বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে এই সন্দেহের বশে নিজের স্ত্রীকে খুন (murder)। খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন স্বামী। ঘটনার পরই পুলিস গ্রেফতার (arrest) করে অভিযুক্তকে। দুর্গাপুরে (Durgapur) এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিএমইআরআই বাসস্ট্যান্ড বস্তির।
জানা যায়, সোমবার সকালে স্ত্রী নুরি পারভিনকে দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতে মানা করে মহম্মদ আকিল। কারণ, তার স্ত্রী মেয়েদের স্কুল ছেড়ে অন্য ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান বলে অভিযোগ স্বামীর। এই নিয়ে অনেকদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিনও সকালে নুরি পারভিন যখন স্কুলে মেয়েদের নিয়ে যেতে মানা করে তার স্বামী, তখন তা না শোনায় দু'জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে মহম্মদ আকিল রাগের মাথায় তার স্ত্রী নুরি পারভিনকে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলে।
তাঁদের দুই মেয়ে বাবা-মায়ের বচসা থামানোর চেষ্টা করেও পারেনি বলে জানা গিয়েছে। সে চায়, বাবার চরম শাস্তি হোক। মাকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনায় হতবাক তারাও। পরে এলাকাবাসীরাই পুলিসকে খবর দেন। পুলিস এসে নুরি পারভিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিস অভিযুক্ত স্বামী মহম্মদ আকিলকে গ্রেফতার করে।
চুরির মিথ্যে অপবাদ মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী (suicide) এক শ্রমিক। গোটা ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বুদবুদ (Budbud) থানার অন্তর্গত কোটা চণ্ডীপুর গ্রাম এলাকায়। কারখানার গেটের সামনে বুধবার সকাল থেকে তুমুল বিক্ষোভ (protest) শুরু করে দেয় মৃতের পরিবার।
বাবা মারা যাওয়ার পর বিধবা মাকে নিয়ে একাই থাকতেন দুর্গাপুরের (Durgapur) কোটা চণ্ডীপুর গ্রামের বছর ২৬-এর মিঠুন ঘড়ুই। কোটা শিল্পতালুকে একটি মদের কারখানায় কাজ করতেন মিঠুন। কিন্তু মঙ্গলবার মদ চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মিঠুনকে কারখানার গেট থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর সমাজে সম্মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই শ্রমিক। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মিঠুনের মা ও তাঁর পরিবার পড়শিরা।
খবর চাউর হতেই মিঠুনের সহ কর্মীরা কোটা শিল্পতালুকে থাকা ওই মদের কারখানার গেটের সামনে এসে ভাঙচুর শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। কারখানার গেটের সামনে উত্তেজিত শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে এদিন কর্তৃপক্ষ কারখানায় ঢুকতে বাঁধা দেয় কর্মীদের। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিস ঘটনাস্থলে এলে বুদবুদ থানার পুলিসকে ঘিরে ধরে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, এর আগেও এইরকম মিথ্যে অভিযোগ করে শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই অন্যায় কর্মকান্ডের কোনও বিচার হয়নি। এই ঘটনার পেছনে কারখানার নিরাপত্তারক্ষিরাও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ লাগছে।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু (death) হল ২ জনের, আরও দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আহতদের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রবিবার ভোর রাতে দুর্গাপুরের বুদবুদ বাইপাশে জাতীয় সড়কের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, কাজ সেরে কলকাতা (Kolkata) থেকে গাড়ি করে পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলোন সতেন্দ্রর যাদব, দীনেশ যাদব, সন্তোষ রাম। অন্যদিকে ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়া অফিসের কাজ সেড়ে দুর্গাপুর পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। আচমকাই বুদবুদ বাইপাশের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ২৮ এর সতেন্দ্রর যাদব ও বছর ৩৮ এর দীনেশ যাদবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তোষ রাম আর ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়াকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। দুইজনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই জানিয়ে হাসপাতাল।
রবিবার ভোর রাতের মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কের আসানসোলগামী লেনে যানজট তৈরি হয়। পড়ে বুদবুদ থানার পুলিস পৌঁছে যানজট মুক্ত করে জাতীয় সড়ক। পুলিসই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এই চারজনকে।
তৃণমূল (TMC) সমালোচকদের চামড়া দিয়ে জুতো বানানো হবে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Ray) সাম্প্রতিক এই মন্তব্যে শোরগোল তুঙ্গে। এই আবহে এবার প্রবীণ সাংসদকে পাল্টা দিলেন বিজেপির (BJP) দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে (Durgapur) এক চা চক্রে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'সৌগত রায়কে জুতোপেটা করা উচিৎ। একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধ, যিনি কিনা অধ্যাপক, এটা তাঁর মুখের ভাষা। পিঠের চামড়া দিয়ে জুতো বানাবে! পিছনে কুকুর তাড়া করলে যিনি দৌড়তে গেলে পড়ে যাবেন, তিনি এসব কুকথা বলছেন। আবার আমার সমালোচনা করে বলে দেখ দিলীপ ঘোষ কুকথা বলে। এঁদেরকে কী পুজো করা উচিৎ?'
আজ দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন বিজেপির সহ-সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত এমএএমসি টাউনশিপে প্রথম যান তিনি। কথা বলেন
স্থানীয় প্রাতঃভ্রমনকারীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে সেলফি তোলার আবদারও রাখেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর আবেদন, তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, এরা বিশ্বাসের মর্যাদা দেয় না। পাশাপাশি আয়জিত চা চক্রে সাম্প্রতিক ইস্যুতে শাসক দলকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ।
এবার দুষ্কৃতী দমনে দুর্গাপুরের (Durgapur) পথে 'রক্ষক বাহিনী'। কিন্তু কী এই 'রক্ষক বাহিনী'? জানা যায়, এই কর্মসূচিতে মূলত আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের (police) এই বাহিনী। যে রক্ষক বাহিনী টহল দেবে শহর জুড়েই।
পুলিস সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা হোক বা দুষ্কৃতী (criminal) দমন, সবেতেই আরও তৎপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার (city center) আর সিটি সেন্টারের আশেপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা ছোট-বড় অপরাধ রুখতেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর থানা এলাকার ১০ টি এলাকাকে এক একটি বিট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিটগুলির তদারকি করবেন ১০ জন নোডাল অফিসার। ১০ টি বাইক দেওয়া হয়েছে নোডাল অফিসারদের। সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনতে নিত্যদিন পৌঁছে যাবেন বিটের দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্তারা। যাতে করে সাধারণ মানুষের সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। এভাবে দ্রুত অপরাধ দমন সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনার।
মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি শুরু করলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম। এদিন উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা, অতিরিক্ত জেলাশাসক, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
দিন দুয়েক আগেই সিএন পোর্টাল (CN) প্রথম সম্প্রচার করে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিলের (Mid day meal) খাবার পাচ্ছে না খুদে পড়ুয়ারা। স্কুলে এসে খিদের যন্ত্রণায় ছটফট করছে তারা। এমনকি এই ভয়ে খুদেরা স্কুলমুখীও হচ্ছিল না। আজ সেই খবরের জেরে দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের অফিসার সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত নিগমের আধিকারিকদের নিয়ে চলে আসেন বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। এরপরই অভিভাবকদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষা দফতরের এই আধিকারিকরা।
অভিবাবকদের মুখে অচলাবস্থার কথা শুনে কড়া ধমক দেন স্কুলের দুই শিক্ষিকা (teacher) রীনা বন্দোপাধ্যায়, যমুনা ভদ্র ও স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মাঝিকে। প্রশ্ন করা হয়, কেন মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখা হল? প্রশ্ন করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত।
এদিন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা আধিকারিক সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত পরিষ্কার ভাষায় জানান, স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখার জন্য শোকজ করা হবে। পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিত মাঝিকেও একই অপরাধে অভিযুক্ত করে সরানোর সুপারিশ করা হবে। অনিয়মিতভাবে চলছিল দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন দুর্গাপুরের আনন্দপুরের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। নয় নয় করে ৬০ জন পড়ুয়া রয়েছে এই শিক্ষা কেন্দ্রে। তবে নিজের দোষ মানতে চায়নি বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির প্রধান বিশ্বজিৎ মাঝি ও স্কুলের শিক্ষিকারা। এদিন অভিবাবকরা ধন্যবাদ জানালেন সিএন পোর্টালকে।
জানা যায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলে রেজলিউশন করে মিড ডে মিল নিয়মিত শুরু করার নির্দেশ দেন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সংঘমিত্রা দাসগুপ্ত। সব মিলিয়ে স্কুলে এসে ফের খেতে পাওয়ার সুযোগ হবে, এই আনন্দে খুদে পড়ুয়ারা।
আকাশে-বাতাসে এখন মা উমার আগমনী বার্তার সুর। আনন্দের জোয়ারে ভেসে যেতে এখন অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু উৎসবপ্ৰিয় বাঙালির। দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগরের উত্তরপল্লির পুজো একটা আলাদা ছন্দে অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর (Durga puja) উদ্যোক্তা ৫০ জন মহিলা। করোনার (covid 19) ভয়ঙ্কর থাবায় মানুষের পকেটে টান পড়েছিল, পুজো নমো নমো করে হয়েছিল গত দু বছর। করোনার ভয়ঙ্কর রুদ্রমূর্তিকে হেলায় হারানোর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন গত বছরই তাঁরা। আনন্দের আবহে হেলায় হারাতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা।
প্রতিজ্ঞার সেই সংঘবদ্ধ লড়াইয়ে তাঁরা ঠিক করেছিলেন, আর চাঁদা তুলে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে পুজোর আয়োজন করবেন না তাঁরা। মহিলারা সেদিন নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন এই পুজোর দায়িত্ব। সংকল্প করেন প্রতিদিন একটু একটু করে ভাঁড়ে জমানো টাকা দিয়ে হবে পুজোর আয়োজন। কোনও একটি দিনকে বেছে একসাথে পঞ্চাশটি ভাঁড় ভাঙা হবে। আর কষ্টার্জিত সেই জমানো টাকা দিয়ে হবে মা উমার পুজোর আয়োজন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের বিধাননগরের উত্তরপল্লি পুজো কমিটির এই মহিলাদের বেশিরভাগই গৃহবধূ। রবিবার ছিল সেই মহেন্দ্রক্ষণ, এলাকার মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে এই পঞ্চাশজন গৃহবধূ একসঙ্গে পঞ্চাশটি ভাঁড় ভাঙলেন। আর সেই সঞ্চিত টাকা দিয়ে বরাত দিলেন পুজোর আয়োজনের। পুজোর প্রস্তুতির শুভ সূচনা হল আজ থেকেই। হাই বাজেট নয়, নজর কাড়া কোনও থিমও নয়, বিধাননগরের উত্তরপল্লির পুজো মা উমার আগমনী বার্তার সুরে যেন এক নতুন ভাষা খুঁজে পাবে। পাবে এক নতুন দিশা, আর সেই অর্থেই আজ থেকেই শুরু অপেক্ষার প্রহর গোনা।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বা এবিভিপির (TMCP-ABVP Clash) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দূর্গাপুর (Durgapur) সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সামনে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস (police) বাহিনী। জানা গিয়েছে দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম (injured) বেশ কয়েকজন। দুই পক্ষকে শান্ত করতে পুলিসকে ধমক দিতেও দেখা গিয়েছে। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত দূর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় চত্বর। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয়েছে এবিভিপির পতাকা লাগানো একটি টোটো (toto) গাড়িতে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নয়, আরও বড় রাঘব বোয়াল রয়েছে দুর্নীতির অন্তরালে। তাই সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে "চোর ধরো জেল ভরো" প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
দূর্গাপুরের গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে থেকে শুরু হয় একটি পদযাত্রা। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল কলেজের সামনে। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা বাঁধা দেয় এই মিছিল করতে। দু-এক কথা হতে হতে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। কলেজের সামনেই লাঠি, রড নিয়ে শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের সংঘর্ষ। ঘটনায় দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। মাথা ফেটে গিয়েছে দুই এবিভিপি সমর্থকের। পাল্টা জখম হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই কর্মী। বলা চলে কার্যত কলেজ চত্বর হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র।
এবিভিপির অভিযোগ,'টিএমসিপির সমর্থকরা পিছু ধাওয়া করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বাইক ৱ্যালিতে থাকা কর্মীদের। ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দূর্গাপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ চত্বরে। ছুটে আসে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী। নামানো হয় কমব্যাট ফোর্সও। ছুটে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিসের এসিপি (দূর্গাপুর জোন) তথাগত পাণ্ডের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের। কলেজের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ পড়ুয়াদের। এর মধ্যেই কোনওভাবে তৃণমূলের সন্ত্রাস মেনে নেওয়া যাবে না, এই দাবিতে কলেজ গেটের একটু দূরে বিক্ষোভ শুরু করে দেন এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা।
এরপর নিউটাউনশিপ থানার পুলিস পরিস্থিতি কোনওমতে সামাল দেয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানায় এবিভিপি। অহেতুক অশান্তি তৈরি করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, অভিযোগ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কর্মী সমর্থকদের। তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মীও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান তাঁরা। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভজ্যোতি মজুমদার।
তিনি বলেন, কলেজে পরীক্ষা চলছে মাইক বাজাতে বারণ করা হয়েছিল ওদের। কিন্তু বিনা কারণে প্রথম তাঁদেরকে আক্রমণ করা হয়। এতে বাড়ে অশান্তি। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছিল কলেজ চত্বরে। বিশাল পুলিস বাহিনী এখনও মোতায়েন রয়েছে ঘটনাস্থলে।
উত্তপ্ত দুর্গাপুরের পান্ডবেশ্বর। বোমায় হাত উড়ল তরুণের। শুরু রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের অন্দরের যুদ্ধে এখন অশান্ত এলাকা। রয়েছে পুলিস মোতায়ন।
এবার প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (inner clash)। পাণ্ডবেশ্বরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে(health centre) তৃণমূলের পার্টি অফিস(party office) করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। গত পরশু থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র দখল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পার্টি অফিস করছিল বলে অভিযোগ। পার্টি অফিস করাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাঁধে। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। মূলত, জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং ও পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে খড়ের গাদার মধ্যে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় কিছু পড়ে থাকতে দেখে তা কুড়িয়ে দেখছিল একজন। সঙ্গে সঙ্গে সেটি ফেটে যায়। ঝন্টু মণ্ডল নামে ওক তরুণের বাম হাতের কব্জি উড়ে গিয়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি মাঠে গিয়ে পড়ে। জখম হন আরও একজন। ঝন্টুকে সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে জামুরিয়ার বাহাদুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরে রানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর থাকায় তাকে দুর্গাপুরের রাজবাধের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝন্টু মণ্ডলের ডান হাতের আঙুলও কম বেশি জখম । বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পুলিস রিবন দিয়ে ঘিরে রেখেছে। গোটা ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা।
একাধিকবার বিভিন্ন বৈঠকে শাসক দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল না করার বার্তা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সেই বার্তাকে উপেক্ষা করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসে প্রকাশ্যে। যা নিয়ে বিরোধীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না।
তবে গ্রামের মানুষ রাজনীতির ঊর্ধ্বে। কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও গ্রামে কোনও অশান্তি চান না তারা। সকলেই চাইছেন গ্রামে শান্তি ফিরে আসুক। বোমাবাজির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তারা।