১৩ বছর পর আজ, রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও শ্রীলঙ্কা। গতবার পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ঘরে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। আর ভারত শেষবার এই ট্রফি জিতেছিল ২০১৮ সালে। ফলে, এদিন কলম্বোর প্রেমাদাসায় ভারতের সামনে যে এক কঠিন ম্যাচ তা বলা যেতে পারে।
এই ম্যাচের আগে অবশ্য রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে প্রায় ঘণ্টা খানেকের বৈঠক করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যেখানে হাজির ছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিটির প্রধান অজিত আগারকরও।
সূত্রের খবর একাধিক ইস্যুতে এই বৈঠক হয়েছে। বিশ্বকাপের পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে রবিবাসরীয় ফাইনাল এবং অক্ষর প্যাটেলের চোট নিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, এশিয়া কাপে বরাবর ভারতের শক্তি প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। দুই দল এর আগে সাত বার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ভারত চার বার জিতেছে। শ্রীলঙ্কা তিন বার। তাই, আজ সবাই তাকিয়ে প্রেমাদাসার দিকে। টস ফ্যাক্টর হতে পারে। ফাইনালের আগে রোহিতে ইঙ্গিত, বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ জিততে পূর্ণ শক্তিতেই ফিরবে টিম ইন্ডিয়া।
এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে ম্যারাথন বৈঠক করল টিম ইন্ডিয়া। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওয়াশিংটন সুন্দরকে টিমে নেওয়া হল। তড়িঘড়ি তাঁকে শ্রীলঙ্কায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে, অক্ষর পটেলের চোট। বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না অক্ষর। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাঁ হাতে চোট পেয়েছেন তিনি। তাঁর জায়গায় দলে এলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ফাইনালে তাঁকে খেলানো হতে পারে।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোচ রাহুল দ্রাবিড় -সহ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট দীর্ঘ বৈঠক করে ওয়াশিংটনকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। শনিবার প্রথমে বৈঠক শুরু হয়েছিল কোচ দ্রাবিড় এবং ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌরের মধ্যে। এরপর যোগ দেন রোহিত এবং অজিত আগরকর। এরপর বোলিং কোচ পরেশ মামব্রে এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপও বৈঠকে যোগ দেন। তিনঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁরা আলোচনা করেন। রাঠৌর, মামব্রে এবং দিলীপ চলে যাওয়ার পরেও ঘণ্টাখানেক কথা বলেন রোহিত, দ্রাবিড় এবং আগরকার।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাট করার সময় অক্ষরের হাতে একাধিক বার বল লাগে। সেই চোটের কারণেই ছিটকে গেলেন তিনি।
বিশ্বকাপের আগে রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনাল (Asia Cup)। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও ভারত। ফরম্যাট বদলে এবার ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট। আর তাতেই পরিসংখ্যানে দাপট ভারতীয়দের।
পাঁচ ম্যাচে ২৭৫ রান করে এশিয়া কাপের এখনও পর্যন্ত টপ স্কোরার ভারতের শুভমন গিল। শুক্রবারই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৩ বলে ১২১ রান করেছেন ভারতীয় এই ওপেনার। শুভমনের ঝুলিতে রয়েছে আরও একটি নজির
এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। ফাইনালের আগে পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মোট বাউন্ডারি ৪৭৩। এর মধ্যে ২৯টি এসে গিলের ব্যাট থেকে। পাশাপাশি ১১টি ওভার বাউন্ডারি মেরে শীর্ষে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলে পরীক্ষা করেছিলেন রোহিত। কিন্তু ফাইনালে আবার পুরনো দল। কারণ রোহিত জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ নিয়ে দেশে ফিরতে চায় টিম ইন্ডিয়া।
এশিয়া কাপের ফাইনালে (Asia Cup final) হচ্ছে না ভারত বনাম পাকিস্তানের দ্বৈরথ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার (SriLanka) ম্যাচে বাবর আজমদের হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন দাসুন শনাকারা। রবিবার কলম্বোয় রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের টিম ইন্ডিয়ার মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।
বৃহস্পতিবারের শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ কার্যত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল৷ হিসাব ছিল স্পষ্ট, যে দল জিতবে, তারাই ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালের টিকিট পাবে। লড়াই হল সেয়ানে সেয়ানে। তবে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে বাজিমাত করল শ্রীলঙ্কা।
বৃষ্টির জন্য ওভারের সংখ্যা ৫০ থেকে কমিয়ে ৪২ করা হয়। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করে পাকিস্তান। একসময় ১৩০ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে লড়াই করে ভালো রান তোলেন দুই ব্যাটার রিজওয়ান ও ইফতিখার। ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।
জয়ের জন্য ৪২ ওভারে শ্রীলঙ্কার টার্গেট ছিল ২৫২ রান। দুই উইকেটে ম্যাচের শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল শ্রীলঙ্কা। দারুণ খেললেন চরিথ আসালঙ্কা। তাঁর অপরাজিত ৪৯ রানই শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে পৌঁছে দিল। শেষ ওভার দরকার ছিল ৮ রান। প্রবল চাপের মধ্যে দলকে জিতিয়ে নায়ক হলেন আসালঙ্কা।
কুশল মেন্ডিস শ্রীলঙ্কার হয়ে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। ফাইনালে তাঁকে নিয়ে ভাবতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।
পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ (Asia Cup) জয় ভারতের। গত ৩৯ বছরে এমন শিরোনাম কখনও হয়নি। তাহলে কী এবার কলম্বোর মাঠে তা হতে পারে? মঙ্গলবার ভারত জিততেই তেমন সম্ভাবনা তৈরি হল। এখন অপেক্ষা পাকিস্তান যদি তাদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিতে পারে, তাহলেই কেল্লাফতে।
সম্প্রতি কলকাতায় ডুরান্ড কাপের ফাইনালে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। সূচির বৈচিত্র্যে ফাইনাল খেলেছিল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। দু'দেশের ক্রিকেট প্রেমীরাই চাইছেন বিশ্বকাপের আগে একটি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে। চার পয়েন্ট নিয়ে এশিয়া কাপে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে ভারত। দু পয়েন্ট নিয়ে এক সারিতে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। যদিও রান রেটে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের কার্যত সেমিফাইনাল। পাকিস্তান খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই ম্যাচের দিকে আর তাকিয়ে থাকতে হবে না টিম ইন্ডিয়াকে। বরং রোহিতদের ফোকাসে এখন বাংলাদেশ ম্যাচ।
অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে এই পিচে ব্যাট করা এবং তাকে বুঝে বল করা। সব চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করা গিয়েছে এটাই বেশ ভাল লাগছে। শ্রীলঙ্কাকে (Srilanka) ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের (Asia Cup Final) ফাইনালে উঠে এমনটাই দাবি ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma)।
এদিন কুলদীপকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রোহিত। জানালেন এখন অনেক পরিণত ভারতীয় এই ক্রিকেটার। ফলে বাংলাদেশ ম্যাচ এখন নিময় রক্ষার। রবিবার ভারতের প্রতিরক্ষ কে, তা ঠিক হবে পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই।
সকাল থেকেই একটা প্রশ্ন চলছিল এশিয়া কাপে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বৃষ্টি হলে কী হবে? কোন অঙ্কে ফাইনাল খেলবে ভারত? ভারতকে কী পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে?
মঙ্গলবার রাতে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল প্রেমাদাসা। গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারাতেই চার পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে শীর্ষে টিম ইন্ডিয়া। গত বাহাত্তর ঘণ্টায় পর পর দুটি বড় ম্যাচ। পাকিস্তানকে ২২৮ রানে হারানোর পর একই মাঠে ২১৪ রান দুরন্ত ভাবে আটকে দিলেন ভারতীয় বোলাররা।
বিশেষ করে বল ঘুরতে পারে, এই ধারনা থেকে তিন স্পিনারকে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে খেলানো। আর সেটাই ক্লিক করে গেল। অক্ষর বল হাতে সফল না হলেও, ব্যাট হাতে দলকে রান দিয়ে গেলেন। বাকি কাজটা করলেন জাডেজা এবং কুলদীপ। টুর্নামেন্টে ৯ উইকেট কুলদীপের।
ব্যাটে-বলে ওয়ালালাগে। তবুও প্রেমাদাসায় নায়ক হওয়া হল না কুড়ি বছরের শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটারের। মঙ্গলবার ভারতের বিরুদ্ধে বল হাতে পাঁচ উইকেট নেন। এরপর ব্যাট হাতে তিনি যখন মাঠে আসেন, তখন ভারতের ২১৪ রান তাড়া করতে গিয়ে প্রায় কোমায় শ্রীলঙ্কা। এখান থেকে তাঁর ব্যাটে অক্সিজেন খোঁজার চেষ্টা করেছিল দাসুন শানুকার দল।
কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে ফিনিশ করতে পারলেন ওয়ালালাগে। শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল ভারত। ফলে বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রবিবার ফাইনাল খেলবেন রোহিত শর্মারা। এই ম্যাচেও চার উইকেট কুলদীপ যাদবের।
স্পিন দিয়ে ভারতকে ঘিরে ছিল শ্রীলঙ্কা। একদিনের ক্রিকেটে এই প্রথম ১০ উইকেট ভাগ করে নিয়েছিলেন দুই স্পিনার। বদলায় বুমরা আর সিরাজই শ্রীলঙ্কার শিড়দাঁড়ায় ধাক্কা দেন। ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে দিশা হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কারণ, মাঝপথে কুলদীপ এবং জাডেজার দুটি করে উইকেট শানুকাদের ম্যাচ থেকে কার্যত দূরে ঠেলে দেয়।
এরমধ্যেই লড়াই করলেন ওয়ালালাগে। ৪০ রানে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও তাঁর লড়াই স্মরণীয় করে রাখল প্রেমাদাসাকে। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২১৩ রান করেছিল ভারত। তার জবাবে ১৭২ রানেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ম্যাচে ১০ হাজার রান পূর্ণ করেন হিট ম্যান।
মার্কিন প্রতিদ্বন্দী বেন সেলটনকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে আরও একবার গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালে নোভাক জকোভিচ। চলতি বছরের চারটে গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে উঠলেন জকোভিচ। তার মধ্যে খেতাব জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসি ওপেনে। আর উইম্বলডনের ফাইনালে হেরেছিলেন আলকারাজের কাছে।
২৪তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের লক্ষ্যে রবিবার রাতে নামছেন জোকার। এটিই হতে চলেছে তা কেরিয়ারের ৩৬৩ তম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল।
অন্যদিকে আরও এক অঘটন। টুর্নামেন্টের ফেভারিট কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন রুশ তারকা ড্যানিলে মেদভেদেভ। অপ্রতিরোধ্য মনে হওয়া স্পেনের আলকারেজের বিরুদ্ধে অনবদ্য খেললেন মেদভেদেভ। আলকারেজকে কার্যত কোর্টে দাঁড়ানোর সুযোগই দিলেন না। রবিবার গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন জকোভিচ-মেদভেদেভ।
বিশ্বরেকর্ড ভারতের রোহন বোপান্নার। ৪৩ বছর বয়সে ইউএস ওপেন টেনিসের ফাইনালে উঠলেন তিনি। এত বেশি বয়সে গ্র্যান্স স্লামের ফাইনাল আগেও কেউ খেলেনি। কানাডার ড্যানিয়েল নেস্টর ফাইনাল খেলেছিলেন ৪৩ বছর ৪ মাস বয়সে। এবার তাঁর রেকর্ড ভেঙে আরও ২ মাস বেশি বয়সে ফাইনাল খেলবেন রোহন বোপান্না।
এদিন, পুরুষদের ডাবলসে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এবডেন-এর সঙ্গে জুটি ছিল ভারতের বোপান্নার। বিপক্ষের নিকোলাস মাহুত ও পিয়ের হিউজ হারবার্ট জুটিকে হারিয়ে ৭-৬, ৬-২ গেমে জিতে যান তিনি । যদিও প্রথম সেট থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন বোপান্নারা। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে দারুণ কামব্যাক করেন। পরে মাহুত-হারবার্ট জুটি পর পর দু’টি পয়েন্ট পেলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন বোপান্নারাই।
বোপান্না ও এবডেন ইন্ডিয়ান ওয়েলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেন না কি না, সেটা দেখার অপেক্ষাতেই ক্রীড়াজগত। ফাইনালে কার সঙ্গে খেলা হবে তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে ফাইনালে যদি জিতে যান বোপান্না, তাহলে ইতিহাস তৈরি হবে।
উনিশ বছর পর ডুরান্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার যুবভারতীতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে টাইব্রেকারে পাঁচ-তিন গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠল লাল-হলুদ। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচে দুই শূন্য গোলে পিছিয়ে থেকে মহেশ এবং নন্দকুমারের গোলে সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গ। ম্যাচে ছিয়ানব্বই মিনিটে লাল কার্ড দেখেই নর্থইস্টের জাবোকা।
টাইব্রেকার ক্লেটন সিলভার গোলে লিড পায় ইস্টবেঙ্গল। ৩১ তারিখ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে মোহবাগান। ইস্টবেঙ্গলের এদিনের জয়ের ফলে, উনিশ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বি দেখতে এখন মরিয়া কলকাতা।
এদিন শুরু থেকেই ছন্নছাড়া দেখায় ইস্টবেঙ্গলকে। তার সুযোগ নিয়ে ম্যাচে ২২ মিনিটে নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন জাবাকো। এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে লাল-হলুদ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শুরু আবার গোল হজম করতে হয়। এবার নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন ফাল্গুনী সিং। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান কমান মহেশ সিং। ৯৭ মিনিটে লাল-হলুদ সমতায় ফেরে আর এক ভারতীয় নন্দকুমারের গোলে।
বল এখন সবুজজ-মেরুনের কোর্টে। বৃহস্পতিবার এই মাঠেই ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে মোহনবাগান। সুপার জায়েন্টের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া। ওই ম্যাচ মোহনবাগান জিততে পারলে, স্বপ্ন সফল হবে কলকাতার। মরশুমের প্রথম ট্রফির ফাইনাল হবে ডার্বি।
ডুরান্ড কাপের নক-আউটে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ পঞ্জাব এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল লাল-হলুদ। ম্যাচের একমাত্র গোল স্প্যানিশ ফুটবলার সিভেরিও-র। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে নক-আউটে উঠল লাল-হলুদ।
চার বছর ডার্বি জয়ের পর এদিন ডুরান্ড কাপের এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি জয়ের পর অবশ্য কলকাতা লিগে পুলিশকে হারিয়েছিল লাল-হলুদ। তবুও এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের বিশেষ উন্মাদনা ছিল। ম্যাচের ২০ মিনিটে প্রথমে ফ্রি-কিক, সেখান থেকে কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। সেই কর্নার থেকেই হেডে গোল করেন সিভেরিও।
প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় ডার্বিতে খেলেননি নিশু কুমার। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিনি দলে ফিরেছেন। তবে এদিন ডার্বি পরবর্তী ডুরান্ড কাপের এই ম্যাচে কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম ভরিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ৯০ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
২০০৬ সালে রিয়েলিটি শো বিগ বসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। একদিকে অভিনেতা সলমান খানের সাক্ষাৎ পাওয়া, অন্যদিকে বিগ বস হাউজে থাকা মানুষের থালা বাসনের মতো ঠুকোঠুকি। সব মিলিয়ে দর্শকদের হাতে বিনোদনের প্যাকেজ ধরিয়েছে বিগ বস। টেলিভিশনের পাশাপাশি সম্প্রতি বিগ বস এসেছে ওটিটিতেও (Big Boss OTT-2)। দর্শকেরা সেখানেও বিগ বসকে সমান ভালোবাসা দিয়েছে। প্রথম সিজন পেরিয়ে এবার বিগ বস ওটিটির দ্বিতীয় সিজনও শেষের মুখে।
দ্বিতীয় সিজনের ফাইনালিস্টদের মধ্যে রয়েছেন, এলভিস যাদব, অভিষেক মালহান, মনীষা রানি, পূজা ভাট এবং বেবীকা ধ্রুবে। দর্শকরাই ওটিটি মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে গিয়ে সরাসরি ভোট দিয়েছেন। ফাইনালিস্টদের তালিকায় মনীষা, পূজা এবং দেবিকা ভোটে এতটাই পিছিয়ে রয়েছেন যে তাঁদের জেতা প্রায় অসম্ভব। তাই সম্মুখ সমরে এখন কেবল এলভিস ও অভিষেক।
জানা গিয়েছে, এলভিস যাদব এখনও পর্যন্ত ৮০০,৯৯,৯৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। অভিষেক মালহান পেয়েছেন, ৬০০,৯৮,৩৬৫ ভোট। মনীষা রানী এখনও পর্যন্ত ১৩,২৩,৮৩০ ভোট পেয়েছেন। বেবীকা ৭৭,২০১ ভোট পেয়েছেন। সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন পূজা ভাট। তাঁর এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩২,৫০০।
১৪ অগাস্ট বিগ বস ওটিটি দ্বিতীয় সিজনের ফাইনাল। এলভিস এবং অভিষেকের মধ্যে যে জিতবেন, সে ২৫ লক্ষ টাকা এবং বিগ বস ওটিটির ট্রফি পাবেন। দুজনের সমর্থকই অধীর আগ্রহে রয়েছেন ফাইনালের ফলাফলের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেও, ধাক্কা খেল ভারত। কারণ, এই ম্যাচ ড্র হতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়ে থাকল টিম ইন্ডিয়া। বৃষ্টির কারণে ত্রিনিদাদে ভেস্তে গিয়েছে দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন। তার জেরে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হল রোহিত শর্মাদের। ফলে শীর্ষে এখন পাকিস্তান। দ্বিতীয় স্থানে ভারত। এদিকে সিরিজ জিতে বিরাট, সিরাজদের কাছে তিনটি দাবি রেখেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যার মোদ্দা কথা হল, আগামী সিরিজে নিজেদের আরও উজার করতে হবে।
এই সিরিজের আগে থেকেই সব প্রাক্তনদের দাবি ছিল, ক্যারিবিয়ান সিরিজে তেমন কোনও বেগ পেতে হবে না ভারতীয় দলকে। হলও না। কিন্তু ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা মনে করেন, এমন হাল্কা সিরিজ অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। তাই এই সফর থেকে তিনটি বিষয় সবাইকে মাথায় রাখতে বলেছেন অধিনায়ক।
মূলত একদিনের বিশ্বকাপের আগে ফিল্ডিংয়ের উপর জোর দিচ্ছেন রোহিত। জোর দিচ্ছেন বোলারদের রিদিমের উপরেও। তাই ক্যারিবিয়ান সফরে আগামী একদিনের সিরিজে এই ধারাবাহিকতা বজার রাখার কথাই বলছেন তিনি।
বিশ্বকাপের (World Cup) সেমিফাইনালে (Semi Final) মুখোমুখি হোক ভারত-পাকিস্তান (India)। এমনটাই চাইছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সেমিফাইনালে ভারত-পাকিস্তান ছাড়া আরও তিনটি দলকে এগিয়ে রেখেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন সৌরভ।
সৌরভ জানিয়েছেন, সেমিফাইনালে চার দল বেছে নেওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে পাঁচটি দল বেছে নিতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড আছে। বড় প্রতিযোগিতায় নিউ জিল্যান্ডকেও বাদ রাখা যায় না। পাকিস্তানকেও তালিকায় রাখব।' সৌরভ আরও জানান, তিনি চাইছেন ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল হোক । তা হলে ইডেনে খেলা হবে । রাহুল দ্রাবিড়ের পরামর্শে ভারত ভাল খেলবে, এই বিষয়ে আশাবাদী সৌরভ।
উল্লেখ্য, ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ। চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ।
লেবাননকে (Lebanan) টাইব্রেকারে হারিয়ে সাফ কাপের (SAAF Cup) ফাইনালে উঠল ভারত (India)। শনিবার বেঙ্গালুরুর ক্রান্তিরাভা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ম্যাচের ১২০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। টাইব্রেকার লেবাননকে চার-দুই গোলে হারিয়ে ফাইনালে ভারতীয় দল। ভারতের হয়ে গোল করেছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী, আনোয়ার আলি, নওরেম সিং এবং উদান্তা সিং। লেবাননের দুটি শট রুখে দেন ভারতীয় গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ কুয়েত।
গত কয়েকদিন আগে এই লেবাননকে হারিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় কাপ জিতেছিল ভারত। কিন্তু এদিন ছক বদলে মাঠে নেমে সেই লেবাননকে হারাতে বেশ বেগ পেতে হল ব্লু টাইগার্সকে। ম্যাচের রাশ ধরতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লেগে যায়। তারমধ্যে অবশ্য ভারতীয় দূর্গে হানা দিয়ে দেয় লেবানন। তারপরেও প্রথম ৪৫ মিনিটে ভারতও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু সামাদ, জিকসনরা সেই সুযোগ নষ্ঠ করেন।
মোটামুটি গতিময় ফুটবল ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ভারত লিড পায় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর গোলেই। লেবাননের অধিনায়ক হাসান মাটুকের প্রথম শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। প্রতিপক্ষের আরও একটি শট বার উচিয়ে চলে যেতেই ফাইনালে ওঠে ভারত। মঙ্গলবার ফাইনালে ভারত খেলবে কুয়েতের বিরুদ্ধে।