প্রসূন গুপ্ত: প্রতি বছর দুর্গাপুজোর শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বিজয়ার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবার কিন্তু পুজোর বেশকিছু দিন আগে থেকেই অভিষেকের কোনও সংবাদ নেই। শোনা গিয়েছে তিনি বিদেশ গিয়েছেন কারণ তাঁর চোখের সমস্যা। ২০১৬-তে মুর্শিদাবাদে একটি কর্মিসভা থেকে ফেরার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। একটি দুধের গাড়ির সঙ্গে অভিষেকের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। তাতে করে অভিষেকের গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার এক পাশে গিয়ে পড়েছিল। দুর্ঘটনায় অভিষেককে রক্তাক্ত এবং অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেখা যায় তাঁর বাঁ দিকের চোখের নিচের হাড় ভেঙে গিয়েছে এবং বাঁ চোখ খুব খারাপ ভাবে জখম। অপারেশনের পর অভিষেক দুবাই এবং সিঙ্গাপুরে যান আরও চিকিৎস্যর জন্য। পরে বেশ কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে এই খবর জানান এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অভিষেকের খবর নিয়েছিলেন।
এরপর ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন অভিষেক। জিতেও আসেন ২০১৯-র লোকসভা ভোট। ২০২১-এর বিধানসভার ভোটে তিনিই ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম প্রচারক। একুশের ভোটে জেতার পর অভিষেক জানান তাঁর চোখের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। তিনি চশমা ছেড়ে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করছিলেন। অনেকক্ষণ বেশি কিছু পড়তে ও দেখতে পান না। চোখ দিয়ে জল গড়ায়, নয়তো প্রচণ্ড মাথাব্যথা।
বিদেশি চিকৎস্যকরা জানান ওই লেন্স ব্যবহার করা যাবে না বরং চশমা পড়তে হবে। না হলে চোখ লাল হবে দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই ক্ষীণ হবে। অবশ্য এরই মধ্যে একাধিক দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা এবং অভিষেকের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবে হাজিরা দিতে কখনও দিল্লি, কখনও বা কলকাতার অফিসে ঢুঁ মেরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে, আদালত জানিয়েছে বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়া যাবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুজোর সময়ে তিনি বিদেশে যান। এ নিয়ে সিপিএম-বিজেপি-র মনে অনেক প্রশ্ন এবং কটাক্ষ। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের।
তবে শনিবার দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক একটি টুইটের মাধ্যমে অভিষেকের ছবি দিয়ে সেই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন। তাঁর এই টুইট নিয়েও তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে সোশ্যাল নেটের লড়াই। কুণাল ঘোষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বা চোখের ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'যাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসায় অভ্যস্থ, এমনকি তাঁর চোখের চিকিৎসা নিয়েও নানা কথা রটান, তাঁরা ভালো করে ছবিটি দেখুন। ওর চোখের আজকের অবস্থা। একটি মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ছিলেন অভিষেক। চোখে ভয়ঙ্কর চোট। কলকাতায়, ভারতের অন্যত্র চিকিৎসা করিয়েছে। সমস্যা কাটেনি। বেশিক্ষণ পড়লে চোখে ব্যথা হয়, মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়, কখনও কখনও ঘুমোতে পারেন না। এত জটিল অবস্থা যে একাধিক জায়গায় চিকিৎসা করেও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরেনি। তাই এখন আরেকবার চেষ্টা। আমেরিকায় অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। অভিষেক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। চোখ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক।'
Those inhuman elements, who criticize @abhishekaitc even on his eye treatment and operation, must see today's condition of his eye, which was deeply damaged in an accident.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 15, 2022
He had an operation, now under observation. We all pray for his speedy recovery and normalcy of eyes. pic.twitter.com/EoqiBfNdg0
ফের চিকিৎসকের গাফিলতির (Doctor's negligence) অভিযোগ। প্রসূতি বিভাগে এক মহিলার মৃত্যুতে (dead) উত্তেজনা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে (Mainaguri Rural Hospital)। এই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, অল্প টাকার জন্য রোগীকে স্থানান্তরিত করতে বাঁধা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার জেরেই মূলত মারা যান ওই মহিলা। অবিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় বিক্ষোভ (agitation)। ঘটনায় শোকাহত পরিবার।
জানা গিয়েছে, গত ২ রা অক্টোবর প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন অঞ্জনা মণ্ডল সরকার নামে এক মহিলা। সেই রাতেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে অঞ্জনা দেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিবারের লোকজনকে ডেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন। কিন্তু এদিকে রোগীর প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয়। পরিবারের লোক দ্রুত জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা টাকা নেওয়ার জন্য আটকে রাখে রোগীকে, এমনই অভিযোগ পরিবারের। এই অবস্থায় বেশ অনেকক্ষণ হাসপাতালেই কেটে যায় তাঁদের। শেষমেশ অঞ্জনা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ির সদর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন অনেক দেরি করে নিয়ে যাোয়া হয়েছে তাঁকে। অবশেষে সেখানেই ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মৃতার পরিবার। সোমবার সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই অল ইন্ডিয়া নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এবিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ড: লাকি দেওয়ান বলেন, "বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তদন্ত করে দেখা হবে।"
ফের ডেঙ্গিতে (dengue) মৃত্যু (death) এক মহিলার। মৃতার নাম অর্চনা দেবী, বয়স ২৯। দশমীর দিন প্রচণ্ড জ্বর ও কম প্লেটলেট কাউন্ট নিয়ে ভর্তি হন সল্টলেকের (Saltlake) এক বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। দিন সাতেক আগেই শহরে ডেঙ্গিতে জোড়া মৃত্যু হয়েছিল।
বাগবাজারের (Bagbazar) একটি বেসরকারি হাসপাতালে (hospital) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) বাসিন্দা সুমন সরকার। বছর ৪০-এর সুমনকে ২২ তারিখ ভর্তি করা হয়। এরপর দু'দিন পর অর্থাৎ ২৪ তারিখ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। অপরদিকে, দেশবন্ধু রোডের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু আরও একজনের।
জানা যায়, বছর ৩৮-এর ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বাসিন্দা। মহিলার নাম মল্লিকা দাস। প্রশাসন বারবার সতর্ক করছে সকলকে। বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুসংখ্যা।
ফের ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের মৃত্যু (death) শহরে। জানা যায়, বাগবাজারের (Bagbazar) একটি বেসরকারি হাসপাতালে (hospital) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) বাসিন্দা সুমন সরকার। বছর ৪০-এর সুমনকে ২২ তারিখ ভর্তি করা হয়। এরপর দু'দিন পর অর্থাত্ ২৪ তারিখ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। অপরদিকে, দেশবন্ধু রোডের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু আরও একজনের। জানা যায়, বছর ৩৮-এর ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বাসিন্দা। মহিলার নাম মল্লিকা দাস।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবাসী যখন পুজো মুডে, তখন রাজ্যে ফের বাড়ল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার ৮১১৭ জনের ডেঙ্গি টেস্ট করা হয়। যার মধ্যে নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৯১২ জন। অপরদিকে ৬১০ জন রোগী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি। একই সঙ্গে ডেঙ্গির প্রভাব যে সমস্ত জেলাতে রয়েছে যেমন, উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে আক্রান্তের সংখ্যা একই রয়েছে। এমনটাই পরিসংখ্যান দিয়ে জানালো স্বাস্থ্যভবন।
এছাড়াও, পুজোর আবহে যেভাবে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেই প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সামাল দিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় কোনওভাবেই স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত আধিকারিক, ডিরেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদ মর্যাদার আধিকারিক, এছাড়াও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার-রা যথাযোগ্য কারণ ছাড়া ছুটি নিতে পারবেন না।
পাশাপাশি, নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সকল স্বাস্থ্য আধিকারিকদের যেন ফোনে পাওয়া যায়। অন্যদিকে হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে অর্থাৎ ২-রা অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত জরুরী বিভাগ যেন স্বাভাবিক সময়ের মত খোলা থাকে। অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা ব্যবস্থা যেন স্বাভাবিক থাকে। পুজোর মধ্যে রবিবার ৯-ই অক্টোবরও স্বাভাবিক রাখতে হবে সমস্ত বিভাগের চিকিৎসা ব্যবস্থা।
গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু (unusual death) ঘিরে উত্তেজনা গাইঘাটার (Gaighata) আমকোলায়। ঘটনায় অভিযোগের তির শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। শোকস্তব্ধ বধূর পরিবার। জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে (marriage) হয়েছিল অর্পিতা ও রাকেশের। তাঁদের ১ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে।
কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অর্পিতাকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে অত্যাচার করতেন। বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় অর্পিতাকে বাপের বাড়ি রেখে আসেন রাকেশ। এরপর পরিবারের লোকেরা প্রথমে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাঁকে রেফার করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে অর্পিতার মৃত্যু হয়। রাতেই হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে এসে সকালে তাঁকে দাহ করার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই। এরপরই ঘটনা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিস (police)। অর্পিতার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, রাকেশ সম্প্রতি একটি অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যা নিয়ে অর্পিতা এবং রাকেশের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত। অর্পিতার পরিবারের দাবি, বিষ খাইয়ে অর্পিতাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত্যুর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তার তদন্তে পুলিস।
একটি লরিকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার (Accident) মুখে পড়েন বাইক (Bike) আরোহী। প্রথমে রাস্তা লাগোয়া একটি মন্দির ও পড়ে মন্দিরের সামনে বট গাছে ধাক্কা মারে বাইকটি। জখম বাইকে থাকা চারজন যুবক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার (Habra) গৌড়বঙ্গ রোডের কৈপুকুর এলাকায়।
একটি বাইকেই চার যুবক মগড়ার দিক থেকে হাবড়ার দিকে ফিরছিলেন। সকাল ছ'টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের তৎপরতায় আহতদের নিয়ে আসা হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা তিনজনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
আহতরা হলেন শম্ভু রায়, প্রণয় কর ,সোনাই ভৌমিক ও প্রীতম দে। আহতদের প্রত্যেকের বাড়ি হাবড়া থানা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাইকটি উদ্ধার করেছে হাবড়া থানার পুলিস। পুলিস খবর দেয় আহতদের পরিবারকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আহত চারজনের কারোর মাথায় হেলমেট ছিল না।
রাজ্যে ফের বাড়লো ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে আক্রান্ত ৯৬৫ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬০৪ জন রোগী এখনও সরকারি হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যেভাবে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ, উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা, সল্টলেক (saltlake), দক্ষিণ দমদম (South Dumdum), টিটাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি।
এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু গ্রামীণ এলাকা, যেমন দেগঙ্গা, বারাসাত ব্লক ১, স্বরূপনগর এই সমস্ত এলাকাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এই সমস্ত বিস্তীর্ণ এলাকাতে নজরদারির কথা বলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এই এলাকার যারা স্বাস্থ্যকর্তারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশীষ ভট্টাচার্য।
এদিকে, ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে। সেই মোতাবেক নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাগুলিকে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ঢিলেঢালা মনোভাব দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়।
ইতিমধ্যেই এই পুর এলাকায় ৭১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুর অঞ্চলের একাধিক ওয়ার্ডে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডে একই বাড়িতে আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া থেকে বাড়ির গৃহবধূ। তাঁদের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন হয়ে পড়ে যে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হয়। এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে তাঁরা বাড়িতে আসলেও অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন, এমনটাই জানালেন ডেঙ্গি আক্রান্ত মহিলা থেকে শিশুর মা। তাঁদের বাড়ির পিছনে একটি ডোবা রয়েছে, সেই অপরিষ্কার জলাশয় থেকেই মশার উৎপাত, এমনটাই ক্ষোভ তাঁদের।
এ যুগেও কুসংস্কার (superstition)? এখনও বিশ্বাস ঝাড়ফুকে? হ্যাঁ, এখনও কুসংস্কারে ভরা মানুষের মন। সাপের (snake) কামড়ে রোগীর হাসপাতালে (hospital) মৃত্যুর পর নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে। আর সেই মৃতদেহ ফেলে রেখেই চলে ছাত্রের ঝাড়ফুঁক। মালদহ (Maldah) থানার চর কাদিরপুরে নালাগোলা রাজ্য সড়কের ধারে চলেছে ঝাড়ফুঁক।
জানা গিয়েছে, প্রথমে সাপে কামড়ানো রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই রোগীর মৃত্যু হয়, এরপর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে চলে ঝাড়ফুঁক। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম মিঠুন মণ্ডল। রবিবার তাকে সাপে কামড়ায়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে এরপরই এক অভূত কাণ্ড। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে ওঝা এবং গুনিন ডাকে। এরপরই চলে মৃতদেহ ফেলে রেখে ঝাড়ফুঁক। খবর পেয়ে মালদহ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মর্মান্তিক ঘটনা, জ্বরে (fever) মৃত্যু অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার-সহ এলাকায়। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর (Ashokanagar) পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাইপাস নেতাজি সংঘ ক্লাব এলাকার।
পরিবার সূত্রে খবর, মাসখানেক ধরে ওই বছর ১৩-এর ছাত্রী (student) সংযুক্তা দাস জ্বরে ভুগছিল। সপ্তাহখানেক আগেও ছাত্রীর শরীরে ১০৫ ডিগ্রি জ্বর থাকায় পরিবারের লোকজন হাবরা হাসপাতলে (hospital) নিয়ে যায়। এরপর সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকে সে। সোমবার হঠাৎ ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ছাত্রীকে রেফার করে দেওয়া হয় বারাসাত হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রী। পরবর্তীতে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রীর শরীরে হিমোগ্লোবিন কম থাকার কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু। মৃতা কল্যাণগড় বালিকা বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
মঙ্গলবার ছাত্রীর দেহ শেষকৃত্য করতে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীকে শেষ দেখা দেখতে ভিড় করে এলাকার সাধারণ মানুষ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও এলাকায়।
আগে থেকে কোনও খবরও দেওয়া হয়নি। সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে হঠাৎই হাজির রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে হাজির হয়ে তাঁর একটাই কথা মনে হয়েছে, এটি চিকিৎসকের চেম্বার নাকি বাড়ির শোওয়ার ঘর?
দীর্ঘদিন ধরে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছিল। তাই মঙ্গলবার রাতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব আচমকাই হাজির হন হাসপাতালে। সুপারের অফিসে গিয়ে দেখলেন, রোগী দেখার বদলে অফিসেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করছেন। হাসপাতালের যত্রতত্রে পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। রোগীরা শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালের মেঝেতে। কুকুর, বিড়াল অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন বলেই সাংবাদিদের জানান নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজস্বী।
হাসপাতালের ওয়ার্ডে প্রবেশ করতেই রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রীর কাছে হাসপাতালের ব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার, চিকিৎসক-ওষুধ অমিল থাকার মতো নানা অভিযোগ জানান। মহিলারা জানান, হাসপাতালের শৌচাগার এতটাই নোংরা যে তাদের বাইরের পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। হাসপাতালের ফার্মেসিতে অধিকাংশ ওষুধই অমিল থাকে, তাই বাইরে থেকেই ওষুধ কিনতে হয়। পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে।
হাসপাতালগুলির বেহাল দশার কথা বলতে গিয়ে তেজস্বী বলেন, 'স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো হাসপাতালে আসেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে রাজ্যের আগের সরকার যে মিথ্যা দাবি করত, তা ধরা পড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরিয়ে আনবে।' এমনকি তিনি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
না, হাতি ডাক্তার দেখাতে আসেনি। অবাধে কেবল ঘোরাঘুরি করছে তারা। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ির সেনা ছাউনি হাসপাতালের ভিতরে হাতির ভিডিও! ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, তিনটি হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে হাসপাতালের করিডর ধরে (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন)। হাতি তাড়াতে বিভিন্ন রকম আওয়াজ করছেন হাসপাতাল কর্মীরা। তাতেও তারা যখন যাচ্ছে না, তখন হাতির উপদ্রবে উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বন দফতরকে খবর দেয়। কিন্তু বন দফতরের কাছে এই বিষয়ে কোনো খবর নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য, বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায়, মাঝে মধ্যেই হাতি ঢ়ুকে পড়ে এখানে। বেশ কয়েকবার জঙ্গল থেকে হাতির দল এসে ক্ষতিও করে দিয়েছে হাসপাতালের।
পুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি (dengue) নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফরের অভ্যন্তরের রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ হয়েছে। শেষ দু'সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত (infected) ২২৪০ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ২২৪। গত ৭ দিনে সরকারি হাসপাতালে (hospital) ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৬০০ জন রোগী। এবার স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরের রিপোর্টে উঠে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, সব মিলিয়ে তিনটি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং জলপাইগুড়ি। এই তিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সতর্ক করা হয়েছে। অবিলম্বে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
অগাস্ট মাসের শেষ ২ সপ্তাহের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে সবথেকে বেশি। মূলত, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে অগাস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে। সেই কারণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তিন জেলার জেলা শাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।
চিকিৎসার দুরাবস্থা! নেই চিকিৎসা (Treatment), নেই কোনও ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী। পাঁচ বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে সামান্য চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের (Hospital) বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন মা। শেষমেশ জন্মদাত্রীর কোলেই মরতে হল (Child Death) শিশুটিকে। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জব্বল্পুরবাসীরা। খুদে ঋষির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।
পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ছেলে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সে সময় একজন ডাক্তার তো দূর অস্ত, একজন স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্সও নেই। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল ছেলের। ডাক্তারের অপেক্ষা করতে করতে শেষে সন্তানহারা তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো এবং পরিষেবা নিয়ে। অভিযোগ, ডাক্তার হাসপাতালে এলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কোথায় ছিলেন? ওই চিকিৎসক জানান, তাঁর স্ত্রী আগের দিন উপোস করেছিলেন। তাই তাঁর আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকের এমন যুক্তিতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে পৌঁছয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য দফতর।
সাত সকালেই মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। বাবার বকুনিতে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘুঘুপাড়ার বাসিন্দা ছিল ওই পড়ুয়া। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার সহ এলাকায়।
জানা যায়, মেঘনাথ বর তাঁর নাবালিকা মেয়েকে বকাবকি করেন। মেয়ে বাবার বকুনি খেয়ে বুধবার সকালে অভিমানে ঘরে গিয়ে মায়ের শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার দেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি শাড়ি কেটে মেয়েকে নিচে নামায়। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে (hospital) পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে কালিতলা আশুতি থানার পুলিস (police)।
পরিবারের একমাত্র নাবালিকা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
এতদিন স্বাস্থ্য সাথী (swastha sathi card) কার্ড নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছে রোগীর পরিবারকে। তবে শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই কার্ডে পরিষেবা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাই এবার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন (swastha bhavan)।
ভবন সূত্রে খবর, কোনও কোনও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্যাকেজের বেশি টাকা নিচ্ছে রোগীর কাছ থেকে। স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো বিলের সঙ্গে, রোগীর চিকিৎসার প্রকৃত খরচের বিলের মিল নেই। চিকিৎসক রোগীকে একরকম বিলের কথা বলছেন, কিন্তু সরকারকে পাঠানো হচ্ছে অন্যরকম বিল। রোগীর চিকিৎসা করছেন একজন চিকিৎসক, আর ডিসচার্জ লিখছেন অপর এক চিকিৎসক। এই বেনিয়ম দূর করতে এবার রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। এই নির্দেশিকায় পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
যা হল-
১. রোগী হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের চিকিৎসা করাতে এসে কোন প্যাকেজের আওতায় পড়ছেন, সেই প্যাকেজ ব্লকিং স্লিপ, ডিসচার্জ স্লিপ সরকারি পোর্টালে অবশ্যই আপলোড করতে হবে।
২. রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় যে চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকছেন, রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সময় ডিসচার্জ স্লিপে তাঁরই সই থাকতে হবে। অন্য চিকিৎসকের সই থাকলে কোনওভাবেই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে টাকা পাবে না বেসরকারি হাসপাতাল।
৩. গত ২২ আগস্ট এই নির্দেশিকা সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।