সেমিফাইনাল (Semi Final)-সহ ভারতের মাটিতে পাঁচটি বিশ্বকাপের (World Cup) ম্যাচ পেল কলকাতা (Kolkata)। পাঁচ নভেম্বর ইডেনে খেলবেন রোহিত শর্মারা। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ইডেনে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হবে ২৮ অক্টোবর। ওই দিন এই বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনকারী দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হবে কলকাতায়।
১৯৯৬ সালে ইডেনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচ আজও অভিশপ্ত বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে। দর্শক গন্ডগোলের জেরে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই ম্যাচ। পরিত্যক্ত সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। ২৭ বছর আগের সেই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
ভারতের মাটিতে এদিনের ক্রীড়া সূচিকে স্বাগত জানিয়েছে সিএবি। সিএবি কর্তাদের দাবি, ২৭ বছর আগের অভিজ্ঞতা ভুলে তাঁরা নতুন করে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য তৈরি হচ্ছেন। এই বছর অক্টোবরের শেষে পুজো। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী। লক্ষ্মী পুজো ২৮ তারিখ। কোজাগরীর সন্ধ্যাতে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ কলকাতায়।
শেষ দিন পর্যন্ত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনালের (Final) আশা বেঁচে থাকল ভারতের (India)। সৌজন্য বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তাঁরা। হাফ সেঞ্চুরির গোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন বিরাট। ৪০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলেছে টিম ইন্ডিয়া। এখনও ২৮০ রান তুলতে হবে ভারতকে। হাতে চারটি সেশন। বিরাট ও রাহানে কি দেশকে প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জয় এনে দিতে পারবেন!
শনিবার ২৭০ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় অস্ট্রেলিয়া। আগের লিড যোগ করে, ভারতের টার্গেট হয় ৪৪৪ রান। তিন উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা, ২ উইকেট পান মহম্মদ শামি ও উমেশ যাদব। এক উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে ভারত। শুভমান গিলের আউট নিয়ে বিতর্ক ছিল। ১৮ রান করে বোলান্ডের ডেলিভারিতে ফেরেন তিনি। ৪৩ রান করেন রোহিত শর্মা। ২৭ রান করে প্যাট কামিন্সের ডেলিভারিতে ফেরেন চেতেশ্বর পূজারা। এরপরই ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে। ৪৪ রান করে অপরাজিত বিরাট। ২০ রান করেছেন রাহানে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) ফাইনালের (Final) চতুর্থ দিনের সকালেই উইকেট পেলেন উমেশ যাদব (Umesh Jadav)। টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশানকে ফেরালেন তিনি। ভারতকে আরও একবার সুযোগ এনে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। টেস্টের তৃতীয় দিনই ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। শনিবার ওভালে তাঁর ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ক্যামেরুন গ্রিন।
শুক্রবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে স্বস্তি দেন জাদেজা। ফেরান প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া দুই ব্যাটসম্যান ট্রেভিস হেড ও স্টিভ স্মিথকে। এবার ক্যামেরুন গ্রিনকেও বোল্ড করেন জাড্ডু।
উইকেট হারালেও ইতিমধ্যেই বড় রানের লিড নিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে গেলে দ্রুত অস্ট্রেলিয়ার উইকেট তুলতে হবে ভারতকে।
ওভালে (Oval) বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ফাইনালে (Final) টস জিতে বল করছে ভারত। বুধবার লন্ডনে শুরু আইসিসি-র টেস্টের বিশ্ব সেরার লড়াই। প্রতিপক্ষ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এদিন টস জিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অশ্বিনকে বাইরে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দল সাজালো ভারত। রোহিত জানিয়েছেন, চার পেসার নিয়েই মাঠে নামছেন। তিনি জানান, অশ্বিনকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল। ফলে, শামি-সিরাজ-উমেশের সঙ্গী শার্দুল ঠাকুর।
পিচের চরিত্রের উপরেই নির্ভর করছিল ওভালে অশ্বিনের প্রথম একাদশে থাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুবজ ওভালে চার পেসারের লোভ আর সামলাতে পারলেন না ভারত অধিনায়ক।
তবে অশ্বিনকে বাইরে রেখে দল সাজালেও, উইকেটে পিছনে ইশান কিশান নন, ভরতের উপরেই ভরসা করেছেন রোহিত শর্মা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শার্দুল দলে থাকায় লোয়ার অর্ডারে একজন ব্যাটার পেয়ে গেলেন রোহিত। এখনও অবধি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের লাঞ্চ ব্রেকের আগে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করেছে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ওয়ার্নার ৬০ বলে ৪৩ রান করে আউট হয়েছেন। উসমান ১০ বলে রান না করেই ঘরে ফেরেন। ব্যাট করছেন স্টিভ স্মিথ ও লাবুশনে। ওদিকে ভারতের পক্ষে ১টি করে উইকেট পেয়েছে সিরাজ ও শার্দুল ঠাকুর।
অতীতে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ শুরুর আগে তৈরি হতো অশান্তির বাতাবরণ। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া নিয়ে মুখ খুলে একথায় বললেন বিরাট কোহলি।
একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কোহলি বলেছেন, আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের আগে অশান্তির আবহ থাকলেও এখন তা ধীরে ধীরে সমীহে পরিণত হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রতিপক্ষ যে সমীহ করে সেটা আমরা দেখেই বুঝতে পারি।"
একইসঙ্গে কোহলির বক্তব্য়, আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ম্য়াচ থাকলেই তা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠত। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বৃষ্টির জন্য রবিরার ভেস্তে গিয়েছিল আইপিএল-এর ফাইনাল ম্যাচ (IPL Final Match)। ফলে সোমবার গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) ও চেন্নাই সুপার কিং-এর (Chennai Super King) খেলা দেখতে মুখিয়ে বসেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরপর অবশেষে সোমবার ধোনি ও পান্ডিয়ার খেলা দেখতে পারলেন ভারতবাসী। কিন্তু এই খেলা দেখার মধ্যেই আরও এক কাণ্ড ঘটে গেল, যা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। সোমবার ম্যাচ চলাকালীন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগি এমন এক মজাদার টুইট করেছে, যা এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। 'সুইগি' থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচের দিন যেমন বিক্রি হয়েছে বিরিয়ানি (Biryani), তেমনি দেদার বিক্রি হয়েছে কন্ডোম। ফলে সমাজমাধ্যমে ঠাট্টা-মশকরা করে নেটিজেনরা বলছেন, 'প্রকৃতপক্ষে কে জিতল ধোনি না বিরিয়ানি?'
সোমবার ম্যাচ চলাকালীন সুইগি টুইট করে জানিয়েছে, 'এই মরশুমে সবথেকে বেশি অর্ডার করা খাবারের মধ্যে ট্রফি জিতেছে বিরিয়ানি। প্রতি মিনিটে ২১২ টি প্লেট অর্ডার করা হয়েছে বিরিয়ানি। মোট ১২ মিলিয়নের মতো বিরিয়ানি প্লেটের অর্ডার এসেছে।' আবার সুইগি থেকে আরও একটি টুইট করা হয়েছে, যেখানে লেখা রয়েছে, '২৪২৩ টি কন্ডোম সুইগির মাধ্যমে ডেলিভার করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, আজকের এই ২২ জন খেলোয়াড় ছাড়াও আরও অনেক খেলোয়াড় রয়েছে।' আর এই টুইট নেটাগরিকদের নজরে আসতেই ঠাট্টা-মশকরায় মেতেছে নেটিজেনরা।
বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই ফাইনালের (Final) দিন রিজার্ভ ডে (Reserve Day) বা অতিরিক্ত দিনের চিন্তাভাবনা করে রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আশঙ্কা সত্যি করে বৃষ্টির দাপটে শুরুই করা গেল না আইপিএল ফাইনাল খেলা। দফায় দফায় বৃষ্টিতে বাতিল করে দিতে হয় দিনের খেলা। গুজরাত টাইটান্স-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ হওয়ার কথা সোমবার। যদিও তা নিয়ে সংশয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেমন থাকবে সোমবার বিকেলের পর আহমেদাবাদের আবহাওয়া, তা জানতে ভরসা আবহাওয়া দফতর। সোমবার কি সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করা যাবে আইপিএল ফাইনাল? নাকি অতিরিক্ত দিনেও জলে ভিজবে সব আয়োজন?
পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবারও আহমেদাবাদে বৃষ্টি হবে। স্বস্তির খবর, সন্ধ্যার পর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তাতে ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। যদিও সোমবার সকালে আহমেদাবাদে মাঝারি মানের বৃষ্টি হয়েছে। আবহবিদদের আশ্বাস, দিনের দ্বিতীয় অংশে মেঘ মুক্ত হতে শুরু করবে আকাশ। এ দিন সকাল ৭টায় আহমেদাবাদের আকাশের ৭০ শতাংশ ছিল মেঘে ঢাকা। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফাইনাল শুরুর সময় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে আকাশের ৫০ শতাংশ মেঘে ঢাকা থাকতে পারে। সেই মেঘ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। রাত বাড়ার সঙ্গে মেঘমুক্ত হবে আহমেদাবাদ। উন্নতি হবে আবহাওয়ার।
ক্রিকেটপ্রেমীরা খেলা দেখতে চান। ২২ গজের লড়াইয়ের মাধ্যমে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হোক। তাঁদের সেই আশায় জল ঢেলেছিল আহমেদাবাদের রবিবারের আবহাওয়া। তাই সোমবারের আকাশের দিকে তাকিয়ে সকলে। আবহবিদদের পূর্বাভাস কিছুটা স্বস্তি দিলেও, নিশ্চিত হতে পারছে না কেউই। রবিবারের বৃষ্টি আশঙ্কায় রেখেছে সকলকে।
বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল আইপিএল ফাইনাল (IPL Final)। রাত ১০টা ৫২ মিনিটে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন, খেলা শুরু হওয়া সম্ভব নয়। কাট-অফ টাইম ছিল রাত ১২টা ০৬ মিনিট। কিন্তু পৌনে ১১টা থেকে ফের বৃষ্টি নামায়, ফাইনাল বাতিল ঘোষণা করল আইপিএল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রিজার্ভ ডে-তে ফের নামবে চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাত টাইটান্স।
সন্ধে ৭টার সময় টস হওয়ার কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। তার আগে ভেস্তে যায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানও। সাড়ে ৭টার সময় জানানো হয়, ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাতে পারে। কাট-অফ টাইম হবে ১২টা ০৬ মিনিট। রাতে একবার বৃষ্টি কমলে আশা করা হয়েছিল, খেলা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ রেফারি।
সোমবার একই সময় খেলা শুরু হবে। সাড়ে সাতটা থেকে। সোমবারও আকাশের মুখ ভার থাকবে। যদি দুই টিম না নামতে পারে, তা হলে আইপিএলে নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে গুজরাত টাইটান্সকে।
রবিবার আইপিএলের (IPL) মেগা ফাইনাল (Final)। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও গুজরাট টাইটান্স (GT)। ধোনির অভিজ্ঞতা বনাম হার্দিকের সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ফাইনালে জিতবে কোন দল ? অপেক্ষার প্রহর গুনছে ক্রিকেট বিশ্ব। এদিকে, মেগা ফাইনালে আহমেদাবাদে কিন্তু বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকছে। ফলে ভেস্তে যেতে পারে ফাইনাল ম্যাচ। কী বলছে আজ আহমেদাবাদে সন্ধ্যার আবহাওয়া ?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার সন্ধেবেলায় আহমেদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে প্রায় ৪০ শতাংশ। টানা দু'ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আহমেদাবাদের আকাশ সারাদিন মেঘলা থাকবে। তবে, ভারী নয়, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাই থাকছে এদিন। বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচ ভেস্তে গেলে কোন দলকে কীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে, এখন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, কোনও ওভার খেলা না গেল আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের উপরে চোখ রাখা হবে। যে দল সবথেকে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে, সেই দলকেই শেষপর্যন্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এবার আইপিএলে কিন্তু সেই চেনা ছন্দে নেই চেন্নাই সুপার কিংস। অধিনায়ক ধোনির ক্ষুরধার মস্তিষ্কে হারছে বিপক্ষ। সৌরভও প্রশংসা করেছেন ধোনির নেতৃত্বের। এবার জিতলে রোহিত শর্মার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন মাহি। দলকে পঞ্চমবার খেতাব এনে দেবেন তিনি। অন্যদিকে, গুজরাট আর একটা ম্যাচ জিতলে চেন্নাই, মুম্বইয়ের সঙ্গে একই আসনে উঠে যাবে। পরপর দুই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই দুই টিমই।
এফএ কাপের (FA Cup Final) ফাইনালে পৌঁছনো অভ্যাস করে ফেলেছে রেড ডেভিলসরা। ব্রাইটনকে সাডেন ডেথে হারিয়ে আরও একবার ঐতিহ্যশালী এফএ কাপের ফাইনালে চলে গেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United)। এরিক টেন হ্যাগ আর কাপের মাঝে এখন পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যান সিটি। ৩ জুন মুখোমুখি হবে দুই দল। অনেকেই ভেবেছিলেন ব্রাইটনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে মাঞ্চেস্টার। সেই ভাবনা কত বড় ভুল ছিল দেখালো ব্রাইটনের লড়াই। নির্ধারিত ৯০ মিনিট আর অতিরিক্ত সময়ে গোল হয়নি। এরপর টাই ব্রেকার। প্রথম পাঁচটা কিকেই গোল পায় দুটো দল। শেষপর্যন্ত সাডেন ডেথে গিয়ে ফাইনালের টিকিট পেলো টেন হ্যাগের দল। কিক নষ্ট করলেন ব্রাইটনের সোলি মার্চ। পরের শট গোলে পাঠিয়ে মাঞ্চেস্টারকে স্বস্তি দিলেন ভিক্টর লিন্ডেলফ।
এই নিয়ে ২১ বার এফএ কাপের ফাইনালে পৌঁছল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একদা দৈত্যর দল। লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কাসিমেরো, মার্কাস রাশফোর্ডরা। তবে লিগ কাপের পর এফএ কাপের ফাইনালের টিকিট মুখে হাসি ফোটাবে ম্যান ইউ ম্যানেজমেন্টের। মেগা তারকা রোনাল্ডো বিদায়ের সময় বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কোচ আর ম্যানেজমেন্টকে। লিগে ব্যর্থ হলেও বাকি ঘরোয়া দুই টুর্নামেন্টে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা হয়েছে। মরশুম শেষে মার্কশিট করতে বসলে প্রাপ্তি এটুকুই। আর এফএ কাপ ঘরে তুলতে পারলে তো সোনায় সোহাগা।
রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে বাংলা (Bengal)। মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠল বাংলা। ২০১৯-২০ সালের পর আবারও ফাইনালে বঙ্গ ব্রিগেড। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু রঞ্জি ফাইনাল।
এর আগে ২০১৯-২০ মরসুমে এই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেই সেমিফাইনালে হেরেছিল বাংলা। দায়িত্ব ছাড়েন কোচ অরুনলাল। কোচের হট সিটে বসেন প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। অধিনায়ক করা হয় মনোজ তেওযারিকে। ফল মিলেছে হাতেনাতে। রঞ্জি জয়ের সোনার সুযোগ বাংলার সামনে। এই নিয়ে ১৪ বার ফাইনালে উঠলো বাংলা। শেষবার ঘরের মাঠে দল যখন রঞ্জি যেতে তখন অধিনায়ক ছিলেন সম্বরণ বন্দোপাধ্যায়।
১৯৮৯-৯০ সালের পর রঞ্জির সোনার হরিণ অধরাই থেকে গিয়েছে। এবার ট্রফি ঘরে তুলতে মরিয়া বাংলা। বিশেষ করে দারুন ছন্দে আছে দল। সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রানের ইনিংস খাড়া করেছিলেন মনোজরা।। জোড়া শতরান করেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার আর সুদীপ ঘরামী। জবাবে ৫ উইকেট নিয়ে মধপ্রদেশকে ভেঙে দিয়েছিলেন আকাশ দীপ সিং। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে মধ্যপ্রদেশকে শেষ করে দিলেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। শেষ দিনে চা বিরতির আগে ২৪১ রানেই শেষ মধ্যপ্রদেশ। এবার মিশন ফাইনাল। তৃতীয়বার ট্রফি জেতার সুযোগ টিম বাংলার সামনে।
কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) ফাইনাল রাজ্যের ক্রীড়া ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) চোখে। খেলা দেখে কী লিখলেন তিনি..
১৪ ঘন্টা কেটে গিয়েছে, এখনও ফাইনাল (World Cup Final 2022) জ্বরে আচ্ছন্ন সারা পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীরা। কী খেলাটাই দেখলাম রবিবাসরীয় রাতে। এরকম একটা ফাইনাল এর আগে কবে দেখেছি মনে করতে পারছি না। আমি একসময় মোহনবাগান ও ব্রাজিলের প্রচন্ড সমর্থক ছিলাম। কিন্তু মন্ত্রিত্বের দায়িত্বে আসার পর একেবারেই নিরপেক্ষ।
রবিবার রাতে আমার এলাকায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে ফাইনালের (Argentina beats France) ব্যবস্থা করেছিলাম। বললে বিশ্বাস করবেন না প্রায় ৫ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। নানা পোশাকে, বিশেষ করে নীল-সাদা জার্সিতে এই ঠান্ডায় সব এসে উপস্থিত। একেক সময়ে ভাবি এই খেলা পাগল দর্শকের দেশ ভারত বা বাংলাদেশ, অথচ এখন থেকে কবে যে ফুটবলার উঠবে কে জানে।
অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন বা এআইএফএফের ভাবনার বিষয়। যাই হোক, এবারে লিখি খেলা কেমন হলো! নিঃসন্দেহে প্রথম অর্দ্ধে অসাধারণ আর্জেন্টিনা। মুহুর্মুহু আক্রমণে কাহিল করে দিয়েছিলো ফ্রান্সকে। মনে হচ্ছিলো ফ্রান্স কি খেলা ছেড়ে দিলো? ডি'মারিয়া বাঁ প্রান্ত থেকে দুজন ফ্রান্স ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সেঢুকেছে , অমনি ফাউল। আর্জেন্টিনার কোচের এবার টুর্নামেন্টে একটা বিশেষ স্ট্রাটেজিই ছিল বক্সে ঢুকে কাটাও, ড্রিবল করো, তোমাকে মারবেই এবং মারলেই পেনাল্টি। লক্ষ্য করে দেখা প্রায় প্রতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা পেনাল্টি পেয়েছে এবং গোল করেছে মেসি। দ্বিতীয় গোলটি কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫টি টাচ এবং বাঁ প্রান্ত থেকে ডি'মারিয়ার অসাধারণ গোল।
দ্বিতীয়ার্দ্ধে একসময় কোচ ডি'মারিয়াকে কেন তুলে নিলো বুঝলাম না। ও উঠে যাওয়ার পর ফ্রান্সের কোচ একে একে গ্রিসম্যান এবং জিরুডকে তুলে নেওয়ার পর ফ্রান্সের খেলার ঝাঁজ বাড়লো। এই সময়ে আর্জেন্টিনা কি খেলায় একটু হালকা দিলো। এমবাপেকে অনেকটাই মাঠজুড়ে খেলতে দেখা গেলো।
এরপর বক্সের মধ্যে ধাক্কা এবং পেনাল্টি। প্রথম গোল এমবাপের। কিছুক্ষণের মধ্যে দ্বিতীয় অসাধারণ মুভে ফের এমবাপেই গোল করলেন। এক্সট্রা টাইম, ফের খেলা ধরলো আর্জেন্টিনা এবং টাচ ফুটবলে ড্রিবল করে গোল পেলেন মেসি কিন্তু ওই কিছুক্ষণ। বক্সে হাতে বল লাগার জন্য ফের পেনাল্টি পেলো ফ্রান্স।
ফের গোল করলেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাই ব্রেকারের মাধ্যমে খেলা শেষ হলো। আর্জেন্টিনা টাই ব্রেকে অনেক সপ্রতিভ ছিল। পরপর ৪টি গোল করলো মেসির দল কিন্তু এখানেই পিছিয়ে ফ্রান্স কারণ গ্রিসম্যান , জিহুর মতো খেলোয়াড় ছিল না যাঁরা পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ।
ভালোই হয়েছে, পেলে , মারাদোনার পর একটি নামই আসে বিশ্ব ফুটবলের সেরাদের মধ্যে তিনি জাদুকর মেসি। তাঁর হাতে কাপটি না উঠলে খারাপ লাগত। তবে মেসি হয়তো বিদায় নিলেন এবং দেখে গেলেন নতুন প্রজন্মের এমবাপে এসে গিয়েছেন আগামীর জন্য।
প্রসূন গুপ্ত: রাত ১২.৩০ মানেই আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। আয়েশি বাঙালি যতই ঘুমকাতুরে হোক না কেন রাতে বিশ্রাম নেই। আসলে রাতের খেলাগুলো কাতারে বড় দলগুলির খেলা ছিল বলেই, হয়তো রাত জাগাকে ভবিতব্য মেনে নিয়েছে খেলা পাগল এই জাতি। এখানেই শেষ নয় ব্রাজিল বিদায় নেওয়ার পর সাপোর্টারের ভিড় ছিল আর্জেন্টিনার দিকে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে সবাই রাত জেগেছিলো। বাদ যাননি ব্রাজিলের কোনও এক গোড়া সমর্থক। খেলায় একটি করে গোল হয়েছে আর টালিগঞ্জ বা দমদমে পটকা ফেটেছে। রাত আড়াইটার পর তো কালীপুজোর রাত হয়ে গিয়েছিলো, কলকাতা এবং শহরতলিতে যেন অকাল দিওয়ালি। আর তো মাত্র একটা রাত জাগার ব্যাপার। এরপর তৃতীয় স্থানের লড়াই আর ফাইনালের সময় তো চমৎকার, ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০। ফিফা কমিটি স্বীকার করেছে ভারত, বাংলাদেশের মতো দর্শক সারা বিশ্বের কোথাও নেই। সুতরাং তাঁদের কথা ভেবে এবং বিজ্ঞাপনের ভাবনা থেকে সম্প্রচারকারী টিভি কোম্পানির দাবিই নাকি ছিল যে ভাবেই হোক ৮.৩০-এর সময়কে ফাইনালের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
ফলে মস্কো ফাইনাল এবং কাতার ফাইনাল এই সন্ধ্যারাতেই হচ্ছে। সে যাই হোক বুধবার মধ্যরাতের খেলায় এগিয়ে কে? অন্য সময় হলে নিশ্চই বলা যেত এমবাপের ফ্রান্স। ফ্রান্সের কিন্তু প্রচুর সমর্থক বাংলায়। জিদানের সময় থেকে এই ফ্রান্স ভক্তি। এবার তো আরও অনেকে আছে। ইংল্যান্ড ফ্রান্সের খেলায় ফ্রান্সের সমর্থক ছিল বেশি। এবারে হেরে যাওয়া ব্রাজিলের সমর্থকরা নিশ্চিত ফ্রান্সকে সমর্থন করবে এমনটাই ভাবা হয়েছিল।
কিন্তু জানা যাচ্ছে আফ্রিকার সিংহ হয়ে ওঠা মরোক্কোর দিকে আজ রাতে সমর্থন থাকবে বেশি। ফ্রান্সের আক্রমণ রোখা মুশকিল, তবুও বলা যেতে পারে উত্তর আফ্রিকার এই দেশের হারানোর কিছু নেই। তাই ৯০ মিনিট সেরা খেলাটাই খেলবে তাঁরা।
কাতার বিশ্বকাপ সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের চোখে। খেলা দেখে কী লিখছেন তিনি
আহ কি খেলাটাই দেখলাম মঙ্গলবার রাতে! খেলা শুরু হয়েছিল আমাদের ঘড়ির রাত ১২.৩০-এ, শেষ হলো ঠিক ২.২০-তে। তারপর বাকি রাতটা আর ঘুম এলো না। স্বাভাবিক এরকম একটা স্বপ্নের ফুটবল ম্যাচ তাও সেমিফাইনাল এবং সঙ্গে মেসি সঙ্গে ৩টে অসাধারণ গোল ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে গেলো। ফুটবল প্রেমীর চরিত্রের উপর প্রশাসনের আবরণ পরে এবার সকালে প্রশাসনিক কাজে বেরোতে হবে যে। হাওড়ার বাসিন্দা কাজেই ফুটবল আমাদের রন্ধ্রে-অণুতে। আমি কিন্তু খাঁটি ভারতীয় তারপর মোহনবাগানী কাজেই বিশ্ব ফুটবলে কোনও সুনির্দিষ্ট দলের সমর্থক নই। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল ভালো লাগে এবং অবশ্যই লাতিন আমেরিকার ফুটবলের স্কিল। আমার ভালো লাগার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো ২০০২-এর পর। ওই শেষ বারের মতো ব্রাজিলের পায়ের কাজ দেখেছিলাম রোনাল্ডো,রবার্তো কার্লোসদের। তারপর একেবারেই ইউরোপিয়ান ঘরানার প্রেসিং ও পাসিং ফুটবল।
মঙ্গলবার রাতে ফের শিল্প ফায়ার এলো মেসি বাহিনীর হাত ধরে। ৩টি গোল, কোনটাকে কার আগে রাখবো এখনও বুঝতে পারছি না। সকলেই ধরে নিয়েছিল ব্রাজিলকে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া কাজেই আর্জেন্টিনা আর কী করতে পারে। এছাড়া লাতিন আমেরিকার দলের চরিত্রই হচ্ছে ডিফেন্স আলগা রেখে আক্রমণে যাও। কিন্তু ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ব্রাজিলের মতো আক্রমণে প্রথমে যায়নি আর্জেন্টিনা। আল্ট্রা ডিফেন্স রেখে খেলা শুরু করেছিল অর্থাৎ ক্রোটদের আক্রমণ করতে দাও পরে আলগা বল ধরে প্রতি-আক্রমণ। ডিফেন্স এবারে যথেষ্ট ভালো আর্জেন্টিনার। গোলে মার্টিনেজ, উইথড্রল স্টপার মাক্যালিস্টার একটু নিচ থেকে রড্রিগো দি'পল।
শুরুতে ডিফেন্সের পথে না গিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ গেলো মড্রিচের দল। কিন্তু কিছুতেই বক্সের ভিতরে যেতে পারলো না। ৩০ মিনিট এভাবেই চলার পর হঠাৎ চলতি বল নিয়ে যাওয়ার পথে বক্সে ক্রোট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ, আলভারেজকে ফাউল করে বসে, পেনাল্টি ১০০% | মেসি এসে বাঁ পায়ে গোলকিপারের বাঁদিকের কোন দিয়ে গোল করে এগিয়ে দেন দেশকে। এরপর ৫ মিনিটের মধ্যে ৮৬-র মারাদোনাকে মনে করিয়ে দিলো জুলিয়ান আলভারেজ। নিজেদের অর্ধ থেকে একই বল নিয়ে বুলডোজারের মতো ক্রোটদের পাশে রেখে একার কৃতিত্বে বুটের টো দিয়ে জালে বল জড়ান। আগামীতে মেসি চলে যাওয়ার পর নতুন সুপারস্টার পেয়ে গেলো আলভারেজকে। এরপর আরও একটি গোল হতে পারতো। দুটি গোল খেয়ে মদ্রিচ, পেরিসিচ, কোভাচিচরা খেলা থেকেই যেন বেরিয়ে গেলো। এমনিতেও এই বিশ্বকাপ এদের অনেকের শেষ বিশ্বকাপ।
ব্রাজিলের সঙ্গে খেলে এনার্জিটা ছেড়ে এসেছিলো কি? তৃতীয় গোল সেই ৮৬-র মারাদোনাকে মনে করিয়ে দিলেন মেসি। ডান দিক থেকে গতি বাড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার জাস্কো গার্ডিওলকে ঘাড়ের কাছে রেখেই একের পর এক ইনসাইড আউটসাইড ডজ এবং লম্বা স্প্রিন্ট। একটা সময় গার্ডিওলকে ডজ করে পিছনে ফেলে বারের এক প্রান্তে গিয়ে ঠিকানা লেখা পাস বাড়ালেন আলভারেজকে। গোলমুখ খুঁজতে ভুল করেননি বছর বাইশের আলভারেজ। তিনি ঠিকানা লেখা পাস জালে জড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন বোঝালেন এবার আমি এসে গিয়েছি।
সেরা খেলা দেখলাম মঙ্গলবার মধ্যরাতে। তুলনাহীন, এবারে কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে যতটুকু ফারাক রইলো রবিবাসরীয়তে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
মুন্নি চৌধুরীঃ মহারণের অপেক্ষায় লুসাইল স্টেডিয়াম (Lusail Stadium)। নীল-সাদা বনাম লাল-সাদা। বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে আর্জেন্টিনার (Argentina) সামনে ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। ভারতীয় সময় ম্যাচ শুরু বুধবার রাত সাড়ে ১২টা অর্থাৎ মঙ্গলবার মধ্যরাত। এই মেগা ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে অদ্ভুত পরিসংখ্যান ঘুরছে কাতারে। বিশ্বকাপ (World Cup 2022) সেমিফাইনালে কখনও হারেনি আর্জেন্টিনা। এবার স্কালনির দল আর ফাইনালের মাঝে দাঁড়িয়ে শুধু ক্রোট-রা। ২০১৪-র পুনরাবৃত্তি কি হবে লুসেইল স্টেডিয়ামে। ৮ বছর বাদে কি আবার ফাইনাল খেলবেন মেসিরা?এ ধরনের কাধিক প্রশ্ন ঘুরছে ফুটবল প্রেমী বাঙালির মনে। যদিও কাতার কাপযুদ্ধে মেসি (Lionel Messi) ম্যাজিকের দিকেই তাকিয়ে আর্জেন্টিনা সাজঘর।
টুর্নামেন্টে চার গোল হয়েছে লিওর। প্রতি ম্যাচেই ধেয়ে আসছে কড়া ট্যাকল। আটকানো যায়নি মেসিকে। ডালিচের দলের জমাট দুর্গ ভাঙতে মারাদোনার দেশ তাকিয়ে মেসির বাঁ পায়ের দিকে। তবে স্কালনির কাজটা মোটেও সহজ নয়। ৫-৩-২ আর্জেন্টাইন কোচের প্রিয় স্ট্রাটেজি। সিঁড়ি ভাঙা অংকের মতো সেটা কখনো হয়ে দাঁড়ায় ৪-২-৩-১ সিস্টেমে। লুকা মদ্রিচদের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রবল চিন্তায় নীল-সাদার কোচ। কার্ড সমস্যার কারণে নেই লেফটব্যাক আকুইনা, নেই মন্ত্রিয়েল।
কোচের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে ক্রোট কোচের স্ট্রাটেজি। দুটো উইংকে চমৎকার ব্যবহার করেন ডালিচ। ব্রাজিল ওখানেই ডুবেছে। স্কালনি সেই ভুল করতে চান না। ফ্যাক্টর আরও আছে। দুই গোলকিপারের ডুয়েল। মেসির দলে মার্টিনেজ আছেন। মদ্রিচদের আছেন লিভাকভিচ। দুজনেই টাইব্রেকারে বিশেষজ্ঞ। মার্টিনেজ শপথ নিয়েছেন মেসির হাতে কাপ তুলেই ছাড়বেন। ডাইনামো জাগরেবে খেলা লিভাকোভিচ এবার গোল্ডেন গ্লাভসের দাবিদার। ২০১৮-র পর ২০২২। টানা দু'বার ফাইনালে ওঠার হাতছানি ক্রোয়শিয়ার সামনে।
টাইব্রেকারে এই দল অপ্রতিরোধ্য। ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করতে চাইবে আর্জেন্টিনা। ডিফেন্স জমাট করে ম্যাচটা রবারের মতো টেনে নিয়ে যেতে চাইবে ডালিচের দল। কাউন্টডাউন কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে।