রি শুরু হলেও হিডকোর অনুমতি না মেলায় বাতিল বলিউড-টলিউড কাঁপানো অরিজিত সিংয়ের অনুষ্ঠান। প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তকে বিজেপি আবার বলছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে 'রং দে তু মোহে গেরুয়া গাওয়ায়' বাতিল অরিজিতের কনসার্ট? এমন প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। যদিও সরকারি তরফে নিরাপত্তার সমস্যাকে কনসার্ট বাতিলের কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলবেন আমার দল তুলে দিতে হবে, তাহলে আমি ওকে রসগোল্লা খাওয়াবো, দুটো হয় নাকি কখনও। শুক্রবার নাম না করে এভাবেই কি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Ganguly) বেনজির আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ? এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র (Kunal Ghosh) বলেন, 'আমি দলের একজন সামান্য মুখপাত্র। যদি আমার দল তুলে কেউ বলে, জানি না কে বলেছে। সবাই বলছে কেউ বলেছে, কেউ বলেছে, কেউ বলেছে। জানি না কে বলেছে, কেউ আর নাম বলে না। আমি ধরে নিচ্ছি অরণ্যদেব গাঙ্গুলি। অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলবেন আমার দল তুলে দিতে হবে, তাহলে আমি ওকে রসগোল্লা খাওয়াবো, দুটো হয় নাকি কখনও। কোর্টের উপর, সব বিচারকের উপর আস্থা আছে। কোর্ট আমাদের ভরসা, এরম নয় শুধু কেউ একজন পর্যবেক্ষণ মিডিয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে হিরো সাজার চেষ্টা করছেন। কাউকে আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করছি না।'
এখানেই থামেননি কুণাল ঘোষ, তিনি আরও একধাপ এগিয়ে জানান, কেউ কেউ নাকি আকারে ইঙ্গিতে মুখপাত্র মুখপাত্র বলেন। তাহলে আমরাও বলছি বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি, কিন্তু অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলে কেউ যদি আমাদের দল তুলে কথা বলে, তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াবো না। যা পারে করে নিক।
কারও নাম না করেই পরোক্ষে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, 'যদি কেউ ব্যক্তিগত উইশলিস্ট চরিতার্থ করতে গিয়ে তাঁর চেয়ারের অপব্যবহার করে, তাহলে সেটা চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যজনক। একা কেউ করছেন না, গোটা বিচারব্যবস্থা, সব বিচারক, তাঁরা দিনরাত মানুষকে ন্যায়-বিচার দিচ্ছেন। কিন্তু যদি কেউ দেখাতে চান, আর কেউ বিচার করছে না, আর কোনও কোর্ট নেই, তিনি মঙ্গলগ্রহ থেকে এসে অরণ্যদেব সাজছেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। এটা কী ভাষা! আমি দল তুলে দিতে বলবো, মামারবাড়ি নাকি এটা?'
তাঁর দাবি, 'এই ভাষাগুলো শুনলে বোঝা যাবে যিনি বলছেন, তাঁর ভিতরটা কোন রাজনৈতিক রঙে রাঙানো। আমরা আদালতকে সম্মান করি, প্রত্যেক বিচারক-বিচারপতির প্রতি পূর্ণ সম্মান রয়েছে। কিন্তু আদালত যেটা ঠিক সেটার বিচার করবে, যেটা ভুল, সেই ভুল বলে দেবেন, অর্ডার দেবেন। তাঁরা তাঁদের নির্দেশ জানিয়ে দেবেন। তার বদলে যদি কোথাও কোথাও দেখা যায় যে কেউ কেউ উইশ লিস্ট পর্যবেক্ষণ-সংলাপের আকারে সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাহলে সেটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। কোনও ব্যতিক্রম একজন যদি দেখাতে চান তিনি অরণ্যদেব হতে চাইছেন, তাহলে সেটা বিচারব্যবস্থার প্রতি চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যজনক।'
এখন প্রশ্ন উঠছে কুণালে মন্তব্যে উঠে আসা 'বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা' এবং 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি' কি হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদি কোনও নির্দিষ্ট কোর্ট বা বিচারপতির নাম এদিন একবারের জন্যও উল্লেখ করেননি তৃণমূল মুখপাত্র। কিন্তু শুক্রবার বেনামী আবেদনপত্র মামলার শুনানিতে শিক্ষা সচিবের এজলাসে উপস্থিতির মধ্যেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, 'বিধানসভার দলনেতা হন মুখ্যমন্ত্রী, আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য, দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না।'
তারপরেই নাম না করে তৃণমূলের মুখপাত্রর মুখে 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি বলবেন আমার দল তুলে দিতে হবে, তাহলে আমি ওকে রসগোল্লা খাওয়াবো, দুটো হয় নাকি কখনও' মন্তব্য ঘিরে চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠছে কে এই অরণ্যদেব গাঙ্গুলি? কুণাল ঘোষ কি ঘুরিয়ে পরোক্ষে বেনজির আক্রমণ করে বসলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারব্যবস্থাকে?
তবে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যকে সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেছেন, 'মানুষ কাদের বলে, যার মান আর হুঁশ দুটি আছে। কুণাল ঘোষের কোনওটাই নেই। একটা মানুষের পরিচয় হয় শিক্ষা এবং সংস্কৃতি দিয়ে। শিক্ষার প্রসঙ্গে এলে কুণালবাবু বোধহয় মাধ্যমিক পাশ। তবে পাশ না ফেল জানি না, ক্লাস টেন লেখা এফিডেভিটে। উনার সংস্কৃতি নিয়ে বললে সারদায় জেল খাটা আসামি, বাংলার পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এই ধরনের মানুষের থেকে কী মন্তব্য আশা করেন? কুণালবাবুর বোঝা উচিৎ কোথায় থামতে হবে। আমার মনে হয় কোর্ট এই বিষয়গুলো নোটিশে নিয়ে আদালত অবমাননার জন্য উনি জেলে যাবেন।'
আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, 'কুণাল ঘোষকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিৎ এবং আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে কোর্টে তোলা উচিৎ। কোন সাহসে উনি এ কথা বলছেন! কুণাল ঘোষ বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে বিচারপতিকে হুমকি দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করেছেন।' অপর এক আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, এই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য কুণাল ঘোষ বাইরে আছেন। উনি যে দল করেন সেই দল, সারাজীবন ওকে জেলে রাখতে চেয়েছিল।'
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আশা করবো এসব মুখপাত্রদের বিরুদ্ধে আইনের মধ্যে থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাতে অন্য কেউ সরকারি কাজে বা নিয়োগে হস্তক্ষেপ করার আগে পাঁচবার ভাববেন।' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'বিচারপতির পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও দল সরকারের নামে সংবিধান-বিরোধী কাজ করে, তাহলে সেই দলের সাংবিধানিক ভিত্তি, এমনকি প্রতীক প্রশ্নের মুখে পড়ে।'
প্রসূন গুপ্ত: জন্মদিনকে খুব একটা আমল না দিয়ে সমর্থকদের ভালোবাসা জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেমে গিয়েছেন সংগঠনের কাজে। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যাবেন জেলায় জেলায়। সম্প্রতি চোখের অপারেশন করে আমেরিকা থেকে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। কিন্তু জানা যাচ্ছে নিয়মিত অফিস করছেন। প্রতি জেলার সংগঠনের হাল হকিকতের খবর নিচ্ছেন। এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। এরই মধ্যে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে গিয়েছিলেন বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার কর্মী সমর্থক ও নেতাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, ইচ্ছা হলেই প্রার্থী হতে পারবে না কেউ। বুথস্তরে আলোচনা হবে এবং সেখান থেকে প্রার্থীর নাম যাবে কেন্দ্রীয় অফিসে, সেখানে চূড়ান্ত হবে প্রার্থী। প্রার্থী বাছাইয়ে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না বলে জানান তিনি।
আগামী ১৫ নভেম্বর তিনি ফের যাচ্ছেন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে। ১৭ এবং ১৮ নভেম্বর তাঁর মেঘালয়ে জনসভা আছে। ওখানেই দলীয় নেতা এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর। ২৭ এবং ২৮ নভেম্বর তিনি দলীয় কাজে যাবেন দিল্লিতে। এই সময়ে অবশ্য পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনও থাকে। যদিও এই প্রতিবেদককে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন জানালেন, এই সময়ে অধিবেশন থাকার কথা কিন্তু কিন্তু এখনও শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ঠিক মতো পার্লামেন্ট না ডাকার অভিযোগ কার্যত করেন তৃণমূল সাংসদ। এদিকে, ১১ নভেম্বর এসে গেলেও অথচ এখনও জানতেই পারা যাচ্ছে না কবে বসবে সংসদ।
অবশ্য যদি ওই সময়ে সংসদ বসে তবে অভিষেক তো দিল্লিতেই থাকছেন। ৩ ডিসেম্বর অভিষেক যাচ্ছেন কাঁথ। ইতিমধ্যে জানা গেলো শুক্রবার নাকি পূর্ব মেদিনীপুরের গোকুলনগরে বিইউপিসির মঞ্চে সভা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই নাকি সেই মঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ দাবি করেছেন এটি বিজেপির কীর্তি। তিনি দাবি করেছেন পুলিশ বিষয়টি দেখুক এবং ব্যবস্থা নিক। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এবারে অভিষেক কী বলেন সেটাই দেখার। ১৭ ডিসেম্বর নদিয়ার রানাঘাট যাচ্ছেন অভিষেক। এরপর নতুন বছর পড়লে জেলায় জেলায় সফর করবেন অভিষেক।