রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার (Rescue) হল একটি সদ্যোজাত (Newborn) শিশুকন্য়া। মঙ্গলবার, রাতে ফাঁসিদেওয়ার (Phansidewa) ফৌজিজোতে এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিস ঘটনাস্থলে এসে সদ্যোজাত ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ ফৌজিজোতের বাসিন্দা নন্দীলাল সিংহ বাড়িতে থেকে বেরিয়ে দেখতে পান, তাঁর বাড়ির সামনে চাদরে মোড়া অবস্থায় একটি সদ্য়োজাত শিশু পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসিদেওয়ার থানার ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিসকে খবর দেয় গ্রামবাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিস তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সদ্যোজাত শিশুটিকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, মাত্র দুই দিন বয়স এই সদ্য়োজাত শিশুটির।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে আচমকা ঘরের বারান্দায় শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে সদ্য়োজাত একটি কন্যাসন্তানকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটি কন্যাসন্তান হওয়ায় কারণেই তাঁর বাবা-মা হয়ত তাঁকে এভাবে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। তবে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং হাসপাতালে পাঠানোর পর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কে বা কারা এই সদ্যোজাত শিশুটিকে ফেলে গিয়েছে তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস প্রশাসন।
আগের থেকে এমনিতে অনেকটাই ভাল আছেন। কিন্তু ছুটি পাবেন কি? কারণ গত সোমবারের পর থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য তাঁর চিকিৎসকদের কাছে বারবার অনুরোধ করেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে কিনা, তা ঠিক হয়ে যেতে পারে আজ শনিবার।
গত মঙ্গলবার থেকে চিন্তার মেঘ অনেকটাই কেটে গিয়েছে। চিকিৎসকরাও দাবি করেছেন, অনেকটাই ভালর দিকেই রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তখনও বাড়ি ফেরার মতো পরিস্থিতি ছিল না। কারণ, দফায় দফায় তাঁর পরীক্ষা চলছিল। দেখা হচ্ছিল ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা।
শুক্রবার তাঁকে স্যুপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি মুখ দিয়ে তা খেতে পারেন কীনা, তাও দেখা হয়েছিল। কারণ চিকিৎসকরা চাইছেন, ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে দুপুরেই হয়তো তাঁর ছুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট প্রকৃত অর্থে আশার আলো জাগিয়ে তুলল চিকিৎসকদের মনে। গত ৬দিন ধরে কলকাতার উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের তরফে তাঁর মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ৭৯ বছর বয়সী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গত ৬দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। ইন্টারমিটেন্ট নন ইনভ্যাসিভ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি সজাগ রয়েছেন। চিকিৎসক ও ভিজিটর্সদের কথায় সাড়া দিচ্ছেন।
যা অত্যন্ত ইতিবাচক সংকেত বলেই মনে করছে বিশিষ্ট চিকিৎসকমহল। উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক ডাক্তার জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করেন। এরপরই ইসিজি করানো হয়। রিপোর্টে সব স্পষ্ট নয়। বুকে কি জল জমেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর! তা জানতেই বৃহস্পতিবার আলট্রা সাউন্ড করানো হয়। সেই রিপোর্টও স্বস্তির বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী পদক্ষেপ কি হবে! তা আগামী শনিবার চিকিৎসকদের কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে ঠিক করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যদিও বুদ্ধদেব বাবুর চিকিৎসক কমিটির এক চিকিৎসকের মতে, সব পরিস্থিতি ও রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকলে আগামী শনিবারই তাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
প্রাথমিক সংকট কেটে গিয়েছে। এখন বেশ কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকালেই জারি করা মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে এই কথা। আগামী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে আগামী শনিবার মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে স্থির হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক ডাক্তার জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করেন। এরপরই ইসিজি করানো হয়। রিপোর্টে সব স্পষ্ট নয়। বুকে কি জল জমেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর! তা জানতেই বৃহস্পতিবার আলট্রা সাউন্ড করার কথা ঠিক হয়।
কয়েকদিন আগে তিনি আম খাওয়ার আবদার করেছিলেন। সেকারণেই ‘সোয়ালো অ্যাসেসমেন্ট’ চলেছিল তাঁর।
আদাহ শর্মা (Adah Sharma) নাম বলতেই মাথায় আসে, 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) সিনেমার কথা। আর এই ছবির টিজার শুরুর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক-সমালোচনা। তবে এই বিতর্ককে সঙ্গী করেই বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল এই ছবি। প্রায় ৩০০ কোটির মতো ব্যবসা করেছে ছবিটি। এই ছবিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আদাহ শর্মা। বহু বছর পর সিনেমার পর্দায় তাঁকে দেখা গেলেও তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। আর এই ছবির পর থেকে তাঁর ভক্তও হয় অগুনতি। কিন্তু এবারে আদাহ শর্মার জন্যই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আদাহ, কী হয়েছে তাঁর, কেমন আছেন তিনি, একাধিক প্রশ্ন তাঁর অনুরাগীদের মনে।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকেই আদাহর শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। গতকাল সকাল থেকেই তাঁর বমি শুরু হয়। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, ডায়রিয়ায় ভুগছেন তিনি, এর পাশাপাশি ফুড অ্যালার্জিও হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত তাঁর আসন্ন ছবি 'কমান্ডো'-র প্রোমোশনের জন্য। সেই ছবির প্রোমোশনের মাঝেই হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলে খবর। আর এই কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে কীভাবে এই ফুড অ্যালার্জি, তার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সুস্থ হয়ে উঠছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এখনও চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন তিনি। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাদ্য প্রবেশ করানো হচ্ছে তাঁর শরীরে। এর মধ্যেই আম খাওয়ার আবদার করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসক জানালেন এই কথা।
উল্লেখ্য, শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও বুদ্ধদেববাবুর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের থেকে কম। সেই কারণে রক্ত (Blood) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে।
সূত্রের খবর, বুদ্ধদেববাবুর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০ এর থেকে কম রয়েছে। সেই কারণেই রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। তবে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা বর্তমানে স্থিতিশীল। এখনও কড়া ডোজের অ্য়ান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা নিয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তারপর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও সোমবার ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধের বুলেটিনে জানানো হয়েছে শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার অনেকটা ভাল আছেন। কথাও বলেছেন। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের কাছে বাড়ি ফেরার 'আবদার'-ও জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। দু'কামরার ফ্ল্যাটেই তিনি সুস্থ থাকবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের। যদিও, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনও কয়েকদিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
সোমবার পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর দুপুরেই ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, নিশ্বাস ঠিক রাখতে ওইদিন রাতেই তাঁকে পালমোনারি ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হচ্ছে ইনস্যুলিনও। একটানা অনেকক্ষণ বাইপ্যাপ সাপোর্ট রাখতে হচ্ছে না তাঁকে। মাঝেমাঝেই তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেই সময় নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বুদ্ধদেবের সোডিয়াম-পটাশিয়াম রিপোর্টও ভাল বলে জানা গিয়েছে। ক্রিয়েটিনিন আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আপাতত পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ চলবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এই অ্যান্টিবায়োটিক তাঁর কিডনির যাতে কোনও ক্ষতি না করে, সেই ব্যাপারে কড়া নজর রয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের।
‘বুদ্ধবাবু যদি ভাল না হয়, এই পশ্চিম বাংলাও ভাল হবে না’ , মুখে আওড়াচ্ছেন এই কথা, গায়ে লাল জামা, মাথায় লাল টুপি, তাঁর জীবনের প্রতীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কথা হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহরের বাসিন্দা রবি দাসের। কিন্তু তিনি হঠাৎ শিরোনামে কেন? বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল ঝাণ্ডার একনিষ্ঠ কর্মী ৮০ কিলোমিটার পথ হ্যান্ড সাইকেল চালিয়ে এসে পৌঁছলেন উডল্যান্ড হাসপাতালে। যখন একে একে তাবড় তাবড় রাজনীতিকরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘চোখের দেখা’ দেখে যাচ্ছেন , তখনই রবি দাস তাঁর হ্যান্ড সাইকেলে লাল ঝান্ডা লাগিয়ে দেখতে এলেন প্রিয় কমরেডকে। বলছেন, বুদ্ধবাবু যতদিন না সুস্থ হয়ে উঠছেন, ততদিন হাসপাতাল চত্বরেই থাকবেন তিনি।
উল্লেখ্য এই একই দিনে আলিপুরের হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সন্ধেতে তাঁকে দেখতে উডল্যান্ড হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির সাংসদ অগ্নিমিত্রা পালও। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বুদ্ধবাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
এদিন সকালেই সিটি স্ক্যান হয়। দুপুরে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই দাবি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ ব্যাপারে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের বহু বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করেছে, অতীতে এ ধরণের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। একাধিক বার হুঁশিয়ারি সত্তেও কাজ হয়নি, সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে দিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না-করলে বাতিল করা হবে ওই বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাইসেন্স।
সমস্যার সমাধান করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে ‘প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট’ (পিএমইউ) গড়ার কথাও ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।কোনও হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না-নেওয়া হলে কারণ জানতে চাইবে পিএমউই। অনলাইন এবং অফলাইন—দু’টি পদ্ধতিতে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে আলিপুরের হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বুদ্ধদেববাবুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। অবশেষে সোমবার তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়।
এরপর সোমবার বিকালেই সেখানে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন। অবশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হাত পা নাড়ছেন। আপাতত স্থিতিশীল আছেন।
ভেন্টিলেশনের বাইরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সোমবার দুপুরে হাসপাতাল সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খানিকটা স্থিতিশীল হওযায় এই সিদ্ধান্ত আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের। এদিন সকালেই সিটি স্ক্যান হয়। দুপুরে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা অবস্থা স্থিতিশীল বলেই দাবি করা হয়েছে।
মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সিআরপির পরিমাণ কমেছে। অর্থাৎ, রক্তে সংক্রমণের মাত্রা আগের তুলনায় অনেকটাই কম। আগে তাঁর সিআরপি ছিল তিনশো, এখন সেটাই কমে দেড়শোর কাছাকাছি এসেছে।
রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। ফলে তাঁর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমানো যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! হাসপাতালের (Hospital) বেসমেন্টে আগুন (Fire)। গোটা হাসপাতাল ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদের (Ahmedabad) শাহিবাগ এলাকার রাজস্থান হাসপাতালে। ঘটনার সময়ই হাসপাতালের ভিতরে থাকা রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয় হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি হাসপাতালের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে দমকল বাহিনীকেও (fire brigade)। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে দমকলের ২০ থেকে ২৫ টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ অব্যাহত আছে। যদিও এই ঘটনায় হাসপাতালের ভিতরে থাকা রোগীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং গাফিলতির দিকে আঙুল তুলছেন অনেকে।
এই ঘটনায় দমকলের এক আধিকারিক জয়েশ খাদিয়া সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, 'হাসপাতালের দ্বিতীয় বেসমেন্টে আগুন লাগে। রবিবার ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসে। তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। প্রায় ২০ থেকে ২৫টি ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে রয়েছে। যদিও এই আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে হাসপাতালের বেসমেন্টে কিছু সংস্কারের কাজ চলছিল,' এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
সৌমেন সুর: একটা সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত মানুষ, যাকে দেখলে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দল তো বটেই, সাধারণ মানুষেরও মনে শ্রদ্ধার ভাব ফুটে ওঠে। তিনিই বুদ্ধ বাবু। আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অপাদমস্তক কমিউনিস্ট শ্রেণীর মানুষ হলেও, তিনি গোটা একজন সংস্কৃত প্রেমী মানুষ। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতো একজন সুজ্জল সূর্য সমান মানুষ ছিলেন ওনার আত্মীয়।
আজ তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ জাতীয় রোগ নিয়ে, শ্বাসকষ্টের কারণে অসুস্থ হয়ে উডল্যান্ডস নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন। বেসরকারি ওই নার্সিংহোম সূত্রের খবর, তাঁর শরীরে অক্সিজেন কমেছে। শ্বাসকষ্টের জন্য তাঁকে সিপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গত চারদিন ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন বলেই জানা যায়। ৫ জন চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নানাবিধ গণ-আন্দোলনের একজন মোক্ষ শরীক ছিলেন। যেমন সুন্দর বক্তব্য রাখতেন, তেমনই সুন্দর সাহিত্য প্রেমিক মানুষ তিনি। সাহিত্যের অর্থ হল পারস্পরিক যোগ। একের সঙ্গে বহুর মিলন ঘটিয়ে সাহিত্য আত্মীয়তার সূত্র তৈরি করে। বুদ্ধদেব বাবু আমাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন কিভাবে সাহিত্য মানুষের সঙ্গে সখ্যতা করতে পারে। তাঁর আবৃত্তি নাটক আজও মনের অনুরনণে বাজে। বুদ্ধদেব বাবু মাঠটা ভালো চিনতেন তাই মানুষের শান্তির জন্য অনেক আন্দোলন, অনেক চেষ্টা করেছিলেন। এখনও উনার মত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির মানুষ এই সমাজে দ্বিতীয়টি পাওয়া দুষ্কর।
ইতিমধ্যেই তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
যে মানুষটা আজ অক্সিজেনের অভাবে উডল্যান্ডসের ৫০১ নম্বর বেডে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বলাই বাহুল্য, সেই মানুষটাই একসময় রাজ্যের বিরোধীদল অর্থাৎ তৎকালীন বামফ্রন্ট দলের অক্সিজেন ছিলেন। এখনও তাঁর হাতে লেখা দলের উদ্দেশে বার্তাবহ একটি চিরকুট জমিয়ে দিতে পারে ব্রিগেডের মঞ্চ। কেবল সিপিআইএম বা বামফ্রন্ট নয়, তৃণমূল, বিজেপি সব দল এবং সাধারণ মানুষও নিশ্চয়ই চাইছেন বুদ্ধবাবু এ লড়াই জিতুক। ফের সুস্থ হয়ে চিরকুটে জমিয়ে দিক আরও একটা ব্রিগেড। গোটা রাজ্য, গোটা দেশের তরফে এটা যদি চিরকুট হয়, তবে এই চিরকুটে লেখা থাকবে, বুদ্ধ বাবু জিতবে, জিতবে ৫০১ নম্বর উডল্যান্ডসের বেড।'
হঠাৎ অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এর পূর্বেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেবার চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে ছিলেন তিনি। এমনটাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পরিবার সূত্রে খবর।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবার সূত্রে আরও খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বাড়ায় তাকে বাইপাসের পাশে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সূত্রে খবর, আইসিইউতে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে প্রাক্ত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
রাতের অন্ধকারে নির্দল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তূণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। যদিও এখনও অবধি অভিযুক্তদের পরিচয় জানা যায় নি। শুক্রবার, ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়া বীরপুর এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত (Dead) ব্যক্তির নাম কবির শেখ (৫৬)। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশিরা এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বেথুয়াডহরি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্মরত চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃতের ছেলের তরফে অভিযোগ, শুক্রবার রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন কবির। সেইসময় আচমকাই কয়েকজন লোক তাঁদের বাড়িতে এসে তাঁর বাবাকে বাইরে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে দেখতে পান তাঁর বাবা জখম অবস্থায় বাড়ির উঠোনে পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থক করার কারণে ক্ষোভে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে নাকাশিপাড়া থানার পুলিস।