বাথরুম থেকে উদ্ধার এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ (Body)। পাশে পড়েছিল একটি ছুরি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই মহিলার সঙ্গী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোটাপুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছের এক বাড়িতে। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিস (Police)। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোটাপুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বাড়ি থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মহিলাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিস জানিয়েছে, মহিলার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মহিলার সঙ্গে ওই এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন এক যুবক। ওই যুবকের নাম নঈম। মহিলার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই ওই যুবকের ফোন সুইচড অফ, দাবি পুলিসের।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুগলকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি, তাঁদের ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখে ঘরের মধ্যে ঢোকেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনিই প্রথম দেখতে পান বাথরুমের মধ্যে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘরের মধ্যে মহিলার সঙ্গীর আধার কার্ড পায় তাঁরা। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গীর ব্যাপারে জানতে পারে পুলিস। তবে ঠিক কী কারণে খুন তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার নামে ডেকে গণধর্ষণ (Gang Rape) এক কিশোরীকে। তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে এভাবে যৌন নিগ্রহের (Sexual Harrasment) অভিযোগ ওঠে। কর্নাটকের হুবলির (Karnataka incident) এই ঘটনায় কাঠগড়ায় চার যুবক। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জন অপরাধীকে চিহ্নিত করা গেলেও বাকি দু'জনের কোনও খোঁজ পাননি তারা। এই চারজন অভিযুক্তর মধ্যে দু'জন ছিল ওই কিশোরীর বন্ধু।
বুধবার হুবলি বাইপাস কিং রোডের ব্রিজের কাছে চারজন গণধর্ষণ করে কিশোরীকে। ফোন করে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার নাম করে ডেকে আনা হয় কিশোরীকে। তারপর তাকে বাইকে তুলে নিয়ে যায় একটি ফাঁকা জায়গায়, সেখানে গিয়েই কিশোরীর দুই বন্ধু-সহ আরও দু'জন একত্রে গণধর্ষণ করে কিশোরীকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের খোঁজ করে গ্রেফতার করবে।
মেলার আনন্দে শামিল হতে যাচ্ছিল এক কিশোরী। জঙ্গলের পথ ধরে তাড়াতাড়ি মেলায় পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেছিল শে। তাই নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী (Student) জঙ্গলের পথ নেয়। তবে মুহূর্তের আনন্দ যে বিষাদে পরিণত হবে, তা হয়তো ভাবতেও পারেননি কেউ! জঙ্গলের ধিকিধিকি জ্বলা আগুনে (Fire) পুড়ে মৃত্যু (Death) কিশোরীর। বন দফতরের কর্মীরা এর জন্য স্থানীয়দের দায়ী করেছেন।
ঘটনাটি কর্নাটকের টুমাকুরু জেলার দেবরায়ণদুর্গা জঙ্গলের। মৃত কিশোরীর নাম এস মনসা (১৩)। জানা গিয়েছে, জঙ্গল লাগোয়া ইরাকাসান্দ্রা এলাকায় ওই কিশোরীর বাড়ি। মায়ের সঙ্গে থাকত সে। ওই এলাকায় কিশোরীর মায়ের একটি ছোট খাবার দোকান আছে। তার বাবা আগেই মারা গিয়েছেন।
ফলে মা ও মেয়ের সংসার। ঘটনার দিন মঙ্গলবার আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দল বেঁধে সে লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরের পাশের মেলায় যাচ্ছিল। সেসময় জঙ্গলের একটা অংশে অগুন জ্বলছিল। অসাবধানে সেই আগুনের সংস্পর্শে এসে পড়ে মনসা। তার পোশাকে আগুন ধরে যায়।
কিশোরীর সঙ্গে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আগুন নেভানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনে ততক্ষণে ঝলসে গিয়েছিল কিশোরীর দেহ। শেষমেশ তাকে উদ্ধার করে টুমাকুরু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় কিশোরীর।
বন দফতরের দাবি, অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও স্থানীয়রা কথা শোনেননি। জঙ্গলের একাংশের শুকনো ঘাসপাতায় আগুন ধরিয়ে দেন প্রায় সময়। প্রায়ই জঙ্গলের নানা প্রান্তে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সেই আগুন ধীরে ধীরে জঙ্গলের অনেকাংশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলেই এই দুর্ঘটনা।
একটি মামলা নিয়ে বচসার জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পুড়িয়ে মারলেন বাবা। পরে নিজে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে কর্নাটকের (Karnataka) হেন্নুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। সেখানে তিনজনের আধপোড়া শরীর এবং এক মাঝবয়সি ব্যক্তির অচেতন দেহ উদ্ধার করে তারা। পরে চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, ওই ব্যক্তি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম সোনেগৌড়া ওরফে সোনাপ্পা। মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর স্ত্রী নেত্রার সঙ্গে একটি মামলা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এর আগে সোনাপ্পার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন নেত্রা। পুলিসের কাছে এফআইআর দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। বুধবার ভোরে পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এরপরই স্ত্রী এবং দুই কিশোরী মেয়ের উপর চড়াও হন সোনাপ্পা।
প্রথমে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত, তার পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের দুই কন্যার বয়স যথাক্রমে ১১ এবং ৯ বছর। জানা গিয়েছে, ওই মামলায় সোনাপ্পার থেকে ক্ষতিপূরণও চেয়েছিলেন তিনি। সোনাপ্পার বাবাকেও সেই মামলায় যুক্ত করে সম্পত্তির ভাগ চেয়েছিলেন নেত্রা। ওই ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
প্রাক্তন প্রেমিকের (Ex Boyfriend) হাতে খুন (Murder) প্রেমিকা। এমনই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ কন্নড়ের মুন্দুর এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। ঘটনার দিন বাড়িতে একা ছিলেন ২৩-বছরের ওই তরুণী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে ঢুকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে (Stabbed)খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতার মায়ের।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম জয়শ্রী। জয়শ্রীর মা গিরিজা বাড়িতে এসে মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তরুণী। এরপর মঙ্গলবারই জয়শ্রীর প্রাক্তন প্রেমিক উমেশের নামে পুত্তুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। অভিযোগ, তাঁর মেয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করতেন উমেশ। এর ফলে জয়শ্রী সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। উমেশের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন। আর তা মেনে নিতে না পেরেই ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মেয়েকে খুন করেছে অভিযুক্ত বলে অভিযোগ জয়শ্রীর মায়ের।
জানা গিয়েছে, জয়শ্রী বিএসসি নিয়ে কলেজে পড়াশোনা করতেন। উমেশের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দু’জন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলেও দাবি জয়শ্রীর মায়ের। তাঁদের বাড়িতে প্রায় যাতায়াত করতেন জয়শ্রীর প্রেমিক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এই খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পঞ্জাবের পর এবার কর্নাটক (Karnataka), ফের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের বড়সড় অভিযোগ। হাতে মালা নিয়ে হুব্বালিতে রোড শো চলাকালীন নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়লেন এক যুবক। যদিও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা (SPG) তাঁকে সময়ে সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা ভিভিআইপি নিরাপত্তা ভেঙে কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) কাছ পর্যন্ত চলে এলেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় যুব উৎসব উপলক্ষে হুব্বালি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
#WATCH | Karnataka: A young man breaches security cover of PM Modi to give him a garland, pulled away by security personnel, during his roadshow in Hubballi.
— ANI (@ANI) January 12, 2023
(Source: DD) pic.twitter.com/NRK22vn23S
বৃহস্পতিবার হুব্বালিতে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই রোড শো করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গাড়ির ফুটবোর্ডে দাঁড়িয়ে রাস্তার দু'পাশে থাকা জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন মোদী। সেই সময় দেখা গিয়েছে এক যুবক মালা হাতে তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসেন। যুবক হাতে থাকা মালা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁকে সরিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ওই যুবকের থেকে শেষ মুহূর্তে মালাটি নেন এবং গাড়ির বনেটে রাখেন।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি। তার বাইরের অংশে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিশ। সেই দ্বি বা ত্রিস্তরীয় বলয় ভেঙে কী ভাবে যুবক ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দেশবাসী। তার মধ্যেই ফের ভয় ধরাচ্ছে জিকা ভাইরাস (Zika Virus)। কর্ণাটকে (Karnataka) সন্ধান মিলল এই ভাইরাসের। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর খোদ সে কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “রাজ্যে এই প্রথম জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলল। সরকার পরিস্থিতির উপর পুরোপুরি নজর রাখছে। স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতি সামলাতে পুরোপুরি প্রস্তুত।” জানা গিয়েছে, রায়চূড় জেলায় পাঁচ বছরের একটি মেয়ের দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ৫ ডিসেম্বর ওই বাচ্চা মেয়েটির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর পুনের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছিল। তিনটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে দু’টি নেগেটিভ এবং একটি পজিটিভ ধরা পড়ে। ৮ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভাইরাস সম্পর্কিত নানা বিধিনিষেধ জারি করা হবে। তবে এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে কেরল, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। সংক্রমিত অ্যাডিস মশার কামড় থেকে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার জন্য সিরাম পরীক্ষা করার সময়ই জিকার বিষয়টি সামনে আসে। পুণের গবেষণাগারে ওই শিশুর সিরাম পরীক্ষা করতে পাঠনো হয়েছিল। সাধারণত এই ধরণের পরীক্ষার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নমুনা পুণেতে পাঠানো হয়। এরপরেই জিকার হদিশ মেলে।" ১৯৪৭ সালে আফ্রিকার উগান্ডায় প্রথম জিকা ভাইরাসের খোঁজ মেলে।
যে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়নি, গর্ভে থাকাকালীন সেই শিশুকে দত্তক (Adoption) নেওয়ার কোনও আইন নেই ভারতে। ফলে জন্মের আগেই শিশু দত্তক নেওয়ার চুক্তি খারিজ করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। গর্ভস্থ শিশুকে পালক পিতা-মাতার কাছে দত্তক সন্তান হিসেবে তুলে দিতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই পক্ষ। সেই মামলার রায়ে এমনটাই জানান হাইকোর্টের বিচারপতি বি ভিরাপ্পা এবং কে এস হেমলথার ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ২০২০ সালের ২৬ মার্চ শিশুর জন্ম হয়েছিল। তার ৫দিন আগে শিশু দত্তক নেওয়ার জন্য সই-সাবুদ হয়।
এদিকে সেই শিশুর বয়স এখন দু'বছর। শিশুকে দত্তক দিতে যখন চুক্তি হয়েছিল, তখন সেই শিশু দিনের আলো দেখেনি। তাই ওই শিশুর দত্তক নেওয়ার আর্জি মানতে চায়নি আদালত। বিচারপতি বি ভিরাপ্পা ও বিচারপতি কে এস হেমলেখার ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের আর্জিকে খারিজ করে জানান, এভাবে গর্ভস্থ শিশুকে দত্তক নেওয়ার কোনও আইন দেশে নেই। আসলে দত্তক সংক্রান্ত যে চুক্তি করা হয়েছিল তা শিশু জন্মের আগেই।
আইনি ভাবে ওই শিশুকন্যাকে দত্তক নেওয়ার জন্য কর্ণাটকের একটি নিম্ন আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন দম্পতি। জন্মদাতা পিতা-মাতা ধর্মে হিন্দু। তাঁরা দারিদ্রতার কারণের মুসলিম দম্পতির কাছে কন্যাকে দত্তক দিতেও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। আর দারিদ্রতার যুক্তি মানতে নারাজ আদালত। নিম্ন আদালত জানায়, এই চুক্তি শিশুটির পক্ষে কল্যাণকর নয়। এরপর তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে উপযুক্ত আইনের অভাবে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্ট এক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছে।
জানা গিয়েছে, ওই শিশুকন্যা জন্মানোর পর থেকেই মুসলিম দম্পতির কাছে ছিল। আদালত তাকে জন্মদাতা বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে।
কর্নাটকের (Karnataka) নন্দাগুড়ি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে (Husband) খুন (Murder) করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে।ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে ২৮ বছরের ওই অভিযুক্ত মহিলাকে। এমনকি খুন করার জন্য একজনকে ভাড়া করেন। তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত এলাকা থেকে দেহ উদ্ধারের পর পুলিস জানতে পারে দেহটি সেখানকার কোলাক জেলার চাম্বি গ্রামের এক বাসিন্দার। নাম আনন্দ, পেশায় ট্রাকচালক। বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এরপর তদন্তের স্বার্থে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয় মৃতের স্ত্রীয়ের উপর। ফলে প্রথমে তাঁকে আটক করে পুলিস, পরে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আনন্দ ও চিত্রার বিয়ে হয়। আনন্দ প্রতিবেশী চলপতিকে নিয়ে সন্দেহ করতেন। এর ফলে তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন আনন্দ। একসময় চিত্রা চলপতির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পরে অবশ্য তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পথের কাঁটা সরাতে খুন করার পরিকল্পনা করেন দুজনে।
প্ল্যানমাফিক চলপতি তাঁর ভাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে এবিষয় নিয়ে যোগাযোগ করেন। খুন করার জন্য সুপারিশ দেন। আর এর জন্য ১ লক্ষ টাকা ভাড়া করা ব্যক্তিকে দেওয়া হবে বলেও জানায়। পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন চলপতি এবং চিত্রাও। পুলিস তদন্তে নেমে চলপতি-সহ আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
শেষমেশ স্কুলের শিক্ষক! যৌন হেনস্থার (Sexual abuse) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) করা হল এক স্কুলশিক্ষককে (Teacher)। একাধিক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) হেব্বল এলাকার একটি সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষক গত তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অঞ্জনাপ্পা। বছর ৫৪-এর ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকাদের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের টিফিনের বিরতির সময় ফাঁকা ঘরে একা পেয়ে ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন। ৮ থেকে ৯ জন ছাত্রীর পরিবার এ বিষয়ে অভিযোগ জানায়। এমনকি, শারীরশিক্ষার ক্লাসের সময় প্রকাশ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই শিক্ষক ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করতেন বলেও অভিযোগ। ভয় এবং সংকোচ থেকে প্রথমে তারা বাড়িতে কিছু জানায়নি। পরে পরিবারের লোকেরা ছাত্রীদের আচার-ব্যবহারে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ করেন। এরপর এক ছাত্রীর বাবা-মা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব ঘটনা খুলে বলে।
এরপরই পুলিসের দারস্থ হন অভিভাবকেরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শিক্ষককে।
ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। প্রাতর্ভ্রমণে (Morning Walk) বেরিয়ে মৃত্যুবরণ (Death) করতে হল অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা আধিকারিককে। বাড়ি থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই গিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই ঘটে গেল বিপত্তি। নম্বরপ্লেটহীন গাড়ি আচমকাই পিষে মারল তাঁকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) মাইসুরুতে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই গোয়েন্দা আধিকারিকের নাম আর এস কুলকার্নি (৮৩)। তিনি বেঙ্গালুরুতে গোয়েন্দা দফতরে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে করররমরত ছিলেন। ঘটনার দিন রাস্তার একপাশ দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎ একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেখানেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গাড়িটি না দাঁড়িয়ে চম্পট দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। যদিও পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, বেগতিক চালানোর ফলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এটি কোনও পরিকল্পিত খুন নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এমনটা ঘটেছে তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটিকে শনাক্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি, কুলকার্নির ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল কি না তা-ও জানার চেষ্টা করছে তারা।
কর্ণাটকের (Karnataka) একজন সমাজকর্মী (social worker) উডুপিতে (Udupi) রাস্তায় গর্তের বিরুদ্ধে এক অনন্য প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। বুধবার নিত্যানন্দ ওলাকাডু উডুপিতে রাস্তা মেরামতের দাবিতে ‘উরুলু সেভ’ (Urulu Seve) নামে এক ধরনের রীতিতে রাস্তায় গড়িয়ে পড়েন।
'উরুলু সেভ' হল একটি রীতি যা সাধারণত মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় করে থাকেন ভক্তরা। আর তিনি সমাজের কল্যাণের জন্য মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন। তিনি একটি নারকেল ভেঙে রাস্তার গর্তে ‘আরতি’ দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।
#WATCH | Karnataka: A social worker named Nityananda Olakadu rolls on a stretch of a road as he protests in a unique manner against potholes on the roads in Udupi (14.09) pic.twitter.com/znCwZmPP1z
— ANI (@ANI) September 15, 2022
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, তিন বছর আগে রাস্তার জন্য একটি টেন্ডার বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও উডুপি-মনিপাল জাতীয় সড়কের প্রসারিত রাস্তাটি করুণ অবস্থায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কেউ কোনও ইস্যু তুলছে না। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও এই রাস্তা পার করেছেন। রাস্তা মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির এখানে আসা উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
২০১৯-এ পালিয়ে গিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন নাবালিকা এবং তাঁর প্রেমিক। কর্নাটকের (Karnataka) বাসিন্দা ওই ১৭ বছরের নাবালিকার বাবা তখন থানায় নিখোঁজ ডায়রি (Missing Diary) করেন। পুলিস তদন্তে নেমে ২৩ বছরের ওই যুবক এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। যদিও তখন তাঁরা দাবি করেছিলেন, একে অপরকে ভালোবাসেন। তাই স্বেচ্ছায় একসঙ্গে থাকছেন। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ ছিল নাবালিকার বাবা।
এরপর মেয়েটির বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের (Sexual Abuse) মামলা রুজু করেন। দায়রা আদালতে ওই মামলা চলে প্রায় ১৮ মাস। আর এই মামলা চলাকালীন জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত সেই যুবক। বুধবার কর্নাটক হাইকোর্ট নাটকীয় ভাবে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থাকা পকসো আইনে দায়ের মামলা খারিজ করল।
কারণ, ২০২০-র নভেম্বরে জামিন পান সেই যুবক। ততদিনে মেয়েটি নাবালিকা থেকে সাবালিকা হয়েছেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ওই যুবক এবং মেয়েটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এখন তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। পকসো আইনে মামলা চলাকালীন বিয়ে করায় ছেলেটির বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রমাণ এবং গ্রহণযোগ্য নয় বলে রায়ে জানায় কর্নাটকের উচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন বলেন, 'যে তথ্য সামনে এসেছে, তার থেকে এটা প্রমাণিত, ওই যুগল বিবাহিত। তাঁরা সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করছেন। ফলে ওই যুগলের মুখের উপর আদালত দরজা বন্ধ করে এই শুনানি চালালে আইনের অপপ্রয়োগ করা হবে।'
আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন (Murder)করলেন স্বামী! এমনই শিউরে ওঠার মতো কাণ্ডের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের (Karnataka) হাসানের এক পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবী সকলে। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও (Arrested) করা হয়েছে তাঁকে।
কর্নাটক পুলিস সূত্রে খবর, এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’পক্ষের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলছিল। সবটা শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন শুনানিতে চিত্রা এবং শিবকুমার একসঙ্গে থাকতে রাজিও হয়েছিলেন। শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন চিত্রা। শুনানির শেষে আদালত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। তখনই ছুড়ি নিয়ে পিছন থেকে চিত্রার গলায় কোপ বসান। স্ত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। তখন শিবকুমার পালানোর চেষ্টা করলেও তা বৃথা হয়। আদালতে উপস্থিত জনতাই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, চিত্রার গলার ধমনী কেটে গিয়েছিল। অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এতদিন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় (Accident) বাবা-মা মারা গেলে বিবাহিত ছেলেরা বিমায় ধার্য করা (insurance compensation) ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার থেকে বিবাহিত মেয়েরাও বাবা-মার দুর্ঘটনায় বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন বলে একটি মামলার রায়দানে জানাল কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)।
সূত্রের খবর, মামলাটি ২০১২ সালের। উত্তর কর্ণাটকের হুবলিতে ৫৭ বছর বয়সি এক মহিলা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর ওই মহিলার পরিবারের লোকেরা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, এক পুত্র এবং তিন বিবাহিত কন্যা বিমা সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু বিমা সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বিবাহিত মেয়েদের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। মৃত মহিলার পরিবার বাধ্য হয়ে বিমা সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হন। তারা বিমা সংস্থাটিকে বার্ষিক ছয় শতাংশ হারে সুদ-সহ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ মানতে নারাজ ছিল বিমা সংস্থাটি। তারা ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
ওই মামলার রায় প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি এইচপি সন্দেশ বলেন, “আদালত কখনওই বিবাহিত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে ভেদাভেদ করতে পারে না। মৃত ব্যক্তির বিবাহিত কন্যা বিমার ক্ষতিপূরণ পাবেন কি পাবেন না, তা নিয়ে বিতর্ক কখনওই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”