
পর্ষদ সভাপতিকে কড়া ভাষায় সতর্ক করল কলকাতা হাইকোর্টের (High court) বিচারপতি (Judge) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। শুক্রবার বিচারপতি বলেন, 'মানিক ভট্টাচার্যর জুতোয় পা গলাবেন না।' আজ শুক্রবার পর্ষদ সভাপতির হাজিরা ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। টেট সার্টিফিকেট দিতে দেরি হচ্ছে কেনো? সেই জন্য শুক্রবার, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে জানায়, '২০১৪-র টেট সার্টিফিকেট দিতে প্রচুর অর্থ খরচ হতে পারে।'
সে প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'কোটি টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাখতে পারছেন, আর এটুকু খরচ করতে সমস্যা? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের টেট সার্টিফিকেট দিয়ে দিন।' পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও মন্তব্য করেন, 'মানিক ভট্টাচার্যর জুতোয় পা গলাবেন না।' যদিও এবিষয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি (Judge) প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কর্মজীবনের (Prakash Srivastava) শেষ দিন। সূত্রের খবর, নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছেন টিএস শিবগ্নানাম। গতমাসেই কলকাতা হাইকোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি টিএস শিবগ্নানামকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যর সঙ্গে আজ অর্থাৎ শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগ্নানাম। বৃহস্পতিবার বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব শুনানি শেষ করে ওঠার সময় বলেছিলেন 'হে বন্ধু বিদায়'। বাঙালি হয়েও অবাঙালিদের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে তাঁর। তারই নিদর্শন স্বরূপ গতকাল তিনি এই কথা জানান।
আইনজীবী কৌস্তব বাগচীর (Koustav bagchi) গ্রেফতারিতে, কলকাতা পুলিস কমিশনারের (CP) রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বিচারপতি (Judge) রাজশেখর মান্থা। সোমবার এই মামলার শুনানিতে সিপির রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ ঘটনায় হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য, ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিলো হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এঘটনার পরবর্তী শুনানি ২০ এপ্রিল।
সূত্রের খবর, শুনানির সময়ে, সরকারি কৌঁসুলিকে বিচারপতি মান্থা বলেন, ' কমিশনারের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার সিপি গোটা পুলিস অভিযান যুক্তি গ্রাহ্য বলছেন! গোটা ঘটনা গ্রহণীয় নয়, সবাই সেটা জানে। অথচ সিপি কি তাঁর পুলিসকে বেআইনি কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন? এই ধরনের আচরণ মানতে পারছি না। ' তিনি আরও বলেন, ' এটা কি খুব গ্রহণযোগ্য, পাবলিক ফিগার একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করবে? '
সূত্রের খবর, সোমবার তিনি সরকারি কৌঁসুলিকে বলেন, ' পুলিসকে সতর্ক করা জরুরি। ' পাশাপাশি সূত্রের খবর, সিআরপিএফ নিরাপত্তা দিতে আপত্তি করলেও, সিআইএসএফকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে মামলায় যুক্ত করা হলো। আগামী দিনে সি আই এস এফ ওই জায়গা ঘুরে দেখবে এবং নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা, সেটা জানিয়ে রিপোর্ট দেবে।
বৃহস্পতিবার আলিপুর সিবিআই (CBI) আদালতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) পেশ করা হয়েছে। প্রথম পক্ষের সওয়াল জবাবের পর, পার্থ বিচারককে বলেন, 'আপনি আগের দিন বলেছিলেন ৫ মিনিট সময় দেবেন।' এরপর বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচারক কথা বলার অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়েই আদালতে পার্থ বলেন, '৮ মাস অন্ধকারে আছি। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। আমার বিশ্বাস যাই ঘটুক না কেন সত্য একদিন প্রকাশিত হবে। কিন্তু সেটা কতদিন? আমি মন্ত্রী তাই আমার অপরাধ? স্যার প্রাইমাফেসি মানে কি?' বিচারককে প্রশ্ন করেন পার্থ।
তিনি বিচারকে আরও বলেন, ' যা প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে। আমার ৭০ বছর বয়স। আমার বিরুদ্ধে থানায় কোনো ডাইরি নেই। বিরোধী নেতা থাকাকালীন আমার বিরুদ্ধে শাসককুল কিছু বলতে পারেনি। আমি কোথায় পালিয়ে যাবো স্যার? আমার মামা সাহিত্যিক। বংশপরম্পরা আছে। আমি আমার জীবদশায় এই বিচার দেখে যেতে পারবো কিনা জানিনা।' এরপর বিচারক বলেন, 'প্রাইমাফেসি মানে আপাত গ্রাহ্য।'
এরপরে পার্থ বলেন, 'আপাত গ্রাহ্য ভাবে কতদিন চলবে? আমার আপনার উপর আস্থা আছে। আমি অন্ধকারে বসে আছি। আমি নিয়োগকর্তা নই। বোর্ড দ্বারা পরিচালিত সবাই। এটাই আমার বিনীত নিবেদন।' পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরিয়ে, সাংবাদিকদের বলেন, 'যাঁরা নিজেরা কালিমালিপ্ত, তাঁরা আমায় কী কালিমালিপ্ত করবে? আমি দলের সঙ্গে আছি আছি।'
গরু পাচার মামলায়(cattle smuggling case) সিবিআই(CBI) হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আসানসোল সিবিআই আদালতে চলছে গরু পাচার সংক্রান্ত মামলা। বুধবরাই আদালতে পেশ করার কথা অনুব্রতকে। তার আগেই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই বিচারককে হুমকি চিঠি।
কি লেখা সেই চিঠিতে ?
অনুব্রত মণ্ডলকে অবিলম্বে জামিন(BAIL) দিতে হবে। না দিলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বিচারকের পরিবারকে। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি(threat letter) এক ব্যক্তির। গত ২০ শে আগস্ট হুমকি চিঠি পান বিচারক। ২২ শে আগস্ট বিষয়টি জেলা জজকে জানান বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। চিঠিতে এমনটাই লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ওই চিঠি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। চিঠি পাওয়ার পর সে বিষয়ে রেজিস্ট্রারকে অভিযোগ জানিয়েছেন বিচারক। বাপ্পা নামে ওই ব্যক্তি চিঠিতে যা লিখেছেন, তা হল, অনুব্রতকে জামিন না দেওয়া হলে এনডিপিএস তথা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বিচারককে। তবে এই হুমকিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, এই ধরনের বড় মামলায় এমন ঘটনা ঘটেই থাকে।
অনুব্রতর অন্যতম আইনজীবী এই ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন। এতে বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।