
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। চান সরকার একটু পাশে এসে দাঁড়াক। তবে অনুদান নয়। কর্মসংস্থান দিক সরকার।
২ সন্তান। স্বামী ট্রেনে হকারি করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে জতীয় স্তরে একাধিক মেডেল প্রাপ্তি। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগাদানের স্বপ্ন থাকলেও খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
দু'বেলা দু মুঠো অন্ন জোগাড়ও অনিশ্চিত। তবুও ঘর ভরেছে সোনা, রূপোর পদকে। সংসারে আয় বাড়াতে, ছোটো দুই ছেলে মেয়ের পড়ার খরচ টানতে কাজে যোগ দিয়েছেন বুলটি নিজে। তবুও সময় বের করে চলছে অনুশীলন। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাই এখন স্বপ্ন। তার জন্য খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। আক্ষেপ একটাই, অন্য জায়গায় জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের সবাই চেনে, সাহায্যও পান তাঁরা।
বুলটি স্বর্ণপদক জয় করলেও তাঁর কাছে নেই উপযুক্ত জুতো। অনুশীলনের জন্য নেই ভাল পোশাক। কিন্তু অভাব বুলটির ইচ্ছেশক্তির কাছে পরাজিত। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি একটা চাকরি দেন, তাহলে তাঁর পরিবার খেয়ে পরে থাকতে পারবে। এর সঙ্গে নিজের স্বপ্নের পিছনে আরও দৌড়তে পারবেন বছর তিরিশের ‘সোনার মেয়ে’।
ফের রাজ্যে আয়কর হানা (Income Tax Raid)। এবারে এক মদের কারখানায় হানা দিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে এক মদের কারখানায় হানা দিলেন আয়কর আধিকারিকরা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের টিম।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যখন ভোরের আলোও ফোটেনি, সে সময় হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এর পর অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক মদের কারখানায় হানা দেন তাঁরা। তবে শুধুমাত্র আয়কর আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে আসেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে মোট পাঁচটি গাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আসে। গ্রামের লোকজনও একে একে আসতে শুরু করেন এলাকায়। তারাও এই ঘটনায় হতবাক। উল্লেখ্য, এই কারখানায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন কাজ করেন।
দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। তাল মিলিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা। কিন্তু কিছুতেই যেন মানুষ সচেতন নয়। দিনের পর দিন সামনে আসছে নির্বিচারে সবুজ নিধনের মতো ঘটনা। এবার শিরোনামে হুগলি নলডাঙা এলাকা। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীর একাংশ।
এলাকার এক বাসিন্দার দাবি, গাছ গুলি বাড়তে বাড়তে ইলেক্ট্রিক তারে গিয়ে ঠেকেছে। যার জেরে ঝড় বৃষ্টির দিনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশ বেড়ে যায়। এছাড়া বেশ কিছু কীট পতঙ্গের উপদ্রবের কারণেই স্থানীয় পঞ্চায়েতে গাছ কাটার জন্য জানানো হলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে এসে গাছ গুলি ছেটে দেওয়া হয়।
গত মাসেই হুগলির নপাড়া প্রাথমিক স্কুলে গাছ কাটার অভিযোগে, কানাইপুর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর দিকে আঙুল তুলে পোস্টার পড়েছিল। ফের হুগলির বুকে সবুজ নিধন। যার জেরে এবার বিজেপির তরফে নলডাঙ্গায় এলাকায় পড়ল পোস্টার। যদিও পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি, এলাকাবাসীর স্বার্থেই সমস্ত কাজ করা হয়েছে। তাই বিজেপির দেওয়া পোস্টারে ডোন্ট কেয়ার মনোভাব তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার।
ফের প্রতারণার শিকার সাধারণ মানুষ। এবার বেসরকারি লোন সংস্থার নাম করে এক ব্যবসায়ীকে ৫ লক্ষ টাকা লোনের প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ফাঁদে পা দিতেই নিমেষের মধ্যে উধাও ৫০ হাজার টাকা। হুগলি বলাগড় জিরাটের ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়।
জানা যায়, হুগলি বলাগড়ের জিরাট স্টেশন পাড়ার ব্যবসায়ী মানিক মুখোপাধ্যায়ের ফোনে সরকারি লোন সংস্থার নাম করে ফোন আসে। তাঁকে বলা হয়, মানিক বাবুর নামে নাকি ৫ লক্ষ টাকার ঋণ অ্যাপ্রুভ হয়েছে। প্রথমে সেই কথা বিশ্বাস না হয়ে ফোন কেটে দেন মানিকবাবু। কিছুক্ষণ পর ফের ফোন আসে ওই একই নম্বর থেকে। এবার তাঁকে বলা হয়, এই লোনের অফারটা শুধু তাঁরই জন্য। আরও বলা হয়, এই ঋণ পেতে গেলে তাঁকে দিতে হবে ২৯৫০ টাকা। টাকার দরকার থাকায় সেই ফাঁদে পাও দিয়ে ফেলেন মানিকবাবু।
এর পরপরই তাঁর ফোনে একটি ফেক EMI কার্ডও পাঠানো হয়। পাশাপাশি জানানো হয়, তাঁর ঋণ অ্যাপ্রুভ হয়ে গেছে। এরপরই হয় আসল ঘটনা। লোন প্রসেসিংয়ের নামে এরপরই ছ'দফায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় প্রতারকের দল। টাকা পাঠিয়েই মানিকবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তৎক্ষণাৎ ব্যাঙ্কে ছুটে যান তিনি। সেইমতো, বলাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয় বলাগড় থানা।
বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। টানা ৮ মাস যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেতুতে। ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী কোনও গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার জন্য বিকল্প রাস্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে ভারী যানগুলি নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
ডি এল খান রোডের দিক থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে যে গাড়িগুলি আসছে, সেগুলি হসপিটাল রোড, কে পি রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পাঠানো হবে। আর এক্সাইড ক্রসিং থেকে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে জওহরলাল নেহরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং, সি আর এভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে টালা ব্রিজ, ডানলপ ক্রসিং হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে। আর পোর্ট ট্রাস্টের গাড়িগুলি রাত ১২টার পর সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
আট মাসের জন্য ভারী যান চলাচলে কড়াকড়ি থাকবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাই গাড়ি নিয়ে বেরোতে গিয়ে যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই বিকল্প রাস্তা জেনে নিন।
এবার উচ্চমাধ্যমিকের (HS) প্রথম দশের ৮৭ জনের মধ্যে যুগ্মভাবে সপ্তম স্থানে হুগলির (Hoogly) শরন্যা (Saranya)। হুগলির চন্ডীতলার জনাই ট্রেনিং হাই স্কুলের পড়ুয়া শরন্যা। তিনি নিজে রূপান্তরকামী। রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি ও অধিকারের লড়াই কঠিন। উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যে পেয়ে জানালেন শরন্যা। স্বপ্ন, সরকারি আমলা বা অধ্যাপক হয়ে সমাজে রূপান্তরকামীদের উন্নয়ন করবেন তিনি।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মেধাতালিকায় লিঙ্গপরিচয় পুরুষ। নাম শরন্য। কিন্তু নিজের নারী সত্তাতেই বিশ্বাসী তিনি। একাদশ শ্রেণি থেকে নিজেকে রূপান্তরকামী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই লড়াইয়ে শরন্যা পাশে পেয়েছেন পরিবারকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পাশে দাঁড়ান। এবার উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের পর নিজের মতামত খোলাখুলি জানালেন শরন্যা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রজতকুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, শরন্যা মেধাবী পড়ুয়া। ভাল ফল করবে, তা প্রত্যাশিক ছিল। গত এক দেড় মাসের মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর পর এমন রেজাল্ট করবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই।
চাকরি (Job) দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে ৫ যুবককে গ্রেফতার করলো হুগলির (Hoogly) মগরা থানার পুলিস। রানাঘাট থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ত্রিবেণীর বাসিন্দা জনৈক মনোজিৎ সাউ গত পয়লা ফেব্রুয়ারি মগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আর্থিক প্রতারণার শিকার। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ঠকিয়েছেন কয়েক জন। এই মামলার তদন্তে নেমে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের নাম চন্দন রায়, সৌগত বৈরাগী, অর্ণব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় দাস। তাঁদের কাছ থেকে মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিস। শুক্রবার তাঁদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে তাঁদের ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সৌমদ্বীপ ভট্টাচার্য শনিবার মগড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই চাকরি প্রতারণা চক্রের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানান, এর আগেও একবার কলকাতা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। ধৃতদের মধ্যে সুজয় কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রতারণার জন্য তিনি দামি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিতেন। সেই জালে পা দিলেই প্রতারণার শিকার হতে হতো।
ফের অশান্ত রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাতভর আতঙ্ক (Panic) কাটিয়ে এখনও থমথমে হুগলির (Hoogly) রিষড়া। জারি ১৪৪ ধারা। পুলিসের তরফে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সোমবার রাতে হুগলির রিষড়াতে ক্ষোভ আছড়ে পড়ল রেল লাইনে। অভিযোগ, সোমবার রাতে আচমকাই একদল দুস্কৃতী রিষড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। স্টেশনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি রিষড়ার ৪ নম্বর রেল গেটে অশান্তি হয় বলে খবর। যার জেরে হাওড়া-বর্ধমান শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে ওই লাইনে হাজার হাজার যাত্রী অসুবিধায় পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল।
সোমবার রাত ১০টা থেকে রিষড়া স্টেশনে অশান্তির কারণে, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে রিষড়া স্টেশন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় একটি আপ ব্যান্ডেল লোকালকে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত ১টার পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিষেবা। রাত ১০টা নাগাদ হাওড়ায় ঘোষণা করা হয় বর্ধমান শাখায় আপাতত ট্রেন চলবে না। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলও করে দেওয়া হয়। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় এবং রেলের তরফ থেকেও কোনও স্পষ্ট উত্তর না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ।
সম্প্রতি রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে দুষ্কৃতীদের। তাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। হাওড়ার পর এবার হুগলি। হুগলির রিষড়াতে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিশাল পুলিস বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
এ ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকায়। প্রশ্ন উঠছে ১৪৪ থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা বারবার কি করে ঘটছে? বিজেপির তরফে পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বরাবর। প্রসঙ্গত, হাওড়ার পর হুগলির ঘটনায় বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন জমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও খবর, পুলিসের বিরুদ্ধে একতরফা আচরনের অভিযোগে, মঙ্গলবার থেকে হুগলির রিষড়ায় ধরণায় বসার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। অভিযোগ মঙ্গলবার সকালে ধরনার আগেই সেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিস।
হাওড়ার (Howrah) পর এবার হুগলির (Hoogly) অশান্তির ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে (Police) কাঁদানে গ্যাস ব্যাবহার করতে হয়। পুলিস সূত্রে খবর, রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ (Internet Service Close) রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিষড়া থানার অন্তর্গত সন্ধ্যা বাজার এলাকায়, জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন রিষড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বেশ কিছু পুলিসকর্মী। এবার হুগলির ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)।
রাজভবন সূত্রে খবর, রিষড়ায় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তার পরেই বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘গুন্ডা এবং দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।’
রবিবার বিকেলে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলায় রণক্ষেত্রের আকার নেয় রিষড়া। ইটবৃষ্টি ও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিস। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জখম হয়েছেন রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জন পুলিসকর্মী। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা কড়া হাতে দমন করবে রাজ্য। আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম শীঘ্রই টের পাবেন আইনভঙ্গকারীরা।' দু'দিন আগে হাওড়ার শিবপুরকাণ্ডেও চরমে ওঠে পরিস্থিতি। সিআইডির হাতে শিবপুরকাণ্ডের তদন্তভার। যদিও হাওড়া ও হুগলির ঘটনায় রাজ্য পুলিসকেই দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল। হামলার ঘটনায় আহত কিছু বিজেপি কর্মীও। তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির (Hoogly) দ্বারবাসিনী এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীর নাম মহম্মদ হাশেম।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহাম্মদ হাশেমের সঙ্গে ২৯ বছর আগে মেহেরুন নিশা বিবির বিয়ে (Marraige) হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁরা দু'জনেই বিবাহিত। কর্মসূত্রে দুই ছেলে বাইরে থাকেন। অভিযোগ, কয়েক বছর যাবৎ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়িতে এসে দুই বৌমা ও স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করছিলেন মোহাম্মদ হাশেম।
এর আগেও বহুবার মেহেরুন নিশা বিবিকে মারধর (Beaten) করেন বলে অভিযোগ পরিবারের। কয়েক বছর আগে এমন ঘটনার কথা পান্ডুয়া থানায় জানানো হয়। পুলিস হাশেমকে ডেকে ধমক দিলে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে পুনরায় মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে স্ত্রী ও বৌমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ।
শনিবার রাতেও অশান্তি চরমে পৌঁছয়। তখন স্ত্রী মেহেরুন নিশা বিবিকে এক তলা ছাদে নিয়ে গিয়ে উপর থেকে ঠেলে নিচে ফেলে দেন বলে পরিবারের লোকের অভিযোগ। বাড়িতে থাকা দুই বৌমা বাড়ির পিছনে জঙ্গল থেকে শাশুড়িকে উদ্ধার করেন। এরপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে নিয়ে শাশুড়িকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যান। নেহেরুন নিশা বিবির কোমরে, পায়ে ও হাতে গুরুতর চোট পাওয়ায় তাঁকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা।
পুলিস সূত্রে খবর, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পান্ডুয়া থানার পুলিস।
পারিবারিক বিবাদের জেরে মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। ছেলের হাতে খুন (murder) বাবা, মায়ের আশঙ্কাজনক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির (Hoogly) জিরাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।
জানা যায়, ওই এলাকায় ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেই চলতি মাসের ১ তারিখ ভাড়া আসেন চন্দকান্ত সাহা ও স্ত্রী অঞ্জনা সাহা। বাবার দ্বিতীয়বারের বিবাহিত স্ত্রীকে মা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্ত ছেলে নিলকান্ত সাহা। এরপর মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় অভিযুক্ত ছেলে নিলকান্ত আচমকাই বাড়িতে আসেন, চড়াও হন বাবা ও সৎ মাযের উপর। এরপর হঠাৎই হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে বাবা ও মায়ের শরীরে আঘাত করতে থাকেন। আঘাতের পরিমাণ এতোটাই বেশি হয় যে হাসপাতালে আনার পর বছর ৬৫ এর চন্দ্রকান্ত সাহাকে আহম্মেদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।
তবে স্ত্রী অঞ্জনা সাহাকে চিকিৎসকরা কৃত্তিমভাবে নিশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে তাঁকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাড়ির মালিক রামকৃষ্ণ সাহা জানান, "আমার মোবাইলের ব্যবসা। রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরে যাওয়ার সময় অশান্তি হতে দেখি। তবে এদিন নিমিষের মধ্যেই এই ঘটনা। আমরা বিশ্বাস করতে পারছিনা এমন ঘটনা ঘটতে পারে।"
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ টার পর দুজন আহত ব্যাক্তিকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। প্রথম ব্যক্তি চন্দ্রকান্ত সহা কিছুক্ষণ বেঁচে থাকলেও পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা সাহার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছুড়ি চালানোর ফলে শ্বাসনালী কেটে গিয়েছে। কৃত্তিম ব্যবস্থা করে রেফার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মানতে পারেনি ছেলে। তার ফলেই এই ঘটনা। ধৃত নিলকান্ত সাহাকে বলাগড় স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিস (police)।