Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Karnatak

Karnataka: কংগ্রেসের পুরোনো টালবাহানা, দীর্ঘ নাটকের পর অবশেষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কর্নাটকে

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের একটি বৈশিষ্ট আছে যে, দলের নেতার বিরুদ্ধে যাওয়ার। একেবারে স্বাধীনতার আগে পরে অসংখ্য উদাহরণ আছে। নেতাজির বনিবনা হয় নি গান্ধীজির সঙ্গে, কাজেই দল ছেড়েছিলেন তিনি। এমন ঘটনা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সঙ্গেও হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে নেহেরুর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন আম্বেদকর। কিন্তু তখন প্রকাশ্যে সমস্যা নিয়ে কেউ কথা বলতেন না। কথা শুরু হলো ১৯৬৯ থেকে, যখন কংগ্রেসের সিণ্ডিকেটপন্থীরা ইন্দিরার উপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু করলো।

ইন্দিরা দলটাই ভেঙে দিলেন। আবার জরুরি অবস্থার সময়ে অনেকেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। ৭৭এ লোকসভায় ইন্দিরা পরাজিত হলে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এরপর রাজীবের আমলে তো ক্ষমতায় থাকা অধিকাংশ রাজ্যেই গোষ্টিদ্বন্দ্ব প্রবল ছিল। দলটিও ভেঙেছিল। এ রাজ্যে গনি খান, সোমেন মিত্রদের যেমন একটি লবি ছিল তেমন প্রিয়দাশ, মমতাদের অন্য লবি ছিল। এই সংস্কৃতির জন্ম যেমন ইন্দিরার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর হয়েছিল তেমনটি আজকেও বিদ্যমান। প্রতিটি রাজ্যে কংগ্রেসের একাধিক গোষ্ঠী কোনও না কোনও কারণে একে অন্যের বিরুদ্ধে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলে থাকে। এই সমস্ত কারণে মোদির আমলে বিজেপির কংগ্রেস ভাঙানোটা অনেক সোজা ছিল।

সম্প্রতি কর্নাটকে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বাংলার পরে বিজেপিকে এতটা পর্যদস্তু হতে দেখা যায় নি কিন্তু তার পরেই শুরু হয়েছে কে মুখ্যমন্ত্রী হবে তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব। যদিও সিদ্ধারামাইয়া কংগ্রেসের স্বাভাবিক পছন্দের ছিল কিন্তু বাগড়া দিয়েছিলেন আর এক দাবিদার শিবকুমার। এই শিবকুমার যথেষ্ট বলিষ্ঠ নেতা এবং চিরকাল কংগ্রেস দলটাই করেছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কবলে পরে হাজত পর্যন্ত হয়েছিল তাঁর এবং রেকর্ড ভোট জিতেছেন তিনি। তিনি কর্ণাটকের রাজ্য সভাপতিও বটে। তিনি আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্তও বটে। তিন দিন ধরে দিল্লিতে নানান বাকবিতণ্ডার পর স্থির হয়েছে সিদ্ধারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন এবং শিবকুমার তাঁর ডেপুটি। শনিবার শপথ অনুষ্ঠান। রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও এদিন আমন্ত্রিত। যদিও তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে আসবেন তৃণমূল নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সে সব তো ঠিক আছে তবে বিজেপি কিন্তু কর্নাটকে ভবিষ্যতের মোহরা পেয়ে গিয়েছে।

12 months ago
Uttarpradesh: কর্নাটকে ধরাশায়ী হলেও, উত্তরপ্রদেশে পুরভোটে ভালো ফল বিজেপির

কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভা মুখ ঘোরালেও পদ্মের দাপট বজায় থাকলো যোগী (Yogi Adityanath) রাজ্যে। শুক্রবার কর্ণাটকে বিধানসভার ফলাফলের দিনই উত্তর প্রদেশের বিধানসভার (Bidhansabha) ফলাফল ঘোষণা হবার কথা। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের ৭৫টি জেলার ১৭টি নগরনিগম, ১৯৯টি নগরপালিকা এবং ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসন দখল করেছে পদ্মশিবির। পাশাপাশি উপনির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির থেকে ২টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।

১৭টি নগরনিগমের সবক’টিই গিয়েছে বিজেপির দখলে। রাজধানী লখনউ, বিচারবিভাগীয় সদর প্রয়াগরাজ, বাণিজ্যিক রাজধানী কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, যোগীর শহর গোরক্ষপুর, রামমন্দিরের শহর অযোধ্যা রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে, সহারনপুর, আগরা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলী, শাহজহানপুর এবং আলিগড়। ১৭টি নগরনিগমের মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরটর পদের ৫০ শতাংশের বেশি গিয়েছে বিজেপির দখলে।

তবে নগরপালিকার ৫,২৬০টি এবং নগর পঞ্চায়েতের ৭,১০৪টি ওয়ার্ডের অনেকগুলিতেই বিজেপির সঙ্গে কড়া টক্কর হয়েছে বিরোধীদের। ভোটের ফল বলছে, এখনও সে রাজ্যে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি। তবে গত বছরের বিধানসভা ভোটে মাত্র ২টি আসনে জেতা বিএসপি তুলনায় অনেক ভাল ফল করেছে। অনেক আসনেই বিজেপির মূল লড়াই হচ্ছে মায়াবতীর দলের সঙ্গে।

ভোটের ফল বলছে, ১৯৯টি নগরপালিকার মধ্যে বিজেপি ৮৮, সমাজবাদী পার্টি ৩৪, বিএসপি ২১ কংগ্রেস ৬ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৪৯টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। ভোটের প্রবণতা অনুযায়ী ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০৫টিতেই নির্দলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ! অন্য দিকে, বিজেপি ২০১, সমাজবাদী পার্টি ৮৫, বিএসপি ৪০ এবং ৯টিতে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে পুরভোটে বিপুল জয়ের জন্য গোড়া থেকেই সক্রিয় ছিল পদ্মশিবির। বিজেপি নেত্রী মুপূর একাধিক গোষ্ঠীহিংসার পরে বিশেষ সম্প্রদায়ের অভিযুক্তদের বাড়িতে বুলডোজ়ার চালানো থেকে প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের খুন পর্যন্ত একের পর এক বিতর্কের আবহে এই পুরভোট ঘিরে উত্তেজনাও ছিল তীব্র। তবে শেষ পর্যন্ত বড় অশান্তি ছাড়াই ৪ এবং ১১ মে দু’দফায় সাঙ্গ হয় ভোটগ্রহণ।

12 months ago
Congress: দিল্লি ঠিক কতটা দূর! কর্নাটকের জয়লাভে কি লোকসভায় বিজেপি বিরোধী মুখ হতে পারবে রাহুল

কর্নাটকে (Karnataka) কংগ্রেসের (Congress) বিপুল জয়লাভ। বিজেপির প্রাপ্ত মোট আসনের দ্বিগুণেরও বেশি পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে আসন্ন লোকসভায় (Loksabha) নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র বিরোধী মুখ হিসেবে যে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর মুখটাই পোক্ত হচ্ছে সেটা কিছুটা স্পষ্ট হলো এই কর্নাটকের বিধানসভার ফলাফলে। যদিও দিল্লি এখন অনেক দূর। কারণ কর্নাটকের ভোটকে যদি কোয়ার্টার ফাইনাল হিসেবে ধরা হয়, কংগ্রেস এখন চাইবে সেমিফাইনাল খেলতে। অর্থাৎ দেশের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোট। দক্ষিণ ভারত একার্থে বিজেপি মুক্ত করার পরে এবার আসন্ন ৫ রাজ্যের নির্বাচনকে সেমিফাইনাল করে খেলতে চাইবে কংগ্রেস।

চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। অন্য তিন রাজ্য— মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামে তারাই প্রধান বিরোধী দল। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কর্নাটকে বিপুল জয়ের পরে বিজেপি বিরোধী শিবিরের ‘নেতৃত্বের’ প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থান জোরালো হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রেখে সেই অবস্থান আরও নিরঙ্কুশ করতে চান রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। সেই লড়াই সফল হলে লোকসভা ভোটের ‘বিজেপি বিরোধী মুখ’ হিসেবে রাহুলের অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা যথেষ্টই।

২০১৮ সালের নির্বাচনে ওই ৫টি রাজ্যের মধ্যে ৩টিতে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের নেতৃত্বে প্রায় দু’ডজন কংগ্রেস বিধায়কের দলবদলের জেরে কমলনাথের সরকারের পতন ঘটে। সম্প্রতি সে রাজ্যে কর্নাটকের মতোই দলবদলের ‘উলটপুরাণ’ শুরু হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বেশ কিছু নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কৈলাস জোশীর ছেলে তথা বিজেপি বিধায়ক দীপক। প্রায় দু’দশকের ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী’ হাওয়ার মোকাবিলা করে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের পক্ষে সহজ হবে না বলেই ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন।

ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানে ২০১৮ সালে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। দু’রাজ্যেই এ বারও মূল লড়াই ‘পদ্ম বনাম হাত’! তবে কর্নাটকের মতোই ৫ বছর অন্তর সরকার পরিবর্তনের ধারা রয়েছে রাজস্থানে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের সঙ্গে সচিন পাইলটের ধারাবাহিক লড়াইও কংগ্রেসকে দুর্বল করেছে বলে দলের অন্দরের খবর। তবে ভূপেশ বঘেলের ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতা ধরে রাখার বিষয়ে কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী।

২০১৮ সালে ত্রিমুখী লড়াইয়ে তেলঙ্গানায় জয়ী হয়েছিল কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস (বর্তমানে বিআরএস)। এ বারও সেখানে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা। পড়শি রাজ্য কর্নাটকে বিপুল জয় তেলঙ্গানার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বাড়তি উদ্দীপনা জোগাবে বলেই মনে করছে দল। উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরামের নির্বাচনী ফলের তেমন প্রভাব সর্বভারতীয় রাজনীতিতে পড়ার সম্ভবনা নেই। সে রাজ্যের ভোটের লড়াইয়ে সরাসরি নেই বিজেপিও। তাদের সহযোগী দল ক্ষমতাসীম মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে মূল লড়াই হবে কংগ্রেসের।

12 months ago


Mamata: কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ে খুশি মমতা, অথচ শুভেচ্ছা বার্তায় নেই কংগ্রেসের নাম

কর্নাটকে (Karnataka) সরকার গড়ার পথে কংগ্রেস (Congress)। ইতিমধ্যে দিল্লিতে শুরু হয়েছে সেলিব্রেশন। বাংলাতেও তার আঁচ এসে পৌঁছেছে। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে সেলিব্রেশন। দক্ষিণী রাজ্য বিজেপি সরকারকে প্রত্যাখান করায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। টুইটারে কর্নাটকের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের এই রায় আগামীদিনের জন্য শিক্ষা বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, শুভেচ্ছাবার্তার কোথাও কংগ্রেসের নাম লেখেননি মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য কর্নাটকের মানুষকে অভিবাদন। নিষ্ঠুর ও একচ্ছত্র ক্ষমতায় বিশ্বাসী রাজনীতির পরাজয় ঘটেছে।' যখন মানুষ বহুত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির জয় চান, কেউ বা কোনও কেন্দ্রীয় নকশা তাদের স্বতঃস্ফূর্ততাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। এটাই গল্পের মূল কথা ও আগামাীদিনের জন্য শিক্ষা।'

কর্নাটকে ১৩০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ফলাফল একপ্রকাশ নিশ্চিত। আর তা স্পষ্ট হতেই টুইট করে কর্নাটকের মানুষের রায়কে আহ্বান জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মানুষ চেয়েছে বলেই পরিবর্তন। তবে, বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের পথ  ২০১২ সালে বাংলাই দেখিয়েছে বলে দাবি তাঁর।

12 months ago
Partha: ধর্ম নিয়ে কর্নাটকে মোদীর ফর্মুলা ব্যর্থ, কলমে বাংলার মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক

যখন লেখায় যাচ্ছি তখন অন্তত কংগ্রেস (Congress) ১৩০ + আসনে (Seat) এগিয়ে কাজেই অসম্ভব কিছু না ঘটলে তারাই যে সরকার (Goverment) গড়তে চলেছে তাতে আর সন্দেহের কিছু নেই। আমরা রাজ্য বা রাজ্যের কাজে ব্যস্ত থাকলেও প্রায় প্রতিদিন মিডিয়ার বা সোশ্যাল নেটের পোর্টালগুলির উপর নজর রাখতাম। বুঝতেই পারছিলাম বিজেপির জমি খারাপ হচ্ছে। হবেই বা না কেন, যে ভঙ্গিতে তারা ২০১৮ র ভোটে জনবার্তা না মেনে প্রায় জবরদস্তি ঘোড়া কেনা বেঁচা করে কর্ণাটক দখল করেছিল তা মোটেই ওই রাজ্যের মানুষ ভালো ভাবে নেয় নি। এই সংস্কৃতিটা বিজেপির আমলে যে ভাবে মাথাচারা উঠেছিল তা মোটেই দেশের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। একেবারে একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতায় না এসেও নানান চাপ দিয়ে সরকার দখল করেছিল বিজেপি তা নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। গোয়া, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং অবশ্যই কর্নাটকে ঘোড়া কেনাবেঁচা করেছিল তার পরিষ্কার জবাব আজ কানাড়ি জনতা দিয়ে দিয়েছে এবং এতটাই ফারাক যে এবারে পুরোনো ফর্মুলা আর চলবে না।

আমি মনেকরি লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বিজেপির কাছে মস্ত ধাক্কা। আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেইছিলেন যে তিনি চান সর্বত্র বিজেপি হারুক। আজ অবশ্য আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে প্রতিবেদনটি লিখছি। শুধু ধর্ম নিয়ে ভোট যেটা যায় না। প্রধানমন্ত্রী সেই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন প্রচারে। এটা বাস্তব কর্নাটকেও উচ্চবর্ণ বা নিম্নবর্ণের রাজনীতি আছে। কিন্তু দেশের সরকারের বোঝা উচিত উন্নয়ন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান নিয়ে দেশের মানুষ চরম সংকটে রয়েছে। করোনাকাল গেলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট যা দেখা গিয়েছিল তার কোনও সমাধান তো কেন্দ্র করতে পরেই নি উপরোন্ত দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। মানুষ খাবে নাকি জাতপাত ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাবে। এর জবাব আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদী আরও বুঝতে পারবেন। কর্নাটকে যে পরিমান দুর্নীতি হয়েছে এবং তা কেন্দ্রীয় সরকার তা আমলই দেন নি, আজকের ভোটের ফলে তার প্রতিচ্ছবি পড়েছে। একটা সিনেমা দিয়ে কি আর ক্ষমতায় আসা যায়? যাই হোক জনতার রায় মাথায় রেখে বিরোধী আসনে মেনে নেওয়াই বাঞ্চনীয়।

                                                                                                                                                  (অনুলিখন : প্রসূন গুপ্ত) 

12 months ago


karnataka: কর্নাটকে বিধানসভার গদি কার? এগিয়ে কংগ্রেস, লড়াইয়ে বিজেপিও

শনিবার সকাল আটটা থেকে কর্নাটকের (Karnataka) ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ৩ ঘন্টা পার হবার পর কর্ণাটকের আগাম ফলাফলের ছবি কিছুটা পরিষ্কার। যদিও এখনও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে। বেশরিভাগ ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে কংগ্রেস। কোথাও আবার অনেকটা এগিয়ে বিজেপি।

সকাল ১১ টা নাগাদ যখন  পোস্টাল ব্যালট গণনার ট্রেন্ড সামনে আসে তখন দেখা যায় ২২৪ আসনের কর্নাটকে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে কংগ্রেস। কিন্তু সকালের দিকে কখনও কখনও বিজেপি এগিয়ে যায়। যদিও সকাল ১১ টা অবধি পাওয়া খবরে বিজেপি এগিয়ে ৭০ টি আসনে, কংগ্রেস এগিয়ে ১২০ টি আসনে, জেডি(এস) এগিয়ে ২৫ টি আসনে অন্যান্যরা ৮ টি আসনে।

প্রথম তিন ঘণ্টার যা ট্রেন্ড তাতে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছ। যদিও এটা মাঝ রাউন্ড। তবে ঘন্টা তিনেক পার হয়েছে গণনার। এটা স্পষ্ট যে, কর্নাটকে দ্রুত সব কিছু  বদলে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ৩৬ টি গণনা কেন্দ্রে চলছে ভোট গণনা। যাখবোও অবধি গণনায় কংগ্রেস পেয়েছে ৪৫ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়েছে ৩৮ শতাংশ ভোট। মধ্য কংগ্রেস ও কর্ণাটকের উপকূলবর্তী এলাকায় এগিয়ে কংগ্রেস।

সকাল ১১ টা নাগাদ খবর চান্নাপাটনা আসনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী পিছিয়ে রয়েছেন। জয়ের আনন্দ শুরু করেছে কংগ্রেস, গোটা বেঙ্গালুরু জুড়ে কংগ্রেসের বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে সবুজ আবির নিয়ে খেলা শুরু হয়েছে।

12 months ago
Election: কে সরকার গড়বে কর্নাটকে, কি বলছে এক্সিট পোল

বুধবার কর্নাটকে (Karnataka) বিধানসভার (Bidhansava) ভোট হয়ে গেল। দাক্ষিণাত্যে এই একটি রাজ্য যেখানে সরাসরি লড়াই মূল দুই শক্তি কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP)। অবিশ্যি জনতা দল (সেকুলার) এখানে আছে অনেকটা ভোট কাটুয়া হিসাবে। এদের কাটা ভোটে কখনও সুবিধা পায় বিজেপি কখনও কংগ্রেস এবং মজার বিষয় এরা দুবার ফ্যাক্টর হয়েছিল ত্রিশঙ্কু ফল হওয়াতে। এই দুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলো তারা। এই দলের প্রধান, এক সময়ের ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া। উচ্চ শিক্ষিত এই ব্যক্তিত্ব নিজেকে চিরকাল ধর্ম নিরপেক্ষ হিসাবে দাবি করেন কিন্তু প্রয়োজনে তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির হাত ধরতে পিছপা হন না। এবারে বিভিন্ন মিডিয়া তাদের এজেন্সিদের দিয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল করিয়েছে , ফল এমন-

মিডিয়া                                          বিজেপি               কংগ্রেস               জেডি ( এস ) 

এবিপি নিউজ+সি ভোটার-            ৮৩ - ৯৫                ১০০ - ১১২               ২১ - ২৯ 

রিপাবলিক টিভি + মার্ক  -              ৮৫ - ১০০              ৯৪ - ১০৮                ২৪ - ৩২ 

টিভি ৯ ভারতবর্ষ + পোলস্ট্র্যাট-     ৮৮ - ৯৮               ৯৯ - ১০৯                 ২১ - ২৬ 

জি নিউজ +  ম্যাট্রিক এজেন্সী -     ৭৯ - ৯৪                ১০৩ - ১১৮                ২৫ - ৩৩ 

টাইমস নাউ + ইটিজি   -                 ৮৫                       ১১৩                               ২৩ 

আজতক এক্সিস   -                        ৬২ - ৮০               ১২২ - ১৪০                ২০ - ২৫ 

নিউজ ২৪ + টুডেস চাণক্য-            ৯২                        ১২০                               ১২ 

দেখা যাচ্ছে যা ফলাফলের আন্দাজ এরা করেছেন তাতে বিজেপির ক্ষমতায় আসা হচ্ছে না। একই সাথে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে কংগ্রেস এবং ন্যূনতম ২০ - ২২ টি আসন পেতে পারে জেডি (এস)।

প্রশ্ন থাকছে সর্বদা কি এই বুথ ফেরত সমীক্ষা মেলে? বিগত পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মেলে নি আবার ত্রিপুরার নির্বাচনে মিলেছিল। তাই দুটি ঘটনা ঘটতে পারে ১) ত্রিশঙ্কু  অথবা কংগ্রেস একাই সরকার গড়ার অবস্থায় আসতে পারে ২) যদি ত্রিশঙ্কু হয় তবে বিজেপি ঝাঁপাবে কংগ্রেসকে আটকাতে এবং বিগত খেলার মতো প্রথমে সুযোগ দেবে জেডি (এস) কে এবং তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা যা কিনা করে অভস্থ্য বিজেপি দল  ৩) কংগ্রেস এবং জেডি ( এস) মিলিত সরকার গড়বে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হবে ফের কুমারস্বামী। যদিও এই নির্বাচনের ফল শনিবার।

12 months ago
Karnataka: ভোটের আগেই রাজ্য জুড়ে বিপুল পরিমাণে মাদক ও নগদ টাকা উদ্ধার

ভোটের (polls) আগেই রাজ্য জুড়ে বিপুল পরিমাণে মাদক দ্রব্য ও নগদ টাকা উদ্ধার। উদ্ধার হয়েছ ২০ লক্ষ লিটার মদ, ১,৭০০ কেজি মাদক ও ৯৫ কোটি টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে (Karnataka)। ফলে সীমানায় রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন দফতরকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকের চারপাশে ছ’টি রাজ্য রয়েছে। আর এই ছ’টি রাজ্যের সীমানায় ১৮৫টি চেকপোস্ট রয়েছে। আর এই সব চেকপোস্টেই কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, ২৯ মার্চ থেকে সোমবার পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ৩০৯ কোটি টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কর্নাটক থেকে। মাদক দ্রব্য নগদ টাকা সহ ৭৯৪ কেজি সোনা-রুপোও উদ্ধার হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৮০.৫৩ কোটি টাকা। এমনকি সারা রাজ্যে ৬৯ হাজার ৮২৫টি অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০টি বন্দুকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

কর্নাটকের এই পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল, নোডাল পুলিস অফিসার, উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিক, নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, কর্নাটক এবং সংলগ্ন রাজ্যের আয়কর দফতরের আধিকারিকেরাও। ওই বৈঠকেই সীমানার চেকপোস্টগুলিতে কড়া নজরদারির কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমেও নজরদারি চালাতে হবে, যাতে ভোট সংক্রান্ত ভুয়ো খবরের উপর নজর রাখা যায়।

one year ago


Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে মোবাইল! মোদীর রোড শোতে বোমাতঙ্ক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) রোড শোতে ফের নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ। নিরাপত্তার গাফিলতিতে এবার প্রশ্ন উঠলো কর্নাটকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রোড শো মানেই সেখানে বিস্তর জনসমাগম। তবে, সেখান থেকেই যদি কোনও জনতা আচমকা মোবাইল ছুড়ে দেন অথবা আঘাত করার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠবেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা (security breach) নিয়ে। ঠিক এমন ঘটনাই ঘটল কর্নাটকে মোদীর রোড শোতে।

মে মাসের গোড়াতেই বিধানসভা নির্বাচন কর্নাটকে। তার আগে রোড শো তে প্রচার সারছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আচমকাই রাস্তার পাশে জনতার ভিড় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দিকে উড়ে আসে একটি মোবাইল ফোন। সেই ফোন মোদীর গায়ে না লাগলেও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ভীড়ের মধ্যে থেকে কে ছুড়লেন এই মোবাইল তা এখনও জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে একাধিক বার ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করার ঘটনা। এর আগে, জানুয়ারি মাসে, হুবলিতে যুব উৎসবে যোগ দিতে যাওয়ার সময়েও এক যুবক নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে মোদীর গলায় মালা দিতে একেবারে পৌঁছে যান তাঁর সামনে। সেই সময় মালাটি নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্জাবে একদল বিক্ষোভকারী অবরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। বারবার এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজির ওপর। তবে, কনভয়ের বাইরের বলয়ে নিরাপত্তার ভার থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য পুলিসের ওপর। ফলে, প্রত্যেকবার এমন ঘটনায় আসলে দায় কার এ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে দুই তরফেই। এখন দেখার এদিন মোবাইল যিনি ছুড়লেন, তাঁকে কতক্ষণে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয় কর্ণাটক পুলিস।

one year ago
Karnataka: ভোটমুখী কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে আয়কর হানা, উদ্ধার ৩০ লক্ষ টাকা

কংগ্রেস নেতা গঙ্গাধর গৌড়ার দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান আয়কর (Income tax) আধিকারিকরা। উদ্ধার নগদ ৩০ লক্ষ টাকা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দক্ষিণ কন্নড় (Karnatak) জেলার বেলতানগঠীতে গৌড়ার বাড়িতে পৌঁছন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। এমনকি মহকুমা হাসপাতাল (Hospital) লাগোয়া ওই বাড়ি ছাড়াও ইডাবেট্টু এলাকায় তাঁর আর একটি বাড়িতেও অভিযান চলে।

কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রীর গঙ্গাধর গৌড়ার ছেলে রঞ্জনের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়। গৌড়ার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। তবে তিন জায়গায় নানা নথিপত্র খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা। কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন ১০ মে। যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টিকিট না পাওয়ায় নির্বাচনী লড়াইয়ে এবার নেই গৌড়া। টিকিট না পেয়ে রাজনীতি ছা়ড়ার ঘোষণাও করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গঙ্গাধর গৌড়া।

one year ago


Hospital: ভোটের আগে প্রবল জ্বর নিয়ে হাসপাতলে ভর্তি কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী

প্রবল জ্বর নিয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হয়েছিলেন কর্নাটকের (Karnatak) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই শরীর খারাপ ছিল। শনিবার দুপুর থেকে ধুম জ্বর আসে। তার পরেই সন্ধ্যায় তাঁকে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, খুব বেশি জ্বর না থাকলেও সামগ্রিক দুর্বলতা রয়েছে তাঁর। আপাতত সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।

কয়েকদিনের মধ্যেই কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। সেখানে দলকে মজবুত জায়গায় নিয়ে যেতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই। তবে কুমারস্বামীও ব্যতিক্রম নন। তাঁর অনুগামীদের একটি অংশের দাবি, প্রচারে বেরিয়ে খাওয়া, দাওয়া ঠিক থাকে না। শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময়টুকু হয়ে ওঠে না। এই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নেতা। আপাতত কিছু দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই তাঁকে থাকতে হবে। ফলে নেতার অনুপস্থিতিতে তাঁর অনুগামীরাই প্রচার সামলাবেন।

one year ago
Karnataka: কৃষকের ছেলেকে বিয়ে করলে নগদ প্রাপ্তি! ভোট প্রচারে অভিনব প্রতিশ্রুতি

নির্বাচনী প্রচারে নানারকম প্রতিশ্রুতির কথা দিয়ে থাকেন ভোট প্রার্থীরা। কিন্তু কোনওদিন শুনেছেন কৃষকের ছেলেকে বিয়ে করলে টাকা দেওয়া হবে পাত্রীকে, এমন প্রতিশ্রুতি দিতে? সম্প্রতি এ রকমই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘিরে হইচই পড়েছে কর্নাটকে (Karnataka Poll)। আগামী ১০ মে সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি কোমর বেঁধে নেমেছে প্রচারে। তার মধ্যে অভিনব ভোটপ্রচারের জন্য চর্চায় উঠে এলেন জেডিএস (JDS Leader) নেতা এইচডি কুমারস্বামী (HD Kumarswamy)। সোমবার প্রচারে গিয়ে তিনি বলে বসেন, কৃষকদের ছেলেকে বিয়ে করলে তাঁর দল মহিলাদের ২ লক্ষ টাকা করে দেবে।

সোমবার কর্নাটকের কোলারে একটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন জেডিএস নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। ‘পঞ্চরত্ন’ জনসভায় বক্তব্য রাখার সময়ই এই বিষয়ে বলেছেন তিনি। কুমারস্বামী ঘোষণা করেছেন, তার সরকার ক্ষমতায় এলে নতুন প্রকল্প আনবেন তিনি। তাতে কোনও মহিলা যদি কৃষকের ছেলেকে বিয়ে করেন, তাহলে তাকে ২ লক্ষ টাকা দেবে সরকার। টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গে কুমারস্বামী বলেছেন, “কৃষকদের ছেলেদের মেয়েরা বিয়ে করতে রাজি নয় বলে আমার কাছে পিটিশন জমা পড়েছিল। তাই কৃষকদের ছেলেদের বিয়েতে উৎসাহ দিতে এই ভাবনা। আমাদের ছেলেদের আত্মসম্মান বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ।”

১০ মে কর্নাটকে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা ভোট। ১৩ মে প্রকাশিত হবে সেই ভোটের ফল। ২২৪ আসনের এই বিধানসভার ভোটে লড়ার জন্য এখনও অবধি ৯৩ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জেডিএস।

one year ago
Modi: ছুটির সকালে বন্দিপুর জাতীয় অরণ্যে বাঘ দেখতে নরেন্দ্র মোদী, তুললেন ছবি

ছুটির দিন রবিবারে বন্দিপুর ব্যাঘ্র প্রকল্প পরিদর্শন করতে সকাল সকাল কর্নাটকে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজ ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্মসূচির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাঘের পরিসংখ্যান প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ মাইসুরুতে ব্যাঘ্র প্রকল্পের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতে বাঘের সংখ্যা হয়েছে ৩ হাজার ১৬৭।

এদিন কর্নাটকের বন্দিপুর জঙ্গলে প্রধানমন্ত্রীকে একটি খাকি প্যান্টের সঙ্গে ক্যামোফ্লেজ টি-শার্ট ও হাতকাটা জ্যাকেটে দেখা গিয়েছে। হাতে রয়েছে ক্যামেরা। মোদীই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি বন্দিপুর জঙ্গল সফরে এসেছেন। তিনি জঙ্গলের প্রথম সারির কর্মী ও সেল্ফ হেল্প গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।


বাঘের পাশাপাশি হাতির ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। বন্দিপুর থেকে তামিলনাড়ুর মুদুমালাই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে থেপাকাডু হাতি ক্যাম্পে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এসে হাতিদের খাবারও খাওয়ান।


সম্প্রতি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পার্স’ নামের যে তথ্যচিত্রটি অস্কার জিতেছে, তার শুটিং এখানেই হয়েছিল। সেখানে গিয়ে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পার্স’-এর হাতি এবং মাহুত দম্পতির সঙ্গেও তিনি দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এছাড়াও তিনি এদিন International Big Cats Alliance-এর উদ্বোধন করেন।

one year ago


Chicken: মাংস খাওয়া নিয়ে অশান্তির জেরে ছেলেকে খুন! গ্রেফতার অভিযুক্ত বাবা

মাংস (Chicken) খাওয়া নিয়ে ঝামেলা। আর এই ঝামেলার জেরে বাবার (Father) হাতে খুন হলেন ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নড় জেলার সুল্লিয়ার গুট্টিগড়ে। মৃতের নাম শিবরাম। বয়স ৩২ বছর।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়িতে বেশ জমিয়ে মুরগির মাংস রান্না চলছিল। সেই মাংস খাওয়া নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয় বাবা ও ছেলের মধ্য়ে। কারণ শিবরাম বাড়ির বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। আর ভেবেছিলেন কাজ সেরে বাড়ি ফিরে সেই মাংস খাবেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, মাংস আর নেই। সব মাংস তাঁর বাবা খেয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় বাবা ও ছেলের মধ্যে। কথাকাটি থেকে তাঁদের হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছে যায় ঝগড়া। ঝামেলা চলাকালীন বাবা হাতের কাছে কাঠের মুগুর পেয়ে রাগের মাথায় মারতে আরম্ভ করেন ছেলেকে। বাবার হাতে মার খেয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় শিবরামের। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ছেলেকে খুন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় শিবরামের বাবাকে। 

পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়ে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কেবল মাংস নিয়ে বিবাদের জেরে খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তাও তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে পুলিস। 

one year ago
Dog: হাসপাতালের করুন চিত্র! সদ্যোজাতকে মুখে করে ঘুরছে কুকুর, নিখোঁজ বাবা-মা

ফের প্রকাশ্যে এল সরকারি হাসপাতালের দুরাবস্থার চিত্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে বেড়েছে কুকুরের (Dog) উৎপাত। এমনকি ওয়ার্ডের মধ্যে অবাধে বিচরণ সারমেয়দের। সম্প্রতি সদ্যজাতকে কামড়ে, মুখে করে ওয়ার্ড থেকে নিয়ে চলে গেল কুকুর। মৃত্যু (Death) হয় ওই নবজাতক শিশুর (Newborn)। এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) শিবমোগা জেলায়।

স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের কর্মীদের যতক্ষণে নজরে আসে যে, কুকুরটি সদ্য়জাত শিশুকে মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে যায়। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না শিশুটির অভিভাবকদেরও। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কর্নাটকের শিবমোগা জেলায় একটি সরকারি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে কাপড়ে মোড়া শিশুটিকে মুখে করে নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে ঘুরে বেড়ায় কুকুরটি। কিছুক্ষণ বাদে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর নজরে আসে বিষয়টি। তখনই কুকুরটিকে ধাওয়া করে কুকুরটির মুখ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তবে ততক্ষণে শিশুটির মৃত্য়ু হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। কুকুরের কামড়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে নাকি আগেই হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বর্তমানে শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

উল্লেখ্য, পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে মৃত শিশুটির অভিভাবকদের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। কীভাবে হাসপাতলের মধ্যে কুকুর ঢোকে এবং শিশুকে মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর কেউ তা কীভাবে দেখল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

one year ago