কোভিডের (Covid 19) গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। রবিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৫৭ জন। আর সোমবারেই একধাক্কায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৮৮০। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৬ হাজারের গন্ডি পেরোতে চলেছে। এর ফলে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ হাজার ১৯৯। করোনার এই বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। ফলে ১০ ও ১১ এপ্রিল পুরো দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মক ড্রিল (Mock Drill)। দেশের হাসপাতালগুলি করোনার মোকাবিলার জন্য কতটা প্রস্তুত, তাই দেখা হবে মক ড্রিলে। আবার হঠাৎ কেন নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, তার কারণ জানাল আইএমএ (Indian Medical Association)।
আইএমএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল কোভিড বিধি না মেনে চলা। এছাড়াও করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬-এর কারণেই করোনা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আইএমএ-এর মতে, এই প্রজাতি আগের সব প্রজাতি থেকে বেশি সংক্রামক।
করোনার বাড়বাড়ন্তকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তার একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে আইএমএ। প্রথমত, জ্বর, সর্দি, কাশি বা করোনার কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। বারবার হাত ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে। কাশি হলে হাত ভাঁজ করে বা হাঁচির সময় মুখে টিস্যু চেপে ধরতে হবে। এরপর সেই টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। বুস্টার ডোজ নিতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোনও কোনও রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা (CoronaVirus)। এবারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৫ জন। এই মুহূর্তে গোটা দেশে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯১ জন।
মঙ্গলবারই একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের একটু বেশি ছিল। আর পরের দিনই একধাক্কায় বাড়ল করোনা রোগীর সংখ্যা। নতুন করে করোনার চোখরাঙানিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। করোনা উদ্বেগের মধ্যেই 'হু' জানিয়ে দিল, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চের ভারতের করোনা-তথ্য যাচাই করে তারা দেখেছে, ভারতে এই মুহূর্তে করোনায় 'হাইয়েস্ট প্রোপোরশনাল ইনক্রিজ' চলছে।
অন্যদিকে গুঞ্জন রটেছে, ফের দেশে মাস্ক বাধ্য়তামূলক হতে চলেছে কিনা। তবে অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভিকে সিং জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কথা না ভাবলেও বিমানযাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্যর বার্তা, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম। তবে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। অন্যদিকে সুস্থতার হারও বেড়েছে। তাই করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্য়েও কিছুটা স্বস্তি সাধারণ মানুষের।
করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ বৃদ্ধিতে রাশ টানতে এবারে ফের মাস্ক (Mask) পরার পরামর্শ দিল কেন্দ্র। বিশেষ করে বিমানে যাতায়াতের সময় মাস্ক পরার জন্য বলা হয়েছে বলে খবর। অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভিকে সিং (General VK Singh) জানিয়েছেন যে, কেন্দ্র থেকে এখনও পর্যন্ত এমন নির্দেশকা জারি করা হয়নি যে, আকাশপথে যাতাযাতের জন্য বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে যে, বিমানে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের মাস্ক পরা উচিত।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় সাংসদ হরভজন সিং জানিয়েছেন, দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ও এইচ৩এন২ ভাইরাসের বৃদ্ধির ফলে চিন্তিত। ফলে তিনি প্রশ্ন করেন, দেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার জন্য কেন্দ্র থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা। তখনই জানানো হয়, মাস্ক বাধ্যতামূলক না করলেও মাস্ক পরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন চালু হয়েছে, তা এখনও রয়েছে।
সেই গাইডলাইনে কিছু বদল ঘটানো হয়েছে গত ১০ ফেব্রুয়ারি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মতে, করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে বিশেষ নজর রয়েছে মোদী সরকারের। দেশে যাতে কোভিড, নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৮ জন। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হল ২১ হাজার ১৭৯।
ঊর্ধ্বমুখী করোনার (Covid19) গ্রাফ। বাড়ছে উদ্বেগ। করোনা ফের ভয়াল রূপ নিতে চলেছে কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে কোভিড উদ্বেগের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) জানিয়েছেন, করোনা নতুন করে দাপট দেখাতে শুরু করলেও ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্যই ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও বক্তব্য, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট তেমন শক্তিশালী নয়, ফলে হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরে রিপোর্ট অনুসারে, সোমবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৪১ জন। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ২১৯-এ। আবার মহারাষ্ট্রে ৩ জন, দিল্লি, রাজস্থান, কর্নাটকে ১ জন ও কেরলে ৪ জন মারা গিয়েছে কোভিডে।
তবে কোভিডের টিকা নেওয়ার পরেও কেন মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে চিকিৎসক জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিন নিলে যে করোনায় আক্রান্ত হবেন না, এমনটা বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে, টিকা নিলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমবে। তবে সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন গাইডলাইন মেনে চলতে হবে ও পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে।
২০২২ সালে শেষ করোনার ভয়াবহ রূপ দেখা গিয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের নতুন রূপে হাজির হচ্ছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। এবারে এক সপ্তাহের মধ্যেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। যার ফলে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।
জানা গিয়েছে, ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের ফলেই ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে কোভিড। আর এই ভ্যারিয়েন্টের দাপটেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, অসুস্থ হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। শনিবারই নতুন করে করোনায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জন, যা গত ছয় মাসে দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। ভারতে ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা ১ সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে কেরল, গোয়া, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানায়। তবে স্বস্তির খবর যে, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে, অন্যদিকে মৃত্যু সংখ্যাও কম। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ২৯ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। যদিও বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার তত কারণ নেই। তাঁদের মতে, বর্তমানে ওমিক্রনের যে প্রজাতিটির জন্য সংক্রমণ ঘটছে সেটি তেমন শক্তিশালী নয়। তবে তাঁরা কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন।
দেশে করোনা (Corona) সংক্রমণের হার ফের ঊর্ধ্বমুখী। দিনের পর দিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজারের গন্ডি পেরিয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ছাড়া অযথা অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের বেশি ক্ষতি করতে পারে।
মানুষের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রবণতা থাকে জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই প্রথম থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া। তবে এমনটা করা উচিত নয় বলে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। যদি কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন না হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কোভিডের পাশাপাশি অন্য রোগও রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে। সেক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার কম করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে।
যদিও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে চলেছে, তবে স্বস্তির খবর, আগের বারের থেকে এবারে হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। অর্থাৎ এবারে কোভিডের তেমন দাপট দেখা যাচ্ছে না। শেষ রিপোর্টের তথ্য অনুসারে, শনিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪ জন। আবার করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৯। কেরল, কর্নাটক, দিল্লি ও পঞ্জাবে ২ জন ও গুজরাতে ১ জন মারা গিয়েছেন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫৪ জন। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ফের দেশে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়চ্ছে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। বৃহস্পতিবার নতুন করে দেশে ভাইরাসে (Covid-19) সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬ জন। গত ৬ মাসের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, দেশের মধ্যে দিল্লিতে সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।
জানা গিয়েছে, বুধবার দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০। ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫০৯। অর্থাৎ সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার ১.৭১ শতাংশ। বুধবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৫১। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের গণ্ডি পার করল। তবে দিল্লির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯৪ জন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। বৈঠক তিনি বলেছিলেন, যাঁদের করোনার উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
করোনা (Covid) সংক্রমণ বাড়ছে দিল্লিতে। দিল্লি (Delhi) সহ গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬ জন। এক দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। তাই সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিল দিল্লির আপ সরকার। বৃহস্পতিবারই জারি হয় এই নির্দেশিকা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। বৈঠক শেষে তিনি জানান, 'আমরা একটা নির্দেশিকা জারি করেছি। যাঁদের জ্বর-সহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরতে হবে।'
সূত্রের খবর, যে হারে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বুধবার দিল্লিতে সংক্রমণের সংখ্যা ৩০০ জন। দিল্লিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯ হাজার ৩৬১। তাঁর মধ্যে মৃত্যু হয় ২৬ হাজার ৫২৬ জনের। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসার কথা জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের।
ফের করোনার (Coronavirus) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দেশজুড়ে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ৮৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩৩। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হল, করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন বৃদ্ধি পেলেও মৃতের সংখ্যা খুবই কম। তবুও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছিল, শুক্রবার দেশে কোভিডে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এবারে কোভিড সংক্রমণ যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অতিমারীর কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসের ১০ এবং ১১ তারিখে হাসপাতালগুলির মহড়ার দিন নির্দিষ্ট হয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর রাজীব বহলের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যগুলিকে কোভিডের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আর সেই নির্দেশিকাতেই হাসপাতালে মহড়া আয়োজনের কথাও জানানো হয়।
আরও জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি করোনার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও মক ড্রিল করা হবে। আবার শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, তা-ও যাচাই করে দেখা হবে ১০ ও ১১ এপ্রিল। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, হাসপাতালের বেড, আইসিইউ, অক্সিজেন পরিষেবার মতো খুঁটিনাটি বিষয়েও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে নেওয়া হবে।
শনিবারই জানা গিয়েছিল, দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৫০০ ছাড়িয়েছে। সঙ্গে করোনায় মৃত্যুও হয়েছে। দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই দৈনিক করোনা সংক্রমণও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে কোভিড।
করোনা আক্রান্তর সংখ্যা-বৃদ্ধি অব্যাহত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৫৯০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত ১৪৬ দিনে সবথেকে বেশি। এর ফলে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৬০১ জন। একদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ৩এন২-এর দাপট তো রয়েছেই, অন্যদিকে এখন করোনা আক্রান্তর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে করোনা (Corona)।
শনিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে মোট কোভিড মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮২৪। শুক্রবারই ছয় জনের করোনায় মৃতের খবর এসেছে, এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৩, কর্ণাটক, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডে ১ জন করে মারা গিয়েছেন করোনায়। বর্তমানে প্রতিদিন পজিটিভিটি রেট ১.৩৩ শতাংশ ও সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.২৩ শতাংশ। শুক্রবার আক্রান্তর সংখ্যা দিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ২ হাজার ২৫৭।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ২২০.৬৫ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। মাঝে করোনার প্রকোপ কিছু কমলেও ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোভিড। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, করোনা থেকে বাঁচতে এখনও বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। দৈনিক সংক্রমণ ফের নতুন করে বেড়ে চলেছে। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০০০-এর বেশি করোনা আক্রান্তর সংখ্যা জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, বুধবার দেশে মোট ১ হাজার ১৩৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে করানো সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে প্রতিদিনের পজিটিভিটি রেট দাঁড়াল ১.০৯ শতাংশ ও সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ০.৯৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ জন, সোমবার আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন ও রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৭২, শনিবারে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৩৮। আর এবার দেশে আক্রান্তর সংখ্যা ১০০০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেল। ফলে এই সংখ্যা থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত। দেশজুড়ে যখন ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ৩এন২ ভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে, তার মধ্যেই করোনা আক্রান্তর সংখ্যা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজধানীতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫২৪ জন। সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা ২০৯। তবে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তর সংখ্যা মাত্র ১৭, বেশিরভাগই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। ফলে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেও এর দাপট সেই আগের মত নেই। তাই এই খবরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লিবাসী।
এই আবহেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, দিল্লি হাসপাতালে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তবু এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
একদিকে অ্যাডিনো (Adenoviruses), অন্যদিকে H3N2 ভাইরাসের দাপট। তার মধ্যে ফের দেশজুড়ে বাড়ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ (Corona Virus)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৮৪১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যা হিসেব অনুযায়ী, এক মাসের আগের সংক্রমিতের থেকে প্রায় ছয় গুণ বেশি।
পাশাপাশি, সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং গুজরাটে কোভিড সংক্রমণের হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি। শনিবার সকালের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৪,৪৬,৯৪,৩৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা মোট সংক্রমণের ০.০১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৮০ শতাংশ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৫৮ হাজার ১৬১ জন।
দেশের ছয়টি রাজ্যে ইতিমধ্যে কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়েছে করোনা সংক্রমণের সতর্কতা হিসেবে। কারণ, কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাট, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।
২৩ তারিখ থেকে শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। ২৭ তারিখ সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন থাকায় সেদিনের পরীক্ষাসূচি বদলেছে। এবছর প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী (৬,৯৮,৬২৮ জন) পরীক্ষায় বসছে। টোকাটুকি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে এবার কড়া পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Secondary Education Board)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানান পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিস থাকবে, বসবে সিসি ক্যামেরা। কমবেশি সব জেলায় পৌঁছেছে প্রশ্নপত্র। রাজ্যের ৩৭৩টি থানার কড়া পুলিসি নজরদারিতে থাকছে প্রশ্নপত্র।
জানা গিয়েছে, শুধু পরীক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকতে পারবে। অভিভাবকরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করছে পর্ষদ। এদিন জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। কোন পরীক্ষার্থীর কোথায় সিট পড়ছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ঝোলানো থাকবে সেই তথ্য। গত বছরের তুলনায় অনেক কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। নাম নথিভুক্ত করেও পরীক্ষায় বসছেন না অনেক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পর্ষদ সভাপতি করোনা অতিমারীকে দায়ী করেছেন।
করোনাকালে প্রস্তুতির অভাব, অফলাইন ক্লাসে পড়াশোনার সমস্যা এবং পঠনপাঠন বন্ধের মতো সমস্যাকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরছেন পর্ষদ সভাপতি। পাশাপাশি অনেকে টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেনি, কেউ আবার ফর্ম ফিলআপ করেনি বলে জানান পর্ষদ সভাপতি। এবার রাজ্যব্যাপী প্রায় ২৯০০ পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪০ হাজার পরীক্ষক নিয়োগ করেছে পর্ষদ। সব পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি আর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া হবে অ্যাডমিট কার্ড। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান পর্ষদ সভাপতি।
নতুন বছরে বাংলায় করোনায় প্রথম মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ট্যাংরার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্র দাসের। গিরিশবাবু দাস ট্যাংরা সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ২০ ডিসেম্বর করোনায় এই রাজ্যে শেষ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিনের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য: একেবারেই খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে নতুন করোনার উৎপাত সম্বন্ধে অবগত হলাম। যদিও অনেকেই বলতে পারেন বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশা। কিন্তু আমি বলবো ধোঁয়াশার উপর ছেড়ে রাখলে হবে না। ২০১৯-এর শেষে যখন আমাদের কাছে খবর এসেছিলো যে বিদেশে নতুন একটি সংক্রমণ এসেছে 'করোনা' আমাদের দেশজ প্রশাসন কিন্তু সতর্ক হয়নি। বরং আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে দিব্বি ঘুরে গেলেন ভারতে। অন্যদিকে তখন ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল এই সংক্রমণ এবং ঘোষিত হয়েছিল এটি মারণ রোগ। দেশ যখন সজাগ হলো তখন অনেকটাই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। সময়টা ২০২০-র মার্চ-এপ্রিল।
সে সময়ে আমি শিলিগুড়ির মেয়রের দায়িত্বে। রাতারাতি প্রচন্ড চাপ এসে পড়ে পুর এলাকায়। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যভিত্তিক লকডাউনে কীভাবে অঞ্চলে অঞ্চলে ঘুরে কাজ করতে হয়েছিল তা আজ বেশ মনে পড়ছে। তবে এটাও ঠিক যে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছিলো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে।
মৃত্যু তো কম হয়নি দেশজুড়ে। আমাদের রেড ভলান্টিয়ার্সরা দুর্দান্ত পরিষেবা দিয়েছিল। ওদের কাজ সব থেকে কঠিন ছিল। যাই হোক ২০২২-এ এসে বিশেষ করে শারদ উৎসবের আগেই বেশ খানিকটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছিলাম। কিন্তু ফের কেন করোনার রক্তচক্ষু আসছে?
রাজ্যের একদা পৌরমন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির মেয়র ছিলাম বলে আজকের নতুন প্রজাতি বিএফ-৭-কে উড়িয়ে দিতে পারি না। আমাদের দায়িত্ব থাকছেই। অনেকেই বলছেন চীন থেকে সরবরাহ হচ্ছে এই নতুন বিএফ-৭ র করোনা। আমি বলবো শুধু চীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এখন বিদেশ থেকে বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া থেকে যারাই এদেশে বিমান বা অন্যভাবে আসছে তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কাগজেই দেখলাম বিদেশ থেকে আগত কয়েকজনের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ভয়ের বিষয়। কোনও এক সংস্থা আবার বলছে, দেড় মাস লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি বলবো বিশেষজ্ঞদের নজর রাখা উচিত। হচ্ছে হবে ইত্যাদি শব্দ কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। সামনে মকর সংক্রান্তিতে লক্ষ মানুষের ভিড় হয় গঙ্গাসাগরে, তাদের জন্য সতর্কতা নিতে হবে। আবার আরও একটি যুদ্ধ, সত্যিই চাইছি না। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)