বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) হাস্যকর এবং পুরো ফ্লপ। এঁদের গণ্ডগোল বাঁধানোর পরিকল্পনা পুলিস সফল ভাবে আটকে দিয়েছে। সিনেমা শুরুর আগেই দি এন্ড। এদিকে মানুষ দেখছে ট্রেলার, তারপরেই দি এন্ড। মঙ্গলবার দিনের শেষে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন তিনি শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ; বঙ্গ বিজেপির তিন মুখকেই আক্রমণের নিশানা বানিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, 'শুভেন্দু অধিকারী কার দ্বারা হেনস্থা হয়েছেন, মহিলা না পুরুষ পুলিস? আমি তো দেখলাম সারাক্ষণ ধরে বললেন ডোন্ট টাচ মাই বডি। কে ওকে হেনস্থা করেছে? একজন আলুভাতে, হেনস্থার শুভেন্দু অধিকারী কী বোঝেন? নিজেই তো হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন।'
রাজ্যের একদা বিরোধী দলনেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেতা বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো ছবিগুলো দেখুক। কীভাবে সিপিএম-র পুলিস চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে বের করতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে গেলে পুলিসকে যুদ্ধ করতে হতো। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন বিরোধী দলনেতা হয়নি, যে হাঁটতে হাঁটতে পুলিসের জিপে উঠছে।' রসিকতার সুরে কুণালে মন্তব্য, 'শুভেন্দু অধিকারী নাকি বিরোধী দলনেতা। পুলিসের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত নেই। একজন আলুভাতে, সখী, অপদার্থ বিরোধী দলনেতা। লজ্জাবতী লতা, তুমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছো, বাধা দেবে না, বসবে না? দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন পুলিস বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়বেন। শুভেন্দু অধিকারীর আত্মসমর্পণ আজকের নবান্ন অভিযান। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত একজন শুধু বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে।'
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের কলহ খুঁচিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, 'দিলীপ ঘোষ বলছেন আমি নবান্ন অভিযান শেষ ঘোষণা করলাম। সুকান্ত মজুমদার বলছেন না শেষ নয় আমি আছি। যে বলছে সেটা আলাদা। আলাদা মানে, একটা দল একটা কর্মসূচি আর এঁদের কোনও সমন্বয় নেই। আমরা তো কবে থেকে বলছি দিলীপ ঘোষ বিজেপি, সুকান্ত বিজেপি, শুভেন্দু বিজেপি। সব টুকরে টুকরে গ্যাং।'
পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন পুলিসের গাড়িতে আগুন লাগানোর জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, 'সবাই দেখছে কে আগুন লাগিয়েছে, কে পাথর মেরেছে, কে অশান্তি করেছে। আর ট্রেনি সভাপতি আর ট্যুইট মালব্য বলছে তৃণমূল করেছে। এঁরা কী পাগল? এঁদের কোনও কর্মসূচি নেই, এঁদের সঙ্গে মানুষ নেই। শুধু কর্মীদের উসকে দিয়েছে অশান্তি করার জন্য। দলের রাজ্য সভাপতি হেলমেট পরে ঘুরছে। কারণ জানেন পিছনে ওর দলের কর্মীরাই পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে, ছুড়লে ওর মাথায় এসে পড়বে।'
হিন্দু দেবদেবীকে 'অপমান'-এর খেসারত গুণতে হবে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে (Kunal Kamra)। দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বজরঙ দলের (Bajrang Dal) হুমকিতে বাতিল শিল্পীর গুরুগ্রামের (Gurugram) অনুষ্ঠান। যদিও প্রশাসনিকস্তরে এই পদক্ষেপ নয়। আয়োজকরা জানান, বজরঙ দল থেকে এসে তাঁদের সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছে। তাই অশান্তির ভয়ে অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠানের প্রচারমূলক পোস্ট।
এ মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের কথা ছিল। সেই মোতাবেক শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকিট বিতরণও। এদিকে, এই কৌতুকশিল্পী হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করেন। এই অভিযোগে শুক্রবার ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি লিখে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠান বাতিলের দাবি জানায় বজরং দল-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
এদিকে, বজরঙ দলের গুরুগ্রামের নেতা প্রবীণ সাইনি ইংরেজি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, 'আমরা ওই পানশালায় গিয়ে বলি অনুষ্ঠান বাতিল করতে। এই হাস্যকৌতুক শিল্পী হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করেছেন। আমরা কিছু ভিডিও ওদের দেখাই এবং বলি এই ধরনের শিল্পী, যাঁরা হিন্দু বিশ্বাসে আঘাত হানেন, তাঁদের গুরুগ্রামে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। হিন্দু দেবদেবীর কোনও অপমান আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা ম্যাজিস্ট্রেটকেও একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। কারণ অনুষ্ঠান হতে দিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।'
সারদার এক (সাঁতরাগাছি) মামলায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিসের (police) আনা প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ খারিজ করল এমপিএমএলএ বিশেষ আদালত (court)। সোমবার এই ধারাগুলি সংক্রান্ত কুণালের কোনও অপরাধের প্রমাণ নেই বলে বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য (Manojyoti Bhattacharya) রায় দেন। তবে মামলার বাকি অংশের বিচার চলবে।
সূত্রের খবর, আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের (Highcourt) একটি নির্দেশে এই মামলা আবার হাওড়া জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন,'কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত যা যা অভিযোগ রাজ্য পুলিসের সিট এনেছিল, আদালত তা খারিজ করেছে। মামলার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিচার চলবে। আপাতত মামলা হাওড়া কোর্টে ফিরে যাচ্ছে।'
এদিকে, পুরনো এক মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে (Bidhannagar MP MLA Court) তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে হয় বিধাননগরের এই আদালতে। গোরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম তৃণমূলে সভাপতি। হাজিরার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট সকাল ৬টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ১২টার আগেই এজলাসে তোলা হয় অনুব্রতকে। ২০১০ মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রতর। সেই মামলায় হাজিরা দিতেই আসানসোল থেকে এদিন তৃণমূল নেতাকে আনা হয়েছিল বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের এই আদালতে।
রাজ্যব্যাপী চিটফান্ড-কাণ্ডে (Chitfund Case) চলছে সিবিআই (CBI) অভিযান। রবিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হানা দিয়েছে বীজপুরের বিধায়ক (Bijpur MLA) এবং কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধানের বাড়িতে। এই ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মানুষ যে ১২ বছর ধরে প্রতারিত হয়েছে, তার সুবিচার চাইছে। সিবিআই-ইডি নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছে বিচার দেওয়ার। দুর্নীতির শিকড় এত গভীরে সময় লাগছে।' পাল্টা মন্তব্য করেছে তৃণমূলও।
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমরা বিষয়টিতে নজর রেখেছি। যাদের বাড়িতে অভিযান হয়েছে, তাঁদের মন্তব্য আগে আসুক।' এদিকে, সন্মার্গ চিটফান্ড-কাণ্ডে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি। এবার এই মামলার তদন্ত আরও বড়সড় তথ্যসূত্র হাতে পেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। রবিবার সকাল থেকেই বীজপুর বিধানসভা এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভা এলাকার ৬ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিযান বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে। পাশাপাশি সুবোধের ভাই তথা কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ছটি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযানে নেমেছে।
রাজু সাহানির বাড়ি এবং রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রচুর সম্পত্তি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে রাজুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যসূত্র ধরেই সুবোধ এবং কমল অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান। সুবোধের পৈতৃক বাড়ি-সহ তাঁদের মঙ্গলদ্বীপ আবাসন ফ্ল্যাট এবং কমল অধিকারীর নিজস্ব ফ্ল্যাটেও চলছে অভিযান। পাশাপাশি হালিশহরের জেঠিয়ার সুবোধ এবং কমল অধিকারীর এক আত্মীয়ের বাড়ি-সহ কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী গৌতম বিশ্বাসের বাড়িতেও সিবিআই দল।
গোরু পাচারকে কটাক্ষ করে মঙ্গলবার জোড়া ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন আবার দুধের কন্টেনারে গোরু পাচার করতে গিয়ে শেষরক্ষা হয়নি। সেই কন্টেনার উলটে মৃত ৫ গোরু, উদ্ধার ২২টি গোরু। গোরু পাচারের এই অভিনব পদ্ধতিকেই খোঁচা দেন শুভেন্দু। তিনি একটি ট্যুইটে লেখেন, 'গোরু পাচারের অভিনব পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ গিয়েছে পাচারকারীদের থেকে। পুষ্পা ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এভাবে গোরু পাচার। পুরুলিয়ায় একটা আমূল দুধের কন্টেনারে ভরে পাচার হচ্ছিল গোরু। সেই পাচার পদ্ধতি ফাঁস হয়ে গিয়েছে কারণ সেই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।'
একই ভাবে আরও একটি ট্যুইটে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা লেখেন, 'বাংলায় কোটি কোটি টাকার পাচার চক্র এখনও সক্রিয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বিএসএফ নজরদারি বাড়ানোয় গোরু পাচারের পুরনো পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছে। তাই এভাবে গোরু পাচার এখন পাচারকারীদের কাছে আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে।'
The multi-crore cattle smuggling syndicate is still active in WB. @BSF_India has tightened the screws under Hon'ble Home Minister Shri @AmitShah Ji's able supervision. The tried & tested formulas have now failed. It has become extremely difficult to smuggle cattle using old ways: pic.twitter.com/K85NsjlaBT
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 23, 2022
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগকে ঘুরিয়ে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এমনকি, পুরুলিয়ায় দুধের কন্টেনারে গোরু পাচার প্রসঙ্গকে গুরুত্বদিতে নারাজ শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'গোরু যে সব জায়গা থেকে আসে সেগুলো পাহারা দেয় বিএসএফ। যা অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীনে। এতো গোরুর উৎস গো বলয়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ইত্যাদি ইত্যাদি। সেগুলো পশ্চিম সীমান্ত থেকে এসে পূর্ব সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। গোরুর তো আর পাখনা নেই উড়ে উড়ে বাংলাদেশ চলে যাবে। গরুগুলো যখন আনা হচ্ছে, তখন বিএসএফ-র নজরদারি নেই কেন? এখন তো সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত বেড়েছে বিএসএফ-র এক্তিয়ার।'
ঠিক কী বললেন কুণাল ঘোষ?
নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) দিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা বহনের আবেদন করেছেন দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যদিও তাঁর এই আবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির (BJP) সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি, 'নবান্ন অভিযানের দিন পুলিস জল কামান ছুঁড়বে সেই কামানের মাঝে আমাদের পতাকা সোজা করে ধরে রাখতে ডাণ্ডা দরকার।'
বারাসাতের এক রক্তদান শিবিরে থেকে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'তৃণমূল নেতারা আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ চুরি করছে। তার বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযান হবে। সেখানে ঝাণ্ডা নেবেন, ঝাণ্ডার সাথে ডাণ্ডাও নেবেন।' এরই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুকান্ত জানান, নবান্ন অভিযানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়বে, জলকামান চালাবে। সেখানে আমাদের আমাদের পতাকা শক্ত করে ধরে থাকতে হবে এবং তার জন্য ডাণ্ডাই লাগবে।' হিংসার বদলে হিংসার রাজনীতি ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থন করে না। আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী।
পাশাপাশি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, 'আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দিয়ে যদি ভাবেন বেঁচে যাবেন তবে ভুল। আজ না হয় কাল আপনাদের কীভাবে ট্রিটমেন্ট করতে হয় তার ব্যবস্থা করব।' এদিন বাইক র্যালির মাধ্যমে মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসাত ডাকবাংলো মোড় হয়ে সেই রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি।
এদিকে, সুকান্ত মজুমদারের এই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'গণআন্দোলন কাকে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম জমানায় শান্তিপূর্ণ ভাবে করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর এই যে ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডার তুলনা টেনে হিংসা, সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। এই মন্তব্য প্ররোচনামূলক।'
তৃণমূলে (TMC) সরষের মধ্যে ভূত রয়েছে। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যখন জেলে ছিলেন, তখন অন্যান্য তৃণমূল নেতারা আনন্দ উদযাপন করছিল। সেই সময় কুণাল ঘোষ ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan) সাথে দেখা করেছিলেন। তখন তিনি ইডি, সিবিআই-এর (ED CBI) হাতে সমস্ত তথ্য তুলে দিয়েছেন। কার কাছে কত টাকা আছে, সে সব তথ্য যেখানে দেওয়ার, সেখানেই তিনি তুলে দিয়েছেন। তবে শুধু কুণাল ঘোষ নয়, তৃণমূলের ডান হাত, বাম হাত অনেকেই আছেন, যাঁরা নিয়মিত আমাদের তথ্য সরবরাহ করছেন।
আজ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের বৈলাপাড়ায় বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, সৌমিত্র খাঁ এখন তৃণমূলে নাম লেখানোর জন্য তৎপর হয়ে আছেন। সেজন্য তৃণমূলের বহু নেতার সাথে তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের যাঁর বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি, সেই কুণাল ঘোষ বলেন, সৌমিত্র খাঁয়ের কথার গুরুত্ব দেওয়া আর সার্কাসের জোকারকে সিরিয়াস নেওয়া একই। উনি হচ্ছেন নিপাট বিনোদন। রাজনীতির ক্লাসে যাঁরা ১,২ তে পড়েন, তাঁরা এইসব বলেন। ওনার স্ত্রী দক্ষ৷ যার জন্য উনি জিতলেন। যে লক্ষ্মী রাখতে পারে না ঘরে, সে লক্ষ্মীছাড়া। সন্দেহের বাতাবরণ করে লাভ নেই৷