পুকুর থেকে উদ্ধার নিখোঁজ (Missing) এক খুদে পড়ুয়ার (Student) নিথর দেহ। শনিবার দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডালের শঙ্করপুর মাঝি পাড়া সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই পড়ুয়ার নাম পীযুশ রাউত, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পুকুর থেকে ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার স্কুলের উদ্দেশ্য়ে বেরিয়েছিল পীযুশ। তারপর থেকে আর ঘরে ফেরেনি। রহস্যজনকভাবে গোটা একদিন ধরে নিখোঁজ ছিল পীযুশ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘরের ছেলেকে ফিরে না পেয়ে অন্ডাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার।
অবশেষে শনিবার সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় পীযুশের মৃতদেহ। রহস্যজনক এই মৃত্যুর পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস। তবে কোথায় গিয়েছিলো পীযুষ? আর কেনই বা পুকুরে গেল ছোট্ট পীযুষ? এইসব প্রশ্নগুলির এখন উত্তর খুঁজছে দুর্গাপুরের অন্ডাল থানার পুলিস।
বজ্রপাতে জখম একই স্কুলের (Student) সাতজন পড়ুয়া। আহত এক মহিলা রাঁধুনিও। ঘটনার পর আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই ঘটনার জেরে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহার জামগড়া প্রাথমিক স্কুলে। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটে আসে লাউদোহা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন দুপুর একটা পনেরো নাগাদ টানা বৃষ্টির মধ্য়েও চলছিল লাউদোহা জামগড়া প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস। তখন আচমকাই বিদ্যুতের গতিতে ছুটে আসা আলোর ঝটকায় প্রথমে দুই পড়ুয়া আহত হয়। আর সেই সময় স্কুলের রান্নাঘরে রান্না করছিল রাঁধুনি। তার হাতেও গিয়ে লাগে ঝটকা। কারোর হাতে কারো পায়ে আবার কেউ বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। সাত পড়ুয়া আর এক মহিলা রাঁধুনিকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ লাউদোহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
আপাতত আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও বজ্রপাতে আতঙ্কের ছাপটা স্পষ্ট সবার চোখে মুখে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো সাত স্কুল পড়ুয়া সহ আট জন।
বিজেপি (BJP) প্রার্থীর বাড়িতে হামলার (Attack) অভিযোগ তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বরে। পান্ডবেশ্বরের (Durgapur) এই ঘটনায় দুষ্কৃতীরা গ্রেফাতর না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী দিয়েছেন বিজেপি জেলা সভাপতি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দলের কর্মীরা।
সূত্রের খবর, হরিপুর পঞ্চায়েতের ৩৬ নম্বর বুথের বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ছিলেন কাজলি বাদ্যকর। অভিযোগ, মঙ্গলবার তাঁদেরকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর পর ফল বেরোতে দেখা যায় এই সংসদে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী। এতদূর পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক ছিল, কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বিজেপি প্রার্থী কাজলি বাদ্যকরের বাড়িতে গিয়ে প্রথম হুমকি দেয়। তারপরেই তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা, এমনই অভিযোগ।
যদিও এই ঘটনায় শাসক দলের জেলা সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর আশ্বাস দিয়েছেন, 'যদি দলের কেউ এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে প্রশাসন তার নিজের মতো করে ব্যবস্থা নিক।' তবে বিজেপি নাটক করতে পারে বলেও তার পাল্টা অভিযোগ।
একাধিক জেলা থেকে একই অভিযোগ উঠে আসছে। ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা বিরোধী দলের এজেন্টদের। দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসাতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে চরম উত্তেজনা। বিরোধী এজেন্টেদের ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আর সেই নিয়েই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কাঁকসাতে (Kanksa)। তবে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force) এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
সিপিআইএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত দুর্গাপুরের কাঁকসার ভোট গণনা কেন্দ্র। এক সিপিআইএম প্রার্থীকে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার মুখেই মারধর করার অভিযোগ। এরপরই উত্তপ্ত হয় গোটা এলাকা। দুই পক্ষকে সামলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নামানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সিপিআইএমের কাউন্টিং এজেন্টরা জানিয়েছেন, ভোট গণনা কেন্দ্রটিকে রীতিমতো ঘিরে রেখেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। এমনকি অনেক এজেন্টকে তুলেও নিয়ে গিয়েছে, মারধর করেছে, তবে এই সবকিছু দেখেও চুপচাপ ছিল বেঙ্গল পুলিস। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের উদ্ধার করেন, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা।
বেপরোয়া গতিতে এক বাইককে ধাক্কা (Accident) মেরে গ্রামের ভিতরে ঢুকে পড়ল গাড়ি। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে গ্রামের একাধিক গবাদি পশুর। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসা থানার অন্তর্গত মলানদীঘি ফাঁড়ির অধীন বিষ্ণুপুর গ্রামে। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিস (Police)। তখনই পুলিসকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তবে পুলিস ইতিমধ্যে ওই ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে একটি চার চাকা গাড়ি প্রথম ধাক্কা মারে এক বাইক চালককে। তারপরে রাস্তায় টহলরত পুলিসরা ওই বেপরোয়া গাড়িটিকে ধাওয়া করলে, গাড়িটি বিষ্ণুপুর গ্রামের ভিতর ঢুকে পড়ে। প্রথমে গ্রামের বেশ কয়েকটি অটোকে ধাক্কা মারে। তারপরেই একাধিক গবাদি পশুকে ধাক্কা মেরে ঝড়ের বেগে চলে যায় ওই স্করপিও গাড়িটি। পুলিস আরও জানায়, এই ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। রাতের অন্ধকারেই শুরু করে বিক্ষোভ। তবে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে গ্রামবাসীদের বোঝানোর পর তাঁরা বিক্ষোভ তুলে নেন।
স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিলো না। দীর্ঘদিন আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল আসানসোল আদালতের (Asansol Court) আইনজীবী ব্রজেশ দাস ও তাঁর স্ত্রীর বলে সূত্রের খবর। তবে এই ঘটনার যে এমন নির্মম পরিণতি ঘটবে সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডালের খাস কাজোড়ার আজিরবাগান এলাকাবাসী।
ব্রজেশ দাসকে খুনের অভিযোগ উঠছে স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে। পেশায় আসানসোল আদালতের আইনজীবী ব্রজেশ দাসকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়। পরে দুর্গাপুরের অন্ডালের খাস কাজোড়ার আজিরবাগান এলাকায় নিজের বাড়িতে বস্তাবন্দী করে নিয়ে এসে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই খাস কাজোড়া কলিয়ারীর আজিরবাগান এলাকায় থাকেন ব্রজেশ দাসের শ্বশুর তারকনাথ দাস, যিনি ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।
অভিযোগ উঠেছে, অনুমানিক বছর ৫১-র ব্রজেশ দাসের স্ত্রী ও শ্বশুর এই নৃশংশ খুনের সঙ্গে জড়িত। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে। গত শনিবারের এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন, জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুদেব নুনিয়া। তাঁর বক্তব্য, অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক। কারণ, কোনোভাবেই এই অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা রয়েছে দুর্গাপুরের অন্ডালের খাস কাজোড়া এলাকায়।
'কোলা ব্যাঙের বিয়ে হবে, চলছে আয়োজন। শত শত ব্যাঙ ব্যাঙাচি পেলো নিমন্ত্রণ।' তবে এক্ষেত্রে কেবল ব্যাঙেদের নিমন্ত্রণ নয়। গোটা গ্রামের নেমতন্ন ছিল বিয়েতে (wedding)। ধুমধাম করে চলছে ব্যাঙের (Frog) বিয়ে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি খুব নিষ্ঠা ভরে পালন করেই চলছে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান। শুধু বিয়ে বাড়িতেই আটকে থাকেনি। সঙ্গে জোরকদমে কব্জি ডুবিয়ে চলছে বিয়ের বাড়ির খাওয়া দাওয়াও। ঠিক এমনই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে (Durgapur)।
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বঙ্গবাসী। দেখা নেই বৃষ্টির। ফলে সূর্যের এমন রুদ্রমূর্তিতে সাধারণ মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। এদিকে আবার বেশ কয়েকদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতাও দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। কবে মিলবে বৃষ্টির দেখা এখন সেই আশাতেই মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের, পাশাপাশি সাধারণ মানুষদেরও।
আর আবহাওয়ার এই তিক্ততার জেরেই ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার মতো কু-সংস্কারের শরণাপন্ন হয়েছে দুর্গাপুরবাসী। পৌরাণিক মতে, মহা ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলে বৃষ্টির দেখা মিলে। আর সেই কারণেই দুর্গাপুরের কনিস্ক শিবমন্দিরে ধুমধাম করে আয়োজিত হলো ব্যাঙের বিয়ে। বিয়ের মণ্ডপে উপস্থিত ছিল বরযাত্রী-কনেযাত্রীও। সানাই, শঙ্খধ্বনি ও বাজনাতে শুরু হলো বিয়ে। বর ও কনের বিয়ে দিয়ে আট হাত এক করে দিলেন পুরোহিত মশাই।
এমনকি বিয়ে বাড়ি উপলক্ষ্যে জোরকদমে ভোজও হলো। এই বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রণ ছিল প্রায় ২০০ জন অতিথির। সবাই খবু তৃপ্তি ভরে এই বিয়ে বাড়িতে খাওয়া দাওয়াও করল। সব শেষে রীতি অনুযায়ী নব দম্পতিকে বিদায় জানানোর সময় চলে এলো। তাই বিয়ে শেষে বর-কনেকে ছেড়ে দেওয়া হল একটি পুকুরে।
একসঙ্গে দুটি চুল্লি বিকল। ফলে মৃতদেহ (Deathbody) সৎকার করাতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ঘটনাটি দুর্গাপুরের (Durgapur) বীরভানপুর মহাশ্মশানের। অভিযোগ, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই পরিস্থিতি। তবে সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটবে আশ্বাস দুর্গাপুর নগর নিগমের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম পুরবোর্ড বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বীরভানপুর মহাশ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরী করেছিল। রাজ্যের তৎকালীন পুর মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এই বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করেছিলেন। শুধু দুর্গাপুর নয়, অন্ডাল, আসানসোল এমনকি বাঁকুড়া জেলা থেকেও মৃতদেহ সৎকার করতে আসে এই শ্মশানে। এদিকে দুটো ইউনিট একসঙ্গে খারাপ হয়ে যাওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, আগে এই শ্মশানে সৎকার করাতে প্রায় সাড়ে পাঁচশো টাকার মতো খরচ লাগতো। সেটা বাড়িয়ে এখন দুর্গাপুর নগর নিগম সাড়ে সাতশো টাকার মতো করেছে। কিন্তু টাকা বাড়লেও পরিষেবা একদম বাড়েনি বলে দাবি সাধারণ মানুষদের।
বৈদ্যুতিক চুল্লির একটা ইউনিট আগেই খারাপ হয়েছিল। গত তিন দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে আরেকটি ইউনিট। প্রশ্ন উঠেছে, যখন প্রথমটা ইউনিটটা খারাপ হয়েছিল তখন কেন তড়িঘড়ি মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হলো না? পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুর্গাপুর সহ বাঁকুড়া জেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে দশ থেকে কুড়িটির মতো মৃতদেহ সৎকারের জন্য আসে এই শ্মশানে। বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হওয়াতে কাঠে মৃতদেহ সৎকার করতে হচ্ছে। ফলে এতে সময় ও খরচ দুই বাড়ছে। আর অসাধু ব্যাবসায়ীরা এই সুযোগে কাঠের দাম বাজার দর থেকে অনেকটাই বাড়িয়ে রাখছে। যার করণে সাধারণের সমস্যা দ্বিগুন হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের এই প্রশাসনিক আধিকারিক। একাসঙ্গে বৈদ্যুতিক চুল্লির দুটি ইউনিট বিকল হয়ে যাওয়ায় বিপত্তির মুখে পড়ে সাধারণ মানুষের বক্তব্য, একেই বলে হয়তো মরেও শান্তি নেই।
নকল (Fraud) পরিচয় দেখিয়ে ব্যাঙ্কে চাকরি (Job) দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ দুর্গাপুরে (Durgapur)। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে আটক করে বিধান নগর ফাঁড়ির পুলিস। তবে পুলিসের (Police) বিরুদ্ধে অসহযোগিতা করার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতারিত হওয়া গ্রাহকরা। যদিও অভিযুক্তরা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে কারোর কাছ থেকে ২ হাজার ও কারোর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়েছিল অভিযুক্তরা। এইরকম করে ফেক পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিন জন প্রায় দুশো থেকে তিনশো জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। তবে বুধবার দুর্গাপুরের বিধাননগরে শিল্পকানন ফেজ ওয়ান-এর কাছের একটি অফিসে আসে প্রতারণার শিকার হওয়ারা। তাঁরা হাতে নাতে ধরে ফেলেন অভিযুক্তদের।
প্রতারিতরা জানিয়েছেন, প্রথম দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত লিঙ্ক পার্কের কাছে একটি অফিস খুলে বসেছিলেন অভিযুক্তরা। প্রথম টাকা নেওয়ার সময় অনুরাগ ব্যানার্জী নাম বলে নিজের পরিচয় দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। ভরসা করে চাকরি পাওয়ার আশায় তাঁর দাবিমাফিক সবাই টাকা দিয়ে দেন। ট্রেনিংও শুরু হয় অনলাইনে। এরপরেই আচমকা অনুরাগ বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়ে খোলা একটি অনলাইন গ্রুপে লিখে দেওয়া হয় অনুরাগ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায়। সবাই বিশ্বাসও করে নেন ব্যাপারটা। তবে এই মিথ্যে বেশিদিন চাপা থাকেনি। আচমকাই দিন পনেরো আগে কর্মী নিয়োগের জন্য ফেসবুক একটি পোস্ট আসে। সেই পোস্ট দেখে ফের আবেদন করেন অন লাইনে। খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন বিধাননগরে শিল্পকাননে ফেজ ওয়ানে তাদের অফিস।
প্রতারিতদের দাবি, বুধবার তাঁরা ওই অফিসে এসে দেখেন অনুরাগ ব্যানার্জী বসে আছেন অফিসে। তখনই তাঁরা সব বিষয়টি বুঝে যান। হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই ব্যাক্তিকে। একই সাথে আটক করে রাখেন দুই মহিলাকেও। আর এরপরেই খবর যায় বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিসের কাছে। পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তদের।
তবে পুলিসের বিরুদ্ধে প্রতারিতদের অভিযোগ, এই ঘটনায় পুলিস উল্টে তাঁদেরকেই বিভিন্ন ভাবে জেরা করছে হয়রানি করছে। বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিস অভিযোগ নিতে চাইছেন না বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
কল আছে জল নেই। সরকারি কুয়ো থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সংস্কারের অভাব। ফলে শুকিয়ে গেছে কুঁয়োর জল। দুর্গাপুরের (Durgapur) রঘুনাথপুর ধোবিঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্যাপক জলের সমস্যায় (Water Problem)জেরবার স্থানীয়রা। অভিযোগ, বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। এছাড়াও নির্বাচনের আগে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে ভোট দিলেই মিলবে সমস্ত প্রতিশুতির বাস্তব রুপায়ন। কার্যত এখন এক অথৈই জলে পড়ে রয়েছে দুর্গারের অঞ্চলের মানুষজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা নিজেরা ট্যাকের পয়সা খরচা করে কুয়ো ঠিক করেছিলেন। এখানকার অধিকাংশ মানুষ দৈনন্দিন শ্রমিক। তাই এখন কুয়ো ঠিক করতে না পেরে সেই কুয়ো শুকিয়ে পড়ে রয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন এই অঞ্চলগুলিতে। কিন্তু জলের ভরসা বলতে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তৈরী হওয়া কিছু কুয়ো আর সামনে থাকা টাউনশিপ এলাকা। কখনও কখনও কিনেও খেতে হয় জল। তীব্র গরমে পুকুরও গেছে শুকিয়ে। সব মিলিয়ে এক অসহনীয় যন্ত্রণার মুখে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুর ধোবিঘাট এলাকার একাংশ মানুষজন। অভিযোগ, ভোটের সময় নেতারা এসে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু ভোট মিটতেই সব শেষ। তাঁদের একটাই দাবি অবিলম্বে তাঁদেরকে জল দিতে হবে নয়তো আগামী দিনের যে নির্বাচন রয়েছে সেখানে তাঁরা অংশগ্রহন করবে না।
আইপিএল ম্যাচ (IPL match) চলাকালীন অনলাইন বেটিংয়ের (Batting) অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবক। দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিসের জালে ধরা পড়েছে ওই অভিযুক্ত যুবক এবং বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চারটি মোবাইল ও দুটি ডাইরি সহ নগদ পাঁচ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৪০ টাকা।
বৃহস্পতিবার, রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে খেলা চলছিল। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও অনলাইন বেটিং শুরু করেছিল ধৃত যুবক। তখনই অনলাইন লোকেশন ট্র্যাক করে মেনগেটের নিউ স্টিল পার্কে পৌঁছে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিস। হাতেনাতে ধরা পড়ে মহম্মদ নিয়াজ খান নামের ওই যুবক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেটিংয়ের নির্দিষ্ট অ্যাপে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ওই বেটিং চলে। অনলাইনে নগদ টাকা লেনদেন হয় অ্যাপের মাধ্যমে। এক অ্যাপে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে বেটিংয়ে অংশ নেওয়া যায়। এই চক্র দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকা থেকেও চলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। গোপন তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিস। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করা শুরু করে পুলিস। তারপরেই পুলিসের জালে ধরা পড়ে এক যুবক। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে পুলিস।
পথ দুর্ঘটনায় (Roadaccident) মৃত্যু (Death) এক বাইক আরোহীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দুর্গাপুরের (Durgapur) মুচিপাড়ার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বর্ধমানগামী লেনে। উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Protest) দেখাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাফিক (Traffic) সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে না চলার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাইকে করে যাচ্ছিলেন বছর ৪৫-এর গুরমুখ সিং। ঠিক সেই সময় একটি তেলের টেঙ্কার এসে বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই উত্তেজিত জনতা জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন। ঘটনার পর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়কের বর্ধমানগামী লেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাঁকসা থানার পুলিস। কিন্তু উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরপর দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী এলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিসের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে। গোটা ঘটনায় উত্তেজিত পরিস্থিতি তৈরি হয় দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার কাছে জাতীয় সড়কে।
বেপরোয়া ট্রেলারের (Car) ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেল আস্ত একটি টোটো। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন টোটো চালক (Driver)। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর (Durgapur) কোক ওভেন থানা এলাকার পি.সি.বি.এল রোডে। অভিযোগ, পুলিসের নজর এড়িয়ে এই রাস্তাতে সারাদিনই দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ বিকট শব্দ শুনে বেরিয়ে আসে স্থানীয় এক ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয়রা। দ্রুত গতিতে থাকা একটি ট্রেলারট ধাক্কা মারে টোটোকে। ট্রেলারের ধাক্কায় টোটোর সামনের বাঁদিকের চাকা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এমন অবস্থাতে টানতে টানতে টোটোকে নিয়ে যায় বেশ অনেকটাই। স্থানীয়রা ট্রেলারটিকে দাঁড় করাতেই পালিয়ে যান চালক ও খালাসি দু'জনই। খোঁজ পাওয়া যায়নি ট্রেলার চালকের। এমনই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিস ও মুচিপাড়া ট্রাফিক পুলিস। পুলিসের তরফে স্থানীয়দের জানানো হয়েছে, টোটো চালক আশষ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত বাড়তে এই রাস্তাতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি যাতায়াত করে। এর জেরে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় পথচারী মানুষজন থেকে বাইক আরোহীরা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রশাসনে দৃষ্টি আর্কষণের আর্জি স্থানীয়দের।
অবৈধভাবে বালি আর মাটি (sand smuggling) কাটার অভিযোগ। এর জেরে দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসার অজয়পল্লী এলাকার নয়-নয় করে প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘে জমি চলে গিয়েছে অজয় নদের গর্ভে। কাঁকসার অজয়পল্লীর প্রায় তিনশো পরিবার চাষবাসের উপর নির্ভরশীল। রুটি রুজি বলতে এই চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা। অভিযোগ, অজয় নদের কোল ঘেঁষে বেআইনিভাবে বালি আর মাটি কাটার জন্য আজ রুটিরুজি বিপন্ন হচ্ছে এলাকার মানুষজনদের। স্থানীয় প্রশাসন থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সকলকে লিখিত আকারে সবটা জানিয়েছেন। কিন্তু এর কোনও সুরাহা হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, যদি এভাবে নদী গর্ভে চলে যেতে থাকে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি, তাহলে রুটিরুজি হারিয়ে তাঁদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।
এ বিষয়ে কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভবানী প্রসাদ ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রশাসনকে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলবেন। কারণ অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপোস করবে না দল। যদিও প্রশাসনের পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। গ্রামবাদীদের অভিযোগ অজয়ের কোল ঘেঁষে যেভাবে বিঘের পর বিঘে জমি বেআইনিভাবে বালি আর মাটি কাটার জন্য নদীগর্ভে যাচ্ছে, তাতে করে আজ রুটিরুজি হারিয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষতের পথে এগোচ্ছে তাঁরা। যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, খোঁজখবর নিয়ে এই বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ নেবেন।
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tewari) গ্রেফতারিতে ধাক্কা রাজ্য পুলিসের (Police)। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) নির্দেশ অনুযায়ী জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না। কম্বল-কাণ্ডে শনিবার দিল্লির নয়ডা যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিস। এ ঘটনায় আগাম জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু সেই মামলার শুনানির আগেই গ্রেফতার হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
সোমবার মামলার শুনানির পর শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, আগামী ১৪ দিন জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর জিতেন্দ্র জামিনে মুক্তি পাবেন।
রাজনৈতিক সূত্রে খবর, আগামী ২ সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। ২ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন মামলার সবপক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।