দুষ্কৃতীদের সঙ্গে একাই লড়লেন এক কনস্টেবল (Constable)! সেই সাহসিকতার সিসিটিভি (Cctv) ফুটেজ দেখে দিল্লির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মঙ্গলবার দিল্লির (Delhi Incident) নিহাল বিহার এলাকায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এক হেড কনস্টেবল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই পুলিস কনস্টেবল একাই এগিয়ে যাচ্ছেন দুষ্কৃতীদের দিকে। বাইকে করে দুষ্কৃতীরা যাচ্ছিলেন ওই এলাকা দিয়ে। বাইক থামিয়ে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায় ওই পুলিসকর্মীকে। পিস্তলধারী ওই যুবককে একাই জব্দ করেন সেই কনস্টেবল। এই ঘটনা দেখতে লোকজনের ভিড় বেড়ে যায়। কয়েকজন মিলে মারধর শুরু করেন ওই পিস্তলধারী যুবককে।
Displaying indomitable courage, #DelhiPolice HC Devender nabbed a suspect M/Cycle rider, while the pillion rider carrying pistol was overpowered by HC Manoj & public.
— Delhi Police (@DelhiPolice) April 4, 2023
5 cases worked out. Country made pistol, 2 live rounds and M/Cycle recovered. One of them is murder accused. pic.twitter.com/d7aIsdY5nq
দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ চলাকালীন, হেড কনস্টেবল মনোজ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন তাঁর সহকর্মী কনস্টেবল দেবেন্দ্রকে। পুলিস সূত্রে খবর, বাইকে থাকা দু’জন দুষ্কৃতীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ধ্যান সিংহ বয়স ২৬ বছর এবং নবনীত বয়স ২১ বছর। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন এবং ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়িতে বোকা খাওয়ার ভয়ে দায়ের মিথ্যা ধর্ষণের (fake rape case) অভিযোগ! রাজধানী দিল্লির (Delhi incident) এক ১৪ বছরের কিশোরীর কাণ্ড শুনে রীতিমতো অবাক দিল্লি পুলিস। মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ করেই থেমে থাকেনি সেই নাবালিকা। নিজেই আবার ব্লেড দিয়ে কেটেছে হাত। আবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে পকসো আইনের (Pocso Case) অধীনে মামলাও রুজু করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১৫ তারিখ এই অভিযোগ দিল্লির ভজনপুরা পুলিস স্টেশনে দায়ের হয়েছে। দশম শ্রেণির ওই নাবালিকা জানিয়েছে, সেদিন পরীক্ষা দিয়ে আসার পর তিনটি ছেলে তার বাড়ির কিছু মিটার দূরে নিয়ে যায় ও তাকে ধর্ষণ করে। যার ফলে সে আহতও হয়েছে। এরপর পুলিস এই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে।
ফুটেজ ভালো করে খতিয়ে দেখতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। দেখা যায় দশম শ্রেণির ছাত্রীটি যেমন দাবি করেছিল, তেমনটা কিছুই ঘটেনি। বরং সে রাস্তায় একাই ঘুুরে বেড়াচ্ছিল। এরপর তাকে জেরা করতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ও সেখানেই নাবালিকা অবশেষে মুখ খোলে। সে বলেছে, '১৫ মার্চ তার সোশ্যাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল, আর সেটা একেবারেই ভালো হয়নি। বাড়িতে যাতে বাবা-মায়ের কাছে বকুনি খেতে না হয়, তাই নিজেই নিজেকে আহত করেছে ও এই মিথ্যা ধর্ষণের গল্প বানিয়েছে।' তার এই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলার কোনও সত্যতা নেই বলে খারিজ করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিস।
রবিবার সকাল সকাল জাতীয় কংগ্রেস (CONGRESS) নেতা রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) বাড়তে হানা দিল্লি পুলিসের (Delhi Police)। দিল্লি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির স্পেশাল সিপি (আইনশৃঙ্খলা)-র নেতৃত্বে দিল্লি পুলিসের একটি দল রবিবার রাজধানীতে রাহুলের বাসভবনে পৌঁছে যায়।
দিল্লি পুলিস সূত্রে আরও খবর, ভারত জোড়ো যাত্রায় একটি ভাষণ দেওয়ার সময় যৌন হেনস্থায় শিকার হওয়া নারীদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধির বাসভবনে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। রাহুল নিজের ভাষণে যে অভিযোগ করেছিলেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে এর আগেও কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিস। তবে সেই নোটিশে সাড়া দেননি রাহুল। এই আবহে এই মামলায় রাহুলের থেকে তথ্য পেতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিসের দল।
নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে (Nikki Yadav Murder) নিত্যদিন চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে দিল্লি পুলিসের। এযাবৎকাল মূল অভিযুক্ত শাহিল গেহলটকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিস। কী কারণে নিক্কিকে খুন, কোথায় নিক্কিকে খুন? এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যে পুলিসকে (Delhi Police) দিয়েছেন অভিযুক্ত শাহিল। এবার আরও চাঞ্চল্যকর ভাবে জানা গিয়েছে, নিক্কি-শাহিল নাকি বছর তিনেক আগেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তাঁদের বিয়ের সার্টিফিকেট ইতিমধ্যে পুলিসের হাতে এসেছে। সেই প্রমাণের উপর ভর করে দিল্লির এই ধাবা মালিককে (Dhaba Owner) নতুন করে জেরা শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে মন্দিরে গিয়ে নিক্কিকে বিয়ে করেছিলেন সাহিল। বিয়ের কথা শাহিল তাঁর বাবা বীরেন্দর সিংকে জানিয়েছিলেন। তবুও জোর করে অন্য মহিলার সঙ্গে শাহিলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এমনকী, নিক্কিকে খুনের কথা শাহিল জানান নিজের বাবাকে।
ঘটনা জানার পরেও বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলতে পুত্রকে জোর করেছিলেন বীরেন্দর। তাই দিল্লি পুলিসের তরফে বীরেন্দরকেও গ্রেফতার করা হয়। বীরেন্দরের পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনকে। শুক্রবার আদালতে এই ৫ জনকে পেশ করা হয়েছিল।
নিক্কি যাদব খুনে (Nikki Yadav Murder) আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল্লি পুলিসের হাতে। প্রেমিকাকে খুন করেছেন শাহিল, সেই তথ্য পুলিসকে (Delhi Police) দেন এই যুগলের এক বন্ধু। পুলিস সূত্রে খবর, সাহিল এবং নিক্কি—দু’জনেরই বন্ধু পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি পুলিসকে খুনের ব্যাপারে অবহিত করেন। আর সেই সূত্রে ধরেই গ্রেফতার হন সাহিল।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শাহিল বিয়ের পর নিকির দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নিক্কি-সাহিলের ওই বন্ধুর সন্দেহ হয়, তিনি পুলিসে খবর দেন। এরপরই তদন্তে নেমে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ধাবার ফ্রিজ থেকে নিক্কির দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
পুলিসের ওই সূত্র জানিয়েছে, শাহিলের হাবভাব দেখেই নাকি তাঁর মনে হয়েছিল যে কিছু একটা গোলমাল, আর সেই কারণেই তিনি পুলিসকে খবর দেন। খুনের পর নিক্কির মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে দেওয়া হয়। পুলিস ইতিমধ্যেই সেই ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। মুছে ফেলা তথ্য পুনরুদ্ধার করতে এই ফোন ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিস জানিয়েছে।
পুলিস আরও জানায়, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে গাড়ির ভিতরে মোবাইল ফোনের ডেটা কেবলের তার নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন শাহিল। জানা গিয়েছে, নিজের বাগদান অনুষ্ঠানে থেকে ফিরে প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে খুন করেন শাহিল গেহলট। অভিযুক্তকে জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে দিল্লি পুলিস।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির এই ধাবা মালিক নিক্কিকে ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে গলায় মোবাইল চার্জারের কেবল জড়িয়ে খুন করেন। সেই সময় তাঁরা ছিলেন দিল্লির কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি এলাকায়। হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এই যুগল গাড়ি নিয়ে বেড়ান।
নিজের বাগদান অনুষ্ঠানে থেকে ফিরে প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে (Nikki Yadav Murder) খুন করেন শাহিল গেহলট। অভিযুক্তকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির এই ধাবা মালিক নিক্কিকে ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে গলায় মোবাইল চার্জারের কেবল জড়িয়ে খুন করেন। সেই সময় তাঁরা ছিলেন দিল্লির কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি (ISBT) এলাকায়। হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এই যুগল গাড়ি নিয়ে বেড়ান।
জানা গিয়েছে, প্রথমে গোয়া যাওয়ার প্ল্যান করলেও ট্রেনের টিকিট না পেয়ে তাঁরা আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাস যান। কিন্তু সেখান থেকে জানতে পারেন কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি থেকে হিমাচল প্রদেশ যাওয়ার বাস মিলবে। সেই মোতাবেক বাগদান প্রসঙ্গে আইএসবিটি আসার পথেই বচসায় জড়ান শাহিল-নিক্কি। তখনই রাগের মাথায় লিভ-ইন সঙ্গী নিক্কিকে খুন করেন অভিযুক্ত। এমনটাই দিল্লি পুলিসকে জেরায় জানান শাহিল।
শাহিলের দাবি, 'বাড়ি থেকে পছন্দ করা মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য তাঁকে ক্রমাগত জোর করা হচ্ছিল। তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে তিনি ওই মুহূর্তে ঠিক কী করবেন। লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবেন নাকি পরিবারের সদস্যদের কথা মেনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবেন।' এই টানাপোড়েনে মাথা গরম থাকায় নিক্কির সঙ্গে বচসা হতেই খুন করে ফেলেন শাহিল। জেরায় নাকি এমনটাই স্বীকারোক্তি অভিযুক্ত ধাবা মালিকের।
শাহিলের দাবি, ঘটনার পনেরো দিন আগে সাহিল উত্তম নগরের বাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। বাগদান সেরে ৯ ফেব্রুয়ারি ফের নিক্কির কাছে ফিরে আসেন তিনি। সারা রাত নিক্কির সঙ্গে উত্তম নগরের বাড়িতেই ছিলেন শাহিল বলে খবর।
প্রেমিকাকে খুন (Girl Murder) করে দেহ লুকিয়েছিলেন ফ্রিজে। তারপর দিনই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দিল্লির ধাবা মালিক (Dhaba Owner) শাহিল গেহলট। ২৪ বছরের যুবককে দিল্লির কৈর গ্রাম থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে পুলিস (Delhi Police)। শ্রদ্ধার মতো প্রেমিকা নিক্কি যাদবের দেহও ফ্রিজে লুকিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
পুলিস জানিয়েছে, নিক্কি হত্যার ঘটনায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি তারা পায়নি। গোপন সূত্রে পুলিস খবর পায়, এক যুবক দিল্লির নজফগড়ে প্রেমিকাকে খুন করেছেন। আবার সেদিনই বিয়ে করছেন অন্য মহিলাকে। এই খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিসের অপরাধ দমন শাখা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি খুনের বিষয় জানতে পারে পুলিস। খোঁজ শুরু হয় কোনও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে কিনা। কিন্তু তেমন কিছু মেলেনি। অভিযুক্ত শাহিলকে খুঁজতে খুঁজতে এরপর পুলিস পৌঁছয় নজফগড়ের এক গ্রামে। সেখানেও তন্নতন্ন করে খুঁজেও অভিযুক্তর খোঁজ পায়নি পুলিস। এদিকে, শাহিলের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জানা যায়নি শাহিল কোথায় রয়েছেন, বাড়িতেও খোঁজ করে পুলিস।
বাড়িতে না পেয়ে শাহিলের খোঁজে নজফগড়ের সেই গ্রাম এবং আশপাশের এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিস। অবশেষে মঙ্গলবার কৈর গ্রাম থেকেই তিনি ধরা পড়েন। পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন শাহিল। কিন্তু কিছুক্ষণ জেরার পর স্বীকার করে নিয়েছিলেন নিক্কিকে তিনিই খুন করেন। তাঁর ধাবার ফ্রিজের ভিতর নিক্কির দেহ লুকিয়ে রাখা।
অভিযুক্ত আরও জানান, '৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে নিক্কিকে খুন করেন তিনি। সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই এই খুন।' তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০২, ২০১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক মুম্বই (Mumbai) নিবাসী শঙ্কর মিশ্রকে (Shankar Mishra) বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার (arrested) করেছিল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। এবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট (Delhi Patiala House Court)।
ঘটনার পর থকে বেশ কয়েকদিন পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত শঙ্কর। এরপর পুলিসি জালে ধরা পড়লেন তিনি। বুধবার শঙ্করের আইনজীবী মনু শর্মা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোমল গর্গের এজলাসে শঙ্করের জামিনের আবেদন করেন। আইনজীবীর দাবি, কোনওরকম যৌন ইচ্ছা থেকে তাঁর মক্কেল ঘটনাটি ঘটাননি। নেশাগ্রস্ত হয়ে তিনি এমনটা ঘটিয়ে বসেন। অভিযোগকারিণীকে হেনস্থা করা তাঁর মক্কেলের উদ্দেশ্য ছিল না। এমনকি শঙ্কর পুলিসি তদন্তেও সবরকম সাহায্য করছেন বলে দাবি করেন।
দিল্লি পুলিস অভিযুক্তের আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, মামলা মীমাংসা হতে অনেকটা দেরি। এখনই অভিযুক্তকে ছেড়ে দিলে তদন্তে বড়সড় ক্ষতি হবে। এমনকি অভিযোগকারিণীকে প্রভাবিত করতে পারেন শঙ্কর। দিল্লি পুলিসের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৬৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
শীঘ্রই আরও কয়েক জনের বয়ান নেওয়া হবে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শঙ্করের জামিনের বিষয়ে নির্দেশ স্থগিত রেখেছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তিনি সেই আবেদন খারিজ করেন। উল্লেখ্য, ২৬শে নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক বৃদ্ধা যাত্রীর উপর প্রস্রাব করেছিলেন অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র। অভিযোগ, নভেম্বরে নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানে তিনি বিজনেস ক্লাসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে এক মহিলার উপর প্রস্রাব করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাঁর সংস্থা ওয়েলস ফার্গো।
ওই সংস্থা জানিয়েছে, শঙ্কর মিশ্রের উপর ওঠা অভিযোগ 'অত্যন্ত বিরক্তিকর'।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে বয়স্কা সহ-যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় নয়া মোড়। ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক মুম্বই (Mumbai) নিবাসী শঙ্কর মিশ্রকে (Shankar Mishra) বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার (arrested) করল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। বেশ কয়েকদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিসি জালে ধরা পড়লেন তিনি। শঙ্করকে গ্রেফতার করার জন্য তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। তিনি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল।
সূত্র মারফত খবর, অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র বেঙ্গালুরুতে একটি হোম-স্টেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিস, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে অভিযান চালাচ্ছিল। কারণ এই দুটি শহরেই তাঁর অফিস রয়েছে এবং তিনি প্রায়শই এই শহর দুটিতে ভ্রমণ করতেন। শেষমেশ দিল্লি পুলিসের একটি দল তাঁর অবস্থান জানতে পেরে সেখানে হানা দেয়।
উল্লেখ্য, শঙ্কর মিশ্র নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক বৃদ্ধা যাত্রীর উপর প্রস্রাব করেছিলেন। অভিযোগ, নভেম্বরে নিউ ইয়র্ক- দিল্লি বিমানে তিনি বিজনেস ক্লাসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে এক মহিলার উপর প্রস্রাব করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাঁর সংস্থা ওয়েলস ফার্গো। ওই সংস্থা জানিয়েছে, শঙ্কর মিশ্রের উপর ওঠা অভিযোগ 'অত্যন্ত বিরক্তিকর'।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কোম্পানিটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ওয়েলস ফার্গো কর্মীদের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত আচরণের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখে এবং এই অভিযোগুলিকে আমরা অত্যন্ত বিরক্তিকর বলে মনে করি। ওই ব্যক্তিকে ওয়েলস ফার্গো বরখাস্ত করেছে।" শঙ্কর মিশ্র যখন নিখোঁজ ছিল, তখন তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া শঙ্কর মিশ্রকে ৩০ দিন তাদের সংস্থার বিমানে ওঠার উপর নিষোজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও শঙ্কর মিশ্রের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলেকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য এ কাজ করা হয়েছে।
দিল্লির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়ের টুকরো (DNA Report) শ্রদ্ধা ওয়ালকরের। ডিএনএ রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। শ্রদ্ধা-খুনে অভিযুক্ত আফতাবকে (Aftab Poonahwala) গ্রেফতারির পর নিখোঁজ দেহাংশের খোঁজে ওই জঙ্গলে গিয়েছিল দিল্লি পুলিস। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আফতাবকে, সেই পুলিসকে দেখিয়ে দেয় কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছে শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar Murder) দেহাংশ।
এদিকে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই তরুণীর বাবার ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করেছিল দিল্লি পুলিস। সেই নমুনার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া দেহাংশের ডিএনএ মিলিয়ে দেখেই পজিটিভ রেজাল্ট বলে উল্লেখ দিল্লি পুলিসের। চলতি বছর ১৮ মে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে আফতাব খুন করে বলে অভিযোগ। মৃতদেহকে ৩৫ টুকরো করে পরবর্তী ১৮ দিন দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গলে আসেন অভিযুক্ত।
এখন পর্যন্ত এই মামলায় কয়েকটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। পুলিসের দাবি, ওই ছুরিগুলি দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করেছেন আফতাব। ইতিমধ্যে আফতাবের লাই-ডিটেকশন পরীক্ষা হয়েছে। সেগুলি আদালতে আফতাবের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে পেশ করতে চায় পুলিস। তবে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টকে বড় প্রমাণ হিসাবে দেখছে দিল্লি পুলিস।
শীতের দিল্লিতে সোমবার সন্ধ্যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড, পুলিসি তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে (Shraddha Walkar Murder) অভিযুক্ত আফতাব আমিনের (Aftab Amin Poonawala) উপর হামলার চেষ্টা। তরোয়াল হাতে নিয়ে প্রিজন ভ্যানে হামলা। শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। জানা গিয়েছে, দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাব থেকে আফতাবকে যখন তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই এই হামলা। যে প্রিজন ভ্যানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই ভ্যানেই হামলা চালান (Attack on Aftab) দু'জন। তাঁদের হাতে ছিল তরোয়াল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কা করে তৎক্ষণাৎ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয় পুলিস।
#WATCH | Police van carrying Shradhha murder accused Aftab Poonawalla attacked by at least 2 men carrying swords who claim to be from Hindu Sena, outside FSL office in Delhi pic.twitter.com/Bpx4WCvqXs
— ANI (@ANI) November 28, 2022
এক পুলিসকর্মীকে দেখা যায় বন্দুক উঁচিয়ে ওই দুই হামলাকারীকে শান্ত করতে। শূন্যে এক রাউন্ড গুলিও চালান তিনি। এরপরেই ধীরে ধীরে প্রিজন ভ্যানকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক করা হয়েছে ওই দুই হামলাকারীকে। এঁরা নিজেদের হিন্দু সেনার সদস্য বলে দাবি করেছে। তবে এই হামলার জন্য আফতাবের কোনও ক্ষতি হয়নি।
Police detained the two men who attacked the police van carrying Shradhha murder accused Aftab Poonawalla, outside FSL office in Delhi pic.twitter.com/tc7TGACorZ
— ANI (@ANI) November 28, 2022
এই অতর্কিত হামলায় অভিযুক্তদের দাবি, 'শ্রদ্ধার বিচার চাই। শ্রদ্ধাকে খুনের জন্যই আফতাবের উপর তাঁরা হামলা চালায়।'
শ্রদ্ধা ওয়ালকরের (Shraddha Walkar Murder) মতোই আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী জাতীয় রাজধানী (Delhi Murder)। অভিযোগ, এক্ষেত্রেও খুন করে দেহ টুকরো করা হয়েছে। সেই টুকরো ফ্রিজে সংরক্ষিত করে আশপাশে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের স্ত্রী এবং পুত্রকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস (delhi Police)। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার মাসেই ফের এই হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড পূর্ব দিল্লির (East Delhi Murder)।
মহারাষ্ট্রের তরুণী শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করে তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী তথা প্রেমিক আফতাব দেহ টুকরো করে কেটেছিলেন। ১৮ মে শ্রদ্ধা খুন হন, সেই দেহাংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয় ফ্রিজে এবং সেই দেহাংশ মেহরৌলীর জঙ্গলে ফেলে আসতেন অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে আফতাব গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি। এই ঘটনার নৃশংসতা নাড়িয়েছে দেশকে।
Pandav Nagar murder | Delhi: Visuals of the residence of the accused where they kept the chopped-off body pieces of the victim in the refrigerator. https://t.co/qRSsepJPzq pic.twitter.com/UVNalvLdT9
— ANI (@ANI) November 28, 2022
এদিকে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরেই পূর্ব দিল্লির এই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহাংশ খুঁজতে দিল্লির সব থানায় নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। তখনই জানা যায়, গত জুনে পাণ্ডব নগর দেহাংশের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু পচাগলা সেই দেহাংশ কার, তখন জানা যায়নি। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ফের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিস। খতিয়ে দেখা হয় জুনে উদ্ধার ওই দেহাংশ শ্রদ্ধার কিনা।
তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ওই দেহাংশ অঞ্জন দাস নামে পাণ্ডব নগরের এক ব্যক্তির। তিনি সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। অঞ্জনের স্ত্রী পুনম এবং ছেলে দীপক এই বিষয়ে জানতে পেরে তাঁকে খুন করে। জানা গিয়েছে, অঞ্জনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করা হয়। তারপর খুন করে তাঁর দেহ টুকরো করা হয় এবং সেই দেহ ফ্রিজে রাখা হয়। এবং তা পরে ফেলে আসা হয় বিভিন্ন জায়গায়। অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই হত্যা, প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিস। স্থানীয় বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিস জানতে পেরেছে, গভীর রাতে ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন মৃতের ছেলে দীপক, পিছনে তাঁর মা।
A woman along with her son arrested by Crime Branch in Delhi's Pandav Nagar for murdering her husband. They chopped off body in several pieces,kept in refrigerator & used to dispose of pieces in nearby ground: Delhi Police Crime Branch
— ANI (@ANI) November 28, 2022
(CCTV visuals confirmed by police) pic.twitter.com/QD3o5RwF8X
অন্য একটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিনের বেলায় পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গা ঘুরছেন দু’জন। পরে ওসব জায়গা থেকেই মেলে অঞ্জনের দেহাংশ। আফতাবের কাণ্ড পুনমরা জানতেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, সম্প্রতি বারুইপুরে প্রাক্তন নৌ সেনার খণ্ডিত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এলাকার একাধিক ঝোপ, পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই নৌ সেনার দেহাংশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাক্তন নৌ সেনার ছেলে এবং স্ত্রী। দাম্পত্য কলহ এবং গৃহ হিংসা থেকে বাঁচতে এই পথ নিয়েছে মা-ছেলে। জেরায় এমনটাই পুলিসকে জানিয়েছে তাঁরা।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে (Shraddha Walakr Murder case) অভিযুক্ত আফতাব আমিনকে (Aftab Amin Poonawala) ১৩ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল্লি আদালতের। শনিবার ভার্চুয়ালি সাকেত জেলা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে। বিচারকের নির্দেশেই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যেই আফতাব আমিন পুনাওয়ালার আবার পলিগ্রাফ টেস্ট (Polygraph Test) করানো হবে, আদালতে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শনিবারই আফতাবের পিসি বা পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। যদিও এখনও শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু বা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিস। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত আফতাব খুনের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তাঁর স্বীকারোক্তির পাশাপাশি খুন প্রমাণে ব্যবহৃত অস্ত্র কোর্টে পেশ করতেই হয়। সেটা না হলে অনেকটা কমে যায় অপরাধের গভীরতা। তাই খুনের অস্ত্র উদ্ধারে এখন মরিয়া পুলিস। এমনকি, দিল্লির বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাংশ আদৌ শ্রদ্ধার কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ এখনও ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসেনি পুলিসের। এমনটাই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।
চলতি সপ্তাহেই দিল্লির রোহিণী এলাকায় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ, প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে পলিগ্রাফ টেস্টের প্রি, মেন এবং পোস্ট— এই ৩টি সেশনেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিল আফতাব। যদিও তাঁকে এই টেস্টের জন্য বেশ প্রস্তুত লেগেছে। এমনটাই তদন্তকারী সূত্রে খবর। অপরদিকে, ২৮ নভেম্বর সোমবার আফতাবের নার্কো অ্যানালিসিস করানো হতে পারে বলেও সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
ট্রলি ব্যাগের মধ্যে মানবদেহের (Human Body) টুকরো! বৃহস্পতিবার পালি রোডের কাছে আরাবল্লি পাহাড় (Aravalli hills) এলাকায় একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে মানবদেহের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। দিল্লি পুলিসের একটি দল সন্দেহ প্রকাশ করেছে, এই ঘটনার সঙ্গে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যার (Shraddha Walkar murder case) সম্পর্ক থাকতে পারে। সুরজকুণ্ড থানার পুলিস মৃতদেহের টুকরোগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
যদিও পরে সহকারী কমিশনার পুলিস (মেহরাউলি) বিনোদ নারাং এ ঘটনা শ্রদ্ধা ওয়ালকরের মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিস (ফরিদাবাদ এনআইটি) নরেন্দ্র কাদিয়ান জানিয়েছেন, মৃতদেহের অংশগুলি মর্গে রাখা হয়েছে। দেহাবশেষগুলো প্রায় দুই মাস বয়সী বলে মনে হচ্ছে এবং মৃতদেহটি পুরুষ না মহিলার তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানান তিনি।
একটি ফরেনসিক দল শরীরের অঙ্গগুলিও পরীক্ষা করেছে এবং পোস্ট মর্টেমের পরে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন নরেন্দ্র কাদিয়ান। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে এক ব্যক্তি পরিত্যক্ত ট্রলি ব্যাগটি খুঁজে পান। তিনি পুলিসে খবর দেন। এরপর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে (Shraddha Walker Murder) এবার বয়ান রেকর্ড শুরু করল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। মুম্বইয়ে গিয়ে তাঁর বন্ধু লক্ষ্মণ নাদারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিস। শুক্রবার মুম্বইয়ের কাছে ভাসাইয়ের এক থানায় লক্ষ্ণণকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ঘণ্টা তিনেক ধরে তাঁর বয়ান রেকর্ড করে দিল্লি পুলিস। লক্ষ্মণের বয়ান রেকর্ড করা ছাড়া শ্রদ্ধার মা-বাবার বাড়িতেও তল্লাশি চালাবে দিল্লি পুলিস। সেই সঙ্গে ভাসাইয়ের যে এলাকায় শ্রদ্ধা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন, সেখানকার বন্ধুবান্ধব এবং পাড়া-পড়শি কথা বলবেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগে ১২ নভেম্বর তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। আদতে মুম্বই শহরতলির ভাসাইয়ের পাট চুকিয়ে দিল্লিতে চলে আসেন। মেহরৌলির একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছিলেন শ্রদ্ধা-আফতাব। মে মাসে শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহকে ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলে ছড়িয়ে দেয় আফতাব।
এদিকে, পুলিস আফতাবকে গ্রেফতার করলেও শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহাংশ বিশেষ করে কাটা মুন্ডু এখনও মেলেনি। শুধু দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে ফরেন্সিকে পাঠিয়েছে পুলিস। তবে সেগুলি যে শ্রদ্ধারই, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ডিএনএ পরীক্ষার পরই।
এর মধ্যেই একটি সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের আগে শ্রদ্ধা এবং আফতাব উত্তরাখণ্ড-হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এবার আফতাবের বাড়ি এবং দিল্লির বিভিন্ন জঙ্গলে দেহাংশ না মেলায়, দেহরাদুন প্রসঙ্গ সামনে আসতে শুরু করেছে। পুলিসের একটি অংশ মনে করছে, শ্রদ্ধার দেহাংশ তাহলে কি দেহরাদূনেই ফেলে এসেছেন আফতাব?