রাজ্যে সামান্য কমল করোনার (Coronavirus) দৈনিক সংক্রমণ, কিন্তু বেড়েছে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রমিত (Covid-19) ৪০০ জন, মৃত ৫। একদিনের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫৩ জন, এই মুহূর্তে বাংলায় সুস্থতার হার ৯৮.৭৮%। পজিটিভিটি রেট (Active Case) বা আক্রান্তের হার ৩.৬৫%।
এদিকে, টানা কয়েকদিন দেশের করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচে থাকলেও ফের ১২ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে ১৫ হাজারের উপরে। যদিও কিছুটা স্বস্তি মৃত্যু সংখ্যা, অ্যাকটিভ কেস ও পজিটিভিটি রেটের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি চিন্তায় রাখছে কয়েকটি রাজ্যের কোভিডের ছবিটা। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসলেও এদিন খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৫৪ জন। যা বৃহস্পরিবার ছিল ১২ হাজার ৬০৮ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটা বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। বৃহস্পরিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৭২। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫৩ জন।
বেড়ে চলেছে দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিসংখ্যানে (Covid-19) সাময়িক স্বস্তি মিললেও ফের তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। যদিও মৃত্যু সংখ্যাও (Death) সামান্য নিম্নমুখী। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৬১ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৬ হাজার ২৯৯ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। বৃহস্পতিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৫৩ । মৃত্যুসংখ্যা যে সামান্য নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৯২৮ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৮ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৩৫। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ০৯৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ০৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৩ শতাংশ। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৫.৪৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৭ কোটি ৪৭ লক্ষ ১৯ হাজার ০৩৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ১৭ লক্ষর বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৪ হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
সারা দেশেই করোনার (Corona) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। তারই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি (Delhi)। তাই করোনা প্রতিরোধে আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটল দিল্লির প্রশাসন। সেখানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানা (Fine)। আর এটা যাতে কড়াভাবে কার্যকর করা যায়, তার জন্য বিশেষ টিম (Special Team) গঠন করে অভিযানে নামছে সেখানকার প্রশাসন।
প্রসাশনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কোভিডগ্রাফ কিছুটা কমতেই মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে এমনভাবে পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যেন করোনা চলে গিয়েছে। এটা প্রশাসন ভালোভাবে নিচ্ছে না। সেই কারণেই প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম গাফিলতি যেন বরদাস্ত করা না হয়। কারণ, বিগত দুই সপ্তাহের করোনা-চিত্রে দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে সংক্রমণ ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী, মূলত জনবহুল স্থানগুলির জন্যই বিপর্যয় মোকাবিলার এই আইন কার্যকর করা হবে। কেউ যদি একসঙ্গে নিজেদের গাড়িতে চড়ে কোথাও যান, তাহলে তাঁরা এই জরিমানার আওতায় পড়বেন না।
দক্ষিণ দিল্লির জেলাশাসক আইন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য তিনটি বিশেষ টিমও গঠন করেছেন। প্রতিটি টিমে থাকবেন ১৫ জন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এবং জেলা প্রসাসনের অফিসাররা, যাঁরা বাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাবেন। কারণ হিসাবে প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু সামনেই উত্সবের মরশুম, তাই বাজারগুলিতেই বেশি সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই নজরদারির তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাজারগুলিকেই। দরকার হলে এই ধরনের নজরদারি টিমের সংখ্যা আগামিদিনে আরও বাড়ানো হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিটি মহকুমাকেও প্রতিদিন নজরদারি চালিয়ে আইনভঙ্গকারীদের পাকড়াও করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বুধবার গত তিনমাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে, ৮ জনের। ওইদিন করোনায় আক্রান্ত হন ২১৪৬ জন এবং পজিটিভিটি রেট ছিল ১৭.৮৩ শতাংশ।