অসুস্থ বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। খবর অনুযায়ী, তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে বিগ বি-র। যদিও বচ্চন পরিবারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি।
বলিউড সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই কোকিলাবেন হাসপাতালে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর। অস্ত্রোপচারের পর অমিতাভ নিজেই টুইট করেছেন। বিগ বি লিখেছেন, 'আমি চিরকৃতজ্ঞ'। অমিতাভের টুইট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হওয়ার পর সুস্থই রয়েছেন তিনি।
গুরুতর আহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বাড়িতে হাঁটাহাটি করার সময় আচমকা পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই সূত্রের খবর। কপাল ফেটে রক্ত বেরোতেই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন তিনি। একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আঘাত কতটা গুরুতর তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। এমআরআই, সিটি স্ক্যান করা হবে।
লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার সংবাদে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। এই দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া পেজে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কপাল থেকে নাক বেয়ে রক্ত পড়ছে, হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রয়েছেন মমতা। ক্যাপশনে লেখা, 'আমাদের চেয়ারপার্সন গুরুতর আহত হয়েছেন। উনার জন্য প্রার্থনা করুন আপনারা।' তাঁর সুস্থতা কামনায় ভক্তরা ভিড় করেছেন হাসপাতালে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির উদ্বোধন করেন মমতা। এর পর তিনি বাড়ি চলে যান। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাই দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়। এই নিয়ে পর পর বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনায় আঘাত পেলেন তিনি।
সুকান্ত অসুস্থ থাকলেও সন্দেশখালি কাণ্ডে ঝাঁঝ বাড়াতে মরিয়া বিজেপি। বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিসি বাধার মুখে পড়ে অসুস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অসুস্থ সুকান্তকে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সল্টলেক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। ওদিকে এরপর আজ বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি কাণ্ডে বসিরহাটএসপি অফিস ঘেরাওয়ের জন্য রওনা দিয়েছে শুভেন্দু। সূত্রের খবর আজও তাঁকে পথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। যেমনটা গত মঙ্গলবার হয়েছিল। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রীতিমত বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও বাতিল করতে হয় শুভেন্দুকে।
ওদিকে সুকান্তর মাথায় ও কোমরে চোট রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। অসুস্থ সুকান্তকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে তিনি সুকান্তর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় তিনি জানান, আমি এখনও কোনও রিপোর্ট পেশ করিনি। রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি, সেটি দেখে কেন্দ্রকে পাঠাব। পরে হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মিঠুনকে ভর্তি করান সোহম চক্রবর্তী। এরপর এমআরআই করে জানা যায় বেন স্ট্রোক হয়েছে অভিনেতার।
সূত্রের খবর, নিউরোলজি, কার্ডিয়োলজি এবং গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজি বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল দল গঠন করে হয়েছিল অভিনেতার চিকিৎসার জন্য। তারপর চিকিৎসার সাড়া দিতে শুরু করেন মিঠুন। ধীরে ধীরে অসুস্থতা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মহাগুরু মিঠুন জানান, ভালো আছি এখন। কোনও সমস্যা নেই। এখানে এসে একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম। তাই সুগার বেড়ে গিয়েছিল। খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন ডাক্তার। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের বলতে চাই, তাঁরা কখনোই ভাববেন না মিষ্টি না খেলে আপনার কিছু হবে না। সব সমস্যা খাওয়াতে। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন কিনা জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি জানান, না। আমি যদি প্রার্থী হই তাহলে ৪২ টা সিটের কি হবে ? প্রচারের ময়দানের থাকার কথাও তিনি বলেন। ১ তারিখ থেকে লাগাতার বিজেপির হয়েই প্রচার করবেন। এমনকি শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৯ তারিখ থেকে। দুটো দিন লস হয়ে গেল। তাই আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেও কাজ করতে পারেন তিনি।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে 'গানওয়ালা' কবীর সুমন। তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। শিল্পীর চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
কবীর সুমন সজাগ রয়েছেন। আপাতত অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একজন জেনারেল মেডিসিন, ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশালিস্ট, পালমনোলজিস্ট বা চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং একজন কার্ডিওলজিস্ট বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।
এর আগে, ২০২১ সালের জুন মাসেও একবার শ্বাসকষ্ট নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই বিশিষ্ট গায়ক-সঙ্গীতকার। সেবার ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেবার অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, ৭২ বছরের এই প্রবীণ সংগীত শিল্পীর গলায় প্রবল ব্যাথা ছিল, কথা বলতেও কষ্ট ছিল তাঁর। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল কবীর সুমনের। সেই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁর আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়।স দিন বিকেলেই অসুস্থ সঙ্গীতশিল্পীকে দেখতে এসএসকেএমে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অক্সিজেন মাস্ক পড়ে হাসপাতালের বেডে বসে ধূমপান। আগুনে মুখ পুড়ল মহিলার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে হাবড়া হাসপাতালে। সূত্রের খবর, বেডে বসে অক্সিজেন মাস্ক পরে ধূমপান করছিলেন তিনি। সেই সময় আগুনে মুখ পুড়ে যায় তাঁর। ঘটনাকে ঘিরে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় নিয়ে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাবড়ার হাটথুবা ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা অরুণা অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আহত অরুণা অধিকারীর ধূমপানের নেশা ছিল। তাই তিনি হাসপাতালে বেডে অক্সিজেন মাস্ক পড়া অবস্থায় বিড়ি ধরিয়েছিলেন। সেই বিড়ির আগুন লেগে নিমেশে পুড়ে যায় ওই মহিলার মুখ। পাশের বেডের রোগীরা আগুন দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করলে ছুটে আসেন কর্তব্যরত নার্সরা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমবার ওই মহিলাকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতাল বেডে বিড়ি বা দেশলাই পৌঁছলো কী করে বা একজন রোগী হাসপাতাল বেড়ে বসে ধূমপান করে কীভাবে? তাই হাবড়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। তবে এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য রোগীরা।
ফের একবার শিরোনামে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল।অভিযোগ, জীবিত সদ্যোজাতকে বদলে মৃত শিশুর দেহ রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া রানাবস্তির বাসিন্দা বেদশ্রুতি দাসের পুত্র সন্তানের জন্ম হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবারের কথা অনুযায়ী, জন্মের পর থেকেই শিশু স্বাভাবিক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভুগলেও তেমন কোন বিপদের আশঙ্কা ছিল না বলেই জানানো হয়েছিল। এরপর জন্মের দুই দিন কাটতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে।
এরপর ওই সদ্য়োজাতের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁদের অভিযোগ, বাচ্চা বদল করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। দ্বারস্থ হয়েছেন থানায়ও। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। তাহলেই সবটা স্পষ্ট হবে। মৃত শিশুর মায়ের এখন একটাই আর্তি যে নিজের বাচ্চাকে ফিরে পাওয়া।
'টাকা মাটি, মাটি টাকা'। মানুষের চরিত্র নির্মাণে মাইলফলক রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের এই বাণী। কিন্তু জীবনের ইঁদুর দৌড়ের কাঠিন্যতায় একটু একটু করে করে যেন মুছে যাচ্ছে সেই সব বাণী। সত্যিই কি টাকা ছাড়া জীবনযুদ্ধ জেতা সম্ভব? সেই প্রশ্নই ফের উস্কে দিল হাওড়ার এই ঘটনা। নগদ টাকা পায়নি হাসপাতাল। বকেয়া বিলের নগদ টাকা চেয়ে রোগীকেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, ইউটিআই ইনফেকশন ও নিউরো সমস্যা নিয়ে হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন হাওড়ার রামেশ্বর মালিয়ালিনের বাসিন্দা হিতাংশ আগরওয়াল। হিতাংশ আগরওয়ালের ১০ লক্ষ টাকার মেডিক্লেম থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা খরচ বাবদ ইন্সুরেন্স কোম্পানির তরফে অ্যাপ্রুভ্ড হয়েছিল শুধুমাত্র ১ লক্ষ টাকা। হাসপাতালের দাবি, মেডিক্লেমের টাকা বাদে বাকি টাকা ক্যাশে মিটিয়ে দিতে চাপ দেয় ওই নার্সিংহোম। অভিযোগ, এরপর গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে বকেয়া টাকা চেয়ে হিতাংশ আগরওয়ালকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় হাসপাতালের OPD IPD প্রধান এম কিউ রাজা নামের এক ব্যক্তি। শুধুমাত্র তাই নয়। জোর করে ডিসচার্জ শিটে সই করিয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ খোদ রোগীর।
ওষুধের ভুল ডোজ দেওয়া, রোগীর পরিবারকে কেবিনেই আটকে রাখার অভিযোগও ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এর আগেও অভিযোগ মিলেছিল ওই নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে, তদন্তের আশ্বাস প্রশাসনের।
কিছু দিন আগেই এ রাজ্যের চিকিৎসা ব্য়বস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসাতেও নাকি গড়বড়! সেখানে সাধারণের অবস্থা কতটা তলানিতে? টাকা ছাড়া তবে স্বাস্থ্যের চাকা এতটুকুও এগোয় না এ রাজ্যে?
প্রায় ২২ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই কামারহাটির বিধায়ক বলেছিলেন তিনি ভালো নেই। এবারে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন মদন মিত্র। শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ ফের তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অসংলগ্ন কথাবার্তা ও রক্তাল্পতা জনিত সমস্যার কারণে তাঁকে এবারে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে তৎপর ছিল ইডি। এরই মাঝে শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছে বিধায়কের বলে জানতে পারা গিয়েছে। কথায় কিছুটা অসংলগ্নতা ছিল তাঁর। সেই কারণে তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত তাঁকে এমারজেন্সি বিভাগে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ডিসেম্বর মাস নাগাদ মদন মিত্রকে এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাঁধের অস্ত্রোপচার এর জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু এক মাস হতে না হতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। বর্তমানে ডক্টর সৌরেন পাঁজা-এর অধীনে ভর্তি হয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
বুধবার রাত থেকে 'কালীঘাটের কাকু'-এর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি এসএসকেএম-এ। অবশেষে গভীর রাতে সম্পন্ন হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া। বুধবার রাত ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখানে ১২ টা ৫২ মিনিট নাগাদ তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। বিভিন্ন স্কেলে তার কন্ঠস্বর নেওয়া হয়েছে ও ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবেও। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, এর আগে কাকুর শারীরিক অসুস্থতা কথা বলে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করতে দেয়নি এসএসকেএম। সেই কাজ জোকা হাসপাতালে ৩০ মিনিটে সম্পন্ন হল কী করে? এছাড়াও জোকা ইএসআই হাসপাতালে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া সেই কাকু আবার এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি কেন?
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে কণ্ঠস্বর দিতে অসহযোগিতা করছিলেন 'কাকু'। এরপর কাউন্সিলিং করা হয় চিকিৎসকদের তরফে। তারপর তিনটি বাক্য বলতে বলা হয় তাকে। পরপর দুবার তিনটি বাক্য বলতে বলা হয়। ইডি সূত্রে খবর, ইডি তরফে পরিকল্পনা ছিল, কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি রেখে দেবে। যার ফলে ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে রাখা যেতে পারে কি? এর উত্তরে ইডিকে সোজাসুজি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কালীঘাটের কাকুর উপর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র একজন কার্ডিওলজির পেশেন্ট, তার বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তাকে রাখার মত পরিকাঠামো নেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে। এর পাশাপাশি সিকিউরিটির বিষয় থাকে। জোকা ইএসআই রাখতে পারবেনা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ইডি আধিকারিকদের কার্যত বাধ্য হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে ফিরিয়ে দিতে হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। গভীর রাত প্রায় ৩টে ৩২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ১ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
তবে এই ইএসআই হাসপাতালের ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া 'কালীঘাটের কাকু'র ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য এত বেগ পেতে হল কেন ও এসএসকেএম হাসপাতাল কেন তাকে অসুস্থ প্রমাণ করতে মরিয়া, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
১) কণ্ঠস্বর নমুনা দেওয়ার জন্য সুস্থ কালীঘাটের কাকু। জোকা ইএসআই বোর্ডের এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কাকুর নমুনা সংগ্রহ করে ইডি। তাহলে এত দিন অসুস্থতার কথা বলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে বাধা ছিল এসএসকেএম?
২) ইএসআই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড যাকে ফিট সার্টিফিকেট দিচ্ছে, সেই ব্যাক্তি এসএসকেএম হাসপাতালে আনফিট কি করে?
৩) ইএসআই মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী একজন সুস্থ ব্যক্তিকে এসএসকেএম কেবিনে ভর্তি করা হল কেন?
৪) কাউকে আড়াল করতেই কি এসএসকেএম-এ আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কাকুকে। সেটা হলে কার নির্দেশ মেনে এই কাজ করছে এসএসকেএম?
৫) ৩০ মিনিটেই যেখানে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হলো, সেখানে ইডিকে সহযোগিতা না করে কার নির্দেশে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ বাধা হয়েছিল এসএসকেএম?
হঠাৎ অসুস্থ টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান (Hina Khan)। এমনকি হাসপাতালে ৪দিন ধরে ভর্তিও রয়েছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে হাসপাতালের ছবি শেয়ার নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। হঠাৎ তাঁর কী হল, এই নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগীরা।
জানা গিয়েছে, আচমকা জ্বর আসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় হিনা খানকে। গত ৪ দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। ৪ দিন ধরে কার্যত হাই ফিভারে ভুগছেন বলে জানান জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ফলে তাঁর শরীর একেবারেই ভাল নেই। কোনও কিছু করতে পারছেন না। ফলে গত ৪ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান হিনা। তবে তিনি খুব দ্রুতই সুস্থ হবেন, সেটাই জানিয়েছেন তিনি। কয়েক মাস আগেই এক বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। ফলে আবার তাঁকে হাসপাতালে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা।
এদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। পোস্ট করে লিখেছেন, "গত চার দিন ধরে ধুম জ্বরে ভুগছি। চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তা বৃথা। জ্বর কিছুতেই কমছে না। ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রায় ১০২-১০৩ জ্বর রয়েছে গায়ে।" এখন তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনায় নায়িকার অনুরাগীরা।
সদ্যোজাত কন্য়াসন্তান জন্মের পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ। মানসিক অবসাদে হাসপাতালেই গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা প্রসূতির। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম পায়েল সিং। এরপর হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন পুরুলিয়ার আদ্রা শহর লাগোয়া বেঁকো গ্রামের পায়েল সিং। সেদিন রাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর সদ্যোজাতের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে ওই হাসপাতালেই ভেন্টিলেশানে রাখা হয়। সন্তানের অসুস্থতায় রীতিমত ভেঙে পড়েন মা পায়েল। বারংবার সেই কথা নিজের মা কেও জানিয়েছিলেন পায়েল।
এরপর এদিন সকালে মা কে বাইরে পাঠিয়ে হাসপাতালে বেড থেকে উঠে প্রসূতি বিভাগের তিনতলায় চলে যান পায়েল। সেখানে রেলিংয়ের সঙ্গে গলায় নিজের শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন পায়েল সিং সর্দার। হাসপাতালের ভিতরে রোগীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আবারও হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাতর আবেদন রোগীর আত্মীয়র। রবিবার সাতসকালে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্য়া ৭ টা নাগাদ মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ কোন কিছু পরীক্ষা না করিয়ে সোজা তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। আর তারপরে এই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এদিন ভোরবেলায় ওই রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের অবস্থা খারাপ। এই কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক।
অন্য়দিকে বিশেষ কাজে মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে আবেদন জানালেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোক। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যে আউটপোস্ট রয়েছে সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোকজন।
আদিবাসী ব্যক্তির পর এবার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নির্বীজকরণের অভিযোগ। নির্বীজকরণের অভিযোগ বারংবার উঠে আসছে নদিয়ার ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নির্বীজকরণ নিয়ে প্রথমে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক মাধব রায়। অভিযোগ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই মাধব রায়কে প্রথমে করোনা ভ্যাকসিনের নাম করে হাসপাতালে নিয়ে এসে নির্বীজকরণ করানো হয়।পরবর্তীতে আবারও সেই নির্বীজকরণ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় শান্তিপুর থানায়।
অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি খোকন দেবনাথকে (৬২) নির্বীজকরণ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, খোকন দেবনাথ বিবাহিত হলেও তাঁর কোনও সন্তান হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও তাঁকে ভুল বুঝিয়ে নির্বীজকরণ বা এনএসভি করানো হয় বলে অভিযোগ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার সমস্ত পুরুষ।
তবে নির্বীজকরণ বা এনএসভি-এর ক্ষেত্রে সরকারি একটি অনুদান হিসেবে তিন ধাপে টাকা পাওয়া যায়। প্রথমত, নির্বীজকরণের ক্ষেত্রে যে আশাকর্মী রোগীকে নিয়ে আসবে সেই আশা কর্মী একটি টাকা পাবে। দ্বিতীয়ত, যিনি এনএসভি করবেন বা যাকে করানো হবে সেও একটি টাকা পাবে। অন্যদিকে, যে চিকিৎসক এই অপারেশন করবেন তিনিও টাকা পাবেন। সেক্ষেত্রে ফুলিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাদেরকে এনএসভি বা নির্বীজকরণ করানো হয়েছে তাঁরা কেউই টাকা পায়নি। যার কারণে অনুমান করা যাচ্ছে হাসাপাতালের ভিতরেও চলছে দুর্নীতি।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কখনো দরিদ্র আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ আবার কখনো বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের নিয়ে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে কিংবা বোকা বানিয়ে করানো হচ্ছে নির্বীজকরণ বা এনএসভি। বারংবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও উদাসীন প্রশাসন। নির্বীজকরণের অভিযোগ ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের সামনে সামিল হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।
ডাক্তার দেখাতে এসে রোগী নিখোঁজ এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM)। জানা গিয়েছে, ইসিজি রুম থেকেই নিখোঁজ সত্তরোর্ধ্ব ওই রোগী। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে নিখোঁজ বৃদ্ধ রোগী। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের ৭০ বছর বয়সী কুদ্দুস শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ, নওদাপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। বুধবার, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ থেকে তিনি আসেন এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে ১১ টার মধ্যে নাগাদ কার্ডিওলজি বিভাগে ডাক্তার দেখান কুদ্দুস শেখ। এরপরই দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকে ওই হাসপাতালের ইসিজি রুমে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।