মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেই মতো সকাল থেকেই প্যাটেল চক এলাকায় জোড়ো হতে শুরু করেছিলেন আপ নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিসও। কর্মসূচি শুরু হতেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় পরিস্থিতি। প্রতিবাদকারীদের আটকাতে শুরু হল ধরপাকড়। দিল্লি পুলিসের হাতে আটক হলেন পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা আপ নেতা হরজোৎ সিং বাইন।
আবগারি মামলায় গত কয়েকদিন আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর থেকেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরি। জেলে বসেই সরকার চালাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আজ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিস। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডে তদন্ত করতে এবারে কলকাতায় এসেছে দিল্লি পুলিসের এক তদন্তকারী টিম। অভিযুক্তদের বিষয়ে একাধিক তথ্য জোগাড় করতে সোমবার কলকাতায় পৌঁছল দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল। সংসদকাণ্ডের মূলচক্রী ললিত ঝা-এর সঙ্গে বাংলা যোগ আগেই পাওয়া গিয়েছে। এবারে তাই সেসব যোগসূত্র খুঁজতেই কলকাতায় এসেছে দিল্লি পুলিস। তাঁদের প্রথমে গিরিশ পার্ক থানায় যেতে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নীলাক্ষ আইচের হালিশহরের বাড়িতেও গিয়েছে দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল।
জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লি পুলিসের স্পেশাল টিম কলকাতায় পৌঁছতেই ললিতের ২১৮ রবীন্দ্র সরণীর বাড়িতে যায়। সেই বাড়ি তালা বন্ধ থাকায়, বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে গিরিশ পার্ক থানায়। ২১৮ রবীন্দ্র সরণীর যে ঘরে ললিত থাকত সেই ঘর খুলে তল্লাশি করতে চাইছে দিল্লি পুলিসের আধিকারিকরা। ললিতের সম্পর্কে খোঁজ নিতে এলাকার এক ব্যক্তিকে গিরিশ পার্ক থানায় তলব করল দিল্লি পুলিস। জনৈক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গিরিশ পার্ক থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। ললিতের বাড়িতে কার কার যাতায়াত ছিল সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ললিত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, পশ্চিমবঙ্গের কারা কারা ছিল, তাদের কারোর সঙ্গে সংসদের ঘটনার কোনো যোগাযোগ রয়েছে কিনা। সংসদে বিক্ষোভ দেখানোর আগে এই বিষয়ে কার কার সঙ্গে ললিত কথা বলেছিল এ সব বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিস। গিরিশ পার্ক থানা ললিত ঝা সম্পর্কে কী কী তথ্য জোগাড় করেছে সেই সমস্ত তথ্য একবার দেখে নিতে চাইছে দিল্লি পুলিস। ললিতের সমস্ত ঠিকানাতেই তল্লাশি চালাতে পারে দিল্লি পুলিস, এমনটাই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে সংসদ ভবনে স্মোক বোমা কাণ্ডে হালিশহরে নীলাক্ষের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল। এরমধ্যে দু'জন রাজ্য পুলিসের আইবি অফিসার এবং দু'জন দিল্লীর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রয়েছে। প্রথমে নীলাক্ষের বাবা কে ডাকেন তাঁরা। এরপর ঘরে গিয়ে নীলাক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
সংসদ (Parliament) হামলার ২২ বছর পূর্তিতেই নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা কক্ষে দুই যুবকের হানা। বুধবার এই শিহরন জাগানো ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল চার জনকে। সেই রাতে বিক্রম নামে পঞ্চম একজনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিস। হেফাজতে থাকা পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ষষ্ঠ ব্যক্তি ললিত ঝায়ের খোঁজ পায় দিল্লি পুলিস, কিন্তু সে পলাতক, এমনটাই দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর। এই ললিতই নাকি সংসদে হানার মূল চক্রী, প্রাথমিক তদন্তের পর বলছে দিল্লি পুলিসের একটি সূত্র।
সংসদে হানা-কাণ্ডে অন্যতম পাঁচ অভিযুক্তের নাম হল সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন দেবারাজাগৌডা, নীলম সিং, অমল ধনরাজ শিণ্ডে, ললিত ঝা। এই ঘটনার পর সংসদের ভিতর থেকে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মার বোন মাহি শর্মার দাবি, তিন মাস যাবৎ দাদা ই-রিক্সা চালান। আগে বেঙ্গালুরুতে কর্মসূত্রে থাকতেন, বাড়িতে দাদা বলেছিল দিল্লিতে ধর্না দেখাতে যাচ্ছেন, এমনটাই দাবি সাগরের বোনের। বুধবার সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার হওয়া নীলম সিংয়ের ভাইয়ের দাবি, 'আমরা জানতামই না দিদি কোথায়। আমাদের বলা হয়েছিল হিসারে আছেন নীলম। দিদি যা করেছে, সে ব্যাপারে পরিবার অবগত নয়।' দাবি নীলমের ভাইয়ের।
এদিকে বুধবারের ঘটনার পর সংসদে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগে সরব ছিল বিরোধী দলগুলো। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস সর্বদলীয় বৈঠকে দিয়েছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সূত্রের খবর, লোকসভার সচিবালয় কালার স্মোক-কাণ্ডে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সংসদের আট জন নিরাপত্তাকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে যখন সারাদেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, সেসময়ই আরও এক বিকৃত ভিডিও এল প্রকাশ্যে। সেই ভিডিওতেও দেখা যাচ্ছে, স্বল্প পোশাক পরে নাচছেন রশ্মিকা। মুখে চোখে অদ্ভুত অভিব্যক্তি। তবে উনি যে রশ্মিকা নন, প্রায় সবাই বুঝতে পারছেন এটি ডিপফেকের কারসাজি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ভীষণই রেগে রশ্মিকার ভক্তরা। কেন বারংবার রশ্মিকাকে সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন করছে তাঁর অনুরাগীরা। অন্যদিকে আগের ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এবারে সরব হয়েছে দিল্লি পুলিসও। এবারে সেই ভিডিও-র নেপথ্যে কে রয়েছে, তাকে ধরতে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিস।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, যে অ্যাকাউন্ট থেকে রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল, সেই অ্যাকাউন্টের গুরুত্বপূর্ণ নথির জন্য দিল্লি পুলিস এবার মেটাকে চিঠি দিয়েছে। শহরের পুলিস ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি এফআইআর দায়ের করার একদিন পরে এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল। ভিডিও নিয়ে দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিস পাঠানোর পরই এফআইআর জারি করেছে দিল্লি পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় জারি করা হয়েছে অভিযোগ। কড়া পদক্ষেপ নেওয়াও হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু এত কিছুই মধ্যেই রশ্মিকার আরও এক ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল। ফলে দিল্লি পুলিসের হাতে আসল অপরাধী ধরা পড়বে কিনা সেটাই এখন দেখার।
'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' কাণ্ডে যখন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই। ফলে জয় অনন্ত সরাসরি ছুটলেন পুলিস থানায়। অভিযোগ, মহুয়া জোর করে তাঁর বাড়িতে ঢুকছে, যাকে এককথায় 'অনুপ্রবেশ' বলে। তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই মহুয়ার অনুপ্রবেশ, এমনটাই অভিযোগ জয় অনন্তের।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে লেখা রয়েছে, '৫ নভেম্বর সকাল ১১ টার দিকে ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে বিনা অনুমতিতেই আমার বাড়িতে আসেন। এভানে না জানিয়ে আমার বাড়িতে আসা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি আমার নামে কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।' ফলে তিনি পুলিসের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, মহুয়া তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এমনটাই করছেন। জয়ের আরও সংযোজন, 'মহুয়া মৈত্রের প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিস কমিশনারকে জানিয়েছি। আর তাঁর বারবার আসা উদ্বেগজনক।'
মণি ভট্টাচার্য: দুটি লড়াই-ই সমগোত্রীয়, দুটিই অধিকারের দাবিতে। একটি, রাজ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবিতে, অন্যটি বাংলার বকেয়া আদায়ের দাবিতে। আর এই দুই লড়াইকেই এখন একই দাঁড়িপাল্লায় মাপছে বাংলার জনসাধারণের একাংশ। একদিকে বাংলায় দিনের পর দিন অধিকারের দাবিতে পুলিশের লাঠির বাড়ি জুটেছে চাকরিপ্রার্থীদের। অন্যদিকে, সোমবার ও মঙ্গলবারে দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলনের চিত্রটিও যেন কিছুটা একইরকম। কখনও খেলেন পুলিশের তাড়া, কিংবা কখনও অভিষেক সহ সমস্ত সাংসদদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। ঠিক যেমনটা চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে করা হয় এ রাজ্যে। দিল্লির পুলিশ যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে মনে করিয়ে দিলেন, 'প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।'
হ্যাঁ, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি জর্জরিত রাজ্য, ঠিক তখনও রাস্তায় বসে কাতরাচ্ছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তখনও হুশ ফেরে না প্রশাসনের। চ্যাংদোলা করে, কখনও আন্দোলনকারীদের কামড়ে, কখনও রাত বাড়লেই মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে লাঠিচার্জ, সে এক নির্মম অত্যাচার। এই ঘটনা লিখতে গেলেই মনে পড়ে যায়, ক্যা-এনআরসি আন্দোলন চলাকালীন কবি আমির আজিজের লেখা কবিতার দুটি লাইন। 'রাত্রি হলে অধিকার দাবিতে গুলি আর লাঠির বাড়ি, যাদের গায়ে আঘাত তাদেরকেই বলা বদমাইশের ধারি,' আন্দোলন ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও লাইন দুটি আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক। এভাবেই প্রত্যেকবার বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কেউ কখনও তাঁদের কথা শোনেইনি। বরং রাজনীতির আঙিনা বাঁচাতে প্রতিশ্রুতি জুটেছে তাঁদের। ঠিক তেমনই তৃণমূল দিল্লির রাজপথে ধরণা-প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করলেও কেউই শুনলো না তাঁদের কথা, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দেখা মিলল না কেন্দীয় মন্ত্রীর। বরং চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।
আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজে বকেয়ার দাবি তুলে দিল্লির রাজপথে কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। চলতি সপ্তাহেই সোমবার অর্থাৎ তৃণমূলের আন্দোলনের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছিলেন, ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল আবাস যোজনা খাতে। সেই টাকার হিসাব তৃণমূল দেখাতে পারছেনা। ফলে গিরিরাজ সিংয়ের অভিযোগ সেখানেও টাকার নয়-ছয় হয়েছে। পাশাপাশি জবকার্ডের ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ জবকার্ড ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি।
কেন্দীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে ধরনা দিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংদেরও জোরপূর্বক প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। মোটের উপর প্রথম বারের জন্য প্রিজন ভ্যানে ওঠার অভিজ্ঞতা হলো তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের। এরই প্রতিবাদের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেন, '৩রা অক্টোবর দেশের জন্য কালো দিন।' প্রশ্ন উঠছে, জোর করে, টেনে-হিঁচড়ে, কামড়ে, লাঠির বাড়ি মেরে বাংলায় প্রতিনিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের মারধর করা হয়। ওদের আন্দোলনও তো অধিকারের দাবিতে। ওদের ক্ষেত্রে তবে আপনাকে সরব হতে দেখা যায় না কেন? নাকি আপনি কেবল আপনার সাংসদদের মুখ্যমন্ত্রী! রাজ্যের যোগ্য চাকরিপ্রার্থী কিংবা সমস্ত আপামর জন সাধারণের মুখ্যমন্ত্রী নয়?
এক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার দিল্লির বহু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে দিল্লি পুলিসের তরফে। সেই সূত্রেই, এদিন ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিসের একটি টিম। সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে থাকেন এমন এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতেই এই ধরনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে এই তল্লাশি, তা স্পষ্টভাবে জানানোর দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা।
'কেন্দ্রীয় বঞ্চনা'র অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) ধরনা দিতে চেয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ধরনার জন্য লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কাছে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের ধরনার জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস। কিন্তু সেই জায়গাতেই ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আধ ঘণ্টা ধরনা করার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছে দিল্লি পুলিস। ফলে সোমবার যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে রাজঘাটে আন্দোলনে বসেছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা যখন দিল্লির রাজঘাটে ধরনা-বিক্ষোভে সামিল হয়েছে, সেসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৪ বছরের বঞ্চনার কথা বলতে এসেছেন দিল্লিতে।
চাকরিপ্রার্থীরা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চাকরির দাবিতে এখানে ধরনায় বসেছেন। বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁরা এবারে দিল্লি এসেছেন। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে ধরনায় বসবেন, সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
রাজধানী দিল্লির (Delhi) বুকে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস বা 'ইসলামিক স্টেট'-এর তিন জঙ্গি (ISIS Terrorists)। ফলে তাঁদের খুঁজে বের করতে দিল্লিতে চিরুনি তল্লাশি করছে সন্ত্রাসদমন শাখা। জঙ্গিদের খুঁজে বের করে দিতে পারলেই দেওয়া হবে পুরষ্কার, এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখার পক্ষ থেকে। আবার এনআইএ অর্থাৎ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও তাদের তল্লাশি শুরু করেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, আইএস জঙ্গিদের খোঁজ দিলেই মাথাপিছু দেওয়া হবে তিন লক্ষ টাকা। অর্থাৎ যে তাদের খোঁজ দেবেন, তিনি পুরষ্কার হিসাবে পেয়ে যাবেন ৯ লক্ষ টাকা।
এনআইএ সূত্রে খবর, ওই তিন জঙ্গির নাম মহম্মদ শেহনওয়াজ সুফিউজ্জামা আলম ওরফে আবদুল্লা, রিজওয়ান আব্দুল হাজি আলি এবং আবদুল্লা ফৈয়াজ শেখ। জানা গিয়েছে, এই তিন জঙ্গি 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের 'মোস্ট ওয়ান্টেড'। এই জঙ্গিদের দিল্লি কানেকশন প্রকাশ্যে আসার পর দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলও তল্লাশি শুরু করেছে। পুনে পুলিস এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ মিলে নানা জায়গায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।
কুস্তিগিরদের অভিযোগেই শিলমোহর। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিস্ফোরক চার্জশিট পেশ দিল্লি পুলিশের। অভিযোগ আনা হয়েছে, মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার কোনও সুযোগই ছাড়তেন না ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণও আছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
শুরুর দিকে দিল্লি পুলিশ কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তদন্ত করতেই রাজি হয়নি। তবুও অভিযোগ থেকে সরে যাননি কুস্তিগিররা। আন্দোলন শুরু করে। ওই আন্দোলনে যোগ দেন দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের আশ্বাসে ধর্নাও তুলে নেন কুস্তিগিররা। অবশেষে চার্জশিট পেশ করল দিল্লি পুলিশ।
৫০ হাজার কর্মী ও সমর্থকদের থাকার বন্দোবস্ত করতে চেয়ে দিল্লির দায়রাগঞ্জ থানার ডিপিসিকে চিঠি লিখেছেন সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হুঁঙ্কার দিয়ে রেখেছেন, ট্রেন ভর্তি করে দিল্লিতে লোক নিয়ে যাওয়ার। একুশের মঞ্চ থেকেই সেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি এবার সত্যি সত্যিই ট্রেন ভর্তি করে লোক নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল? গান্ধীজয়ন্তীতে রাজধানীর বুকে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচির তোড়জোড় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থকের রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত করতে চায় তৃণমূল। সেই মতো রামলীলা ময়দানে প্য়ান্ডেল ও তাঁবু খাটাতে চাইছে তৃণমূল শিবির। এদিকে গান্ধী জয়ন্তীর জন্য হাতে আর বেশি সময় নেই। দু’সপ্তাহ বাকি। এত কর্মী-সমর্থকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে, তাই তেড়েফুড়ে আসরে নেমে পড়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েনরা। রামলীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে ফের চিঠি পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ।
উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লির বুকে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লির একাধিক জায়গায় ধরনা কর্মসূচির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতজন কর্মী-সমর্থকের থাকার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করতে পুলিশের থেকে কোনও সবুজ সংকেত এখনও পাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল শিবির থেকে ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লির বুকে প্রতিবাদ কর্মসূচি হবেই।
দীর্ঘদিন ধরেই ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য। এবার তা নিয়ে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। আগামী মাসে রাজধানীতে বড়সড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চলেছে তারা। তার জন্য ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
চলতি বছরের ২ এবং ৩ অক্টোবর মোট তিনটি জায়গায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের যে সব শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি তাঁরাও ওই সমাবেশে যোগ দেবেন। লোধি স্ট্রিটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। পাশাপাশি, কৃষি ভবন এবং যন্তর মন্তরেও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রমীণ কর্মসংস্থান আইনের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছেন না। বরাবর এমনই অভিযোগ তুলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইমতো রাজ্যের বঞ্চিত শ্রমিকদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে।
সোমবার সাত সকালেই চাঞ্চল্য ছড়াল রাজধানী দিল্লিতে (Delhi)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বাসভবনের উপরে আচমকাই উড়তে দেখা গেল ড্রোন (Drone)। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ রাজধানীতে ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনের মাথায় ড্রোনটিকে উড়তে দেখা যায়। এই রহস্যজনক গতিবিধি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিস।
সূত্রের খবর, সোমবার ভোর ৫ টা নাগাদ এক ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এরপরেই আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায় দিল্লি জুড়ে। ফলে এই ড্রোনের সন্ধানে তড়িঘড়ি তদন্তে নেমেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের অফিসাররাই প্রথম এই ড্রোনটিকে চিহ্নিত করেন। এরপর খবর দেওয়া হয় দিল্লি পুলিসে। দ্রুত ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে পৌঁছয় দিল্লি পুলিসের বড় টিম। এরপরেই দিল্লি পুলিস ড্রোনটিকে ট্র্যাক করতে অভিযান শুরু করে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ড্রোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে একটি বস্তুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আশেপাশের এলাকায় ভালোভাবে তল্লাশি চালানো হলেও এ ধরনের কোনও বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের (ATC) সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এমন কোনও ড্রোনকে সনাক্ত করতে পারেনি।'
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও তার সংলগ্ন এলাকা 'রেড নো ফ্লাই জোন' বা 'নো ড্রোন জোন'-এর মধ্যে পড়ে। ফলে সেই এলাকায় কীভাবে ড্রোন উড়ছে তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কে বলে পেশার পাশাপাশি শখ পূরণ হতে পারে না! পেশা ও শখ একসঙ্গে হতে পারে না, এই কথাকে ভুল প্রমাণ করে দিল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। কারণ সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি পুলিসের কিছু কর্মী দিল্লির সুন্দর আবহাওয়া উপভোগ করতে গানে মেতে উঠেছেন। এক পুলিস কর্মীর হাতে বন্দুকের বদলে দেখা গেল গিটার। আর অন্যরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন। পুলিস কর্মীর গলায় গান শুনে মুগ্ধ। তবে গান তো সবাই করে, এই পুলিস কর্মীর কন্ঠস্বর সত্যিই প্রশংসনীয়। ফলে নেটাগরিকরাও তাঁর প্রশংসা করেছেন।
কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে বৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে দিল্লির আবহাওয়া মনোরম। ফলে এই আরামদায়ক আবহাওয়াকে উপভোগ করতে গান-বাজনা করতে শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, যিনি গান করছেন তাঁর নাম রজত রাঠোর। তিনিই এই ভিডিও তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে লিখেছেন, যখন নিজের দায়িত্ব ও প্যাশনকে সমানভাবে কেউ ভালোবাসে।' ভিডিওতে তাঁকে সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের গান 'তেরে হোনে লাগা হুঁ' গাইতে দেখা যায়। নেটিজেনরা জানিয়েছেন, তাঁর কন্ঠস্বরের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা।
৫০০ কিলোমিটার ধাওয়া করে ‘সুপার চোর’ বান্টিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি (Delhi Police) পুলিস। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বান্টি চোরের (Thief) এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে হিন্দি ছবি ‘বান্টি অউর বাবলি’র। জানা গিয়েছে, ‘সুপার চোরের’ আসল নাম দেবেন্দ্র সিং। পাঁচশোরও বেশি চুরির মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তারমধ্যে বেশ কিছু মামলায় সাজাও হয়েছে তাঁর। এমনকি ২০১০ সালে চুরির মামলায় ৩ বছর জেল খেটেছে সে।
সূত্রের খবর, জেলে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজেকে শোধরানোর প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল বান্টি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেনি সে। জেল থেকে বেরনোর পরই ‘বিগ বস’ রিয়ালিটি শো-এ অংশ নেন। কিন্তু ‘বিগ বস’-এর শো ছেড়ে বেরনোর পরই আবার নিজের পুরনো ‘ব্যবসায়’ নেমে পড়েন দেবেন্দ্র।
পুলিস সূত্রে খবর, বান্টি বেশির ভাগ চুরি করে রাত ২টো থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। চুরি করার সময় বাড়ির ভিতরে ঢুকতে স্ক্রু ড্রাইভার কাজে লাগিয়ে দরজা অথবা জানলা অনায়াসে খুলে ফেলে বান্টি। তবে কম দামি জিনিস চুরি করতেন না বান্টি। তাঁর চুরির তালিকায় রয়েছে, বিলাসবহুল গাড়ি, সোনার গয়না, বিদেশি ঘড়ি এবং বহুমূল্যবান পুরনো আসবাব। এমনকি গাড়ি চুরি করার সময় লক না ভেঙেই গাড়ি মালিকের বাড়ি থেকে চাবি চুরি করেই গাড়ি চুরি করতেন তিনি। এমনকি দেবেন্দ্র চুরি করতে যান গাড়ি চড়ে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, অনেক দিন ধরেই তক্কে-তক্কে ছিল পুলিস। বারবার নাগাল পেলেও পুলিশকে ‘বোকা’ বানিয়ে পালিয়ে যেতেন তিনি। তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না।