জামিন পেয়ে গেল তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত (Anupam Dutta ) খুনের প্রধান অভিযুক্ত। খবর পেয়ে ২ সন্তান নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা অনুপম দত্তের স্ত্রীর। অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষি দত্ত (minakhkhi Dutta) পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর (Councillor)।
গত ১৩ মার্চ পানিহাটিতে (Panihati) পাড়ার দোকানের সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। প্রকাশ্যে আসে শ্যুটার অমিত পণ্ডিতের নাম। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস অমিতের আত্মীয় প্রসেনজিত্ পণ্ডিত ওরফে বাপি পণ্ডিত সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। সোমবার অনুপম দত্ত খুনে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পডে় আগরপাড়ায়।
পরিবারের দাবি, এই ঘটনার পরেই মীনাক্ষী দত্ত তার দুই শিশুকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপর তাঁদের উদ্ধার করে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে মীনাক্ষী দত্তকে অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা স্থিতীশীল।
অনুপম দত্তের পরিবার এদিন জানান ,' আমরা পুলিসের ওপর ভরসা রেখেছিলাম। কিন্তু অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গেল।' এই ঘটনার পরে এলাকার তৃণমূল সদস্যরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ টায়ার জ্বালিয়ে বিটি রোডের তেতুলতলা মোড় অবরোধ (blockade) করা হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলেও, বিক্ষোভ তুলতে ব্যর্থ হয়। রাজ্য পুলিস নয়, তাদের দাবি নিরপেক্ষ সিবিআই তদন্ত। অনুপম দত্ত খুনে প্রকট হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (factional conflict) তত্ত্ব। যদিও শাসকদলের মরিয়া প্রয়াস ছিল বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার। সোমবার অনুপম দত্ত খুনের মূল অভিযুক্ত ছাড়া পাওয়ায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠল শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন।
ফের শোকের ছায়া বাংলা সিনে দুনিয়ায়। প্রয়াত বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) 'জন অরণ্য' (Jana Aranya) ছবির বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় (Pradip Mukherjee)। পরিবার সূত্রে খবর, গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি ছিলেন তিনি। সেপ্টিসেমিয়ার (রক্তে বিষক্রিয়া) সমস্যা ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া-সহ বেশকিছু শারীরিক সমস্যাও ধরা পড়েছিল অভিনেতার।
প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল, জানান তিনি। অভিনেতার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানান।
পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর ছবি ‘দত্তা’র শ্যুটিং করছিলেন অভিনেতা। দু’দিন শ্যুটিংও করেন। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর সেখান থেকে দমদম ক্যান্টননেন্ট মিউনসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই সোমবার সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৭৬ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'জন অরণ্য' ছবির হাত ধরে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর একের পর এক সিনেমাতে কাজ করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘দূরত্ব’, ‘অশ্লীলতার দায়ে’, ‘হীরের আংটি’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘দহন’, ‘উৎসব’-এর মতো ছবি। কলকাতার চোরবাগান এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি। নিয়মিত তপন থিয়েটারে একের পর এক নাটক করতেন। আইনে স্নাতক হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে সপ্তাহান্তে নাটকের রিহার্সাল করতেন নিয়ম করে।
এতদিন রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল (hospital) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার রোগীর (patient) পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বজবজের (Budge Budge) একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের (nursing home) রোগীর পরিবারের।
মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা নেহা পারভিন। পেটের যন্ত্রণার সমস্যা নিয়ে বজবজের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয় রবিবার। পরিবারের লোকজন যেমনটা জানান, রাত দেড়টা নাগাদ পরিবারের লোকজনদের বলা হয় রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। এর মধ্যেই ভোরবেলা পরিবারের লোকজনের কাছে খবর আসে নেহা পারভিন মারা গিয়েছে। পরিবারের লোকজনদের রোগীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সিকিউরিটি বাধা দেয়। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাসপাতালের এমার্জেন্সি গেট বন্ধ করে দেয় সিকিউরিটি। এবং হাসপাতালের অন্য একটি গেট দিয়ে বেশ কয়েকজন হাতে লাঠি, বাঁশ এবং রড নিয়ে এসে পরিবারের লোকজনের উপর চড়াও হয়। রোগীর পরিবারের লোকজনের মধ্যে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
পাশাপাশি হাসপাতালে বিল নিয়ে বচসা শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিস। কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালে পৌঁছয় বজবজ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ বিশাল পুলিসবাহিনী। পুলিস পৌঁছে আহতদের খড়িবেরিয়া হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য।
আদালতের(court) নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার সংশোধানগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে(hospital) নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে মণ্ডলকে(Anubrata Mondal)। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার(health checkup) জন্য একাধিক চিকিৎসকও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশ ছিল ৪৮ ঘণ্টা অন্তর শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে অনুব্রত মণ্ডলের।
তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোলের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের ৬ টি গাড়ি প্রস্তুত ছিল। তাঁর কনভয় অবশ্য অন্যান্য বন্দিদের যে পথে নিয়ে যাওয়া হয় সেদিক দিয়ে যায় নি । আসানসোলের ব্যস্ততম রোড প্রায় খালি করে ব্যাপক নিরাপত্তায় হাটন রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দাপুটে নেতা অনুব্রতকে। অনুব্রতর কনভয়(convoy) অনুসরণ করে সিএন। কিন্তু সাংবাদিক বুম বাড়িয়ে দিলেও তিনি কিছু বলতে চাননি।
বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের(CBI special court) বিচারক অনুব্রতকে জেলে সব রকম ওষুধ এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। এদিন দীর্ঘ প্রায় ৪৫ মিনিট তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এদিন তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেননি। আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস জানান যে, কোনও রকম সিরিয়াস সমস্যা নেই তাঁর।
অন্যদিকে, জেলা হাসপাতালে প্রশাসনের অতি সতর্কতায় বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। হাসপাতালের এমার্জেন্সির গেটে অতিরিক্ত পুলিসের মোতায়েনে বন্ধ হয়ে পড়ে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের যাওয়া আসা। এমনকী নিরাপত্তার খাতিরে সংবাদ মাধ্যমকেও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের কাছেও তার আত্মীয়দের পৌঁছনো সম্ভব হয় নি। এর ফলে হাসপাতাল চত্বরে রোগী ও তাদের আত্মীয়রাও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। পরে এই খবর পেয়ে প্রশাসনের টনক নড়ে। সরিয়ে দেওয়া হয় জমায়েত । তবে এবিষয়ে হাসপাতালের সুপার বলেন, তাঁর কাছে অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসার কারণে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার সমস্যার কোনও অভিযোগ আসেনি।
অনুব্রতর চিকিত্সা বিতর্কের পর সোমবার এই প্রথম বোলপুর স্টেশনে (Bolpur station) সাংবাদিকদের নজরে বুদ্ধদেব মুর্মু (Buddhadeb Murmu)। ঘটনার পর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার (super) বুদ্ধদেব মুর্মু ধরা পড়লেন ক্যামেরায়। তবে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন একপ্রকার এড়িয়ে গেলেন তিনি। কোনওক্রমে পালিয়ে ট্রেনে উঠলেন বুদ্ধদেব মুর্মু।
হাওড়া-আজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস থেকে বোলপুর স্টেশনে নামেন তিনি। কিন্তু নামা মাত্র অনুব্রতর বাড়িতে সরকারি চিকিত্সক পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কার্যত উল্টোদিকে দৌড়ে ফের ট্রেনে উঠে পড়েন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একটা কথাই বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে কিছু বলা যাবে না। এখানে কোনও কমেন্ট করা যায় নাকি?
প্রসঙ্গত, অনুব্রতর চিকিৎসা বিতর্কে নাম জড়িয়েছে তাঁর, কেন সরকারি চিকিত্সককে নেতার বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ? কেনই বা সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন? এ নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নবাণ এড়িয়ে কার্যত ফের চলন্ত ট্রেনে তিনি উঠে পড়েন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারির ঠিক একদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড অনুব্রতকে ভর্তি রাখার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেয়। এরকপর বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান অনুব্রত। পরের দিন মঙ্গলবার হঠাৎই বোলপুরের বাড়িতে বোলপুর হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল টিম গিয়ে পৌঁছয়। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী তাঁকে দেখে জানান, পাইলসের সমস্যা বেড়েছে অনুব্রতর। কিন্তু হাসপাতালের চিকিত্সক বাড়িতে কেন, এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। চন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, তাঁকে হাসপাতাল সুপার অর্থাৎ বুদ্ধদেব মুর্মু যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সেসময় সুপার নিজেই ছুটিতে ছিলেন। ডেপুটি সুপার তাই জানিয়েছিলেন। তাহলে ছুটিতে থাকাকালীন কীভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন? তা নিয়ে শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
এরপরই এদিন ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু।
শনিবার রাতে চুঁচুড়া থানার পুলিস (police) কোদালিয়া মনসাতলায় হানা দিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র (firearm)-সহ গুলি ও বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধার করেছে। ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে ৮ জন দুষ্কৃতীকে। হুগলির (Hooghly) কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে ইমামবাড়া হাসপাতালে (hospital) গুলি করে প্রাণে মারার চেষ্টার পর নড়েচড়ে বসল চন্দননগর পুলিস। টোটন বিশ্বাসকে এসএসকেএম (SSKM) থেকে চুঁচুড়া আদালতে (court) নিয়ে যাওয়ার সময় টোটন বাহিনী প্রিজন ভ্যানের পিছু নেয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ডানকুনিতে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে টোটনের ভাই রূপচাঁদ। তাদের জেরা করে পুলিস আরও কিছু দুষ্কৃতীদের সন্ধান পায়।
চুঁচুড়ার রবীন্দ্র নগর এলাকায় বাড়ি টোটনের। এক সময় সেই এলাকায় নিজের সাম্রাজ্য চালাত টোটন। তাঁর সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই গ্যাং-এর দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। কোদালিয়াতেও আশ্রয় নেয় কয়েকজন। এই খবর পেতেই গতকাল রাতে মনসাতলায় সুকুমার মাঝি ওরফে সুকুর বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিস আটজনকে গ্রেফতার করে। ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র তার মধ্যে ৯ এমএম, পিস্তল পাইপ গান উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয় তিনটি ফাঁকা ম্যাগাজিন ও ২০৭ রাউন্ড কার্তুজ। ২ কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, হীরালাল পাশোয়ান (ওরফে হিরুয়া), সুজিত মণ্ডল, সোমনাথ সরদার (ওরফে জিতু), বিকাশ রাজভর, রবি পাশোয়ান(ওরফে রবিয়া), নীল পাশোয়ান, সুকুমার মাঝি ও সৌমিত্র কর্মকার (ওরফে ফাটা) মোট এই ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের রবিবার চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে টোটনকে যখন চন্দননগর পুলিস গ্রেফতার করে, তখন তার কাছ থেকে কারাবাইনের মত আধুনিক অস্ত্র সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। তবে টোটনকে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবু পাল সহ পাঁচজনকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিস।
অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। শুক্রবার আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ফিরে সিজিও কমপ্লেক্সে চা খেয়েছেন তিনি। এদিন সকালে একবার অনুব্রত মণ্ডলের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। দু'বার নেবুলাইজার নিয়ে আপাতত স্বাভাবিক তিনি। শুক্রবার বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এক সিবিআই কর্তার উপস্থিতিতে স্পিকার অন করেই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। আধ ঘণ্টার জন্য তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে গিয়েছেন আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, রাতে সিপিডব্লিউডি ক্যান্টিন থেকে আনা খাবার খেয়েছেন তিনি। সকালে খাচ্ছেন ভাত, রাতে রুটি-সবজি। শুক্রবার রাতে তাঁকে গেস্ট রুমে রাখা হবে। দেওয়া হবে তক্তার বিছানা। টিভি দেখার ইচ্ছা হলে তাঁর ঘরে লাগতে পারে টিভিও। সম্ভবত শনিবার থেকে পুরোদমে তাঁকে জেরা শুরু করবে সিবিআই।
সূত্রের খবর, তাঁর গ্রেফতারিতে দলের প্রতিক্রিয়া এবং মানুষের প্রতিক্রিয়া কী? এক সঙ্গীর থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন অনুব্রত। তাঁর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টাই একজন সঙ্গী থাকছেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। বীরভূম থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁর জন্য মুড়ি ও জামাকাপড় পাঠিয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতালের লিখে দেওয়া ওষুধেই এদিন সায় দিয়েছে কমান্ড হাসপাতাল।
এদিকে, তাঁর গেস্ট রুমের নজরদারিতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একা থাকতে পারতেন না। তাই তাঁর ঘরে একজন করে সঙ্গী থাকতে অনুমতি দিয়েছে সিবিআই।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে (Indefinite Leave) গেলেন বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী (Dr Chandranath Adhikary)।
গত মঙ্গলবার তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করার জন্য। তবে চিকিৎসা শেষে তিনি বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি সুপারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি মন্তব্য করেন, তাঁকে ১৪ দিনের জন্য সাদা কাগজে ছুটি লিখে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এসবের পরেই যখন বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হলেন, তারপর তিনি নিজের জীবনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তাছাড়া তিনি মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে তিনি ফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে বিশদে আর কী কী বললেন, আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভুল করে এক সদ্যোজাতকে একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের শাস্তির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখালেন শিশুর পরিবারের লোকজন।
বিক্ষোভ সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে হয় কোতুলপুর থানার পুলিসকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ভুল করে টিকার ডাবল ডোজ দেওয়া হলেও শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিরোমণিপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসমা খাতুন গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে গতকাল এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। রোগীর পরিবারের দাবি, প্রসবের পর গতকাল সদ্যোজাতকে প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া হয়। আজ দুপুরে হাসপাতালের তরফে প্রসুতির নাম ধরে ডাকলে পরিবারের লোকজন সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতালের নার্সদের কাছে যান। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত এক নার্স শিশুটিকে পুনরায় সেই টিকা দিতে উদ্যোগী হলে পরিবারের লোকজন ওই নার্সকে গতকালের ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু তারপরও টিকার কার্ড না দেখেই কর্তব্যরত নার্স শিশুটিকে পুনরায় ওই টিকা দেন বলে পরিবারের অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালের নার্সরা রোগীর পরিবারকে বিষয়টি অন্যত্র না জানানোর জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ।
এরপরই শিশুর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কর্তব্যরত ওই নার্সের শাস্তির দাবি তোলেন শিশুর পরিবারের লোকজন। শিশুর পরিবারের আশঙ্কা, টিকার ডাবল ডোজের প্রভাবে শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরবর্তীতে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ডাবল ডোজ প্রয়োগ হলেও চিন্তার তেমন কিছু নেই। তা সত্বেও ওই শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কুলতলি ব্লকের কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Primary Health Centre)। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমনিতেই বেহাল দশা। চারদিক ভরে উঠেছে আগাছা এবং জঙ্গলে। বহু ঘরেরই দরজা, জানালা নেই। সর্বত্রই জার্ণতার ছাপ। আর তারই মধ্যে ১৫-১৬ বছর ধরে ঘর দখল করে রয়েছে একটি যাত্রা কোম্পানি (Jatra Company)। চলছে যাত্রাপালার রিহার্সাল (Rehearsal)। যাত্রার নাম "সুন্দরীর বুকে শয়তানের থাবা"।
অথচ এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসককে পাওয়া যায় না। চিকিৎসার জন্য বারো কিলোমিটার দূরের জামতলা ব্লক হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের। হাসপাতালের জমি দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানেই জমি দখল করে চলছে চাষবাস ইত্যাদি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, একটি ঘরের মধ্যেই বড় বড় ট্রাঙ্কে রয়েছে যাত্রার সরঞ্জাম। রয়েছে আলো, সাউন্ড সিস্টেম সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র।
প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতালে যেখানে চিকিত্সা পরিষেবাই ঠিকমতো পাওয়া যায় না, সেখানে কীভাবে হাসপাতালের ঘর দখল করে একটি যাত্রাপালা গোষ্ঠী তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে। যাঁরা ঘর দখল করে এসব করছেন, তাঁদের অবশ্য এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই।
এক সময় এখানে সবই ছিল। কোয়ার্টারগুলিও সব ভর্তি ছিল। কিন্তু কোনও একটি ঘটনার পর সব ফাঁকা হয়ে যায়। এখন ডাক্তার, নার্স আসেন বটে, তবে ওই নাম কা ওয়াস্তে। এখানে যে এভাবে যাত্রাপালার রিহার্সাল চলে, তা সবারই জানা, জাক্তাররাও জানেন, দাবি এক কর্মীর।
ফের অসুস্থতার (Illness) কথা জানিয়ে এবার দশমবারের জন্য সিবিআই হাজিরা এড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি ফের দু সপ্তাহ সময় চেয়েছেন বলে খবর। তবে এবার অসুস্থতাকে ঢাল করতে গিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন অনুব্রত। এদিন আরও মারাত্মক বিষয় সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের (CBI) হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখনও নিজের প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন।
এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। তখনই তিনি বুঝে গেলেন, এসএসকেএমে তাঁর আর কোনও প্রভাব কাজ করছে না। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের গড় বোলপুরের বাড়িতে। আর এখানে আসার পরই খাটাতে শুরু করেন তাঁর প্রভাব।
সূত্র মারফত্ জানা গিয়েছে, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপারকে তিনি নির্দেশ দেন, তাঁর বাড়িতে টিম পাঠিয়ে চিকিত্সা করানোর জন্য। চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারী অকপটে স্বীকারও করেছেন যে, তিনি হাসপাতালের সুপারের নির্দেশেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন টিম নিয়ে। চন্দ্রনাথ মণ্ডল ছুটিতে ছিলেন। এমনকী ছুটিতে সুপারও (Super)। সেই অবস্থাতেই সুপার তাঁকে ফোন করে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিত্সকের টিম পাঠানোর কথা বলেন। ওই চিকিত্সক তখন সুপারকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে হাসপাতালে আসতে বলুন। সরকারি হাসপাতালের টিম কেন কারও বাড়িতে যাবে? সুপার এর উত্তরে জানিয়ে দেন, সরকারি হাসপাতালের কোনও প্রেসক্রিপশনের দরকার নেই। সাদা কাগজে লিখলেই হবে।
এরপর আসে অনুব্রতর পালা। সেখানেও চাপ। তাঁরই কথামতো ওই চিকিত্সক লিখে দিলেন ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা। যদিও ওই চিকিত্সকই একান্তে স্বীকার করেছেন, অনুব্রতর কলকাতায় যাওয়ার মতো অবস্থা রয়েছে।